Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Cash Recovered: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    Cash Recovered: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই ফের টাকার পাহাড় রাজ্যে! শহর কলকাতা থেকে ফের উদ্ধার করা হল লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা (Cash Recovered)। সোমবার কলকাতার বড়বাজার এলাকা থেকে এসটিএফ ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে ৫৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতারও করেছে গোয়েন্দারা। এই বিপুল পরিমাণের টাকার সঙ্গে হাওয়ালার যোগ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। গত বছরেই এমনই নগদ টাকা উদ্ধারের সাক্ষী থেকেছিল গোটা বাংলা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে থরে থরে টাকা উদ্ধারের ছবি এখনও চোখে চোখে ভাসে রাজ্যবাসীর। এবারও তেমনই দৃশ্য ফের দেখা গেল।

    আরও পড়ুন: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    কলকাতার বুকে ফের নগদ টাকা উদ্ধার

    গতকাল সন্ধ্যায় প্রথমে মহাত্মা গান্ধী রোডের কাছে কপিলচরণ বেহারা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই কালিচরণকে আটক করা হয়েছিল। আটক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। টাকার উৎস সম্পর্কে অবশ্য সঠিক জবাব দিতে পারেননি কালিচরণ। এরপর কালিচরণকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে রবীন্দ্র সরণিতে অবস্থিত এক অফিসের খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানেও অভিযান চালিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার উপরে উদ্ধার করে বলে সূত্রের দাবি (Cash Recovered)। অফিসে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন মালিক গৌরব প্রজাপতি এবং চিরাগ রমেশভাই প্রজাপতি। তাছাড়া আরও তিনজন সেখানে ছিলেন। সেই পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরাও এই বিপুল টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও জবাব দিতে পারেননি। আবার এই পাঁচ জনকেও জেরা করে কিছু জায়গার নাম উঠে আসে। আর সেই সব জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি নগদ উদ্ধার করে তদন্তকারীরা (Cash Recovered)। গ্রেফতার করা হয় মোট ৯ জনকে।

    ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা নং ৩৭৯-এ মামলা রুজু করা হয়েছে বড়বাজার থানায়। ধৃত ব্যক্তিদের কাছে এত টাকা কীভাবে এল, কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল, এবং কার কাছে তা যেত তা খতিয়ে দেখতে জেরা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

  • Subiresh Bhattacharya: জেলে বসেও সংগঠন চালাচ্ছেন সুবীরেশ? পদত্যাগের দাবি অধ্যক্ষ পরিষদের

    Subiresh Bhattacharya: জেলে বসেও সংগঠন চালাচ্ছেন সুবীরেশ? পদত্যাগের দাবি অধ্যক্ষ পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেও সংগঠন চালাচ্ছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলে রয়েছেন তিনি। আর এরই মাঝে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল রাজ্যের কলেজগুলির প্রিন্সিপালদের সংগঠন অধ্যক্ষ পরিষদ। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সুবীরেশের পদত্যাগের দাবি করেছে অধ্যক্ষ পরিষদ। তাঁদের অভিযোগ, জেলে বসে অধ্যক্ষদের সংগঠন চালাচ্ছেন সুবীরেশ।

    সুবীরেশ (Subiresh Bhattacharya) এক সময় ছিলেন কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ। একই সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁকে লিয়েনে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়। উপাচার্য থাকা অবস্থাতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সুবীরেশ। সুবীরেশ এখনও অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি পদ দখল করে রয়েছেন। আর  সেই পদে বসেই জেল থেকে সংগঠন চালাচ্ছেন তিনি বলে অভিযোগ করেছে অধ্যক্ষ পরিষদ।

    কী বলছেন অধ্যক্ষরা? 

    আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ (Subiresh Bhattacharya) পূর্ণচন্দ্র মাইতি এ বিষয়ে বলেন, “ব্ল্যাঙ্ক প্যাডে রাজ্য সম্মেলন ডাকা হয়েছে। তার আগে কার্যকরী সমিতির কোনও বৈঠক করা হয়নি। এ থেকেই স্পষ্ট কে জেলে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন।”  

    পূর্ণচন্দ্রবাবু (Subiresh Bhattacharya) আরও অভিযোগ করে বলেন, “ওঁর নাম নিতেও লজ্জা হয়। একজন উপাচার্য হয়ে জেলে গিয়েছেন। তারপরেও সেখান থেকে সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন সুবীরশ ভট্টাচার্য।” 

    আরও পড়ুন: মোমিনপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে জেএমবি যোগ পেল এনআইএ, চার বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা

    প্রসঙ্গত গত ৬ বছর ধরে অধ্যক্ষ পরিষদের এই পদে রয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। একাধিক অধ্যক্ষের দাবি, নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই পদে রয়েছেন তিনি। তাঁদের দাবি, ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গে রাজ্য সম্মেলনে মিথ্যে কারণ দেখিয়ে সম্পাদক ও সভাপতি পদ আঁকড়ে থাকেন প্রবীণরা। অধ্যক্ষ পরিষদের সংবিধানে রয়েছে, দুবছর অন্তর কমিটিতে বদল আনতে হবে। কিন্তু সে নিয়ম মানা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • West Bengal Weather: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কাঁপছে বাংলা, সপ্তাহান্তে আরও নামবে পারদ!

    West Bengal Weather: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কাঁপছে বাংলা, সপ্তাহান্তে আরও নামবে পারদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারদ নিম্নমুখী। হু হু করে নামছে পারদ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। উত্তুরে হাওয়ার কাঁপছে বাংলা। বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়াল ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। কুয়াশার দাপটও দেখা যাচ্ছে সারা বাংলা জুড়ে (West Bengal Weather)।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি হলেও আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও ২-৪ ডিগ্রি কমার কথা বলা হয়েছে। কুয়াশার দাপট সকালে থাকলেও দিনে রোদ উঠতে পারে। কলকাতার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বৃহস্পতিবারের পরই। সে ক্ষেত্রে এই সপ্তাহের শেষে এই মরশুমের প্রথম জাঁকিয়ে শীতের স্পেল পেতে চলেছে কলকাতা। আজ দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি এবং ১৪ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: শীতপ্রেমীদের জন্য সুখবর! চলতি সপ্তাহেই জাঁকিয়ে শীত শহরে

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গে ঠান্ডা বাড়বে আগামী ক’দিনে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাপমাত্রা নামবে দুই থেকে তিন ডিগ্রি। মালদা এবং দুই দিনাজপুরে কুয়াশার দাপট থাকবে। আগামী চার-পাঁচদিন রাজ্যে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া এবং পরিষ্কার আকাশ থাকবে। উত্তুরে হাওয়া থাকবে। দিনের বেলাতেও হাড়কাঁপুনি শীত অনুভূত হবে। ইতিমধ্যে সিকিমে তুষারপাত হয়েছে, ফলে সমতলে ঠান্ডা বাড়বে। দার্জিলিং-কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে এবং জমিয়ে ঠান্ডা পড়বে। এমনকী পারদ ৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে (West Bengal Weather)।

    দক্ষিণবঙ্গেও দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামবে। আবহাওয়া মূলত শুষ্ক ও পরিষ্কার থাকবে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে রবিবারের মধ্যে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে দিনে। ক্রমশই নিম্নমুখী রাজ্যের তাপমাত্রার পারদ। তবে রবিবারের পর থেকে ফের পারদ চড়তে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের (West Bengal Weather)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর

    Anubrata Mondal: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরেই জেলে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু জেলেও কমেনি তাঁর দাপট। জেলের মধ্যে বসেও অবাধে চলেছে অবৈধ কার্যকলাপ। জেলে বসেই গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক-সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন কেষ্ট মণ্ডল। এমনটাই দাবি করল সিবিআই। আর এই তথ্য সামনে রেখেই অনুব্রতর জামিনের বিরোধীতা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। 

    আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিন মামলার শুনানি ছিল। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেতা। ফের প্রভাবশালী তত্ত্বকে সামনে রেখে অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। সিবিআই কেষ্টকে ‘এলাকার রাজনৈতিক দৈত্য’ বলেও মন্তব্য করে। অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর হয়ে সওয়াল করে বলেন, “একই মামলায় সতীশ কুমাররা জামিন পেয়েছেন। তখন অনুব্রত কেন ১৪৫ দিন জেলে কাটাবেন?” এই সওয়ালের বিরোধীতা করেই সিবিআই দাবি করে গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে প্রায়শই ফোনে কথা হত অনুব্রতের। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিপি সিংহ আদালতে দাবি করেন, আসানসোল জেলে থাকার সময়ও অনুব্রত এনামুলের সঙ্গে কথা বলেছেন। 

    আদালতের বক্তব্য

    সিবিআইয়ের এই দাবির পক্ষে প্রমাণ চায় আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা ফোনের বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন? কোনও কল রেকর্ড রয়েছে?” উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হয়েছে ওঁদের (Anubrata Mondal)। তাই তাই কল রেকর্ড পাওয়া যায়নি।” বিচারপতি বাগচীর পাল্টা প্রশ্ন, “ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হলেও ফোনের আইএমইআই নম্বর বা কোন এলাকা থেকে কথা হয়েছে, সেটা তো জানা যায়। কেন এক মাসের মধ্যেও সেটা বের করতে পারল না সিবিআই?” সিবিআই জানায়, এ বিষয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। দু তরফের সওয়াল-জবাব শোনার পর জামিন মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল, ৪ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: ‘‘সিএএ তো হবেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-ও চাই’’, সুকান্তর বালুরঘাটে বললেন শুভেন্দু

    গত বছরের অগাস্ট মাসে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অনুব্রতকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে ওই একই মামলায় অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তিনি আপাতত আসানসোল জেলে রয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘সিএএ তো হবেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-ও চাই’’, সুকান্তর বালুরঘাটে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘সিএএ তো হবেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-ও চাই’’, সুকান্তর বালুরঘাটে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এনআরসির দাবিতে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মণ্ডলের গড় বালুরঘাটের দলীয় জনসভায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এনআরসি না হলে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে ধরে রাখা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগু হবেই।” 

    কী বললেন শুভেন্দু? 

    মঙ্গলবার জনসভার মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ-র বিরোধিতা করেন। সিএএ মানে কাউকে তাড়িয়ে দেওয়া নয়। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বিজেপির কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু যারা কাঁটাতার টপকে আসছেন, গরু-ফেন্সিডিল পাচার করার জন্য আসছেন, লাভ জিহাদের জন্য আসছেন, ধর্মান্তকরণের জন্য আসছেন, তাঁদের আটকাতে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন। নইলে এই বর্ডারের জেলাগুলো থাকবে না। আর যে ভাবে ডেমোগ্রাফি বদলাচ্ছে, বর্ডারের জেলাগুলো বাঁচবে না। ৭২টা জায়গায় বিএসএফের চৌকি করতে দেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়।” 

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহবলেছিলেন, সিএএ শুধু আইন করার জন্য করা হয়নি, প্রয়োগও করা হবে। সিএএ কার্যকর হবেই। লাভ জিহাদ ও ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন চাই। এদেশ হিন্দুদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। এই দেশের দুর্বল হলে চলবে না। তাহলে আফগানিস্তান-ইউক্রেন হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না।” 

    এছাড়াও এদিন মালদহ জেলার গাজোলে কর্মীসভায় তৃণমূলের দিকে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “‌অধিকাংশ জায়গায় স্বচ্ছ ভারত অভিযানের টাকা পৌঁছয়নি। তৃণমূলের নেতারা পায়খানাও খেয়ে ফেলেছে। আর দু’চারটে যে শৌচালয়ের ঘর তৈরি হয়েছে সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা ঢুকে রয়েছেন। ওদের বের করতে পারবেন না। ভাঙতে হবে।”

    আরও পড়ুন: গুজরাট-পাকিস্তান সীমান্তে স্থায়ী বাঙ্কার তৈরি করতে চলেছে ভারত

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “ডাবল ইঞ্জিন সরকার আসছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া পার্টি তোমাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটে ভালো করে পদ্মফুলে স্ট্যাম্প মেরে তাদের জবাব দিন। বলে দেবেন, দেশ বিরোধী, জেহাদি শক্তির কোনও স্থান দক্ষিণ দিনাজপুরে নেই। উত্তরপ্রদেশ থেকে বুলডোজার চলা শুরু হয়েছিল। আসাম, কোচবিহার হয়ে এই রাজ্যে ঢুকল বলে।” 

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রান্তিক মানুষদের জন্য জাতীয় সড়ক, নতুন রেল লাইন বানিয়েছেন। নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। ২০১৮ সালে মালদায় প্রায় ২০টির বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি জিতেছিল। তাই আগামী দিনে স্বচ্ছ দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ে তুলুন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Awas Yojana: ৯০ দিনে বানাতে হবে সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি! কেন্দ্রের চাপে আবাস-নির্দেশ রাজ্যের

    PM Awas Yojana: ৯০ দিনে বানাতে হবে সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি! কেন্দ্রের চাপে আবাস-নির্দেশ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন আসতেই আবাস যোজনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল রাজ্য। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর এরই মাঝে আবাস যোজনা নিয়ে আজ বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। অন্যদিকে কেন্দ্রের চাপ তো রয়েছেই। ফলে আজই ঘোষণা করা হল, ৯০ দিনের মধ্যেই আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবাস যোজনা নিয়ে সরকার সবথেকে বেশি যে গুরুত্ব দিতে চলেছে, তা সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে স্পষ্টভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্য সচিব। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে আবাস যোজনায় প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি হবে বাংলায়।

    আবাস যোজনা নিয়ে বৈঠক রাজ্যের মুখ্য সচিবের

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘিরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক গণ্ডগোল। আর এই আবাস যোজনা নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi)। নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন প্রায় দু’ঘণ্টা বিভিন্ন জেলাশাসক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মুখ্য সচিব। এই বৈঠকেই জানানো হয়, আগামী তিন মাসের মধ্যেই সব বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল নবান্ন। মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ তথা বর্তমান আর্থিক বছরের মধ্যেই ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি বানানোর কাজ সেরে ফেলতে হবে। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১০ লক্ষ ১৯ হাজার জনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এই ৮৯% এরও বেশি বাড়ি অনুমোদন করার জন্য বিভিন্ন জেলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্য সচিব।

    গতকাল বৈঠকে জানানো হয়েছে, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে বাড়ির জানলা পর্যন্ত নির্মাণ করতে হবে। পরবর্তী কিস্তির ৩৫ দিনের মধ্যে কাজ হবে ‘লিন্টেল’ বা জানলার উপরিভাগ পর্যন্ত। তার পরের কিস্তির ১৫ দিনের মধ্যে ঢালাই-সহ বাড়ি তৈরির সামগ্রিক কাজ শেষ করতেই হবে।

    এবার কেন্দ্রের চাপেই আবাস যোজনা নিয়ে তৎপর রাজ্য। কারণ, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে উপভোক্তা বাড়ি না-বানালে শেষ পর্যন্ত সমস্যায় পড়তে হতে পারে রাজ্যকেই। কেন্দ্রের থেকেও টাকা আসতেও হতে পারে সমস্যা। এছাড়াও সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, ফলে রাজ্য তার আগেই আবাস যোজনা নিয়ে সতর্ক হয়ে পড়ছে। 

    আবার এদিন কোন কোন জেলার কেমন পারফরম্যান্স সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও জেলাশাসকদের সামনে তুলে দেন মুখ্য সচিব। সেই তথ্য অনুসারে, ৮০ শতাংশের নীচে অনুমোদন হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে অনুমোদন হয়েছে কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, আলিপুরদুয়ার, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। ৯১ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে অনুমোদন হয়েছে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলায়। সর্বাধিক আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি অনুমোদন করা হয়েছে হাওড়ায়।

    কী কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?

    প্রতিটি ব্লকে কন্ট্রোল রুম রাখতে হবে। আবাস যোজনার উপভোক্তাদের সহায়তার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে একটি হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিমাসে ‘আবাস সপ্তাহ’ আয়োজন করতে হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লকের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচের টার্গেট দিতে হবে ও সেগুলো ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। পাশাপাশি স্টেক হোল্ডারদের ই-প্রশিক্ষণ, ইট প্রস্তুতকারক এবং যারা সরবরাহ করবেন, তাদের সঙ্গেও দিনকয়েকের মধ্যে বৈঠক করে রূপরেখা সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট নবান্ন কে দিতে হবে বলেও এদিনের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। 

  • Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে জড়িত অনুব্রত? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ সিবিআই- এর

    Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে জড়িত অনুব্রত? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপদ বাড়ল বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। গরুপাচারের পর এবার বগটুই কাণ্ডেও (Bagtui Massacre) নাম জড়াল কেষ্ট মণ্ডলের। লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। আর সেই রিপোর্টেই এল এই বিস্ফোরক তথ্য। বর্তমানে গরুপাচার মামলায় হাজতে দিন কাটছে দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতার। এই মামলায় এমনিতেই অস্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। তার ওপর আরও এক মামলায় নাম জড়ানোয় স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ল।

    সিবিআই রিপোর্টে জানিয়েছে, বগটুই কাণ্ডের (Bagtui Massacre) মূল অভিযুক্ত আনারুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কেষ্ট মণ্ডলের। গত বছরের ২১ মার্চ রাত ৮টা ৫০ মিনিট এবং ২২ মার্চ সকালে দুবার আনারুলের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। সেই রেকর্ড রয়েছে সিবিআই- এর হাতে। দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তা এখন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। বিষয়টিতে আরও তদন্ত করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 

    কী ঘটে?  

    গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটের পূর্বপাড়ার কাছে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের। তারপরই রাতে বগটুই গ্রামে (Bagtui Massacre) আগুন লাগানো হয় একাধিক বাড়িতে। সেই দুর্ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জন গ্রামবাসীর। এই মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতে নিরীহ গ্রামবাসীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতিরা। এই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্যরাজনীতি। ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করতে হয় স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল শেখকে।  

    এরপর এই মামলা হাইকোর্টে (Bagtui Massacre) ওঠে। সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। যদিও সিবিআই তদন্তের তীব্র বিরোধীতা করে রাজ্য সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের পক্ষে রায় দেয়। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোনোর ভয় পাচ্ছিল তৃণমূল সরকার? যদিও অনেকটা সে দিকেই এগোচ্ছে সিবিআই- এর তদন্ত। এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়ানোয় যে মোটেই স্বস্তিতে নেই তৃণমূল সুপ্রিমো তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী! নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর কংগ্রেসকে কটাক্ষ রবি শঙ্কর প্রসাদের

    অনুব্রতর বিরুদ্ধে ফোনে কথা বলার অভিযোগ ওঠা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মানুষ জানে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। অনুব্রত মণ্ডল যা করেন তা তার সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে। বগটুই কাণ্ডের (Bagtui Massacre) পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তাদের সঙ্গে দেখা করতে তারা গেলেন না। বরং মন্ত্রীমশায় একটা চক্রান্তের তত্ব ভাসিয়ে দিয়ে চলে এলেন। যারা যারা ওই মামলায় অভিযুক্ত তাদের সবার সঙ্গেই অনুব্রতর যোগাযোগ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    Amit Shah: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম মাসেই বঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সাংগঠিনক কাজেই বাংলায় আসছেন অমিত। বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ জানুয়ারি হুগলির আরামবাগ এবং বীরভূম, এই দুই জায়গায় একই দিনে জোড়া সভা করবেন শাহ। এর আগে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও বাংলায় একাধিক সভা করেছেন শাহ। ২০২৪-এর আগে বাংলাতে তাঁকে দিয়েই প্রচার শুরু করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। 

    পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন 

    ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও বেশি সাংসদ নিয়ে যেতে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে বিজেপি। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসাবে চলতি মাসেই ফের রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আাগমী, ১৭ জানুয়ারি শাহের সফরে যে ২ জায়গায় সভা করার কথা রয়েছে তার মধ্যে বীরভূম বিজেপির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। গোটা জেলায় সেখানে তৃণমূলেরই একাধিপত্য। তবে আরামবাগের হিসাবটা আলাদা। সেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে এক চুলের জন্য জিতে যান তৃণমূল প্রার্থী আফরিন আলি। হুগলি জেলার একাংশে বিজেপির প্রভাব চোখে পড়ার মতো। এই জেলারই হুগলি আসনের সাংসদ বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ফলে সেখানে শাহের সভা বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ‘বাবার মৃত্যুর সময়ও কর্তব্যে অবিচল ছিলেন মোদি’, স্মৃতির সাগরে ডুব ভিএইচপি নেতার

    রাজ্যে আসবেন মোদি-নাড্ডাও

    তবে শুধু শাহ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)-কেও বাংলায় প্রচারে দেখা যাবে। বিজেপি সূত্রে খবর, চলতি বছর এই তিন জনকে দিয়ে বাংলায় মোট ৩০টি সভা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি-র। এর মধ্যে শাহ এবং নাড্ডা, দু’জনে ১২টি করে সভা করবেন। মোদি বাংলায় সভা করবেন ৫টি। তাঁদের ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদেরও বাংলায় দেখা যেতে পারে আগামী দিনে। লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর আগে ২০১৯ সালে ১৮টি আসন দখল করে ২২টি আসন পাওয়া তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছিল বিজেপি। এ বার বিজেপি আরও বড় লক্ষ্য নিয়ে নামতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাংলায় তৃণমূলের থেকে বেশি আসন পাওয়াই আশু লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: অব্যাহত পারদের ওঠানামা! কনকনে শীতে ফের কবে কাঁপবে বাংলা?

    West Bengal Weather: অব্যাহত পারদের ওঠানামা! কনকনে শীতে ফের কবে কাঁপবে বাংলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও পারদ নিম্নমুখী শহরে। এ বার ডিসেম্বর পেরিয়ে জানুয়ারি মাস পড়লেও তেমন কোনও ঠান্ডা অনুভব করা যাচ্ছে না (West Bengal Weather)। শীতকালে পারদের এমন ওঠানামা লেগেই রয়েছে। রবিবার নতুন বছরের প্রথম দিনে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি। দ্বিতীয় দিনে তার চেয়ে কিছুটা কমল তাপমাত্রা। তবে সোমবার পারদ নিম্নমুখী হলেও তা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি ।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়ার (West Bengal Weather) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকার আকাশ মোটামুটি পরিস্কার থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে কুয়াশায় ঢেকে যাবে গোটা বাংলা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৭ ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। রবিবার, বছরের প্রথম দিনে যা ছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ। 

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী রবিবার ১৩ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকেই পরিবর্তন হবে তাপমাত্রার। জেলার তাপমাত্রা আরও তিন-চার ডিগ্রি নিচে থাকবে। শীতল উত্তুরে বাতাসের প্রভাবে আগামী দু-তিন দিনে অন্তত ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামতে পারে।

    আরও পড়ুন: বছরের শেষ দিনেও শীত উধাও! কলকাতায় ঠান্ডা কবে থেকে?

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং-এ হাল্কা বৃষ্টির সঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। অপরদিকে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার শুকনো থাকলেও কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী পাঁচ দিন হিমালয় সংলগ্ন বাংলার রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে (West Bengal Weather)।

    দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই জেলায় বৃষ্টি হয়েছে গতকাল রাতেও। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে আগামী পাঁচ দিন রাতের তাপমাত্রার তেমন বড় কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather)।

  • Bengal BJP: ঠিকানা বদল! মুরলীধর সেন লেন থেকে সল্টলেক যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য দফতর

    Bengal BJP: ঠিকানা বদল! মুরলীধর সেন লেন থেকে সল্টলেক যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে নতুন ঠিকানা বঙ্গ বিজেপির। ৬ মুরলিধর সেন লেন থেকে বিজেপি রাজ্য দফতরের নতুন ঠিকানা হতে চলেছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। চলতি জানুয়ারি মাসের শেষর দিকে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই বিজেপির নয়া অফিসের উদ্বোধন করা হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে নিউটাউনে জমি কিনে ঝা চকচকে আধুনিক রাজ্য অফিস বানানোর আগে পর্যন্ত আপাতত সেক্টর ফাইভেই ভাড়া বাড়ি নিয়ে রাজ্য বিজেপি দফতর শুরু করা হবে।

    স্মৃতি বিজড়িত পুরনো অফিস

    বিজেপির রাজ্য দফতরের ঠিকানা বদলের পরিকল্পনা নতুন নয়। আসলে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনের (Murlidhar Sen Lane) পুরনো বাড়িতে জায়গার বড় অভাব। রাজ্য নেতাদের জন্য আলাদা আলাদা ঘর বরাদ্দ করতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা এলে তাঁদেরও পর্যাপ্ত স্থান দেওয়া যাচ্ছে না। হেভিওয়েট নেতারা রাজ্যে এলে তাঁদের যাবতীয় কাজকর্মের জন্য হয় কোনও হল ভাড়া নিতে হচ্ছে, না হলে হোটেলের ঘরেই কাজ সারতে হচ্ছে। তাই বহু স্মৃতি, বহু আড্ডাকে পিছনে ফেলে রেখে মুরলীধর সেন লেনের পুরনো দলীয় কার্যালয় ছাড়তে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। মুরলীধর সেন লেনের বাড়ির সঙ্গে বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে বিজেপির। ১৯২৫ সালে এই বাড়িটি ভাড়া নেয় জনসংঘ। তারপর জনতা পার্টি। এবার ভাড়া বাড়ি থেকে স্থায়ী ঠিকানার খোঁজে গেরুয়া শিবির। তবে মুরলীধর সেন লেনের বাড়িটি পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া হবে না। এটা হবে উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির দফতর।

    আরও পড়ুন: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    জানা গিয়েছে, নিউটাউনে স্থায়ী ভবন তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে বঙ্গ বিজেপির। সেই মর্মে সঠিক জমি খোঁজার কাজও চলছে। তাই আপাতত সল্টলেক সেক্টর ফাইভে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে নতুন অফিস ভাড়া নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। আগামী, ১৫ জানুয়ারির পরই স্বাস্থ্য ভবনের পাশে ভাড়া নেওয়া ওই জায়গায় বিজেপির কার্যালয় স্থানান্তরিত হতে পারে। গত কয়েক বছর ধরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে একটি স্থায়ী ঠিকানা করার পরিকল্পনা করছিল। শুধু তাই নয়, জেলায় জেলায় স্থায়ী পার্টি অফিস তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই মতো কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই তা হয়েছে। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানা পেতে কিছুটা দেরি হবে বলেই আপাতত সল্টলেকে অস্থায়ী ঠিকানায় নিয়ে আসা হচ্ছে কার্যালয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share