Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের ৩২৫ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে হুগলির তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ নিয়েছিলেন এক লক্ষ করে টাকা। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন আরও ৫ লক্ষ টাকা। ২ হাজার ৬০০ সংগঠক শিক্ষক পদের জন্য নিয়েছিলেন ৫০ হাজার করে টাকা। আপার প্রাইমারির শিক্ষক পদের জন্য একশো জনের কাছ থেকে ২ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি লেনদেনের রশিদ দিয়েছিলেন কুন্তল। প্রতিটি রশিদে সইও রয়েছে তাঁর। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কুন্তলের বিরুদ্ধে এহেন বোমাটি (Recruitment Scam) যিনি ফাটালেন তিনি তাপস মণ্ডল। যিনি শুধু বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।

    তাপসের আরও দাবি…

    তাপসের দাবি, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন, তার যাবতীয় নথি আমার কাছে রয়েছে। তাপস বলেন, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে কুন্তল প্রথমে এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন। পরে আবার ধাপে ধাপে নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পরে তিনি একটি ছোট ডায়েরিতে লিখে সই করে দিতেন। তিনি বলেন, বিষয়টি ইডিকে জানিয়েছি। ওই ডায়েরিটিও ইডির তদন্তকারীদের হেফাজতে রয়েছে। বুধবার কুন্তলের সঙ্গে তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (Recruitment Scam) করা হয়। পরে ফের বৃহস্পতিবার তলব করা হয় তাপসকে। তবে ওই দিন হাজির হননি তিনি। শুক্রবার ফের আসেন সিবিআই দফতরে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা মানিকের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে তাপসকে অভিযুক্ত করেছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিন কলেজ সংগঠনের আরও এক নেতার নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কুন্তলের মাধ্যমে ওই শিক্ষক নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল বলে তাপস সিবিআইকে জানিয়েছেন। তাপস বলেন, আমার পরিবারের কেউ (কুন্তলের সূত্রে) চাকরি পাননি। তবে দূর সম্পর্কের কয়েকজন আত্মীয় কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি পেয়েছেন বলে শুনেছি। তাপস বলেন, আমি এসবে জড়াতে চাইনি। ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলত। যখন জানতে পারলাম একজন ব্যাপারটা দেখছে, তখন তার কাছে সবাইকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরে শুনলাম টাকা চাইছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তির আগেই বিদায় শীত? কলকাতায় পারদ উঠল ৫ ডিগ্রি

    West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তির আগেই বিদায় শীত? কলকাতায় পারদ উঠল ৫ ডিগ্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল মকরসংক্রান্তি। আর তার আগেও রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে শীত (West Bengal Weather)। শহর কলকাতায় পারদ ফের ঊর্ধ্বমুখী। শনিবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা বাড়ল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা বেড়ে হয়েছে ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকর থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। শনিবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল কলকাতার আকাশ। বেলা বাড়লে মেঘ কেটে পরিষ্কার হয় আকাশ। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই। 

    শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা বেড়েছে। হাওয়া অফিস (West Bengal Weather) সূত্রে খবর, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি করে বেড়েছে। যদিও উত্তরের জেলাগুলিতে তাপমাত্রায় কোনও হেরফের হয়নি। কয়েকটি জেলাতে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও এখনও কার্শিয়াং এবং দার্জিলিঙের মতো জেলায় শীতের দাপট কমেনি। 

    কী জানাল হাওয়া অফিস? 

    হাওয়া অফিস (West Bengal Weather) থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিনে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। মৌসম ভবনের খবর, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে পারছে না রাজ্যে। পরিবর্তে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বাতাস রাজ্যে প্রবেশ করছে। সেই কারণেই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সংক্রান্তির সময় ঠান্ডার আমেজ পাবে না বাঙালি। কমছে পিকনিকের সংখ্যাও। শীতে কাঁপতে কাঁপতে নলেন গুড়ের পায়েস এবং পিঠে খাওয়ার মজাও মাটি হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    উত্তরবঙ্গে (West Bengal Weather) আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা। আগামী চার-পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই তাপমাত্রা মোটামুটি একই রকম থাকবে। শনি ও রবিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং এ হাল্কা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

         

  • Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার রুল জারির রায়, হাইকোর্টে গঠিত তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ

    Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার রুল জারির রায়, হাইকোর্টে গঠিত তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। ওই ঘটনায় শুক্রবার তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ তৈরি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ। এদিকে, হাইকোর্ট সূত্রে খবর, দিল্লি যাচ্ছেন বিচারপতি মান্থা। আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, গত কয়েক দিনের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা…

    গত সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ শুরু করেন আইনজীবীদের একাংশ। মঙ্গলবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে। দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়েছিল হাইকোর্ট চত্বর। ডাক দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি মান্থার এজলাসও। কিছু মামলায় তাঁর পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশে অসন্তুষ্ট আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। মান্থার এজলাস বয়কটের পাশাপাশি পোস্টার পড়ে তাঁর বাড়ির সামনেও। আইনজীবীদের টানা বিক্ষোভের জেরেই গত বুধবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, আদালত কক্ষ অবরোধ করে বিচার করতে না দেওয়া অপরাধের সমতুল্য। কারণ এর ফলে বিচারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ। এভাবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুল জারি করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই গঠিত হয়েছে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। ঘটনার তদন্ত করতে বাংলায় তিন সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তারা। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের পাঠানো দল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে যাবেন। যেখানে ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গাও পরিদর্শন করবেন। তাঁরা কথা বলতে পারেন বিচারপতি মান্থার সঙ্গেও। অন্যদিকে, বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধ হলেও, অচল হয়ে রয়েছে বিচারপতি মান্থার ১৩ নম্বর এজলাস। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৪০টি মামলায় যোগ দেননি সরকারি আইনজীবীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • TET Scam: ভুয়ো কল লেটার নিয়ে প্রাথমিকের ইন্টারভিউ! আটক চাকরিপ্রার্থী যুবক

    TET Scam: ভুয়ো কল লেটার নিয়ে প্রাথমিকের ইন্টারভিউ! আটক চাকরিপ্রার্থী যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউতে ভুয়ো কল লেটার নিয়ে এসে ধরা পড়ে গেলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এক যুবক। শনিবার সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মূল দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। পর্ষদ সূত্রে খবর, ইন্টারভিউ চলাকালীন এক পরীক্ষার্থী ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে আসে। ওই প্রার্থীকে দেখেই সন্দেহ হয় পর্ষদ কর্মী সৌরভ ঘোষের। মূলত তাঁর তৎপরতাতেই আটক করা হয় ওই যুবককে। তাঁর সঙ্গে আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে, যাঁদের ওই যুবক আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছেন। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রীতম ঘোষ। 

    ভুয়ো কললেটার 

    প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থী পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। গোটা বিষয়টি বিধাননগর কমিশনারেটকে লিখিতভাবে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের আধিকারিকদের অনুমান, এর পিছনে কোনও চক্র থাকতে পারে। তার জন্যই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাইছে গোটা বিষয়টির তদন্ত হোক। ইতিমধ্যেই বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপর্যায়ের পুলিশের আধিকারিকরাও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ওই পরীক্ষার্থীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রীতম ঘোষের পাড়ার পরিচিত এক কাকার কাছ থেকে তিনি ইন্টারভিউ লেটার পেয়েছিলেন। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই কললেটার তিনি পান বলেও সূত্রের দাবি। শনিবার টেটের চতুর্থ দফার ইন্টারভিউ চলছিল পর্ষদে। প্রায় ৪৫০ জনকে এদিন ডাকা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের সঙ্গেই পর্ষদ অফিসে প্রবেশ করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ। কললেটার যাচাই করে দেখা যায় সেটি ভুয়ো। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রীতম নামে ওই যুবক ইন্টারভিউয়ের জন্য যে ‘কল লেটারে’ এনেছিলেন তাতে তাঁর স্বাক্ষর ছিল না। এমনকি ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের নামের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তাতেও ওই যুবকের নাম ছিল না। প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই চতুর্থ পর্যায়ের ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পঞ্চম পর্যায়ের ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার কথা। আগামী সপ্তাহ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে পঞ্চম পর্যায়ে ইন্টারভিউ। মোট ছ’টি জেলার জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন তাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে এই পঞ্চম পর্যায়ে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shatabdi Roy: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Shatabdi Roy: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালপাতায় সাজানো ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত। ভাতের পাশেই সাজানো অদিনের এঁচোড়ের তরকারি, মাছ, খাসির মাংস। দাওয়ায় পাতা এই পাতের আসনে যিনি বসে রয়েছেন তিনি বীরভূমের (Birbhum)  সাংসদ তৃণমূলের (TMC) শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। তাঁর ডানদিক বাঁদিকের আসনে বসেছেন তৃণমূলেরই আরও কয়েকজন নেতা। নেত্রী পাতে বসেই সযত্নে টেনে নিলেন ভাতের পাতা। সঙ্গে সঙ্গে ঝলসে উঠল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা।

    অস্বস্তিপর্ব…

    পোজ দেওয়া শেষ হতেই পাত ছেড়ে শতাব্দী পড়লেন উঠে। খাবেন বলে যাঁরা এতক্ষণ ভাত নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন, তাঁরা খানিক থমকে গেলেন। অস্বস্তিপর্ব কাটিয়ে তাঁরা অবশ্য জমিয়ে খেলেন মাংসভাত। শুক্র-দুপুরে এ দৃশ্য দেখা গেল বিষ্ণুপুরে, এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে। ঘটনার জেরে যারপরনাই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন ভাত না খেয়েই পাত ছেড়ে উঠে গেলেন, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ শতাব্দীর। তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার সাফাই, দিদি হয়তো বাড়ির ভিতরে বসে খেয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: দিল্লির পাক দূতাবাসে যৌন হেনস্থা! ভিসার জন্য অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে ভারতীয় মহিলা

    এদিন দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শতাব্দী। তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়িতে করা হয়েছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। সেখানেই দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন শতাব্দী (Shatabdi Roy)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের কথা শুনবেন দলের নেতারা। সেই অনুযায়ী ময়দানে নেমেও পড়েছেন তাঁরা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বীরভূমে গিয়ে দলকে বিড়ম্বনায় ফেললেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ছবি তোলার ছিল, তোলা হয়ে গিয়েছে, উঠে পড়েছেন। খেতে যে পারবেন না সে তো জানাই ছিল।

    এদিকে, এদিন দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী। রামপুরহাটের মাড়গ্রামে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন তিনি (Shatabdi Roy)। পরে বলেন, অনেকরই অভিযোগ, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি, বার্ধক্যভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারের সুবিধাও কেউ কেউ পাননি বলে জানালেন। তাঁদের কথা শুনেছি। সকলের যেমন হয়েছে, ওঁদেরও হবে। তিনি বলেন, সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kanthi: দিঘার হোটেলে কলেজছাত্রীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ! অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা

    Kanthi: দিঘার হোটেলে কলেজছাত্রীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ! অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ। মোবাইল, গয়না কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কাঁথির (Kanthi) এক নাবালিকা কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা ও তার দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে।  নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

    ঠিক কী কী অভিযোগ তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতার বিরুদ্ধে?

    নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, নাবালিকার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাকে দিঘার হোটেলে নিয়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের ওই যুব তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, সেখানে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করে নাবালিকাকে। ক্যামেরা বন্দি করে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। এরপর সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে পরবর্তীতেও ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। এমনকী ধর্ষণের পরে যাতে ওই নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে না পড়ে সে কারণে তাকে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটও খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন বলেন দাবি পরিবারের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই নেতার বিরুদ্ধে কাঁথি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার মা। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল

    ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমার নাবালিকা মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওরা নিয়ে গিয়েছিল। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। তবে তারপর থেকে আমরা খুবই ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। লোক মারফত হুমকি আসছে। রাতে বাড়ির বাইরে অপরিচিতদের বাইকের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি। মূল অভিযুক্ত ছাত্র নেতার সঙ্গে দলের অনেক উচ্চতর নেতৃত্বের ছবিও রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতেও দেখেছি। আমি চাই অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।” সূত্রের খবর অনুযায়ী, এমন অভিযোগ ওঠার পরেই ওই ছাত্রনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

    এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির কাঁথি নগর মণ্ডলের সভাপতি সুশীল দাস বলেন, “রাজ্যব্যাপী এটাই চলছে। উত্তর প্রদেশে যেখানে সোজাসুজি ধর্ষকদের এনকাউন্টার করা হচ্ছে সেখানে বাংলায় ধর্ষকরা সাজা পাচ্ছে না।”

  • Jhalda Municipality: ঝালদায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা হাইকোর্টের, রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ

    Jhalda Municipality: ঝালদায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা হাইকোর্টের, রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঠিক করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্বাচনের দিন নিয়েই এতদিন টানাপোড়েন চলছিল। দীর্ঘদিন ধরে আইন-আদালতের পর আজ, শুক্রবার পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঠিক করা হল। রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি এদিন খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আর তখনই নির্দেশ দিলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১ টায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও নির্দেশে বলা হয়েছে যে, জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে হবে এই নির্বাচন। কাউন্সিলরদের পুর-নির্বাচনে অংশগ্রহণে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়টিও পুলিশ প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা

    পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। আর আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব পুরুলিয়ার জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছিল। আর আজ অবশেষে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে। আর সেখানে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী। নির্বাচন প্রক্রিয়া ভিডিও-নজরদারিতে করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে কী ছিল?

    রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গত ২ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে অস্থায়ী প্রশাসক বোর্ড তৈরি করা হবে। আজ সেই নির্দেশের বিজ্ঞপ্তিই খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ফলে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের ক্ষেত্রেও হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।

    কী ঘটেছিল ঝালদা পুরসভায়?

    ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভায় আসনের নিরিখে সমীকরণ ছিল কংগ্রেস ৫, তৃণমূল ৫, নির্দল ২। এই অবস্থায় অনাস্থা ডাকে কংগ্রেস। আস্থা ভোটের ৭-০ ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। এর ফলে অপসারণ করা হয় তৃণমূলের পৌরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালকে। এরই মধ্যে ২ ডিসেম্বর কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে ঝালদা পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করে রাজ্য। অন্যদিকে কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়কে পৌরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করতে চায় কংগ্রেস। এরপরেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। তার পর ঝালদা পুরসভা নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। আর অবশেষে নির্বাচনের দিন জানিয়ে দিল আদালত। ফলে এই অবস্থায় রাজ্যবাসীর নজরে এখন ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের লড়াই।

  • Suvendu Adhikari: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে রাজ্যে ‘গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই’ বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বড়জোড়ায় (Borjora) এক প্রকাশ্য জনসভায় তিনি বলেন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের হবে ‘ডু অর ডাই’ লড়াই। এই নির্বাচন জিততে হবে। প্রতিটা বুথকে দুর্গ বানানোর কথাও বলেন শুভেন্দু।

    মনোনয়ন দাখিল

    এই সভা থেকে দলীয় কর্মীদের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন দাখিল নিয়ে আশ্বাস দিতে দেখা গেল তাঁকে। এদিন তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন করাবেন দলের বিধায়ক, সাংসদরা। তাঁর বক্তব্য, “আমরা এবার কথা দিতে পারি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল আমরা করাবই। বাঁকুড়া জেলায় ৬ জন বিধায়ক, মন্ত্রী ও সাংসদ আছেন। তাঁদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। আমাদের বিধায়ক সাংসদরা প্রত্যেকটি BDO অফিসের ভিতরে থাকবেন। কথা দিতে পারি তাঁরা আপনাদের মনোনয়ন করাবেন এবং সঠিক ভাবে আপনাদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আপনারা বুথগুলিকে দূর্গ তৈরী করবেন। আর যদি চটি পরা পুলিশ বুথ লুঠ করতে যায়, তাহলে তাঁদের ধরবেন আর বক্স ফেলবেন পুকুরে।”

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের আটকাতে রাজৌরিতে গ্রামবাসীরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিআরপিএফ

    ডু অর ডাই লড়াই

    শুক্রবার এই সভা থেকে শুভেন্দু শুধু জিততে হবে বলেই থেমে থাকেননি। তিনি কীভাবে জিতবেন, কীভাবে রণনীতি সাজাবেন, তাও খোসলা করেছেন দলীয় কর্মীদের কাছে। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এবারের লড়াই কিন্তু ২০১৮-র মতো হবে না। এবার মনোনয়ন দাখিল করবেনই তাঁরা। আর তারপর বুথগুলিকে দুর্গ করে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন লড়াইয়ে। শুভেন্দু সাফ জানিয়েছেন, ‘এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। এ লড়াই ডু অর ডাই লড়াই’। এবার করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে। এক চুল জমি ছাড়া হবে না। বিজেপির নেতা-কর্মীদের তিনি তৈরি থাকতে বললেন। কীভাবে তিনি সাংসদ ও বিধায়কদের কাজে লাগিয়ে মনোনয়ন পেশ করবেন তাও জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু। ছাড়াও তিনি বলেন, “আবাস যোজনার (Pradhan mantri Awas Yojana) তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্য মানুষদের নাম আবাস যোজনায় ওঠেনি। অবস্থাপন্নদের নাম উঠেছে তালিকায়। আমরা যোগ্যদের নাম তালিকায় তুলে দিতে পারব না। তাই রাজ্য কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনস্বার্থ মামলা করে যোগ্যদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ হিসেবে দেখছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার পঞ্চায়েত ভোটে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেন সুকান্ত। একইসঙ্গে বিজেপির থেকে লোক ভাঙানো নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    পুলিশকে কটাক্ষ

    শুক্রবার কোচবিহারের এক জনসভায় পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘পাশে বসে খেলা দেখুন। খেলার মাঝখানে আসবেন না। তা হলে পদপিষ্ট হবেন।’’  পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসক- বিরোধী তরজা আগেই শুরু হয়েছে। এ দিন তাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মাথাভাঙায় এক দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলা পরিষদ দখল করতে হবে। কোচবিহারের জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করবে। কোচবিহার জেলা পরিষদ বিজেপির নামে লেখা হয়েছে।’’ সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের দিকে ইঙ্গিত করে শাসকের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথা, ‘‘কী ভাবে খেলতে হয়, আমরা জানি।’’ সেই সূত্রেই পুলিশের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    দল ভাঙানো প্রসঙ্গ

    মাথাভাঙার সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দল ভাঙানোর অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সুকান্ত মজুমদার কোচবিহার জেলা সফরে গিয়ে বলেন, তৃণমূলে টানতে অভিষেকের ‘ভূত’ এসেছিল এই জেলায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে এক ‘ভূত’ এসেছিল কোচবিহার মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীলকুমার বর্মনের সঙ্গে দেখা করতে। সুকান্ত বলেন, ‘‘মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণকে তৃণমূল তাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। সুশীলদা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিজেপির পুরনো কর্মী। তিনি যখন থেকে বিজেপি করেন তখন বিজেপির ভালো সময় ছিল না। এখন ভালো সময়। তাই তাঁর দেখা করার কিছু নেই। প্রয়োজন হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছে গিয়ে কথা বলে যাবেন।’’ 

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের আটকাতে রাজৌরিতে গ্রামবাসীরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিআরপিএফ

    শুক্রবার কোচবিহার শহরের সুকান্ত মঞ্চে ওবিসি মোর্চার উত্তরবঙ্গ জোনের সম্মেলনে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন গঙ্গা আরতি নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে ‘বাঁদর গুহ’ বলে সম্মোধন করেন। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে এক ‘বাঁদর গুহ’ আছেন, তাঁর ভাষা শুনলে মনে হয় তিনি ডাস্টবিন থেকে উঠে রাজনীতি করতে চলে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, এর আগে বোধহয় লুঙ্গি পরে মিছিল করেছিলেন। তিনি সাবধান করে দেন, ভালো লুঙ্গি পরে বাড়িতে থাকুন। রাস্তায় হাঁটলে বিজেপির দমকা হাওয়ায় লুঙ্গি খুলে যাবে। তখন মুশকিলে পড়বেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের দেওয়া ঋণের টাকাতেই চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের দেওয়া ঋণের টাকাতেই চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের টাকা নয়, কেন্দ্রের টাকাই ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে মমতা সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল ট্যুইট করে তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। শুভেন্দুর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে কোনও সরকার নয়, ‘পিসি ও ভাইপোর কোম্পানি’ চলছে। রাজ্য সরকারের এই আর্থিক অনিয়ম নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।

    ট্যুইটে কী অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর এবারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে মমতা সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটারে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “রাজ্যগুলিকে বিশেষ সহায়তা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে ৬০০৮.২১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। সেই টাকা থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুরপথে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বিতরণ করা হয়েছে।” তিনি আরও লিখেছেন, এতে স্পষ্ট হয় রাজ্যে অর্থ দফতর কতটা বেপরোয়া। তারা কোনও আর্থিক বিধি মানে না। পশ্চিমবঙ্গে পিসি-ভাইপোর কোম্পানি চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রক রাজ্যকে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প রূপায়ণের জন্য কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে, কিন্তু রাজ্য তা বেআইনিভাবে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মত প্রকল্পে ব্যবহার করছে।

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে নথি শেয়ার ট্যুইটে

    তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যুইটে কিছু নথিও শেয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে টাকার হিসাব সংক্রান্ত যেমন তথ্য রয়েছে, তেমনই রয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবকে পাঠানো চিঠি। এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজের ট্যুইট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকেও ট্যাগ করেছেন শুভেন্দু, একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব টিভি সোমনাথন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকেও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

LinkedIn
Share