Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে মরিয়া কলকাতার এসটিএফ। নতুন বছরের শুরুতেই আইএস জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। এদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। এখানেই শেষ না, কলকাতা এসটিএফের জালে আসে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। মধ্যপ্রদেশ থেকে এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। আর এদেরকে জেরা করতেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম ও কুরেশির সঙ্গে এক যোগ-সূত্র রয়েছে এবং তাদের এক বড়সড় হামলার ছক ছিল। ফলে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও তথ্য বের করার জন্য একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

    কে এই আব্দুল রাকিব কুরেশি ও কীভাবে তার সাদ্দামের সঙ্গে আলাপ হয়?

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সিমি সদস্য। ২০০৯ সালে তাকে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। খুনের চেষ্টার অভিযোগেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে তিনিই আবার তালিবানের পক্ষে স্লোগান দিয়েছিলেন আদালতে। এসটিএফ-এর আধিকারিকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, সাদ্দাম ও কুরেশির যোগাযোগ রয়েছে। এসটিএফ আধিকারিকদের দাবি, ২০১৯ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পরেও কুরেশি হাওড়া আইএস মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। এর পর সে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে তার মত লোকজনকে খুঁজে বেড়াত। মূলত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য সে এইভাবে সংগঠনে নতুন করে নিয়োগ করত। এদিকে সেই সূত্র ধরেই টেলিগ্রামের মাধ্যমে তার সঙ্গে হাওড়ার আইএস অপারেটিভ মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে তার আলাপ হয়। এর পর তারা দুজনেই যুব সমাজের ব্রেন ওয়াশ করে আইএস মডিউলে নাম লেখানোর চেষ্টা করত। এর কিছু নজিরও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তারা ঠিক কোথায় যাতায়াত করত, আর কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    আবার সাদ্দাম পুলিশকে জানিয়েছে, সে অস্ত্রের জন্য কুরেশির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই পুরানো কিছু চ্যাট সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। অস্ত্র সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কুরেশির পুরানো কোনও মামলা রয়েছে কি না, আর কার সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখত এসব জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জঙ্গি মডিউলের সম্পর্কেও আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করে চলেছে এসটিএফ। এর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সাদ্দাম ও কুরেশির বিষয়ে আরও বেশি তথ্য জানার জন্য এসটিএফ আধিকারিকরা তাদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা করেছেন।

    জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় চার্জশিট জমা এনআইএ-এর

    একদিকে এসটিএফ যেমন সন্ত্রাস দমনে তৎপর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে এনআইএ এদিন ২০২২ সালে দাখিল হওয়া জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি বিশেষ আদালতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা করল। এই মামলায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ৬ জন সহ মোট ১০ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ঢাকার একটি জনপ্রিয় ক্যাফেতে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালানোর পর সেখানে ১৭ জন বিদেশী সহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। পরে এনআইএ জানিয়েছিল যে, এই জঙ্গি গোষ্ঠী ভারতেও এমনই করার চেষ্টা করছিল।

  • Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার এজলাসের ঘটনা নিন্দনীয়! রাজ্যে আসছে বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল

    Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার এজলাসের ঘটনা নিন্দনীয়! রাজ্যে আসছে বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বার কাউন্সিল। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিপক্ষে সম্প্রতি যে নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল আইনজীবীদের একাংশের, এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে চিঠি গেল বার কাউন্সিলের কাছে। বার কাউন্সিলের কাছে জমা পড়া সেই পিটিশনের প্রেক্ষিতে রাজ্যে প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে।

    রাজ্যে বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল 

    সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) , দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) এবং রাজধানীর বিভিন্ন নিম্ন আদালতে (courts) কর্মরত একদল আইনজীবী গত সোমবারের ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে চিঠি দেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে (Council of India)। ওই  চিঠিতে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক বার কাউন্সিল।  কলকাতা হাইকোর্টের ওই ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দাজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র। তিনি জানিয়েছেন, বার কাউন্সিলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসবেন। এখানকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখে দিল্লিতে ফিরে তাঁরা হাইকোর্টের ঘটনা নিয়ে বার কাউন্সিলে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেবে বার কাউন্সিল। 

    আরও পড়ুুন: ‘চিন সেনা মোতায়েন করলেও, ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত’, বললেন সেনা প্রধান

    কী করবে ওই দল 

    জটলা ও বিক্ষোভ সরলেও, এখনও কার্যত অচল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস। অধিকাংশ মামলায় অনুপস্থিত সরকারি আইনজীবী। এখনও পর্যন্ত ২৪ টি মামলার শুনানিতে অনুপস্থিত সরকারি আইনজীবীরা। বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছেন না একাংশের আইনজীবী। ফলে পিছিয়ে যাচ্ছে মামলার শুনানি। বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এদিন কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, “আইনজীবীদের ভদ্রলোকের মতো ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু দিনের পর দিন এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে। যদি কোথাও কোনও ক্ষেত্রে আপত্তি থাকে, তাহলে তাঁরা প্রধান বিচারপতির কাছে যেতে পারতেন, কিংবা সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্মে নিজেদের কথা জানাতে পারতেন।” তিনি জানান, রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, ওই প্রতিনিধি দল ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজও দেখতে চেয়েছেন। বারের তরফে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ‘বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্রকুমার রাইজদা, ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি অশোক মেহতা এবং দিল্লি হাই কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মসমিতির সদস্যা বন্দনা কৌর গ্রোভার। আগামী ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) বারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন তাঁরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Awas Yojna: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল

    PM Awas Yojna: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ১০টি জেলায় আবাস-পরিস্থিতি ঘুরে দেখার জন্য আবার পাঁচ-পাঁচটি অনুসন্ধানী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় দল গত সপ্তাহেই রাজ্যের দু’টি জেলায় ঘুরে গিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) রূপায়ণের পদ্ধতিতে বঙ্গের কয়েকটি জেলায় ফের ‘গরমিল’-এর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেটাই খতিয়ে দেখতে আসছে ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটর্স’ দল। 

    রাজ্যকে চিঠি

    আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়ছেন। তাই আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। মোট ১০টি জেলায় যাবে তারা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি এসেছে। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় দল। কেন্দ্র জানিয়েছে, এ বার ১০টি জেলায় গরমিলের অভিযোগ যাচাই ছাড়াও জেলাশাসক, জেলা পরিষদের মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার (সিইও) এবং জেলা প্রশাসনের অন্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় দল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি অনুসন্ধানে ২ জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

     ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী দলকে সর্বতোভাবে যেন সহযোগিতা করে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় নিয়মবিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত অনুমোদনের থেকে সর্বাধিক সাত দিনের অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম কিস্তিতে প্রত্যেক উপভোক্তা ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। কমবেশি ১১ লক্ষ উপভোক্তার ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তির জন্য থাকার কথা প্রায় ৬৬০০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    এই প্রকল্পে মোট খরচের ৬০% দেয় কেন্দ্র, ৪০ ভাগের দায়িত্ব রাজ্যের। সেই অনুযায়ী প্রথম কিস্তির বরাদ্দ হিসেবে কেন্দ্রের দেওয়ার কথা প্রায় ৩৯৬০ কোটি টাকা। রাজ্যের দেওয়ার কথা প্রায় ২৬৪০ কোটি। ৩১ মার্চের মধ্যে প্রায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করার কথা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও ‘সীমাহীন দুর্নীতি’, ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও ‘সীমাহীন দুর্নীতি’, ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগেও সীমাহীন দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ সিবিআইয়ের। শুক্রবার স্কুলে গ্রুপ ডি শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে সিবিআই বলে, স্কুল নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। এদিন হাইকোর্টে এসএসসির আইনজীবী জানান, ১২৫টি ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিটে স্কুলে নিয়োগ হয়েছে গ্রুপ ডি পদে। সিবিআই রিপোর্টে বিকৃত ওএমআর শিটের তথ্য খতিয়ে দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই তথ্য জানিয়েছে এসএসসি। ১০ দিনের মধ্যে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে গ্রুপ ডি-র বিকৃত ওএমআর শিট মামলায় বিশদ রিপোর্ট হলফনামা সহ পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র খতিয়ান…

    এদিন ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র খতিয়ান তুলে ধরে সিবিআই। তাদের দাবি, গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগে মোট শূন্যপদ ছিল ৪৪৮৭টি। তার মধ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২৮২৩ জনকে। এঁদের সবার ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। যদিও সিবিআইয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানের সঙ্গে সহমত পোষণ করেনি এসএসসি। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ১০ দিনের মধ্যে এসএসসি-কে (SSC Scam) হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ১) গ্ৰুপ-ডি পদে কত শূন্যপদ ছিল? ২) শূন্যপদের নিরিখে কত সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে? ৩) সিবিআই রিপোর্টে ২৮২৩ ওএমআর বিকৃতি, সুপারিশ করা চাকরির কতজনের  ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছে? ৪) সুপারিশ করা চাকরিতে কতজন যোগ দেননি।

    আরও পড়ুুন: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ১) কতজনের সুপারিশ তারা এসএসসি থেকে পায়? ২) কতজনকে নিয়োগপত্র দেয়? ৩) নিয়োগ প্রাপকদের নাম, বাবার নাম, স্কুলের নাম ঠিকানা সহ পরিচয় জানাতে হবে। এই মামলায় ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আপনাদের এখনই কোনও নির্দেশ দিচ্ছি না। প্রাথমিক মামলা ভাল করে তদন্ত করুন। ১০ দিন পর আপনাদের কোনও নির্দেশ দিতে পারি। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Narendra Modi: হলদিয়ায় মাল্টিমোডাল টার্মিনালের উদ্বোধন, দিঘায় কমিউনিটি জেটির শিলান্যাস প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: হলদিয়ায় মাল্টিমোডাল টার্মিনালের উদ্বোধন, দিঘায় কমিউনিটি জেটির শিলান্যাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীতে গঙ্গা বিলাসের মতো বিলাসবহুল প্রমোদতরণীর উদ্বোধনের পাশাপাশি শুক্রবার ভার্চুয়ালি হলদিয়া (Haldia) বন্দরে মাল্টিমোডাল টার্মিনালের (Multi Modal Terminal) উদ্বোধনও করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হুগলি নদীতে তৈরি এই টার্মিনালের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য ওঠানো নামানো সম্ভব হবে। টার্মিনালের বার্থে ঢুকতে পারবে ৩০০০ টন ওজন বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন বার্জ বা ছোট জাহাজ।

    জল মার্গ বিকাশ…

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকারের জল মার্গ বিকাশ প্রকল্পের অধীনে এই টার্মিনাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল হলদিয়া থেকে বারাণসীর মধ্যে ১৩৯০ কিলোমিটার নদীপথের মাধ্যমে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের ব্যবস্থা করা। একই সঙ্গে নদীপথে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ ও অসমের সংযুক্তিকরণ। এর ফলে হলদিয়া থেকে বাংলাদেশে ফ্লাই অ্যাশ সহ অন্যান্য পণ্য পাঠানো যাবে। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) দফতরের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকারের জলমার্গ বিকাশ প্রকল্পের অধীনে এই টার্মিনাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বছরে তিন লক্ষ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডেলিং করতে পারবে। বার্থগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে সেগুলি প্রায় তিন হাজার ডেডওয়েট টন পর্যন্ত ভেসেল হ্যান্ডেল করতে পারবে।

    আরও পড়ুুন: জেলে মৌলবাদ ভাবাদর্শ প্রচার করা বন্দিদের আলাদা রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চারটি ফ্লোটিং কমিউনিটি জেটিরও উদ্বোধন করেন। এই জেটিগুলি রয়েছে উত্তর প্রদেশের গাজিপুর জেলার সইদপুর, চকচকাপুর ও জামানিয়া এবং বালিয়া জেলার কানসপুরে। এদিন পাঁচটি কমিউনিটি জেটিরও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলি হল দিঘা, নাকটা দিয়ারা, বারহ এবং বিহারের পানাপুরে। বিহারের সমস্তিপুরের হাসানপুরেও হবে একটি।

    প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকে এও জানা গিয়েছে, গঙ্গা নদীতে সব মিলিয়ে ৬০টির বেশি কমিউনিটি জেটি তৈরি করা হচ্ছে। এগুলি হচ্ছে উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে। অর্থনৈতিক কাজকর্ম উন্নতির পাশাপাশি স্থানীয়দের জীবন জীবিকার উন্নতি ঘটাতেই হচ্ছে এই কমিউনিটি জেটিগুলি। ছোট কৃষক, মৎস্যজীবী, অসংগঠিত কৃষিজাত পণ্য, ফুল ব্যবসায়ীদের জন্য পণ্য সরবরাহের সুবিধা দেবে এই কমিউনিটি জেটিগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Tapas Mondal: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের নিজামে তলব সিবিআই-এর, নতুন নথির খোঁজ?

    Tapas Mondal: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের নিজামে তলব সিবিআই-এর, নতুন নথির খোঁজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mondal) আবার নিজাম প্যালেসে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ৩২৫ জনের নামের তালিকা সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাপস মণ্ডলকে। গতকালই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে বিস্ফোরক এক দাবি করেন তাপস মণ্ডল। কুন্তল ঘোষ নামে এক যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভূমিকা নিয়েও তোলপাড় পড়ে যায়। সেই নিয়েই ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ ডেকে পাঠানো হয়েছে তাপসকে।   

    গত কাল প্রায় ছঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাপসকে (Tapas Mondal)। সেখানে বিস্ফোরক দাবি করেন তাপস। সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে হুগলি জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলে দাবি করেছেন তাপস। গতকাল এই কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তখন তাপস দাবি করেন, ৩২৫ জনের কাছ থেকে সাড়ে ১৯ কোটি নিয়েছেন কুন্তল। সিবিআই তাপসের এই দাবিতে শিলমোহর নিয়েছেন। যে ৩২৫ জনের তালিকা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তা সামনে রেখেই আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাপসকে।

    কী জানা গেল?   

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তাই আজ সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে তলব করা হয় তাপসকে (Tapas Mondal)। এই ৩২৫ জনের বাইরে আর কারা কারা রয়েছে, তা তাপসের থেকে জানতে চাইবেন গোয়েন্দারা। কুন্তলের কাছে যে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা গিয়েছিল, তা কোথায় গেল সেটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর। পাশাপাশি কুন্তলের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গতকাল মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল জানিয়েছিলেন নিয়োগকাণ্ডে ১০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় গেল, কারা পেল, আর কারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত আছেন তাঁদের সম্পর্কে জানতে চান গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পোস্টার কাণ্ডের দুষ্কৃতীরা অধরা, নগরপাল-স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব রাজভবনের 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। কিছুদিন আগেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mondal)। জেরায় মানিকের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়েছেন তাপস। তাপস জানান, যা করেছেন মানিকের নির্দেশেই। মানিকের নির্দেশেই পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। নিজাম প্যালেসে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাপস মণ্ডল বলেন, “মানিক টাকা নিয়েছেন, রসিদ দেননি। এখন পর্ষদ টাকা নিলে রসিদ দেয়।” ইতিমধ্যেই তাপসের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। কিছু দিন আগে এই মামলায় আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী, ছেলে-সহ তাপস মণ্ডল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Abdul Raquib Qureshi: দোকানের আড়ালে চালাত জঙ্গি কার্যকলাপ! আইএসের স্লিপার সেলের দায়িত্বে ছিল কুরেশি!

    Abdul Raquib Qureshi: দোকানের আড়ালে চালাত জঙ্গি কার্যকলাপ! আইএসের স্লিপার সেলের দায়িত্বে ছিল কুরেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি যোগের অভিযোগে দিন কয়েক আগেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF) গ্রেফতার করেছিল মহম্মদ সাদ্দাম ও মহম্মদ সঈদকে। সেই সূত্রে ৯ জানুয়ারি মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় আবদুল রাকিব কুরেশিকে (Abdul Raquib Qureshi)। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    কুরেশি…

    জানা গিয়েছে, কুরেশির নিজের একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের আড়ালেই চালাত জঙ্গি কার্যকলাপ। সরকারি আইনজীবীর দাবি, কুরেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে জঙ্গিদের ফিনান্স করত, সংগঠনের প্ল্যানিং করত, টেররিস্টদের লজিস্টিক সাপোর্টও দিত। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জেহাদি বই, মোবাইল, চিপ, মানি ব্যাগ, টাকা এবং পেন ড্রাইভ। সে যে দেশদ্রোহী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল, তারও প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী হামলার ছকও কষেছিল কুরেশি। গোটা দেশে জাল বিস্তার করেছিল এই জঙ্গিরা। কুরেশির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া নোটবুক থেকে জেহাদি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণও মিলেছে। যুবকদের মগজধোলাই করে স্লিপার সেল চালানোর চেষ্টাও করছিল সে। ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডে পাওয়ায় কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে কুরেশিকে। তাকে আরও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগ! কর্নাটকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও দুই

    প্রসঙ্গত, তদন্তকারীরা আগেই জানিয়েছিলেন, জঙ্গি সংগঠন আইএসের (IS) নামে শপথ নিয়েছিল হাওড়ার বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দাম। তাকে গ্রেফতার করার সময় তার কাছ থেকে যে ডায়েরি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, সেখান থেকেই এই তথ্য মিলেছে। ওই ডায়েরিতে যা লেখা হয়েছে, তা আরবিতে। এই ডায়েরির এক জায়গায় ধৃত সাদ্দাম লিখেছে, আইএসের প্রতি তার আনুগত্য বজায় রাখবে সে। সংগঠনের হয়ে কাজ করবে। এ ব্যাপারে শপথও নিয়েছে সে। এই ডায়েরি থেকেই জঙ্গি সংগঠনে কুরেশির (Abdul Raquib Qureshi) যুক্ত থাকার ইঙ্গিত মেলে। শেষমেশ মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। পরে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Contai Municipality: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    Contai Municipality: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো মামলা’র তদন্তে এবার মামলাকারী কাকলী পণ্ডার স্বামী তথা কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পণ্ডাকে তলব করল সিবিআই। একই সঙ্গে  কাঁথি থানার দুই আধিকারিককেও বুধবার  নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। গত সপ্তাহে অভিযোগকারী কাকলি পণ্ডা অর্থাৎ শান্তনুর স্ত্রীর বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এবার শান্তনুর বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নিজামপ্যালেসে কাঁথি থানার এসআই ও এক কনস্টেবলকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

    মিথ্যা মামলা

    গত ২৮ ডিসেম্বর  রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কাকলি। তাঁর অভিযোগপত্রটি থানায় জমা করে আসেন শান্তনু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করে কাঁথি থানার পুলিশ। পরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রামচন্দ্র। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনাক্রমে অভিযোগকারী কাকলিও আদালতে জানান, কয়েক জন প্রভাবশালীর চাপে তিনি এই মিথ্যা মামলা রুজু করেছেন। তিনি প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন। এর পরেই আদালত কাকলি ও তাঁর পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার তদন্তভার তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। আর রামচন্দ্রকে নিঃশর্ত জামিন দেয় হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    কারা জড়িত 

    জামিনে মুক্তির পরই রামচন্দ্র দাবি করেছেন যে পুলিশি জেরার নামে তাঁর উপর অত্যাচার হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্কে তথ্য চায় পুলিশ। এমনকি, জোর করে নন্দকুমারের একটি অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে শুভেন্দুর টাকা কোথায় রয়েছে, তা জানতে চেয়ে চাপ দেওয়া হয়।  এই ঘটনার তদন্তে নেমে গত সোমবার কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে দীর্ঘক্ষণ নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তার পর কাঁথি থানার এক এসআই-সহ দুই কনস্টেবলকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার যে দাবি করেছিলেন কাকলি, তাঁদের কারও নাম এখনও জানা যায়নি। এই গোটা ঘটনার পিছনে ঠিক কারা রয়েছেন, এ রকম নানা তথ্য জানতে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বয়কট উঠল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বয়কট করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন আইনজীবীদের একাংশ। আগেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছিলেন আইনজীবীরা। তবে বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু এবারে জানা গিয়েছে, বিচারপতিকে বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এলেন। আদালত অবমাননার রুল জারি হওয়ার পরই আইনজীবীদের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুধবার সকালে অনেকটাই স্বাভাবিক হল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcuta High Court) পরিস্থিতি।

    আইনজীবীদের রণে ভঙ্গ!

    গত কয়েকদিন ধরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে দেখা যাচ্ছিল আইনজীবীদের ভিড়। সোমবার থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর মঙ্গলবারই আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। পরে আজ সকালে বিক্ষোভ করতে না দেখা গেলেও বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বয়কটও উঠিয়ে নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসে আদালত। স্বাভাবিক নিয়মেই শুরু হয় আদালতের কাজ। এদিন বিচারপতি মান্থার এজলাসে ৭টি মামলার শুনানি হয়েছে।

    বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কী বলা হল?

    এদিন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মৌলিক বলেন, “এই এজলাসের সামনে আর অবস্থান করা হবে না, বারের সম্পাদক হিসেবে আশ্বস্ত করছি। কোনও মামলায় দুপক্ষ উপস্থিত না থাকলে সেই মামলায় কোনও রায় না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।” এর পরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, “আমার একটাই অনুরোধ, কোর্টের সম্মান নষ্ট করবেন না। শুধু মাত্র আমার এজলাস নয়, অন্য কোনও বিচারপতির ক্ষেত্রেও এমনটা যেন না ঘটে। দয়া করে সে দিকে নজর দিন।”

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    হাইকোর্টের ঘটনায় ‘তিতিবিরক্ত’ রাজ্যপাল

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে আইনজীবীদের বিক্ষোভের ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে তিনি জানিয়েছেন। গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। তিনি গতকাল রাতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে তলব করে বিচারপতির সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে সবরকম সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে কিনা এবং তাঁর বাড়ির বাইরে লাগানো পোস্টার খোলা হয়েছে কিনা সেব্যাপারে পুলিশ কমিশনারকে তথ্য জানাতেও বলেছেন রাজ্যপাল।

  • Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বিচারপতিদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়। ভয় দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছা চরিতার্থ করা যাবে না। আদালতে আইনজীবীদের একাংশের তাণ্ডবকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abijit Ganguly)। 

    বিচারপতি যা বললেন 

    মঙ্গলবার আদালতের বাইরে গণদর্পণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সাংবাদিকরা তাঁকে সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও কোর্ট রুমের বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে এটা ঠিক, পৃথিবীশুদ্ধু সবাই দেখতে পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। আইনজীবীদের একটা অংশ বিচারপতি ও জেলা আদালতের বিচারকদের সন্ত্রস্ত করে নিজেদের পথে আনতে চাইছেন। তবে গতকাল প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় একটা যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন, আমাদের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয় যে কেউ চাইলেই সন্ত্রস্ত করতে পারবে। এটা সম্ভব নয়। যারা ভাবছেন তারা ভুল ভাবছেন।’ বিচারপতি এও বলেন, সোমবার হাইকোর্টে যা ঘটেছে তা সংবাদমাধ্যমের দৌলতে গোটা দেশ জেনে গিয়েছে। গতকাল দেখা গিয়েছিল, হাইকোর্ট ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টারও পড়েছে। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য না করেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারাও দেখেছেন, আমিও দেখেছি কী হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার তাঁর এজলাস বয়কটের ডাক দেন কিছু আইনজীবী। কেন বারবার বিচারপতি মান্থা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে রায় দিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। অন্য আইনজীবীরা বিচারপতি মান্থার এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। গোটা বিষয়টি এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উত্থাপিত হয়। আদালতের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবারের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এই ঘটনায় কারা কারা দোষী তা চিহ্নিত করবেন প্রধান বিচারপতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share