Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kolkata Metro: গঙ্গার নিচে মেট্রো টানেলের কাজ প্রায় শেষ, ৫২০ মিটার পথ পেরোনো যাবে ৪৫ সেকেন্ডে

    Kolkata Metro: গঙ্গার নিচে মেট্রো টানেলের কাজ প্রায় শেষ, ৫২০ মিটার পথ পেরোনো যাবে ৪৫ সেকেন্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। আর কয়েক দিনের মধ্যেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর আন্ডার ওয়াটার টানেলের উদ্বোধন হয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কাজ প্রায় শেষের দিকে, একটি দূর্দান্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে এবার যাত্রীরা কাউন্টডাউন শুরু করে দিতে পারে। ১২০ কোটি টাকা ব্যায় গঙ্গার তলা দিয়ে তৈরি হয়েছে এই সুড়ঙ্গপথটি। গঙ্গার তলায় সুড়ঙ্গ পথের দৈর্ঘ্য ৫২০ মিটার। এই দূরত্ব মেট্রো রেলে করে পার হতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট। 

    ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল দেশের প্রথম আন্ডার ওয়াটার টানেল। টানেওটি ইউরোস্টারের লন্ডন-প্যারিস করিডোরের ভারতীয় সংস্করণ। গঙ্গার তলদেশ থেকে ১৩ মিটার নীচে আর ভূমি স্তর থেকে ৩৩ মিটার নীচে রয়েছে এই টানেল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডোরের অংশ- পূর্বে সল্টলেক সেক্টর ফাইড এর আইটি হাব থেকে নদীর ওপারে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত যাত্রা।

    ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হয়ে গিয়েছে। আর কয়েক দিন পর থেকেই নদীর নিচ দিয়ে হুশ করে পৌঁছে যাওয়া যাবে হাওড়ায়। নুমান করা হচ্ছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে টানেল তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: কো-অর্ডিনেশন বৈঠকে বসছে আরএসএস, জানুন কবে, কোথায় 

    ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর লাইন তৈরি করতে গেলে, গঙ্গার নিচে টানেল তৈরিই ছিল একমাত্র উপায়। তাই এই পথেই হাঁটতে হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। হাওড়া থেকে শিয়ালদহ যেতে কম করে  ১ ঘন্টা লেগে যায় এই মুহূর্তে। এই নতুন মেট্রো রুট চালু হয়ে গেলে এই যাতায়াত অনেকটাই সহজ হবে। কিন্তু মেট্রো রেল পরিষেবা চালু হলে প্রায় ৪০ মিনিট সময় কমে যাবে। 

    টানেলের নির্মাণ কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছে। করিডোরের এসপ্ল্যানেড ও শিয়ালদহের মধ্যে আড়াই কিলোমিটার মেট্রো পথ তৈরির হওয়ার পরেই এটি চালু হবে। আগামী বছর ডিসেম্বর মাসে এই মেট্রো পথ চালু হবে বলেও আশা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতার মেট্রো রেল কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার শৈলেশ কুমার বলেন, “ইস্ট ওয়েস্ট করিডোরের জন্য টানেলটি অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আবাসিক এলাকা, অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যার পাশাপাশি নদীর তলদেশ দিয়ে যাত্রাপথ তৈরি করা জরুরি ছিল। তিনি আরও বলেছেন হাওড়া-শিয়ালদহের মধ্যে এই মেট্রো রুট দিয়ে যাতায়াত করতে এখন প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। এই মেট্রো পরিষেবা চালু হলে হাওড়া ও শিয়ালদ দুই দিকেই যানজট অনেকে কমে যাবে। গঙ্গার তলাদিয়ে সুড়ঙ্গ পথ পার হতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ সেকেন্ড।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার বদলে নিয়োগ হওয়া ববিতার চাকরি নিয়েও সংশয়

    SSC Scam: পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার বদলে নিয়োগ হওয়া ববিতার চাকরি নিয়েও সংশয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার ভিড়ে তাঁর মামলা খতিয়ে দেখতে দেখতেই সামনে আসে নিয়োগ কেলেঙ্কারির ‘প্যান্ডোরা বক্স’। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে মন্ত্রীকন্যার চাকরি বাতিলের পর সেই পদেই শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন ববিতা সরকার।  এবার তাঁর আবেদনের বৈধতা নিয়েই বিস্তর প্রশ্ন উঠে গেল। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ববিতা সরকার। অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (‌এসএসসি) কাছে আবেদনের সময়ই নিজের স্নাতকস্তরের নম্বর বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ববিতা সরকার। ফলে বাড়তি নম্বরের সুবিধায় র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে চাকরি পেয়েছেন ববিতা।

     নম্বরের গরমিল

    নিয়ম অনুযায়ী মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ সমস্ত এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশনের উপর কিছু নম্বর ধার্য করা আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী ববিতার এডুকেশনাল স্কোর দাঁড়ায় ৩১। কিন্তু, কমিশনের তরফে ববিতাকে সেই খাতে ৩৩ নম্বর দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিষয়টি সত্যি হলে ববিতার মোট স্কোর থেকে কমে যাবে দুই নম্বর। ফলে প্যানেলের র‌্যাঙ্ক বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস স্কুলে (Mekhliganj Indira Girls High School) ববিতার প্রার্থীপদ ও মেখলিগঞ্জের ওই স্কুলে চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

    আরও পড়ুন: টেট দুর্নীতিতে উঠে এল ‘ঘোষবাবু’-র নাম, কে তিনি? হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি

    অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘এই অভিযোগের কথা শুনেছি। অনেক ক্ষেত্রেই আবেদনে ভুলভ্রান্তি ধরা পড়েছে। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে আমরা নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ নেব না। আদালত বললে বা লিখিত অভিযোগ হলেই আমরা তাঁর তথ্যাদি ফের মিলিয়ে দেখব।’এ প্রসঙ্গে ববিতা সরকারের স্কুল অর্থাৎ মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া বলেন,”বিষয়টি শুনেছি। এর বেশি কিছু জানি না। পর্ষদের তরফে আমার কাছে কোনও নির্দেশ এখনও আসেনি।” ববিতার নম্বর প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা শিক্ষা দপ্তরের DI সমর চন্দ্র মন্ডল বলেন, ”বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। পর্ষদ বা কমিশন যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবে কাজ হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat Express:  কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    Vande Bharat Express: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুক্ষণ আগেই মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন। স্থির, শান্ত, তবু কর্তব্যে অবিচল। মা-ই তো তাঁকে শিখিয়েছেন জাতির স্বার্থে কাজ করে যেতে। তাই মায়ের প্রয়াণে কাজের মধ্য দিয়েই মাকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোনও কথা বললেন না, সবুজ পতাকা নেড়ে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করলেন মোদি।

    একাধিক কর্মসূচি মোদির

    সদ্য মাকে হারিয়েছেন। চোখে-মুখে কষ্টের ছাপটা স্পষ্ট। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ভার্চুয়ালি  হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে রেলের সবুজ পতাকা হাতে ট্রেন যাত্রার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান দিয়ে মঞ্চের নীচেই দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে সমবেদনা প্রকাশ করলেন। অনুষ্ঠান ছোটো করে নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আজ ‘ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন’-র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা জোকায় ১০০ কোটি টাকায় তৈরি করা হয়েছে। যা দেশে জল, নিকাশি ও পরিচ্ছন্নতার হাব হতে চলেছে। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকেও যোগ দেবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: শেষযাত্রায় মায়ের দেহ নিজের কাঁধে তুলে নিলেন, মুখাগ্নি করলেন মোদি

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা অনুষ্ঠানে হাওড়া স্টেশনে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ফুল দিয়ে সাজানো ছিল গোটা ট্রেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের ফলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত আরও সহজ হবে। মাত্র সাত ঘণ্টার মধ্যে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। তবে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ট্রেনের গতি কতটা হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হয়েছে বোলপুরে। এর পাশাপাশি মালদহ টাউন এবং বারসোই স্টেশনেও দাঁড়াবে এই এক্সপ্রেস ট্রেন। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্বমানের ট্রেনগুলিকে টক্কর দিতে তৈরি বন্দে ভারত। ট্রেনটি পুরোটাই এসি চেয়ার কার। প্রতিটি আসন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরবে অর্থাৎ কোচে থাকবে রিভলবিং চেয়ার। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ট্রেনের ভিতরেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi: নতুন বছরের আগেই ‘কল্পতরু’ মোদি, রাজ্যে আনছেন ৭,৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প

    Narendra Modi: নতুন বছরের আগেই ‘কল্পতরু’ মোদি, রাজ্যে আনছেন ৭,৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছর শুরুর আগেই একগুচ্ছ উপহার নিয়ে বাংলায় আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামীকাল, ৩০ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই সফর ঘিরে সাজ সাজ রব বাংলায়। শুক্রবার রাজ্যে হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করবে বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, আর তারই  উদ্বোধন করতে তিনি কলকাতায় আসছেন। এর পাশাপাশি তিনি অনেক প্রকল্পের সূচনাও করবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই রাজ্যকে ৭,৮০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্প উৎসর্গ করবেন তিনি। এর পাশাপাশি, কলকাতায় জাতীয় গঙ্গা পরিষদের দ্বিতীয় বৈঠকেও তিনি সভাপতিত্ব করবেন।

    রাজ্যের জন্য ৭,৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প

    শুধুমাত্র বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন নয়, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে এই রাজ্য পেতে চলেছে ৭,৮০০ কোটি টাকার বেশি প্রকল্প। বাংলা যে ৭,৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প পেতে চলেছে তার হিসাবও দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বলা হয়েছে, রাজ্যের নিকাশি ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মিলবে ২,৫৫০ কোটি টাকার প্রকল্প। নতুন করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন তৈরির জন্য ৩৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প। হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন শহরের জন্য ৯৯০ কোটি টাকার নিকাশি প্রকল্প। আবার আনুমানিক ১,৫৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা (NMCG)-এর অধীনে ৫টি নিকাশি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই প্রকল্পে উত্তর ব্যারাকপুর, হুগলি-চুঁচুড়া, কলকাতা পুর এলাকার গার্ডেনরিচ এবং আদি গঙ্গা (টালি নালা) এবং মহেশতলা এলাকাগুলো উপকৃত হবে।

    আবার এগুলো ছাড়াও শুক্রবার মোদি উদ্বোধন করবেন জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো রেল। এতে খরচ ২,৪৭৫ কোটি টাকা। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে উদ্বোধন হবে জোকার ‘ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন’-এর। এই প্রকল্প বাবদ খরচ ১০০ কোটি টাকা। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে রেলের বিভিন্ন প্রকল্পেরও সূচনা করবেন মোদি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফালাকাটা থেকে গুমানিহাট দ্বিতীয় রেল লাইন পাতার কাজ। বরাদ্দ ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন:কালই শহরে মোদি! জেনে নিন প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির পরিবর্তিত সময়

    একগুচ্ছ প্রজেক্টের উদ্বোধন মোদির হাত ধরে

    আগামীকাল হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি সংযোগকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করার পাশাপাশি জোকা-তারাতলা মেট্রো লাইনের উদ্বোধন করতে চলেছেন তিনি। এর সঙ্গে নিউ-জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন পুনর্নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। আবার ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ইনস্টিটিউট জল, স্যানিটেশন এবং হাইজিন বিষয়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ সংস্থা হিসেবে কাজ করবে।

    জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠক

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের পরে আইএনএস নেতাজি সুভাষে দ্বিতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও যোগ দেওয়ার কথা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী, যোগী আদিত্যনাথ, নীতিশ কুমার এবং হেমন্ত সোরেনের। বৈঠক শুরু হওয়ার কথা দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ। সেখানে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত ছাড়াও কয়েক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষে জানানো হয়েছে।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওমর শেখকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওমর শেখকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোলপুর (Bolpur) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওমর শেখকে তলব করল ইডি (ED)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সূত্রে খবর,গরু পাচার মামলায় শুক্রবার ওমরকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। যা নিয়ে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে। 

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)ইডি দিল্লি নিয়ে যেতে সক্ষম হবে কি না তা সময় বলবে। আগামী ৯ জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার (Delhi High Court) শুনানি রয়েছে। তারই আগে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওমরকে তলব করল ইডি। তাকে জেরা করেই অনুব্রতের বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ জোগাড় করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  বোলপুর পুরসভার এক কাউন্সিলরকে জেরা করেই ওমর শেখের কথা জানতে পারে ইডি। এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত ওমর। জেলের বাইরে থাকার সময় সর্বদাই তাঁকে ‘কেষ্টদার’ পাশেপাশেই ঘুরতে দেখা যেত। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে অনেকেই যোগাযোগ করতেন ওমর শেখের সঙ্গে। এমনকী কেউ কোনও সাহায্য চাইলে অনুব্রতও অনেক সময়ই ওমরের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা সমাধানের কথা বলতেন।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি, মাতৃবিয়োগের খবর ট্যুইটে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বোলপুরে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে রীতিমতো কর্তৃত্ব রয়েছে ওমরের। এবার সেই ওমরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুব্রতের বিরুদ্ধেই প্রমাণ একত্র করতে চায় ইডি। এখন দেখার এই ওমরকে জেরা করে নতুন কী তথ্য পায় ইডি। তবে তলব করলেও বোলপুরের এই ‘প্রভাবশালী’ কাউন্সিলর ইডির দরবারে গিয়ে দেখা করেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর গরু পাচার মামলায় বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে এবং পরবর্তীতে তার ঠাঁই হয় আসানসোল সংশোধনাগারে (Asansol Jail)। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED) তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে জেরা করতে চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Subrata Saha: প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, ছুটি ঘোষণা

    Subrata Saha: প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, ছুটি ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে গেলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহা (Subrata Saha)। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত সাহা। মন্ত্রীর প্রয়াণে এদিন রাজ্যের সব সরকারি দফতরে বেলা দুটোর পর ছুটি ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। 

    সুব্রত সাহা…

    দিন কয়েক আগে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গলব্লাডার স্টোন অপারেশন হয় সুব্রতর। পরে ফেরেন মুর্শিদাবাদের বাড়িতে। বুধবার আচমকাই আক্রান্ত হন হৃদরোগে। এদিন চিকিৎসার জন্য সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেখানেই বেলা ১১টা নাগাদ প্রয়াত হন সাগরদিঘির (Sagardighi) বিধায়ক।

    আরও পড়ুন: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    ২০১১ সালে সাগরদিঘির বিধায়ক নির্বাচিত হন সুব্রত সাহা (Subrata Saha)। টানা তিনবার ওই কেন্দ্রের বিধায়ক হন তিনি। এক সময় কংগ্রেস করতেন সুব্রত। পরে দল বদলে যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে বহরমপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির তিনবারের বিধায়ক সুব্রতবাবু পূর্ত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি, বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। সুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাঁর রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সুব্রত সাহার (Subrata Saha) প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি সুব্রত সাহার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Weather Report: বছরের শেষ দিনেও শীত উধাও! কলকাতায় ঠান্ডা কবে থেকে?

    Weather Report: বছরের শেষ দিনেও শীত উধাও! কলকাতায় ঠান্ডা কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-পৌষেই শীত বাড়ি ফেরার পথে। ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকেই চলছে আবহাওয়ার খাম-খেয়ালিপনা। একবার ঠান্ডা-একবার গরম। সকালে কুয়াশা, পরে ফের পরিষ্কার আকাশ। জাঁকিয়ে শীতের মুখ এখনও দেখেনি কলকাতাবাসী। তাই ঠান্ডা উপভোগ করতে শীতবিলাসীরা পাড়ি জমিয়েছেন দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শীয়াংয়ে। যাঁদের হাতে সময় রয়েছে তাঁরা ছুটি কাটাতে গিয়েছেন হিমাচল, উত্তরাখণ্ড। কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে পড়বে তা-ও বলতে পারছে না হাওয়া অফিস।

    জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই

    আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতায় ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর,আগামী ৪ থেকে ৫ দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। উত্তর-পশ্চিমে শীতল হওয়ারও দাপট থাকবে। তাই বছর শেষ ও বর্ষবরণে শীতের ভাব থাকলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা নেই। শনিবার সকালে  শুক্রবারের থেকে বেশ কিছুটা তাপমাত্রা বেড়েওছে শহরে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে ঘোরাফেরা করছে ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কলকাতায় ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বেড়ে হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরের দিকে কুয়াশা থাকলেও, বেলা বাড়তেই পরিষ্কার আকাশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত কয়েকদিন এরকমই থাকবে তাপমাত্রা। 

    আরও পড়ুন: শুক্রবারও শহরে শীতের আমেজ! কেমন থাকবে বর্ষশেষের রাত?

    দখিনা বাতাসের পালে ভর করে জলীয় বাষ্প ঢোকায় পাততাড়ি গুটিয়ে প্রায় উধাও শীত। লেপ-কম্বল-সোয়েটার-চাদরে রীতিমতো অস্বস্তিজনক অবস্থা হচ্ছে মাঝেমাঝেই। আগামী চার-পাঁচ দিন কলকাতার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও স্বাভাবিকের খুব নীচে নামবে না। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তুরে হাওয়ায় কিছুটা গতি কমলেও শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। আপাতত ঘন কুয়াশার কোনও সতর্কবার্তা নেই রাজ্যে। নেই বৃষ্টির সম্ভাবনাও। তবে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ উদ্বোধন হল বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়েও শুরু হল বিতর্ক। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সামনে বিজেপির একাংশের জয় শ্রীরাম (Jay Sree Ram) স্লোগান ঘিরে জোর বিতর্ক চলছে। এই স্লোগানের জেরে মঞ্চেই উঠলেন না মুখ্যমন্ত্রী। ফলে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করেই চলছে জোর রাজনৈতিক তরজা। আর এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নাকি বিরোধী দলনেতাকে স্বীকার করেন না। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “নিম্নমানের, নিম্নরুচির এক রাজনীতিবিদ।”

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কী ঘটেছিল?

    শুক্রবার নাটকীয়তায় ভরপুর ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী মঞ্চ। এদিন প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। এছাড়া সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী নিশীথ অধিকারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এর পর দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। এর পর বিরক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চেই ওঠেননি। পুরো সময়টাই গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। হাতজোড় করে তাঁকে মঞ্চে ওঠার অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরেও পুরো অনুষ্ঠান পর্ব মমতা বসে রইলেন মঞ্চের পাশের একটি চেয়ারে। রাজ্যপালের অনুরোধে অবশ্য বক্তব্য রাখতে রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই ভাষণ দেন তিনি। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা নেড়ে সূচনা করেন বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের যাত্রার।

    কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন শুভেন্দু

    সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অযথাই মনে করেছেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। মমতা আসলে শুভেন্দুর সঙ্গে একই মঞ্চে বসতে চাননি বলেই মনে করছেন তিনি। একই সুর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। এর পর শুভেন্দু ক্ষোভ উগরে বলেন, “নিম্নমানের, নিম্নরুচির এক রাজনীতিবিদ। দুর্ভাগ্যবশত যাঁকে আমি সহ ৪০ হাজার লোক খেটে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলাম। ওনাকে আমি প্রাক্তন করেই ছাড়ব। একরম ঘটনা আরও হবে, যেটা ওনাকে পরে ঘরে বসে দেখতে হবে। একইরকম ভাবে ড্রামা আগেও করেছিলেন। আসলে নন্দীগ্রামে আমার কাছে হারটা ভুলতে পারেননি। যতদিন রাজনীতি করবেন এই হারটা মাথায় নিয়েই থাকতে হবে।”

  • Kolkata Weather: শুক্রবারও শহরে শীতের আমেজ! কেমন থাকবে বর্ষশেষের রাত?

    Kolkata Weather: শুক্রবারও শহরে শীতের আমেজ! কেমন থাকবে বর্ষশেষের রাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষশেষে ফের শীতের ঝড়ো ইনিংস। কনকনে ঠান্ডাকে সঙ্গী করেই নতুন বছরে পা দিতে চলেছে শহর কলকাতা, বলছে আলিপুর হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে ফিরেছে শীতের আমেজ। এক ধাক্কায় ৬ ডিগ্রি নেমেছিল পারদ। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার শহরের  সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বইছে উত্তুরে হাওয়া। তবে, আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডার আমেজ থাকলেও বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর এবং নতুন বছরের একেবারে শুরুতে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম কয়েকদিন গায়েব হয়ে যেতে পারে কনকনে হিমেল হাওয়া। 

    শীতের আর একটা স্পেল

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দু’দিন কলকাতায় তাপমাত্রা খুব একটা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে বছর শেষের দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিনে শহরে শীতের আমেজ থাকবে। বছরের প্রথম দিন শীতের রোদ গায়ে মেখেই বনভোজনে যেতে পারবে শহরবাসী।  শুক্রবার সকাল থেকেই শীতের শিরশিরানি ভাব বজায় রয়েছে। সকালে আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। শুক্রবার কলকাতায় আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকবে। আগামী কয়েক দিন সকালের দিকে কোথাও কোথাও কুয়াশা থাকতে পারে। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও কনকনে ঠান্ডার দাপট বজায় রয়েছে।

    আরও পড়ুন: এক লাফে ৬ ডিগ্রি পারদ পতন, শীত ফিরল কলকাতায়, থাকবে কতদিন?

    এই বছর সেভাবে শীতের দেখা পায়নি বঙ্গবাসী। প্রথমের দিক কিছুটা ঠান্ডা পড়লেও বারে বারে শীতের আমেজে ব্যঘাত ঘটেছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এক ধাক্কায় অনেকটা পারদ নেমেছিল কলকাতায়। কিন্তু বড়দিনের সময় উধাও হয়ে যায় শীত। বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ফের একবার পারদ পতন ঘটেছে বঙ্গে। যদিও  বর্ষবরণের রাতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়বে রাজ্যে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: টেট দুর্নীতিতে উঠে এল ‘ঘোষবাবু’-র নাম, কে তিনি? হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি

    TET Scam: টেট দুর্নীতিতে উঠে এল ‘ঘোষবাবু’-র নাম, কে তিনি? হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে ইডি (TET Scam)। আর সেই চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আদালতে মানিক ভট্টাচার্জের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, কোনও এক ঘোষবাবুকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। এমনকী এই ঘোষবাবুকে ঘুষ দিয়ে ২০১৪ সালের টেটও পাশ করেছেন ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থী।

    কী জানা গেল?

    আদালতকে ইডি (TET Scam) জানিয়েছে, তাপস মণ্ডলকে জেরা করার সময়ও বার বার ঘোষ বাবুর নাম উঠেছে। মোট ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়ে এই ‘ঘোষ বাবু’- ই ১০ জনকে প্রাথমিকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাপস মণ্ডল। ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে ওই ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি চলে গিয়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন ইডির তদন্তকারী গোয়েন্দারা।  

    ইডি চার্জশিটে (TET Scam) বলা হয়েছে, যে ৩২৫ জনকে অবৈধভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের তালিকা তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন তাপস মণ্ডল। তবে এই ঘোষবাবুর আসলে কে? এখন সেই খোঁজেই তদন্ত চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।

    প্রসঙ্গত, তদন্তে নেমে মানিক ভট্টাচার্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ মোট ৭.৯৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি (TET Scam)। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্য, মানিকবাবুরস্ত্রী-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। আপাতত ইডি গোয়ান্দাদের মূল লক্ষ্য ঘোষ বাবুকে খুঁজে বের করা। তাঁকে খুঁজে পেলে এই রহস্যের অনেকটাই সমাধান হবে বলে মনে করছে  ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে থামবে বন্দে ভারত! বোলপুরে স্টপেজ দিয়ে নয়া সূচি প্রকাশ রেলের

    ইডি (TET Scam) গোয়েন্দাদের দাবি, তৎকালীন পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে তাপসের যোগসূত্রের অন্যতম ‘মিসিং লিঙ্ক’ এই ঘোষবাবু। তা হলে কি তাঁর মারফতই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অপারেশন চলত? বুধবার তাপসের সঙ্গে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share