Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের অডিট রিপোর্ট। আর তাতেই সামনে এসেছে চোখে কপালে ওঠার মত তথ্য। চলতি বছর ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ভাঁড়ারে জমা পড়েছে ৫২৮.১৪ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১ সালেই এই পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের এমন আয় বৃদ্ধিতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন করেন, কোন ‘জাদুবলে’ নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হয়েছে? শুভেন্দুবাবুর দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাই তৃণমূলকে এই টাকা দিয়েছে। এর আগেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তৃণমূল দল নয়, একটা চোরের কোম্পানি।” আজও এই নিয়ে ফের নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    শুভেন্দুবাবু আজ ত্রিপুরা যাওয়ার আগে বলেন, “একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, আয়করে দেখাতে হবে ওদের। ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলতে পেরেছিল তৃণমূল, সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল?” তিনি দাবি করেছেন, “যারা টাকা দিয়েছে আমরা তো তাদের তালিকা দিয়ে দেব। সব চোর। বালির খাদান যারা পেয়েছে, পাথরের খাদান যারা চালায়, বেআইনি কাজ যারা করে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা খায়, স্কুলে নিম্নমানের ব্যাগ, জুতো, ইউনিফর্ম যারা সরবরাহ করে তারা সব টাকা দিয়েছে। আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানজিকে বলব, অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টাকা না দিতে। তারা সব আপাদমস্তক চোর।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের এক বছরে আয় বৃদ্ধি ১২ গুণ! ‘চোরের কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শাসকদলের আয়বৃদ্ধি

    প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় ছিল ৪২ কোটি টাকা আর ২০২২-এ তৃণমূলের বার্ষিক আয় হয়েছে ৫৪৫.৭৪ কোটি টাকা। তৃণমূলের এই পরিমাণ আয় বৃদ্ধি দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজ্যবাসীর। অর্থাৎ এক বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬%। আর এই তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ইলেক্টোরাল বন্ডে রোজগার বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আগেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আজ আবার শাসকদলকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Kanthi: সিবিআই দফতরে কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী! টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তলব আরও এক পুলিশ আধিকারিককে

    Kanthi: সিবিআই দফতরে কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী! টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তলব আরও এক পুলিশ আধিকারিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন। এদিন সকালে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন এসআই অনির্বাণ রায় ও এক কনস্টেবল।  সিবিআই দফতরে তাঁরা ঘণ্টাখানেক ছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের মোট ৩ জন পুলিশকর্মীকে তলব করেছিল। তাঁদের মধ্যে মঙ্গলবার হাজিরা দিতে এসেছিলেন ২ জন। বুধবার আরও এক জন সিবিআই দফতরে এসে হাজিরা দেবেন। এর আগে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব করেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

    মিথ্যা মামলা

    কাঁথির শ্মাশান দুর্নীতি মামলায় ঠিকাদার রাম পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন যে মহিলা তিনি দাবি করেন, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর রাজ্যের এক প্রভাবশালী জোর করে তাঁকে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করান। নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কারণে তিনি ওই নাম আদালতকে জানাননি। এর পর আদালত সাজানো এফআইআর-এর নেপথ্যে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ দিকে,কাকলি নামে ওই মহিলাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    এরপরই টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় নিঃশর্ত জামিন পান রামচন্দ্র। জামিনের পর রামচন্দ্র জানায়, “আমাকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে মারাত্মক চাপ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে আধিকারিকরা এসে টেবিলে রিভলভার রেখে আমাকে জেরা করেছেন। নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক দিয়ে আমার পেটে খোঁচা দিয়েছে। কলকাতার আধিকারিকরা হুমকি দিয়েছেন, শুভেন্দুর নাম না বললে ৩ বছর জেলে ভরে রেখে দেব।”  এরপরই কাঁথি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত ‘প্রজাপতি’ সিনেমাকে নন্দনে চলতে না দেওয়া নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল সাংসদ দেবের প্রযোজনা সংস্থার ছবি হলেও, বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এই সিনেমায় থাকায় নন্দন বয়কট করে সিনেমাটিকে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছবিতে মিঠুনের অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, মিঠুনের খারাপ অভিনয়ের জন্যই নাকি দেবের ওই ছবি ফ্লপ করেছে৷ তাঁর জায়গায় দেব পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিলে অনেক ভালো করতেন ৷ 

    যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে সর্বসমক্ষে খারিজ করে দিয়েছেন দেব (Mithun Chakraborty)৷ তিনি বলেছেন, “কুণাল ঘোষ ছবির বিষয়টি বোঝেন না৷ তাই এটা আমাদের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত৷” নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রজাপতি ছবির একটি দৃশ্যও পোস্ট করে দেব ক্যাপশনে লেখেন ‘এমনি’৷ এই পোস্টের মাধ্যমেই দেব কুণালের মতো সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন বলে দাবি করেন অনেকে।

    কী বলেছেন মিঠুন? 

    এবার কুণাল ঘোষকে কড়া জবাব দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কুণাল ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি৷ মিঠুন কুণালকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “যতই চেষ্টা করা হোক, তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত কেউ তাঁর টিআরপি নামাতে পারবেন না৷” ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মিঠুন আরও বলেন, “আমার টিআরপি কোনওদিনই কমানো যাবে না। আমার টিআরপি নামাতে চেয়েছিলি। আমার মরা পর্যন্ত সেটা পারবি না।” কুণাল ঘোষ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “আমি এলি তেলিদের কথার জবাব দিই না। ওসব গঙ্গারামদের কথায় জবাব দিই না।‌”

    আরও পড়ুন: মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর ট্রেলার, উন্মাদনা নেট পাড়ায়

    ত্রিপুরায় প্রচারের জন্য বিজেপির স্টার ক্যাম্পেইনার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এবার গেরুয়া শিবিরের হয়ে ত্রিপুরাতেও প্রচার করবেন তিনি। প্রচারের জন্য প্রতিবেশী এই রাজ্যে যাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। যদিও কোন কোন বিষয়কে সামনে রেখে তিনি বিজেপির হয়ে প্রচার চালাতে চলেছেন, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি মিঠুন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসটিএফের জালে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গিকে জেরা করেই গতকাল মধ্যপ্রদেশ থেকে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। ধৃতের কাছ থেকে একটি পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ধৃতের কাছ থেকে এমন কিছু জিনিস মিলেছে, যা থেকে তাঁর জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF) তাঁকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছে।

    গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা

    গত ৬ জানুয়ারি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম এম ডি সাদ্দাম এবং শেখ সৈয়দ। এই দু’ জনকে জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রেই কুরেশিকেএই মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই আব্দুল রাকিব কুরেশি জঙ্গি সংগঠন সিমি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। গতকাল মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলা থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কুরেশি দেশের আইএস-এর অন্যতম মাথা। তাঁকে হাতে পাওয়ার পর এবার লিঙ্কম্যানদের খোঁজে নামবেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই ধৃত কুরেশিকে কলকাতায় আনা হতে পারে ও বুধবার তোলা হবে আদালতে।

    ধৃত দুই জঙ্গির থেকে কী তথ্য পেয়েছে এসটিএফ?

    আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সাদ্দাম, সৈয়দরা। সাদ্দামদের বড়সড় হামলার ছক ছিল বলে গোয়ান্দাদের কাছে তথ্য এসেছে বলে সূত্রের দাবি। সে কারণে অস্ত্র জোগাড়ও করছিল তারা। এছাড়াও সাদ্দামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্তত তিন জনের মগজ ধোলাই করেছে কুরেশি। ওই তিন জনেরও খোঁজ শুরু হয়েছে। সাদ্দামের কাছে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে আরবি ভাষায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর শপথ বাক্যও পেয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃত সাদ্দাম এবং সৈয়দকে জেরা করতে এনআইএ-এর একটি দল লালবাজারে গিয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দের সম্পর্কে কী কী তথ্য পেল এসটিএফ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সাদ্দাম ও সৈয়দ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন উস্কানিমূলক এবং হত্যাকাণ্ডের মত ভিডিও ভাইরাল করার কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর এই তথ্য পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন, রাজস্থানের উদয়পুরে যেভাবে এক দর্জির গলা কেটে খুন করা হয়েছিল এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল, ঠিক সেই রকমই প্ল্যানিং ছিল সাদ্দাম ও সৈয়দের। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং নৃশংস হত্যাকান্ডের ভিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেশ এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে উত্তপ্ত করা।

    আবার এই দুই যুবক পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত এবং তাদের থেকে অ্যাসাইমেন্ট পেয়ে তা এই রাজ্য তথা দেশের উপর প্রয়োগ করত। এটিই তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। এছাড়াও দুই জঙ্গি সন্দেহে যুবকের কাছ থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক বিবরণ পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু সাংকেতিক কথাবার্তা এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি তদন্তকারীদের পক্ষে। এবার তা ল্যাবরেটরীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে লালবাজার।

  • NIA Arrest: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    NIA Arrest: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল আইএস (IS) জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আবদুল রাকিব কুরেশি (NIA Arrest)। দীর্ঘ দিন সংশোধনাগারে থাকলেও, সে নিজেকে সংশোধন করেনি। ২০১৯ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের সে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও আইএসের স্লিপার সেল চাঙা করার কাজে নেমে পড়ে। ২০০৯ সালে এক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। কুরেশিকে রাতভর জেরা করেই এই তথ্য পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

    টাস্কফোর্স…

    এর আগে কুরেশিকে গ্রেফতার করেছিল মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এমপি নগর থানার পুলিশ। আদালতে পেশ করা হলে, কুরেশি তালিবানি স্লোগান দিতে থাকে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। এহেন কুরেশিকে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্স (STF)। হাওড়া থেকে জঙ্গি সন্দেহে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন সাদ্দাম। ২০২০ সালে সেই সাদ্দামের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছিল কুরেশি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মধ্য প্রদেশেও জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে এবং সংগঠনকে চাঙা করতে বৈঠক ডেকেছিল সে। জানা গিয়েছে, শিক্ষিত, বেকার যুবকদের টার্গেট করত সে। টাকার বিনিময়ে তাদের সংগঠনে শামিল করাই লক্ষ্য ছিল কুরেশির। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এসটিএফ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    নতুন বছরের গোড়ায় জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ নামের দুই যুবককে। সূত্রের খবর, সাদ্দামের চ্যাট গ্রুপ ডি-কোড করে জানা গিয়েছে একে ৪৭ জোগাড় করতে মরিয়া ছিল সাদ্দাম। হাওড়ার আফতাবউদ্দিন লেন ও শিবপুরের গোলাম হোসেন লেনে সাদ্দাম ও আহমেদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ল্যাপটপ, মোবাইল এবং বেশ কিছু নথিপত্র। কেবল তাই নয়, সাদ্দামের যোগাযোগ ছিল সিঙ্গাপুরের এক মহিলারও। ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত কথাও বলত সে। টেলিগ্রামে কোড নামে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত সাদ্দাম। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ব্যক্তি সিরিয়ার আইসিস (ISIS) নেতা। সাদ্দামের নিশানায় ছিলেন দিল্লির দুই নেতা। তাঁদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। সেজন্য নয়ডার একটি সংস্থায় চাকরিও নিয়েছিল সাদ্দাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Justice Rajasekhar Mantha: আইনজীবীদের বিক্ষোভে এফআইআর দায়ের আরজি-র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি বারের

    Justice Rajasekhar Mantha: আইনজীবীদের বিক্ষোভে এফআইআর দায়ের আরজি-র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি বারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশে কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। বুধবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআরটি দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। ওই সময়ের হাইকোর্টের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।   

    বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে সোমবার থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন হাই কোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। মঙ্গলবার তাঁরা বিচারপতির এজলাস বয়কটের ডাকও দেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার হাই কোর্টে বিচারপতি মান্থা আদালত অবমাননার রুল জারি করলেও সেই বয়কট ওঠেনি। বুধবার সকালে আইনজীবীরা অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিলেও জানিয়ে দেন বয়কট চালু থাকবে। 

    প্রধান বিচারপতিকে চিঠি বার অ্যাসোসিয়েশনের

    এবার আইনজীবী এবং বিচারপতিদের (Justice Rajasekhar Mantha) মধ্যে মধ্যস্থতা করতে ময়দানে নামল বার অ্যাসোসিয়েশন। চিঠি দেওয়া হল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “সাম্প্রতিককালে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যাতে মনে হচ্ছে বার অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবী এবং বিচারপতিদের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে। এই ধরনের আচরণের মাধ্যমে বিচারপতিদের সঙ্গে আইনজীবীদের সুসম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

    এখন প্রশ্ন উঠছে যে, বার অ্যাসোসিয়েশন যদি বিচারপতির বিরুদ্ধে না হয়, তাহলে বিক্ষোভ দেখালেন কারা? নাকি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) অবমাননার রুল জারি করার পরেই অবস্থান থেকে সরে আসল বার অ্যাসোসিয়েশন? 

    আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    এদিকে আইনজীবীদের আচরণে বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) সামনে দুঃখপ্রকাশ করলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। বিচারপতি মান্থা বুধবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, “অধিকাংশ মামলায় রাজ্যের অনেক আইনজীবী উপস্থিত থাকছেন না। কেন এমন হচ্ছে? রাজ্যের আইনজীবীরা আসছেন না কেন?” এর জবাবেই  রাজ্যের এজি বলেন, “এই ঘটনায় আমি দুঃখিত। খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এখনও কেন এটা হচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেখছি। কথা বলছি ওই আইনজীবীদের সঙ্গে।” 

    কলকাতা হাইকোর্টের আরও এক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Rajasekhar Mantha) এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “কারা করেছেন, তাঁদের আমরা চিনি। তাঁরা আগেও এই কাজ করেছেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকে নিয়োগ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকে নিয়োগ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ করা যাবে না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনও প্যারা টিচার প্রাথমিকে স্থায়ী শিক্ষকের চাকরিতে নিযুক্ত হতে পারবেন না। তবে সাধারণভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছে আদালত।

    পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাইমারীতে নিয়োগে ‘না’ আদালতের

    সম্প্রতি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে জানানো হয়, বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত অস্থায়ী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ১০ শতাংশকে যোগ্যতার বিচার করে স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। আর এই বিজ্ঞপ্তিকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত বেশ কয়েক জন অস্থায়ী শিক্ষক। তাঁরা দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদেরও সুযোগ দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    এর পর গত ২১ নভেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আপার প্রাইমারির পার্শ্ব শিক্ষকদের ১০ শতাংশকে সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেছিলেন, “প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ আইনে এমন কোনও নির্দেশিকা নেই যেখানে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আপার প্রাইমারির পার্শ্বশিক্ষককে নিয়োগ করা যায় না।” তাই তিনি এক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন।

    কিন্তু সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৫০ জন প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষক প্রথমে শীতকালীন অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলা শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে না পর্ষদ। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের উপরেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে। আর এই মামলার শুনানিতেই গতকাল বিচারপতি তালুকদারের বেঞ্চের নির্দেশ দেয়, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও ভাবেই পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকে নিয়োগ করা যাবে না। মামলকারী এই ৫০ জন প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি, উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। 

  • Kolkata High Court: সোমের পর মঙ্গলেও কাটেনি জট, মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বার

    Kolkata High Court: সোমের পর মঙ্গলেও কাটেনি জট, মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের। সাধারণ সভার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন (Bar Association)। বার অ্যাসোসিয়েশনের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে প্রধান বিচারপতিকেও। যদিও সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি খোদ বার প্রেসিডেন্ট। তিনি জানিয়েছেন, এটা ঠিক নয়। ট্রেজারার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।  

    ঘটনার নেপথ্যে…

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু পক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি না করেই এজলাস ছাড়েন তিনি। সোমের পর মঙ্গলবারও তাঁর এজলাসের সামনে জটলা দেখা গিয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশন যে চিঠি দিয়েছে, তাতে অচিন্ত্য কুমার ব্যানার্জি সহ একশোজনেরও বেশি আইনজীবী স্বাক্ষর করেছেন। পাশাপাশি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে। যদিও চিঠিটি ভুয়ো বলেই দাবি বারের প্রেসিডেন্ট অরুণাভ ঘোষের। তিনি বলেন, কোন কোর্ট বয়কট করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না কোনও ট্রেজারার কিংবা সহ সম্পাদক।  অরুণাভ জানান, চিঠিটি ভিত্তিহীন এবং তাঁরা এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করছেন না। মঙ্গলবার সকালে এই প্রস্তাবের পাল্টা দাবিও ওঠে হাইকোর্ট। আইনজীবীদের একাংশের দাবি, এটি আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়া উচিত। জবাব প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা চাইলে মামলা করতে পারেন। এ বিষয়ে বারের এক সদস্য আমাকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, এ নিয়ে বারের কি কোনও দায়িত্ব নেই? তিনি বলেন, দেশের প্রাচীনতম এই হাইকোর্টের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। বারের উচিত ছিল এ ব্যাপারে দায়িত্ব নেওয়া।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির গঙ্গাপুজোয় ‘না’ পুলিশের, ‘কর্মসূচি হবেই’, জানালেন সুকান্ত

    এদিকে, বাম, কংগ্রেস ও বিজেপিপন্থী আইনজীবীরা এদিন বিচার প্রক্রিয়া (Kolkata High Court) চালানোর দাবি জানান। বিচারপতি মান্থা জানিয়ে দেন, দু পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকলে জরুরি মামলা ছাড়া তিনি কোনও নির্দেশ জারি করবেন না। অন্যদিকে, এদিন মেনসন পর্ব চলে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। ইচ্ছুক আইনজীবীরা অংশও নিচ্ছেন মেনসন পর্বে। এদিকে, স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল জারির আবেদন করে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সহ ৫ এক্সিকিউটিভ সদস্যের। চিঠিতে সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বন্ধ করা আইনজীবীদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বন্ধ বিচারব্যবস্থার ওপর হুমকি বলে দাবি তাঁদের। 

    ডিওয়াই চন্দ্রচূড়…

    এদিকে বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের খবরে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সোমবার বার অ্যাসোসিয়েশনে বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সেই সংক্রান্ত চিঠি প্রকাশ হতেই মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা স্তম্ভিত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: বিজেপির গঙ্গাপুজোয় ‘না’ পুলিশের, ‘কর্মসূচি হবেই’, জানালেন সুকান্ত

    BJP: বিজেপির গঙ্গাপুজোয় ‘না’ পুলিশের, ‘কর্মসূচি হবেই’, জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গঙ্গাপুজোর (Ganga Puja) আয়োজন করেছে বিজেপির (BJP) নমামি গঙ্গা শাখা। এজন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল পুলিশের। যদিও ওই পুজোর অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। পুলিশের অনুমতি না মিললেও অবশ্য এদিনের কর্মসূচি বাতিল করছে  না বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কর্মসূচি হবেই।

    গঙ্গা আরতি…

    বারাণসীর ঘাটে ফি সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতি দেখতে ভিড় করেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। গঙ্গা ভাঙন ও গঙ্গা দূষণ রুখতে বঙ্গ বিজেপির নমামি গঙ্গা শাখা বাবুঘাটে গঙ্গা পুজো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ঠিক ছিল, এই উপলক্ষে বাজে কদমতলা ঘাটে বারাণসীর ধাঁচে হবে গঙ্গা আরতিও। বিজেপির এই কর্মসূচিতেই বাগড়া দিয়েছে পুলিশ। জানিয়ে দিয়েছে, গঙ্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। পুলিশের তরফে বিজেপিকে জানানো হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলার আবহে বাবুঘাট এলাকায় ইতিমধ্যেই পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশ জড়ো হতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারেও তা হবে। তাই বিজেপির প্রস্তাবিত কর্মসূচি পালিত হলে শহরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট হবে। পুণ্যার্থীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতেও সমস্যার মুখে পড়বে পুলিশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, কলকাতায় ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। চলবে ১১ তারিখ পর্যন্ত। পুলিশের একটা বড় অংশ সেখানে ব্যস্ত থাকবে। তাই বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুুন: ‘যদি ভোট দিতে না দেয়…’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের কী নিদান দিলেন শুভেন্দু?

    পুলিশের অনুমতি না মিললেও, কর্মসূচি বাতিল করছে না বিজেপি (BJP)। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের গঙ্গা আরতি করার কথা ছিল। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছে। তিনি বলেন, এদের উদ্দেশ্য হল হিন্দুদের যে কোনও অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু আমরা সেখানে যাব। আমি গঙ্গা অরতি করব। পুলিশ তার মতো চেষ্টা করবে। কর্মসূচি হবে। বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অসহিষ্ণুতার রাজনীতির আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল রাজ্যের বর্তমান শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। এতদিন পর্যন্ত বালিঘাটের দখলদারি ছিল, কয়লা খাদান, পাথর খাদানের দখলদারি ছিল। এখন মা গঙ্গাকেই দখল করে নিল তৃণমূল। তিনি বলেন, সরকার যেখানে ঘোষণা করেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বলে দিয়েছেন গঙ্গা আরতি করবেন, সেই জন্য বিরোধী দল করতে পারবে না। বিজেপি (BJP) করতে পারবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Lalan Sheikh: লালনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুশি নয় হাইকোর্ট, দিল্লি এইমস- এ পাঠানোর নির্দেশ

    Lalan Sheikh: লালনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুশি নয় হাইকোর্ট, দিল্লি এইমস- এ পাঠানোর নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। সিবিআই ক্যাম্পের বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় লালনের দেহ। সিবিআই গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে লালনকে খুন করার অভিযোগ করেন লালনের স্ত্রী। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নামেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। 

    লালন শেখের (Lalan Sheikh) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে করা একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিল্লির এইমস ও কলকাতার এসএসকেএমে পাঠাতে হবে। দুই হাসপাতালই এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে নিজেদের মতামত জানাবে।

    কী জানিয়েছে আদালত? 

    এছাড়াও এদিন লালন শেখের (Lalan Sheikh) স্ত্রী আদালতে হলফনামা দেন। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই হলফনামার ভিত্তিতে সিবিআই ও রাজ্য সরকার হলফনামা দেবে। পাশাপাশি এদিন হাইকোর্ট জানায় রাজ্য পুলিশ এই ঘটনায় সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। তবে সে কথা সিবিআইকে ২৪ ঘণ্টা আগে জানতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ জানুয়ারি।

    প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর, কলকাতা হাই কোর্টে লালন শেখের (Lalan Sheikh) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে আপত্তি জানায় সিবিআই। সেই প্রেক্ষিতে আদালতে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের কথা ওঠে। রাজ্য সরকার জানায়, লালনের দেহ কবর দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করতে গেলে মাটি খুঁড়ে তা তুলতে হবে। এরপরে আদালত দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ থেকে সরে আসে। তবে আগের ময়নাতদন্তের রিপোর্টই এ বার যাবে দিল্লির এইমস এবং কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা সেই রিপোর্ট দেখে তাঁদের মত জানাবেন আদালতকে, নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।

    আরও পড়ুন: আইনজীবীদের বিক্ষোভে এফআইআর দায়ের আরজি-র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি বারের

    উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআইয়ের হেফাজতে রহস্যমৃত্যু হয় লালন শেখের (Lalan Sheikh)। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তের এ ভাবে মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সিবিআই দাবি করে, আত্মঘাতী হয়েছেন লালন। অন্য দিকে, লালনের স্ত্রী দাবি করেন, সিবিআই মারধর করে তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। তিনি সাত সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share