Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Covid 19) চোখরাঙানি আবার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বড়দিনের উৎসব আর আলোর রোশনাইয়ে ফিকে হয়ে যাচ্ছে মানুষের মহামারির গুরুত্ব! বড়দিনের উৎসবে সেজে উঠেছে কলকাতা। কিন্তু কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলো কি করোনা মোকাবিলায় সবরকমভাবে সেজে উঠতে পেরেছে?

    করোনার (Covid 19) দ্বিতীয় ঢেউ দেখিয়েছিল, হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট কতখানি জরুরি। কৃত্রিম অক্সিজেন ছিল একমাত্র হাতিয়ার। রোগীকে সুস্থ করতে কৃত্রিম অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছিল। তাই কেন্দ্রের তরফে হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কেন্দ্র সরকার সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির জন্য আলাদা আর্থিক বরাদ্দ ও করে।

    কাজ কতখানি এগিয়েছে?

    রাজ্যের সব হাসপাতাল তো দূর অস্ত। কলকাতার (Covid 19) সব সরকারি হাসপাতালেও পর্যাপ্ত কৃত্রিম অক্সিজেন সরবরাহ থাকে না। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃত্রিম অক্সিজেনের জন্য এখনও সরকারি হাসপাতালের ভরসা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। সেখানেই রয়েছে অক্সিজেন প্লান্ট। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল হলো সংক্রামক রোগের চিকিৎসার হাসপাতাল। তাই ডেঙ্গি হোক কিংবা করোনা, সবচেয়ে বেশি রোগীর চাপ থাকে এই বেলেঘাটা আইডি-তেই। তাই নিজের হাসপাতালের রোগীদের চাহিদা মিটিয়ে, আরেক হাসপাতালে কৃত্রিম অক্সিজেন পাঠানো বেশ কঠিন হয়ে যায়।

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, কাজ অনেকটাই বাস্তবায়িত হলেও চাহিদা পূরণের জন্য এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি। এনআরএস, এসএসকেএম কিংবা আরজিকরের মতো প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলো এখনও কৃত্রিম অক্সিজেন তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, যদি ফের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি ২০২০-২১ সালের মতো হয়, তাহলে রাজ্যে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। 

    চিকিৎসকদের আশঙ্কা, রাজ্যে সচেতনতা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। চিনে করোনার (Covid 19) প্রকোপ বাড়তেই কেন্দ্র সতর্ক করেছে। মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য ঘোষণা করেছে। কিন্তু কলকাতায় মাস্ক উধাও। অতিরিক্ত জনসমাগমেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের পরামর্শকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য। বড়দিনের উৎসব হচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দেই। পার্ক স্ট্রিট থেকে ব্যান্ডেল চার্চ, গত দুদিন শহর থেকে জেলা, সর্বত্র উপচে পড়া ভিড়। কোথাও মাস্ক পরার রেওয়াজ নেই। প্রশাসনের তরফেও কোথাও নজরদারি নেই। তাই করোনা সংক্রমণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের। 

    সংক্রমণ বাড়লে রাজ্য সামাল দিতে পারবে তো?

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য বলছেন, ইতিমধ্যেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড বাড়ানো হয়েছে। আলাদা করে করোনার জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশ ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের টিকা ঘাটতি অন্যতম সমস্যা বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। তারা জানাচ্ছেন, করোনার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার প্রবণতা অধিকাংশ মানুষের নেই। তবে, চাহিদা তৈরি হলেও জোগান দেওয়ার ক্ষমতা আপাতত রাজ্যের নেই। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোভ্যাকসিন ছাড়া আর কোনও করোনার (Covid 19) টিকা তাদের কাছে মজুত নেই। ফলে, টিকা না পেলে করোনা প্রতিরোধ আরও কঠিন হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: “মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে”, শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তুনিশার মা

    আপাতত উৎসবে মজে থাকা বাঙালির আগামী বছর কেমন কাটবে সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে করোনা (Covid 19) প্রস্তুতি ছিটেফোঁটাও নেই। সময় মতো কেন্দ্রকে টিকার প্রয়োজনীয়তাও জানাতে পারেনি রাজ্য। তাই সবরকম টিকা ও ভাণ্ডারে নেই। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জনসচেতনতাই রেহাই দিতে পারে। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার আর অকারণ ভিড় এড়িয়ে চলাই করোনার ঢেউ আটকাতে পারে। কিন্তু বড়দিনের জনপ্লাবন সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Christmas 2022: অকাল গরম ও করোনার আশঙ্কাকে উপেক্ষা করেই বড়দিনের আনন্দে ভাসলেন শহরবাসী

    Christmas 2022: অকাল গরম ও করোনার আশঙ্কাকে উপেক্ষা করেই বড়দিনের আনন্দে ভাসলেন শহরবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’বছর তেমন আনন্দ করতে না পারলেও এ বছর বড়দিনে চুটিয়ে মজা করলেন রাজ্যবাসী। দু’বছর করোনার দাপট থাকার ফলে মানুষ বেরতে না পারায়, এ বছর যে ভিড় উপচে পড়বে, তা আগেই অনুমান করা হয়েছিল। ফলে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের আগের থেকেই উৎসবের আবহ জমজমাট। রঙিন আলোর সাজে সেজে ওঠে পার্ক স্ট্রিট। রাত বাড়তেই ভিড় আরও বাড়ে। ২৪ ডিসেম্বর থেকেই মানুষের ভিড় মহানগরে। ২৫ ডিসেম্বর সকাল থেকে রেল স্টেশন, মেট্রো স্টেশনগুলিতেও ছিল থিকথিকে ভিড়। অন্যদিকে করোনা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ শুরু হলেও, গতকালের বাঁধভাঙা উল্লাসে কোথায় যেন তলিয়ে গেল (Christmas 2022)।

    উষ্ণতম বড়দিন

    ভিড়ের পাশাপাশি গতকাল বাংলার ইতিহাসের উষ্ণতম বড়দিন দেখল রাজ্যবাসী। গত কয়েক বছরে বড়দিনের সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। বেলার দিকে সেই তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছিল প্রায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এ বার সেই তাপমাত্রাই ছিল ২৮.৭ ডিগ্রির আশপাশে। শেষ কবে বড়দিনে এত গরম ছিল, মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞেরাও। তবে এ সব বিষয় তোয়াক্কা না করেই সারি সারি মানুষ দেখা যায় পার্ক স্ট্রিট চত্বরে। এই ‘অকাল গরম’ উপেক্ষা করেই দিনভর ভিড় জমেছিল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে (Christmas 2022)।

    আরও পড়ুন: শহরে উধাও শীত! ঘূর্ণাবর্তের জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়ল ৬ ডিগ্রিরও বেশি!

    করোনার আশঙ্কাকে তোয়াক্কা না করেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জনস্রোত

    বিশ্বের নানা জায়গা থেকে করোনা বৃদ্ধির খবর আসছে। প্রতিবেশী চিনে সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু এসব শুনেও কলকাতাবাসী পিছিয়ে থাকলেন না। খুশির জোয়ারে ভাসলেন তারা। কারোর মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব তো দূরেই থাক। এই শহর আনন্দ ভালোবাসে। আবেগ ভালোবাসে। ফলে তাই-ই দেখা গেল। বড়দিনের সকালে কচিকাঁচাদের নিয়ে কেউ ভিড় জমালেন চিড়িয়াখানায়, কেউ ঘুরলেন জাদুঘর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, প্রিন্সেপ ঘাটে। ময়দানেও ছিল পিকনিকের মেজাজ। একই ছবি সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল গির্জা, বিড়লা তারামণ্ডলের সামনেও দেখা গেল। এ দিন প্রথমে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের প্রবেশপথ খোলা থাকলেও বেলার দিকে ভিড়ের চাপে ভিতরের দরজা কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দিতে হয়। একসময় ভিড়ের চাপে পুলিশকে বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হয় অ্যালান পার্কের গেটও। এরপর রাত বাড়তেই দেখা যায় পার্ক স্ট্রিটে জনজোয়ার (Christmas 2022)।

    ভিড় সামলাতে কড়া নজরদারি

    দীর্ঘক্ষণ ধরে লোকের ভিড়ের জেরে পার্ক স্ট্রিটকে করে দেওয়া হয়েছিল ওয়াকিং স্ট্রিট (Christmas 2022)। রাত বাড়তে ভিড় কিছুটা কমার পর অবশ্য চালু হয় গাড়ি চলাচল। ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। লালবাজার সূত্রে খবর, মোট ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে পুলিশি নজরদারি চলে পার্ক স্ট্রিটে। ১৩ টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ২০টি নজরদারি বাইক রাখা হয়েছিল। বাইক বাহিনীর দাপাদাপি, মদ্যপান করে গাড়ি চালানো, বড়দিনের রাতে এসব রুখতে কড়া হাতে মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছিল পুলিশ।

  • Fake Caste Certificate: ভুয়ো শংসাপত্র দিয়েও হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ! হাইকোর্টে স্বীকার মহকুমা শাসকদের

    Fake Caste Certificate: ভুয়ো শংসাপত্র দিয়েও হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ! হাইকোর্টে স্বীকার মহকুমা শাসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। এরই মাঝে সামনে এল আরও এক অভিযোগ। এর আগেও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘ভুয়ো’ জাতিগত শংসাপত্র (Fake Caste Certificate) ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। এবার হাইকোর্টে উঠল সেই মামলা। হাইকোর্টে সেই অভিযোগ স্বীকারও করে নিলেন বেশ কয়েকজন মহকুমা শাসক। স্বত্বর ভুয়ো শংসাপত্র বাতিলের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

    কী অভিযোগ? 

    ভুয়ো শংসাপত্র (Fake Caste Certificate) দেখিয়ে চাকরি হয়েছে এমন অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন হেমাবতী মাণ্ডি-সহ ৩ জন চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, মুসলিম সম্প্রদায়ের এক প্রার্থীকে বেদিয়া উপজাতি দেখিয়ে তফশিলি জনজাতির শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বীরভূম সদরের মহকুমাশাসক আদালতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে জানান, বেদিয়া উপজাতির ওই প্রার্থী তফশিলি জনজাতির মধ্যেই পড়েন। কিন্তু মুসলমানরা যে তফশিলি জনজাতিভুক্ত নন। বিষয়টিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। 

    ৫৫ জন ভুয়ো শংসাপত্রধারী (Fake Caste Certificate) প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে আদালতের সামনে তুলে ধরেন মামলাকারীরা। ইতিমধ্যেই তালিকার ৩৩ জনের রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। এরই মধ্যে এদিন আদালতে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক জানান, মণ্ডল পদবি তফশিলি জনজাতিভুক্ত নয়। তিনি আরও জানান, জাতি শংসাপত্রটি ভুল করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেটি বাতিল করা হবে। পাশাপাশি ভুল স্বীকার করে নেন মালদহের মহকুমাশাসকও। অনেক মহকুমাশাসক এও দাবি করেছেন যে, আবেদনকারীরাই ভুল তথ্য দিয়ে শংসাপত্র নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চন্দ্রবাবু নাইডুর রোড শোতে ড্রেনে পড়ে মৃত্যু ৮ জনের   

    সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্মশিক্ষা বিষয়ে মোট ১৯৭৭ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। তাঁদের মধ্যে ৫৫ জনের নাম ভুয়ো শংসাপত্রের (Fake Caste Certificate) তালিকায় উঠে এসেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মহকুমাশাসকদের রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাতে হবে। এরপরই আদালতে ভুল স্বীকার করে নেন মহকুমাশাসকরা। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চড়বেন? কত ভাড়া? কোন স্টেশনে থামবে? জানুন খুঁটিনাটি

    Vande Bharat: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চড়বেন? কত ভাড়া? কোন স্টেশনে থামবে? জানুন খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরেই বাংলাকে উপহার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ (Vande Bharat) চালু হবে নতুন বছর থেকেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে, সূত্রের খবর। ফলে আগামী শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারতের বাংলা সফর। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে যাত্রা করবে আপ ২২৩০১ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। তবে এই ট্রেনের ভাড়া কত, কোন কোন স্টেশনে থামবে, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রাজ্যবাসীর। তাই অবশেষে বন্দে ভারতকে নিয়ে এমন আরও অজস্র কৌতূহল মেটালেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের টিকিটের মূল্য

    রেল সূত্রে খবর, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat) এক্সিকিউটিভ ক্লাসে হাওড়া এবং এনজিপি-র মধ্য়ে ভাড়া হবে ৩২৫০ টাকা। এই এক্সিকিউটিভ ক্লাসেই ১৮০ ডিগ্রি ঘূর্ণায়মান আসন রয়েছে। এর পাশাপাশি চেয়ার কারে ভাড়া প্রায় ১,৮৭০ টাকার মত হতে চলেছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ১১২৮ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের অন্য সমস্ত দ্রুতগামী এবং বিশেষ সুবিধাযুক্ত দূরপাল্লার ট্রেন দুরন্ত, তেজস, গতিমান, শতাব্দী, জন শতাব্দী, এমনকী রাজধানী এক্সপ্রেসের ভাড়াকেও টেক্কা দিচ্ছে বন্দে ভারত।

    আরও পড়ুন: শুধুই কী যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য? অন্যদের থেকে কোথায় আলাদা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?

    সোমবার অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর ট্রায়াল রান হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। সকাল ৬টা নাগাদ হাওড়ার ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ট্রেনটি। ট্রায়ালেই বাজিমাত বন্দে ভারতের (Vande Bharat)। ৮ ঘণ্টারও কম সময়ে হাওড়া থেকে এনজেপি পৌঁছে যায় ট্রেনটি।

    কবে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের যাত্রীবাহী পরিষেবা শুরু হবে?

    সূত্রের খবর, ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হলেও নয়া বছরের ১ জানুয়ারি থেকে যাত্রীদের নিয়ে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের দৌড় শুরু হবে। তবে এখনও সে বিষয়ে সরকারিভাবে ভারতীয় রেলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেন এটি। তবে সারা দেশের হিসাবে বাংলার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ষষ্ঠ। কবে থেকে এই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে সাধারণ মানুষ, তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    কোন কোন স্টেশনে থামবে এই ট্রেন?

    রেল সূত্রে খবর, হাওড়া এবং জলপাইগুড়ির মধ্যে মাত্র তিনটি স্টেশনে থামবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেগুলি হল- বোলপুর, নিউ ফারাক্কা এবং মালদহ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘শীত যেমন দেরিতে পড়ছে তেমনি কেষ্ট দেরিতে হলেও তিহার যাবে’’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘শীত যেমন দেরিতে পড়ছে তেমনি কেষ্ট দেরিতে হলেও তিহার যাবে’’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড় থেকেই তাঁকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত ও তাঁর দলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন,”বীরভূমে আজ এতটা রাস্তা এলাম কোথাও তো ঢাকের আওয়াজ শুনলাম না। উন্নয়নও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম না কেউ গুড়-বাতাসাও দিল না। একবছর আগেও ভাবতে পেরেছিলেন এটা? মিটিং মিছিল করতে দিত না। গাঁজা কেসে জেলে ঢোকাত। আজ দেখুন সেই অনুব্রতর হাল। কেমন লাগছে অনুব্রত বাবু?”

    কী বললেন অনুব্রত

    ডিসেম্বর প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ”আজ ২৭ ডিসেম্বর। ভরসা রাখুন। শীত যেমন একটু দেরিতে পড়ছে তেমনি এই ডাকাতটাও একটু পরে জেলে যাবে। আগে যাবে চড়াম চড়াম অনুব্রত।”তৃণমূলকে ঠোকা দিয়ে তিনি বলেন, ”যদি কেষ্ট মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী, সামান্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা মাইনে পাওয়া লোকের ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি হয়, তাহলে ভাবুন মালিকের কত টাকা? মাছ বিক্রেতা তিহারে যাচ্ছে। তাঁর ভাই ভাইপো আরও অনেকে যাবে পিছনে। আপনারা ব্লিচিং দিয়ে এলাকায় এলাকায় গ্রামে গ্রামে ছোট চোর সাফাই করুন। আমরা বড় চোরদের তিহারে পাঠাব।”

    অনুব্রতর গড়ের হানা দিয়ে শাসক তৃণমূল থেকে বীরভূমের  বেতাজ বাদশার বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানান শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি, অনুব্রত ব্রিগেডের হাতে নষ্ট হচ্ছে বীরভূমের ভাবমূর্তি। নলহাটির সভায় ঐতিহ্যবাহী বীরভূমের কথাও বলেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি,“আমরা আগে বীরভূমকে বলতাম তারাপীঠ খ্যাত বীরভূম, শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থান বীরভূম। আর আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    পুলিশকে তোপ

    এদিন নলহাটির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, আসানসোল জেলে বসে অনুব্রত মণ্ডল ফোন করেছেন। যার প্রমাণ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেই খবর তাঁরাও জানতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে পুলিশকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “পুলিশের কী নগ্ন চেহারা! এবার কোথায় যাবেন পুলিশবাবারা? কোর্ট তো চেপে ধরেছে। পুরনো এফআইআরকে হাতিয়ার করে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এই মমতাই এই জেলাতেই ১০টা প্রশাসনিক সভাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক, এসপিকে, মুখ্যসচিবকে, ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন কেষ্ট যা বলবে তাই করতে হবে। আর এখন কেষ্টকে এখানে রাখতে চাইছে।” এখানেই না থেমে অনুব্রতর তিহাড় যাত্রা নিয়ে কটাক্ষবাণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এখানে থেকে কচি পাঁঠার ঝোল, অষ্টমীর দিন লুচি আর ছোলার ডাল খাচ্ছে। কিন্তু, তিহাড়ে গেলে এসব জিনিস পাবে না। আর তখন বলবে ১০০ টাকার মধ্যে ৭৫ টাকা আমি কলকাতায় পাঠিয়েছি আর ২৫ চাকা রেখেছি নিজের কাছে। তাই কেষ্টকে দিল্লিতে যেতে দেওয়া হবে না।”

  • Stridhan: স্ত্রীকে স্ত্রীধন থেকে বঞ্চিত করা গার্হস্থ্য হিংসার সামিল! অভিমত হাইকোর্টের

    Stridhan: স্ত্রীকে স্ত্রীধন থেকে বঞ্চিত করা গার্হস্থ্য হিংসার সামিল! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  স্ত্রীকে স্ত্রীধন অথবা অন্য কোনও অর্থনৈতিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত করাকেও গার্হস্থ্য হিংসা হিসাবেই ধরা হবে, বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। স্বেচ্ছায় মেয়ের বাড়ির লোকেরা বিয়ের সময় তাঁকে যে উপহার দিয়ে থাকেন তাই হল স্ত্রীধন। অনেক সময় বিয়ের পরে বউয়ের কাছ থেকে সেই সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়। এবার থেকে এই ধরনের ঘটনাকেও গার্হস্থ্য হিংসা বলেই ধরা হবে। একটি মামলার প্রেক্ষিতে একথা জানান হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত।

    কী বলল আদালত

    বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত বলেন, ‘‘কোনও আর্থিক বা অর্থনৈতিক সম্পদ থেকে মামলাকারীকে বঞ্চিত করা গার্হস্থ্য হিংসা হিসাবেই বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে এটা সত্য যে আবেদনকারীকে তাঁর স্ত্রীধন থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। যা অপর পক্ষের হেফাজতে ছিল। এই বাস্তব পরিস্থিতিতে স্ত্রীধন নিজেদের কাছে আটকে রাখাও গার্হস্থ্য হিংসার আওতায় পড়ে।’’ পাশাপাশি, এই মামলায় হাওড়ার এক নিম্ন আদালতের রায়ও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি সামন্ত। সেই রায়ে হাওড়ার নিম্ন আদালত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছিল, বিধবাকে শ্বশুর ও শাশুড়ির তরফে কোনও ধরনের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন: শিবঠাকুর মণ্ডল মামলায় জামিন অনুব্রতের! এবার ইডির হাত ধরে দিল্লি যাত্রা?

    প্রসঙ্গত, হাওড়া আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে আসেন ওই মহিলা। ২০১০ সালে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর দু’দিন পরে কোনও আর্থিক সহায়তা ছাড়াই তাঁকে স্বামীর বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। ফিরে পাননি স্ত্রীধনও। এই প্রেক্ষিতে তিনি মামলা করেন আদালতে। নিম্ন আদালত হয়ে সেই মামলা হাইকোর্টে পৌঁছোয়। হাইকোর্টে সুবিচার পেলেন ওই মহিলা, এমনই অভিমত সমাজকর্মীদের। বহু মহিলাকেই এভাবে স্ত্রীধন থেকে বঞ্চিত করা হয়। এবার থেকে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন সুবিচারের আশায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: শিবঠাকুর মণ্ডল মামলায় জামিন অনুব্রতর! এবার কি ইডির হাত ধরে দিল্লি যাত্রা?

    Anubrata Mondal: শিবঠাকুর মণ্ডল মামলায় জামিন অনুব্রতর! এবার কি ইডির হাত ধরে দিল্লি যাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবঠাকুর মণ্ডলকে খুনের চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতিকে। ২ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। ওই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ জানুয়ারি। শিবঠাকুরের করা মামলায় অনুব্রতর জামিন হতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আসানসোল সংশোধনাগারে।

    এবার তিহারের পথে?

    জামিন মিললেও এখনই অস্বস্তি কাটছে না অনুব্রত মণ্ডলের। গরু পাচার মামলাতে আগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এমনকী এরপর জেলের মধ্যেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে আরও এক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গরু পাচার মামলাতে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে আরও তথ্য জানতেই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এজন্যে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইলেও আইনি লড়াই জারি রয়েছে। মঙ্গলবার ওই মামলার নথিপত্র দুবরাজপুর আদালত থেকে নিয়েছে ইডি। বীরভূমের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর। গত সোমবার তিনি অনুব্রতের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। জানান, ২০২১ সালে অনুব্রত তাঁকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল ইডি। তাদের আবেদনে সায়ও দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কিন্তু শিবঠাকুরের করা এই অভিযোগের পর আপাতত অনুব্রতের দিল্লিযাত্রা থমকে যায়। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন, পুলিশের তরফে আদালতে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হয়। পুলিশের গত্রফে সরকারি আইনজীবী জানান, গত কয়েকদিন ধরে তেমন কোনও তথ্য দেননি অনুব্রত। কিন্তু আজ সকালে মুখ খোলেন তিনি। বেশ কিছু তথ্য দেন। ফলে এই বিষয়ে আরও তথ্য এবং উত্তর জানার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এমনকী এদিন পুলিশের তরফে আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করা হয়। যদিও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যে জায়গাতে এই ঘটনা সেখানে এখনও পুলিশ যায়নি। দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে যদিও আদালত অনুব্রতকে জামিন দেয়। এবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Darjeeling Municipality: সুপ্রিম দুয়ারে হামরো পার্টি! দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোট কালই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Darjeeling Municipality: সুপ্রিম দুয়ারে হামরো পার্টি! দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোট কালই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে হামরো পার্টি (Hamro Party)। সোমবার, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে (Jalpaiguri Circuit Bench) হামরো পার্টির আর্জি খারিজ হতেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন অজয় এডওয়ার্ড (Ajay Edward)। সূ্ত্রের খবর, আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনার পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    হামরো পার্টির আবেদন খারিজ

    প্রথম বার নির্বাচনে লড়েই গত ফেব্রুয়ারি মাসে দার্জিলিং পুরসভা দখল করে চমকে দিয়েছিল ‘গ্লেনারিজ’ (Glenary’s) কর্তা অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। কিন্তু দলের মধ্য়ে ফাটল ধরায় আপাতত তাদের হাত থেকে পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সোমবার, কলকাতা হাইকোর্টও জানিয়ে দেয়, আগামী ২৮ ডিসেম্বরই দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোট হবে। হামরো পার্টির আবেদন খারিজ করে এ দিন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। গত নির্বাচনে দার্জিলিং পুরসভার ৩২টি আসনের মধ্যে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির ঝুলিতে এসেছিল ১৮ আসন। অন্যদিকে, অনিত থাপার BGPM  জিতেছিল ৯টি আসন, তৃণমূল কংগ্রেস ২টি এবং বাকি ৩টি আসন পেয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM)। 

    আরও পড়ুন:কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    পুরসভা দখলের পথে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টি

    বর্তমান পরিস্থিতিতে হামরো পার্টি থেকে ৬ জন কাউন্সিলর প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টিতে যোগ দেয়। ফলে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ জন। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের ২ জন তাদের বাইরে থেকে সমর্থন করবে। ফলে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ জন। তাই তারা দার্জিলিং পুরসভার হামরো পার্টির চেয়ারম্যান রিতেশ পোরতেলের অপসারণ চেয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। ২৮ ডিসেম্বর সেই অনাস্থা প্রস্তাবে দিন ধার্য হয়েছে। সেই অনাস্থা প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তার স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়ে দিলেন, ২৮শে ডিসেম্বরই দার্জিলিং পুরসভার অনাস্থা প্রস্তাবের বৈঠক সংঘটিত হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,পুরসভায় বদল এখন সময়ের অপেক্ষা। শীঘ্রই পুরসভা দখল করতে পারে অনিত থাপার (Anit Thapa) প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। গত ২৪ নভেম্বর কার্শিয়াঙে হামরো পার্টির পাঁচ কাউন্সিলর যোগ দেন BGPM দলে। তার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। এদিকে দুই তৃণমূল কাউন্সিলরও BGPM-কে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণায় আরও টলমলে অজয় এডয়ার্ডের পার্টির ভবিষ্যত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ria Kumari: বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি! বাগনানে অভিনেত্রী রিয়া কুমারী খুনে গ্রেফতার স্বামী প্রকাশ

    Ria Kumari: বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি! বাগনানে অভিনেত্রী রিয়া কুমারী খুনে গ্রেফতার স্বামী প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী রিয়াকে খুন করিয়েছিলেন স্বামী  প্রকাশ কুমার। এমনই অভিযোগ রিয়া কুমারীর পরিবারের। বাগনানে (Bagnan) ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী রিয়া কুমারীকে (Riya Kumari) গুলি করে খুনের (murder) ঘটনায় তাঁর স্বামী (husband) প্রকাশ কুমারকে গ্রেফতারও (arrest) করেছে পুলিশ। রিয়ার পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে পরিকল্পনা করে দুষ্কৃতীদের দিয়ে খুন করিয়েছে তাঁর স্বামীই। একইসঙ্গে রিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্তের (investigation) আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।  বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে প্রকাশকে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে। 

    কী অভিযোগ

    রোজগার করতেন বলেই রিয়ার উপর সব রাগ গিয়ে পড়েছিল প্রকাশের। ইউটিউবার হওয়ায় রিয়ার গতিবিধি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হত। প্রতিনিয়ত তাঁকে সন্দেহ করতেন প্রকাশ। পাশাপাশি চলত মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন। রিয়ার উপার্জন করা অর্থ হাতিয়ে নিতেন প্রকাশ,এমনও বলছে অভিনেত্রীর পরিবার। সেই থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। দাম্পত্যকলহ বড় আকার নিয়েছিল। রিয়া কুমারী ওরফে ইশা আলিয়া ছিলেন প্রকাশের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। ‘আগেও বেশ কয়েকবার রিয়াকে খুনের হুমকি দেন প্রকাশ। রিয়াকে মারধরও করতেন প্রকাশ, এমনটাই অভিযোগ রিয়ার পরিবারের। প্রকাশের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও আরও দুই আত্মীয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছে রিয়ার পরিবার। প্রশ্ন উঠছে, ছিনতাইয়ের ঘটনাকে সামনে রেখে কি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রিয়াকে খুনের ছক কষা হয়েছিল? সেই উত্তরই খুঁজছে পুলিশ। 

    প্রকাশের বয়ানে অসঙ্গতি

    প্রকাশ দাবি করে, বুধবার ভোরে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় আসার সময় খুন হন রিয়া। আড়াই বছরের শিশুকন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রকাশ নিজেদের গাড়িতে চেপে আসছিলেন।  প্রযোজক হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন প্রকাশ। তাঁর কথায়, ভোর ৫.৩০টা নাগাদ মহিষরেখা সেতুর কাছে তিনি গাড়ি থামান। শৌচকর্ম সারতে যান। সেই সময় চড়াও হয় তিন ছিনতাইকারী। রিয়া বাধা দিতে গেলে,পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রিয়ার কানের পাশে গুলি লাগে। তদন্তকারীদের মতে, প্রকাশ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন, গাড়ির বাইরে থেকে গুলি করা হয়েছে রিয়াকে। কিন্তু, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল। প্রকাশ আরও দাবি করেছিলেন, ছিনতাইকারীরা তাঁকে ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু রিয়া তাদের বাধা দেওয়ায় ছিনতাইকারীরা তাঁকে গুলি করে। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে প্রকাশকেই ছিনতাইকারীদের আক্রমণ করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। 

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    পুলিশের সন্দেহ, প্রকাশ নিজেই রিয়াকে গুলি করে ছিনতাইয়ের গল্প ফেঁদেছেন। এই সন্দেহ জোরালো হয়, আরও কয়েকটি তথ্যে। হাওড়ার বাগনানের রাজাপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর মহিষরেখা সেতুর কাছে গুলি করে খুন করা হয়েছে রিয়াকে। তদন্তকারীদের মতে, ওই এলাকায় ইতিপূর্বে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যের তেমন ইতিহাস নেই। তা ছাড়া, প্রকাশ দাবি করেছিলেন, তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে সেতুর কাছে গাড়ি দাঁড় করান। তাঁর দাবি ছিল, ঠিক সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা প্রকাশকে ঘিরে ফেলে। এই দুই ঘটনার সমাপতন কি নেহাতই কাকতালীয়, সেই প্রশ্নও ভাবিয়ে তোলে তদন্তকারীদের। দুষ্কৃতীরা কী করে জানল যে, ওই দম্পতি মহিষরেখা সেতুর কাছে গাড়ি দাঁড় করাবেন, এই প্রশ্নও ভাবিয়ে তোলে তদন্তকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Howrah Station: আসছেন প্রধানমন্ত্রী, নিরাপত্তায় হাওড়া স্টেশনে একাধিক ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম বদল

    Howrah Station: আসছেন প্রধানমন্ত্রী, নিরাপত্তায় হাওড়া স্টেশনে একাধিক ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ৩০ ডিসেম্বর শহরে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। উপলক্ষ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং জোকা মেট্রোর উদ্বোধন। রাজ্যে চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে প্রশাসন। আর সেই কারণে বন্ধ থাকবে হাওড়ার তিনটি প্ল্যাটফর্মের ট্রেন চলাচল। একইসঙ্গে তিনদিন বন্ধ থাকবে হাওড়া স্টেশনের নিউ ক্যাব রোডও। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে পূর্ব রেল।

    নিরাপত্তা জোরদার 

    পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করতে হাওড়া স্টেশনে উপস্থিত থাকবেন। আর সেই কারণেই নিরাপত্তার এই কড়াকড়ি। পূর্ব রেলের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর রাত বারোটার পর থেকে ৩০ তারিখ শুক্রবার দুপুর দুটো পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্টেশনের নিউ ক্যাব রোড। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নজরে রেখে ২১, ২২ এবং ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ২৮ তারিখ রাত বারোটার পর থেকে ৩০ তারিখ দুপুর ২টো পর্যন্ত ওই তিন প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ওই তিন প্ল্যাটফর্মে যাতায়াত করা ট্রেন ওই কদিন চলাচল করবে অন্য প্ল্যাটফর্ম দিয়ে।

    নিরাপত্তা বলয় জোরদার করা হয়েছে হাওড়া সংলগ্ন এলাকায়। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন চত্বর, হোটেল, আবাসন সহ সমস্ত জায়গায় চলছে চেকিং। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে কলকাতায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাড়ে দশটা নাগাদ হাওড়া স্টেশন চত্বরে আসার কথা রয়েছে প্রধামন্ত্রীর। এরপর হাজির হবেন ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফ্ল্যাগ অফ করবেন তিনি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)।

    আরও পড়ুন: এক লাফে ৬ ডিগ্রি পারদ পতন, শীত ফিরল কলকাতায়

    ইতিমধ্যেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে। হাওড়া থেকে এনজেপি রুটে চলবে এই ট্রেন। এটাই বাংলার প্রথম বুলেট ট্রেন। তিরিশের উদ্বোধন ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে সাজ সাজ রব। বিজেপির অন্দরেও চলছে প্রস্তুতি। দেশের দ্রুততম ট্রেনের সঙ্গে বিজেপির লোগো দেওয়া মোদির (Narendra Modi) পোস্টার পড়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। এদিকে হাওড়া স্টেশন থেকে বিগত কয়েক মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বেড়েছে চাপানউতর। একাধিক ব্যক্তিকে আটকও করেছে আরপিএফ। মাঠে নেমেছে আয়কর দফতর। আর এতেই আরও সতর্ক প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share