Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের নিয়োগ দুর্নীতির বিরোধীতা করে কলকাতায় প্রতিবাদী মিছিল করতে চেয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে অনুমতি না দেওয়া হলেও কলকাতা হাইকোর্ট মেনে নিল সেই আবেদন। ১০টি সংগঠনকে শহরে মিছিল করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে শর্ত মেনে কর্মসুচি পালন করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। 

    আগামী ১৬ ডিসেম্বর চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠন মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। শহরের তিন প্রান্ত থেকে শুরু হবে মিছিল। হাওড়া, কলেজ স্ট্রিট এবং শিয়ালদহ থেকে তিনটি মিছিল ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে এসে জমায়েত করবে বলে এখন আবধি কথা রয়েছে। কিন্তু লালবাজার এই মিছিলে সায় দিচ্ছিল না। কিন্ত কলকাতা আদালত সেই মিছিলের অনুমতি দিল। তবে ১৬ তারিখ নয়, ১৮ তারিখ মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    আদালতকে (Calcutta High Court)পুলিশ জানায়, ১৭ জানুয়ারি, রবিবার পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলার ভিড় থাকায় এই মিছিলে শহরে যানজট হতে পারে। পুলিশের বক্তব্য শোনার পর আদালত জানায় যে, গঙ্গাসাগর মেলার ভিড় শেষ হলে সোমবারের বদলে বুধবার অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি মিছিল করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Calcutta High Court) বলেন, “১৬ জানুয়ারি নয়, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ১৮ জানুয়ারি মিছিল করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রানি রাসমণি রোডে কর্মসূচি করতে পারবেন তাঁরা।”     

    রাজ্যের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, ধর্মতলা ওআই চ্যানেলের বদলে এই কর্মসূচি শহীদ মিনারে করুক চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, তাঁরা এই কর্মসূচি রানি রাসমণি রোডে করতে চান। সেই আবেদন মেনে নেয় আদালত (Calcutta High Court)।

    কী কী শর্ত দিয়েছে হাইকোর্ট?

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে বলা হয়েছে শান্তিপূর্ণ সভা করতে হবে। লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না সভায়। শব্দবিধি মেনেই করতে হবে কর্মসূচি। এমনকী এড়িয়ে যেতে হবে উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্যও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ

  • Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর  হানা, কেন জানেন?

    Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিপুরের (Jangipur) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বাড়ি ও কারখানায় আয়কর হানা। বুধবার সকাল থেকেই এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদে। এদিন দুপুরে সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরি, ধুলিয়ান পুরসভার খরবোনা এলাকাতে বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরি এবং সুতির বিধায়ক জাকিরের শিব বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    কোথায় কোথায় আয়কর হানা

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ সামশেরগঞ্জের গোবিন্দপুরের আনন্দ ফ্যাক্টরি এবং সুতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক জাকিরের বাড়ি সংলগ্ন বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। প্রথমে বিএসএফ জওয়ানদের দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় কারখানার চারদিক। বিড়ি কারখানাগুলিতে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র এবং সামগ্রী পরীক্ষা করে দেখেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক ওলিউল ইসলাম এবং বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক লায়েক আলি, এঁদের বিরুদ্ধেও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানে গেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তিনটি জায়গাই ঘিরে রেখেছে। 

    আরও পড়ুন: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, আয়কর দফতরের আধিকারিকরা যখন জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দেন, সেই সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বাড়িতে ঢুকে আধিকারিকরা তৃণমূল বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ফোনগুলো নিয়ে নেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর।  কয়েকজন আধিকারিক এরপর পৌঁছে যান জাকির হোসেনের অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানেও তল্লাশি চলছে। কাউকে সেই জায়গায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলার অন্যতম বড় ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের বিড়ি তৈরির ব্যবসা ছাড়াও চাল, ডাল, তেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে।। সূত্রের খবর একাধিক ব্যবসা থেকে জাকির হোসেন ঠিকমত আয়কর প্রদান করেননি বলেই আয়কর দফতরের আধিকারিকদের কাছে তথ্য পৌঁছেছিল। 

    কলকাতায় তৃণমূল মেয়র পারিষদের বাড়িতে আয়কর আধিকারিকরা

    তৃণমূল মেয়র পারিষদ, কলকাতার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির উদ্দিন ববির হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে কলকাতার মৌলালির ওই হোটেলে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন তাঁরা। রিপন স্ট্রিটের হোটেলের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয় বলে খবর। জানা গিয়েছে, হোটেলের বিদ্যুতের বিল রয়েছে আমিরের নামে। কলকাতার মৌলালি অঞ্চলে তৃণমূল কাউন্সিলারের বিলাসবহুল হোটেল। আর সেখানেই বুধবার পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা (IT Raid)। হোটেলের সমস্ত তথ্য তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখেন বলে খবর। এমনকি কাগজ-পত্রও খতিয়ে দেখেন আয়কর আধিকারিকরা। এমনটাই খবর। তবে কী কারণে তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তা স্পষ্ট নয়। প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে চলে এই তল্লাশি। যদিও দীর্ঘ এই তল্লাশি চলাকালীন কাউন্সিলারের হোটেল সম্পূর্ণ ভাবে ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। ওই সময়ে কাউকে হোটেলে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হয়নি বলেও জানা যাচ্ছে। তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হঠাত তল্লাশি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ganga Arati: বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার বাবুঘাট, গ্রেফতার সজল ঘোষ

    Ganga Arati: বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার বাবুঘাট, গ্রেফতার সজল ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় গঙ্গা আরতি নিয়ে এবারে বিজেপি ও পুলিশের সংঘাত। গঙ্গা আরতির কর্মসূচি নিয়েই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বাবুঘাট চত্বরে। মঙ্গলবার বাবুঘাটে বিজেপির গঙ্গা আরতির কর্মসূচি আটকে দিল পুলিশ। এই নিয়েই বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ও পুলিশের বচসা বাঁধে ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে টেনে সরানো হয় বিজেপি কর্মীদের। খুলে ফেলা হয়েছে গেরুয়া পতাকাও। শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকে। তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।

    সজল ঘোষকে টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ

    এদিন সন্ধ্যায় বাজা কদমতলা ঘাটে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে আরতির আয়োজন করা হয়। কিন্তু সোমবারই তা বাতিল ঘোষণা করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের অনুমতি না থাকলেও এদিন ওই জায়গায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা যান। তখনই তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ ওই মঞ্চ খুলে দেয়। এর পর বিজেপি কাউন্সিলর তথা নেতা সজল ঘোষ দাবি করেন, সেনাবাহিনীর থেকে অনুমতি পেলেও গঙ্গা আরতি করতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। যা নিয়ে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর।

    পুলিশের অনুমতি নেই জানানো হলেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সজল ঘোষ। ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেও। তারপরই তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সজল ঘোষকে টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। টেনে-হিঁচড়ে যখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন কেন তাঁকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে বলে বারবার জানতে চান সজল ঘোষ। পাশাপাশি তিনি লালবাজারে যাবেন না বলেও বারবার বলতে থাকেন। যদিও তাঁর কোনও কথাই শোনেনি পুলিশ। কলকাতা পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কিছুটা আগেই বিজেপি নেতা সজল ঘোষ অভিযোগ করেন, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এ রাজ্যের সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ধর্মীয়, রাজনৈতিক অধিকার।

    বৃহস্পতিতেও বিজেপির কর্মসূচিতে বাধার আশঙ্কা

    মঙ্গলবারে গঙ্গা আরতির কর্মসূচিতে কলকাতা পুলিশের অনুমতি পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবারের বিজেপির কর্মসূচিতেও এখনও পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যায়নি। ফলে আগামী দিনে অনুমতি পাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। উত্তর কলকাতার সিমলা থেকে মধ্য কলকাতার কার্জন পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রার ডাক দিয়েছে বিজেপির যুব শাখা। বিজেপি যা ঠিক করেছে তাতে সিমলা থেকে শুরু হয়ে কলেজ স্ট্রিট, ওয়েলিংটন স্কোয়্যার হয়ে পদযাত্রা আসবে ধর্মতলায়। এর পরে রানি রাসমণি রোড হয়ে যাবে কার্জন পার্কে। বিজেপি সূত্রে খবর, লালবাজারে আবেদন করা হলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলেনি। বৃহস্পতিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে ম্যারাথন করতে চায় বিজেপি যুব মোর্চা। স্বামীজির মূর্তিতে মালা দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায়। তবে তার এক ঘণ্টা আগে থেকেই জমায়েতের ডাক দিয়েছে যুব মোর্চা। আজকের গঙ্গা আরতি নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হল, এর পর বৃহস্পতিবারের কর্মসূচির জন্য অনুমতি পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে গেরুয়া শিবিরে।

     

  • West Bengal DA: সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, শুনানি কবে জানেন?

    West Bengal DA: সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, শুনানি কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ (West Bengal DA) মামলা। বকেয়া ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন। গত বছর ডিসেম্বরে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। তার প্রায় এক মাস পর নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা। মামলাটি গিয়েছে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী ১৬ জানুয়ারি, সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    কলকাতা হাইকোর্ট…

    গত বছর মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তাদের যুক্তি, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ডিএ দিতে গেলে খরচ হবে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। যা তাদের পক্ষে বহন করা দুঃসাধ্য। এর পরেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের কর্মচারী সংগঠন।

    আরও পড়ুুন: মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল! ঠাঁই পেতে পারেন কারা, জানেন?

    বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্যের এই ডিএ মামলা (West bengal DA), প্রথমে সেটি সেখানেই ছিল। এই বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চেই ছিল এই মামলা। পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বেঞ্চ বদলের কথা জানানো হয়েছিল। পরে নয়া বেঞ্চ গঠন নিয়ে অভিযোগ তোলে আইনজীবীদের একটি পক্ষ। আইনজীবীদের এই অভিযোগে অসন্তুষ্ট হয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই শুনানি বাতিল করা হয়।

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক ক্রমশ বেড়েছে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের তরফে ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই একটি রায় দেওয়া হয়েছিল। পরে হাইকোর্টে সেই মামলা হলে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের রায়ই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে ডিএ (West bengal DA) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এদিকে, তিন মাসের মধ্যে ডিএ না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে হাইকোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    Mamata Banerjee: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি যদি পাঁচলায় জিততে না পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) নবান্নে বসতে পারবেন না !” দলীয় সভায় এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন হাওড়ার পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক৷ শাসক দলের বিধায়কের এহেন মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, পাঁচলার বিধায়কের জনপ্রিয়তা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি? নইলে কেন এমন দাবি করছেন তিনি? শাসক দলের উত্তর, এর থেকে বিধায়কের আত্মবিশ্বাসের পরিচয় পাওয়া যায়।

    ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? 

    বুধবার পাঁচলায় একটি কর্মসূচির আয়োজন করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেখানেই বক্তব্য রাখেন গুলশন মল্লিক৷ সেই কর্মসূচিতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গুলশন বলেন, “বিধানসভা ভোটের আগে একমাস পুলিশের সঙ্গে কথা বলিনি৷ তবু, ৩০ হাজার ভোটে জিতেছি! কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের কর্মীদের মেরে পিঠের ছাল তুলে দিয়েছে৷ তারপরও আমি জিতেছি৷ আমি যদি পাঁচতলার ক্ষমতায় না থাকি, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) নবান্নে বসতে পারবেন না!”

    এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠছে, ভোটে জেতার (Mamata Banerjee) সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে কথা না বলার কী সম্পর্ক? সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল৷ 

    বিধায়কের মন্তব্যের জেরে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই এ প্রসঙ্গে বলেন, “হাওড়া জেলার সবথেকে বিশৃঙ্খল এলাকা হল পাঁচলা৷ আর এই বিশৃঙ্খলার জন্য তৃণমূল (Mamata Banerjee) বিধায়ক গুলশন মল্লিকই দায়ী৷ ধুলাগড়ে যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্যও তিনিই দায়ী ছিলেন৷ সম্প্রতি এনআরসি নিয়ে জাতীয় সড়কের উপর যে হাঙ্গামা হয়েছিল, তারও মাথা ছিলেন গুলশন৷ কতটা ক্ষমতা থাকলে গুলশন মল্লিকের মতো নেতারা প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করেন!”

    আরও পড়ুন: কোর্টের অর্ডারে রয়েছে গ্রেফতারির পরোয়ানা, তবুও কেন জেলের বাইরে মানিকের স্ত্রী-পুত্র? বিতর্ক

    গুলশনের মন্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে স্থানীয় তৃণমূল। হাওড়া গ্রামীণের তৃণমূল সভাপতি অরুণাভ সেন বলেন, “তিনি (গুলশন) তাঁর নিজের এলাকা ভালোভাবে চেনেন বলেই এমন কথা বলেছেন৷ এটা তো তাঁর আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন! তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন, তিনি যদি পাঁচলায় না যেতেন, তাহলে সারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল (Mamata Banerjee) জিতবে না!” 

    রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া অরূপ রায় গুলশনের মন্তব্যের বিরোধীতা করে বলেন, “বিধায়ক গুলশন যে মন্তব্য করেছেন তা আমি  সমর্থন করি না। এ ব্যাপারে গুলশনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি দলীয় স্তরে আলোচনাও করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে উন্নয়নের কাজ করেছেন তাতে তিনি যত দিন চাইবেন বা যত দিন মনে করবেন তত দিনই জিতবেন। ক্ষমতাতেও থাকবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: কোর্টের অর্ডারে রয়েছে গ্রেফতারির পরোয়ানা, তবুও জেলের বাইরে মানিকের স্ত্রী-পুত্র? বিতর্ক

    Manik Bhattacharya: কোর্টের অর্ডারে রয়েছে গ্রেফতারির পরোয়ানা, তবুও জেলের বাইরে মানিকের স্ত্রী-পুত্র? বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ অবধি জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে মানিকের স্ত্রী-পুত্রও। আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণও করতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু এখনও গ্রেফতার করা হয়নি মানিকের স্ত্রী শতরূপা এবং ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যকে। জেলের বাইরেই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। আর এতেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। কারণ কোর্টের অর্ডারে তাঁদের গ্রেফতার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কেন গ্রেফতার করা হল না তা নিয়ে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। 

    কী আছে চার্জশিটে?‌ 

    জানা গিয়েছে, এই মামলায় প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটে মানিকের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী-পুত্র ছাড়াও তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেই মতো আদালতে হাজিরাও দেন এই তিনজন। কোর্টের অর্ডারে অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে এই তিনজনের। সেই অর্ডারে এদের গ্রেফতারির কথাও উল্লেখ রয়েছে। আইনজীবীদের প্রশ্ন, এই অর্ডারের পরেও কীভাবে শতরূপা এবং সৌভিক জেলের বাইরে রয়েছেন? 

    ইডির অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত এই তিনজনও। দুর্নীতির একটি বড় অঙ্কের টাকা ঢুকেছে মানিকের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী ও ছেলের অ্যাকাউন্টেও। এমন প্রমাণ পেয়েছেন ইডির অফিসাররাও। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালতের পক্ষ থেকে সমন পাঠানো হয়েছিল তাঁদের। আদালতে জামিনের আবেদনও করেছিলেন তাঁরা। জামিনের বিরোধীতা করে ইডি। 

    ফের সিবিআইয়ের মুখোমুখি তাপস

    এদিকে একই মামলায় সোমবার আবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন মানিক-ঘনিষ্ঠ (Manik Bhattacharya) তাপস মণ্ডল। গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশমতো এদিন নিজাম প্যালেসে বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজির হন তাপস। এর আগেও গত ৩ জানুয়ারি সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। গত ৩ জানুয়ারি তাপসকে প্রায় ৩ ঘণ্টা জেরা করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এর আগে তাপসকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।

    আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে কমতে পারে ঠান্ডা, উধাও হচ্ছে শীত? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    সূত্রের খবর, মানিক-পুত্র (Manik Bhattacharya) সৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার সঙ্গে ৫৩০টি বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজের মানন্নোয়নের জন্য যে ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল, সে সম্পর্কেই তাপসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে তাপসেরও। সেরক্ম প্রমাণও মিলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: সপ্তাহান্তে কমতে পারে ঠান্ডা, উধাও হচ্ছে শীত? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    West Bengal Weather: সপ্তাহান্তে কমতে পারে ঠান্ডা, উধাও হচ্ছে শীত? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতে কাঁপছে গোটা দেশ। রাজ্যেও পড়েছে প্রবল শীত (West Bengal Weather)। কিন্তু এই কাঁপুনি আর বেশি দিনের নয়। সপ্তাহের শেষেই কমবে শীত। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। বছরের শুরুতে কনকনে শীতে কেঁপেছে গোটা রাজ্য। কিন্তু দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষেই উধাও হচ্ছে শীত। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে বাড়তে পারে রাজ্যের তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বাড়বে উত্তরবঙ্গেও। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

    বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (West Bengal Weather) ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ১ ডিগ্রি বেশি।

    তবে উত্তরবঙ্গের চিত্র অনেকটাই আলাদা। শীতে কাঁপছে ধূপগুড়ি-সহ পুরো ডুয়ার্স এলাকায় (West Bengal Weather)। পারদ পতন হয়েছে প্রায় ৬ ডিগ্রি। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা কুয়াশাচ্ছন্ন। জাতীয় এবং রাজ্য সড়কগুলিতে সকালে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। কুয়াশা তো আছেই, তার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। সব থেকে বেশি কুয়াশা দেখা গিয়েছে ভুটান পাহাড় সংলগ্ন এলাকা এবং চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায়।

    কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস?     

    তবে, আগামী ৪ দিনে ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে তাপমাত্রার (West Bengal Weather) পারদ। ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বঙ্গেই ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট থাকবে। কিন্তু বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার চাদর সরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

    আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা (West Bengal Weather) নেই। উত্তুরে হাওয়ার দাপট খানিকটা কমবে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বাতাস রাজ্যে প্রবেশ করছে। সেই কারণেই আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে ১০২ জনের চাকরি বাতিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, আজ নয়া নিয়োগ ৫১ জনকে

    এদিকে ঠান্ডায় কাঁপছে দেশের রাজধানী (West Bengal Weather)। ২৩ বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার এমন পারদ পতন। বছরের শুরুতে এত সময় ধরে শৈত্যপ্রবাহও গত দশ বছরেও দেখা যায়নি বলে জানিয়ে হাওয়া অফিস। শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশায় দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের একাংশ কাবু হয়ে রয়েছে। বুধবার থেকে কুয়াশার মাত্রাও বাড়তে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SSC Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে ১০২ জনের চাকরি বাতিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, আজ নয়া নিয়োগ ৫১ জনকে

    SSC Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে ১০২ জনের চাকরি বাতিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, আজ নয়া নিয়োগ ৫১ জনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ছিল যাঁদের বিরুদ্ধে, সেরকম ১০২ জনের নিয়োগপত্র বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট গত বছর ১৪ ডিসেম্বর যে রায় দিয়েছিল তার ভিত্তিতে পর্ষদ ১০২ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল। পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন সেক্রেটারি সুব্রত ঘোষ।

    বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পর্ষদের

    যে ১০২ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্র বাতিল করা হয়েছে তাঁদের জায়গায় বুধবারই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে ৫১ জনকে। যাঁরা বঞ্চিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তেমন ৬৫ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকেই বুধবার নিয়োগপত্র নেবেন ৫১ জন। এমনটাই পর্ষদের তরফে জানানো হয়। কোন কোন শিক্ষককে হাইকোর্টের আদেশে চাকরি থেকে সরানো হয়েছিল সেই তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেই তালিকাতে শিক্ষকের নাম এবং ওই কোন বিষয়ে স্কুলে পড়াতেন, কবে থেকে তিনি এই স্কুল শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তার সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ১০২ জনকে কাউন্সেলিং-এর জন্য ডাকা সম্ভব নয়, কারণ ওয়েটিং লিস্টে মাত্র ৬৫ জনের নাম আছে। আদালতের নির্দেশেই ১০২ জনের সুপারিশ বাতিল করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁদের নিয়োগপত্রও বাতিল করা হল। 

    আরও পড়ুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এসএসসি-র নবম-দশমে ওই নিয়োগ হয়েছিল। প্রায় ৬৬৩ দিন ধরে আন্দোলনের পর অবশেষে চাকরি মিলছে বঞ্চিতদের। এত বছর পরে হলেও চাকরিটা তো পাচ্ছেন, এটাতেই খুশি তাঁরা। তবে দুর্নীতির কারণে যে এতগুলো বছর নষ্ট হল, সে কথা ভুলতে পারছেন না তাঁরা। শুধু নবম-দশম নয়, প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এমন অনেক নিয়োগ বাতিল হয়েছে আদালতের নির্দেশে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ অনেকে। প্রতিদিনই উঠে আসছে দুর্নীতির নানা ছবি। এরই মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদের এই পদক্ষেপে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: বোকা বনল পুলিশ! বাবুঘাটেই গঙ্গারতি বিজেপির, আটক রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: বোকা বনল পুলিশ! বাবুঘাটেই গঙ্গারতি বিজেপির, আটক রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের চোখ এড়িয়ে বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি করলেন সুকান্ত মজুমদার। বাজাকদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতি করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। শেষমেশ বাবুঘাটে সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে গঙ্গারতি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য কর্মী সমর্থক নেতৃত্বরা। আরতি করার পর সুকান্ত বলেন, “আমি বলেছিলাম পুজো করব, পুজো করেছি। পুলিশ আটকাতে পারেনি। আমারা ধর্মীয় অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছি। সর্বত্র গঙ্গা এক। এখন পুলিশ চাইলেই আমায় গ্রেফতার করুক।”

    গণতন্ত্র চায় না তৃণমূল

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি, নতুন কিছু নয়। এই সরকার গণতন্ত্রকে রাখতে চায় না, তাদের মনোভাবেই স্পষ্ট। তারা চায় এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে, যেখানে তৃণমূলই শাসক, তৃণমূলই বিরোধী। নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে বোম নিয়ে। এই সরকার যতদিন থাকবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।” মঙ্গলবার গঙ্গার মঙ্গল চেয়ে গঙ্গা পুজোর অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, গঙ্গাসাগর মেলার আবহে বাবুঘাট এলাকায় ইতিমধ্যে পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশ জড়ো হতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারেও তার অন্যথা হবে না। ফলে তার মাঝে বিজেপির প্রস্তাবিত কর্মসূচি আয়োজিত হলে শহরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হবে। সেনার তরফে আগেই অনুমতি পেয়েছিল বিজেপি। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয় গঙ্গা চত্বর। বিকেলে নেতাজি ইন্ডোরের সামনে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বাজা কদমতলায় দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশবাহিনী। সে দিকে না গিয়ে সুকান্ত পায়ে হেঁটে চলে যান বাবুঘাটে। সেখানেই সারলেন গঙ্গা আরতি।

    আরও পড়ুন: বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার বাবুঘাট, গ্রেফতার সজল ঘোষ

    এরপর বাবুঘাট থেকে পায়ে হেঁটে বাজা কদমতলার দিকে এগোতে থাকেন সুকান্ত। ততক্ষণে দলের কর্মী-সমর্থকদের একটা অংশকে আটক করে পুলিশ। সুকান্ত তখন সেই প্রিজন ভ্যানের সামনে বসে পড়েন। সেখানে পুলিশের সাথে তর্ক বিতর্ক ধ্বস্তাধ্বস্তির পর সুকান্তকেও আটক করে পুলিশ। তখন বাধা দিতে রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে। এরপর বিজেপি কর্মীদের আটক করা হয়। প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। সুকান্ত-সহ সবাইকে গ্রেফতার করার পর মঙ্গলবার রাতে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপ থেকে ছাড়া হয় প্রত্যেককে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের গঙ্গারতি কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থক এবং আমাকেও চরম হেনস্থা করা হয়। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Industrial Park: ‘কলঙ্কিত’ ভাবমূর্তি, খদ্দের নেই, শিল্পনগরীর জমির দাম কমাচ্ছে রাজ্য!

    Industrial Park: ‘কলঙ্কিত’ ভাবমূর্তি, খদ্দের নেই, শিল্পনগরীর জমির দাম কমাচ্ছে রাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে ঘোষণা করা হয়েছিল শিল্পনগরী (Industrial Park) তৈরির জন্য জমি লিজ দেওয়ার কথা। আস্ত একটা বছর পার হয়ে গেলেও, সরকারের প্রস্তাবে তেমন কোনও উৎসাহ দেখাননি শিল্পপতিরা। মুখ বাঁচাতে এবার জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জমির দাম যে কমানো হচ্ছে, তা স্বীকারও করে নিয়েছেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তবে জমির দাম ঠিক কতটা কমানো হবে, সে ব্যাপারে কুলুপ এঁটেছেন সরকারি কর্তারা।

    শিল্পনগরী…

    গত বছর অগাস্ট মাসে শিল্পনগরী গড়তে শিল্পপতিদের ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় শর্তও ছিল। বলা হয়েছিল, শিল্পপতিদের ন্যূনতম পাঁচ একর জমি নিতে হবে। জমি বণ্টনের ৩০ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে দামের ১০ শতাংশ। ঘোষণাই সার। তার পরেও শিল্পপতিদের মধ্যে শিল্পনগরী (Industrial Park) গড়তে তেমন কোনও উৎসাহ দেখা যায়নি। কারণ অনুসন্ধান করতে নামে রাজ্য সরকার। জানা যায়, রাজ্য সরকার নির্ধারিত জমির দর বাজারের চেয়ে অনেকটাই বেশি। এর চেয়ে জমির মালিকদের থেকে সরাসরি জমি কিনলে শিল্পপতিরা বেশি লাভবান হবেন। সেই কারণেই অবিক্রিত থেকে গিয়েছে সরকারি জমি।

    আরও পড়ুুন: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে সরকারের ‘কলঙ্কিত’ভাবমূর্তি। শিল্পপতিদের একাংশ রাজ্য সরকারে ভুল নীতি এবং দুর্নীতিকেও শিল্পনগরী না হওয়ার কারণ বলে ঠাওরেছেন। তার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা হয়েছে নিছক ফাঁকা বুলি। জমি রয়ে গিয়েছে পড়ে। অগত্যা দাম কমাতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। চন্দ্রনাথ বলেন, রাজ্য সরকার দেখেছে বাজারের তুলনায় জমির দাম বেশি হচ্ছে। শিল্পপতিরা অনেকেই জানিয়েছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে হয় মানুষ আরও আকৃষ্ট হবেন, এগিয়ে আসবেন। ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কোনও বস্তু নেই, সেখানে শিল্পপতিরা আসবেন না। একথা তো তাঁরা রাজ্য সরকারকে সরাসরি বলতে পারছেন না। তাই জমির দামকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করেছেন। তিনি বলেন, এ রাজ্যে বিচারব্যবস্থাও ছাড় পাচ্ছে না। রাজ্য সরকার যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করেছিল, সেখানে ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share