Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের এক বছরে আয় বৃদ্ধি ১২ গুণ! ‘চোরের কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের এক বছরে আয় বৃদ্ধি ১২ গুণ! ‘চোরের কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মা-মাটি-মানুষের সরকার’ তৃণমূলের বার্ষিক আয় ৫৪৫.৭৪ কোটি টাকা। এর বেশিরভাগটাই এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ডের থেকে। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের অডিট রিপোর্ট। আর তাতেই সামনে এসেছে এই তথ্য। চলতি বছর ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ভাঁড়ারে জমা পড়েছে ৫২৮.১৪ কোটি টাকা। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে আয় ছিল ৪২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬%। আর এই তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন শুভেন্দু? 

    ইলেক্ট্রোরাল বন্ডে রোজগার বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “তৃণমূল দল নয়, একটা চোরের কোম্পানি।”

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “২০২১ সালে ইলেকট্রোরাল বন্ডে ৪২ কোটি টাকা পেয়েছিল। ২০২২ সালে ১২০০ শতাংশ বেড়ে আয় ৫২৮ কোটি টাকা। তৃণমূলের সৎসাহস থাকলে কে কে দিয়েছে এই টাকা নাম প্রকাশ করুক তৃণমূল। আপাদমস্তক দুর্নীতি ভর্তি। পুরোটাই চোরের দল।” 

    মোমিনপুর স্বাস্থ্য মেলায় গিয়ে তৃণমূলের দিকে নিশানা দাগেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। স্বাস্থ্য মেলায় শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। “কারা এই বিপুল টাকা দিল? কোথা থেকে পাওয়া গেল?” এই প্রশ্ন তুলে নামের সেই তালিকা প্রকাশের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। বলেন, “তালিকা প্রকাশ করে কোন শর্তে বিপুল পরিমাণ বন্ড দেওয়া হয়েছে তাও জানাতে হবে। আর যদি তৃণমূল কংগ্রেস তা প্রকাশ্যে না আনে তাহলে সেই তথ্য বের করার দায়িত্ব আমার দল এবং বিরোধী দলনেতার।”

    এদিকে বিজেপি-র (Suvendu Adhikari) আরও এক বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ট্যুইটে একটি নিউজ রিপোর্টে ছবি পোস্ট করে তৃণমূল নেতাদের হেলিকপ্টার চড়ার খরচের খতিয়ান তুলে ধরেন। তাতে দেখা যায় ২০২০ এবং ২০২১ এই দু বছরের ভোটের প্রচারে হেলিকপ্টারের খরচ মোট ৫৪ কোটি টাকা।

     


     

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বারই তৃণমূল কংগ্রেসকে গরিব, খেটে খাওয়া মানুষের দল হিসেবে তুলে ধরেছেন৷ অন্যান্য দলের মতো তৃণমূলের কাছে টাকা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার মালিক তৃণমূল (Suvendu Adhikari)৷

    অডিট রিপোর্ট থেকে আরও জানা গিয়েছে, গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের খরচও অনেকটা বেড়েছে । ২০২০-২১ সালে দলের খরচ ছিল ১৩২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: ফের পার্থ-অর্পিতাকে এক মাসের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত

    Partha Chatterjee: ফের পার্থ-অর্পিতাকে এক মাসের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ফের এক মাসের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে জেল হেফাজতে। ওইদিন আবার মামলাটির শুনানি হবে।  

    শনিবার পার্থ ও অর্পিতাকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করে ইডি। পার্থ (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা নিজেরদের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন। জেল পরিষেবার দুরবস্থা নিয়েও এদিন অভিযোগ করেন অর্পিতা। কিন্তু কোনও কথাই শুনলেন না বিচারক। মঞ্জুর হল না জামিন।  

    কী বলেন দুই অভিযুক্ত? 

    এদিন পার্থর (Partha Chatterjee) কিছু বলার আছে নাকি জানতে চান বিচারক। উত্তরে পার্থ জানান, তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না জেলে। অর্পিতাও বলেন, “শরীর ভাল নেই। জেল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক সবাইকে সবটা বললেও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।” এদিন জেলের সেল নিয়েও সমস্যার কথা জানান অর্পিতা। তিনি বলেন, “অতটুকু জায়গায় থাকতে অসুবিধা হচ্ছে।” যদিও এসব কথায় কান দেননি বিচারক। দুজনের চিকিৎসায় যাতে ত্রুটি না হয়, তা খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও ছেলে 

    প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে গত ২২ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থের (Partha Chatterjee) বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এর পর ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন পার্থ। তখন থেকেই প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বন্দি রয়েছেন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে। গ্রেফতারির পর থেকেই শারীরিক কারণ দেখিয়ে আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করে আসছেন পার্থ। কিন্তু এখনও সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি।  

    চলতি সপ্তাহেই সিবিআই (Partha Chatterjee) আদালতে দাবি করেছে, এজেন্ট নিয়োগ করে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করেছেন পার্থরা। অযোগ্য প্রার্থীদের ফোন করে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের প্রস্তাব দিতেন সেই এজেন্টরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cash Recovery: অধ্যাপকের বাড়িতে মিলল রাশি রাশি টাকা, পরিমাণ কত জানেন?

    Cash Recovery: অধ্যাপকের বাড়িতে মিলল রাশি রাশি টাকা, পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার (Cash Recovery)। এর আগে টাকা মিলেছিল টালিগঞ্জে, বেলঘরিয়ায় এবং গার্ডেনরিচে। এবার তাড়া তাড়া নোট উদ্ধার হল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) খড়দহে, এক অধ্যাপকের ফ্ল্যাটে। এদিন উদ্ধার হল প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা। উদ্ধার করলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে খড়দহের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।

    বান্ডিল বান্ডিল টাকা…

    শুক্রবার খড়দহের নাথুপাল ঘাট রোড এলাকায় শিরোমণি আবাসনে হানা দেন বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। এই আবাসনেরই একতলায় প্রায় আড়াই বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বাস করছেন অধ্যাপক অমিতাভ দাস। তাঁর ফ্ল্যাট থেকেই মেলে বিপুল অঙ্কের নগদ (Cash Recovery)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কমিশন হিসেবে ওই টাকা নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে, ভুয়ো সার্টিফিকেট বের করে দিয়েই এই টাকা তুলেছিলেন অধ্যাপক।

    আরও পড়ুুন: আবাস যোজনার তালিকায় নাম দোতলা বাড়ির মালিকের! ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    অধ্যাপকের এই কাজের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কিনা, এর নেপথ্যে কোনও চক্র রয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই অধ্যাপকের পরিবারের সদস্যদের। এদিন যে টাকা  উদ্ধার (Cash Recovery) হয়, তার সিংহভাগ নোটই ছিল ২০০০ টাকার। টাকা গুণতে নিয়ে আসা হয় ব্যাঙ্ক কর্মীদের। ঠিক কী কারণে গোয়েন্দারা ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালালেন, এদিন রাত পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। ওই ফ্ল্যাটের অন্য আবাসিকদের দাবি, এর আগে সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়েনি তাঁদের।

    প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের শেষ দিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডির জালে ধরা পড়ে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। দফায় দফায় অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা (Cash Recovery) বাজেয়াপ্ত করে ইডি। গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের নগদ উদ্ধার। এবং সেটা এ রাজ্যেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস যোজনার তালিকায় নাম দোতলা বাড়ির মালিকের! ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস যোজনার তালিকায় নাম দোতলা বাড়ির মালিকের! ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোতলা বাড়ির মালিক জরিফ শেখ। মালদহের কালিয়াচকের বাঙ্গিটোলা এলাকায় তাঁর বাড়ি। পেশায় কাঠের মিস্ত্রি জরিফের বাড়িতে শুক্রবার পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল (Central Investigation Team)। কারণ জরিফের নাম উঠেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) প্রকল্পের তালিকায়। এদিন সকালে চরিঅনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী কুলেশ মণ্ডলের বাড়িতেও গিয়েছিলেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কারণ তাঁর নামও রয়েছে ওই তালিকায়। কেবল এই দুজন নন, আরও অনেকে বাড়িতেই গেলেন এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এঁদের মধ্যে যাঁদের ওই তালিকায় নাম থাকার কথা নয়, অথচ রয়েছে, এবং তালিকায় যাঁদের নাম থাকার কথা ছিল, অথচ নেই, তাঁদের বাড়িতেও। কথা বললেন বাড়ির মালিকদের সঙ্গেও। তিন সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার আধিকারিক শক্তিকান্ত সিংহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চাহাত সিংহ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার গৌরব আহুজা।

    দুর্নীতির অভিযোগ…

    বৃহস্পতিবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) প্রকল্পে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মালদহে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে মালদহের কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের চরিঅনন্তপুর, কামারপুর গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে যান। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: আবাস দুর্নীতিতে অভিযোগ জানানো যাবে হেল্পলাইন নম্বরে, বললেন সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আবাস যোজনা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মালদহের বিভিন্ন ব্লকেও আবাস যোজনা প্রকল্পে স্বজনপোষণ, দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি ব্লকে এর প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তারই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন দফতরের ওই প্রতিনিধি দল আসে মালদহে। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি এলাকায়ও আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যায় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের অন্য একটি দল।

    কামারপুর এলাকায় বাড়ি হিমাংশু রায়ের। আবাস যোজনায় আবেদন করেও বাড়ি পাননি তিনি। হিমাংশু বলেন, আমার বাড়িতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি দল এসেছিল। আমি গরিব মানুষ। আবেদন করেও আবাস যোজনা প্রকল্পের কোনও সুবিধা পাইনি। সে কথা অফিসারদের জানিয়েছি। তিনি বলেন, ওঁরা আমাদের বাড়ির অবস্থা দেখে গিয়েছেন। এতদিন পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছিল না। এবার হয়তো কেন্দ্রের অফিসারদের সমস্যার কথা জানিয়ে সুফল মিলতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Bengal Weather Update: শীতের দাপট থাকবে আরও পাঁচ-ছয় দিন! সকাল থেকেই ভিড় চিড়িয়াখানা, ইকো পার্কে

    Bengal Weather Update: শীতের দাপট থাকবে আরও পাঁচ-ছয় দিন! সকাল থেকেই ভিড় চিড়িয়াখানা, ইকো পার্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতে জবুথবু কলকাতা। কুয়াশার চাদর সরিয়েই জেগে উঠছে শহরবাসী। শুক্রবার মরসুমের শীতলতম দিন দেখেছিল শহর। শনিবার শহরের তাপমাত্রা বাড়ল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব থাকলেও সেই কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি কিছুটা কমেছে। শনিবার শহরের তাপমাত্রা আবার বেড়ে ১২ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যদিও এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

    শীতাতুর পরিবেশ

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। রোদ ঝলমলে দিন। সপ্তাহান্তে শীতের রোদ গায়ে মেখেই পিকনিক করতে যেতে পারবেন শীতবিলাসীরা। এদিন সকাল থেকেই ভিক্টোরিয়া থেকে চিড়িয়াখানা, ইকো পার্ক, নিকো পার্ক, সায়েন্স সিটি ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। গত ক’দিন ধরেই ঠান্ডায় জবুথবু কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ক’দিন ঠান্ডার আমেজ বহাল থাকতে পারে শহরে। পাশাপাশি শীতের কাঁপুনি ভাব টের পাওয়া যাবে বিভিন্ন জেলাতেও। প্রসঙ্গত, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে পারদপতন হয়েছিল পুরুলিয়ায়। কালিম্পংয়ের থেকেও বেশি ঠান্ডা পড়েছে পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলাতে। কালিম্পংয়ে যেখানে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, সেখানে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা নেমেছে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সামনেই মকর সংক্রান্তি। এই সময়টা এমনিই তাপমাত্রার পারা পতন হয়। সেইমতোই আগামী অন্তত ৫-৬ দিন শীতের আমেজ থাকবে, আশ্বাস হাওয়া অফিসের।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। দার্জিলিং-এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির আশপাশে হলেও,আপাতত তুষারপাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী সোমবার পর্যন্ত উত্তরের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার সেরকম কোনও হেরফের হবে না। কুয়াশার তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের দুদিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতিতে (Contai Municipality Tender Scam) অভিযুক্ত ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডা। গ্রেফতারের পর পুলিশ নাকি তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বয়ান দিতে হুমকি দিয়েছিল। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রামচন্দ্র পান্ডার আরও অভিযোগ টেবিলে রিভলভার রেখে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে (Suvendu Adhikari) বয়ান দিতে জোর করেছিল পুলিশ। কিছু না বললে পরপর মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

    রামচন্দ্রকে গ্রেফতার

    গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল রামচন্দ্র পাণ্ডাকে। দারুয়া ফ্রেন্ডস সমবায় সমিতির সভাপতি কাকলি পাণ্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ গ্রেফতার করেছিল রামচন্দ্রকে। তাঁর আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জামিন চাওয়ার পাশাপাশি অভিযোগ করেন, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কাকলি পাণ্ডার উপর চাপ তৈরি করে মিথ্যে অভিযোগ করতে বাধ্য করে। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় রামচন্দ্রকে। তাঁর গ্রেফতার নিয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জামিনও মিলেছে কাঁথি (Kanthi) পুরসভার ঠিকাদার তথা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার (Ramchandra Panda)। 

    মিথ্যা অভিযোগ 

    গত বুধবার সশরীরে কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হন কাকলি পাণ্ডা। তিনি বলেন, কেউ বা কারা তাঁকে জোর করে একটা কাগজে সই করিয়ে নেয়। তারপর থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে রামচন্দ্র পাণ্ডার জামিন মঞ্জুর করা হয়। এখানেই থামেনি আদালত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ বলে, রামচন্দ্র পাণ্ডা ও কাকলি পাণ্ডাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়ে রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বললেন রামচন্দ্র

    জামিন পাওয়ার পরই  রামচন্দ্র পণ্ডা বলেন, তদন্তে বসিয়ে বাজে প্রশ্ন করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর টাকা কোথায় তা জানতে চাওয়া হয়। রীতিমতো থ্রেট করে কাঁথি থানার আইসি বলেন,নবান্ন থেকে বড় অফিসাররা এসেছেন। সেই তিনজন অফিসার এসে বসে টেবিলে রিভলভার রাখেন, রিভলভার দেখিয়ে বলা হয় টাকা কোথায় না বললে ৮৭ টা কেস দেওয়া হবে। ৮৭ টা কেসে ৭ দিন করে জেল খাটানো হবে বলেও শাঁসানো হয়েছে। এরকম কিছু ঘটেনি, অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেন কাঁথির এসডিপিও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TMC: শুভেন্দুর দাবিতেই শিলমোহর তৃণমূল বিধায়কের! দল ‘কোম্পানি’, মমতা ‘ব্র্যান্ড’, বললেন গৌতমও

    TMC: শুভেন্দুর দাবিতেই শিলমোহর তৃণমূল বিধায়কের! দল ‘কোম্পানি’, মমতা ‘ব্র্যান্ড’, বললেন গৌতমও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবিতেই শিলমোহর দিলেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক! তৃণমূলকে তিনি কোম্পানি বলে অভিহিত করলেন। তিনি এও জানালেন, এই কোম্পানির ব্র্যান্ড স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের দলকে কোম্পানি এবং দলের জন প্রতিনিধিদের মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক তৃণমূলের গৌতম চৌধুরী। গৌতমের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে শাসক দলকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিজেপি।

    শুভেন্দু অধিকারী…

    ২০২০ সালে ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকেই তৃণমূলকে তিনি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করে আসছেন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহে দলের এক কর্মিসভায়ও তিনি ফের বলেন, তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। ওই কোম্পানির মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভাইপো ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

    শুক্রবার হাওড়ায়ই দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন গৌতম। ওই বৈঠকে শুভেন্দুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনিও বলেন, তৃণমূল একটা কোম্পানি। এর পরেই গৌতমের সংযোজন, যার ব্র্যান্ড হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা কেউ কিছু নই। আমরা জন প্রতিনিধিরা একটা ওষুধ কোম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের মতো। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব।

    আরও পড়ুুন: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    গৌতমের মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল (TMC)। গৌতমকে ইতিমধ্যেই দল সতর্ক করেছে বলে জানান হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি বলেন, গৌতম চৌধুরীর সঙ্গে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের এ বিষয়ে কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, ভুলবশত এই মন্তব্য করেছেন। গৌতমের মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সত্যি কথাটাই উনি বলে ফেলেছেন। ওই দলে যাঁরা রয়েছেন, সকলেই বসের কথা শুনে কাজ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল দল গণতন্ত্র মানে না। ওই দলে গণতন্ত্র নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lalan Sheikh: এবার সিআইডির থেকে লালন শেখ মৃত্যুর কেস ডাইরি চাইল আদালত

    Lalan Sheikh: এবার সিআইডির থেকে লালন শেখ মৃত্যুর কেস ডাইরি চাইল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় বগটুই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সময় সিআইডির থেকে কেস ডায়েরি চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার শুনানি চলার সময় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, আগামী সোমবারের মধ্যে সিআইডি-কে কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। তারপর ফের এই মামলার শুনানি হবে। 

    কী জানা গেল?  

    গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটের সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় লালন শেখের (Lalan Sheikh) ঝুলন্ত দেহ৷ বীরভূম পুলিশের তরফে জানানো হয়, পার্শিয়াল হ্যাঙ্গিং অর্থাৎ আংশিক ঝুলন্ত অবস্থায় লালন শেখের দেহ উদ্ধার হয়। লালনের গলায় ফাঁস লেগে থাকছেও পা ছিল মাটিতে। সিবিআই- এর বিরুদ্ধে লালনকে খুনের অভিযোগ করে তাঁর পরিবার৷ মামলার তদন্তকারী অফিসার-সহ একাধিক সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। রামপুরহাটে সিবিআই-এর ওই অস্থায়ী ক্যাম্প ইতিমধ্যেই সিল করা হয়েছে। কিন্তু গত ১৫-২০ দিনে তদন্তে কোন পথে এগোল, কাদের কাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হল, কোন পর্যায়ে তদন্ত পৌঁছল তা কেস ডায়েরিতে দিতে হবে সিআইডি-কে। 

    আরও পড়ুন: বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় প্রকাশ্যে অভিযুক্তের পরিচয়, কে সেই ব্যক্তি?

    এর আগে হাইকোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চে এই মামলার (Lalan Sheikh) শুনানি হয়। সে সময় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত দু’দিন এই মামলা শোনেন। এবার রেগুলার বেঞ্চেও তাঁরই এজলাসে এই মামলার শুনানি। সিবিআই দ্রুত এই মামলা শোনার আর্জি জানালেও আদালত এত তাড়াহুড়ো নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আগামী সোমবার বেলা ১১টায় ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    ইতিমধ্যেই সিবিআই (Lalan Sheikh) অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিআইডি। এখন দেখার কেস ডায়েরিতে কী দেয় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

      

     

     

     
     

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার কাণ্ডে এবারে সিউড়ির ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তলব সিবিআইয়ের

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার কাণ্ডে এবারে সিউড়ির ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত করতে গিয়ে বীরভূমের সিউড়িতে সমবায় ব্যাঙ্কের শাখায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার সমবায় ব্যাঙ্কে পৌঁছন গরু পাচার কাণ্ডের প্রধান তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। সিবিআই সূত্রে খবর, ১৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। ফলে এই নিয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়। এর পর আজ, শুক্রবার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্তকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সুশান্তবাবু।

    ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে নিজাম প্যালেসে ডাকল সিবিআই

    গতকাল পর্যন্ত ১৫০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল ও সেগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু আজ সিবিআই সূত্রে খবর, মোট ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে সিউড়ির ব্যাঙ্ক থেকে। এমনকী ৫০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে যাতে একজনেরই সই রয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে যাবতীয় নথি। আবার শুধু ৫৪ টি অ্যাকাউন্টেই মিলেছে ৪ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    গতকাল সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছিল ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে গরু পাচারের বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল। এই বেনিয়মের হদিশ মিলতেই সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্তকে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এমনকী তিনি যদি তদন্তে সহযোগিতা না করেন, তাঁকে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিবিআই অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। এর পর আজ ম্যানেজার অভিজিৎকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই।

    কী কী জেরা করা হতে পারে?

    কীভাবে নথি যাচাই না করে ব্যাঙ্কে ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলতে দিলেন তিনি? এই প্রশ্নই আজ করা হবে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে। এত টাকা এল কোথা থেকে?‌ কে এই অ্যাকাউন্টগুলো খুলল? এসবই জিজ্ঞেস করা হবে ম্যানেজারকে।

    সিবিআইয়ের নজরে কী কী?

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, রাইস মিল সংক্রান্ত প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে। এমনিতেই গরু পাচার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের শিবশম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস মিলের কথা উঠে এসেছিল। এছাড়াও এই ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টের সঙ্গে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও উঠে এসেছে। সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সেই সংক্রান্ত কিছু রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই অফিসাররা। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে গরু পাচার মামলা কীভাবে জড়িয়ে রয়েছে, সব কিছু নিয়েই তদন্ত করছে সিবিআই আধিকারিকরা। এখন এটাই দেখার, ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কোন দিকে গড়ায় এই তদন্ত। 

  • Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস দুর্নীতিতে অভিযোগ জানানো যাবে হেল্পলাইন নম্বরে, বললেন সুকান্ত

    Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস দুর্নীতিতে অভিযোগ জানানো যাবে হেল্পলাইন নম্বরে, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। গেরুয়া শিবিরও এই দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে একাধিকবার। ফলে ফের একবার আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    আবাস নিয়ে অভিযোগ জানাতে এবার হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। যখন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, বিক্ষোভ জারি জেলায় জেলায়। তখন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার মানুষের কাছে পৌঁছতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। আর এ ব্যাপারে ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    গতকাল বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক ছিল। কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শাসকদলের দুর্নীতিগুলি তুলে ধরা হবে। আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে হেল্পলাইন নম্বর চালু হবে। হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোনের মাধ্যমে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ জানালে সঙ্গে সঙ্গে আমরা উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করব। দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় লিফলেট দেওয়া হবে। আমরা পঞ্চায়েতে এলে কী করব, সেটাও ওই লিফলেটে থাকবে। আমরা কাটমানি মুক্ত পঞ্চায়েত চাই। স্বাস্থ্য নিয়ে কী সুবিধা দেওয়া হবে, তাও জানানো হবে।”

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি! প্রকাশিত রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা

    সুকান্ত মজুমদারের সুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “রাজস্বের টাকা ঘুর পথে নেতাদের পকেটে গিয়েছে তার উদাহরণ আবাস দুর্নীতি। বারবার বলেছি, রেশনের বন্টনে দুর্নীতি হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া রেশন চুরি করে নিয়েছে এটা উদাহরণ। ডিজিটাল রেশন নিয়ে আগে তো বিরোধিতা করেছিল এখন তো চুরি ধরা পড়ছে।” 

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় দল। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ছ’জনের অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা ইতিমধ্যেই এসে হাজির হয়েছেন রাজ্যে। আর এর পরেই সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করলেন যে, হেল্পলাইন চালু করার পদক্ষেপ নিতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। কাটমানি ও দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েতই যে গেরুয়া শিবিরের একমাত্র লক্ষ্য তাও এদিন স্পষ্ট জানান সুকান্ত মজুমদার। সব মিলিয়ে খুব শীঘ্রই আবাস নিয়ে দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করার পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগও স্থাপন করাও অন্যতম লক্ষ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।      

LinkedIn
Share