Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    Recruitment Scam: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নিজেদের সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই ৯৫২ জনের বিবরণ দিয়েছে এসএসসি। সেই তালিকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ। স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষায় কোনও উত্তর না লিখেই পাশ করেছেন অনেকে। এমনকি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতাও করছেন তাঁরা। বুধবার, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে-স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে যে উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়েছে,তাতেই উঠে এসেছে এই চিত্র।

    ফের শিরোনামে পরেশ অধিকারী

    নবম-দশমের বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই আবারও শিরোনামে মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি করা স্কুল ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে আবারও এক ভুয়ো শিক্ষকের সন্ধান মিলল। বৃহস্পতিবার,এসএসসি ওয়েবসাইটে তালিকা আসতেই শুক্রবার থেকে স্কুলে যাচ্ছেন না ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক কনিকা বর্মন। অভিযোগ, ওএমআর শিট কারচুপি করে নাম্বার বাড়িয়ে ইংরেজি শিক্ষক হয়েছিলেন কনিকা। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত, এই মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদে নিযুক্ত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। 

    আরও পড়ুন: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    ভাইরাল ওএমআর শিট

    ইতিমধ্যেই একের পর এক OMR শিট ভাইরাল হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ একটিও গোল ভরাট করেননি আবার কেউ ৫৫টি প্রশ্নেরই উত্তর করেছেন। যদিও প্রায় সব উত্তরই ভুল। তবে সবার প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। কোন জাদুবলে এই ভাবে নম্বর বেড়েছে তা নিয়ে জোর জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কালনা মহারাজা বিদ্যালয়ে ভূগোলের শিক্ষকের ওএমআর শিট একেবারে ফাঁকা। বৃহস্পতিবার তিনি আর স্কুলে আসেননি। ওএমআর-এ দেখা যাচ্ছে, রোল নম্বর সহ যাবতীয় বিষয়ের সার্কেল ভরাট করা হলেও একটিও প্রশ্নের উত্তরের সার্কেল ভরাট করা হয়নি। ফাঁকা খাতা জমা দিয়ে, শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন ধরেই এই অভিযোগে তুলে সরব হয়েছেন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে চাকরিপ্রার্থীরা। আর, সেই অভিযোগ যে সত্য,তা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: বড়দিনেও জেলে, পার্থ-সুবীরেশদের জামিনের আর্জি খারিজ আদালতের

    Partha Chatterjee: বড়দিনেও জেলে, পার্থ-সুবীরেশদের জামিনের আর্জি খারিজ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনেও পরিবারের কাছে ফেরা হল না। ফের জামিন খারিজ হল পার্থ-সুবীরেশসহ (Partha Chatterjee) মোট ৭ জনের। এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জামিনের আর্জি জানান শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া ৭ জন। অভিযুক্তদের আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিংকে। সেখানেই ধৃতদের জামিনের আর্জি জানান তাঁদের আইনজীবী। শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী সিবিআই হেফাজতে লালন শেখ মৃত্যুর উদাহরণ তুলে ধরেন। বলেন, “সিবিআই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে রাখছে। সিবিআই বলছে এই অভিযুক্তরা জামিন পেলে সমাজের ক্ষতি হবে। তাই জেলে আটকে রাখতে চাইছে। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে খুন হয়েছে। তদন্তের ভয়ে হাইকোর্টে গিয়েছে সিবিআই।” কেন এমনটা হবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তদন্তের নামে ধৃতদের অবান্তর আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।     

    কেন এখানে অহেতুক লালন শেখের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, আইনজীবীকে সেই প্রশ্ন করেন বিচারক। বিচারক বলেন, “কোনও একটা ঘটনা নিয়ে গোটা প্রতিষ্ঠানকে দোষ দেওয়া সঠিক নয়।” সিবিআই- এর তরফে বলা হয়, মামলার গুরুত্ব বিচার করে অভিযুক্তদের (Partha Chatterjee) হেফাজতে রাখা প্রয়োজন। প্রত্যেকেই প্রভাবশালী। তদন্তে কী উঠে আসছে তা সংরক্ষিত রয়েছে। রোজ নতুন নতুন তথ্য উঠে আসবে না এটাই স্বাভাবিক। সিবিআইয়ের যোগ্যতা নিয়ে কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সে প্রশ্নও তোলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বলেন, “সিবিআই তদন্ত করা ওমপ্রকাশ চৌটালা, পিভি নরসিমা রাও, লালু প্রসাদ যাদবের কেসের ভবিষ্যৎ গোটা দেশ দেখেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী দেখি না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করি। সময় মতো কোর্টকে জানাই।” দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর ধৃতদের আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, পার্থই (Partha Chatterjee) নিয়োগ দুর্নীতির ‘মূল মাথা’। এই দুর্নীতির পিছনে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ আছে বলেও দাবি করেন তিনি। শুনানির সময় পার্থ এজলাসে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী?’’ পার্থ জানান, কোনও দিন কোনও কমিটির সঙ্গে তিনি বৈঠক করেননি। তাঁর এই পরিণতি দেখে ভবিষ্যতে কেউ জনপ্রতিনিধি হতে চাইবেন না বলেও দাবি করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ৩৭ লক্ষের বেশি ভারতীয় অ্যাকাউন্ট নিষদ্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ

    বুধবার সুবীরেশের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এ ব্যাপারে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিষয় যখন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, সেখানে সংস্থার সর্বোচ্চ পদে থাকা এক জন ব্যক্তি এত সহজে দায় এড়াতে পারেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mandal: টাকা নিয়ে অভিযোগ দায়ের! অনুব্রত মামলায় বিস্ফোরক দাবি শিবঠাকুরের আত্মীয় দীপকের

    Anubrata Mandal: টাকা নিয়ে অভিযোগ দায়ের! অনুব্রত মামলায় বিস্ফোরক দাবি শিবঠাকুরের আত্মীয় দীপকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মামলায় রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে সব সমীকরণ। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal), দিল্লিযাত্রা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু দুবরাজপুরের তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলের (Shib Thakur Mondal)করা মামলার জেরে অনুব্রতকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। বড়দিনের আগে আর অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেওয়া হয় না ইডির। 

    সাজানো মামলা

    এখন প্রশ্ন হঠাতই এই মামলা সাজানো নয় তো? অভিযোগ, এক বছর আগে শিবঠাকুরকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল!যেদিন অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পায় ইডি, সেদিনই শিবঠাকুরের মনে হয়েছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে! তার ভিত্তিতেই এখন অনুব্রত দিল্লির পরিবর্তে নিজের জেলা বীরভূমে! জেলের পরিবর্তে পুলিশি হেফাজতে! জোরালভাবে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়া রুখতেই কি শিবঠাকুরকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে ? পুরোটাই কি পরিকল্পিত চিত্রনাট্য় ? খোদ অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডলের কথাতেও উঠে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি!এরই মধ্যে দীপক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে শিবঠাকুরের দূরসম্পর্কের কাকা বলে পরিচয় দিচ্ছেন, তিনি দাবি করেন,“মনে হয় এটা ওর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। চক্রান্ত করে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা আটকানোর জন্যই মনে হয় ওকে কিছু টাকা-পয়সা দিয়ে এই এফআইআর করিয়ে নিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    শিবঠাকুর প্রসঙ্গে দীপক

    শিবঠাকুর প্রসঙ্গে দীপক মণ্ডল বলেন, “প্রচুর দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রচুর টাকা নয়-ছয় করেছে। এলাকার মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের থেকে টাকাও নিয়েছে। বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করেছে।” দীপক মণ্ডলের দাবি, সেই প্রতারিতদের তালিকায় তিনি নিজেও রয়েছেন। তাঁর ছেলের চাকরি দেওয়ার নাম করে শিবঠাকুর দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন । শিবঠাকুরের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কের বিষয়ে দীপক বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর একেবারে দারুণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। অনুব্রত যে ওনাকে মারতে যাবেন, তা আমি একেবারেই বিশ্বাস করতে পারছি না।” অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শিবঠাকুরের একটি ‘বিরাট যোগসূত্র’ রয়েছে বলেই দাবি করেন দীপক। যদিও দীপকের দাবি উড়িয়ে দেন শিবঠাকুর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid 19 Update: ফের করোনা-ঢেউয়ের ভ্রুকুটি! রাজ্যে কোভিড নজরদারিতে বিশেষ কমিটি

    Covid 19 Update: ফের করোনা-ঢেউয়ের ভ্রুকুটি! রাজ্যে কোভিড নজরদারিতে বিশেষ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে চিনের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণনস্বরূপ নিগমকে এ নিয়ে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। চিনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা শুনে বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘আমাদের স্বাস্থ্য দফতরকে একটু খবর রাখতে বলব। চিনে যে ভাবে ছড়াচ্ছে… যাঁরা এই রোগটি সম্পর্কে বোঝেন, তাঁদের নিয়ে একটি টিম গঠন করুন।’’ মুখ্যমন্ত্রীই জানিয়ে দেন, ওই দলে কারা কারা থাকবেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই টিমটাকে নেতৃত্ব দেবেন স্বাস্থ্যসচিব। থাকবেন ডিএম, ডিএইচএসও।’’

    রাজ্যে করোনা নজরদারিতে নতুন কমিটি

    চিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এ রাজ্যেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এ নিয়ে তিনি একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মতো নজরদারি কমিটিও গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই ওই কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে। এ ছাড়াও ওই কমিটিতে করোনা চিকিৎসার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কোভিড বিশেষজ্ঞদের রাখা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘ভিড়ে মাস্ক পরুন, বুস্টার ডোজ নিন’, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তর পরই পরামর্শ কেন্দ্রের

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসতে পারে ওই কমিটি। কোভিড পরিস্থিতির বিষয়টি নজরে রেখে ভবিষ্যতে কী কী নির্দেশিকা জারি করা যেতে পারে, এই বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো নিয়মের উপর আবার জোর দেওয়া নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পৌনে তিন বছর পর গত শনিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নেমে গিয়েছিল। এর পর মঙ্গলবারই রাজ্যে সাত জন করোনা আক্রান্তের হদিস মেলে। মৃত্যুও হয় এক জনের।

    কেন্দ্রের সতর্কতা

    কোভিডের চোখ রাঙানিতে উদ্বেগ বাড়ছে জাপান, কোরিয়া ও আমেরিকায়। বিপদের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে ভারতেও। চিনে যে ওমিক্রন সাব ভ্যারিয়েন্ট তাণ্ডব চালাচ্ছে, সেই বিএফ.৭-র হদিশ মিলেছে এ দেশে। ওড়িশার একজন, আর গুজরাটে দু’জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে নয়া প্রজাতির ভাইরাস। স্রেফ রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা নয়, এদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ফের কিছু কিছু বিধিনিষেধ জারি করা যায় কি না, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। রিপোর্ট পজিটিভ হলেই, নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Group-D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও মোটা টাকার লেনদেন! আজ থেকেই ইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Group-D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও মোটা টাকার লেনদেন! আজ থেকেই ইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির একটি মামলায় (Group-D Recruitment Scam) ফের ইডি-তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লক্ষ্মী টুঙ্গা নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় আজ ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সন্দেহ, সাদা ওএমআর শিটে মোটা টাকার বিনিময়ে বিকৃতি ঘটিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর তা তদন্ত করতেই এবারে এই মামলাতেও ইডিকে যুক্ত করলেন বিচারপতি।

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি তদন্তের নির্দেশ

    উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) (Group-D Recruitment Scam)। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ১০০টি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এসএসসিকে এই ১০০ ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবীকে আদালতের নির্দেশ, ২,৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে। সিবিআই এই বিকৃত ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করেছে।

    আরও পড়ুন: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    আর এর পরেই গ্রুপ ডি-র প্রায় ১০০টি খাতা খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, অধিকাংশ খাতাই সাদা। কয়েকটি খাতায় পরীক্ষার্থীরা ১ – ৪ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু এসএসসি-র সার্ভারে সেই নম্বরই দেখাচ্ছে ৪৩। ফলে বিচারপতির প্রশ্ন, “এসএসসি-তে সেই সময় কে ছিলেন চেয়ারম্যান?” উত্তরে আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য ছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান। এর পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, “সিবিআইকে কি সুবীরেশ সব বলেছেন? যাঁর নির্দেশে করেছেন, তাঁর নাম কি বলেছেন? অধিকাংশ ওএমআর শিট ফাঁকা। বিশ্বাস করি না, টাকা ছাড়া এই ম্যানুপুলেশন সম্ভব। ইডিকে সব মামলায় যুক্ত করব। কোনও ব্যক্তি যেন পালিয়ে না যায়।”

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতেই গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ইডি ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মানিক ভট্টাচার্যকে। এবার আরও একটি মামলায় তদন্তভার যাচ্ছে ইডি-র হাতে। গ্রুপ ডি নিয়োগেও (Group-D Recruitment Scam) টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, টাকা কার কাছে যেত? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এবারে তদন্ত করবে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Anubrata Mondal: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক স্বস্তি! আপাতত বছরের শেষে আর দিল্লি যেতে হচ্ছে না গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতের  দিল্লি যাত্রার বিষয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট৷ সেখানে বলা হয়েছে, সেই আদালতে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি। এর ফলে শুধু বছরের শেষই নয়, আগামী বছরের শুরুটাও নিজের রাজ্যেই থাকতে পারবেন কেষ্ট।

    আদালতের স্থগিতাদেশ

    গরু পাচার মামলায় জেরার জন্য বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) আবেদন জানান অনুব্রতর আইনজীবী। বুধবার সেই মামলাতেই স্বস্তি পেলেন তৃণমূল নেতা। জানানো হল, আপাতত তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রথমে মামলাটি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি জয়রাম ভাম্বানির বেঞ্চে উঠেছিল। পরে অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বলের আর্জি মেনে মামলার বেঞ্চ বদল হয়। বুধবারই বিচারপতি যশমীত সিং-এর বেঞ্চে শুনানি হয়। এদিন বিচারপতি জানান, পরবর্তী শুনানির দিন যা রায় দেওয়া হবে, তা জানার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে ই মেল করে দিল্লি হাইকোর্টকে লিখিত ভাবে জানায় যে, তারা এখনই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট কাজে লাগাবে না। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    আগামী শুক্রবার থেকে দিল্লি হাইকোর্টে বড়দিনের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি যশমীত সিং নিজেও ছুটিতে যাচ্ছেন। অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে না। তাই শুনানির দিন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি হবে। ফলে এবছর আর অনুব্রতর দিল্লি যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা রইল না। বছরের শুরুটাও তিনি নিজ ভূমেই কাটাতে পারবেন। এর ফলে অনুব্রত অনেকটা সময় পেয়ে যাচ্ছেন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ajanta Circus: দু’বছর পর কলকাতার বুকে ফের ফিরে এল ঐতিহ্যবাহী অজন্তা সার্কাস

    Ajanta Circus: দু’বছর পর কলকাতার বুকে ফের ফিরে এল ঐতিহ্যবাহী অজন্তা সার্কাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শীত মানেই ছিল সার্কাস। কিন্তু মোবাইলের যুগে সেসব এখন সব অতীত। বন্য প্রাণী সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধের কারণে এখন সার্কাসে পশুপাখি বলতে রয়েছে কিছু ম্যাকাও পাখি ও কুকুর৷ বিদেশি জিমন্যাস্টরাও নেই। ফলে সার্কাসে আগের মতন দর্শক আসে না। নেই তেমন জৌলুসও। তার পর করোনার দাপটে দুবছর সার্কাস বন্ধ ছিল। তবে এসবের পরেও কিছু চমক নিয়ে ফের হাজির হয়েছে সার্কাসের দল৷ ৫০ বছর ধরে মানুষের মনোরঞ্জন করা অজন্তা সার্কাস (Ajanta Circus) ফিরে এল কলকাতার বুকে। কোভিড মহামারীর জন্য বন্ধ ছিল সার্কাসের দরজা, কিন্তু এবারে নতুন আকর্ষণীয় খেলা নিয়ে ফিরে এসেছে তারা।

    ফের অজন্তা সার্কাস কলকাতার বুকে

    অজন্তা সার্কাস (Ajanta Circus) ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় সার্কাস, যা ৫০ বছর ধরে মানুষদের মনোরঞ্জন দিয়ে আসছে। আগের মত তেমন জাঁকজমক না থাকলেও মানুষ একেবারেই ভুলে যায়নি সার্কাসকে। কোভিডের জন্য দুবছর সার্কাস বন্ধ থাকলেও ফের হাতেগোনা দর্শক নিয়ে শুরু হল অজন্তা সার্কাস৷ নিজেদের ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছে তারা।

    অজন্তা সার্কাসের ম্যানেজার কী বললেন?

    অজন্তা সার্কাসের (Ajanta Circus) ম্যানেজার সুজিত ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সার্কাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে আগের মত জনপ্রিয় নয়, প্রাণীর ব্যবহারে বিভিন্ন বিধি নিষেধের কারণে সার্কাসটি প্রথমে তার জনপ্রিয়তা হারায়। তারপর আসে মহামারী, যার ফলে সার্কাসের অনেক ক্ষতি হয়। বাইশ বছর ধরে সার্কাসের সঙ্গে যুক্ত সুজিত ঘোষ বলেন, “সার্কাস শোতে বন্যপ্রাণী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ও শ্রম আইনের কঠোরতার কারণে আমাদের সার্কাস আগের মত দর্শকদের আকর্ষণ করে না। এছাড়াও কোভিড ১৯-এর বিধি নিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক শিল্পীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে আমরা তাদের এখন ভিসা ও পাসপোর্টের ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া আবার শুরু করেছি এবং তাঁরা খুব শীঘ্রই ফিরে আসবেন। তিনি আরও বলেন, “কোভিডের পরে সার্কাস ফিরিয়ে আনা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু কলকাতা লোকেদের এখনও আমাদের শোগুলির জন্য অনেক আগ্রহ রয়েছে। তারা সার্কাসে আসছেন এবং আগের মত উপভোগ করছেন। আমরা আশা করি, আগামী দিনে ভালো ব্যবসা করতে পারব।” 

    তিনি টিকিটের ও শো টাইমের ব্যাপারেও বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১০০-৪০০ টাকা। তাঁরা আবার অনলাইনে টিকিট বুক করার ব্যবস্থাও চালু করেছে, যাতে দর্শকদের লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে না হয়। গত একমাস ধরে এই অজন্তা সার্কাস(Ajanta Circus) চলবে৷ শুরু হবে দুপুর ১টা থেকে৷ শেষ হবে সন্ধ্যে ৭ টা পর্যন্ত৷ দিনে দুটো-তিনটে শো-এ তাদের সার্কাস চলছে৷ কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে বিপুল দর্শকের আশাবাদী সার্কাস কর্মীরা৷

  • Recruitment Scam: দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের, জানুন কারণ

    Recruitment Scam: দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের, জানুন কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে নয়া প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী দু মাসের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে নতুন প্যানেল প্রকাশের নির্দেশও দিল আদালত।

    ফায়ার অপারেটর নিয়োগে দুর্নীতি…

    দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন ২০৩ জন প্রার্থী। আদালতে তাঁরা জানান, নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, অসংরক্ষিত প্রার্থীর নাম ঢোকানো হয়েছে সংরক্ষিত প্রার্থীর তালিকায়। তাছাড়া বেশ কয়েকটি প্রশ্নে ভুলও ছিল। সেগুলির সমাধান না করেই নিয়োগ করা হয়েছে। প্রার্থীদের আরও অভিযোগ, অনেকেই একই নম্বর পেয়েছেন। তারপরে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অনেককে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ তুলে প্যানেল বাতিলের আর্জি জানান প্রার্থীরা। যদিও প্রার্থীদের অভিযোগ মানতে চায়নি রাজ্য সরকার।  

    আরও পড়ুন: লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডির তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ কলকাতা হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৮ সালে। সব মিলিয়ে ১,৫০০ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষে হয় মৌখিক পরীক্ষা। সব শেষে হয় প্যানেল প্রকাশ। প্যানেল প্রকাশিত হতেই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ (Recruitment Scam)। মামলা করেন বাসুদেব গোস্বামী সহ কয়েকজন প্রার্থী। প্রথমে মামলাটি ওঠে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে। পরে যায় উচ্চ আদালতে। এদিন প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি এবং টেটে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে চলে এল দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেশ চাপে রাজ্য। এমতাবস্থায় দলের মুখ বাঁচাতে তৃণমূল নেত্রী কী করেন, এখন তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর! রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতাকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর! রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর। শুক্রবার রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ দিন প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু কড়া হুঁশিয়ারির সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। এ দিন রানাঘাটের ফ্রেন্ডস ক্লাব ময়দানে সভা করে বিজেপি। সেখানে শুভেন্দু দাবি করেন, “দল একটা দায়িত্ব দিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হবে। হারিয়েছি। আর একটা কাজ বাকি আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। সে কাজটা আমি করব। আপনাদের নিয়েই করব।”

    অভিষেকের পাল্টা সভা

    শুক্রবার রানাঘাটে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। পরে একই দিনে সেখানে পাল্টা সভা করেন শিশির পূত্র শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। নদিয়ার মতুয়া গড় রানাঘাটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ভোট লুঠ করে ২০১৮ সালে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তার জবাব দেওয়ার পালা। এদিন শুভেন্দু বলেন, “বাংলায় দুর্নীতির সরকার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনার নাম বদলে দুর্নীতি করেছে, একশো দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছে। এখন বলছে একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের সরকার। আমি আর আমাদের রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি, যে অবৈধভাবে টাকা নেবে তাঁর টাকা ফেরত নিয়ে ছাড়ব।”

    আরও পড়ুন: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    আসল চোর

    এদিনও শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মূল নিশানায় ছিলেন মমতা। এ দিন তাঁর বক্তব্য, ‘‘আসল চোর কোথায় বসে আছে? চোদ্দো তলায় (নবান্ন)। টেনে নামাতে হবে।’’ একই সঙ্গে নদিয়ার সভা থেকে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বড় ডাকাত, যাঁকে আমি ‘হালি নেতা’ বলি, তিনি যার আলোকে আলোকিত তাকে শুভেন্দু অধিকারী হারিয়েছে। এখানে এসে বলছে, প্রধান চোর?” কাঁথির মতো এখানেও ‘পার্থ-কেষ্ট চুনোপুঁটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি’ স্লোগান দিয়ে দুর্নীতির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে শুভেন্দু বলেন, “হাওয়াই চটিকে ধরতে হবে। রানি মৌমাছি নিজে মধু সংগ্রহ করে না। শ্রমিক মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে আর রানি মৌমাছি সেই মধু উপভোগ করে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

  • Money Laundering Case: ইডির নজরে কলকাতা টিভির কর্ণধার, ছ’টি জায়গায় ফের তল্লাশি অভিযান

    Money Laundering Case: ইডির নজরে কলকাতা টিভির কর্ণধার, ছ’টি জায়গায় ফের তল্লাশি অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা টিভির কর্ণধার কৌস্তুভ রায়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা ৬টি জায়গায়। আর্থিক তছরুপ মামলায় (Money Laundering Case) আরপি ইনফোসিস্টেম লিমিটেড এবং কলকাতা টিভির মালিক কৌস্তুভ রায় সম্পর্কিত ছয়টি জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে ইডির তদন্তকারীরা কলকাতা টিভির মালিক কৌস্তুভ রায়ের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। এরপর একই মামলায় আরও ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

    ইডির তল্লাশি অভিযান

    এদিন তল্লাশি অভিযানের সময় ইডির তদন্তকারীরা বেশ কিছু অপরাধমূলক নথি এবং ইলেকট্রনিক গ্যাজেট জব্দ করেছে। কৌস্তুভ রায় এবং তাঁর সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই দুটি এফআইআর দায়ের করার ভিত্তিতে ইডি আর্থিক তছরুপের মামলা (Money Laundering Case) নথিভুক্ত করেছে। কৌস্তুভ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি কানাড়া ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ব্যাঙ্কগুলির কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ইডির তদন্ত চলাকালীন, ২২.৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় তদন্ত এখনও করে চলেছে ইডির তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালে ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় (Money Laundering Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন কৌস্তুভ রায়। আর পি গ্রুপের কর্ণধার কৌস্তুভ রায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ৫১৫ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। কৌস্তুভের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে শিবাজি পাঁজাকেও।

    কৌস্তুভ ও শিবাজির বিরুদ্ধে ঋণ নিয়ে প্রতারণার মামলা দায়ের করে কানাড়া ব্যাঙ্ক-সহ ১০টি ব্যাঙ্ক। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। বেশ কয়েকবার কৌস্তুভ রায়ের বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কৌস্তুভ রায় ও শিবাজি পাঁজাকে তলবও করে সিবিআই। কিন্তু তাঁদের জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর পি কর্ণধার কৌস্তুভ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে ভুয়ো নথি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরে ঋণ শোধ করেননি আর পি গ্রুপের কর্ণধার। এরপর তিনি জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু সিবিআইয়ের পর এবারে ফের ইডির নজরে কৌস্তুভ রায় (Money Laundering Case)।

LinkedIn
Share