Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Menaka Gambhir: রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ অভিষেকের শ্যালিকা মেনকার, হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    Menaka Gambhir: রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ অভিষেকের শ্যালিকা মেনকার, হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের (Menaka Gambhir) বিদেশ যাওয়ার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর এই আর্জি খারিজ করে দেয়। সুতরাং সিঙ্গল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেটাই বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা গম্ভীর। কারণ তাঁর মা অসুস্থ। আর এই কারণ দেখিয়ে ব্যাংকক যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ মেনকার

    কয়লা পাচার মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা (Menaka Gambhir)। মেনকা গম্ভীরকেও ইডি কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল দিল্লিতে। ইডির নির্দেশ পাওয়া মাত্রই মেনকা গম্ভীর দারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। এবং সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইডির আঞ্চলিক অফিস কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে মেনকা গম্ভীরকে। পাশাপাশি মেনকার বিরুদ্ধে কোনরকম কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ফলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাঁর স্বস্তি ছিল। কিন্তু আজকের দিনে মেনকা গম্ভীরের কোনও রক্ষাকবচ নেই।

    হাইকোর্টের দেওয়া রক্ষাকবচের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের নোটিশের ওপর ভিত্তি করেই এদিন হাইকোর্টে বিদেশযাত্রার আবেদন করেন অভিষেকের শ্যালিকা (Menaka Gambhir)। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চেও। মেনকা ভারতীয় নাগরিক না হয়েও নিজেকে ভারতীয় নাগরিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এছাড়াও ইডির আবেদনে আপাতত হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উল্লেখ্য, সেই রক্ষাকবচ খারিজের দাবিতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। তবে জানা গিয়েছে, মেনকা নতুন করে সিঙ্গল বেঞ্চেই আবেদন করতে পারবেন এবং সেখানেই মামলাটি খারিজ করতে হবে। ফলে আদালত না খোলা পর্যন্ত স্বস্তি পেল মেনকা (Menaka Gambhir)।

  • Anubrata Mondal: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    Anubrata Mondal: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় এখনই জামিন মিলল না অনুব্রতের (Anubrata Mondal)। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঠাঁই হয়েছে এখন দুবরাজপুর থানায়। শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের পরে তাঁকে বর্তমানে রাখা হয়েছে দুবরাজপুরে। আজ, গরু পাচার মামলায় হাইকোর্টে অনুব্রতের জামিনের মামলা ছিল। আর সেই মামলার শুনানিতেই শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের কেস ডায়েরি চায় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অনুব্রতের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশে যে মামলা হয়েছে, তার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। এছাড়াও এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী অনুব্রতকে কটাক্ষ করে ‘ভিআইপি’ তকমা দিয়েছেন।

    কী ঘটেছে হাইকোর্টে?

    আজ হাইকোর্টে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) জামিন মামলা ছিল। কিন্তু এই মামলার শুনানিতে জামিন তো দূরের কথা, বিচারপতি কেষ্টর বিরুদ্ধে নতুন মামলার কেস ডায়েরি চেয়ে বসলেন। একই সঙ্গে আসানসোল বিশেষ আদালতের বিচারকের হুমকি পাওয়ায় যে অভিযোগ উঠেছিল, সে কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন বিচারপতি। সে বিষয়ে রাজ্য কী তদন্ত করেছে, সেটাও জানতে চায় আদালত। ফলে আজ শুনানি শেষে জামিনের মামলা আরও পিছিয়ে গেল। পরবর্তী শুনানি হবে ৩ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) মামলায় সব নথি সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের হাতে জমা করা হয়নি। এই মর্মে তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে শুক্রবার ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির হাতে জমা করতে বলেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

    বিচারপতি কেষ্টর আইনজীবীকে কী বললেন?

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হয়ে আদালতে লড়েছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি এদিন আদালতকে জানান, নতুন মামলায় রাজ্য পুলিশ কেষ্টকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। রাজ্য আগামী শুনানিতে কেস ডাইরি হাজির করবে বলে জানানো হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মজা করে বলেন, “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি, যে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চায়। ভিআইপিদের ক্ষেত্রে এটা হয়। সবাই নজরে রাখে।” এছাড়াও বিচারপতি এদিন জানতে চান, আর নতুন করে কোনও মামলা অনুব্রতর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে কি না, কোনও মামলা পেন্ডিং রয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়। ফলে এই সব সওয়াল-জবাবের পর নতুন মামলার কেস ডায়েরি চাওয়া হয় ও জামিন মামলা পিছিয়ে যায়।

  • Nandigram: সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে, মাথা ফাটল ভোটারের

    Nandigram: সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে, মাথা ফাটল ভোটারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)। এবার অশান্তির কারণ সমবায় সমিতির নির্বাচন। শুক্রবার তৃণমূল (TMC) বিজেপি (BJP) সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি এলাকা। সংঘর্ষে মাথা ফেটেছে এক ভোটারের। বিজেপির দাবি, সংঘর্ষে জখম হয়েছেন তাঁদের এক কর্মীও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    সমবায় সমিতির নির্বাচন…

    এদিন ছিল নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ভেতুরিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচন। সকাল থেকেই এলাকায় ছিল টানটান উত্তেজনা। অশান্তি হতে পারে আঁচ করে সকাল থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল ও বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেওয়াল তৈরি করে জেলা পুলিশের কমব্যাট ফোর্স। তার পরেও এড়ানো যায়নি সংঘর্ষ। দু পক্ষের সংঘর্ষে মাথা ফাটে এক ভোটারের। ঝরঝর করে রক্ত পড়তে থাকে। পদ্ম শিবিরের দাবি, সংঘর্ষে জখম হয়েছেন তাঁদেরও এক কর্মী। অশান্তির এই আবহেই শুরু হয় ভোট গ্রহণ।

    আরও পড়ুন: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

     নন্দীগ্রামের (Nandigram) এই সমবায় সমিতির আসন সংখ্যা ১২। তবে ভোট হচ্ছে ১১টি আসনে। প্রথমে ১২টি আসনেই প্রার্থী দেয় তৃণমূল ও বিজেপি। বামেরা প্রার্থী দেয় ৬টি আসনে। সবকটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিলেও, পরে সংখ্যালঘু এক মহিলা প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। প্রত্যাশিতভাবেই ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। সেই কারণে এদিন ভোট নেওয়া হয় ১১টি আসনে।

    এদিন সকাল থেকেই এলাকায় ছিল টানটান উত্তেজনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছে তৃণমূল। যদিও রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, এই সমবায় সমিতি নির্বাচনে জোর করে জিততে চাইছে বিজেপি। নির্বাচনে গোলমাল পাকানোর কারণে নিয়ে আসছে বহিরাগতদের। প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এর পরেই যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। হয় রক্তারক্তি কাণ্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: ১৬৯৮ জন ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: ১৬৯৮ জন ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার এই চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশেই কার্যত এসএসসি চাকরি প্রাপকদের ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। একই প্রার্থীর ওএমআর শিটের মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর আর এসএসসি (SSC Recruitment Scam)-র তালিকায় থাকা নম্বরের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক নজরে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই তথ্য হাইকোর্টে জমাও দেওয়া হয়েছে। বুধবারই ‘গ্রুপ ডি’ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সেই ওএমআর শিট বিকৃতির কথা হাইকোর্টে তুলে ধরেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার নিয়োগ মামলায় ওএমআর বিকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যে সব প্রার্থীদের উত্তরপত্র নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে, এদিনই বেলা তিনটের মধ্যে তাঁদের তালিকা তুলে দিতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নাম, স্কুলের নাম, ঠিকানা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   

    এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “নিয়োগে দুর্নীতির জেরে ইতিমধ্যেই ছাত্রদের ক্ষতি হয়েছে। আর নয়। এক মুহূর্তও আর চাকরি করবেন না ওই প্রার্থীরা। একদিনও এদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুন: বড়দিনেও জেলে, পার্থ-সুবীরেশদের জামিনের আর্জি খারিজ আদালতের

    কী দাবি করেছে সিবিআই

    সিবিআই- এর আদালতে জমা (SSC Recruitment Scam) দেওয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ওএমআর শিটের নম্বর বদল করা হয়েছে। সিবিআই উদাহরণ তুলে ধরে বলে, “যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৩, তিনি ওএমআর শিটে আসলে পেয়েছেন শূন্য।” গাজিয়াবাদের সংস্থা নাইসার দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান এমন প্রার্থীর সংখ্যা কত। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে ১৬৯৮। তাঁদের সম্পর্কিত তথ্য জমা দিতে বলেন বিচারপতি।  

    পর্ষদ তার জন্য সময় চায়, কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, কোনও সময় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবারই তাই নাম, ঠিকানা জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিনই হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ ডি পরীক্ষার ১০০ টি ওএমআর শিট প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    অভিযুক্তদের (SSC Recruitment Scam) বেতনও ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতরকে হিসাব করতে বলুন, এঁদের এখনও পর্যন্ত কত টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। সব ফেরত নিতে হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: এখনও কেন আড়ালের চেষ্টা? স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: এখনও কেন আড়ালের চেষ্টা? স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ কর্ম নিয়ে বিচারপতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ” ৯৫২টি বিকৃত ওএমআর (OMR) শিট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। ওই ওএমআর (OMR) শিট দেখার জন্য কোনও প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই পদ্ধতি?  কিসের জন্য আড়াল করার চেষ্টা?”

    কী বললেন বিচারপতি

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “এই ধরনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনা উচিত। কিন্তু কমিশন এখনও আড়াল করার চেষ্টা করছে? আদালতের নির্দেশের পরেও স্বচ্ছতার ধার ধারছে না কমিশন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই ভূমিকায় আদালত মোটেও সন্তুষ্ট নয়।” কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “আদালতের নির্দেশের পরও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ দেখে আশ্চর্য হলাম। ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। সেখানে কেন প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই ঘোমটা?” “এই দুর্নীতি তো জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। সেখানে এখনও কেন আড়াল করছে কমিশন?” এর পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের যুক্তি

    পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কমিশনের আইনজীবী বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওএমআর (OMR) শিট পুরোপুরি লোড করা যায়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব নির্দেশ সঠিকভাবে পালিত হবে বলেও আশ্বস্ত করেন কমিশনের আইনজীবী। দুপুর ১২টা নাগাদ আদালতে হাজিরা দিয়ে কমিশনের সচিব অর্ণব চট্টোপাধ্যায় বিচারপতিকে জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরপত্রগুলি সকলে দেখতে পাচ্ছেন না। খুব দ্রুতই এই সমস্যা কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই সবাই উত্তরপত্রগুলি দেখতে পারবেন। কাল ফের মামলার শুনানি। ‘কীভাবে ওএমআর (OMR) শিট বিকৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে তা নজর রাখবে, আদালত।’ মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Update: শীতের আমেজেই ঘুম ভাঙল শহরবাসীর! বড়দিনে থাকবে না ঠান্ডা, ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের

    Weather Update: শীতের আমেজেই ঘুম ভাঙল শহরবাসীর! বড়দিনে থাকবে না ঠান্ডা, ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হঠাতই উধাও শীতের আমেজ। বেশ কয়েকদিন তাপমাত্রার পারদ উপরে উঠলেও বৃহস্পতিবার সকালে শহরবাসীর ঘুম ভাঙলো শীতের আমেজ গায়ে নিয়েই। বৃহস্পতিবার ফের ভেলকি দেখাল শীত। কলকাতার তাপমাত্রা ফের নেমে গেল চোদ্দর ঘরে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় তাপমাত্রা ১৪.৮ ডিগ্রি। তবে এই ঠান্ডা স্থায়ী নয়। আগামী চারদিনে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের দরুণ তাপমাত্রার পারদ চড়বে। শুক্র,শনি,রবি,সোম এই চারদিনে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বড়দিনে আবহাওয়া গরম থাকবে। 

    কুয়াশার দাপট

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে বঙ্গোপসাগরে। এর ফলে জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিনে আরও বাড়বে তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের উপরে থাকবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। কার্যত উষ্ণতাতেই কাটবে বড়দিন। শুক্রবার থেকে সোমবারের মধ্যে তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে অনুমান আবহাওয়া দফতরের। রাজ্যে কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকবে উত্তরবঙ্গের মালদা ও দুই দিনাজপুরে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে। ঘূর্ণাবর্তের জেরে উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমেছে দক্ষিণবঙ্গে। এর ফলে শীতের আমেজ কমছে রাজ্যে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি জারি থাকবে। তারপর থেকে আরও একটু তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে জলীয় বাষ্প ঢুকবে আর তার ফলেই রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কাঁথি লোকসভা উপহার দেবেন, সভার আগে বললেন শুভেন্দু

    কনকনে ঠান্ডার আশা

    রাজ্যের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যাবে। দক্ষিণবঙ্গে সকালে কুয়াশা থাকলেও পরে পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। তাপমাত্রার এই ওঠা নামার ফলে কনকনে শীত উপভোগ করতে পারছে না শহরবাসী। হঠাৎ ঠান্ডা, হঠাৎ গরমের ফলে সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ লেগেই থাকছে বড় থেকে ছোটদের মধ্যে। তাই বড়দিন ও বর্ষশেষের আগে কনকনে ঠান্ডা চাইছে শীতবিলাসীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Santragachi: শেষ হল ভোগান্তির, বড়দিনের আগেই খুলে গেল সাঁতরাগাছি সেতু

    Santragachi: শেষ হল ভোগান্তির, বড়দিনের আগেই খুলে গেল সাঁতরাগাছি সেতু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খারাপ হয়ে গিয়েছিল সাঁতরাগাছি (Santragachi) সেতুর এক্সপ্যানসন জয়েন্টগুলি। সেই কারণে শুরু হয়েছিল সেতু সংস্কারের কাজ। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হচ্ছিল কাজ। শেষমেশ শুক্রবার ভোরে খুলে দেওয়া হয় কলকাতায় (Calcutta) ঢোকার গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু। এদিন ভোর পাঁচটা থেকে সেতুর দুই লেনেই গাড়ি চলাচল করতে শুরু করে। সেতু খুলে দেওয়ায় মাসাধিক কাল ধরে যে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল যাত্রীদের, তার অবসান হল এদিন কাকভোরে।

    সাঁতরাগাছি সেতু…

    চলতি বছরের নভেম্বরের ১৯ তারিখে শুরু হয়েছিল সাঁতরাগাছি সেতুর এক্সপ্যানসন জয়েন্টগুলি সংস্কারের কাজ। তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। সেতু সংস্কারের জন্য যান নিয়ন্ত্রণও করা হচ্ছিল। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হচ্ছিল যান চলাচল। সাঁতরাগাছির এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার গাড়ি চলাচল করে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে সংস্কারের কাজ চলায় মাসাধিক কাল ধরে যানজট ছিল নিত্য সঙ্গী। শেষমেশ অবসান হল সেই যানজটেরই।

    আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, কী কী বিধি জারি করল কেন্দ্র?

    প্রথমে ঠিক ছিল, সেতু খোলা হবে নতুন বছরের আগেই। তার বেশ কয়েকদিন আগেই শেষ হয়ে যায় কাজ। তাই খুলে দেওয়া হয়েছে সেতু। সেতু খোলা নিয়ে বৃহস্পতিবারই পূর্তমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শেষ হয়েছে সেতু সংস্কারের কাজ। শুক্রবার থেকেই স্বাভাবিকভাবে সাঁতরাগাছি (Santragachi) সেতুতে যান চলাচল করবে। সেই মতো এদিন সকালেই খুলে গিয়েছে  সেতু। আপাতত ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে হাওড়া সিটি পুলিশ। নজরদারি চলবে চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত।

    ২০১৬ সালে একবার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থাকা সাঁতরাগাছি সেতুর এক দিকের ২১টি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট বদলানোর কাজ হয়েছিল। সেবারও সেতুর একটি দিকের লেন বন্ধ করে কাজ হয়েছিল। এবার ফের অন্য একটি দিকের লেনের কাজ হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই দফায় সেতুর একটি লেন বন্ধ রেখে ২০টি করে মোট ৪০টি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট বদলানো হয়েছে। গাড়ি চলাচলের ভার, কম্পন, তাপমাত্রার তারতম্য নিয়ন্ত্রণ করে সেতুর ভারসাম্য বজায় রাখে এই এক্সপ্যানশন জয়েন্ট। এ জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, সেতুর রাস্তার উপরিভাগ আগের থেকে মসৃণ হয়েছে ঢের বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Justice Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট পাশরাও, নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট পাশরাও, নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার থেকে অংশ নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট পাশ করা প্রার্থীরাও। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাথমিকের নিয়োগে কেন্দ্রীয় টেট (সিটেট) উত্তীর্ণরাও আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তবে পরবর্তীকালে তাঁদের চাকরির সুপারিশে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে হাই কোর্ট।

    এত দিন রাজ্যে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র রাজ্যের আয়োজিত টেট পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীরাই অংশ নিতে পারতেন। কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের অংশগ্রহণ করার কোনও সুযোগ ছিল না। বৃহস্পতিবারের নির্দেশের পরে তাঁরাও এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই আগে থেকে এই নিয়ম চালু আছে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতে কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারেন। কিন্তু এ রাজ্যে এতদিন এই নিয়ম ছিল না। এ নিয়ে আদালতে মামলা করেন এক কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী। মামলার শুনানিতে বৈষম্যের বিষয়টি উল্লেখ করেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এই নির্দেশের ফলে রাজ্যের নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরাও। শেষ পর্যন্ত রাজ্যে চাকরির নিয়োগপত্র তাঁরা হাতে পাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    আরও পড়ুন: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীরাই মূলত কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় বসেন। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এতদিন কেবল পশ্চিমবঙ্গ কাউন্সিল বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীরাই অংশগ্রহণ করতে পারতেন। এবার হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদেরও রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার অনুমতি (Justice Abhijit Gangopadhyay) দেওয়ার পরে রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিযোগিতা আরও খানিকটা বাড়ল।

    চাকরিপ্রার্থীদের পাশেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) পর্যবেক্ষণে বলেন, “এই ধরনের কড়া নির্দেশ নতুন কিছু নয়।” এসএসসি হোক বা প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির মামলা, বারবার একাধিক কড়া এবং ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বরাবর। এবারও কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার নির্দেশে তেমনটাই দেখা গেল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jitendra Tiwari: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট

    Jitendra Tiwari: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনই গ্রেফতার করা যাবে না বিজেপি নেত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে। জিতেন্দ্র-জায়াকে (Jitendra Tiwari) রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে তাঁকে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে বলেও পরিষ্কার জানিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এছাড়া সপ্তাহে ২ দিন ২ ঘণ্টা করে তাঁকে তদন্তকারীরা জেরা করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

    কী বলেছে আদালত? 

    আদালতের তরফে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, পদপিষ্ট হয়ে যেখানে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে তদন্তে সহযোগিতা করতেই হবে। তবে চৈতালি তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) ৩ সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন তিনি। এছাড়া সোমবার ও শনিবার ২ ঘণ্টা করে চৈতালিদেবীকে জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: থমকে যাচ্ছে শীত, বিপদ বাড়ছে ডেঙ্গির, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও 

    উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর নিজের ওয়ার্ডে এক শিবচর্চা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। সেই অনুষ্ঠানে ৫,০০০ কম্বল বিতরণ করার কথা ছিল। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু মঞ্চ থেকে নামতেই, ওই এলাকায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১ নাবালিকাসহ মোট ৩ জনের। সেই ঘটনায় চৈতালি তিওয়ারি সহ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তার পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার চৈতালিদেবীকে জেরা করতে আসানসোলে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু বুধবার থেকেই সেই বাড়িতে তালাবন্ধ। ফলে ফিরে আসতে হয় পুলিশকে। 

    ওই মামলায় নাম থাকা আরও কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচের ফলে এই মামলায় চৈতালিকে (Jitendra Tiwari) এখনই গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। তবে তাঁকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলেই হাজিরা দিতে হবে চৈতালিকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

      

  • Kolkata Dengue: থমকে যাচ্ছে শীত, বিপদ বাড়ছে ডেঙ্গির, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও

    Kolkata Dengue: থমকে যাচ্ছে শীত, বিপদ বাড়ছে ডেঙ্গির, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত পড়লেই ডেঙ্গি উধাও হয়ে যাবে। তখন আর চিন্তা করতে হবে না। বিধানসভায় দাড়িয়ে মাস খানেক আগে এমনই অভয় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি বেশ অন্যরকম। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ডেঙ্গির (Kolkata Dengue) চোখ রাঙানি রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে, বিপদ কিন্তু বাড়বে।  

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেখা গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গড়ে দৈনিক আক্রান্ত ছিলো ১৮৯ জন। দ্বিতীয় সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে হয় ১৯২ জন। চলতি সপ্তাহেও দৈনিক সংক্রমণ (Kolkata Dengue) শতাধিক হয়েছে বলেই আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের।

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, শীতে মশার (Kolkata Dengue) দাপট কমে। আবহাওয়ার তারতম্যের জেরেই মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ কমে। শীতে মশার প্রজনন শক্তি কমে যায়। আর মশা মূলত বংশবিস্তারের জন্য কামড়ায়। তাই শীতে মশা বিশেষ উৎপাত নেই। কিন্তু এই ডিসেম্বরে কিন্তু মশার দাপট অব্যহত।

    কী বলেছে আবহাওয়া দফতর? 

    আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর মাসেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রির কম হয়নি। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের জায়গায় তাপমাত্রার পারদ বিশেষ নামেনি। তাছাড়া ঘূর্ণাবর্তের জন্য কবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে সে নিয়েও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে, মশার (Kolkata Dengue) বংশবিস্তারে অনীহা দেখা যাচ্ছে না। তাই মশাবাহিত রোগের থেকেও মুক্তি ঘটছে না।

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি মুক্তির জন্য এই সময় আদর্শ হওয়া উচিত। কারণ, এখন বৃষ্টির প্রকোপ কম। তাই আশেপাশে পরিষ্কার করা সহজ। যেসব জায়গায় নোংরা জমা থাকে, সে সব জায়গা শুকনো সময়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়। তাছাড়া নর্দমা পরিষ্কার করা জরুরি যাতে মশা (Kolkata Dengue) জন্মাতে না পারে। এলাকার যে সব জায়গায় জল জমে, সেগুলো ভরাট করার কাজ করা যায়। শীতে মশার দাপট কমাতে পারলে, পরিকাঠামোর উন্নতি করতে পারলে, তবেই ডেঙ্গির নতুন করে বাড়বাড়ন্ত রুখতে পারবে।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় আসছেন মোদি, হাওড়ায় করবেন জনসভা, রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    যদিও বাস্তবে পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো বা এলাকা পরিষ্কারের (Kolkata Dengue) মতো সাধারণ কাজগুলোও ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অধিকাংশ পুরএলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন। অনেকেই মনে করেছেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলে দিয়েছেন শীতকালে চিন্তা নেই, সেখানে প্রশাসনের সাধারণ কর্মীরা কাজ করতে কীভাবে তৎপর হবে? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, মানুষকেই সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। কারণ, শীতে অনেকেই ভাবেন ডেঙ্গি হবে না। তাই জ্বর থাকলেও রক্ত পরীক্ষায় অনীহা দেখা যায়। কিন্তু সময় নষ্ট করলেই বিপদ। জ্বর (Kolkata Dengue) হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। ডেঙ্গি কিনা যাচাই করতে হবে। কারণ, শীতের আমেজ আসলেও ডেঙ্গি থেকে রাজ্যবাসীর রেহাই নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share