Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TET Scam: প্রাথমিকে চাকরি হারালেন মোট ২৫২ জন! চাকরি হারিয়েও ফের নিয়োগ পেলেন জয়তী

    TET Scam: প্রাথমিকে চাকরি হারালেন মোট ২৫২ জন! চাকরি হারিয়েও ফের নিয়োগ পেলেন জয়তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত চাকরি হারালেন মোট ২৫২ জন। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta HC) একাধিক মামলা চলছে। গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২৬৮ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাও হয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। ২৩ ডিসেম্বরের শুনানিতে বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামা খতিয়ে দেখে প্রথম দফায় তাঁদেরই ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 

    এরপর বৃহস্পতিবার, ১৪৬ জন শিক্ষকের আবেদনের শুনানি হয়। তাঁদের নথি খতিয়ে দেখেই ১৪০ জনের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, ট্রিকস করে হাই কোর্টকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এমন মন্তব্য করে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ৬১ জনের আবেদনের শুনানি ছিল। তাঁদের বক্তব্য শোনার পর ৫৯ জনকে স্কুলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    প্রথমে বরখাস্ত, পরে ফের বহাল

    বরখাস্ত হওয়া ওই ২৬৮ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যেই একজন হলেন টালিগঞ্জের বাসিন্দা জয়তী দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আবার নতুন করে তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৭ সালে তাঁর করা রিট পিটিশনের ভিত্তিতেই জয়তী দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন করে চাকরিতে বহাল করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। তবে টালিগঞ্জের বাসিন্দাওই শিক্ষিকা একেবারে নতুনভাবে নিযুক্ত হবেন। বিগত ৫ বছর ধরে তিনি যে প্রাথমিক শিক্ষিকা পদে চাকরি করেছেন, সেই সময়সীমা তাঁর নতুন সার্ভিস বুক-এ যুক্ত হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে চাকরি পেয়েছিলেন জয়তী দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চাকরি পাওয়ার আগে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেছিলেন। তাঁর আবেদন ছিল, ২০১৪-এর টেটের প্রশ্নপত্রে ৬ এবং ২২ নম্বরের প্রশ্ন ভুল ছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী, ওই দুই প্রশ্নের নম্বর তাঁর পাওয়ার কথা। শিক্ষিকার দাবি, ওই মামলা হওয়ার পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁকে নিজেদের অফিসে ডেকে নিয়োগপত্র দেয়। এপ্রসঙ্গে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, এই পদ্ধতিতে চাকরি দেওয়া বেআইনি। সেই কারণে জয়তীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু অন্যদিকে, জয়তী দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু ২০১৭ সালে রিট পিটিশন করেছিলেন, সেজন্য ওই ভুল প্রশ্নের নম্বর তাঁর পাওয়া উচিত বলে জানান বিচারপতি। সেই নম্বর পেলে টেট পাশ করবেন তিনি। এর ভিত্তিতেই এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জয়তী দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal: পড়ে আছে গ্রামীণ প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে খরচের নির্দেশ রাজ্যের

    West Bengal: পড়ে আছে গ্রামীণ প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে খরচের নির্দেশ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে প্রায়ই গলা ফাটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রতিটি নির্বাচনের আগে নিয়ম করে কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে সস্তা হাততালিও কুড়োন। অথচ তথ্য বলছে, বিভিন্ন গ্রামীণ প্রকল্পের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশন সূত্রে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের (West Bengal) হাতে আসা টাকার প্রায় অর্ধেকই খরচ করতে পারেনি রাজ্য। মধ্য-এপ্রিলে রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। তার আগে ওই টাকা খরচ করতে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, টাকা ঢুকছে। প্রত্যেককে সচেতন করা হয়েছে, যাতে সময়ের মধ্যে খরচ হয়। তিনি বলেন, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা চাইছেন, তা পূরণ করতে মুখ্যসচিব, জেলাশাসক সকলেই তৎপর।

    টাকার পরিমাণ…

    জানা গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চলতি আর্থিক বরাদ্দের ৫০.৪৬ শতাংশ অর্থ এখনও খরচ করতে পারেনি জেলাগুলি। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২৪৪৬ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে টায়েড ফান্ডেই পড়ে রয়েছে ১ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা। পানীয় জল সরবরাহ ও শৌচালয় তৈরিতে এই টাকা খরচ করার কথা। এছাড়া অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে আনটায়েড ফান্ডে খরচ না হয়ে পড়ে রয়েছে ৯১৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দের ৫০ শতাংশের কম টাকা খরচ হয়েছে ৭৬টি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়। ৫২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছবিটাও প্রায় একই।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার

    মাঝ-এপ্রিলে রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বাকি টাকা খরচ না হলে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অস্বস্তিতে পড়তে হবে রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূলকে। তাই জারি হয়েছে দ্রুত টাকা খরচের ফরমান। পঞ্চায়েত দফতর টাইমলাইনে জেলাগুলিকে বলেছে, ৯ জানুয়ারির মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে ভেটড স্কিম বা প্রকল্পগুলিকে ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় অনুমোদন করাতে হবে। ১৪ জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডার ডাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ শেষ করে রাখতে হবে। যাতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করে দেওয়া যায় কাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Abhishek Banerjee: আদালতের নির্দেশে রক্ষাকবচ রইল না অভিষেক-শ্যালিকার, পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি?

    Abhishek Banerjee: আদালতের নির্দেশে রক্ষাকবচ রইল না অভিষেক-শ্যালিকার, পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্ষাকবচ রইল না তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের (Maneka Gambhir)। মেনকার মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর জেরে মেনকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) আর কোনও বাধা রইল না। মেনকার রক্ষাকবচ খারিজের দাবিতে চলতি সপ্তাহেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। আদালত মেনকার রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ায় বিপাকে অভিষেক ও তাঁর শ্যালিকা।

    গরু পাচার মামলা…

    এর আগে গরু পাচার মামলায় মেনকাকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ইডি। তখন ইডির আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায় অনুযায়ী শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ মেনকার মামলা খারিজ করে দেয়। তবে আগামিদিনে ইডির বিরুদ্ধে নতুন করে আদালতে মেনকা যাতে আবেদন করতে পারেন, সেই স্বাধীনতাও তাঁকে দিয়েছে উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, আদালতের এই নির্দেশের ফলে মেনকার বিরুদ্ধে এখন যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি। আবার সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের আদালতের দ্বারস্থও হতে পারবেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূলে থেকে মানুষের চোখের জল…’, নদিয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ২০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী

    গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। ইডির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা। মেনকাকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং দিল্লির পরিবর্তে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ইডিকে। অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে এমনই জানিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের এই নির্দেশ মতো ইডির সমন কার্যকর করেন অভিষেক-শ্যালিকা। পরে বিদেশ যেতে চেয়ে ফের আদালতের শরণ নেন মেনকা। পরে অবশ্য সেই আবেদনও প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তাই আটকে গিয়েছিল তাঁর বিদেশ যাত্রাও। এদিন আদালতে ইডির তরফে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল বলেন, মেনকার দু দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। এটা থাকতে পারে না। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কোনও পর্যবেক্ষণ বা নির্দেশ দেয়নি আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Voter List: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি! প্রকাশিত রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা

    Voter List: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি! প্রকাশিত রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election 2023) কবে হবে তা এখনও স্থির হয়নি। তবে ২০২৩ সালের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (Voter List) প্রকাশ করে দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকার চেয়ে চূড়ান্ত তালিকায় বেড়েছে ভোটারের সংখ্যা। এ রাজ্যে ভোটার বেড়েছে ১.২৪ শতাংশ। এর আগে প্রকাশিত হয়েছিল খসড়া ভোটার তালিকা। সেখানে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৪২ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৩৩। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় এই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৫২ লক্ষ ৮ হাজার ৩৭৭।

    চূড়ান্ত ভোটার তালিকা…

    বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫০৭ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৭১। এই ভোটারদের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৭৯৯ জন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৫১ জন। ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৪ লক্ষ ১৫ হাজার ২২৯ জনের নাম।  

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে চাকরি হারালেন মোট ২৫২ জন! চাকরি হারিয়েও ফের নিয়োগ পেলেন জয়তী

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভোটার তালিকায় (Voter List) নাম তোলা এবং ভোটার কার্ড সংশোধন করা নিয়ে নয়া নিয়ম করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ওই নিয়ম অনুযায়ী, দেশজুড়ে বছরে চারবার নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি, ১ এপ্রিল, ১ জুলাই ও ১ অক্টোবর নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সেই মতো বৃহস্পতিবার ১ জানুয়ারির নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের রোস্টারে অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বিরোধী দলনেতার আর্জি, মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যেন পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি বা নির্ঘণ্ট প্রকাশ না করা হয়। এর পরেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না কমিশন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কমিশন দ্রুততার সঙ্গে এমন কিছু করবে না, যাতে ত্রুটি থেকে যায় নির্বাচনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhijit Ganguly: “চাকরি পেতে টাকা কাকে দিয়েছিলেন আমাকে জানান”, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বললেন বিচারপতি

    Abhijit Ganguly: “চাকরি পেতে টাকা কাকে দিয়েছিলেন আমাকে জানান”, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বললেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন শিক্ষা দফতরের ভিভিআইরা। ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকাও প্রকাশ করেছে রাজ্য। আর এরই মাঝে বড় মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তিনি ভুয়ো শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “কাকে চাকরির টাকা দিয়েছেন? ফেরত পেতে আমাকে জানান।” চাকরি হারানো প্রার্থীদের উদ্দেশে বিচারপতি পরামর্শ দিলেন, টাকা ফেরত পেতে চাইলে তাঁকে জানাতে পারেন তাঁরা।    

    বৃহস্পতিবার মোট ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে। এদিন আদালতে তাঁদের নথি খতিয়ে দেখা হয়। এদের মধ্যে ৫৯ জন তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সপক্ষে কোনও যুক্তি দেখাতে পারেন নি। তাই তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখা হয়। বাকি ২ জন শিক্ষকের নথি খতিয়ে দেখতে আরও সময় চেয়েছে আদালত। তাঁদের মামলা পরবর্তী শুনানির দিন শোনা হবে।    

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের (Abhijit Ganguly) চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জনের চাকরি বাতিল করা হল। এর আগে ডিসেম্বর মাসেও প্রাথমিকে কর্মরত ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৫৫ জনের চাকরি বাতিল করা হল।

    আরও পড়ুন: গণধর্ষণের তদন্তে পুলিশের উদাসীনতা, পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপির বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বললেন বিচারপতি? 

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আইনজীবীদের বলেন, “আপনাদের মক্কেলরা যে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল আপনারা জানেন? কাকে টাকা দিয়েছিল চাকরি পাওয়ার জন্য? সেই কথা কি আপনাদের জানিয়েছে? এখন কি তারা টাকা ফেরত পেতে চায়? প্রয়োজনে আমাকে জানাতে পারেন।”

    বিচারপতির এহেন মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সবাই। তাহলে কী এভাবেই সর্বস্ব খোয়ানোর হাত থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বাঁচাতে চাইছেন ভুয়ো শিক্ষকদের? নাকি দুর্নীতি চক্রের শেকল ভাঙতে এই মন্তব্য!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • West Bengal Weather: কলকাতা ১০.৯ ডিগ্রি! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে

    West Bengal Weather: কলকাতা ১০.৯ ডিগ্রি! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে কলকাতাবাসী। আজ রেকর্ড শীত পড়েছে কলকাতায়। তাপমাত্রা নেমে এল দশের ঘরে। পাঁচ বছরের মধ্যে এই তাপমাত্রা সর্বনিম্ন। শুক্রবার এই মরশুমের শীতলতম দিন বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বড়দিন থেকে বর্ষবরণ পর্যন্ত শীত উপভোগ করতে পারেনি বঙ্গবাসী। কিন্তু, নতুন বছরের কয়েকদিন কাটতে না কাটতে শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং। জাঁকিয়ে বসেছে শীত। জেলায় জেলায় আরও নেমেছে পারদ। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গে পারদ পতনের ধারা কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।

    কলকাতায় রেকর্ড পারদ পতন

    কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১০ ডিগ্রিতে। শুক্রবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। গত ৫ বছরে এতটা পারদ পতন দেখেনি শহর কলকাতা। ফলে হাঁড় কাপানো ঠান্ডায় জবুথবু শহরবাসী। আগামী কয়েকদিন আরও পারদ পতন হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী এক সপ্তাহ জুড়ে এই পারদ পতনের ধারা জারি থাকবে এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    কেমন ঠান্ডা পড়েছে জেলাগুলোতে?

    জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে জেলাগুলোতেও। অবাধ উত্তুরে হাওয়াতে কনকনে ঠান্ডা জেলায় জেলায়। কলকাতার পাশাপাশি রেকর্ড পারদ পতন হয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে শীতের জাঁকে জবুথবু মানুষ। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের পারদ নেমেছিল ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার সেখানে তাপমাত্রা কমেছে আরও কিছুটা। হাড় কাঁপুনি ঠান্ডায় কাঁপছে পুরুলিয়া। তাপমাত্রা নেমেছে ৬ ডিগ্রিতে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। অধিকাংশ জেলাতেই কুয়াশার দাপট রয়েছে। আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে কুয়াশার দাপটে জবুথবু উত্তরবঙ্গের মানুষও। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা আরও ৩ ডিগ্রি কমতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার দাপট।

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ সারা দক্ষিণবঙ্গের আকাশ বেলা অবধি কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকবে। বেলা বাড়তেই পরিষ্কার হবে আকাশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেও আবহবিদরা জানিয়েছেন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী পাঁচ-ছয়দিন রাজ্যজুড়েই তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করলেও শীতের আমেজ বজায় থাকবে।

  • Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক! মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে চলছে ছেলে। পাশে বৃদ্ধ বাবা। অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট বাংলার। শিউরে উঠেছে রাজ্যবাসী। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, তাঁর দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই রওনা দিলেন ছেলে

    জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা লক্ষ্মীরানি দেওয়ান। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার ছেলের দাবি, জলপাইগুড়ির হাসপাতাল থেকে ক্রান্তির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। মৃতার ছেলের দাবি, মায়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক ৩০০০ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার মত ক্ষমতা ছিল না তাঁদের। সে কারণে কাঁধে করেই দেহ নিয়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাবা ও ছেলে। যদিও পরে তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে লক্ষ্মীরানির মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই ঘটনার পরেই বিরোধীরা সরব হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ২০০ শতাংশ কাজ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন, সেখানে এমন ঘটনা গ্রাম বাংলার দুর্দশার ছবিই প্রকট ভাবে তুলে ধরছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা। সকালেই দেখেছি আমি। ২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    বিরোধীদের আরও বক্তব্য

    শুভেন্দুর পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। সিপিএম থেকে বলা হয়েছে, “জলপাইগুড়ি থেকে যে ছবি উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কোথায় প্রশাসন, কোথায় কী! টাকা দিতে পারেনি বলে মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে হবে বাংলায়! সরকারি হাসপাতালের কী মর্মান্তিক, বীভৎস চেহারা!”  কংগ্রেস থেকে বলা হয়েছে, “সব হাসপাতালে এই কারচুপি রয়েছে। রক্ত নিয়ে, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি চলছে দেদার।”

  • SSC Scam: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা  ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    SSC Scam: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) কাছ থেকে পাওয়া ১৫ লক্ষ টাকা ববিতা সরকারকে আলাদা করে রাখার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার ববিতা সরকারের চাকরির নিয়োগ মামলায় শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন বাবদ তাঁর থেকে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ববিতা যেন আলাদা করে ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন। কোনও কারণে মামলায় হার হলে ওই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে। ওই টাকা জমা দিতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।

    নম্বরে গরমিল

    হাইকোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি চাকরি প্রার্থীদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার পরই নম্বর নিয়ে বিভ্রাটের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। দেখা যায়, মেরিট লিস্টে ববিতা সরকারের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭৭, যার মধ্য়ে অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ববিতা সরকারের অ্য়াকাডেমিক স্কোর ৩১ হওয়ার কথা। সেখানে তাঁকে ৩৩ নম্বর দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই দু’নম্বর হেরফের হওয়ার জন্য মেধা তালিকায় অনেক পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। ববিতা সরকারের বদলে উঠে আসতে পারে অন্য় কোনও দাবিদার চাকরিপ্রার্থীর নাম। তখনই ববিতা নন, তিনি চাকরির দাবিদার বলে এগিয়ে আসেন অনামিকা। মামলাও দায়ের করেন। অনামিকার বলেন, “২ নম্বর কমলে ১৪ জনের পিছনে চলে যাচ্ছেন ববিতা। ২১ নম্বরে আমার নাম রয়েছে। সেই নিরিখে চাকরিটি আমারই প্রাপ্য। 

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    এ প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, “মিলিয়ে দেখলাম, ২ নম্বর বেশি হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার আইনজীবীকে জানাই আমি। কমিশন কেন করল, জানি না। বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। কারণ ২ নম্বর বেশি হলে আমার লড়াইটার বাস্তবতা থাকে না। আমার লড়াইটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, বেনিয়মের বিরুদ্ধে। আমি চাকরির দাবি কিন্তু করিনি।” ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ববিতা। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে, মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনের শুনানি শেষে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কী ভাবে অ্যাকাডেমিক বিভাগে পার্সেন্টেজ দেওয়া হয়, আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ৫ নাম্বার করে ছাড় কোন সময়ে দেওয়া হয়, সেই সব জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে এসএসসিকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Vande Bharat Express: মজা করেই পাথর নিক্ষেপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে! জেরায় জানাল ধৃত তিন নাবালক

    Vande Bharat Express: মজা করেই পাথর নিক্ষেপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে! জেরায় জানাল ধৃত তিন নাবালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ জলপাইগুড়ির কাছে মঙ্গলবার আপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর ছোড়ার ঘটনায় (stone pelting case) গ্রেফতার (arrest) হল তিন নাবালক। তদন্ত শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিহারের (Bihar) কিষানগঞ্জ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এরপর তাদের কাটিহারের জুভেনাইল কোর্টে হাজির করা হয়।

    মজার ছলেই পাথর নিক্ষেপ

    আগেই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে জানিয়েছিল, বাংলা নয়, বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া হয়েছিল বিহার থেকে। চিহ্নিত করা হয় চার অভিযুক্তকেও। পরে রেলের কাটিহার শাখার তরফে জানা যায়, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনায় প্রথমে ৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এক জন পালিয়ে গিয়েছে বলেই দাবি রেল সূত্রে। ধৃতেরা সকলেই কিষানগঞ্জের পোঠিয়া থানার নিমলা গ্রামের বাসিন্দা। বয়স চোদ্দর মধ্যে। ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনার পর আরপিএফের পক্ষ থেকে অমিতকুমার বর্মা পোঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড শীত কলকাতায়! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে

    পুলিশি জেরায় ধৃতরা যা দাবি করেছে, তা শুনে রীতিমতো তাজ্জব অফিসাররা। নাবালকরা বলেছে, নেহাতই মজা করার জন্য ট্রেনে পাথর ছুড়ে মেরেছিল তারা। এছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বন্দে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেছে। ট্রেনে পাথর ছুড়ে মজা করার ঘটনা নতুন নয়। আগেও বহুবার এরকম ঘটেছে। কিন্তু রেলের তরফে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে এই ঘটনা কিছুটা হলেও কমানো হয়। ১ জানুয়ারি থেকে বাংলায় চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু এরপরই সোমবার এবং মঙ্গলবার পরপর দু’দিন ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তদন্তে নেমে দেখা যায়, ট্রেনে পাথর ছোড়ার পুরনো অভ্যেস থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে প্রথম দিন মালদার কাছে কারা বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল তা এখনও সামনে আসেনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের ব্যাঙ্কে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই (CBI)। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি বড় টিম পৌঁছল সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে এমন অনেকগুলি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা বেনামে খোলা হয়েছে। প্রায় ১৫০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে অবাক করা ব্যাপার, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি এই অ্যাকাউন্টগুলোর সাহায্যেও গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করা হত? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যবাসীর মনে।

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    খাদ্য দফতরেরও যোগসূত্র রয়েছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করার জন্য খাদ্য দফতরকেও ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গরীব মানুষদের কাছ থেকে অল্প দামে নগদে ধান কেনা হত ওই সব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। খাদ্য দফতরে যে চাল বিক্রি হয়েছিল অনুব্রতর মিল থেকে, সেই টাকা জমা পড়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে। কিন্তু কার সইয়ে এই লেনদেন হত, তা জানা যায়নি। এভাবে গরু পাচারের টাকা দিনের পর দিন সাদা করা হত বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আর এই সব তথ্য সংগ্রহ করতে এদিন ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় সিবিআই।

    সিবিআইয়ের ধমক ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে

    ওই সমবায় ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারকে ধমক দেন গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি ম্যানেজারকে বলেন, ‘‘এক জন অপরাধীকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করছেন আপনি!” তিনি প্রশ্ন করেন, “কার নির্দেশে তা করা হয়েছে? অ্যাকাউন্ট খুলতে কে এসেছিলেন? আপনি নাম বলুন।” আবার সুশান্তবাবু ম্যানেজারকে সহযোগিতা না করলে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দেন। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সব লেনদেনও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির লেনদেনের তথ্য সামনে এলেও পরবর্তীতে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে সিবিআই।

LinkedIn
Share