Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: ‘এমন ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রক হয়তো অন্য কিছু ভাববে’, বন্দে ভারতে পাথর প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘এমন ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রক হয়তো অন্য কিছু ভাববে’, বন্দে ভারতে পাথর প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) আসার কথা। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রক হয়তো অন্য কিছু ভাববে। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির (Sukanta Majumdar) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুকান্ত এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপিরই শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে এদিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন সুকান্ত।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস…

    মালদহের কুমারগঞ্জে ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পাথরের ঘায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেনটি। এদিন সেই প্রসঙ্গেই তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত  (Sukanta Majumdar) বলেন, সিএএ আইন বিরোধী আন্দোলনের সময় দেখা গিয়েছিল, এনআরসির ভয় দেখিয়ে ট্রেনে-ট্রেনে হামলা হয়েছিল। এখন বন্দে ভারতের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠার প্রতিশোধ নিতে এই ঢিল ছোড়া হচ্ছে না তো? এরপরেই সুকান্ত বলেন, আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পাওয়ার কথা  ছিল বাংলার। সারা দেশে মোট ৪৭৫টি বন্দে ভারত চলার কথা। তিনি বলেন, কিন্তু এরকমভাবে এত সুন্দর একটা ট্রেন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন রেলও হয়তো এ ব্যাপারে ভাববে।

    আরও পড়ুুন: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, বিজেপি বিধায়ক বা সাংসদরা যেখানে আছেন সেখানকার প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছে রাজ্য সরকার। পুলিশের এসপি কে হবেন, তাও ঠিক হয় ১৪তলা থেকে। এমন কী থানার ওসি কে হবেন, সেটাও ফিররহাদবাবুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। তাই ঢিল উপযুক্ত জায়গায় মারুন।

    রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কারণ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এ রাজ্যের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি আবাস যোজনা থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তা জানিয়েছি। সঙ্গে এও বলেছি, এলাকার বিডিওরা নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।  তাঁদের ঘেরাও করা হচ্ছে। এই সব কিছুই তাঁর সামনে তুলে ধরেছি। সুকান্ত  (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দীর্ঘ সময় প্রশাসনিক পদে আসীন ছিলেন। ফলত তিনি জানেন, রাজ্যের ঠিক কোথায় কী ঘটছে। বোমাচার থেকে শুরু করে গণধর্ষণ সমস্ত বিষয়ে নজর রাখছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

      

  • Anubrata Mondal: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    Anubrata Mondal: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত জেলেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘তদন্ত যে পর্যায়ে রয়েছে, তা বিবেচনা করে এখনই ওঁর জামিন মঞ্জুর করা হচ্ছে না। ’’মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে অনুব্রতকে ‘রাজনৈতিক দৈত্য’বলে উল্লেখ করেন। তাদের দাবি, জামিন পেলে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন অনুব্রত। এর পর মঙ্গলবার রায়দান স্থগিত রাখে উচ্চ আদালত। অবশেষে বুধবার সেই প্রভাবশালী তত্ত্বকে হাতিয়ার করে অনুব্রতের জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    সওয়াল-জবাব

    মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রত মামলার জামিন মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় সিবিআইয়ের উদ্দেশে আদালত প্রশ্ন করেছিল,গরু পাচার মামলায় বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার জামিন পেয়েছেন। মূলচক্রী এনামুল হকও জামিনে মুক্ত। তাহলে অনুব্রতকে আটকে রাখার কী প্রয়োজন? কেন্দ্রীয় এজেন্সির যুক্তি ছিল,অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেলে এই মামলায় সাক্ষীদের উপর প্রভাব তৈরি করতে পারেন। জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই এ-ও জানায়, বগটুই কাণ্ডে অনুব্রতের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

    আরও পড়ুন: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের  

    গত ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। মোট ১৪৬ দিন ধরে জেলবন্দি দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। এই মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন অনুব্রত। কেষ্ট মণ্ডলের হয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দুঁদে আইনজীবী কপিল সিব্বল।  তিনি জানান, এই মামলায় ৯৫ জনকে সাক্ষী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সিবিআইয়ের উদ্দেশে সিব্বলের প্রশ্ন, “বাকিদের সাক্ষ্য কবে নেওয়া হবে?” প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, রাজনৈতিক কারণেই কি জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল? কেন জামিন দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে? কিন্তু সিবিআইয়ের যুক্তির কাছে থামতে হয় তাঁকে। আদালত অনুব্রতের জামিনের আর্জি এবারও খারিজ করে দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • PMAY: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    PMAY: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট  (Calcutta High Court)। জানুয়ারির ১৪ তারিখের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। মঙ্গলবার তিনি ওই নির্দেশ দেন। আদালত জানিয়েছে, রাজ্য সরকার যে হলফনামা দেবে তাতে কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কত টাকা তারা পেয়েছে, এর মধ্যে কত টাকা উপযুক্ত উপভোক্তাদের মধ্যে বিলিবন্দেজ করা হয়েছে, তা জানাতে হবে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বিজেপি।

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ…

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, রাজ্য সরকার দরিদ্রদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) অনুদান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। আদালতে আবেদনকারী চেয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে আদালত যেন ওই অনুদান বিলিবন্দেজ বন্ধ করতে বলে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রকৃত উপভোক্তাদের অনুদান দেওয়ার বদলে তা দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের লোকজনকে। এনিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ মিছিলল করেন বিরোধীরা। এহেন আবহে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। ঘটনার জেরে ব্যাকফুটে পড়ে যায় তৃণমূল। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাতে এই দুর্নীতির অভিযোগ ছাপ ফেলতে পারে ভেবে তড়িঘড়ি নয় সদস্যের মনিটরিং কমিটি তৈরি করে রাজ্যের পঞ্চায়েত  দফতর।

    আরও পড়ুুন: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি করেছেন বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা। আর এক বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি রায় মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভায় আবাসস দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলায় কান্দি পুরসভার কাছে রিপোর্ট তলব করেছে বেঞ্চ। কান্দি পুরসভা এলাকায় ৬৬টিরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পুরসভার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানো  হলেও, কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Babita Sarkar: ববিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি নিয়ে হাইকোর্টে গেলেন অনামিকা

    Babita Sarkar: ববিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি নিয়ে হাইকোর্টে গেলেন অনামিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আনার পিছনে যার অগ্রণী ভূমিকা ছিল, এবার তাঁর চাকরি নিয়েই উঠল প্রশ্ন। ববিতা সরকারকে (Babita Sarkar) চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ অনামিকা রায় নামের এক চাকরিপ্রার্থী। প্রসঙ্গত, ববিতার করা মামলার ভিত্তিতেই বাতিল হয় একের পর এক ভুয়ো শিক্ষকের চাকরি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার জায়গায় চাকরিও পান ববিতা। কিন্তু এখন এই ববিতার চাকরি নিয়েই উঠল প্রশ্ন। অনামিকার দাবি, ববিতার থেকে তাঁর বেশি নম্বর রয়েছে। 
     
    মামলাকারীর অভিযোগ, ববিতা সরকারের থেকে তাঁর নম্বর ও যোগ্যতা বেশি থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। ববিতা (Babita Sarkar) অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে এর আগেই দাবি করেন অনামিকা। এবার এই মামলা উঠল হাইকোর্টে। 

    মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ববিতার চাকরি খারিজের আবেদন জানান শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়। মামলাটি গৃহীত হয় হাইকোর্টে। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। 

    কী অভিযোগ? 

    সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম সারির আন্দোলনকারী ববিতার চাকরির ‘বৈধতা’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ, এস‌এসসি অ্যাকাডেমিক স্কোরে ববিতাকে (Babita Sarkar) ২ নম্বর বেশি দিয়েছে। তাই বেশ কয়েকজন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে টপকে তিনি নিয়োগপত্র পেয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ববিতা সরকারের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭৭। যার মধ্যে অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩। কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই আবেদনপত্রে দেখা যাচ্ছে, স্নাতক স্তরে, ৮০০-র মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ। কিন্তু, ফর্মে লেখা তিনি ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন। আর তার ভিত্তিতেই ববিতাকে অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২ নম্বর বেশি দিয়েছে কমিশন। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর যেখানে ৩১ হওয়ার কথা, সেখানে তিনি পেয়েছেন ৩৩। আর এরপরেই তাঁর চাকরি বাতিলের দাবি ওঠে।

    আরও পড়ুন: টাকা নিয়ে রসিদ দিতেন না মানিক, বিস্ফোরক দাবি একদা ঘনিষ্ঠ তাপসের

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ববিতা (Babita Sarkar)। হাইকোর্টের নির্দেশে, প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর ৪৩ মাসের উপার্জিত বেতন, প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা পান তিনি। তাঁর এই ২ নম্বর কমে গেলে চাকরিও চলে যেতে পারে। এই বিষয়ে ববিতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নিশ্চই, তাতে কোনও অসুবিধে নেই। আমার লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের পাঁচটি মামলার মতোই কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ‘রক্ষাকবচ’ আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামী ৫ জানুয়ারি টেন্ডার দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    শুভেন্দুর আইনজীবী যা বললেন 

    এদিন মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, গত ২৮ নভেম্বর তাঁর মক্কেলের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছিল। অথচ ২৮ নভেম্বর নতুন মামলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। আইনজীবীর অভিযোগ, সেই তথ্য রাজ্য সরকার গোপন করেছে আদালতে। উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বিরোধী দলনেতার আইনজীবী জানান, এই সমস্ত মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুভেন্দুবাবুর প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও মামলারই কোনও ভিত্তি নেই। অকারণে হেনস্থা করতে পুলিশকে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    শুভেন্দু মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলেনতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত। ফলে পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার কাজ স্তব্ধ করার চেষ্টাও করতে পারে। এই ইস্যুতে ২৬টি এফআইআরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও কোনও এফআইআর করা যাবে না।  এরপরেও তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। যদিও এব্যাপারে নিজের বক্তব্য এদিন জানায়নি রাজ্য সরকার। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলাটির শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ রাখবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবারও তিনি নিশানা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের (TMC) সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে  (Mamata Banerjee)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পান মুকুল রায়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জগদীপ ধনখড়কে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধও করেছিলেন মমতা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ধনখড় নিজেই একথা জানিয়েছিলেন তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের আগেই এই অনুরোধ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

    শুভেন্দু উবাচ…

    সোমবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এক জনসভায় যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। ওই সভার পরে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, আমি একটি অকথিত তথ্য বলব। এর পরেই বোমা ফাটান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, উনি(মুখ্যমন্ত্রী) তৎকালীন রাজ্যপাল মহোদয়, বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে বলেছিলেন যে আপনি দিল্লিকে বোঝান। মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা করতে বলুন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ৫ মে শপথ নেন মমতা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ৩ মে তিনি (মমতা) রাজভবনে গিয়ে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই ধনখড়কে একথা বলেন মমতা। শুভেন্দুর আরও দাবি, তিনি বেরিয়ে আসার পরে আমি ও তৎকালীন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, যিনি এখন আমাদের দলে নেই, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যাই। রাজ্যপাল বললেন, অনেক কথার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা অনুরোধ করে গিয়েছেন-যাতে মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা করা হয়। সেটা বিজেপি করেনি।

    আরও পড়ুুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তাই ওঁর (মমতার) অব্যক্ত ব্যথা, বেদনা এবং চুরি আটকে যাওয়ায় মানসিক অবসাদ প্রকাশ করেছেন নজরুল মঞ্চ থেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা করতে পারেননি বলেই এত রাগান্বিত বিজেপির প্রতি। তিনি পরবর্তী সময়ে মুকুল রায়কে দলে নিয়ে অন্য খেলা খেলতে চেয়েছিলেন। তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান করেছিলেন। কিন্তু আমি তা হতে দিইনি। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে তৎপর হয়েছি আমি।  

    প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন মুকুল রায়। তার পর এক মাস কাটতে না কাটতেই তৃণমূলে ফিরেছিলেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচন পর্বেও মুকুলের প্রতি নমনীয় ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। শুভেন্দুকে নিশানা করতে নানা সভায় মুকুলের সঙ্গে তাঁর তুলনাও টেনেছিলেন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

      

     

  • Sumitra Sen: বাংলা সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন! প্রয়াত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন

    Sumitra Sen: বাংলা সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন! প্রয়াত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে গেলেন বর্ষীয়ান রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। জীবনের শেষ মুহূর্তে ল্যান্সডাউনের আবাসনে ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও গত ২১ শে ডিসেম্বর তাঁর ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া ধরা পড়ে। ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন নিউমোনিয়া থেকেই দেহে আনুষঙ্গিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল শিল্পীর। সোমবার রাতেই বাড়ি নিয়ে আসা হয় তাঁকে। বাড়ি থেকেই শিল্পীর চিকিৎসা চলবে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাঁর পরিবার।

    শেষ সময়ে বাড়িতেই

    রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেনের দুই কন্যাও বাংলা সঙ্গীত জগতে ছাপ ফেলেছেন। তাঁর বড় কন্যা শিল্পী ইন্দ্রাণী সেন। মায়ের হাত ধরেই সুরের দুনিয়ায় পথ চলতে শুরু করেন। একই সঙ্গে রবি ঠাকুরের গান ও আধুনিক গানে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন ইন্দ্রাণী। সুমিত্রার কনিষ্ঠ কন্যা শ্রাবণী সেনও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। মায়ের কাছেই গান শেখা শ্রাবণীর। মঙ্গলবার ভোরবেলা শ্রাবণী সেন ফেসবুকে লেখেন, ‘‘আজ মা ভোরে চলে গেলেন।’’ সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে শোকের ছায়া সঙ্গীত মহলে।

    আরও পড়ুন: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    সঙ্গীত পরিবারের সদস্যা সুমিত্রা সেন। তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গান ‘সখী ভাবনা কাহারে বলে’, ‘মধুর মধুর ধ্বনি বাজে’ আজও শ্রোতার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। ২০১১ সালে রবীন্দ্রসদনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি ।আগামী মার্চ মাসেই তিনি ৯০ বছর পূর্ণ করতেন। তাঁর আগেই চলে গেলেন গায়িকা। গতকালই শ্রাবণী সেন সংবাদমাধ্যমকে তাঁর মায়ের স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলেন, ‘বয়সটা তো একটা কারণ। ভালো নেই মা। মোটামুটি আছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেই তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।’ সুমিত্রা কন্য়া ইন্দ্রাণীও একই কথা জানিয়ে ছিলেন সংবাদমাধ্যমকে। পরিবারের সঙ্গে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে বাড়ি আনা হয় সোমবার। এদিকে রাত কাটতে না কাটতেই সুরলোকে চলে গেলেন গায়িকা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cash Recovered: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    Cash Recovered: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই ফের টাকার পাহাড় রাজ্যে! শহর কলকাতা থেকে ফের উদ্ধার করা হল লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা (Cash Recovered)। সোমবার কলকাতার বড়বাজার এলাকা থেকে এসটিএফ ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে ৫৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতারও করেছে গোয়েন্দারা। এই বিপুল পরিমাণের টাকার সঙ্গে হাওয়ালার যোগ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। গত বছরেই এমনই নগদ টাকা উদ্ধারের সাক্ষী থেকেছিল গোটা বাংলা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে থরে থরে টাকা উদ্ধারের ছবি এখনও চোখে চোখে ভাসে রাজ্যবাসীর। এবারও তেমনই দৃশ্য ফের দেখা গেল।

    আরও পড়ুন: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    কলকাতার বুকে ফের নগদ টাকা উদ্ধার

    গতকাল সন্ধ্যায় প্রথমে মহাত্মা গান্ধী রোডের কাছে কপিলচরণ বেহারা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই কালিচরণকে আটক করা হয়েছিল। আটক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। টাকার উৎস সম্পর্কে অবশ্য সঠিক জবাব দিতে পারেননি কালিচরণ। এরপর কালিচরণকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে রবীন্দ্র সরণিতে অবস্থিত এক অফিসের খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানেও অভিযান চালিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার উপরে উদ্ধার করে বলে সূত্রের দাবি (Cash Recovered)। অফিসে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন মালিক গৌরব প্রজাপতি এবং চিরাগ রমেশভাই প্রজাপতি। তাছাড়া আরও তিনজন সেখানে ছিলেন। সেই পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরাও এই বিপুল টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও জবাব দিতে পারেননি। আবার এই পাঁচ জনকেও জেরা করে কিছু জায়গার নাম উঠে আসে। আর সেই সব জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি নগদ উদ্ধার করে তদন্তকারীরা (Cash Recovered)। গ্রেফতার করা হয় মোট ৯ জনকে।

    ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা নং ৩৭৯-এ মামলা রুজু করা হয়েছে বড়বাজার থানায়। ধৃত ব্যক্তিদের কাছে এত টাকা কীভাবে এল, কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল, এবং কার কাছে তা যেত তা খতিয়ে দেখতে জেরা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

  • Subiresh Bhattacharya: জেলে বসেও সংগঠন চালাচ্ছেন সুবীরেশ? পদত্যাগের দাবি অধ্যক্ষ পরিষদের

    Subiresh Bhattacharya: জেলে বসেও সংগঠন চালাচ্ছেন সুবীরেশ? পদত্যাগের দাবি অধ্যক্ষ পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেও সংগঠন চালাচ্ছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলে রয়েছেন তিনি। আর এরই মাঝে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল রাজ্যের কলেজগুলির প্রিন্সিপালদের সংগঠন অধ্যক্ষ পরিষদ। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সুবীরেশের পদত্যাগের দাবি করেছে অধ্যক্ষ পরিষদ। তাঁদের অভিযোগ, জেলে বসে অধ্যক্ষদের সংগঠন চালাচ্ছেন সুবীরেশ।

    সুবীরেশ (Subiresh Bhattacharya) এক সময় ছিলেন কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ। একই সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁকে লিয়েনে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়। উপাচার্য থাকা অবস্থাতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সুবীরেশ। সুবীরেশ এখনও অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি পদ দখল করে রয়েছেন। আর  সেই পদে বসেই জেল থেকে সংগঠন চালাচ্ছেন তিনি বলে অভিযোগ করেছে অধ্যক্ষ পরিষদ।

    কী বলছেন অধ্যক্ষরা? 

    আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ (Subiresh Bhattacharya) পূর্ণচন্দ্র মাইতি এ বিষয়ে বলেন, “ব্ল্যাঙ্ক প্যাডে রাজ্য সম্মেলন ডাকা হয়েছে। তার আগে কার্যকরী সমিতির কোনও বৈঠক করা হয়নি। এ থেকেই স্পষ্ট কে জেলে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন।”  

    পূর্ণচন্দ্রবাবু (Subiresh Bhattacharya) আরও অভিযোগ করে বলেন, “ওঁর নাম নিতেও লজ্জা হয়। একজন উপাচার্য হয়ে জেলে গিয়েছেন। তারপরেও সেখান থেকে সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন সুবীরশ ভট্টাচার্য।” 

    আরও পড়ুন: মোমিনপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে জেএমবি যোগ পেল এনআইএ, চার বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা

    প্রসঙ্গত গত ৬ বছর ধরে অধ্যক্ষ পরিষদের এই পদে রয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। একাধিক অধ্যক্ষের দাবি, নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই পদে রয়েছেন তিনি। তাঁদের দাবি, ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গে রাজ্য সম্মেলনে মিথ্যে কারণ দেখিয়ে সম্পাদক ও সভাপতি পদ আঁকড়ে থাকেন প্রবীণরা। অধ্যক্ষ পরিষদের সংবিধানে রয়েছে, দুবছর অন্তর কমিটিতে বদল আনতে হবে। কিন্তু সে নিয়ম মানা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • West Bengal Weather: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কাঁপছে বাংলা, সপ্তাহান্তে আরও নামবে পারদ!

    West Bengal Weather: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কাঁপছে বাংলা, সপ্তাহান্তে আরও নামবে পারদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারদ নিম্নমুখী। হু হু করে নামছে পারদ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। উত্তুরে হাওয়ার কাঁপছে বাংলা। বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়াল ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। কুয়াশার দাপটও দেখা যাচ্ছে সারা বাংলা জুড়ে (West Bengal Weather)।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি হলেও আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও ২-৪ ডিগ্রি কমার কথা বলা হয়েছে। কুয়াশার দাপট সকালে থাকলেও দিনে রোদ উঠতে পারে। কলকাতার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বৃহস্পতিবারের পরই। সে ক্ষেত্রে এই সপ্তাহের শেষে এই মরশুমের প্রথম জাঁকিয়ে শীতের স্পেল পেতে চলেছে কলকাতা। আজ দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি এবং ১৪ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: শীতপ্রেমীদের জন্য সুখবর! চলতি সপ্তাহেই জাঁকিয়ে শীত শহরে

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গে ঠান্ডা বাড়বে আগামী ক’দিনে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাপমাত্রা নামবে দুই থেকে তিন ডিগ্রি। মালদা এবং দুই দিনাজপুরে কুয়াশার দাপট থাকবে। আগামী চার-পাঁচদিন রাজ্যে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া এবং পরিষ্কার আকাশ থাকবে। উত্তুরে হাওয়া থাকবে। দিনের বেলাতেও হাড়কাঁপুনি শীত অনুভূত হবে। ইতিমধ্যে সিকিমে তুষারপাত হয়েছে, ফলে সমতলে ঠান্ডা বাড়বে। দার্জিলিং-কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে এবং জমিয়ে ঠান্ডা পড়বে। এমনকী পারদ ৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে (West Bengal Weather)।

    দক্ষিণবঙ্গেও দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামবে। আবহাওয়া মূলত শুষ্ক ও পরিষ্কার থাকবে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে রবিবারের মধ্যে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে দিনে। ক্রমশই নিম্নমুখী রাজ্যের তাপমাত্রার পারদ। তবে রবিবারের পর থেকে ফের পারদ চড়তে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের (West Bengal Weather)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share