Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Haridevpur: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে লাগাতার ধর্ষণ, হরিদেবপুরে গ্রেফতার মা-ছেলে

    Haridevpur: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে লাগাতার ধর্ষণ, হরিদেবপুরে গ্রেফতার মা-ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার এক যুবক ও তার মা। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার হরিদেবপুর (Haridevpur) থানা এলাকায়। মা যে পার্লারে কাজ করতেন, সেই পার্লারের কাজ করত সেই নাবালিকা। ‘কাকিমা’ বলে ডাকত তাঁকে। কালীপুজোর রাতে সেই কাকিমার সঙ্গেই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, সেখানেই খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সেই কাকিমার ১৮ বছরের ছেলে। গত ১৬ তারিখ হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক ও তার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম কুনাল কোঠারি, তার মায়ের নাম অনুশ্রী কোঠারি।

    কী ঘটেছিল?

    নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার সঙ্গে একটি পার্লারে বিউটিশিয়ান কোর্স করতেন অভিযুক্তের মা। কালীপুজোর দিন সেই অভিযুক্ত মহিলা নাবালিকাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। তাকে সেখানে কিছু খেতে দিলে খাবারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপর নাবালিকা অচেতন হয়ে পড়লে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: নবান্নের চোদ্দতলায় মমতা-শাহ একান্তে বৈঠক, কী আলোচনা হল?

    পুলিশ সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে চলে নির্যাতন। তিন দিন পর কোনও মতে পালিয়ে যায় সে। প্রথমে বাড়িতে কাউকে বলতে পারেনি নির্যাতিতা। এরপর এক আত্মীয়কে সব কথা জানায় ও এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যায় সে। সামাজিক লজ্জার কারণে ধর্ষণের অভিযোগও করতে চায়নি পরিবার। কিন্তু পরে শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার মাকেও গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র,  ৩২৮ খাবারে নেশার দ্রব্য মেশানো, পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

    অন্যদিকে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত মা ও ছেলে। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। আসলে ওই মেয়ে আমার ছেলেকে প্রোপোজ করেছিল। তাতে রাজি হয়নি আমার ছেলে। তাই আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল।” 

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। “পর্ষদ কিছু করতে না পারলে, শিক্ষামন্ত্রীকে (Education Minister) ডেকে পাঠাতে হবে। আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, তাহলে করুন, কোথায় বাধা?” নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় এমনটাই বলতে শোনা গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর  দাবি, অবিলম্বে অযোগ্যদের নিয়োগ বাতিল করুক পর্ষদ। বেআইনিভাবে নিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল না হলে প্রয়োজনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলা

    যে সব চাকরিপ্রার্থীদের বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই সব প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়েই কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর সেই মামলা চলাকালীন এবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দু’দফায় বেআইনিভাবে সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় থাকা মোট ১৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন বর্তমানে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ওএমআর শিট। ওই ন’জনকে নিয়ে বৈঠকও করতে হবে কমিশনকে। উপস্থিত থাকতে হবে ন’জনের আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের আইনজীবীকে। আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    গতকাল ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উল্লেখ করেন বিচারপতি। তখনই তিনি বলেন, “আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, করুন। কোথায় বাধা? যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।”

    আবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “কার সুপারিশে চাকরি পেলেন? কে কে সুপারিশ করেছিলেন? জুনিয়র নাকি সিনিয়র পি সি সরকারের হাতের জাদুতে নম্বর বাড়ল?”  এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর।

    তবে এতদিন শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উঠে আসেনি। কিন্তু গতকাল বিচারপতির (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্যের পর একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তবে ব্রাত্য বসুকেও তলব করা হবে হাইকোর্টে?

  • Argentina: মেসি জ্বরে কাবু বাংলার এই চা-বিক্রেতা, বাড়ি থেকে দোকান সবই নীল-সাদা রঙে রাঙানো

    Argentina: মেসি জ্বরে কাবু বাংলার এই চা-বিক্রেতা, বাড়ি থেকে দোকান সবই নীল-সাদা রঙে রাঙানো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ মানেই উন্মাদনা, বিশেষ করে ফুটবল বললেই বাঙালির মনে হইচই শুরু হয়ে যায়। ফিফা শুরুর আগে থেকেই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় বাঙালির আবেগে সেজে উঠেছিল বিভিন্ন দলের পতাকা সহ পাড়ার অলিগলি। তবে এক মেসি ভক্তের কাণ্ড নজর কেড়েছে রাজ্যবাসীর। তাঁর নাম শিবা পাত্র ও তিনি পেশায় চা-বিক্রেতা। চা বিক্রির উপার্জিত টাকায় বানিয়ে ফেললেন মেসির মূর্তি। তিনি মেসিকে ‘ভাই’ বলে মনে করেন। বিশ্বকাপের শুরুতেই উন্মোচন করেন ‘ভাই’ মেসির মূর্তি। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ি, দোকান সব নীল-সাদা রঙে রাঙানো। ফুটবল, আজের্ন্টিনা ও মেসিকে কতটা ভালোবাসলে ও তাঁর কত বড় ভক্ত হলে এমন কাণ্ড করা যায়, তারই উদাহরণ এই ব্যক্তি।

    মেসি ভক্ত…

    ইছাপুরের নবাবগঞ্জের চা বিক্রেতা শিবা পাত্র। আর্জেন্টিনার এত বড় ভক্ত তিনি, যে উদ্যোগ নিয়ে আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবই তৈরি করে ফেলেছেন। প্রতিবারই ফুটবল বিশ্বকাপের আগে নিজের বাড়িতে সাদা-নীল রঙে রাঙিয়ে আর্জেন্টিনার প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেন। এমনকী তাঁর বাড়ির ভিতরটাও নীল-সাদা। আলমারি ও সিলিং-এও আর্জেন্টিনার পতাকার রঙ করা হয়েছে। আর এবারে তাঁর আবেগকে ধরে রাখতে না পেরে তাঁর নিজের টাকায় মূর্তিও বানিয়ে ফেললেন শিবা পাত্র।

    তাঁর স্বপ্ন ছিল ‘ভাই’ মেসির খেলা কাতারে গিয়ে দেখার, কিন্তু তা সম্ভব না হলে এখানেই বানিয়ে ফেলেন মেসির মূর্তি। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ির পাশাপাশি চায়ের দোকানও আজের্ন্টিনার পতাকার নীল-সাদা রঙে ভরা। তিনি তাঁর উপার্জন করা টাকা জমিয়ে আর্জেন্টিনার পতাকা, ফেস্টুন, মেসি এবং মারাদোনার ছবি দিয়ে তাঁর এলাকা সাজিয়েছেন।

    শিবা পাত্র কী বললেন?

    তাঁর আর্জেন্টিনার প্রতি অগাধ ভালোবাসা দেখে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আর্জেন্টিনার মেসি আমার ভাইয়ের মত। আমি ১৯৮৬ সাল থেকে আর্জেন্টিনার খেলা পছন্দ করি। আমি নিজে ফুটবল খেলতাম। আমি মারাদোনা কেও পছন্দ করতাম। কিন্তু মেসি আমার ভাই। ভারত যদি কখনও বিশ্বকাপ খেলতে পারে তাহলে আমি ভারতের সমর্থক হব কিন্তু মেসি আমার ভাইয়ের মত।”  তিনি আরও বলেন, “আমি সত্যি ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে যেতে চেয়েছিলাম এবং অর্থ সঞ্চয় করেছিলাম। কিন্তু আমি তার পরিবর্তে সেই টাকা দিয়ে একটি মেসির মূর্তি তৈরি করে দোকানের পাশে রেখেছি।  

    শিবা পাত্রর স্ত্রী বলেছেন, “আমরা তাঁর অনুভূতিকে সম্মান করি। তিনি যা করেন তাতে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমরা গর্বিত। রাস্তায় সবাই আমাদের আর্জেন্টিনা বলে চেনে। আমার মেয়ের বিয়ের মন্ডপ থেকে প্যান্ডেল, বিয়ের পোশাক, খাবারেও নীল-সাদার ছোঁয়া ছিল।”

    মেসির বিশ্বকাপ জয়ের প্রার্থনা

    শিবা পাত্র জানিয়েছেন, বিশ্বের সমস্ত ট্রফি হাতে তুলেছেন মেসি। শুধু বাকি রয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। তাঁর আশা এ বছর মেসির হাতে উঠবে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা। ফলে প্রিয় ফুটবলার ‘ভাই’ মেসির বিশ্বজয়ের আশায় দিনরাত প্রার্থনা করে চলেছেন তিনি।

  • Calcutta High Court: অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এটি নিয়েই প্রস্তুতি তুঙ্গে। কবে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন, কবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, প্রশ্ন রাজ্যবাসীর। কিন্তু ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না। অনুমতি নিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে। গতকাল, বৃহস্পতিবার একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলাটি কী?

    কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। আর সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ধরণের বিজ্ঞপ্তি জারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একটি হলফনামা দিতে হবে। তারপর মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারী পৃথক একটি হলফনামা দেবেন। দুটি হলফনামা পাওয়ার পর মামলার শুনানি হবে।   

    আরও পড়ুন: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারী মামলা করার সময়ে দুটি প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন। ২০১৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট সম্পূর্ণ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। ফলে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তাই আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।

    বিজ্ঞপ্তি জারিতে স্থগিতাদেশ

    গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল শুভেন্দুর করা মামলাটি। তখন শুভেন্দুর মামলার বিরোধিতা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছিল যে, এতে যেন কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কথার তোয়াক্কা না করে হাইকোর্ট থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী দল। দুই দল প্রচারেও নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলা থেকে বোমা, গুলি এবং আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা শুরু হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এমন নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আবার হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যায় কিনা, তা নিয়েও কৌতুহলের শেষ নেই।

  • Suvendu Adhikari: সুপ্রিম দুয়ারে আবেদন খারিজ! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য

    Suvendu Adhikari: সুপ্রিম দুয়ারে আবেদন খারিজ! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল কাণ্ডে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালত আর্জি শুনলই না। মামলা নিয়ে ফিরতে হল হাইকোর্টেই। শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছে হাইকোর্ট, সেকারণে গ্রেফতার করা যাবে না তাঁকে। এদিকে আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি দাবি করেছে শাসক দল।

    হাইকোর্টেই ফিরতে হল রাজ্যকে

    আসানসোলে বুধবার সন্ধ্যার ওই দুর্ঘটনার জেরে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়ে রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের উচিত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পরামর্শ নেওয়া। এর ফলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় রাজ্যকে। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে দুপুর ২টোয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের নির্দেশ পরিবর্তিত করার আর্জি জানানো হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় পুরসভার প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী তথা বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি আয়োজিত একটি কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সেখান থেকে শুভেন্দু বেরিয়ে যাওয়ার পরই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলেন রাজ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘কিছু ঘটনা ঘটে যেটা কারও হাতে থাকে না। দুর্ঘটনা হয়েছে। দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। না ঘটলেই ভাল হত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET: পর্ষদকে দেওয়া তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ, জেনে নিন পদ্ধতি

    TET: পর্ষদকে দেওয়া তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ, জেনে নিন পদ্ধতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দেওয়া তথ্যে কোনও ভুলভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ভ্রম সংশোধনের সুযোগ পাবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট (TET) পাশ করেছেন, সেই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কীভাবে করবেন ভ্রম সংশোধন?

    প্রাইমারিতে নিয়োগে পর্ষদের যে অনলাইন পোর্টাল রয়েছে www.wbbpeonline.com-এ যান। সেখানে PRIMARY TEACHER RECRUITMENT-2022-এই অপশনটিতে ক্লিক করুন। এরপর দেখবেন আসবে এডিট অ্যাপ্লিকেশন অপশন। সেখানে NOTIFICATION FOR ENJOYING EDIT OPTION FOR PRIMARY TEACHER’S RECRUITMENT 2022-এ যান। পরে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিন। সেখানে ক্লিক করলেই নির্দিষ্ট তথ্য সংশোধন করে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুটাও জেলের আঁধারেই কাটাতে হবে পার্থ অর্পিতাকে, কেন জানেন?

    এদিকে, প্রাথমিক টেট (TET) ২০২২ এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, টেট হওয়ার পর কার্বন কপি দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে, কাজ ভাল হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী আদালতে জানান, সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তা সংরক্ষণ করা থাকবে। রবিবার রাজ্যজুড়ে হয় প্রাথমিকের টেট। পরীক্ষা দেন প্রায় সাত লক্ষ চাকরি প্রার্থী।

    আরও পড়ুন: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। প্রাথমিকের টেটকে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছিল পর্ষদ। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স, মেটাল ডিটেক্টর, ফ্রিস্কিং সহ করা নিরাপত্তার নানা ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • School Teacher Transfer: সব শিক্ষক কলকাতায় এলে গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে তো! মন্তব্য বিচারপতির

    School Teacher Transfer: সব শিক্ষক কলকাতায় এলে গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে তো! মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব শিক্ষকরাই যদি বদলি নিয়ে কলকাতা বা আশপাশের স্কুলে কাজ করতে চান তাহলে তো গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে। শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় (Teachers Transfer Case) বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এব্যাপারে রাজ্যের নীতি কী তা স্পষ্ট করে জানতে চাইলেন বিচারপতি। এই বিষয়টা নিয়ে রাজ্য সরকারের গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত বলে জানান বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    কী বললেন বিচারপতি

    আদালতে দাখিল হওয়া রাজ্যের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বসু এদিন অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, “কলকাতায় ১১৫টি স্কুল আছে যেখানে ৫০০-র বেশি শিক্ষক আছেন, কিন্তু স্কুল প্রতি ৫০ জনের কম পড়ুয়া। ছাত্র রয়েছে এমন স্কুলে বদলির আবেদনও শুনতে হয়েছে !” পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ, “যদি রাজ্যের মনে হয় শিক্ষক বেশি হয়ে গেছে, তাহলে নতুন নিয়োগ কেন ? যেখানে ছাত্র নেই সেখানকার শিক্ষকদের অন্য স্কুলে পাঠানো হোক।’ এই বিষয়ে নীতি তৈরিতে রাজ্যের বাধা কোথায় ? রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি বসু। 

    আরও পড়ুন: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    বিচারপতি জানান, বদলি চেয়ে অনেকেই হাইকোর্টে আসছেন। বেশির ভাগ শিক্ষকই কলকাতা বা তার আশপাশের স্কুলে বদলি চাইছেন। বুধবারই এমন এক শিক্ষক আদালতে এসেছিলেন, যিনি একটি নির্দিষ্ট স্কুলে বদলি চাইছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্য কী ভাবছে জানতে চান বিচারপতি। রাজ্যের তরফে জানান হয়, শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা চলছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই বিস্তারিত জানিয়ে একটা রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোথায় কী অবস্থা তার সব তথ্য সেখানে দেওয়া আছে। মামলাকারীকে রিপোর্ট পড়ে তাঁর মতামত জানাতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    TET Scam: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) ফের নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন ও তিনি নিজেও অষ্টম শ্রেণি পাশ করা শিক্ষক। আর এরপরেই তাঁকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই নেতা হলেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে বেতন পেলেও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও প্রতি মাসে আলাদা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। এইসব অভিযোগের পরেই তাঁকে ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর ১টার মধ্যে সশরীরে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেবজ্যোতি ঘোষের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ?

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) নাম জড়িয়েছে দেবজ্যোতি ঘোষের। তিনি ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশাপাশি একজন প্রাথমিক শিক্ষকও। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সদস্যও তিনি। অভিযোগ উঠেছে, নিজের ক্ষমতা বলে তিনি টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন ও এই অভিযোগে মামলাও দায়ের হয় হাইকোর্টে। কোয়েনা দে নামে এক চাকরিপ্রার্থীর করা মামলায় ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার তৃণমূলের এই নেতাকে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: মৃত লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ, ফাঁসে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

    কোয়েনা দে দাবি করেছেন, দেবজ্যোতি ঘোষের পাসপোর্টে লেখা, তিনি নাকি অষ্টম শ্রেণি পাশ। ফলে কীভাবে তিনি প্রাথমিকে চাকরি পেলেন সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলার (TET Scam) শুনানি চলাকালীন দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে আসে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দেবজ্যোতি ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আর এরপরেই সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ানো তাপস মণ্ডলেরও ঘনিষ্ঠ।

    ফলে এইসব অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন এই হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য। একইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, যদি তিনি  হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

  • Kolkata Weather: ১২ ডিগ্রির নীচে নামতে পারে তাপমাত্রা! কিন্তু কবে? কী জানাল হাওয়া অফিস?

    Kolkata Weather: ১২ ডিগ্রির নীচে নামতে পারে তাপমাত্রা! কিন্তু কবে? কী জানাল হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর মাস, তবুও দেখা নেই শীতের। পারদের ওঠা-নামা লেগেই রয়েছে। মন্দৌস ঘূর্ণিঝড় চলে গেলেও কলকাতা ও আশেপাশে এলাকাগুলির তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন নেই। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দু’দিনেও তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। আজও কলকাতায় পারদ ঊর্ধ্বমুখী। ফলে শহরে ঠান্ডা কবে পড়বে, তারই অপেক্ষায় শহরবাসী। তবে আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এই মাসের শেষের দিকে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে পারে। এমনকি তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নীচে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে আজ গতকালের থেকেও তাপমাত্রা বেশি। অন্যদিকে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৪১ থেকে ৯৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘন্টায় শহরের তাপমাত্রা ১৭ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। আকাশ মূলত পরিস্কার থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েক দিন সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে শীত পড়তে আরও দেরি! আজ কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    কবে শীত?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে নিম্নমুখী হতে পারে পারদ। ফিরতে পারে শীতের আমেজ। ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও নিচে নেমে যেতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। শুধু তাই নয়, জেলাগুলিতেও একেবারে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। জেলায় ১২ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাপমাত্রার বড় পরিবর্তন ডিসেম্বরের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যেই ঘটতে পারে।

    নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    অন্যদিকে মন্দৌসের প্রভাব কেটে গেলেও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে এখনও ঘূর্ণাবর্তের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় এটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে শ্রীলঙ্কার দিকে যাবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। এই ঘূর্ণাবর্তের দিকে নজর রাখছেন আবহবিদরা।

  • Visva Bharati: মধ্যরাতে উত্তাল বিশ্বভারতী, ভাঙা হল অবস্থান মঞ্চ

    Visva Bharati: মধ্যরাতে উত্তাল বিশ্বভারতী, ভাঙা হল অবস্থান মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে উত্তাল বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে ছাত্রছাত্রীদের (Students) করা অবস্থান মঞ্চ (Protest Stage) ভেঙে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীরা মত্ত অবস্থায় তাঁদের মারধর করেছেন। তাঁরা ছাত্রীদের ধর্ষণ করার হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতোর উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাঁদের।

    বিশ্বভারতীতে বিশৃঙ্খলা…

    ছাত্র বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশৃঙ্খলা চলছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে কুড়ি দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের দাবি, উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পদত্যাগ করতে হবে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেই মঞ্চই ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

    বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের বাড়িতে গিয়ে ইট ছুড়েছেন পড়ুয়ারা। তাই নিরাপত্তারক্ষীরা এসে মাঝ রাতে অবস্থান মঞ্চ ভেঙে ফেলেছেন। তাঁর দাবি, অধ্যাপকদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু পাথর উদ্ধার হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি এবং হট্টগোলের জেরে অশান্ত হয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য তাঁর বাসভবন থেকে বেরতে গিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকেন উপাচার্য। তাঁকে ঘেরাও মুক্ত করতে গিয়ে বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময় কয়েকজন ছাত্রছাত্রী উপাচার্যের দিকে চেয়ার ছুড়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল হলে যান উপাচার্য। অশান্তি পিছু নেয় সেখানেও। দফায় দফায় ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারী ও নিরাপত্তারক্ষীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের দাবিদাওয়া নিয়ে কোনও লিখিত আবেদন তাঁরা পাননি। তাই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেও ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিশ্বভারতী (Visva Bharati)। একাধিক দাবি নিয়ে সেদিন উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময় উপাচার্য তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যকে ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share