Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta Medical College Hospital: খুলল না মেডিক্যালের জট, অনশন না তুললে বৈঠক নয়, জানাল স্বাস্থ্য ভবন 

    Calcutta Medical College Hospital: খুলল না মেডিক্যালের জট, অনশন না তুললে বৈঠক নয়, জানাল স্বাস্থ্য ভবন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল বৈঠক। ছাত্র নির্বাচন সময় মতো করার দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনে বসেছেন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতির সমাধান সূত্র খুঁজতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাদের পাশপাশি স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠকে থাকার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা মতো বৈঠক মঙ্গলবার হল না। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পড়ুয়ারা অনশন না তুললে কোনও আলোচনা হবে না। আগে পড়ুয়ারা অনশন তুলে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবেন। তারপরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈঠক হবে। 

    স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে ফোন করেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে যখন কথা বলতে পড়ুয়ারা নারাজ, তখন স্বাস্থ্য ভবন কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারবে না। তিনি পড়ুয়াদের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি অধ্যক্ষকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যেখানে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি তাহলে স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকে কীভাবে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে? পরে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অনশন না তুললে বৈঠক হবে না। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, বৈঠক হবে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কোনও জিনিস অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    গতকালই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পড়ুয়াদের সঙ্গে সুপারের ঘরে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু, সেই বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। এরপরেই স্বাস্থ্যভবন থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, রোগীদের স্বার্থে হাসপাতালের ভিতরে কোনও রকমের আন্দোলন করা যাবে না। তবে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এ কথা জানানো হলেও ২২ ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় রয়েছেন পড়ুয়ারা। শুক্রবার পাঁচ জন ছাত্র অনশন শুরু করেন। তার মধ্যে গতকাল একজন অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। এই অবস্থায় জট কবে কাটবে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যালের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি আবারও স্বাস্থ্য সচিবকে ফোন করে বৈঠক হবে কি না সে বিষয়টি জানতে চাইবেন।

    পড়ুয়ারা অবশ্য জানাচ্ছেন, নির্ধারিত দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে স্বাস্থ্য ভবনের এত অনীহা কেন! রাজ্যের শাসক দলের ইচ্ছেতেই সিদ্ধান্ত বদল কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। পড়ুয়াদের হোস্টেল থেকে ফি নেওয়া হয়, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে  কোথায় কত টাকা নেওয়া হবে, বাড়তি টাকা নেওয়া হবে কিনা, সেটাও ঠিক করেন শাসক দলের কয়েক জন নেতা। কোনও সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়ম মাফিক হয় না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে সেটা আরেকবার স্পষ্ট হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এবার পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় স্বাস্থ্য দফতরে (health department) নিয়োগের জন্য জেলাস্তরে গঠিত ২৮ জনের সিলেকশন কমিটি (selection committee) বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।  এই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতা। 

    আদালতের অভিমত

    উচ্চ আদালতের অভিমত, গত বছর ২৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগের জন্য যে সিলেকশন কমিটি গঠন করেছিল, তার মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা উচিত। এর ফলে প্রার্থীদের সিলেকশন প্রক্রিয়া নিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টরকে হাইকোর্টের নির্দেশ, দু’সপ্তাহের মধ্যে সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। চেয়ারম্যান হিসাবে এমন গুরুত্বপূ্র্ণ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে যাঁর বিরুদ্ধে কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ থাকবে না। যিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হবেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার গঠিত মনোনয়ন কমিটির মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ্ব হবে।

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরে। সেই কমিটিতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, চন্দ্রনাথ সিংহ, শান্তা ছেত্রী, মলয় ঘটক, অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ানের মতো তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। তারপরই এই কমিটিকে নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পীযূষ পাত্র। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ১১,৫২১ পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, মনোনয়ন কমিটির প্রায় সকল সদস্যই শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। ফলে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bogtui Massacre: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    Bogtui Massacre: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের (Bogtui Massacre) মূল অভিযু্ক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু। কিছুদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয় ও সিবিআই হেফাজতে রাখা হয়। তাকে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে রাখা হয়েছিল। এর পর গতকাল বিকেলে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর ফলে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, লালনের মৃত্যুর নেপথ্যে পুলিশের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। আবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। ফলে লালনের রহস্যময় মৃত্যু নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    শুভেন্দু ও সুকান্তর দাবি

    গতকাল হাজরায় সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে সভাশেষে সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু বলেন, “লালন শেখের নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ, তাই পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যা সত্য, তা সামনে আসা উচিত। যেটুকু আমি শুনেছি, সিবিআই আধিকারিকেরা সেই সময় আদালতে গিয়েছিলেন। তবে, সবটাই শোনা।” এদিকে লালনের মৃত্যু নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেখতে হবে, লালনকে কোথায় রাখা হয়েছিল। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কাউকে বাঁচাতে এটি করা হল কি না সেটাও দেখা উচিত।”

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    সিবিআই ও পরিবারের দাবি

    গতকাল সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল যে, লালন আত্মহত্যা করেছে (Bogtui Massacre) । কিন্তু পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। গতকাল সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সূত্রের খবর, লালনের গলায় ফাঁস থাকলেও শৌচাগারের মেঝেতে তাঁর পা ঠেকে ছিল। তাই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে তাহলে ফাঁস লাগল? লালন শেখের দিদির বক্তব্য, “এত মেরেছে যে লালন দাঁড়াতে পারছিল না। ওকে খুন করা হয়েছে। আমরা শাস্তি চাই, সিবিআইয়ের শাস্তি চাই।”

    চড়ছে উত্তেজনার পারদ। গতকালের ঘটনার পর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান লালনের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন। যদিও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য রাতে পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়ানো হয় গ্রামে। যে হাসপাতালে লালনের ময়নাতদন্ত হচ্ছে, সেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যে সিবিআই ক্যাম্পে লালনের মৃত্যু, তার সামনেও পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে, রয়েছে কেন্দ্রীয়-নিরাপত্তাও। সোমবার রাতেই রামপুরহাটের এসডিপিও জানান, যে সমস্ত জায়গা তাঁদের কাছে উত্তেজনাপ্রবণ, সেই সমস্ত জায়গাতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মঙ্গলবার সকালেই সিবিআইয়ের বিশেষ দল পৌঁছেছে রামপুরহাটের ক্যাম্প অফিসে। তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও (Bogtui Massacre) ।

     
  • West Bengal Weather: জাঁকিয়ে শীত পড়তে আরও দেরি! আজ কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    West Bengal Weather: জাঁকিয়ে শীত পড়তে আরও দেরি! আজ কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর অক্টোবর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামায় মনে করা হচ্ছিল, এবার খুব শীঘ্রই জাঁকিয়ে শীত পড়বে। কিন্তু ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ, তবে শীতের দেখা নেই। আবহাওয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণত ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কলকাতায় ঠান্ডা পড়লেও এবছর এখনও দেরি আছে শীত আসতে। তবে সপ্তাহের শেষের দিকে ফের নামতে পারে পারদ। শীতের আমেজ বজায় থাকবে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আপাতত স্বাভাবিকের তুলনায় উপরেই থাকবে কলকাতার পারদ। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি থেকে প্রায় এক ডিগ্রি বেড়ে ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকবে। আগের তুলনায় সামান্য বেড়ে তাপমাত্রা হবে ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৪১ থেকে ৯৮ শতাংশ। কলকাতায় মঙ্গলবার আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা এবং শিশির দেখা যায়। আগামী কয়েক দিন একই রকম থাকবে আবহাওয়া। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    অন্যদিকে জেলাগুলিতে অবশ্য খুব স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের তুলনায় একটু কম থাকবে তাপমাত্রা।  ১৬ তারিখ বা তার পর থেকে ফের রাতের তাপমাত্রা কমবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।  আবার উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা আপাতত স্বাভাবিকের কাছাকাছি রয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সেখানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: ফের পারদ পতন, রাজ্যে ফিরে এল শীতের আমেজ

    শীত আসতে কেন দেরী?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, মূলত উত্তুরে বাতাসের দাপট কমে যাওয়া ও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। বাংলায় তেমনভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি ও বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু কমেছে শীতের দাপট। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকায় আগামী কয়েকদিন রাজ্যে শীতের আমেজ কমেছে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যে শীতের আমেজ বাড়তে পারে।

    ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসের প্রভাব কাটতে না কাটতেই আন্দামান সাগরে আরও এক ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী ২৪ ঘন্টায় এটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে শ্রীলঙ্কার দিকে যাবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

  • Justice Abhijit Ganguly: “ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি”, কেন এমন বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    Justice Abhijit Ganguly: “ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি”, কেন এমন বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যেন অস্ত্র তুলে নিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলে-মেয়ে তো বটেই তাদের অভিভাবকদের চোখেই তিনি হয়ে উঠেছেন ভগবান। তাঁর একের পর এক নির্দেশে আজ গারদের অন্ধকারে রাজ্যের হেভিওয়েট দুর্নীতিবাজ নেতারা। গোটা রাজ্যই তাঁকে সততার প্রতীক হিসেবে দেখা শুরু করেছে। এরই মাঝে তিনি নিজেকে ‘শয়তান’ হিসেবে দাবি করে বসলেন। কিন্তু কেন? 

    কী ঘটেছে?

    একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এক মহিলা এগিয়ে এসে তাঁকে তাঁর কথা শোনার আর্জি জানান। সময়ের অভাবে বিচারপতি তা শুনতে অস্বীকার করলে মহিলা বলেন, “ধর্মাবতার আমার কথা একটু শুনুন। আপনিই ভরসা।” তার উত্তরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “এখন তো মামলা মেনশনের সময় নেই। তা ছাড়া এ ভাবে বলছেন কেন? এ ভাবে কি মামলা করা যায়?” মহিলা বলেন, ”বঞ্চিত হয়ে অনেক বছর ধরে ঘুরছি। কয়েক বার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে করতে পারিনি। এর আগে মামলা করেও কিছু হয়নি। আপনি সাহায্য করুন। আপনাকে আমরা ভগবানের মতো দেখি।” সেই সময়ই বিচারপতি উত্তর দিয়ে বলেন, “আমি বদলে গিয়েছি। আগের মতো আর নেই। ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি।”

    আক্ষেপের সুরে তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমি আর আগের মতো নেই। আর আমি ভগবান-টগবান নই। আমি শয়তান হয়ে গিয়েছি। ভগবান থেকে শয়তান!” মহিলা তখন পাল্টা বলেন, “এ ভাবে বলবেন না! আপনি যা দেশের জন্য যা করেছেন তা অতুলনীয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”

    আরও পড়ুন: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি 

    বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) এরপর বলেন, “আপনার মামলার নম্বর কত? দিয়ে যান বুধবার বিষয়টি দেখতে পারি।” এরপর এজলাস ছেড়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ পা পিছলে ওই মহিলা পড়ে গেলে কয়েকজন আইনজীবী তাঁকে তুলে ধরেন। মহিলা খানিকটা সুস্থ হয়ে জানান যে, তাঁর মাথা ঘুরে গিয়েছিল। বিচারপতি সেই মহিলাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “সাবধানে যান। মামলা হবে। চিন্তা করবেন না।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”আমার মন্তব্যের অন্য মানে করা হচ্ছে। আমি আর মন্তব্য করব না।”

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে কোনও শুনানি থাকলে এখন ঠেলাঠেলি ভিড় হয়ে যায় হাইকোর্টে। আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ সবাই ভিড় করেন। অন্য মামলার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীরাও অনেকে এসে বসে থাকেন বিচারপতি নতুন কী বলছেন তা শোনার জন্য। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা কোনও তারকার থেকে মোটেই কম নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি বিজেপির! বিস্ফোরক ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি বিজেপির! বিস্ফোরক ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থেকে বড় ভবিষ্যৎবাণী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari )। রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) সভা থেকে আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুঙ্কার দিলেন সেখানকার ভূমিপুত্র। তিনি বলেন, ‘১৭টি পঞ্চায়েতের (Panchayat) মধ্যে ১২টি বিজেপির ঝুলিতে যাবে। ১৭টির মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েতের প্রধান হবে বিজেপির। আর বাকি পাঁচটির প্রধান কে হবেন, সেটিও বিজেপির সদস্যরাই ঠিক করবেন।’ না! এখানেই থেমে থাকেননি বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও জানান,২টি পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির ঝুলিতে যাবে। 

    কুণালকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখন গোকুলনগরে, তখন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জনসংযোগ সারলেন সোনাচূড়ায় ! আর তাঁদের চ্যালেঞ্জ আর পাল্টা চ্যালেঞ্জ ঘিরেই ফের তেতে উঠল নন্দীগ্রামের মাটি। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে ৩৬০০ বুথ কর্মীকে নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় পূর্ব নির্ধারিত জনসংযোগ কর্মসূচি – চাটাই বৈঠকে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, সম্প্রতি কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া, নেতা ও কর্মীদের একাংশ ফের বিজেপিতে ফিরে যান শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, যত চাটাই সভা হবে, দলে ততই ছাঁটাই হবে।

    আরও পড়ুন: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বিরোধী দলনেতার

    গাড়ি নয় বাইকে করে প্রচার করুন

    পঞ্চায়েতের প্রতিটি বুথকে বিজেপির দুর্গ করে তুলতে হবে, এই বার্তা দিয়ে এদিনের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু ঘোষণা করেন যে, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গ্রামে গ্রামে গাড়ি করে নয়, পঞ্চায়েত ভোটে বাইক ও টোটো চড়ে ঘুরবেন তিনি। কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যদি প্রকৃত গরীব মানুষজন বাড়ি না পেয়ে  শাসক দল ঘনিষ্ঠরা বাড়ি পান তাহলে প্রতিবাদ হবে’। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী  পঞ্চায়েতে শাসক দলের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে  আলোচনা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর ধামাকার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর রাজ্যে ‘পালাবদলের’ দিন। আজ, সোমবার তার শুরু। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় হাজরায় সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। 

    সুকান্ত-শুভেন্দু পাশাপাশি

    এদিন কেন্দ্রীয় নেতাদের বাদ দিয়েই বিজেপি তৃণমূলের খাস তালুক হাজরায় মেগা সমাবেশের আয়োজন করেছেন যা রাজ্য বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। এই সভায় দশ হাজার জমায়েতের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উত্তর কলকাতার জমায়েত হবে ম্যাডক্স স্কোয়ারে। দক্ষিণ কলকাতা জেলার কর্মীরা সরাসরি হাজরা মোড়ে আসবেন। আর দক্ষিণ ২৪পরগনা থেকে যাঁরা আসবেন তাঁরা দক্ষিণ শহরতলির কোথাও জমায়েত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    হটুগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে সভা

    ৩ ডিসেম্বর, ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে, হটুগঞ্জে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ মমতার এলাকায় সভা করবেন শুভেন্দু-সুকান্ত। আগামীকাল হাজরা মোড়ে পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। এদিন হাজরার জনসভায় মঞ্চে পাশাপাশি দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। ভোটের বাংলায় দুই শীর্ষ নেতার ভোকাল টনিকের অপেক্ষায় এখন রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তবে শুধু পদ্মশিবিরই নয়, হাজরার সভায় বাড়তি নজর শাসক দলেরও। শুভেন্দুর সভা নিয়ে প্রথমে আইনি জটিলতা থাকলেও বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানায় হাজরায় ১২ ডিসেম্বর ও কাঁথিতে ২১ ডিসেম্বর শুভেন্দু সভা করতে পারবেন। তবে মেনে চলতে হবে শব্দবিধি। 

    ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি

    গত কয়েকমাস ধরেই, বারে বারে ডিসেম্বর নিয়ে নতুন নতুন সব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে ডিসেম্বর নিয়ে কৌতুহলের পারদও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে! আর এবার তো সরাসরি তারিখও বলে দিয়েছেন তিনি! এই আবহে এই দিনটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। এদিকে, আজই ৩ দিনের মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata)। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। গত ২ বছর ধরে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক শক্তি বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। এবার তাদের লক্ষ্য মেঘালয়।

    আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকার সোনা, গ্রেফতার ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ramakrishna Sarada Mission: সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান

    Ramakrishna Sarada Mission: সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা (Sarada Math president) প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা (Pravrajika Bhaktiprana)। রবিবার রাত ১১টা ২৪ মিনিট নাগাদ তিনি ইহলোক ছেড়ে চলে যান।  দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে কয়েক দিন ধরে ভক্তিপ্রাণা মাতাজি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৭ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীণ সন্ন্যাসিনীকে। হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, ফুসফুসেও সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল। তীব্র জ্বরেও আক্রান্ত ছিলেন। রবিবার দুপুর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক হয়ে যায়।  বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাতে তাঁর দেহ আনা হয় টালিগঞ্জে মাতৃ ভবনে। সকাল ১০টা নাগাদ দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সারদা মঠে। 

    কর্মযোগী

    ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ অধ্যক্ষা পদে নিযুক্ত হন প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা। ২০০৯ সালে সঙ্ঘের তৃতীয় অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণার মৃত্যুর পরে, ওই বছরের ২ এপ্রিল ওই পদে বসেন ভক্তিপ্রাণা মাতাজি। টানা ১৩ বছর তিনি অধ্যক্ষা পদের দায়িত্ব সামলেছেন। সারা জীবন সমাজ ও মানব কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন ভক্তিপ্রাণা মাতাজি। তার আগে দীর্ঘ সময় তিনি টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই ওই হাসপাতাল ১০ শয্যার প্রসূতি সদন থেকে ১০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে উন্নীত হয়। সেখানে সকলের কাছে তিনি ছিলেন ‘বড় মা’ নামে পরিচিত। ধাত্রী বিদ্যায় পারদর্শী মাতাজি আপন স্নেহে ও মমতায় সারদা মাতৃভবনকে মা ও শিশুদের চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য হাসপাতাল হিসেবে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?

    পূর্বাশ্রম

    ১৯২০ সালের অক্টোবরে কলকাতাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।   ছোটবেলা থেকেই ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ছিল অগাধ। যোগাযোগ ছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গেও। সারদেশ্বরী আশ্রম ও হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে তিনি নার্সিং প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৫০ সালে টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন। ১৯৫৩ সালে ভক্তিপ্রাণা মাতাজীকে ব্রহ্মচর্যে দীক্ষা দেন শ্রী রামকৃষ্ণের প্রত্যক্ষ শিষ্য তথা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের চতুর্থ অধ্যক্ষ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ। অনেকের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন পূর্বাশ্রমের নাম কল্যাণীদি হিসেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

  • Lalan Sheikh: লালনের মৃত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব, বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা

    Lalan Sheikh: লালনের মৃত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব, বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। গতকালের ঘটনার পর বগটুই ফের খবরের শিরোনামে। লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রামপুরহাট। এদিকে পরিস্থিতি যাতে আরও শোচনীয় হয়ে না পড়ে তার জন্য সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাতারাতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালনের মৃ্ত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই। ফলে রাতেই দিল্লির সিবিআই দফতর থেকে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় বগটুই তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের থেকে। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই।

    কড়া নিরাপত্তা রামপুরহাটে

    রামপুরহাটের যে অস্থায়ী ক্যাম্পে লালনকে (Lalan Sheikh) রাখা হয়েছিল ও যেখানে তার মৃত্যু হয়েছে, সেখানে সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে যাতে কোনও অশান্তি না হয় তাই সেই জায়গা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও আজ, মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাটে পৌঁছেছেন আরও কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজেও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বীরভূম জেলা পরিষদ। বগটুই গ্রামেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঘটনার কিছুক্ষণের পর থেকেই এলাকা পুরো থমথমে হয়ে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    অন্যদিকে বগটুইতে লালনের বাড়ির সামনে নতুন করে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে আলাদা করে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে পরিবারকেও। আজ লালনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। তার পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।

    লালন শেখের মৃত্যুতে চাপে সিবিআই

    সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকাকালীন লালনের (Lalan Sheikh) মৃত্যু হয়েছে। আর তাতেই উঠছে প্রশ্ন। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, লালন আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। ফলে স্বভাবতই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআই-এর অন্দরেও উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই লালনের মৃত্যুর ঘটনায় কারও গাফিলতি রয়েছে কি না, নিজেদের অভ্যন্তরীণ তদন্তে তাও খুঁজে বের করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় যেসব সিবিআই আধিকারিক অফিসে উপস্থিত ছিলেন, তাদের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে। সোমবার রাতেই লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক রিপোর্ট সিবিআই-এর পক্ষ থেকে দিল্লির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

  • Lalan Sheikh: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    Lalan Sheikh: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুই কাণ্ডে ধৃত প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু (CBI Custody)। রামপুরহাটে সিবিআই-র অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয়েছে তার। কয়েকদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাকে ৬ দিনের জেল হেফাজতের পর আবার ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পর আজ তার মৃত্যু হল। কিন্তু কী কারণে মৃত্যু হল তার, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে সিবিআই সূত্রের খবর, সিবিআই দাবি করেছে, আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, অন্যদিকে লালনের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, তাকে খুন করা হয়েছে। ফলে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

    লালন শেখের রহস্যময় মৃত্যু

    সোমবার বিকেলে সিবিআই সূত্রে জানা যায়, রামপুরহাটের পান্থশ্রী অতিথিনিবাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাটে সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে জেরা চলাকালীন মৃত্যু হয় লালনের। তখন বিকেল ৪টা বেজে ৫০ মিনিট হয়েছে। এর পর তার দেহ পাঠানো হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের সামনে পৌঁছে যায় লালনের (Lalan Sheikh) পরিবারের লোকজন।

    আরও পড়ুন:”১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বেই”, হাজরার সভা থেকে ‘হুঙ্কার’ শুভেন্দুর

    সিবিআই ও লালনের পরিবারের কী দাবি?

    সিবিআই আধিকারিকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, লালন (Lalan Sheikh) আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু অন্যদিকে আজ সন্ধ্যায় লালনের দিদি সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ড ডিস্কের খোঁজে লালন শেখকে বগটুইয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। তার পর তাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যায়। তাকে এত মারধর করা হয় যে, সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছিল না। নিজের বাড়িতে পৌঁছে এক প্রতিবেশীর কাছে জল চায় লালন শেখ। অভিযোগ তাকে জল খেতে দেয়নি সিবিআই। লালনের দিদি দাবি করেন, সিবিআই ওকে পিটিয়ে মেরেছে।

    বগটুইয়ে কী ঘটেছিল?

    ২১ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে খুন করা হয় বগটুই (Bogtui Murder) গ্রামের বাসিন্দা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ভাদু শেখকে। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে সাতজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁরাও মারা যান। এর পর ২১ জুন সিবিআই দুটি ঘটনার চার্জশিট জমা দেয়। আর চার্জশিটে নাম ছিল মূল অভিযুক্ত লালন শেখের।

    প্রথমে সে নিখোঁজ থাকলেও ৩ ডিসেম্বর রাতের দিকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ৪ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয় ও সেখানে বিচারক তাকে ৬ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হেফাজতে লালনকে বীরভূমের রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে রেখেছিল সিবিআই। ১০ ডিসেম্বর আবার আদালতে পেশ করার পরে তাকে আরও তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। এর পর আজ , সোমবার বিকেলে জেরা চলাকালীন লালনের (Lalan Sheikh) মৃত্যু হয়। ফলে সিবিআই হেফাজতে লালনের রহস্যময় মৃত্যু নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

LinkedIn
Share