Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Gorkhaland: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    Gorkhaland: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাহাড় হাসছে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্লোগান অনেকের মনকেই ভরিয়েছিল৷ আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু পাহাড় কী সত্যিই হাসছে? মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শাসনকালে বার বার রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করেছে পাহাড়। বার বার রক্তাক্ত হয়েছে শৈলরানি দার্জিলিং। আবার ঘনিয়েছে অশান্তির কালো মেঘ। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছে দার্জিলিং- এর একাংশ। একদিকে, জিটিএ’র ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে জিটিএ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং৷ অন্যদিকে, পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি নামে কমিটিকে সামনে রেখে রীতিমতো পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে প্রচারে নামতে চলেছেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। শুধু পাহাড়ই নয়, পাহাড়-সহ তরাই, ডুয়ার্স এমনকি সমতলের কিছু অংশেও ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তা নিয়ে সমগ্র পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স ও সমতলে প্রচার – আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর এতেই অশনি সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হবে দার্জিলিং? এখন সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে।  

    কী জানা গেল?  

    দিল্লিতে সেমিনারের পর দুদিন ধরে কালিম্পংয়ের ১০ মাইলে মারোয়ারী ভবনে পৃথক রাজ্যের উপর আলোচনা সভা ডেকেছিলেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি ছাড়াও পাহাড়ের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই সভায় যোগদান করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই সভাতেই বিমল গুরুং ঘোষণা করেছেন জিটিএ চুক্তি থেকে নিজেকে এবং গোর্খা (Gorkhaland) জনমুক্তি মোর্চাকে সরিয়ে আনবেন। বাতিল করবেন জিটিএ চুক্তি। আর বিমল গুরুংয়ের এই সিদ্ধান্তে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও। এই সভাতে সিদ্ধান্ত হয় ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামবে দলগুলি। আর সেই দাবি জানিয়েই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের জিটিএ চুক্তি বাতিলের জন্য চিঠি পাঠাবেন বিমল গুরুং।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় অংশ নিতে চায় ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থী!  

    প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে পাহাড়কে শান্ত করতে জিটিএ চুক্তি (Gorkhaland) করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সেই সময় বিমলের সঙ্গে একপ্রকার সমঝোতার রাস্তায় গিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অধীনেই জিটিএ চুক্তিতে সায় দিয়েছিল কেন্দ্র। ফলে কেন্দ্র, রাজ্যর সহমতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করা হয়। এরপর থেকে পাহাড়ের দায়িত্বে ছিলেন বিমলই। কিন্তু পৃথক রাজ্যর দাবিতে ফের বিমল গুরুং সক্রিয় হতেই বদলে যায় সমীকরণ। ২০১৭ সালের আন্দোলনের পর বিমলের হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে পাহাড়ের রাশ অনিত থাপার হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। আর এরপরেই জিটিএ চুক্তিকে হাতিয়ার করেন বিমল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে যদি একপক্ষ অর্থাৎ বিমল গুরুং নিজেকে প্রত্যাহার করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। নতুন করে চুক্তি করতেও হতে পারে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে পারে রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ। বাড়ি ফেরার সময় গুলি করে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের লালবাগে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মুর্শিদাবাদে শুটআউটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের লালবাগে। মৃত তৃণমূল নেতার নাম আলতাফ হোসেন। তাঁকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে খবর। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে বা তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি প্রাণ গেল ওই ব্যক্তির? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কেশবপুর নওদাপাড়ার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন পেশায় নওদাপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তবে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নতুন প্রধান নির্বাচন ছিল। সেখানেই প্রধান নির্বাচিত হন আলতাব-ঘনিষ্ঠ সোনালি বিবি। প্রধান নির্বাচনের পর মঙ্গলবার রাতে একাই বাইক চালিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, তখনই মুর্শিদাবাদ থানার আজিমসরা এলাকায় আলতাফ হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: অধিকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন! অমর্ত্য সেনকে চিঠি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    পুলিশ সূত্রে খবর, আলতাব হোসেনের পিঠে একটা গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আলতাব। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে অস্ত্রোপচার করা হয় আলতাফের। বের করা হয় গুলি। তবে শেষ রক্ষা হল না। এরপর এদিন সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই তৃণমূল নেতা।

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশায় স্কুলশিক্ষক আলতাব হোসেন ২০০৮–২০১৩ সাল পর্যন্ত রানিনগর–১ ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক তিনি। তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। একাংশের ধারণা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    Mid Day Meal: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পর এবারে রাজ্যের স্কুল গুলিতে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতায় এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ১১ জন সদস্য। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের তরফে নির্বাচিত মোট ১১ জন আধিকারিক এবং সঙ্গে একজন ইউনিসেফের সদস্যকে নিয়ে যৌথভাবে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করা হবে। এই প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে খতিয়ে দেখবে পরিস্থিতি। আজ সোমবার থেকেই রাজ্যের ৪ জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।

    রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

    অনেক দিন ধরেই রাজ্যে মিড ডে মিল নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা ঠিক ভাবে ব্যবহার করছে না। এই প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার এক ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, মিড ডে মিলের টাকায় বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আবার বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের স্কুল গুলিতে মিড ডে মিলের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলের অনেকেই। ফলে এবারে মিড ডে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে গতকাল রাজ্যে পৌঁছল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ১১ জন সদস্য। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুষ্টিবিদ অনুরাধা দত্ত। রয়েছেন ইউনিসেফের এক প্রতিনিধি। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের এক প্রতিনিধিও। ওই দলের সদস্যেরা কলকাতা বিমাবন্দর থেকে চলে যান নিউ টাউনের একটি হোটেলে। এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা রাজ্যের চারটি জেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। আজ ওই পর্যবেক্ষকেরা যাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে। পরের কয়েক দিন হাওড়া, উত্তরবঙ্গ এবং সব শেষে কলকাতার কয়েকটি স্কুলে তাঁদের ঘোরার কথা আছে।

    কোন কোন দিক খতিয়ে দেখবেন তাঁরা?

    এই প্রকল্পে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা ঠিকমত খরচ করা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে দেখবেন তাঁরা। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা খতিয়ে দেখবেন, নিত্যদিন যে খাবার স্কুলপড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে, তা কতটা পুষ্টিকর। আর সেই জন্যই এক পুষ্টিবিশারদকে রাখা হয়েছে ওই দলের নেতৃত্বে। মিড ডে মিলের সঠিক চার্ট আছে কি না, মিড ডে মিলের জন্য প্রতিমাসে স্কুলের যে অর্থ বরাদ্দ করা হয় তার রেজিস্টার খাতা ঠিকঠাক আছে কি না, স্কুলের মিড ডে মিলের লোগো ঠিকঠাক আছে কি না, চাল, ডাল যেখানে রাখা হয় সেই জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কি না, খাবারের মান কেমন, ইত্যাদি বিষয় বারংবার খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। আবার কেন পড়ুয়াদের একটি অংশ খাবার খায় না, তা-ও দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ জারি করবে কেন্দ্র। রবিবার মালদার হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পার্বতীডাঙার কর্মিসভায় বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুধু ফের নরেন্দ্র মোদির দিল্লির মসনদে ফেরার অপেক্ষা। এদিন অমর্ত্য সেন ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন,  “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া উচিত। তা নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাস কেউ কথা বলবে মানা যায় না।”

    সিএএ ইস্যু

    বরিবার, মালদহের হবিবপুর ব্লকের ১১ মাইল এলাকায় অঞ্চল কর্মী সম্মেলন হয় বিজেপির। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন উত্তর মালদা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, মালদা বিজেপির বিধায়ক গোপাল সাহা, উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। সেখানেই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কথা বলেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “রাম মন্দির হওয়ার আগে বিরোধীরা আমাদের টিটকিরি মারত। প্রশ্ন করত কবে রাম মন্দির হবে? ২০২৪-এর পয়লা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তেমনই এখন বিরোধীরা টিটকিরি মারছেন কবে সিএএ চালু হবে? আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। ২০২৪-এর মধ্যেই সিএএ লাগু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিছু করতে পারবে না। দেখবে, আর লুচির মত ফুলবে।”

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গ

    অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর মধ্যে সমস্যা নিয়ে সুকান্ত এদিন বলেন, “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। জমি মাপামাপি করলে, তবেই তো সমস্যা মিটবে। আমি নোবেল পেয়েছি মানে তো আমি কারও জমি দখল করতে পারি না। একটা অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। উনি সম্মানীয় ব্যক্তি। এই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি মিটে যায়, ততই ভালো। তাঁর নামের সঙ্গে এই ধরনের সমস্যা মানায় না।” এদিন মালদায় দুটি সভা করার পর পাকুয়াহাটে চা চক্রে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “টুয়েলভ পাশ ছেলে অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) মতো নোবেল লরিয়ট সম্পর্কে বড় বড় কথা বলছে ৷ ওঁর এমবিএ ডিগ্রিটাও তো ভুয়ো।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে বিজেপিও, কী বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে বিজেপিও, কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন বিধায়ককে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা অন্যায়। ভাঙড়ের আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে এ কথাই বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে ধর্মতলায় বিক্ষোভের জেরে গ্রেফতার করা হয় নওশাদকে। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তারই প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। সুকান্ত বলেন, বিজেপির সঙ্গে আইএসএফের কয়েক যোজন দূরত্ব। রাজনৈতিকভাবে নওশাদের সঙ্গে বিজেপির কোনও মিল নেই। তবে একজন বিধায়ককে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা অন্যায়।

    প্রতিবাদ…

    প্রসঙ্গত, এর আগে নওশাদের গ্রেফতারি নিয়ে পথে নেমেছে সিপিএম। রাজ্যজুড়ে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের জোটসঙ্গীরা। এবার ভিন্ন মেরু হওয়া সত্ত্বেও এর প্রতিবাদ জানাল বিজেপি। নওশাদ ভাঙড়ের বিধায়ক। তিনি হুগলির ফুরফুরা শরিফের পিরজাদাও। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে শুক্রবার বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার নেতৃত্বে ধিক্কার মিছিল হয়। সিঙ্গুর থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সিঙ্গুর স্টেশন লাগোয়া বিজেপির দলীয় অফিস থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দলীয় অফিস থেকে গিয়ে জড়ো হন সিঙ্গুর থানার গেটের সামনে। পরে থানায় একটি ডেপুটেশনও দেওয়া হয় সংখ্যালঘু মোর্চার তরফে।  

    আরও পড়ুুন: ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ নিয়েছেন কারা? তথ্য তলব পর্ষদের

    ২১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় দলীয় ঝান্ডা টাঙাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দেন। এনিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনার জেরে দু পক্ষে সংঘর্ষ হয়। আইএসএফের অভিযোগের তির তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলের দিকে। পরের দিন ধর্মতলায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় যোগ দিতে আসার পথে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের গাড়ি ভাঙুচর করা হয় বলে অভিযোগ। এবারও আইএসএফের তরফে কাঠগড়ায় তোলা হয় আরাবুলের লোকজনকে। সভা শেষে ওই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলায় পথ অবরোধ করে আইএসএফ। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। তার জেরে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় নওশাদকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। বর্তমানে জেলেই রয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার টানা ৭ ঘণ্টা ধরে ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। সূত্রের খবর, শান্তনুর হোটেল, জমি বাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তির বিষয়ে ও তাঁর আয়ের উৎস নিয়েই একের পর এক প্রশ্ন করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    কেন শান্তনুকে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে শান্তনুর যোগ ছিল কি না, সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। ইডি হেফাজতে রয়েছেন কুন্তল। নিয়োগের নামে যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, সেই টাকা শান্তনুর কাছে গিয়েছিল কি না, সেটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাপস মণ্ডলের মুখেও শান্তনুর নাম শোনা গিয়েছে। তাই দফায় দফায় তাঁকে প্রশ্ন করছেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও কয়েকজন সুপারিশকারী বা মধ্যস্থতাকারী রয়েছেন। যাঁদের খোঁজ করছে ইডি। কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কয়েকজনের নামের তালিকা মিলেছে। এবার তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি।

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু প্রথমে জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান। পরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু। তারপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইতিমধ্যেই  এই শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপরেই আয়কর রিটার্ন এবং তাঁর বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি তলব করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলার চাকরি প্রাথীদের তালিকা মিলেছে শান্তনুর বাড়ি থেকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য এই অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলায়  রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একই সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ (কম্পট্রোলার এবং অডিট জেনারেল)-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদেরও এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।  আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    মামলাকারীদের দাবি

    নবান্নের বিরুদ্ধে হিসেব ও সিবিআই তদন্ত চেয়ে  আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি করেন বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য বিজেপি নেতা হিসাবে নয় একজন সাংবাদিক হিসাবে মামলা করেছেন।  তিনি ছাড়াও মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল। রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছিলেন তিনি। 

    এর আগে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রের অর্থ অন্য খাতে খরচ করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মামলাকারীরা জানিয়েছেন, পুরসভা ও নগরোন্নন দফতরের ৩০ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসাব মেলেনি। অন্য দিকে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ৮১ হাজার ৮৩৯ কোটির হিসাব দেওয়া হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রেও হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা

    কেন্দ্রের তরফ থেকে যে সব টাকা পাঠানো হয়েছে, তা কোন কোন খাতে খরচ হয়েছে, তার কোনও নথি নেই বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। মামলাকারীর দাবি, ক্যাগ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলা করা হয়েছে। তাই ক্যাগ-কে যুক্ত করার কথা বলেছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kuntal Ghosh: মঙ্গলে কুন্তল-তাপসকে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা! নীলাদ্রির ‘পরিচয়’ মিলবে এদিনই?

    Kuntal Ghosh: মঙ্গলে কুন্তল-তাপসকে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা! নীলাদ্রির ‘পরিচয়’ মিলবে এদিনই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির যুব তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) নিয়োগ দুর্নীতিতে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল। পরে তিনি দাবি করেন, তাপসকে তিনি ৫০ লক্ষ টাকা দেননি বলে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। প্রশ্ন হল, তাপস না কুন্তল, কে সত্য বলছেন? এর উত্তর খুঁজতে মঙ্গলবার তাপস ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর।

    নীলাদ্রি ঘোষ…

    কুন্তলের আরও অভিযোগ, তাপসের পাশাপাশি জনৈক নীলাদ্রি ঘোষ হুমকি দিয়ে তাঁর কাছে টাকা আদায় করতেন। নীলাদ্রিকে চেনেন বলে জানিয়েছেন তাপসও। সোমবার বিধাননগর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সিজিও কমপ্লেক্সে ফিরে আসার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কুন্তল (Kuntal Ghosh) বলেন, নীলাদ্রি হল তাপস মণ্ডলের দালাল। এই দুর্নীতিতে আর কেউ জড়িত কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাপসকে জিজ্ঞাসা করলে সব উত্তর মিলবে।

    আরও পড়ুুন: ‘স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে’, অনুযোগ প্রধানমন্ত্রীর

    এই মামলায় নীলাদ্রির পাশাপাশি নাম জড়িয়েছে গোপাল দলপতি ও তাপস মিশ্রেরও। তাপস মণ্ডলের দাবি, এই তিনজনই তাঁর পরিচিত এবং তাঁর অফিসে এঁদের যাতায়াতও ছিল। তাঁর দাবি, চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরতের জন্যই নীলাদ্রিকে কুন্তলের কাছে পাঠিয়েছিলেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এর আগেও তাঁকে ইডির তরফে একাধিকবার তলব করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীনই তাপস দাবি করেন, হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল () শিক্ষক পদপ্রার্থীদের কাছ থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন।

    এদিকে, দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময় কুন্তলের (Kuntal Ghosh) একটি নোটবুক ও বেশ কয়েকটি নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সেই নথিতে রয়েছে একাধিক সাংকেতিক চিহ্নও। সেই সাংকেতিক চিহ্নের পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। এর আগে তাপসের কাছ থেকেও নথিসমৃদ্ধ একটি ডায়েরিও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। কুন্তল ও তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সময় এসবই মিলিয়ে দেখা হবে। দুজনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে কোনও মিল রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

  • Parakram Diwas: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Parakram Diwas: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্য সকাল। আর পাঁচটা দিনের তুলনায় চেনা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ একেবারেই অচেনা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পরাক্রম দিবসে (Parakram Diwas) কলকাতায় সভা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য আরএসএস কর্মীরা মুখিয়ে ছিলেন। সভার শুরুতে কুচকাআওাজ করেন আরএসএস কর্মীরা। সভা মঞ্চে ছিল নেতাজির বিশাল ছবি। বাংলায় লেখা, ‘নেতাজি লহ প্রণাম’।

    নেতাজিই আদর্শ

    পরাক্রম দিবসের (Parakram Diwas) অনুষ্ঠানে এদিন সকাল দশটায় মঞ্চে ওঠেন মোহন ভাগবত। নেতাজিকে আদর্শ করেই এগিয়ে চলার বার্তা দেন তিনি। তুলে ধরেন নেতাজির কর্মকাণ্ড, তাঁর পরিশ্রম ও দেশের প্রতি আনুগত্যের কাহিনী তুলে ধরেন মোহন ভাগবত। তিনি আরও বলেন, ‘মেধা তো অনেরকই থাকে। কিন্তু সেই মেধাকে কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়। তা দেখিয়েছিলেন নেতাজি। তিনি সমষ্টির জন্য ভাবতেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করতে। কখনও নিজের জন্য ভাবেননি। এই পথ আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত। ব্যক্তির উন্নতি নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষের কথা ভাবতে হবে।’

    এখানেই থামেননি আরএসএস প্রধান। নেতাজির দেখানো পথেই সংঘ পরিবার যে এগিয়ে যাবে, সে কথাও বলেছেন ভাগবত। তাঁর কথায়, ‘সংঘের কাজকর্ম নেতাজির মতাদর্শে, তাঁর দেখানো পথেই চলছে। আমরাও সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। নেতাজি জীবনে অনেক ত্যাগ করেছেন। আমরাও তাই নির্বাচনে লড়ি না। আমাদের আলাদা কোনও পরিচিতি দরকার নেই। আমাদের লক্ষ্য সবাইকে নিয়ে চলা, দেশকে আরও শক্তিশালী করা। নেতাজি ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। চাইলেই তিনি ইংরেজ সরকারের অধীনে মোটা মাইনের চাকরি করতে পারতেন। কিন্তু সেই পথে তিনি যাননি। বরং বেছে নিয়েছিলেন কঠিন সংগ্রামের পথ। তিনি দেশ গঠনে ব্রতী হয়েছিলেন। দেশের জন্য তিনি সব কিছু ত্যাগ করেছিলেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের তপস্যা। নিজের নাম হবে ভেবে করেননি। বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংসারের মায়া ত্যাগ করে দেশের হয়ে কাজ করেছিলেন।’

    আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মদিনটি পালিত হয় পরাক্রম দিবস হিসেবে, কেন জানেন?

    দেশকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে নেতাজিকে পরতে পরতে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। পরাক্রম দিবসে (Parakram Diwas) সেই প্রসঙ্গ টেনে মোহন ভাগবত বলেন, ‘নেতাজি দেশের জন্য লড়তেন। তার জন্য তাঁকে কম বিরোধীতার মুখে পড়তে হয়নি। কিন্তু নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে কখনও তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। তাই তো কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দল গড়েছিলেন।’ উল্লেখ্য, শহীদ মিনারে আরএসএসের সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতাও। ছিলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি, দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Kuntal Ghosh: কুন্তলের হাত ধরেই ৩৫ জনের অবৈধ চাকরি, টাকার লেনদেনের তদন্তে ইডি

    Kuntal Ghosh: কুন্তলের হাত ধরেই ৩৫ জনের অবৈধ চাকরি, টাকার লেনদেনের তদন্তে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন তথ্য এল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। আরও বিপাকে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। কুন্তলকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, তাঁর হাতেই হয়েছে ৩৫টি অবৈধ চাকরি। নবম, দশম এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের চাকরি করিয়েছেন কুন্তল। জেরায় নিজের মুখেই সেকথা স্বীকার করেছেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া স্কুলশিক্ষকরা মূলত মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। 

    ইডি জেরায় কী জানা গেল?    

    চাকরির বিনিময়ে কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, কারা সেই টাকা লেনদেন করতেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় ইডি। ইডির দাবি, ২০১৪ থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কুন্তল (Kuntal Ghosh) এবং শান্তনু। দুজনেই হুগলির বলাগড় অঞ্চলের বাসিন্দা। শনিবার কুন্তল দাবি করেন, পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা গোপাল দলপতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের মাথা। পাশাপাশি, মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল এবং গড়িয়ার ব্যবসায়ী নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তল। তবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি কোনও টাকা দেননি বলে জানিয়েছেন। ধৃত যুবনেতার দাবি, তাপসের সঙ্গে তিনি শান্তনুর আলাপ করিয়ে দেননি তিনি। নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে তাঁদের তিন জনের কোনও বৈঠক হয়নি বলেও জানান কুন্তল। প্রসঙ্গত, শান্তনু আগেই বলেছেন, দু’জনের বাড়িই বলাগড় এলাকায় হলেও তিনি কুন্তলকে চেনেন না! এদিকে শান্তনুর আরও দাবি তিনি তাপসকেও চেনেন না।  

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক 
      
    শুক্রবার বিধাননগর হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কুন্তলকে। সেখানে সাংবাদিকদের কুন্তল (Kuntal Ghosh) বলেন, ‘‘অনেক কোটি টাকা নিয়েছে ওরা। আমার কাছ থেকে জোর করে নিয়েছে।’’ তাপস-ঘনিষ্ঠ গোপাল সম্পর্কে কুন্তল বলেন, ‘‘গোপাল দলপতি সব থেকে ‘মেন’। সকলের হয়ে টাকা নিয়েছে।’’

    একই সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল এবং গড়িয়ার ব্যবসায়ী নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

       
           

     

LinkedIn
Share