Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Agnimitra Paul: এখনই গ্রেফতার করা যাবে না, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ তিন নেতাকে রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    Agnimitra Paul: এখনই গ্রেফতার করা যাবে না, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ তিন নেতাকে রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিমিত্রা পাল-সহ তিন বিজেপি নেতাকে এখনই গ্রেফতার নয়। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কূলপি সহ একাধিক এলাকা। খবর পেয়েই উত্তপ্ত এলাকাগুলিতে ছুটে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul), প্রাক্তন বিধায়ক দীপক হালদার সহ আরও এক বিজেপি নেতা। 

    এরপরেই এই নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। আর সেই মামলার নিরিখেই নেতাদের গ্রেফতারিতে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। আজ শুক্রবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আদালতের এই নির্দেশে খানিকটা স্বস্তিতে বিজেপি নেতারা।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? 

    ডিসেম্বরের ৩ তারিখে দুই হাইভোল্টেজ সভায় উত্তাল ছিল রাজ্য রাজনীতি। শুভেন্দুগড় কাঁথিতে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের লোকসভা ক্ষেত্রে পাল্টা সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। দুই সভা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দুই এলাকায়। বিজেপির সভামঞ্চ খুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    এমনকি বিজেপি কর্মীরা যাতে শুভেন্দু অধিকারীর সভাতে না আসতে পারেন সেজন্যে বিভিন্ন জায়গাতে পথও অবরোধ করে তৃণমূল। আর সেই অবরোধ চলাকালীনই বিজেপি কর্মীদের  উপর মারধরেরও অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে উত্তাল হয় এলাকা। ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত সেখানে যান বিজেপি নেতারা। 

    নেতাদের পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় অগ্নিমিত্রাসহ (Agnimitra Paul) বাকি নেতাদের। আর এরপরেই একাধিক ধারাতে অগ্নিমিত্রা পাল, প্রাক্তন বিধায়ক দীপক হালদার সহ আরও এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। আর এরপরেই এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতারা। আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল।

    বিজেপির পক্ষের আইনজীবী বলেন, “ঘটনার দিনে ডায়মন্ডহারবারের সভাস্থল নষ্ট করে দেওয়া হয়। স্থানীয় থানায় এবং ডিএম, এস পিকে অভিযোগ জানানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে উল্টে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে।”

    দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে আদালত জানায়, সভা সম্পর্কিত মামলায় এখনই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ। কুলপি ও উস্তি থানাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু, জানুন কারণ

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু, জানুন কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্বস্তি পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেগুলির সবগুলির ওপরই স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি মান্থা। গুজরাটের ক্ষমতায় ফের ফিরতে চলেছে বিজেপি। তা নিয়ে উৎসাহের অন্ত ছিল না রাজ্য বিজেপিতে। তার ওপর শুভেন্দুর এই খবরে দৃশ্যতই খুশির হাওয়া বঙ্গ বিজেপিতে।

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক…

    রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। যদিও শেষ হাসি হাসেন শুভেন্দুই। ১৯৫৬ ভোটে তিনি পরাস্ত করেন তৃণমূল নেত্রীকে। বিজেপির একাংশের অভিযোগ, তার পর থেকে নানা ঘটনায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে শুভেন্দুর নাম। দায়ের হয়েছে একাধিক এফআইআর। 

    আরও পড়ুন: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    এরই বিহিত চাইতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আদালতে তাঁর আবেদন, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলেনতার (Suvendu Adhikari) কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল আদালত। তার পরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এত এফআইআর দায়ের হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে হলফনামাও তলব করেছে হাইকোর্ট। ছ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই হলফনামা। রাজ্যের কাছ থেকে ওই হলফনামা পাওয়ার পরেই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে অন্য কোনও সংস্থার হাতে এই মামলাগুলির তদন্তের ভার দেওয়া হবে কিনা। আদালতের এই নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু শিবিরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: ট্রাঙ্কে করে এল নথি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডি-র

    Manik Bhattacharya: ট্রাঙ্কে করে এল নথি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে আদালতে ১৬০ পাতার চার্জশিট পেশ করল ইডি। বুধবার দুপুরে ইডির কর্তারা একটি ট্রাঙ্কে করে চার্জশিট এবং তার সমর্থনে নথিপত্র নিয়ে হাজির হন আদালতে। আর্থিক প্রতারণা আইন অনুসারে, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হয়। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় বিরুদ্ধে কবে চার্জশিট পেশ করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর আজ অবশেষে ৫৭ দিনের মাথায় বিশেষ ইডি আদালতে চার্জশিট জমা দিল তদন্তকারীরা। বিচারক শুভেন্দু  সাহার কাছে জমা দেওয়া হয় চার্জশিট।

    চার্জশিট পেশ ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, ৬০ পাতার চার্জশিটের সমর্থনে ওই ট্রাঙ্কে প্রায় ৬০০০ পাতার নথি রয়েছে। ওই একই সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই চার্জশিটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক (Manik Bhattacharya) ছাড়াও আরও ৫ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে মানিকের স্ত্রী, পুত্র, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ছাড়াও চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে ২টি সংস্থার নাম। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম আগেই উঠে এসেছিল।

    চার্জশিটে কী কী তথ্য উঠে এল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন ক্লাস ও ডিএলএড প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের নামে কোটি কোটি টাকা সরিয়েছেন। ডিএলএড কোর্সে অফলাইন ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকার বেশি নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। টাকা গিয়েছে মানিকের ছেলের কোম্পানিতে। চার্জশিটের সঙ্গে সাক্ষীদের বয়ানও আদালতে পেশ করতে চলেছে ইডি।

    আবার মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিএড এবং ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চার্জশিটে। কিছু দিন আগে মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে এক মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ৩ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এসব তথ্যও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ফলে এবারে চার্জশিটে মানিকের স্ত্রী, ছেলের নাম উঠে আসায় আরও অস্বস্তিতে পড়লেন মানিক (Manik Bhattacharya)।

    আদালতে জামিনের আবেদন করলেন মানিক

    এদিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন মানিককে (Manik Bhattacharya) ফের আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে জামিনের আবেদন করেন মানিক। কিন্তু ইডি জানায় এই দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে। ফলে অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখেই তদন্ত চালানো হবে।

  • Vande Bharat Express: এবার বাংলাতেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?

    Vande Bharat Express: এবার বাংলাতেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) পেতে চলেছে বাংলা। এমনটাই জানালেন দার্জিলিং- এর সাংসদ রাজু বিস্ত। তিনি বলেন, “শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।” সোমবার শিলিগুড়ির একটি অনুষ্ঠানে রাজু বিস্ত বলেন, “যখন শিয়ালদা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করা হবে, তখন মানুষ অনেক দ্রুত নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। যা এই অঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নয়া অধ্যায়ের সূচনা করবে।” সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি সাংসদ শংকর ঘোষ এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তবে রেলের তরফে সরকারিভাবে এখনও জানানো হয়নি যে কবে পূর্ব রেল, দক্ষিণ-পূর্ব রেল বা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ভাগ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস জুটবে। চলতি বছর আরও তিনটি রুটে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মুম্বই সেন্ট্রাল-গান্ধীনগর, অম্ব অন্দৌরা-নয়াদিল্লি এবং মাইসুরু- বেঙ্গালুরু-চেন্নাই সেন্ট্রাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

    আরও পড়ুন: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    আগামী বছরের মধ্যে ৭৫টি বন্দে ভারত 

    উল্লেখ্য, চলতি বছর দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২০২৩ সালের ১৫ অগাস্ট এর মধ্যে সারা ভারত জুড়ে চলবে ৭৫ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চালানোর ঘোষণা করেন। ২০১৯ সাল থেকে ভারতে চলছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আপাতত দেশজুড়ে বিভিন্ন রুটে পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। যারমধ্যে নয়া সংযোজন মাইসুরু-চেন্নাই রুটের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বাকি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসগুলি চলে মুম্বই-আহমেদাবাদ, নয়া দিল্লি-বারাণসী, নয়াদিল্লি- বৈষ্ণোদেবী কাটরা এবং নয়াদিল্লি-উনা রুটে। হাওড়া এনজিপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হলে কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের মধ্যেকার যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমবে। বর্তমানে কলকাতা থেকে এনজেপি পৌঁছতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। বন্দে ভারতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ প্রায় ২  থেকে ৩ ঘণ্টা সময় বাঁচবে।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। ট্র্যাক ও সিগন্যাল পারমিট থাকলেই একমাত্র এই গতিবেগে পৌঁছনো সম্ভব। ট্রেনটিতে ১৬টি কামরা রয়েছে। শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতোই আসন ক্ষমতা রয়েছে এই ট্রেনের। বন্দে ভারতে উভয় প্রান্তে অ্যারোডাইনামিক্যালি ডিজাইন করা ড্রাইভার কেবিন রয়েছে।

    প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তার দিক থেকে ট্রেনটিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চেন্নাইয়ের ইনটিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছে এই ট্রেন (Vande Bharat Express)। এই ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেমে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। পাওয়ার কনসামশন কমিয়ে যাতে এর ব্যবহার সম্ভব হয় সেদিকেই নজর দিয়েছে আইসিএফ। শুধু অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারই নয়, বন্দে ভারতে যাত্রী নিরাপত্তা ও যাত্রী স্বচ্ছন্দ্যকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • North Bengal: পৃথক রাজ্যের দাবিতে কেপিপি-র রেল রোকো অভিযান! ময়নাগুড়ি স্টেশনে থমকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

    North Bengal: পৃথক রাজ্যের দাবিতে কেপিপি-র রেল রোকো অভিযান! ময়নাগুড়ি স্টেশনে থমকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথক রাজ্যের দাবিতে ফের উত্তরবঙ্গ জুড়ে ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি শুরু করল ‘কামতাপুর পিপল্‌স পার্টি’ (কেপিপি)। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কামতাপুর রাজ্যের দাবি নিয়ে কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড ফোরামের ১২ ঘন্টার রেল অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এর ফলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন। থমকে গিয়েছে রেল পরিষেবা। ট্রেন চলাচলে বিঘ্নের কারণে অসুবিধায় পড়েছেন যাত্রীরা। উত্তরবঙ্গের একাধিক স্টেশনে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    বিঘ্ন পরিষেবা

    আন্দোলনের জেরে ময়নাগুড়িতে (Moynaguri) আটকে পড়ল কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ১২ ঘণ্টা রেল রোকো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে এই সংগঠন। ফলে এই রুটে যাতায়াতকারী সমস্ত ট্রেনের যাত্রীদেরই যে আজ দুর্ভোগ পোহাতে হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করছেন যাত্রীরা। মঙ্গলবার সকালে ত্রিপুরা থেকে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আটকে পড়ে ময়নাগুড়িতে। এই পথে একাধিক প্যাসেঞ্জার ট্রেন, ডেমু (DEMU) ট্রেন চলে। ফলে এই ট্রেনগুলিও সমস্যায় পড়েছে। সমস্যা পড়তে হয়েছে পদাতিক এক্সপ্রেসের যাত্রীদেরও। শুধু ময়নাগুড়ি নয়, গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই রেল রোকো চলছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কেপিপির আন্দোলনের জেরে আলতাগ্রাম স্টেশনে আটকে পড়েছে মালগাড়ি। রেল লাইনে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্টেশনে স্টেশনে মোতায়েন করা হচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সকাল থেকে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরাও। অনেকে স্টেশনে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। অনেকে বাস ধরে গন্তব্যে যাচ্ছেন। অবরোধের জেরে কোচবিহার (Cooch behar), মালদহেও (Maldah) রেল চলাচল বিপর্যস্ত। আটকে পড়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। দীর্ঘক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। খাবার, জলটুকুও মিলছে না বলে অভিযোগ। সকাল থেকে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    কামতাপুর পিপলস পার্টির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির তরফে বিশ্বনাথ রায় বলেন, “কামতাপুর আলাদা রাজ্যের জন্য আমরা অনেকদিন ধরেই আবেদন নিবেদন করে এসেছি। স্বরাষ্ট্রদফতর থেকে নবান্ন, বহু জায়গায় গিয়েছি। তাই এবার আমরা বড়সড় আন্দোলনে নামলাম। কামতাপুর রাজ্য করতেই হবে। তাই এই রেল রোকোর ডাক। আমরা কামতাপুর পিপলস পার্টি ও কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি মিলে কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড ফোরামের উদ্যোগে এই কর্মসূচি নিয়েছি। এই দাবি তো আমাদের আজকের নয়।” সব বাধা অতিক্রম করেই তাঁরা ১২ ঘণ্টা রেল রোকো কর্মসূচি চালাবেন বলে জানান, সংগঠনের সদস্যরা। চাঁদের অনেককে পুলিশ আটক করেছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Kolkata Medical College: পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Kolkata Medical College: পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে একের পর এক বিক্ষোভ আন্দোলন লেগেই রয়েছে। আর এবারে বিক্ষোভে বসেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College) ডাক্তারি পড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিক্ষোভে বসেছেন তাঁরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয়েছে কলকাতা হাসপাতালের সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার এবং বিভাগীয় প্রধানদের। ৭ বছর পর ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ছাত্ররা। অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের নার্সরা তাঁদের বিভাগীয় প্রধানদের ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পাল্টা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। ফলে বিক্ষোভ পাল্টা বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। আর এই বিক্ষোভের জেরে তুমুল অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে রোগী পরিষেবা। তাই নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রোগীর পরিবার। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার জরুরি শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা। 

    উত্তাল মেডিক্যাল কলেজ

    ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের অধ্যক্ষ, এবং বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তাঁরা। ৭ বছরের পর ছাত্র সংসদের নির্বাচন দাবি করে বিক্ষোভে বসেছেন তাঁরা। পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন নার্সিং স্টাফরা। তাঁদের দাবি হাসপাতালের নার্সিং হেডকে অবিলম্বে ঘেরাও মুক্ত করতে হবে।

    ঘটনাটি কী?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৬ সালে শেষবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। এরপর নির্বাচনের দাবি করা হলে ২২ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঠিক হলেও তা নিয়ে চূড়ান্ত নিশ্চয়তা পাননি ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এরপর গতকাল হঠাৎই কোনও কারণ ছাড়া জানানো হয় এই নির্বাচন হচ্ছে না। তখন থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ও পড়ুয়ারা বিক্ষোভের রাস্তাকেই বেছে নেয়। গতকাল দুপুর ৩টে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় ও রাতভর তা চলে। প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান ডাক্তারি পডুয়ারা। অন্যদিকে আজ সকালে, এই বিক্ষোভের পাল্টা বিক্ষোভ দেখান নার্সরাও।

    আরও পড়ুন: পৃথক রাজ্যের দাবিতে কেপিপি-র রেল রোকো অভিযান! ময়নাগুড়ি স্টেশনে থমকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

    নার্সদের কী দাবি?

    ছাত্র বিক্ষোভে যখন উত্তাল মেডিক্যাল কলেজ চত্বর, তখন ময়দানে নামেন নার্সিং স্টাফরাও। কারণ ডাক্তারি পড়ুয়ারা আটকে রেখেছেন নার্সিং সুপার শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তীকে। তাঁরা বলেন, “‌আমাদের ম্যাডামকে ছেড়ে দিতে হবে। নার্সিং সুপারকে ছেড়ে দিতে হবে। ম্যাডাম ডাক্তারদের মধ্যে পড়েন না। ওনাকে আটকে রাখা অনৈতিক। না হলে হাসপাতাল আজকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

    রোগী পরিষেবা বিঘ্নিত 

    এই বিক্ষোভে বসার ফলে পরিষেবা বিঘ্নিত হবে কি না তা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, এক নার্স জানান, হাসপাতালের ভিতরে এক জন করে নার্স রেখে এসেছেন তাঁরা। এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, যাঁদের ডিউটি নেই, তাঁরাই বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন। পরিষেবার কোনও গাফিলতি হচ্ছে না বলেই দাবি করেন তিনি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, কিছু রোগীর পরিবারকে সুপারের ঘরের সামনে হাজির হতে দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষানিরীক্ষা করানোর জন্য কিছু কাগজপত্রে সুপারের সই লাগবে, সেগুলি নিয়েই সুপারের ঘরের সামনে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। ফলে রোগী পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আর এতেই রোগীর পরিবারের তরফে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল।

     

  • SSC Recruitment Scam: ২১ হাজার নিয়োগে দুর্নীতি, কারচুপি ৯ হাজার ওএমআর শিটে, হাইকোর্টে সিট

    SSC Recruitment Scam: ২১ হাজার নিয়োগে দুর্নীতি, কারচুপি ৯ হাজার ওএমআর শিটে, হাইকোর্টে সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোট ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই দুর্নীতি করতে গিয়ে ৯ হাজার ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই দাবি করল সিট। এসএসসি নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির জাল যে কত বড় তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একথা বলে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধীনে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) যে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম তথা সিট গঠন করে দিয়েছিল তারা এদিন রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টেই এই কথা বলা হয়েছে।

     আদালতে শুনানি

    সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে উপস্থিত হন সিবিআইয়ের সিটের নবনিযুক্ত প্রধান অশ্বিনী সাংভি। গ্রুপ-ডি র দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় তাঁকে উপস্থিত থাকতে বলেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি সাংভিকে বলেন, “যা সাহায্য লাগবে আদালতে এসে জানাবেন, আদালত সবরকম সাহায্য করবে। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন।” 

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    আদালতে এদিন সাংভি জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে, তার মধ্যে ৯ হাজার ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট,সর্বত্রই দুর্নীতি দেখা গিয়েছে। সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে এদিন বিচারপতি বলেন, “যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে তারা শুধু ফলাফলের আশায় বসে আছেন। তারা জানতে চায় না সিবিআই কী করল, স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করল? তারা চায় শুধু নিয়োগপত্র”। বিচারপতির কথায়, “এই দুর্নীতির তদন্ত – বিচার অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। এবার তদন্ত – বিচার তার লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।” সাংভি আদালতে দাবি করেন,সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করার পরই ওএমআর শিটের বিষয়টি সামনে আসে এবং তদন্ত অন্য মাত্রা পায়। সাংভি জানান ইতিমধ্যেই, সিবিআই সব নথি এসএসসিকে দিয়েছি। এখন তাদের ঠিক করতে হবে যে তারা কী ভাবে এই ত্রুটি সংশোধন করবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ভূপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুুর

    Suvendu Adhikari: ভূপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু এবারে তিনি এই বিষয়ে জানিয়ে সরাসরি চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। চিঠিতে তিনি রাজ্যের একের পর এক বিস্ফোরণের কথা তুলে ধরেছেন। এমনকি চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে শুধু বোমা নয়, বন্দুক, গুলিও মজুত করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভূপতিনগর কাণ্ডে সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে তিনি ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্ত চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন।

    ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণ

    শনিবার শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ-সম্পাদকের সভার আগেই বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত আরও দুই। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে উড়ে গেছে গোটা বাড়িটাই। আর এই নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর।

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আর তার আগেই শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ। ফলে এই নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ঘটনায় এনআইএ-র দাবি করা হয়েছে ও অমিত শাহকে এই বিষয়ে চিঠিও লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    একাধিক অভিযোগ চিঠিতে

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) চার পাতার চিঠিতে উঠে এসেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে বোমা, বারুদ, অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। তাই ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে এনআইএ-র তদন্তের পাশাপাশি তিনি রাজ্যে বোমা, অস্ত্র মজুতের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

    এরপর তিনি (Suvendu Adhikari) মন্তব্য করেছেন যে, রাজ্য বোমা তৈরির ‘কুটির শিল্পে’ পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের একটি ভাষণের উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে উদ্ধৃতি তুলে দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, ওই ভাষণে সাংসদ সৌগত রায় বোমা তৈরির ফর্মুলা বলছেন। এছাড়াও তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেছেন যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদল রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। রাজ্য জুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের কথাও উল্লেখ করেছেন চিঠিতে।

    শুভেন্দু লিখেছেন, এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। ফলে ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে এনআইএ-র তদন্তের পাশাপাশি, রাজ্যের পরিস্থিতিকে নজরে রেখেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

  • Kolkata Weather: পারদ ওঠা-নামার মাঝেই নিম্নচাপের পূর্বাভাস, বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    Kolkata Weather: পারদ ওঠা-নামার মাঝেই নিম্নচাপের পূর্বাভাস, বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আজ সামান্য হলেও তাপমাত্রা বাড়ল। প্রায় কয়েকদিন পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল তাপমাত্রা ১৫ -এর ঘরে এসেছিল। কিন্তু আজ এই তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে জাঁকিয়ে শীত পড়তে এখনও দেরী আছে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    গতকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিক। শীতের আমেজ থাকবে দিনভর। তবে সন্ধ্যা ও রাতে হালকা শীতের আমেজ বাড়বে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই আগামী চার পাঁচ দিনে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ১৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৬ থেকে ৯১ শতাংশ। কলকাতার আকাশ আজ মূলত পরিস্কার থাকবে।

    আরও পড়ুন: শহরে ফিরল শীতের আমেজ! আজ মরশুমের শীতলতম দিন

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত আসতে এখনও দিন দশেক দেরী। আগামী রবিবার পর্যন্ত কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা ১৫ অথবা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় এই তাপমাত্রা আগামি কয়েক দিন ১১ অথবা ১২ ডিগ্রির ঘরে থাকবে।

    উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল ও আপাতত সেই তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের নীচে চলে আসতে পারে। তবে আগামী ২-৩ দিনে স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের নিচের দিকে তাপমাত্রা থাকতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

    নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরীর সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল, রবিবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন এলাকায়। ঘূর্ণাবর্ত সোমবারে নিম্নচাপে পরিণত হবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। আজকের পর এটি আরও শক্তিশালী হবে। এরপর আগামী দু-তিন দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে এর অভিমুখ হবে তামিলনাড়ু -পন্ডিচেরি উপকূল। দক্ষিণ ভারত অভিমুখী হওয়ায় সরাসরি এর কোনও প্রভাব পড়বে না বাংলায়। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলঙ্কা উপকূল এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে।

  • Bogtui Murder: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    Bogtui Murder: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুই গণহত্যা (Bogtui Murder) ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh) গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ধৃত লালন নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২১ মার্চ ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল লালন। বস্তুত বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সে-ই। ২১ মার্চ রাতে লালন ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    নেপথ্য কাহিনি…

    ২১ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে খুন করা হয় বগটুই (Bogtui Murder) গ্রামের বাসিন্দা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ভাদু শেখকে। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন সকালে সাতজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁরাও মারা যান। ২১ জুন সিবিআই দুটি ঘটনার চার্জশিট জমা দেয়। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল চার্জশিটে নাম থাকা অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। এদিন হল গ্রেফতার। বগটুইকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল এমন একজনের আত্মীয় মিহিলাল শেখ। তিনি বলেন, সেদিন যে দলবল এসেছিল, তার নেতৃত্বে ছিল লালন। ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। মিহিলাল বলেন, এটা মানুষও চাইছে।

    আরও পড়ুন: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    লালনকে নিয়ে এই ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল ২৭ জনকে। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের (Bogtui Murder) অন্যতম চক্রী আনারুল শেখকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে লালন শেখের ভাগনে বুলু শেখ ওরফে ডলারকেও গ্রেফতার করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরেও দীর্ঘ ন মাস ধরে ফেরার ছিল লালন। শেষমেশ ধরা পড়ল সিবিআইয়ের জালে।

    তদন্তের শুরু থেকেই যে জবানবন্দি পাওয়া গিয়েছিল, তার সবেতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে লালন শেখের নাম। সিবিআইয়ের তরফেও বগটুই হত্যা মামলায় যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয় লালনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share