Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TET 2022: “স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষা নিতে হবে”, টেট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা পর্ষদের, জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা

    TET 2022: “স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষা নিতে হবে”, টেট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা পর্ষদের, জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে ইতিমধ্যেই বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর মধ্যেই আগামী ১১ই ডিসেম্বর নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা (TET 2022)। এই অবস্থায় স্বচ্ছতা নিয়ে যাতে কোনওভাবেই প্রশ্ন না ওঠে, তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে চায় পর্ষদ। আর সেই কারণেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা এবং প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    আরও পড়ুন: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে? 

    সদ্য প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে (TET 2022) উল্লেখ করা হয়েছে, পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমগ্র পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ এবং বাহির পথে সিসিটিভির ব্যবস্থা করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে এক ঘণ্টা আগে। তার আগে কোনওভাবে প্রশ্নপত্র পাঠানো যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা প্রতিটি শিক্ষক এবং কর্মচারীদের গলায় বৈধ পরিচয় পত্র ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্যেও রয়েছে একাধিক নিয়ম। মোবাইল বা ধাতব কোনও জিনিস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ।

    বিতর্ক এড়াতেই যে এই কড়াকড়ি তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, “টেট (TET 2022) যাতে স্বচ্ছ ভাবে হতে পারে তার জন্যই সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। আমরা নতুন করে আর কোনও বিতর্ক চাই না। সেই চেষ্টায় চালাচ্ছি।”

    সম্প্রতি ২০১৪ সালের টেট (TET 2022) উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করে বিতর্কে জড়িয়েছে পর্ষদ। সেখানে দেখা যায় উচ্চমাধ্যমিকে কেউ কেউ পূর্ণমানের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন। টেটের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পুড়ল বাইক, বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ তৃণমূলের, শুভেন্দুর সভা ভন্ডুলের অভিযোগ

    Suvendu Adhikari: পুড়ল বাইক, বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ তৃণমূলের, শুভেন্দুর সভা ভন্ডুলের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা বানচালের চেষ্টা তৃণমূলের (TMC)! শনিবার শুভেন্দুর সভার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ করে তৃণমূল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অবরোধ করা হয় রাস্তা। যদিও বিজেপির অভিযোগ, গেরুয়া কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে না পারেন, তাই সভা ভন্ডুলের চেষ্টা রাজ্যের শাসক দলের।   

    তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন…

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে না দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আদালতের নির্দেশের পরেও তাঁর সভা বানচালের চেষ্টার অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শুভেন্দু। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সভা করবেনই। ট্যুইটারে অভিষেককে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। লিখেছেন, পারলে ঠেকাও।

    এদিন সকালে মথুরাপুরের লালপুরে প্রথমে রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল। এর পর শুরু হয় কুলপির শ্যামবসুর চক এবং হটুগঞ্জে। টায়ার পুড়িয়ে জায়গায় জায়গায় চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। লালপুরে অবরোধ চলে ঘণ্টাখানেক। অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। হয় তীব্র যানজট।

    কেবল পথ অবরোধেই থেমে থাকেননি অবরোধকারীরা। একটি বাসে করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলের দিকে আসছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আচমকাই সেই বাস লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। ভাঙচুর চালানো হয় যাত্রিবাহী ওই বাসে। ইটের ঘায়ে ভেঙে যায় বাসের কাচ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই একাজ করেছে।

    আরও পড়ুন: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    এদিন সব চেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে হটুগঞ্জ এলাকায়। এখানে সকালে পথ অবরোধ করে তৃণমূল। প্রতিবাদ করে বিজেপি। এনিয়ে দু পক্ষে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই বদলে যায় পরিস্থিতি। শুরু হয় দোকানপাট ভাঙচুর। ভাঙচুর চালানো হয় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাইক। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল পার্টি অফিসেও। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। বাধা দেওয়া হয় তাঁকেও। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনিও। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যেতে না পারেন, তাই একাজ করেছে তৃণমূল।

    ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, যেখানে তৃণমূল একটু দুর্বল, সেখানে পুলিশ দিয়ে আমাদের কর্মীদের আটকানো হচ্ছে। অন্যত্র ওই কাজ করছে দুষ্কৃতীরা। শুভেন্দু বলেন, ভয় না পেলে এসব করবে কেন। আধ ঘণ্টার তো সভা করব। তিনি বলেন, চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারের দুই হাইভোল্টেজ সভার আগেই কেঁপে উঠল ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে উড়ে গেল এক তৃণমূল নেতার বাড়ি। আজ একদিকে ডায়মন্ডহারবারে সভা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অন্যদিকে কাঁথিতে সভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    আর তার আগেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বহুদূর পর্যন্ত তা শোনা যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃত তিনজনই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় অবিলম্বে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মৃতদের নাম রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, “ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ জন আহত। ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ঘটনা। তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না বোমা তৈরি করছিল সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটে। আমি NIA তদন্তের দাবি করছি।”

     

    শুক্রবার রাতেই বিস্ফোরণে ঝলসে যান ভূপতিনগরের তিন ব্যক্তি। ঝলসে যাওয়া দেহগুলো উদ্ধার হয় ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির অদূরেই। রাজকুমারের স্ত্রী জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মৃতদেহগুলি বের করে নিয়ে গিয়েছে। রাজকুমারের দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর মৃত্যু হয়েছে। এই বোমাগুলি কেন বাঁধা হচ্ছিল, আর কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুরো এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

               

  • Bengal Violence: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    Bengal Violence: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য রাজনীতিতে আবারও হিংসার ছবি স্পষ্ট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার ঠিক আগেই কাঁথিতে গভীর রাতে বিস্ফোরণ তৃণমূল নেতার বাড়িতে। এক তৃণমূল নেতা সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। গুরুতর জখম দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কাঁথিতে বিস্ফোরণ

    শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণে নিহত তৃণমূল নেতার নাম রাজকুমার মান্না। এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি হিসেবে রাজকুমার পরিচিত। এই ঘটনায় নিহত বাকি দু’জন দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন। রাজকুমার এবং দেবকুমার সম্পর্কে দুই ভাই। আহতদের উদ্ধার করে পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে থমথমে রয়েছে এলাকা।

    বিজেপির অভিযোগ

    এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ, ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তখনই অতর্কিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই ছিল যে বাড়িটি উড়ে যায়। মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না সহ তিনজনের। গুরুত্বর জখম হয় আরও বেশ কয়েকজন। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দোলুই বলেন, “তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিপত্তি হয়। তৃণমূল নেতা সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি আরও আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।” ভগবানপুরে বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “রাতের অন্ধকারে বোমা বাঁধতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ গায়েব করার চক্রান্ত চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি না করে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিয়ে যাচ্ছে। দু’জনের মৃত্যু নয় মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করছি। পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।” 

    এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “যেখানেই তাকাই হয়, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। অথবা বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক। তারাই সমাজবিরোধী। এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।” 

    আরও পড়ুন: মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত, শুভেন্দু-গড়ে অভিষেকের সভাকে অনুমতি আদালতের

    কাঁথিতেই অভিষেকের সভা

    আজ, শনিবার কাঁথিতেই সভা করতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক আগেই এই বিস্ফোরণ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিষেক যেখানে সভা করছেন, সেখান থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি খুব কাছে। তাই সভার আগে পুরো এলাকা পুলিশি নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জও। তার আগেই এই বিস্ফোরণ কী ইঙ্গিত দিচ্ছে? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এবার ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: এবার ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ডায়মন্ড হারবারে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দুর এই সভা হবে শনিবার। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন। এদিনই শুভেন্দুর খাসতালুক কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কলকাতা হাইকোর্ট…

    এদিনই অভিষেকের সাংসদ এলাকায় ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) সভা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সভারই অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত অবশ্য এও জানিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউসের মাঠে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু। তবে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করে এবং শব্দ বিধি মেনেই সভা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু যে মাঠে সভা করবেন, সেখানেই জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি দিলেও, প্রশাসনের তরফে এ নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। শুক্রবার আদালতের নির্দেশে কাটল অনিশ্চয়তার মেঘ। রায় গেল বিজেপির পক্ষেই। তাই এখন আর শুভেন্দুর সভা করায় কোনও জটিলতা রইল না।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে ভোটদানের হার কম, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি?

    কাঁথি শহরে রয়েছে প্রবীণ রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর বাড়ির। নাম শান্তিকুঞ্জ। এই শান্তিকুঞ্জের ১০০ মিটার দূরে সভার আয়োজন করে তৃণমূল। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, শান্তি ভঙ্গ করতেই শান্তিকুঞ্জের অদূরে সভা করছে তৃণমূল। বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ রায়ও বলেন, শান্তিকুঞ্জে বিরোধী দলনেতা থাকেন। মূলত তাঁকে বিব্রত করাই লক্ষ্য তৃণমূলের। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আর্জি খারিজ হয়ে যায় আদালতে। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, সব নিয়ম মেনে সভা করায় কোনও আপত্তি নেই আদালতের। এদিন প্রধান বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করার অনুমতি দিলেও সমর্থকরা যেন কোনও রকম ঝামেলার সৃষ্টি না করেন, পুলিশকে তা দেখার নির্দেশও দেন। অনুমতি ছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ওই বাড়িতে যেন কেউ ঢুকতে না পারে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Weather Update: আজ থেকে পারদ পতনের সম্ভাবনা! জানুন জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে

    Weather Update: আজ থেকে পারদ পতনের সম্ভাবনা! জানুন জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর পড়ে গিয়েছে। এখনও সেভাবে ঠান্ডার দেখা নেই। নভেম্বরের শেষের দিকে একটু শীত শীত ভাব লাগলেও গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। দুপুরের দিকে রীতিমতো গরম লাগছে। গরম জামা তো দূর, হালকা পাখা চালালেই ভাল লাগছে। তবে শুক্রবার থেকে পারদ পতনের কথা শোনাচ্ছে, হাওয়া অফিস। যদিও জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা এখনই নেই। চলতি মাসের ১০-১২ তারিখ থেকে ঠান্ডা পড়তে পারে। 

    গরম অনুভূতি

    বিগত কয়েকদিন ধরেই ধাপে ধাপে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৫ ডিগ্রি। হাওয়া অফিস বলছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধিতেই ঊর্ধ্বমুখী পারদ। তবে সপ্তাহের শেষে শীতের আমেজ ফিরবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office) জানাচ্ছে, আজ শুক্রবার থেকে ফিরবে শীতের আমেজ। শুক্রবার কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলে দিনের আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল থাকবে। শহরে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি ও ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে৷ আগামিকাল ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে কলকাতায়। তবে দক্ষিণবঙ্গে বিগত কয়েকদিন ধরে যেভাবে তাপমাত্রার বেড়েছে, তার প্রভাব পড়েনি উত্তরবঙ্গে। সেখানে শীতের অনুভূতি বজায় থেকেছে। উপরের পাঁচটি জেলার মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ইতিমধ্যে জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। পাহাড়ে পারদ দশ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: তাপ বাড়ছে শহরের, ডিসেম্বরের শুরুতে অধরাই শীত

    কবে থেকে ঠান্ডা

    পারদ পতন বঙ্গে, ফিরল শীতের আমেজ। গত সপ্তাহে পরপর পারদ পতন হলেও মাঝে শীতের আমেজ একটু হলেও কম ছিল গোটা রাজ্যে। উত্তুরে হাওয়ায় পড়েছিল ভাটা। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,  বাধাহীন উত্তুরে হাওয়ার দাপট ফের বাড়বে, পারদ ফের নামার সম্ভাবনা রয়েছে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। উত্তর পশ্চিমের বাতাস থাকবে।  রাজ্যে জুড়ে শীতের আমেজ বজায় থাকবে।  চলতি সপ্তাহ থেকে শীতের আমেজ  বাড়বে বাংলাজুড়ে। মেঘলা আকাশ হলেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Scam: লালার ডায়েরি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইডির হাতে, আছে কার কার নাম?

    Coal Scam: লালার ডায়েরি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইডির হাতে, আছে কার কার নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় (Coal Scam) অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার ডায়েরি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই ডায়েরি থেকে নানা তথ্য মিলেছে। একই সঙ্গে মিলেছে এই চক্রে যুক্ত একাধিক জনের নাম। সেই সূত্রেই ডাকা হতে পারে বেশ কয়েকজনকে।

    দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে… 

    এদিকে, নোটিশ পেয়ে আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের (TMC) সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে জেরার জন্য ডেকে পাঠায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের তদন্ত করতে গিয়ে নানা সময় উঠে আসে সুজয়ের নাম। ওই পাচারে তাঁর ভূমিকা কী, মূলত তা খতিয়ে দেখতেই ইডির সদর দফতরে এদিন তলব করা হয় তাঁকে। এই মামলার তদন্ত করছেন যাঁরা, তাঁরা জানান, লালার ডায়েরি থেকে কয়লা পাচারের টাকা কোথায় কোথায় যেত, সে সংক্রান্ত নানা তথ্য মিলেছে। কয়লা পাচারের জন্য প্রোটেকশন মানি কার কার কাছে যেত, ডায়েরিতে মিলেছে সেই সূত্রও। ওই ডায়েরিতেই রয়েছে সুজয়ের নাম। ইডি সূত্রে খবর, এ ব্যাপারেই জিজ্ঞাসা করা হবে তৃণমূল নেতা সুজয়কে। ইডির তরফে সুজয়ের কাছে জানতে চাওয়া হবে কয়লা পাচার চক্রের কারও সঙ্গে তাঁর কখনও যোগাযোগ হয়েছিল কিনা। তিনি স্বয়ং কোনও আর্থিক লেনদেনে জড়িয়েছিলেন কিনা। তিনি পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি। একজন সভাধিপতি হিসেবে কয়লা পাচার রুখতে তিনি কোনও পদক্ষেপ করেছেন কিনা, তাও সুজয়ের কাছে জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    প্রসঙ্গত, ইডির পাশাপাশি কয়লা পাচার মামলার (Coal Scam) তদন্ত করছে সিবিআইও। মাস কয়েক আগে লালার একটি ডায়েরিতে জনৈক এম ঘটকের নাম রয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝির কাছ থেকে মাসে ৭৫ লাখ করে টাকা নিতেন মলয় ঘটক। শুভেন্দুর দাবি, কেবল মলয়ই নন, ওই ঘটনায় বেশ কিছু তাবড় পুলিশ কর্তার নামও রয়েছে।

    তৃণমূল নেতা সুজয়কে ইডির তলব প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, এমন বলছেন, যেন রাষ্ট্রপতির নাম বলছেন সুজয়। চোর-চামারগুলো সব পার্টি করছে। পুরো পার্টি দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দলের নিচুতলা পর্যন্ত আরও অনেক লোক আসবে। অপেক্ষা করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

  • SSC Scam: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    SSC Scam: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এসএসসি (SSC Scam) এবং সিবিআইকে ভুয়ো চাকরি প্রার্থী বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে তথ্য পেশ করতে গিয়ে কিছুদিন আগেই ওএমআর জালিয়াতির কথা উল্লেখ করে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জাল শিক্ষকের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে এসএসসির ওয়েবসাইটে। বৃহস্পতিবার ওএমআর জালিয়াতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কোন প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্রের নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে, আদালতে তা পরিস্কার করা হয়েছে।

    রিপোর্টে কী জানিয়েছে সিবিআই? 

    সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, মোট চারটি নিয়োগ পরীক্ষার ২৩ লক্ষ ওএমআর শিট বাছাই করা হয়েছিল সল্টলেকের এসএসসির (SSC Scam) অফিসে। পরবর্তীতে একাধিক উত্তরপত্রে নম্বর বাড়ানো হয়। তিনটি হার্ড ডিস্ক খতিয়ে দেখেই এই তথ্য পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

    গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, এনওয়াইএসএ নামে একটি সংস্থাকে ওই চার নিয়োগ পরীক্ষার মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই- এর আরও দাবি, এসএসসি (SSC Scam) অফিস থেকে যে ডেটাবেস পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র মাদার ডেটাবেসের তথ্যের কোনও মিল নেই। অর্থাৎ শিট স্ক্যান করার দায়িত্বে থাকা সংস্থার দেওয়া নম্বর ইচ্ছামতো বদলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিধাননগরে এসএসসি-র দফতরেই যন্ত্র এনে সমস্ত ওএমআর শিট স্ক্যান করে তারা। তার পর স্ক্যান করা কপি ও প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হার্ড ডিস্কে ভরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছিল তারা। সিবিআই জানিয়েছে, তার পর সেই নম্বর ওয়েবসাইটে আপলোড করে এসএসসি। কিন্তু হার্ড ডিস্কের নম্বর ইচ্ছামতো বদলে তারপর আপলোড করেন এসএসসি আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: “আফতাবের ফাঁসি চাই! আগে তদন্ত হলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত”, বললেন শ্রদ্ধার বাবা

    গোয়েন্দারা আদালতকে জানিয়েছেন, প্রথম হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য, দ্বিতীয় হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য। আর তৃতীয় হার্ড ডিস্কটিতে রয়েছে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ওএমআরের স্ক্যান করা তথ্য। গাজিয়াবাদে পঙ্কজ বনশল নামে এক ব্যক্তির ঠিকানা থেকে এই তিনটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করে সিবিআই। পঙ্কজ বনশল এনওয়াইএসএ-র প্রাক্তন কর্মী বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের পরে নম্বর-সহ ডেটাবেসে রেখে দেওয়া হয়। সিবিআই দাবি করে, তিনটি হার্ড ডিস্ক এবং কমিশনের তথ্যভান্ডার পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, উত্তরপত্র মূল্যায়নে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। তদন্তের সময় কমিশনের (SSC Scam) ডেটাবেসও বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

     

  • Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকার খোঁজে তদন্ত চালিয়ে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। মানিকের স্ত্রী, পুত্র-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে বুধবারই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট বা প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার ইডির তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৬১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স এবং মিউচুয়াল ফান্ড মিলিয়ে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, এই ৬১টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকার লেনদেন হয়েছে। যদিও মানিক তাঁর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই।

    আরও পড়ুন: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী! 

    ইডির অভিযোগ, ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে টেট দুর্নীতির টাকা সরানো হয়েছে। এছাড়া শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ‌্যমেও টাকা সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ইডির নজরে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে শৌভিকের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি। কোন টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল এই সম্পত্তি, এখন তাই খতিয়ে দেখছে ইডি। ইডির তথ্য অনুযায়ী, মানিক ও তাঁর ছেলের নামে দু’টি আমবাগান রয়েছে। তাছাড়া নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকার মঘড়াইক্ষেত্র গ্রামে মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের দশ একর জমি আছে। 

    ইডির নজরে মানিকের সম্পত্তি 

    ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ছেলের নামে কালীগঞ্জে এক বিঘা আমবাগান কেনা হয়েছিল। সেই বাগান মাত্র দেড় লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল। পরে সেই গ্রামেই আরও ৩৬ ছটাক আমবাগান কিনেছিলেন মানিকপুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। সেই জমি কেনা হয় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে। এছাড়াও যাদবপুরে ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল‌্যাট রয়েছে মানিকের। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য বিমা সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তাছাড়া যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডে আরও এক ফ্ল্যাট রয়েছে মানিকের। সেটা দেড় হাজার বর্গফুটের। ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয় সেই ফ্ল্যাট। এর জন্যেও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফ্ল্যাটগুলির ডাউন পেমেন্টের টাকা কোথা থেকে এল? এখন সেটাই ভাবাচ্ছে ইডি গোয়েন্দাদের।

    ইডির তরফ থেকে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকের সক্রিয় ভূমিকা তো ছিলই। পাশাপাশি বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলিকে অনুমোদন ও ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার নামেও টাকা তুলতেন মানিক ও পার্থ। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, মানিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বন্ধু ও পরিজনদের নামেও অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন। যাতে সহজেই দুর্নীতির টাকা লোপাট করা যায়। মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তির নামে খোলা হয়েছিল এরকমই অ্যাকাউন্ট। তাতেও টাকা পাচার করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য ২০১৬ সালে মারা যাওয়ার পরেও তাঁর নামের অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএড কলেজের (BED College) অনুমোদন দিতে টাকা নিতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছে ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা প্রকাশ্যে নিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ইডির দাবি, কেবল মানিক নন, কলেজগুলিকে অনুমোদন পাইয়ে দিতে টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।

    ইডি-র চার্জশিট…

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বয়ানকে অস্ত্র করেই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এনসিটিই-র সদস্য ছিলেন মানিক। বিএড, ডিএলএড বা প্রাইমারি টিটার ট্রেনিং কলেজের চূড়ন্ত অনুমোদন পেতে হলে এনসিটিই-র অনুমোদন প্রয়োজন। চার্জশিটে পেশ করা তথ্যে দাবি করা হয়েছে, মানিক এই কাউন্সিলের সদস্যপদে থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে রাজ্যে এই ধরনের বহু প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পাইয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। সেই টাকার পরিমাণ নেহাত কম নয়। অনুমোদন পাইয়ে দিতে পার্থ নিতেন ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক নিতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

    ইডি জানিয়েছে, বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির কাছ থেকে মোটা টাকা উৎকোচ নিতেন মানিক (Manik Bhattacharya) ও পার্থ। সব মিলিয়ে এর মোট পরিমাণ ২০ কোটি টাকা বলে আগেই জানিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের জেরায় তাপস জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৩২৫ জন প্রার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া ও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য ‘ঘোষবাবু’ নামে পার্থ ও মানিকের কোনও এক প্রতিনিধিকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রাইমারি টেটের যেসব প্রার্থী ওই টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন শিক্ষকতা করছেন। 

    আরও পড়ুন: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার কলকাতার পিএমএলএ আদালতে মানিক (Manik Bhattacharya), তাঁর ছেলে সৌভিক ও মানিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে নথিভুক্ত হয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যের বয়ানও। ওই চার্জশিটে উঠে এসেছে কলকাতায় থাকা মানিকের কয়েকজন আত্মীয়ের বয়ানও। তাঁদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাদা কাগজে এবং কিছু ব্যাঙ্কের নথিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার নামে কী ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সে বিষয়ে কখনওই কিছু জানানো হয়নি তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

LinkedIn
Share