Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kolkata Medical College: ব্রিটিশ শাসনের পর ফের মেডিক্যালে স্বঘোষিত ছাত্র নির্বাচন! বৈধতা আছে কি?

    Kolkata Medical College: ব্রিটিশ শাসনের পর ফের মেডিক্যালে স্বঘোষিত ছাত্র নির্বাচন! বৈধতা আছে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতে এমন নজির দেখা যায়নি। তৃণমূল সরকারের জামানায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College), যেন ফিরে গেল ব্রিটিশ ভারতের সময়ে, অন্তত ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে এমনি বলছেন রাজ্যের বিশিষ্ট মানুষেরা। 

    স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মত, ২২ ডিসেম্বর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medical College) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ সেই নির্দেশ বাতিল করে স্বাস্থ্য দফতর। আর এরপরেই গোলমাল শুরু হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচনের দাবিতে অবরোধ, অবস্থান বিক্ষোভ, মিছিল এমনকি ছাত্ররা অনশন শুরু করে। কয়েক সপ্তাহ পরে চিকিৎসক বিনায়ক সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের মত সমাজকর্মীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পড়ুয়ারা অনশন তুলে নেন। কিন্তু তারা স্বঘোষিত ছাত্র নির্বাচনের কথা জানান।

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College) সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ শাসিত ভারতে ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন পড়ুয়ারা। নিজেরাই কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনের দিন জানিয়ে ছাত্র ভোট পরিচালিত করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীন ভারতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ফিরে এল সেই সময়।

    আরও পড়ুন: রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার আর্জি সুকান্ত-শুভেন্দুর! আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দীর্ঘদিন বন্ধ। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনে ও উন্নতিতে যে অর্থ ছাত্র সংসদের কাছে থাকার কথা, তার বরাদ্দও বন্ধ। ব-কলমে সব টাকা থাকছে তৃণমূলের নেতাদের কাছে। হস্টেলের ঘর কে পাবে, সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শাসক দল। কলেজের অনুষ্ঠান আয়োজনের নামে যথেচ্ছ অর্থের অপচয় হচ্ছে। কিন্তু তার হিসাব বোঝা যাচ্ছে না। কোনও কিছুতেই স্বচ্ছতা নেই। পড়ুয়াদের প্রতিনিধি না থাকায়, তারা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোনও মতামত দিতে পারছেন না। এই রকম পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাইছেন পড়ুয়াদের একাংশ। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের প্রতিনিধি কলেজের সমস্ত সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করুক, এটাই মত অধিকাংশ পড়ুয়ার। 

    আগামীকাল ছাত্রদের স্বঘোষিত নির্বাচন হওয়ার কথা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medical College)। বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়া ও প্রত্যাহারের শেষ দিন। সব কাজ চললেও কলেজের অধ্যক্ষ এবং সুপার হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তারা স্বাস্থ্য ভবনে থেকেই যাবতীয় কাজ করছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছেন, ই-মেল মারফত তারা ছাত্র নির্বাচন প্রসঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। নির্বাচনের দিন, মনোনয়ন জমা, প্রত্যাহার সবটাই ই-মেল করে জানানো হয়েছে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি তারা কিছু জানেন না। কোনও ই-মেল পাননি। 

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মতই সব কাজ হবে।” স্বাস্থ্য ভবন ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন বাতিল করেছে। ছাত্ররা স্বঘোষিত নির্বাচন করছে। সেই ছাত্র সংসদ আদৌও বৈধ হবে কি? কর্তৃপক্ষের থেকে যে অর্থ বরাদ্দ হয় ছাত্র সংসদের জন্য, এই নির্বাচনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা সংসদ সেই বরাদ্দ অর্থ পাবে? 

    এই প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দিতেই চান না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College) কর্তৃপক্ষ। তবে, ছাত্রদের কথায়, অধিকারের জন্য তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন। যদিও চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাতে মেডিক্যাল কলেজে সমস্যা আরও বাড়বে। এই সবকিছুর জন্য শেষ পর্যন্ত পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটবে কিনা, সে নিয়েও সংশয় রয়েছে।

  • Weather Forecast: বড়দিনের আগেই শীত কমার সম্ভাবনা, কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ

    Weather Forecast: বড়দিনের আগেই শীত কমার সম্ভাবনা, কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও কিছুটা নামল তাপমাত্রার (Weather Forecast) পারদ। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন  তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির কাছাকাছি ছিল। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি। এটাও স্বাভাবিক। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছে থাকবে। 

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

    আগামী দুদিন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রায় কোনও হেরফের হবে না। পরবর্তী তিনদিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা (Weather Forecast) দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়বে।      

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে? 

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Forecast) দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে রাতের তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন হবে না। পরবর্তী তিনদিনে উত্তরবঙ্গে রাতের পারদ দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কাঁথি লোকসভা উপহার দেবেন, সভার আগে বললেন শুভেন্দু

    আগামী (Weather Forecast) কয়েক দিন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে কলকাতার আকাশ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় হিমালয়ের পাদদেশে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। ওই সময়ের মধ্যেই সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে থাকতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জায়গা। 

    বড়দিনে রাজ্যে কেমন থাকবে আবহাওয়া? 

    আপাতত গোটা রাজ্যে (Weather Forecast) কোথাও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। বায়ুতে আদ্রতার পরিমাণ কম থাকবে। আগামীকাল পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন হবে না। শুক্রবার থেকে রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। বড়দিনে আরও চড়বে পারদ। শুক্রবারের থেকে তাপমাত্রা দুই-তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে। স্বাভাবিকের উপরে থাকবে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা। এর ফলে কার্যত উষ্ণ ভাবেই কাটবে বড়দিন। শুক্র, শনি, রবি, সোম, চারদিনে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ইঙ্গিত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Bengal BJP: রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার আর্জি সুকান্ত-শুভেন্দুর! আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Bengal BJP: রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার আর্জি সুকান্ত-শুভেন্দুর! আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গকে বরাদ্দ টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে, এমনই আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তবে তার দিনক্ষণ জানাননি তিনি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যকে শীঘ্র ১০০ দিনের কাজের  টাকা দেওয়ার আবেদন জানান  বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজে  টাকা দেওয়ার আবেদন 

    এর আগে, দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাখ্যা না দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যদিও তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল মিথ্যা প্রচার করছিল। বলা হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে কেন্দ্র। এর জবাব দিতেই একশো দিনের কাজের টাকা অবিলম্বে রাজ্যকে দেওয়ার জন্য গিরিরাজের কাছে দরবার করেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির দুই নেতা। বৈঠকে ওই প্রকল্পের টাকা দ্রুত ছাড়া হবে বলে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এছাড়াও গিরিরাজ আশ্বাস দেন এত দিন ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে যাঁরা টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং যে সব সরকারি কর্মীর সহায়তায় ওই ভুয়ো কার্ড বানানো হয়েছে, সেই সরকারি কর্মী ও উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈঠকের পরে সুকান্ত জানান, ওই টাকা কাদের পাঠানো হত, এখন পর্যন্ত কত টাকার নয়ছয় হয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন গিরিরাজ। 

    আরও পড়ুন: শাহী সাক্ষাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ, তুলে ধরলের তাঁর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা

    আবাস যোজনায় দুর্নীতি

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনেক পাকা বাড়ির মালিককেও গৃহহীন দেখানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে অভিযোগ জানান সুকান্ত ও শুভেন্দু। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কী ভাবে তৃণমূলের নির্দেশে দুর্নীতি হয়েছে তা আমরা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। সব শুনে তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্নীতিতে যুক্ত সরকারি অফিসার, কর্মীদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হবে।’’ অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকায় প্রকৃত প্রাপকদের নাম নেই। তার বদলে পাকা বাড়ি রয়েছে এমন তৃণমূল নেতা এবং তাঁদের আত্মীয়দের নাম আছে। এ নিয়ে গিরিরাজকে লিখিত ভাবেও কিছু তথ্য সুকান্তরা তুলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

     

  • Anubrata Mondal: “পাপ বাপকেও ছাড়ে না, তিহারে গিয়ে…”, কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Anubrata Mondal: “পাপ বাপকেও ছাড়ে না, তিহারে গিয়ে…”, কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অনুব্রত মণ্ডলকে তিহার জেলে রেখে জেরা করা হবে। অনুব্রতর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল। কিন্তু সেই সওয়াল কোনও কাজেই দিল না। কেষ্টকে যেতেই হচ্ছে দিল্লি। গতকাল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে। আর এরপরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তীব্র আক্রমণ করলেন কেষ্টকে। তিনি বললেন, “অনেকদিন লোককে চরাম চরাম আর গুড় বাতাসা খাইয়েছেন। আসানসোল জেলে তো রাজার হালে ছিলেন। এবার একটু তিহার জেলের জল-হাওয়া খান।”

    আরও পড়ুন: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের

    কেষ্টকে কড়া ভাষায় আক্রমণ সুকান্তর

    এই মুহূর্তে একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একদিকে গরুপাচার মামলা অপরদিকে ভোট পরবর্তী মামলা। সবমিলিয়ে জেরবার অবস্থা। গতকাল গরুপাচার মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বড় ধাক্কা খেল। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি আনতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট পেয়ে গিয়েছে ইডি। আর এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দিয়েছেন মোক্ষম খোঁচা ‘বীরভূমের বাঘ’-কে (Anubrata Mondal) ।

    তিনি বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডল যে কাজ করেছেন তাতে তো ওনার তিহারেই যাওয়ার কথা। কতদিন আর পয়সা খরচ করে আটকে রাখবেন। তিহারে একটু বিহার করে আসুন কিছুদিন। এতদিন তো লোককে চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা অনেক কিছুই খাইয়েছেন। এবার তিহারের জল-বাতাস খেয়ে আসুন। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আমরা আগেই বলেছি, যত বড় চোর হোক বা যত বড় ধেড়ে ইঁদুর হোক কেউ ছাড়া পাবে না। এই অন্যায় যারা করেছে, গরুর টাকা, চাকরির টাকা, কয়লার টাকা খেয়েছে, জেলে যেতেই হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Awas Yojana: রাজ্য জুড়ে আবাস তালিকায় দুর্নীতি! বিজেপির প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল পুরুলিয়া-বাঁকুড়া

    PM Awas Yojana: রাজ্য জুড়ে আবাস তালিকায় দুর্নীতি! বিজেপির প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল পুরুলিয়া-বাঁকুড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগে দিকে দিকে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি।  জেলায় জেলায় আবাস প্রকল্পের তালিকা নিয়ে অভিযোগ উঠে আসছে, আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তেই এবার পথে নামল বিজেপির কর্মীরা। গতকাল পুরুলিয়ার বেলকুঁড়ি এলাকায় এই বিক্ষোভে নেমে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপির কর্মীদের। শুধুমাত্র পুরুলিয়া নয়, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ আরও অনেক জেলায় আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, ঝাঁ চকচকে বাড়ি রয়েছে, এমন তৃণমূল নেতারও নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। আর এর ফলেই সাধারণ মানুষ সহ বিজেপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।

    পুরুলিয়ায় বিক্ষোভ

    পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলকুঁড়ি ও চাকড়া গ্রামের বহু মানুষকে চক্রান্ত করে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল পরিচালিত লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তবালা মাহাতোকে বেশ কিছুক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ দেখানো হয় বিডিও অফিসেও। এদিন বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নেয় বিজেপি। আর তা দিতে গিয়েই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। এরপর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গরীব মানুষদের তালিকা থেকে সরানো হয়েছে ও তার জায়গায় তৃণমূল নেতাদের নাম দেওয়া হয়েছে তালিকায়।

    বাঁকুড়ায় বিক্ষোভ

    বাঁকুড়াতেও সেই একই অভিযোগ। ফলে গতকাল বাঁকুড়ার রানিবাঁধের বিডিও অফিসে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি প্রকাশিত আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় ব্যাপক গরমিল রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, রানিবাঁধ ব্লকের পুড্ডি, বারিকুল, রাজাকাটা, রুদড়া, রাওতড়া-সহ মোট আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি গ্রামে প্রকৃত গৃহহীনদের নাম বাদ দিয়ে পাকা বাড়ির মালিকদের নাম তালিকায় রয়েছে। বিজেপি নেতার বক্তব্য, “যাদের তিন তলা, চার তলা বাড়ি রয়েছে, বাইক রয়েছে, তারাই বাড়ি পাচ্ছে। আসলে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা পাচ্ছেন না।” ফলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

    আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ বর্ধমানেও

    পূর্ব বর্ধমানের মেমারী ১ নম্বর ব্লকের দুর্গাপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। সেখানে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতার ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ি। অথচ আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় রয়েছে তাঁর মায়ের নাম। স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে স্বজন-পোষণের অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলেন, পরিকল্পিতভাবে আবাস যোজনার তালিকা থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

    দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অভিযোগ

    এখানেও একই অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় ফের স্বজন-পোষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতাপনগরের গাড়াল অঞ্চলের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় নস্করের স্ত্রীর নাম রয়েছে আবাস-তালিকায়। অন্যদিকে তাঁর টাইলস বসানো দোতলা বাড়ি থাকলেও কী করে তাঁর নাম আবাস যোজনায় আসে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গ্রামবাসীরা।

    মুর্শিদাবাদে অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) সমীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার সুলতানপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ICDS কর্মী প্রকৃত প্রাপকদের নাম কেটে দিয়ে পাকা বাড়ির মালিকদের নাম আবাস-তালিকায় রেখেছেন।

    মালদাতেও একই কাণ্ড

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল প্রধানের স্বামী ও শাশুড়ির। অভিযোগ এদের ঝাঁ চকচকে পাকা বাড়ি, তবুও নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। মালদার চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযোগ, প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে আবাস তালিকায় স্বামী ও শাশুড়ির নাম ঢুকিয়েছেন তৃণমূল প্রধান মাস্তারা খাতুন।

    আর এত সব অভিযোগ ওঠার পরে শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন বিজেপির কর্মীরা। তাঁরা মানবাজার ১ বিডিওকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার পথে বিজেপির মিছিল থেকে আবাস যোজনাতে কারচুপি করা হচ্ছে, তৃণমূল সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত — এই সব স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবি, তালিকা (PM Awas Yojana) সংশোধন করে শুধু যোগ্যদের নামই রাখতে হবে। বিজেপির নেতৃত্বে এই কর্মসূচিতে ছিলেন দলের শাঁকা ও নতুনডি পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান, সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

     

  • SSC Scam: নিজাম প্যালেসে এসএসসির ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে তলব সিবিআই- এর

    SSC Scam: নিজাম প্যালেসে এসএসসির ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে তলব সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সংস্থার ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। মুখোমুখি বসিয়ে করা হয় জেরা। সোমবার গোয়েন্দা সংস্থার তলব পেয়ে সকালে নিজাম প্যালেসে যান এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও প্রদীপকুমার সুর। এছাড়াও এসএসসির আরও ৪ আধিকারিককেও তলব করেছে সিবিআই। তারাও আজ নিজাম প্যালেসে যান।    

    হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর শনিবারই এসএসসির (SSC Scam) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতেও সুবীরেশের হাত রয়েছে। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি সুবীরেশ। কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ তিনি। এই পরিস্থিতিতে সুবীরেশের মুখ খোলাতে চেয়ারম্যানদের মুখোমুখি বসিয়ে তাকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। তাঁর অধীনে যে চার আধিকারিক কাজ করতেন তাঁদেরও মুখোমুখি বসানো হয়। সোমবার দুপুরে সিবিআই দফতরে পৌঁছন চিত্তরঞ্জনবাবু। 

    সংবাদমাধ্যমকে চিত্তরঞ্জনবাবু জানান, তাঁকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে। এদিন দুপুরে সুবীরেশকে (SSC Scam) মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান সিবিআই গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সেখান থেকে ফেরার পর তাঁকে প্রদীপ সুরের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়।

    আরও পড়ুন: লালন শেখ হত্যা মামলায় এবার মানবাধিকার কমিশন, নির্দেশ কেন্দ্রের

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত শনিবার সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (SSC Scam) সিবিআই হেফাজতে পাঠায় আলিপুর আদালত। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য  সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতারির পর থেকেই সুবীরেশ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করে এসেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সুবীরেশের নির্দেশেই নবম–দশম নিয়োগে সাদা খাতার নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। সেই প্রমাণ ইতিমধ্যেই এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।

    ২০১৪- র জানুয়ারি থেকে ২০১৮- র জুলাই পর্যন্ত এসএসসির চেয়ারম্যান (SSC Scam) ছিলেন সুবীরেশ। তাঁর আগে, ২০১৩-র অক্টোবর থেকে ২০১৪-র জানুয়ারি পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন প্রদীপকুমার শূর এবং ২০১১র জুন মাস থেকে ২০১৩-র অক্টোবর পর্যন্ত চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। চিত্তরঞ্জন মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “অনেক সুপারিশ চালককে দিয়ে নেতারা পাঠিয়েছে। প্যাডের পর প্যাড। প্রচুর সুপারিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচন্ড চাপ ছিল।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ১০০ দিনের কাজে মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড-টাকা, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: ১০০ দিনের কাজে মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড-টাকা, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জবকার্ডে কারচুপির অভিযোগে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। মামলায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। মৃত ব্যক্তিদের নামেও তৈরি করা হয়েছে জব কার্ড। এমনই আভিযোগ করা হয়েছে। কল্যাণী ব্লকে একশো দিনের কাজের তালিকায় এমন কিছু ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাঁদের মধ্যে কেউ ২০১১ সালেই মারা গিয়েছেন, তো কেউ ২০১৪ সালে। ২০১৫ সালে মারা গিয়েছেন এমন কারো নামও রয়েছে তালিকায়। এমন অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। এরই মধ্যে একটি ঘটনা, ২০১৯ সালে পুকুর খোঁড়ার কাজ করে টাকা তোলা হয়েছে অমল আচার্যর নামে। অথচ তিনি নাকি ২০১৫ সালেই মারা গিয়েছেন।      

    অভিযোগে এমন অনেক ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। আরও একটি ঘটনা, একশো দিনের কাজে মদনপুর পুকুর খুঁড়েছেন মনোরঞ্জন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। অথচ তিনি ২০১৪ সালে মারা গিয়েছেন। তাঁর নামের অ্যাকাউন্টেও টাকা জমা পড়েছে। এমনকী পুলিশে কর্মরত এক ব্যক্তি এই প্রকল্পে টাকা তুলছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। মামলাকারীর বক্তব্য সব তথ্য রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সেই বিষয়ে কান দেয়নি বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে।

    হাইকোর্টের নির্দেশ?

    হাইকোর্ট জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) আরও নির্দেশ দিয়েছে, এই মামলা নিস্পত্তি করা হলেও, আগামী দিনে জেলাশাসকের সেই রিপোর্ট নিয়ে মামলাকারীর কোনও অসন্তোষ থাকলে, ফের তিনি আদালতের কাছে আবেদন করতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে এসএসসির ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে তলব সিবিআই- এর

    প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হচ্ছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। একশো দিনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগে আগেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেও আদালতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Subiresh Bhattacharya: জামিন না-মঞ্জুর সুবীরেশের! ‘‘সমাজের সঙ্গে বেইমানি’’, অভিমত হাইকোর্টের

    Subiresh Bhattacharya: জামিন না-মঞ্জুর সুবীরেশের! ‘‘সমাজের সঙ্গে বেইমানি’’, অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের যুক্তি, “শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড। তাই শিক্ষক নিয়োগে যদি দুর্নীতি হয়, তা হবে সমাজের সঙ্গে বেইমানি।” 

    আদালতে সওয়াল জবাব

    বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে সুবীরেশের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সুবীরেশের আইনজীবী আদলতকে জানান, ‘‘তাঁর মক্কেল এসএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। ২১ অক্টোবরের চার্জশিট মোতাবেক আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর মৌখিক নির্দেশেই প্রোগ্রামিং অফিসার উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) পরিবর্তন করেছেন। কম নম্বর পেয়েছেন এমন প্রার্থীদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এমনকী, এসএসসির ওয়েবসাইটেও নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। অথচ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি কমিটির মাথায় ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। আমার মক্কেলকে প্রথমে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল। তার পরে গ্রেফতার করা হয়।’’এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘‘একটি সংস্থার সর্বোচ্চ পদে ছিলেন। সেই জায়গায় কী ভাবে আপনাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এড়িয়ে যেতে পারেন? যিনিই অভিযোগ আনুন, আপনি এত দিন কেন সচেতন হননি?’’

    আরও পড়ুন: শাহী সাক্ষাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ, তুলে ধরলের তাঁর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা

    সুবীরেশের ভাগ্নেকে তলব

    অন্যদিকে, নম্বরে গড়মিল করে নিজের ভাগ্নেকেও চাকরি করিয়ে দিয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য,দাবি সিবিআইয়ের। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাই এবার সুবীরেশের ভাগ্নেকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। কয়েকদিন আগে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের অধীনে কাজ করা চারজন কর্মীকে তলব করেছিল সিবিআই। একইসঙ্গে ডাকা হয়েছিল দুই প্রাক্তন আধিকারিককে। তাঁদের কাছ থেকে যে তথ্য মিলেছে তা নিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে সুবীরেশ। সূত্রের খবর, এঁদের মাধ্যমেই সিবিআই জানতে পেরেছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ভাগ্নের চাকরি পাওয়ার কাহিনী। সেটাই এবার যাচাই করতে চান সিবিআই অফিসাররা। সুতরাং মামা–ভাগ্নেকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রীকে কাঁথি লোকসভা উপহার দেবেন, সভার আগে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রীকে কাঁথি লোকসভা উপহার দেবেন, সভার আগে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মানুষের সামনে তুলে ধরবেন আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুন, তোলাবাজির কথা। এমনটাই দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কাঁথি রেল স্টেশনে হবে এই সভা।  

    মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরেছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের মাটিতে পা রেখেই বিজেপি সমর্থকদের জন্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন ২ লক্ষের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঁথি লোকসভা উপহার দেবেন। দুদিনের দিল্লি সফরে শুভেন্দু দেখা করেছেন স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং- এর সঙ্গে। দিল্লি সফর ও অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বিভিন্ন কেস দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে সেটা দেশের সকলের জানা উচিত, সেই ব্যবস্থা করতেই গিয়েছিলেন। দিল্লিতেই  দেখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। হয়েছে সৌজন্য বিনিময়ও। তাই এবার দিল্লি থেকে ফিরেই চার্জড আপ শুভেন্দু। 

    কী চমক থাকবে সভায়? 

    আজ সভাতেই দেখা যাবে তার ঝলক। রাজনৈতিকমহলের দাবি, এই সভা থেকে ফের একবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করবেন তিনি। ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ এই কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির কাছেই সভা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই একই দিনে ডায়মন্ড হারবারে সভা ছিল শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু-সহ গোটা অধিকারী পরিবারকে নিশানা করে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ৷ আর আজ জবাব দেওয়ার দিন। নিজের গড়ে দাঁড়িয়ে অভিষেককে জবাব দেবেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূলের শত চেষ্টা সত্ত্বেও বিজেপির এদিনের সভা সফল হবে। 

    এদিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ডিসেম্বর রহস্য নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে ক্রমাগত খোঁচা দিয়ে চলেছে ঘাসফুল শিবির। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে বড় কিছু ঘটার দাবি করে আসছিল পদ্ম শিবির। ডিসেম্বর মাস যত এগিয়ে আসে, তত বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি নিয়ে জল্পনা বাড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। ডিসেম্বর মাসের শুরুতে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে একেবারে তিনটি তারিখ ঘোষণায় শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‘ডিসেম্বরের ১২, ১৪, ২১… তিনটে দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।’’ আজ ডেডলাইনের তৃতীয় দিন। আজ ২১ ডিসেম্বর। শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া ডেডলাইনের তৃতীয় দিন।

    আরও পড়ুন: ‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’ অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু 

    যদিও, মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানালেন, ‘‘আমি যে তিনটি দিনের কথা উল্লেখ করেছিলাম তাতে আমি একবারও বলিনি যে সরকার পড়ে যাবে। তবে অপেক্ষা করুন সব হবে। প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।  দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তরাও কেউই  ছাড় পাবে না।’’ আজ কাঁথির সভা থেকে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) কোন বার্তা দেন, সেখান থেকে তিনি কী খোলসা করেন, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    Anubrata Mondal: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাকাতকে বাঁচাতে চোরেদের সরকার যা করছে তাতে তাদের বিপদ বাড়ছে বই কমছে না। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘‘ শাসক দলের নেতারা যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তারা কেউ পার পাবে না। তিহার জেল যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। অপেক্ষা করুন।’’ প্রসঙ্গত, বিরোধীদের অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা আটকাতেই পুরনো ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছে রাজ্য পুলিশ।

    পুলিশ হেফাজত অনুব্রতের

    সোমবারই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে ( ED ) অনুমতি দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট। আর ঠিক সেইদিনই এক বছর আগের খুনের চেষ্টার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন এই তৃণমূলকর্মী। যার প্রেক্ষিতে বীরভূমের ( Birbhum ) জেলা তৃণমূল সভাপতিকে মঙ্গলবার ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এর ফলে আপাতত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি।

    কী বলছেন আইনজীবীরা

    দিল্লি এড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে কি নিজের জালে নিজেই ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা, এমনটাই মত আইনজীবীদের। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, পুলিশি হেফাজতে থাকলে অনুব্রতকে এখনই দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি। এবং সেই সময়ের ফাঁকে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাতে পারবেন অনুব্রতের কৌঁসুলিরা। তবে এর ফলে কার্যত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হল বলে আইনজীবী শিবিরের বড় অংশের অভিমত। তাঁদের মতে, অনুব্রত যে প্রভাবশালী, সেটা বোঝাতে এ বার কোর্টে এই ঘটনাকেই হাতিয়ার করতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কৌঁসুলিরা। এটাও বলা হবে যে, তাঁকে ঠেকাতে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনও তৎপর! দিল্লি গেলে যে সমস্যা হবে এবং তাতে সমস্যা যে রাজ্য সরকারেরও, সেটাই কার্যত প্রমাণিত হচ্ছে। তবে এ ভাবে দিল্লি যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করলে সমস্যা বাড়তেই থাকবে। এতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থারই হাত শক্ত হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: পুলিশের আড়ালে পুলিশমন্ত্রীই কী এবার সান্টা ক্লজ অনুব্রত মণ্ডলের?

    দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত

    গরুপাচারকাণ্ডে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অনুব্রত মণ্ডল।  সোমবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল অনুব্রত। কিন্তু এতে খুব একটা লাভ হবে না বলেই মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। 

    কী করবে ইডি

    পুলিশ হেফাজতে থাকা অনুব্রতকে কীভাবে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে? পুরো বিষয়টা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশ জানানো হয়েছে। সেই নির্দেশনামার কপি আসানসোল জেলে পৌঁছে দেওয়া হবে। ২৭ ডিসেম্বর, ফের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকে। ওইদিন ইডি-র অফিসাররা আদালতে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়েও আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share