Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ustad Rashid Khan: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    Ustad Rashid Khan: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেনস্থার শিকার ধ্রুপদী গায়ক উস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। অভিযোগের তির কলকাতা পুলিশের দিকে। গাড়ি আটকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল  পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ করেছে সঙ্গীত শিল্পীর পরিবার। পরিবারের দাবি, চালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার প্রগতি ময়দান থানায়। চালক গ্রেফতারির খবর শুনে সেখানে প্রথমে যান রশিদ খানের স্ত্রী ও কন্যা। পরবর্তীতে গাড়ির মালিক হিসেবে রশিদ খানকেও ডেকে পাঠানো হয়। কেন গাড়িটি আটক করা হল? সেটাও পুলিশ পরিস্কার করেনি বলে অভিযোগ।  

    বুধবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটে। রশিদ খানের (Ustad Rashid Khan) স্ত্রী অভিযোগ করেন, থানায় তাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    কী ঘটে? 

    শিল্পীর স্ত্রী জানান, মঙ্গলবার রাতে গানের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরেন রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। এরপর তাঁর এক সহ শিল্পীকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল গাড়িটি। গাড়িতে ছিলেন রশিদ খানের এক ম্যানেজার। অভিযোগ, বেলেঘাটা ক্রসিং-এর কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নাকা চেকিং হয়। সেই সময় ওই ম্যানেজারের কাছে ২০০০ টাকা ‘ঘুষ’ চাওয়া হয়। তিনি দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে ‘কেস’ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর চালককে ডেকে চেক করে বলা হয় তিনি মদ্যপ। চালককে গ্রেফতার করে গাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    যদিও চালকের দাবি, তিনি মদ্যপ ছিলেন না। পুলিশের হাতে থাকা মেসিনে পরীক্ষার পর তাঁকে এনআরএস নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও কোনও পরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একটি ট্যুইট করে তিনি বলেন, “ভোর ৪ টেয় উস্তাদ রশিদ খানকে (Ustad Rashid Khan) থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পদ্মবিভূষণ প্রাপ্ত শিল্পীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”

     

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “প্রথমে বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকরা তাঁর গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিল অন্যথায় তারা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মিথ্যা অভিযোগ চাপানোর হুমকি দেয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা গাড়িটি প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে আটক করে। সেলিব্রেটিরা (Ustad Rashid Khan) যদি এমন হয়রানির শিকার হন তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা ভাবুন।” তিনিও এই রকম অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। আর এবারে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ৩২টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সায়গল হোসেন তিহার জেলে বন্দি।

    সায়গলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অন্যতম অভিযুক্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সায়গল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কাজ করেছেন। গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত চার্জশিটে সায়গলের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, বীরভূম করিডর দিয়ে যে সমস্ত গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। সিবিআই তাদের চার্জশিটেও এ কথা উল্লেখ করেছিল।

    আরও পড়ুন: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    এরপর মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নামলে তাঁর একাধিক জমি, সম্পত্তি, বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়। আর সেই অনুযায়ী সায়গলের ৩২টি সম্পত্তির হদিশ মেলে। গত ২ ডিসেম্বর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তারই জেরে সায়গলের সম্পত্তি আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ফলে এই সব সম্পত্তির টাকার সঙ্গে গরু পাচারের টাকার যোগ আছে কি না, তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।

    উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) প্রথমে সিবিআই সায়গলকে গ্রেফতার করে। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোলের জেলে। এরপরই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ায় তাঁকে আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত দিল্লির তিহার জেলেই রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সায়গলের মা-স্ত্রীকেও একাধিকবার তলব করেছে ইডি। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি।

    ইডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃতদের কাছ থেকে ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অপরাধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি (ED)। গরু পাচারের সঙ্গে সায়গলের যোগ কতটা, তা আরও খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhijit Gangopadhyay: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhijit Gangopadhyay: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাদা উত্তরপত্র জমা দিয়েও ৪৩ নম্বর পেয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী!নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরে ওএমআর শিটে বিকৃতির (OMR sheet Corruption) অভিযোগ উঠল গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। পরীক্ষায় পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর সার্ভারে দেখা যাচ্ছে, গ্রুপ ডির সেই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩। সিবিআইয়ের পেশ করা নথি নিয়েই মঙ্গলবার সরব কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী বলল আদালত

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেছিলেন লক্ষ্মী টুঙ্গা। এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিটেই এই বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। তবে তার আগে এই নিয়ে বৈঠকে বসার কথা বলেন তিনি। আগামী ১৪ ডিসেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে বৈঠক করবেন সিবিআই, মামলাকারীর আইনজীবী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের বাজেয়াপ্ত করা হার্ডডিক্স এবং ওএমআর শিট খতিয়ে দেখা হবে ওই বৈঠকে। এরপর আগামী ২১ ডিসেম্বর প্রাথমিক রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেবে সিবিআই। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    উল্লেখ্য, গাজিয়াবাদের সার্ভার থেকে এসএসসিতে নিয়োগ পরীক্ষার বেশ কিছু উত্তরপত্র মিলেছিল। তার মধ্যে রয়েছে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার খাতা। সেগুলি যাচাই করে সিবিআই দেখে, পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রার্থী উত্তরপত্রে পেয়েছেন দুই। এমনকি, ওই জেলার এক জন উত্তরপত্রে পেয়েছেন শূন্য। অথচ এসএসসির সার্ভারে দেখা গিয়েছে, তাঁরা পেয়েছেন ৪৩ নম্বর। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। সেগুলি দেখে যাচাই করতে হবে যে, ওই প্রার্থীদের জন্য ভুয়ো সুপারিশ করা হয়েছে কি না।

    আরও পড়ুন: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Electrification: রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর সমস্যা মেটাতে বিশেষ কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    Electrification: রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর সমস্যা মেটাতে বিশেষ কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখনও অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে, যেখানে এখনও বিদ্যুতের আলো (Electrification) পৌঁছয়নি। সূর্য ডুবলে টর্চলাইট বা কেরোসিনের আলোই ভরসা। আর সেই অন্ধকার রাস্তার সুযোগ নিয়ে দেদারে চলছে বহু অনৈতিক কাজকর্ম। একটি জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ ওঠে অন্ধকার রাস্তায় ঘটছে ধর্ষণের মতো ঘটনা। সেই মতো প্রত্যন্ত কতগুলি রাস্তায় আলো নেই, তা জানতে চায় হাইকোর্ট। সেই রিপোর্ট আসতেই বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রত্যন্ত গ্রাম সহ রাজ্যের কোন কোন রাস্তায় বিদ্যুতের অভাব রয়েছে বা বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি তা খতিয়ে দেখতে  ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করল আদালত। এই নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    জেলাভিত্তিক কমিটিতে রাখা হয়েছে সেই জেলার জেলাশাসক বা তাঁর মনোনীত কোনও প্রতিনিধি, জেলার পুলিশ সুপার বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আঞ্চলিক ও জোনাল ম্যানেজার এবং মামলাকারী আইনজীবী নীলাদ্রি সাহাকে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    কেন এই নির্দেশ?

    রাজ্যে পর পর কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। সম্প্রতি অন্ধকার (Electrification) রাস্তায় একটি ধর্ষণের ঘটনাও সামনে এসেছে। সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে মামলার শুনানিতে।

    রাজ্যের কোথায় কোথায় এখনও বিদ্যুৎ (Electrification) পৌঁছয়নি, বিদ্যুৎ দফতর এবং বণ্টন সংস্থার কাছে সেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল হাইকোর্ট। সেখানে দেখা যায় রাজ্যের অনেক রাস্তাতেই এখনও বিদ্যুতের আলো নেই। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, অনেক জায়গায় বাতি লাগানোর কাজ চলছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ আগের থেকে ভাল। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। শুরুতে পুরুলিয়ার জন্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার পর অন্য জেলাতেও এমন কমিটি গঠনের পথে হাঁঠতে চায় হাই কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কলকাতা হাইকোর্টে ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক (Administrator) নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে। আর আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক।

    প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নির্বাচনের জন্য ৩ ডিসেম্বর, শনিবার ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার শুক্রবার রাতেই পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে দেয়। এরপর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন ওই পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর। আর এই মামলাতেই এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। আগামী মাস পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর ফলে তৃণমূল ও কংগ্রেস কেউই প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে না।

    তৃণমূল জবা মাছোয়াকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল হাইকোর্টের নির্দেশ। আবার আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু স্থগিতাদেশের ফলে কোনও নিয়োগই হবে না। ফলে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুরসভার যাবতীয় কাজের দায়িত্ব দিল পুরুলিয়ার জেলাশাসককে।

    কী ঘটেছিল ঝালদা পুরসভায়?

    ঝালদার বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলাররা গত ২১ নভেম্বর তাঁরা একটি আস্থা ভোট ডাকেন। সেই আস্থা ভোটের পর অপসারিত হন চেয়ারম্যান। নিয়ম অনুযায়ী আস্থা ভোটের ৭ দিনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যানকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে হয়। সেই অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যানকে একটি সভা ডাকতে বলেন তাঁরা। এর মধ্যেই ভাইস চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেন। ফলে পুর আইন অনুযায়ী, তিনজন বিরোধী কাউন্সিলার ২৯ নভেম্বর একটি সভা ডাকেন এবং সেই সভায় ঠিক হয় ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে। কিন্তু আগেই রাজ্য সরকার গত ২ তারিখ ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

    সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু ঝালদা পুরসভায় কোনও চেয়ারম্যান নেই তাই রোজকার কাজ চালাতে একজন প্রশাসক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। সরকারের সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রশাসক সেই কার্যভার গ্রহণ করেছেন। আর এই নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নিয়োগে রাজ্যের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সরকারকে। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, “রাজ্য কীভাবে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে হস্তক্ষেপ করে?” এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ভাইসম্যানের পদত্যাগ নিয়ে। “ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন?” রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্য এর উত্তরে জানায়, তিনি পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু কার কাছে সেটা জানা নেই।

    এর পর আদালতে ভাইস চেয়ারম্যানের আইনজীবী জানান, গত ২৮ নভেম্বর এসডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি জানতে চান, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে যে তার কোনও লিখিত প্রতিলিপি আছে কিনা। কিন্তু আইনজীবী জানান মৌখিক ভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এসডিও। এই যুক্তি মানতে নারাজ বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ করেননি ভাইস চেয়ারম্যান, তাই এই প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি।

  • Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের মামলা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- মামলা করেছিলেন। সেই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান কেষ্ট। কিন্তু সেই মামলার প্রতিলিপি এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে এমনই জানাল ইডি। তাই, নিজেদের অবস্থান জানাতে আরও কিছুটা সময় চাইল তদন্তকারী সংস্থা। তার ভিত্তিতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    আদালতে সওয়াল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলাটিরও শুনানি রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। দুই মামলাতেই তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। আগামী দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই দুই মামলার উপর। ইডির করা এফআইআর খারিজের মামলা রয়েছে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। অন্যদিকে সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আর্জির শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টেও মামলা চলছে। তার মধ্যেই উচ্চ আদালতে ইডির মামলা খারিজের আর্জি জানান অনুব্রত। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছিল উচ্চ আদালত। তখনই আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেন ইডির আইনজীবী। সেইমতোই এদিন ইডিকে কিছুটা সময় দিল আদালত। গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দুর্গ কাঁথিতে সভা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের কাছেই প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে হয়েছিল সেই সভা। এবার সেই একই মাঠে সভা করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে পারেন শুভেন্দু। জানা গিয়েছে, এখনও সভা করার অনুমতি মেলেনি প্রশাসনের তরফ থেকে, তাই এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই রেখেছে গেরুয়া শিবির। 

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার থেকেও বেশি মানুষ টানতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি। ধারণা করা হচ্ছে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাবেশ হতে পারে। সভার অনুমতি পেলেই বিজেপির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের

    কেন এই সভা?  

    গত শনিবার দুই হাই ভোল্টেজ সভায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) গড় কাঁথিতে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, উল্টোদিকে অভিষেকের লোকসভা ক্ষেত্র ডায়মন্ডহারবারে সভা করেন শুভেন্দু। দুই সভার সুই মঞ্চ থেকে নাম না করে একে অপরের দিকে নিশানা দাগেন দুই হেভি ওয়েট নেতা। 

    বিজেপি সূত্রে খবর, এবার কাঁথি থেকেই অভিষেকের অভিযোগ এবং কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)৷ সম্ভবত আগামী ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে পাল্টা সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে সভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাঁথি কলেজ মাঠ অথবা কাঁথি রেল স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে সভার পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। 

    কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন অভিষেক। সরাসরি করেছেন দুর্নীতির অভিযোগ৷ অভিষেক দাবি করেন, তমলুক এবং কাঁথিতে লোকসভা উপনির্বাচন হলে তৃণমূলই জিতবে৷ তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’- এই পন্থা নিয়ে চলছে বিজেপি। বিশেষত অভিষেকের তোলা অভিযোগের জবাব না দিলে বার্তা যেতে পারে বলেই মত গেরুয়া শিবিরের৷ অভিষেক এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই মৌখিক যুদ্ধ নতুন নয়৷ অতীতেও একজনের সভার পাল্টা সভা করেছেন অন্য নেতা৷ পরস্পরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন তাঁরা৷ এবার কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু অভিষেককে কী জবাব দেন, এখন তাই দেখার পালা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Aparup Roy: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টেসলা-নাসায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, কে এই বাংলার ‘বিস্ময় বালক’?

    Aparup Roy: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টেসলা-নাসায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, কে এই বাংলার ‘বিস্ময় বালক’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই আসাধ্য সাধন করেছেন দুর্গাপুরের অপরূপ রায় (Aparup Roy)। ইতিমধ্যেই এই বিস্ময় বালক ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানীর শিরোপা অর্জন করে ফেলেছেন। একাদশ শ্রেণির ছাত্র অপরূপ রায়ের ভাষায়, সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। আপনার পায়ের দিকে না তাকিয়ে তারার দিকে তাকানো সবসময়ই ভাল।” পরামর্শ দিয়ে বলেন, “টেনশনকে একেবারেই কাছে আসতে দেওয়া চলবে না। শুধু স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন।” 

    ইতিমধ্যেই অপরূপের (Aparup Roy) দুটি বই, রসায়নের তিনটি পেপার প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জার্নাল ও পত্রিকায়। গবেষণাপত্রগুলি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যে যে জার্নালে তাঁর  গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলি হল-বিজ্ঞান ও গবেষণার আন্তর্জাতিক জার্নাল, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইন কেমিক্যাল সায়েন্সেস, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন পদার্থের জার্নাল। এই জার্নালগুলি যখন প্রকাশিত হয় তখন অপরূপ দশম শ্রেণীতে পড়তেন। 

    ২০২১ সালের মে মাসে অপরূপের (Aparup Roy) প্রথম বই, ‘সাধারণ রসায়নে সমস্যা’ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর দ্বিতীয় বই ‘মাস্টার ICSE কেমিস্ট্রি সেমিস্টার’ গত বছরেরই অগাস্টে প্রকাশিত হয়েছে।

    অপরূপের (Aparup Roy) বরাবরের লক্ষ্য বিজ্ঞানী হওয়া। রসায়নের প্রতি তাঁর নিবিড় ভালোবাসাই তাঁকে লকডাউনের ভয়ঙ্কর সময় পার করতে সাহায্য করে। অপরূপ বলেন, “লকডাউন চলাকালীন  আমি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য জলে লবণ দ্রবীভূত করার পরীক্ষাটি বেশ কয়েকবার করেছি এবং আমি কিছু নতুন পর্যবেক্ষণ করেছি, যা আমি আগে কখনও লক্ষ্য করিনি। এর জন্য আমি কয়েকজন এমআইটি বিজ্ঞানীর সাহায্য নিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “যখন লকডাউন ছিল, তখন কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি, তাই আমি বাড়িতে আমার সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু আরও অনেক অ্যাসাইনমেন্ট আছে, যা আমি বাড়িতে করতে পারি না। তাই, আমি এনআইটি দুর্গাপুরের রসায়ন বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখেছিলাম এবং তিনি রাজি হয়েছিলেন। তার জন্য আমার স্কুল থেকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে লকডাউন তুলে নেওয়ার পরে আমি এটা পেয়েছিলাম এবং আমি এখন NIT-এর একটি ল্যাবে আমার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    এছাড়াও বর্তমানে টেসলাতে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। যেখানে তাঁর দুই বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি (Aparup Roy) নাসাতে গবেষণা সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন।

    অপরূপ (Aparup Roy) আরও জানান যে ক্লাস সেভেন থেকেই তাঁর অনু-পরমাণুর প্রতি আগ্রহ ছিল। অপরূপ এখন JEE-র তে ভাল ফল করার জন্যে ইতিমধ্যেই কঠোর পরিশ্রম শুরু করেছেন। ভবিষ্যতে আইআইটি বম্বেতে পড়তে চান। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপরূপ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস- এর দ্বারা সম্মানিত হন। অপরূপ দশম শ্রণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।

    এছাড়া গোবর থেকে মশা নিরোধক তৈরির বিষয়েও গবেষণা করেছেন অপরূপ (Aparup Roy)। তিনি বিশ্বাস করেন, বাজারে যেই মশা নিরোধকগুলি পাওয়া যায় সেগুলি নিরাপদ নয় এবং ত্বকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই তিনি মশা তাড়ানোর জন্য নিজের ভেষজ বিকল্প তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি স্বীকৃত জার্নালে তা প্রকাশিতও হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Bharat Sevashram Sangha: প্রয়াত ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সহ সভাপতি স্বামী হিরন্ময়ানন্দজি মহারাজ

    Bharat Sevashram Sangha: প্রয়াত ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সহ সভাপতি স্বামী হিরন্ময়ানন্দজি মহারাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে গেলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের (Bharat Sevashram Sangha) সহ সভাপতি স্বামী হিরন্ময়ানন্দজি মহারাজ। দীর্ঘদিন ধরে রোগ-ভোগের পর ৯৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কলকাতার এক নামী বেসরকারি হাসপাতালে শুক্রবার গভীর রাতে তিনি প্রয়াত হন৷ ১৯৫৪ সালে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে যোগ দেন স্বামী হিরন্ময়ানন্দ।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ, হিমাচলে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নাড্ডার

    শেষ শ্রদ্ধা

    স্বামী হিরন্ময়ানন্দজি মহারাজ নিজেকে পুরোপুরি ভাবে নিযুক্ত করেছিলেন সেবামূলক কাজে। উত্তরবঙ্গে জনজাতি সমাজে উন্নয়ন ও শিক্ষা বিস্তারে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। সঙ্ঘের (Bharat Sevashram Sangha) প্রধান কার্যালয় কলকাতার বালিগঞ্জে। তিনি সঙ্ঘের সহ-সভাপতি পদে অভিষিক্ত হন ২০১২ সালে। দীর্ঘ দিন ধরেই সঙ্ঘ পরিচালিত সেবামূলক কাজে নিবেদিত ছিলেন । ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের তরফে দীর্ঘ সময় তিনি উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন। মিষ্টভাষী এবং সঙ্গীতানুরাগী স্বামী হিরন্ময়ানন্দজী মহারাজ প্রখ্যাত ছিলেন তাঁর বাগ্মিতা এবং রচনার জন্যও। তাঁর উদ্যোগে বহু জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শাখা আশ্রম এবং মন্দির।প্রয়াত সঙ্ঘ সহ সভাপতির মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বালিগঞ্জে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্যালয়ে রাখা ছিল। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 

    আরও পড়ুন: ‘সবাই একটাই বিয়ে করবে’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে কমিটি গড়ে বললেন চৌহান

    আচার্য শ্রীমত স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের(Bharat Sevashram Sangha)। ভারত সহ বহু দেশেই রয়েছে সঙ্ঘের শাখা। যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গায়ানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, কানাডা, ফিজি এবং বাংলাদেশ সহ প্রায় একশো আশ্রম রয়েছে । স্বামী হিরন্ময়ানন্দের অগণিত ভক্ত রয়েছে। এদিন তাঁরা সকাল থেকেই হিরন্ময়ানন্দকে শ্রদ্ধা জানান। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া ভক্তদের মধ্যেয 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক গড় ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সভা থেকেই শুভেন্দু বলেন, “ডিসেম্বরে ফের আসব। সঙ্গে হাতে করে লাড্ডু নিয়ে আসব।” তবে ঠিক কেন এই মিষ্টিমুখ তা পরিস্কার করেননি বিজেপি নেতা। 

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আমাদের এই সভাতেও ওরা বাধা দিতে চেয়েছিল। আমরা একটা ছোট প্যান্ডেলে সভা করেছি। এখানে মঞ্চ বাঁধা শুরু হওয়ার পর রাত ৯টার দিকে এখানকার এক কাউন্সিলরের বাহিনী এখানে ঢুকেছিল। ওদের আতঙ্কের নাম শুভেন্দু। তারা প্রথমে এসে যা করার করে দিল। পরে আরেক বাহিনী এল। তারা সব খুলে দিয়ে চলে গেল। আমাদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন। আমি বলেছি আপনারা কেউ ঝগড়াতে জড়াবেন না। সবার মাথায় হাত প্যান্ডেল কী করে হবে। আমি রাত ১১টায় ফোন করলাম হাওড়ার এক ডেকরেটরকে। উনি বললেন আমি বিজেপির লোক, অবশ্যই সাহায্য করব। আমি বলেছিলাম, মাইক-জেনারেটর সব নিয়ে গেছে। উনি এসে প্যান্ডেল করে দিয়েছেন। ২০০-র বেশি গাড়ি আটকানো হয়েছে। ২০ হাজার কর্মীকে আটকানো হয়েছে। ১০০ গাড়ি ভাঙা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সিকিউরিটি আছে। কিন্তু আপনাদের সুস্থ হয়ে ফিরতে হবে। কারণ, আগামী দিনে অনেক বড় লড়াই অপেক্ষা করছে।” 

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “২০১৪, ২০১৬ সাল পর্যন্ত এখানে ভোট হত। কিন্তু ২০১৮ সালে এখানে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। গত এক মাসে ১৯ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। তার পরে বলছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা।”

    আরও পড়ুন: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নিশানা দেগে বলেন (Suvendu Adhikari), “এখানকার সাংসদ সর্বভুক। কয়লা খান, বালি খান, গরু খান, স্কুলের ইউনিফর্ম খান, মদের বোতল খান। ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি দিয়ে সেখান থেকেও খেয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share