Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bye Election: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    Bye Election: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের (Bye Election) দিন ঘোষণা করল নির্বাচন করমিশন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের সুব্রত সাহা। এই বিধায়ককে মন্ত্রীত্বও দেয় রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সুব্রত বাবু। ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজ্য সরকারের এই মন্ত্রীর। সুব্রত সাহার মৃত্যুর জেরেই উপনির্বাচন হবে সাগরদিঘি বিধানসভায়।

    সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের টানা তিন বার জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন (Bye Election) সুব্রত সাহা। ২০১১ সালে তিনি ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার এক মাত্র তৃণমূল বিধায়ক। এর পর ২০১৬ এবং ২০২১ সালেও জিতেছিলেন। সাগরদিঘিতে সুব্রতের বিধানসভার নয়া শাসক বেছে নেওয়া হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ২ মার্চ প্রকাশিত হবে সেই উপনির্বাচনের ফল। সাগরদিঘি-সহ দেশের মোট ৬টি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্র, অরুণাচল প্রদেশের লুমলা বিধানসভা কেন্দ্র, ঝাড়খণ্ডের রামগড়, তামিলনাড়ুর ইরোদে পূর্ব, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘি, মহারাষ্ট্রের কেশব পীঠ ও চিচওয়াড়। 

    ৩১ জানুয়ারি সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Bye Election) নোটিফিকেশন প্রকাশ করার দিন ধার্য করেছে কমিশন। ৭ ফেব্রুয়ারি নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৮ ফেব্রুয়ারি নমিনেশনের স্ক্রুটিনি হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীপদ বাতিলের শেষ দিন। ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন এবং ২ মার্চ নির্বাচনের ফলপ্রকাশিত হবে।

    আরও পড়ুন: কম্বল কাণ্ডের তদন্ত চলবে কিন্তু গ্রেফতার করা যাবেনা জিতেন্দ্র-জায়াকে, জানাল হাইকোর্ট

    তৃণমূলের প্রার্থী অভিজিৎ?  

    এদিকে সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Bye Election) তৃণমূলের হয়ে লড়তে পারেন প্র‍য়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়৷ ১৬ জানুয়ারি সাগরদিঘির ধুমারপাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভামঞ্চে অভিজিতের উপস্থিতি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিল। বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম নেন ৷ সেই সময় তিনি নিজের আসন ছেড়ে হাতজোড় করে উঠে দাঁড়ান। এরপরেই সাগরদিঘির প্রার্থী হিসেবে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

     

  • Mohan Bhagwat: নেতাজি জন্ম-জয়ন্তী পালন! কালই রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: নেতাজি জন্ম-জয়ন্তী পালন! কালই রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। থাকবেন আগামী সোমবার পর্যন্ত। ছ’দিনের সফরের বেশিটা জুড়েই থাকবে সাংগঠনিক বৈঠক। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্টদের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করবেন ভাগবত। সবটাই একান্তে। রুদ্ধদ্বার। শেষ দিন শহিদ মিনারে প্রকাশ্য কর্মসূচি। এমনই হয়ে থাকে আরএসএস তথা ভাগবতের যে কোনও রাজ্য সফরের কর্মসূচিতে। অতীতে বাংলা তথা কলকাতাতেও হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সঙ্ঘের তরফে ভাগবতের সফরসূচি ঘোষণা করা হয়।

    নেতাজি জয়ন্তী পালন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মূল বক্তা ছিলেন সঙ্ঘের সাংগঠনিক পূর্ব ক্ষেত্রের (পূর্ব ভারত) সঙ্ঘচালক (সভাপতি) অজয়কুমার নন্দী। ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায়, কলকাতার প্রচার প্রমুখ শুভ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা।  রাজ্যের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব বলেন, ‘‘সঙ্ঘ তো বরাবরই পরিবর্তনের পক্ষে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যই প্রায় শতবর্ষ বয়স হতে চলা সঙ্ঘ এখনও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক এবং জীবন্ত। আমরা বিশ্বাস করি, আদর্শ অটুট রেখে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহিরাঙ্গে বদল আনতে হয়।’’ আগামী বৃহস্পতিবার শহরের কোনও হোটেলে বিশিষ্টদের নিয়ে একান্তে কথা বলবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।  তবে সেখানে কে কে আসবেন তা এখনও প্রকাশ করেনি সঙ্ঘ। তবে অনুমান করা হচ্ছে কলকাতার বাসিন্দা তিন বিখ্যাত ধ্রুপদী শিল্পী অজয় চক্রবর্তী, রাশিদ খান এবং তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার আমন্ত্রণ পেতে পারেন। কারণ, গত কয়েক বছরে ‘সম্পর্ক তৈরি করতে’ এঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে রাম মন্দিরের প্রথম তলার নির্মাণ!

    এ বার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে কলকাতায় থাকছেন ভাগবত। সেই কারণে ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে সঙ্ঘ ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ অনুষ্ঠান করবে। থাকবেন ভাগবত। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে অজয়কুমার বলেন, ‘‘নেতাজি জয়ন্তী পালন সঙ্ঘের কাছে নতুন কিছু নয়। স্বয়ংসেবকদের দৈনিক প্রাতঃস্মরণ মন্ত্রেই নেতাজি রয়েছেন। সঙ্ঘস্থান মানে শাখায় জন্মদিন অনুষ্ঠানও হয়।’’ ওই অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবতের থাকা প্রসঙ্গে অজয়কুমার জানান, ‘‘এটা ঘটনাচক্র। এক বছর আগে থেকেই সরসঙ্ঘচালক কবে, কোন রাজ্যে যাবেন সেটা ঠিক হয়ে থাকে। এটাই আমাদের ধারা। এমন একটা দিনে তাঁকে কলকাতায় পাওয়া যাচ্ছে দেখেই ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    Calcutta High Court: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের পরে রাজ্যের সমস্ত জেলায় যত সরকারি স্কুল আছে, তাতে যতজন নিয়োগ হয়েছেন, তাদের সকলের নিয়োগ পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির এই নির্দেশে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি করছেন ছেলে। এই মামলার শুনানিতেই আজ এমন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বসু। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে গত ছ’বছরে যত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের হিসাব রাজ্যের কাছে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পাশাপাশি বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, ওই হিসাব বা রিপোর্ট আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।

    মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক মামলায় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি

    বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির পুত্র অনিমেষের বিরুদ্ধে এক পাস করা শিক্ষকের নিয়োগপত্র জাল করে প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গত তিন বছর ধরে তিনি বেতনও পেয়েছেন। অথচ জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নিয়োগের কোনও নথিই ছিল না! ঘটনাটি জানার পরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “একজন ভুয়ো শিক্ষক তিন বছর ধরে চাকরি করছেন, আর সেই জেলার ডিআই তা জানেন না? কীভাবে সম্ভব?” নিয়োগপত্রে নাম না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ‘শিক্ষক’ এতদিন বেতন পেলেন?  এরপরই গোটা ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছেন বিচারপতি বসু। বিচারপতি আরও বলেন, “তবে তো এমন অনেক জালিয়াতিই হয়ে থাকতে পারে, যার এখনও খবরই নেই রাজ্যের কাছে!” তার পরেই এমন নির্দেশ দিলেন ডিআইয়ের।

    আরও পড়ুন: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের

    গত ছ’বছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালের পর থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে স্কুলে নিয়োগের একটিই পরীক্ষা হয়েছে। তবে বেশ কয়েক দফায় নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর। এদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি— ১১,৪২৫ জন। এ ছাড়াও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক, ৪৪৮৭ জন গ্রুপ-ডি কর্মী এবং ২,০৩৭ জন গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বিচারপতি বসুর নির্দেশে এ বার এই সমস্ত চাকরিই নিয়োগপত্র পেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআইরা।

  • Mithun Chakraborty: ‘‘নাম তুফান, যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে’’, নিজস্ব স্টাইলে বাসন্তী মাতালেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: ‘‘নাম তুফান, যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে’’, নিজস্ব স্টাইলে বাসন্তী মাতালেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি লিডার নন, সাধারণের মতই ক্যাডার। এমনটাই বলতে শোনা গেল ‘মহাগুরু’কে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির এই ভোট প্রচারের অন্যতম প্রধান সৈনিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty)। জেলায় জেলায় জনসংযোগে মেতেছেন তিনি। ফলে গতকাল, বুধবার বাসন্তীতে দেখা গেল অভিনেতাকে। আর সেখানে গিয়ে বক্তৃতা নয়, ডায়লগেই জনগণের মন জয় করলেন মহাগুরু। তিনি বলেন, “আমি লিডার নই, আপনাদের মতোই ক্যাডার। আমাকে বক্তৃতা দিতে বললে পারব না। আমি বক্তৃতা দিই না।” এর পাশাপাশি তিনি আজ এক বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি জানালেন, তাঁর সঙ্গে ২১ জনের বেশি তৃণমূল নেতা ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন। আর এর পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    ভোট প্রচারে ডায়লগেই বাজিমাত ‘মহাগুরু’-র

    রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে এখনও এর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি এর প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করেছে। আবার লোকসভা নির্বাচনেরও দেরী আছে, তার আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ভোট প্রচারে ব্যস্ত বিজেপি (BJP)। ফলে কাল তিনি পৌঁছে যায় বাসন্তীতে। প্রথমে রোড শো করেন ও পরে সভাতেও অংশ নেন। বাসন্তীর সোনাখালির সভায় হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও।

    তার পর এক দলীয় কর্মীর বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন। এর পর তিনি সমাবেশে বলতে উঠে প্রথমেই জানিয়ে দেন, “আমি লিডার নই, আপনাদের মতোই ক্যাডার। আমাকে বক্তৃতা দিতে বললে পারব না। আমি বক্তৃতা দিই না।” কিন্তু সেখানে উপস্থিত মানুষজন মিঠুনের ডায়লগ শুনতে চান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন “আমি একটি ডায়লগই বলব।” বক্তৃতার শেষে তিনি একথা বলেই বলেন, “নাম তুফান। বছরে এক আধবার আসি। যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে। আর যখন যাই তখন সবাই তার অস্তিত্ব খুঁজে বেরায়।” এর পর জনতার হাততালিতে মুখরিত হয় জনসভা।

    আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    আবার তিনি সিএএ-এর প্রসঙ্গ এনেও বলেন, “আপনার কাছে আসল আধারকার্ড, আসল ভোটার পরিচয়পত্র থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। কেউ আপানাকে এ দেশ থেকে বের করতে পারবে না।” মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, “গুজরাট নির্বাচনে মুসলমান ভাইবোনরা ভোট না দিলে এত ভোটে জিতে আসত পারত। উত্তরপ্রদেশেও মুসলমানরা ভোট না দিলে এত আসন পাওয়া যেত।”

    মিঠুনের বিস্ফোরক দাবি

    তৃণমূলের ২১ জন বিধায়কই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই দাবি আজকে নয়, বহুদিন আগে থেকেই এই দাবি করে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন আবারও একসুর শোনা গেল মিঠুনের গলায়। সুকান্ত মজুমদার আবার একবার দাবি করেছিলেন, “মিঠুনদার সঙ্গে ২১ জন যোগাযোগ রাখলে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ৪১ জন যোগাযোগ রাখছেন।” মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, “তৃণমূলে অনেকে রয়েছেন, যাঁরা সবাই সমান নন, দমবন্ধ অবস্থা রয়েছেন। আমাদের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে ২১ জন আমরা সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। আমি প্রোটোকল ছাড়া কাজ করি না। যা বলার বলে দিয়েছি। যে কোনও সময়ে, যা কিছু হতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পাশ করা এক শিক্ষকের সুপারিশপত্র জাল (Recruitment Scam) করে সেই স্কুলেই চাকরি করছিলেন ছেলে। এক আধ বছর নয়, টানা তিন বছর। শেষমেশ ফাঁস হল কেলেঙ্কারির পর্দা। বুধবার অনিমেষ তিওয়ারি নামের ওই শিক্ষকের স্কুলে ঢোকা ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে শুনানি ছিল মামলাটির। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিআইডির ডিআইজিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

    কেলেঙ্কারি…

    বছর তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির এক নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের ছেলে অনিমেষ। এতে সন্দেহ হয়ে অনেকেরই। দায়ের হয় মামলা। তথ্য জানার অধিকার আইনেও অনিমেষের নিয়োগ নিয়ে তথ্য জানতে চান অনেকে। তার পরেই জানা যায়, অনিমেষ ওই স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করলেও, জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নামে কোনও নিয়োগপত্রই নেই। ভূগোলের শিক্ষক অনিমেষ ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি (Recruitment Scam) বলে অভিযোগ। এদিন আদালতে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, মেধা তালিকায় নাম ছিল না অনিমেষের, কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। আসলে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি পর্ষদের। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে অন্য এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র জাল করে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    জানা গিয়েছে, প্রত্যেক নিয়োগপত্রের একটি মেমো নম্বর থাকে। অনিমেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই মেমো নম্বর এক রেখে নিজের নাম বদলে দেন নিয়োগপত্রে (Recruitment Scam)। সেই নকল মেমো নম্বরের নিয়োগপত্রেই ভূগোল শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান গোথা এলাকায় স্কুলে। আরটিআইয়ের মাধ্যমে স্কুলের কাছে অনিমেষের ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, অনিমেষ কর্মশিক্ষার শিক্ষক। অভিযোগ শুনে বিচারপতি বসু বলেন, দেখে অবাক হচ্ছি। এমন আর কত হয়েছে? হেড মাস্টার জানেন না, যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি তথ্য বিকৃত করছেন কি না? তাহলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    Jhalda: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা (Jhalda) পুরসভা নিয়ে নাটকে নয়া মোড়। আদালতে মুখ পুড়ল রাজ্যের শাসক দলের। ঝালদা পুরসভার নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পরে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করলে, তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির ভিত্তিতে গতকাল পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।

    কাউন্সিলর (Jhalda) পদ থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আদালত। বিকেলে সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ সামলাবেন। সঙ্গে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

    গত ১৬ জানুয়ারি ১২টি আসন বিশিষ্ট ঝালদা (Jhalda) পুরসভার নির্বাচন হয়। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। তার পরদিনই এক নির্দেশিকায় মহকুমাশাসক শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন। প্রশাসনের যুক্তি, নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়যুক্ত হলেও পরে নিজেকে নির্দল ঘোষণা করেছেন তিনি। যা দলত্যাগবিরোধী আইন বিরোধী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি।

    এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদা (Jhalda) পুরসভা গেল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান হওয়ার লোভে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন শীলা, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: প্রবল তুষারপাত, ফের ভূমিধসের আশঙ্কা! আস্তে আস্তে বসছে জোশীমঠ    

    এর আগে এই পুরসভায় (Jhalda) নির্বাচনে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল করেছিল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আস্থাভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

    তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ঝালদাকাণ্ডে (Jhalda) এবার দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রশ্নে প্রশাসনকে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “বিধানসভায় বিজেপি সেজে জনসমক্ষে তৃণমূল বিধায়ক হয়ে ঘুরছেন গিরগিটিরা। এই বিধায়করা দিদির সুরক্ষা কবচের জোরে দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে সুরক্ষিত।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Teacher Transfer: শুধু শহর বা শহরতলি নয়, যেখানে প্রয়োজন সেখানেই যেতে হবে শিক্ষকদের! অভিমত হাইকোর্টের

    Teacher Transfer: শুধু শহর বা শহরতলি নয়, যেখানে প্রয়োজন সেখানেই যেতে হবে শিক্ষকদের! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘স্কুলে পড়ুয়া নেই। শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন আর আসছেন। এটা তো চলতে পারে না। কলকাতার শূন্য-ছাত্রের স্কুলের শিক্ষককে হাওড়ার ছাত্র-পূর্ণ স্কুলে যেতেই হবে। এ বার থেকে ওই আইন প্রয়োগ করা হোক।’’ শিক্ষক বদলি মামলায় শুক্রবার মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    কী বললেন বিচারপতি

    কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বদলি চেয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের আবেদনের হিড়িক দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই বিষয়ে সরকারকে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি প্রসঙ্গে মতামতও জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এবার শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রয়োজন পড়লে যে কোনও জেলার যে কোনও স্কুলেই যে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বদলি করা হতে পারে, আদালতের বক্তব্যে তা কার্যত স্পষ্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এক শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলার শুনানি চলাকালীন, তিনি মন্তব্য করেন, “কোনও জঙ্গলের আইন চলতে পারে না। যত শিক্ষক বদলির মামলা আছে, এবার থেকে নির্দিষ্ট আইন প্রয়োগ করেই হবে। যে যাঁর খুশি মতো কাজ করবেন, এটা সম্ভব নয়।” তাঁর নির্দেশ, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে প্রশাসনের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা মানতে হবে।

    আরও পড়ুন: ১১ বছর পর কার্টুনকাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি! এটা গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকেরই জয়, অভিমত অম্বিকেশ মহাপাত্রর

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু শুক্রবার তাঁর এজলাসে মামলা চলাকালীন এ নিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য চান। জানতে চান, কেন এমন কড়া গাইডলাইন হবে না, যার মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোথায় বদলি করা হবে। এদিন এজি আদালতে জানান, শিক্ষাদফতর চাইলে তা পারে। এরপরই আদালত জানায়, শিক্ষা দফতর নির্দেশ দেওয়ার সাতদিনের মধ্যে তা পালন করতে হবে। শিক্ষক যদি না পালন করেন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে শিক্ষা দফতর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে অমিত আগরওয়াল নামক এক ব্যবসায়ী এবং কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, নগদ টাকার বিনিময়ে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্তরা। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, “বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি কলকাতা এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। কলকাতার একজন ব্যবসায়ী, কলকাতা পুলিশের অজ্ঞাত পরিচয় আধিকারিক এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    কী জানা গেল? 

    সিবিআইয়ের একজন প্রবীণ আধিকারিক জানান, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়াল অর্থ তছরুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ব্যক্তি রাঁচি হাই কোর্টের আইনজীবী রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা (CBI) দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতবছর ঝাড়খণ্ডের ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে সেই আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত আইনজীবীর নাম রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একটি জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহারের জন্য সেই আইনজীবী এক ব্যবসায়ীর থেকে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই আইনজীবী ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে মনরেগা সংক্রান্ত মামলা লড়ছেন। এই মনরেগা মামলাতেই ইডি প্রাক্তন খনি সচিব পুজা সিংহলকে গ্রেফতার করেছিল। এদিকে মনরেগা মামলা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে চলা এক মামলাও লড়ছেন ওই আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির   

    এই পরিস্থিতিতে রাজীবকে কলকাতার একটি শপিংমল থেকে গ্রেফতার (CBI) করা হয়েছিল। ধৃত ব্যক্তির থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বলেও চার্জশিটে জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অভিযোগ, “অভিযুক্ত আইনজীবী কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাঁচি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিনি প্রথমে ব্যবসায়ীর কাছে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। আলোচনার পরে তিনি তাঁর দাবির পরিমাণ কমিয়ে কমিয়ে ৪ কোটি করেন। পরে ১ কোটি টাকায় রফা হয় মামলাটি। আরও অভিযোগ, এই এক কোটি টাকা দুই কিস্তিতে নেওয়ার কথা ছিল আইনজীবীর। সেই কিস্তি নিতেই কলকাতায় এসেছিলেন রাজীব।  

    সিবিআই- এর (CBI) অভিযোগ, ধৃত অমিত আগরওয়াল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বেআইনি টাকা পাচার করত। হেমন্তের বিরুদ্ধে রাজীব যাতে মামলা লড়তে না পারে, তাই তাঁকে মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়। আর মিথ্যে মামলা সাজাতে অমিতকে সাহায্য করেন কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক। আর তার জেরেই কলকাতা পুলিশের এই আধিকারিকদের এবং অমিত আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু!  তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু! তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক শাসকদলের নেতার নাম জড়িয়ে পড়ছে। তাপস মণ্ডলের সূত্র ধরে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম উঠে আসার পর আজ সকাল সকাল তাঁর জোড়া ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর পর জানা গিয়েছে, তাপস ও কুন্তলের সূত্র ধরেই এই দুর্নীতি মামলায় বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উঠে এসেছে। ফলে শুক্রবার সকালে মোট ৪টি গাড়ি করে ১২ জন ইডি অফিসার আসেন বলাগড়ে। তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। চলছে তল্লাশি। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের এই নেতাও।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে আসছে নতুন নতুন নাম…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল প্রথমে কুন্তল ঘোষের নাম নেন। এর পর কুন্তল ঘোষকে জেরা করার পরেই শান্তনু ব্যানার্জির নামও উঠে আসে এই দুর্নীতি কাণ্ডে। তবে জানা গিয়েছে, শান্তনুর নামও তাপসই দিয়েছেন তদন্তকারীদের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের ওই নেতাও।

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে ইডির হানা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ শুক্রবার সকাল থেকে একযোগে একাধিক জায়গাতে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। একদিকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে। অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূলের প্রাক্তন যুব জেলা সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও এদিন সকালে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। দুই জায়গাতেই চলছে তল্লাশি।

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস এবং কুন্তলকে জেরা করে শান্তনুর নাম পান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, হুগলির যুবনেতা কুন্তলের খুবই ‘ঘনিষ্ঠ’ বলাগড়ের নেতা শান্তনু। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরেই আজ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আজ সকালে বাড়িতে শান্তনু বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না বলেই তদন্তকারীদের জানান তৃণমূল নেতার দায়িত্বে থাকা দেহরক্ষীরা। তবে ইডির পরিচয় জানতেই বাড়ির সমস্ত চাবি তাঁদের হাতে নিরাপত্তারক্ষীরা তুলে দেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর কী কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • JP Nadda: মায়াপুরে ইস্কনের মন্দিরে পুজো দিয়ে নদিয়ায় সভা! বাংলায়  প্রচারে জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: মায়াপুরে ইস্কনের মন্দিরে পুজো দিয়ে নদিয়ায় সভা! বাংলায় প্রচারে জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় সভাপতি পদে তাঁর উপরই আস্থা দেখিয়েছে বিজেপি। সমর্থন পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের। সামনে বেশ কঠিন পরীক্ষা। রয়েছে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তারপর লোকসভা ভোট। সময় নষ্ট না করে তাই নতুন উদ্যমে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিলেন জেপি নাড্ডা। তাঁর পাখির চোখ বাংলা। বুধবার রাতেই তিনি কলকাতায় পৌঁছন। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে সর্বভারতীয় সভাপতিকে বাঙালি রীতি মেনে সংবর্ধনা দেওয়া হয় নিউ টাউনের একটি হোটেলে। সেখান থেকে তিনি হেলিকপ্টারে মায়াপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। ইসকন মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির। তারপর শুরু হবে বাংলার মাটিতে নাড্ডার রাজনৈতিক কর্মসূচি। সন্ধ্যায় তিনি কলকাতায় ফিরে আসবেন। তারপর ফিরে যাবেন দিল্লিতে।

    জনসংযোগ যাত্রা

    মায়াপুর ইস্কনের (ISCON) মন্দির দর্শনের পর সেখানে প্রসাদ খাওয়ার কথা রয়েছে নাড্ডার। এরপর এখান থেকে বেথুয়াডহরিতে যাবেন জেপি নাড্ডা। সেখানে তিনি জনসংযোগ যাত্রা করবেন। স্থানীয় একটি মাঠে সভা করারও কথা রয়েছে তাঁর। যেখানে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার কর্মকর্তারা ওই সভায় যোগ দেবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্য় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, “কৃষ্ণনগর লোকসভা সফর করবেন। বেথুয়াডহরি রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে জনসভা হবে। শুধুমাত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের  কার্যকর্তারা এই সভায় উপস্থিত থাকবেন।”

    আরও পড়ুন: বিদেশে তথ্য পাচার! বাজেটের ঠিক আগে গ্রেফতার অর্থমন্ত্রকের অস্থায়ী কর্মী

    ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মাটিতে বিজেপি পায়ের তলা জমি শক্ত করতে চায়। কারণ, গত লোকসভা নির্বাচনে এখান থেকে ১৮টি সিট জিতেছিল বিজেপি। সেই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে তোলার উপরই জোর দিচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারই প্রস্তুতি হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন জেপি নাড্ডা। কয়েকদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুখেও শোনা গিয়েছিল বাংলার নাম। যা থেকেই স্পষ্ট, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share