Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Didir Doot: দেগঙ্গায় ‘দিদির দূত’ সুজিত বসু! মন্ত্রীর সামনেই মারামারি কর্মীদের, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

    Didir Doot: দেগঙ্গায় ‘দিদির দূত’ সুজিত বসু! মন্ত্রীর সামনেই মারামারি কর্মীদের, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে মন্ত্রীর সামনেই দেখা গেল এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দত্তপুকুরের পর দেগঙ্গা। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাকলায় ‘দিদির দূত’ হয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সেখানেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতারা। আর তার পরই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, মারামারি। ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন পঞ্চায়েত সদস্য বাগবুল ইসলাম। এই ঘটনা থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলেও ‘দিদির দূত’ সুজিত  গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, খাওয়ার জায়গা নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিটে গিয়েছে।

    ‘দিদির দূত’ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু

    আজ বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনায় দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথরঘাটা এলাকায় পৌঁছন ‘দিদির দূত’ সুজিত। সঙ্গে ছিলেন দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, দলীয় কর্মী-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। সকালে চাকলার মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকার একটি মসজিদেও যান তিনি। এরপর দলীয় কর্মসূচি অনুযায়ী, দুপুরে এলাকার এক তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে দমকলমন্ত্রী এবং বিধায়কের খাওয়ার কথা ছিল। তবে মন্ত্রী-বিধায়কের জন্য তৃণমূলের আর এক কর্মীর বাড়িতেও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, তা নিয়েই ঝামেলা শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। মন্ত্রী-বিধায়কেরা কোথায় খাবেন, তা নিয়ে সুজিতদের সামনেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুই গোষ্ঠীর লোকজন। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। মন্ত্রীর সামনেই ঝামেলা বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশবাহিনী। পরে পরিস্থিতি সামলে মন্ত্রী দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়েই দেখা করেন বলে জানা গিয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উড়িয়ে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু দাবি করেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    দিদির দূত কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ

    দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হিসেবে গিয়ে প্রায় রোজই গ্রামবাসীদের হাজারো প্রশ্ন আর ক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা। দেগঙ্গার ঘটনাই প্রথম নয়, এর আগে গত শনিবার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের সাইবনা এলাকায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দা সাগর বিশ্বাসের গালে সপাটে চড় কষিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সমর্থক শিবম রায়। পরে ওই ঘটনায় শিবমের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতিবাদ-বিক্ষোভও হয়েছে। আবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচিতে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

    বাদুরিয়ায় বিক্ষোভ

    উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়াতেও একই ঘটনা। দিদির দূত কর্মসূচি ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ। দলের ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতিদের পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে যোগ দিতে হল তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। শুধু তাই নয়, সাংসদের সামনেই বচসায় জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বাইরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে, দরজা বন্ধ করে বৈঠক করতে হয় তৃণমূল সাংসদকে।

    বাগদায় বিক্ষোভ

    বাগদায় দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে দলবদল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বাগদার বাঁশঘাটায় লোকেদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এক বাসিন্দা তাঁকে বলেন, ‘তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, ভোটে জিতে আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। আপনাকে কী অভিযোগ করব?’

    কোচবিহারে বিক্ষোভ

    এখানেও রাস্তা সংস্কার থেকে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কোচবিহারের সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়াকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমরা রাস্তা পাকা চাই আর ড্রেন পাকা চাই। তাহলে ভোট পাবেন।’

    বীরভূমে বিক্ষোভ

    অনুব্রতহীন বীরভূমেও দিদির দূত কর্মসূচিতে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদ। এদিন ময়ূরেশ্বরের নন্দীগ্রামে পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন বিধায়ক অভিজিৎ রায়। জল না পেলে ভোট দেব না বলে তৃণমূল বিধায়ককে হুঁশিয়ারি দেন গ্রামবাসীরা।

     

  • Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকায় জেলা সফর করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার তাঁর অভিযোগ, মিড-ডে মিলের জন্য কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করে, সেই টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপলক্ষে বারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল ও স্যানিটাইজার, মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    ট্যুইট-বাণ…

    ফের একবার ট্যুইট-বাণে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিড-ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা সেই সফরে খরচ করা হয়েছে। এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্টের টাকাও নষ্ট করা হয়েছে ওই সফরে।

    অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক ভিজিটের (যা আসলে রাজনৈতিক সফর) নামে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে, তা মিড-ডে মিলের, এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশন, সিভিল ডিফেন্স মায় এমপি ল্যাডের।

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে যে রাজনৈতিক ইভেন্টগুলো হচ্ছে, তাতে সঙ্গত করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরা যে খয়রাতির দ্রব্য হাতে তুলে দিচ্ছেন, তা হচ্ছে মিড-ডে মিলের টাকায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, এটা অর্থনৈতিক অপরাধ, তদন্তের প্রয়োজন।

    শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দু দিনের ওই সফরে খরচ হয়েছে ১.৩৫ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার ওপরতলা থেকে বিডিও পর্যন্ত আধিকারিকরা অনৈতিকভাবে ফান্ড ডাইভার্ট করে চলেছেন। মিড-ডে মিলের টাকা চুরি কল্পনাও করা যাবে না। সেই কারণেই মিড-ডে মিলে মিলছে সাপ, টিকটিকি।

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দুর এই ট্যুইট-বাণ তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CAA: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    CAA: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ (CAA) লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন। ভারতবর্ষের (India) নাগরিক হলে কারওর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়ায়। যিনি এই কথাগুলি বললেন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সভায় আমজনতাকে ওই আশ্বাস দেন সুকান্ত। বাসন্তীর ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মিঠুনও। ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়কও বলেন, সঠিক ভোটার কার্ড ও আধারকার্ড যদি থাকে, আপনাকে কেউ তাড়াবে না। নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। তিনিও বলেন, ভুল প্রচার হচ্ছে।

    সিএএ…

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সিএএ (CAA) নিয়ে আম আদমির ভয় কাটাতে উদ্যোগী হল গেরুয়া শিবির। সেই কারণে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বেছে নেন বাসন্তীর সভাকেই। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস হল, যাঁরা ভারতের নাগরিক, তাঁদের কেউ তাড়াবে না। সে তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন।ওই সভায় সুকান্ত বলেন, সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। সহ নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন। ভারতবর্ষের নাগরিক হলে কারওর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়ায়। বিজেপির বাংলার সভাপতি হিসেবে আমি কথা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই যে ভারতবাসীর প্রকৃত বন্ধু, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন সুকান্ত। বলেন, লকডাউনের সময় বাড়িতে রেশন পৌঁছনো থেকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা, সব কিছুই করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই নরেন্দ্র মোদিই ভারতবাসীর আসল বন্ধু।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও সুকান্ত বলেন, সিএএ (CAA) নিয়ে এখনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ভারতবর্ষের কোনও সম্প্রদায়ের মানুষেরই দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। সিএএ লাগু হলেও, যাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক, তাঁরা ভারতবর্ষেই থাকবেন। কাউকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা হবে না। এদিনের সভায় ‘মহাগুরু’ মিঠুনও বলেন, আপনাদের কাছে আসল আধারকার্ড, আসল ভোটার পরিচয়পত্র থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। কেউ আপনাকে এ দেশ থেকে বের করতে পারবে না। মুসলমানেরাও যে বিজেপির পাশে রয়েছেন, এদিন সেকথা স্মরণ করিয়ে দেন মিঠুন। তিনি বলেন, গুজরাট নির্বাচনে মুসলমান ভাইবোনেরা ভোট না দিলে এত ভোটে জিততে পারত না বিজেপি। উত্তর প্রদেশেও মুসলমানেরা ভোট না দিলে এত আসন পাওয়া যেত না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। বুধবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাপস মণ্ডলের প্রতিনিধিকেও। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুন্তল নিজাম প্যালেসে পৌঁছননি। 

    কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে একাধিক বার তলব করা হয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে। তার মধ্যেই একবার নিজাম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তাপস দাবি করেন, তিনি যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি তাপসের। এছাড়া, শুধু কুন্তলই নন, এর মধ্যে আরও ছোট বড় নেতা জড়িত রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তাপস। হুগলির যুব তৃণমূল নেতা তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য ও চাকরি পাইয়ে দিতে এই টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তাপস। সিবিআইয়েরও অনুমান কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা লেনদেন হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের 

    অভিষেকের ঘনিষ্ঠ কুন্তল

    সূত্রের খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল এর আগে ২ বার সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে একাধিক ছবিতে এবং কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষের সঙ্গেও দেখা গিয়েছে কুন্তলকে। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এবার কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতির পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা একাধিক রহস্যের উন্মোচন করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে চাপে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা জেলে রয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক প্রাক্তন আধিকারিক, এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। এবার কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • JP Nadda: দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গ সফরে নাড্ডা, জেনে নিন কর্মসূচি   

    JP Nadda: দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গ সফরে নাড্ডা, জেনে নিন কর্মসূচি   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নেতৃত্বেই আস্থা রেখেছেন  অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর পারফরমেন্সে খুশি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। সেই কারণে মঙ্গলবারই সভাপতি পদে মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে জেপি নাড্ডার (JP Nadda)। দ্বিতীয়বারের জন্য দলের দায়িত্ব পেয়েই বঙ্গ সফরে আসছেন বাংলার জামাই জেপি নাড্ডা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত বিজেপির বঙ্গ বাহিনী।

    কর্মসূচি…

    বুধবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নামছেন জেপি নাড্ডা। তাঁকে স্বাগত জানাতে যাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সেখান থেকে তিনি যাবেন নিউটাউনের একটি হোটেলে। বৃহস্পতিবার তাঁকে সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি। পরে নাড্ডা (JP Nadda) যাবেন নদিয়ায়। ইসকন মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। এদিন বেলা ১২টায় বেথুয়াডহরি জুনিয়র ইস্টবেঙ্গল ময়দানে প্রকাশ্য জনসভায় অংশ নেবেন তিনি। সেই সভায় বঙ্গ বিজেপির সমস্ত পদাধিকারীকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, নাকাশিপাড়ায়ই কোথাও দলের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন নাড্ডা। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের অনুমোদন সাপেক্ষে সেই বৈঠক হতে পারে নদিয়ারই কোনও দলীয় দফতরে। সেখানেই সংগঠন ও রণকৌশল নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়ার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    প্রথমে ঠিক ছিল, ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এ রাজ্যে দুটি সভা করবেন নাড্ডা (JP Nadda)। একটি সভা হওয়ার কথা ছিল হুগলির আরামবাগে, অন্যটি কৃষ্ণনগর লোকসভার কোনও একটি জায়গায়। আবহাওয়ার কারণে সেই কর্মসূচি কেটেছেঁটে করা হয়েছে একটি। পরে জানা যায়, কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত নাকাশিপাড়ায়ই সভা করবেন নাড্ডা। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। মধ্য এপ্রিলে হতে পারে এই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। নানা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল। গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য হল, বুথ স্তরে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি। এটা করতে পারলে একদিকে যেমন লাভ হবে পঞ্চায়েত ভোটে, তেমনি সারা হয়ে থাকবে লোকসভা নির্বাচনের সলতে পাকানোর কাজটিও। এদিনের সভায় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে সেই বার্তাই নাড্ডা দিতে পারেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এদিকে, বুধবারই কলকাতায় আসার কথা সুনীল বনশলের। আসছেন মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়ারাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Asansol Stampede Case: কম্বল কাণ্ডের তদন্ত চলবে কিন্তু গ্রেফতার করা যাবেনা জিতেন্দ্র-জায়াকে, জানাল হাইকোর্ট

    Asansol Stampede Case: কম্বল কাণ্ডের তদন্ত চলবে কিন্তু গ্রেফতার করা যাবেনা জিতেন্দ্র-জায়াকে, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই আসানসোলে (Asansol Stampede Case) বিজেপির এক সভায় কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এই ঘটনায় আয়োজনে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। তদন্ত চালিয়ে গেলেও, এখনই গ্রেফতার করা যাবে না, জিতেন্দ্র-জায়া চৈতালি তিওয়ারি। আজ মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের 

    বুধবার আসানসোলে (Asansol Stampede Case) পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানায়, চৈতালি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। চৈতালিকে গ্রেফতার করার আর্জি জানায় পুলিশ। এর জবাবে পুলিশকে বিচারপতি মান্থা বলেন, “অভিযুক্ত তো অসত্য তথ্যপ্রমাণ দিতেই পারেন। পুলিশেরই তো কাজ সত্যি ঘটনা কী এবং আসল তথ্য খুঁজে বের করা।” তবে এর পরে চৈতালির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেন পুলিশকে। হাইকোর্টের তরফে এদিন চৈতালির রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগেই চৈতালিকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তার মেয়াদ বুধবার আরও তিন সপ্তাহ বাড়িয়ে দেন বিচারপতি মান্থা। যার ফলে আপাতত তদন্তকারীরা এই মামলায় গ্রেফতার করতে পারবেন না চৈতালিকে। 

    কী ঘটেছিল? 

    প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষে আসানসোলে (Asansol Stampede Case) একটি কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ঘটনার জেরে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩ জন। ঘটনাটি যেখানে ঘটে, সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি। চৈতালি আসানসোল পুরসংস্থার একজন কাউন্সিলর। ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটে শুভেন্দু সভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর। অভিযোগ, শুভেন্দু সভা ছাড়ার পরই কম্বল নেওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি পরে যায় ওই অনুষ্ঠানে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: বাঙালি খাবারেই মজেছে মন! বঙ্গ সফরের প্রথম দিন হাওড়া-হুগলিতে বৈঠক ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: বাঙালি খাবারেই মজেছে মন! বঙ্গ সফরের প্রথম দিন হাওড়া-হুগলিতে বৈঠক ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এসে বাঙালি খাবারেই মন মজেছে মোহন ভাগবতের। শীতের দিনে বাংলার নলেন গুড়ের জলভরা সন্দেশ খুবই ভাল লেগেছে সংঘপ্রধানের। বুধবারই বাংলায় এসেছেন তিনি। এদিন দুপুরে চুঁচুড়ায় বিজেপি নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। কাপাসডাঙায় রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক তথা আরএসএস কর্মী  দীপাঞ্জন গুহর মাকে দেখতে যান মোহন ভাগবত। দীপাঞ্জন একুশের বিধানসভা ভোটে চন্দননগর বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। দীপাঞ্জনের বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। 

    জলভরা সন্দেশ ভাল লাগে

    সংঘপ্রধানের খাবার আগে তা পরীক্ষা করেন ফুড সেফটি অফিসাররা। এটাই রীতি। এই সূত্র থেকেই জানা যায়, মোহন ভাগবতের মেনুতে ছিল ভাত, ঘি, ডাল, পনির, ফুলকপি, গুড়, স্যালাড। শেষে পাতা ছিল চন্দননগরের জলভরা সন্দেশ। তাঁর জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। প্রায় দেড় ঘণ্টার কাছাকাছি সময় দীপাঞ্জনের বাড়িতে ছিলেন আরএসএস প্রধান। এরপর এদিন চুঁচুড়া চকবাজারে বন্দেমাতরম ভবনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন হুগলির বৈঠকে আরএসএসের বঙ্গীয় শাখার বেশ কিছু জেলার প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন।  সংঘের হাওড়া গ্রামীণ, তারকেশ্বর ও হুগলির সাংগঠনিক ক্ষেত্রের পদাধিকারীদের সঙ্গে সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা হয় ভাগবতের। বৈঠকের পর কলকাতায় কেশব ভবনে ফেরেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত থেকে জানানো হয়েছে এখন কলকাতায় থাকবেন সরসংঘচালক। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিয়ে গঠিত আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত। সংঘের নিয়ম অনুযায়ী সরসংঘচালক বছরে দু’বার প্রান্ত প্রবাস করেন। সে কারণেই এখন কলকাতায় থাকবেন তিনি। ছ’দিনের রাজ্য সফরের মধ্যে একদিকে যেমন দফায়-দফায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তেমনই শহিদ মিনারে জনসভাও করবেন মোহন ভাগবত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর জন্মদিনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় রাজ্য BJP নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। শহিদ মিনারে জনসভা করার আগে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও মোহন ভাগবতের দেখা করার কথা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Didir Doot: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা  

    Didir Doot: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে দিদির দূতরা (Didir Doot)! যত দিন যাচ্ছে, ততই দীর্ঘ হচ্ছে এই তালিকা। বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) তালডাংরা বিধানসভার সিমলাপালের মাচাতোড়ায় দিদির দূত হয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন দলবদলু জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূলের (TMC) সহ সভাপতিকে হাতের কাছে পেয়ে দলেরই একটি গোষ্ঠী ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের দাবি, পুরানো তৃণমূল কর্মীরা দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি না বদলালে তৃণমূল ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।

    ক্ষোভের আগুন…

    এদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের দত্তপুকুর জয়পুল এলাকায় দিদির দূত হিসেবে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ নানা দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। কেবল এদিনই নয়, বস্তুত দিদির দূত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে প্রথম থেকেই পদে পদে হোঁচট খেতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন সিং, রামপুরহাটের মাড়গ্রামে শতাব্দী রায়, বীরভূমের বালিজুড়ির কুখুটিয়া গ্রামে দেবাংশু ভট্টাচার্য, বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, মুর্শিদাবাদে সাংসদ আবু তাহের, ময়ূরেশ্বরে সাংসদ অসিত মাল ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়, গলসিতে বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, পটাশপুরে বিধায়ক জুন মাল্য। বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি বাতিল করেন কুণাল ঘোষ। নদিয়ায় গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েন খোদ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    আরও পড়ুুন: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    কোচবিহারের দিনহাটায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং বুলুচিক বরাইক, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝি, ইলামবাজারে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, খড়িবাড়ি ব্লকের বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া, খড়দহে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও। তবে তাঁকে অপ্রস্তুত হতে হয় সম্পূর্ণ অন্য কারণে। অন্যদের কাছে যেমন নানা অভাব-অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের একাংশের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ জানাতে দেখা গিয়েছিল স্থানীয়দের, বাগদায় দলবদলু বিশ্বজিৎকে জিজ্ঞাসা করা হয়, দল বদল করলেন কেন? দৃশ্যতই অপ্রস্তুতে পড়ে যান বিশ্বজিৎ। প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিটে জিতে বাগদার বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। পরে দল বদলে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। এদিন তারই কৈফিয়ত চাইলেন বাগদাবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ! ৬ দিনের সফরে রাজ্যে এলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ! ৬ দিনের সফরে রাজ্যে এলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে পা রাখলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বুধবার কাকভোরে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছান তিনি। মোহন ভাগবতের জন্য হাওড়া স্টেশনে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিন ভোরে ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ ১৮০০৬ সমলেশ্বরি এক্সপ্রেসে RSS প্রধান হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে নামেন। সেখান থেকে তিনি কলকাতার (Kolkata) উদ্দেশ্যে রওনা হন।

    মোহন ভাগবতের কর্মসূচি

    দলীয় সূত্রে খবর, কলকাতায় আর এসএস-এর সাংগঠনিক বৈঠক আছে, আর এই কর্মসূচিতে অংশ নিতেই মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) কলকাতা (Kolkata) পৌঁছেছেন।  ৬ দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন তিনি। এই সফরে মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিশিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। মোহন ভাগবত পৌছনোর সময়, হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মোহন ভাগবত ট্রেন থেকে নেমে ব্যাটারি চালিত গাড়ি ব্যবহার না করে হেঁটে নিজের গাড়ির সামনে পৌঁছন। তারপর চলে যান সংগঠনের কাজে।

    আরও পড়ুন: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন সংঘ প্রধান। এই ৬ দিনের মধ্যে একদিকে যেমন বেশ কয়েকবার সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তেমনই শহিদ মিনারে জনসভাও করবেন মোহন ভাগবত। আগামী ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে জনসভা করবেন ভাগবত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর জন্মদিনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় রাজ্য বিজেপির নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার রাতেই বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা (Jagat Prakash Nadda)। সূত্রের খবর, আজ বুধবার বঙ্গ সফরে এসে নাড্ডা, নদিয়ার (Nadia) উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে বেথুয়াডহরিতে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি দুর্গাপুরে (Durgapur) রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাড্ডা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: শহরে ফের চড়ল পারদ! রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কোন কোন জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা?

    West Bengal Weather: শহরে ফের চড়ল পারদ! রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কোন কোন জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঘের শুরুতেই বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা! এমনই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। মকর সংক্রান্তির আগে উধাও হয়েছিল শীত। কিন্তু সংক্রান্তি কাটতেই ফের শীতের ব্যাটিং শুরু হয়েছে। তবে আগের মত হাড়কাঁপানো ঠা্ন্ডা নেই। মঙ্গলবার থেকে আজ তাপমাত্রার পারদ সামান্য বেড়েছে। রয়েছে হালকা শীতের আমেজ। তবে উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। আগামী কয়েকদিনে আরও নামতে পারে তাপমাত্রা। তার মধ্যেই হাওয়া অফিসের আভাস, বুধবার রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    বুধবার সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল কলকাতার আকাশ। পরে ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। শহরে সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার কলকাতার এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৫৩ থেকে ৮৩ শতাংশের মধ্যে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমে যাওয়ায় তাপমাত্রার পারদ উপরের দিকে চড়েছে।

    আরও পড়ুন: রাত থেকে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

    বাংলা জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    দক্ষিণবঙ্গে ফের ঊর্ধ্বমুখী পারদ। আজ ও বৃহস্পতিবার রাজ্যের উপকূলে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, ১৮ জানুয়ারি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই তিন জেলা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী পাঁচদিনে দক্ষিণের জেলাগুলিতে আবহাওয়ার তেমন কোনও পরিবর্তন ঘটবে না।

    উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টায় দিনের তাপমাত্রা অনেকটাই কম থাকবে। আগামী দু’ তিন দিন হালকা বৃষ্টি থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং-এ। ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দার্জিলিং-ও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আজ হালকা বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং-এ। আলিপুরদুয়ারেও আজ বৃষ্টি হতে পারে। ঘন কুয়াশা থাকবে উত্তরবঙ্গে। কোচবিহার,  উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে বেশি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।

LinkedIn
Share