Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের ‘রহস্যময়’ মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    Lalan Sheikh: লালন শেখের ‘রহস্যময়’ মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। কীভাবে সিবিআই-এর হেফাজতে মৃত্যু লালন শেখের, প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে। আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

    লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের

    বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh) কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর রহস্যময় মৃত্যু হয়। একদিকে সিবিআইয়ের দাবি, লালন ‘আত্মহত্যা’ করেছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে ‘খুন’ করা হয়েছে। ফলে এই মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা, তা জানার জন্যই হাইকোর্টে মামলা করা হয়। সিবিআই হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লালনের মৃত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব, বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা

    এদিন আাদালতে এ নিয়ে একটি বিশেষ আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেই আর্জিতে ওই আইনজীবী আবেদন করেন, হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির পর্যবেক্ষণে এই গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হোক। এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জিও জানান তিনি। সব্যসাচীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আজ অথবা আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অন্যদিকে লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে রামপুরহাটে। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পেও মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবার, এই ঘটনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সিবিআই। কারণ লালনের মৃত্যুর পরে গতকাল রাতেই দিল্লির সিবিআই দফতর থেকে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় বগটুই তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের থেকে। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে আজ সকালেই রামপুরহাটে পৌঁছেছেন আরও কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। ফলে তদন্ত শুরু হলেও পরে এই মামলা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়াল। ফলে এই ঘটনায় আদালত থেকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার। 

  • Suvendu Adhikari: “আরজেডির গাড়িতে গরুপাচারে মদত মমতা পুলিশের”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আরজেডির গাড়িতে গরুপাচারে মদত মমতা পুলিশের”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার নিয়ে ফের মমতা সরকারের দিকে আঙুল তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার একই অভিযোগের তির প্রতিবেশি রাজ্যের শাসকদল আরজেডির দিকেও। বিজেপি নেতার অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের মদতেই গরুপাচার চলছে। 

    কী অভিযোগ শুভেন্দুর?

    রবিবার একটি ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, “মমতার পুলিশ রাজ্যের হাইওয়ে দিয়ে আসানসোল, রায়গঞ্জ ও বাঁকুড়ায় গরুপাচার করছে। বিহারের রেজিস্ট্রেশন করা দুটি গাড়ি আসানসোল দক্ষিণের নিউ এগরাগ্রামে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। ওই গাড়িগুলিতে আরজেডির প্রতীক লাগানোছিল।” উল্লেখ্য, চলতি বছরই বিজেপি-জেডিইউ জোট ভেঙে ক্ষমতায় এসেছে আরজেডি-জেডিইউর মহাজোট। আরজেডি- তৃণমূলের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত। এর আগে নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। বরাবরই আরজেডি এবং তৃণমূল বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর সেই আরজেডির প্রতীক লাগানো গাড়িতেই এরাজ্যে গরুপাচার চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।   ইতিমধ্যেই গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সম্পাদক অনুব্রত মণ্ডল। তা সত্ত্বেও অবাধে চলছে পাচার।

    আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকার সোনা, গ্রেফতার ২

     

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করছেন শুভেন্দু। সীমান্তে গরুপাচার হলে তার দায় নিতে হবে বিএসএফকে। তৃণমূল নেতার কথায়, শুভেন্দু যদি গরুপাচার সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানেন তাহলে তা ট্যুইট না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো উচিত।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Visva Bharati University: বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি, অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর

    Visva Bharati University: বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি, অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)৷ নিরাপত্তারক্ষী ও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তিতে অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর৷ পড়ুয়াদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে৷ পুলিশের সামনেই হেনস্থা করা হয়েছে পড়ুয়াদের। আর এরই মাঝে প্রায় ২১ দিন পর বাড়ি থেকে বের হলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটপে তিনি বাড়ির বাইরে আসেন৷ উপাচার্য বাইরে আসতেই শ্লোগান শুরু করেন পড়ুয়ারা৷ তখনই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্রদের হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ৷  

    নিজ বাসভবন থেকে উপাচার্য বেরোতে পারলেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) ঢোকার মুখে ফের পড়ুয়াদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল গেটে তালা লাগিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। ফলে মূল ফটকের বাইরে উপাচার্য সহ দেড়শো জন অধ্যাপক অধ্যক্ষকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

    কী ঘটেছে?  

    সম্প্রতি সোমনাথ সৌ নামে এক পড়ুয়াকে ভর্তি না-নেওয়া এবং বেশ কিছু পড়ুয়াকে গবেষণাপত্র জমা দিতে না-দেওয়ার অভিযোগে উপাচার্যকে ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University) পড়ুয়ারা৷ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আটকে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা৷ এর পর তাঁকে কার্যালয় থেকে বেরতে দিলেও, গত ২১ দিন ধরে বাড়িতেই কার্যত গৃহবন্দি হয়েছিলেন উপাচার্য৷ এদিন সকালে বিশাল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীদের সুরক্ষা বলয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন উপাচার্য৷ কিন্তু আন্দোলনকারীরা বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের৷ অভিযোগ উঠেছে ধর্না মঞ্চে ভাঙচুর চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা৷ সেখানে চেয়ার ও পড়ুয়াদের রাখা সাইকেলও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে৷ পালটা অভিযোগ, পড়ুয়ারাও নিরাপত্তারক্ষীদের দিকে তেড়ে যায়৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়৷ পড়ুয়াদের অভিযোগ সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিতিতেই তাদের মারধোর করে নিরাপত্তারক্ষীরা৷ তাঁদের সামনেই দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়৷ কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

    আরও পড়ুন: কম্বোডিয়ার অঙ্করভাট বিষ্ণু মন্দিরের সংস্কারে আর্থিক সাহায্য করবে ভারত, বললেন জয়শঙ্কর

    কিছুক্ষণ পরেই সেখানে এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়৷ উপাচার্য আপাতত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভিতরে রয়েছেন৷ পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়৷ তবে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ তাঁদের (Visva Bharati University) দাবি, স্বৈরাচারী উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) পড়ুয়ারা উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় উপাচার্য তাঁদের গুলি করে মারার নিদান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন পড়ুয়ারা।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: “আমি ন্যায় বিচার চাই…”, পার্থর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত

    Partha Chatterjee: “আমি ন্যায় বিচার চাই…”, পার্থর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল না জামিন। গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচ মাস হয়ে গেল তবু জামিন নেই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন ফের খারিজ হয়ে গেল। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এদিন পার্থ-সহ বাকি অভিযুক্তদেরও পেশ করা হয়। তাঁদেরও আগামী ১০ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দিল আদালত।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতা পার্থর (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সরাসরি অভিযোগ এনেছে সিবিআই। চলতি বছর ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এদিন জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু দুপক্ষের কথা শুনে আদালত ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    পার্থর (Partha Chatterjee) হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সেলিম রহমান। জামিনের আবেদন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, পার্থবাবু কখনও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেননি। কমিটি তাঁকে কখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি। তাহলে তিনি ষড়যন্ত্রে সামিল হলেন কী করে? তিনি বলেন, “নিয়োগে গঠিত উপদেষ্টা কমিটি যদি কিছু করে থাকে তাতে আমার মক্কেলের কোনও ভূমিকা নেই। চার্জশিটের পর কী করে আবার তদন্ত করার কথা বলতে পারে? এটা তো আইনবিরুদ্ধ। এই কথা রোজ বলে একজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখা যায় না। আমার মক্কেল কোথাও যাবেন না। যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি।”

    আরও পড়ুন: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    আর এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের রহস্যভেদ করতে পার্থর মত প্রভাবশালীদের জেলে রাখা দরকার। নইলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। প্রত্যেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত। যেন একটা চেনের মাধ্যমে যুক্ত। অভিযুক্তরা সহযোগিতা করছেন না। তাই আমরা তাঁদের ফের জেল হেফাজতে চাইছি।”

    এর পর আদালত কক্ষে উঠে দাঁড়িয়ে পার্থবাবুও মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাকে বলে আমি জানতে চাই। এখানে সামাজিকভাবে আমার চরিত্র হননের কাজ চলছে।  এভাবে একজনকে জেলে আটকে রাখলে ভবিষ্যতে কেউ মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবে না। আমি মন্ত্রী, প্রতিদিন এক কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা হয়ে যাচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    বাকি অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ

    পার্থর পাশাপাশি এদিন আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাদের। এর পর দুপক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। বিকেল ৪টে নাগাদ ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত ঘোষণা করেন বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ সহ ৭ জনকেই ২২ ডিসেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর শুরুতেই হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৩৪% প্রার্থীকে নমিনেশনই জমা দিতে দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ রয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে সেই পরিস্থিতি এড়াতে কড়া নিরাপত্তা চাইছে বিরোধী দল বিজেপি। এমতাবস্থায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক, এমনটাই চায় বিজেপি। এই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন তিনি। এই নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে।  

    রাজ্যে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখনও নির্বাচনের দিন ঘোষণা না করলেও, ২০২৩ সালের শুরুতেই নির্বাচন হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই এই নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা হোক দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি 

    কী বক্তব্য শুভেন্দুর? 

    ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই জন্যেই এই আবেদন। এমনটাই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর বক্তব্য, সন্ত্রাস করেই শাসকদল পঞ্চায়েত নির্বাচন জেতার চেষ্টা করবে। তাই ভোট–লুঠ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা উচিত। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই, তা আগেও বার বার জানিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে তারা। এবার সেই আবেদন পৌঁছল হাইকোর্টে। 

    সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী। তবে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একদিন সময় দেওয়ার আবেদন করা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন মঞ্জুর করে। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে এই মামলার শুনানি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Update: ফের পারদ পতন, রাজ্যে ফিরে এল শীতের আমেজ

    Weather Update: ফের পারদ পতন, রাজ্যে ফিরে এল শীতের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দৌসের প্রভাব সরাসরি এ রাজ্যে না পড়লেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঘনীভূত হওয়া জলীয়বাষ্পের ফলে ঢুকে পড়ায় উত্তর-পশ্চিম ভারতের ঠান্ডা হাওয়া রাজ্যে ঢুকতে পারেনি। জলীয় বাষ্পের প্রভাব কেটে যেতেই ফের রাজ্যে ফিরেছে শীতের আমেজ (Weather Updated)। রবিবার বিকেল থেকেই পারদে পতন শুরু হয়েছে।

    কী বলছে মৌসম ভবন?  

    সোমবার সকালে কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা কুয়াশা (Weather Updated) দেখা গিয়েছে। বেলা বাড়তেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়। রবিবারের তুলনায় কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ১.৫ ডিগ্রির মতো। উত্তুরে হাওয়া ঢোকাতেই আবহাওয়ায় এই পরিবর্তন বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর অবধি আবহাওয়া (Weather Updated) সর্বত্রই শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রায় বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা একই থাকবে। 

    এদিন বিকেলে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার (Weather Updated) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সঙ্গে থাকতে পারে কুয়াশা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৯ ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি   

    হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাকিস্তান ও সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্তের (Weather Updated) রূপে অবস্থান করছে। এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের বৃষ্টি কিংবা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ১৩ ডিসেম্বর নাগাদ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 

    উত্তর-পশ্চিম ভারতে এদিন তাপমাত্রার (Weather Updated) বড় কোনও পরিবর্তন না হলেও, মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রায় পতন হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পশ্চিম-মধ্য ভারতের ন্যূনতম তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। অন্যদিকে দেশের বাকি অংশে আগামী ৪-৫ দিন তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণে তামিলনাড়ু এবং কর্নাটক-উত্তর কেরলে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে।  ১৩ ডিসেম্বর নাগাদ একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঞ্চ বদল হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ মামলায় (DA Case)। এই মামলা গেল দুই বাঙালি বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এঁরা হলেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বুধবার এঁদের বেঞ্চেই হবে ডিএ মামলার শুনানি। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে চলছিল ডিএ মামলার শুনানি।

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত…  

    এক সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ছিলেন। পরে বদলি হয়ে যান বম্বে হাইকোর্টে। সোমবার তিনি শপথ নেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। পরে সেখানেই বিচারপতি নিযুক্ত হন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন একাধিক মামলায় দীপঙ্কর দত্ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। তাই, তাঁর এজলাসে ডিএ মামলার শুনানি হলে এই মামলায় তাঁরাই জয়ী হবেন বলে আশা সরকারি কর্মীদের।

    প্রসঙ্গত, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর মধ্যে এই মামলায় সব পক্ষকে নিজেদের সংক্ষিপ্ত যুক্তি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী আদালতে থাকছেন না। তাই সুপ্রিম কোর্টের সাত নম্বর কোর্টে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ বসবে না। এই বেঞ্চে যে মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তা হবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তা দেওয়ার সঙ্গতি নেই রাজ্যের।

    বুধবার যে বড় কিছু ঘটতে চলেছে, সে ব্যাপারে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হাজরার সমাবেশেও তিনি বলেন, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল যখন রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তখন সুপ্রিম কোর্টেও আশা করা যায় কর্মীদের জয় হবে। তিনি বলেন, বর্ধিত হারে ডিএ দিতেই হবে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta Medical College Hospital: খুলল না মেডিক্যালের জট, অনশন না তুললে বৈঠক নয়, জানাল স্বাস্থ্য ভবন 

    Calcutta Medical College Hospital: খুলল না মেডিক্যালের জট, অনশন না তুললে বৈঠক নয়, জানাল স্বাস্থ্য ভবন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল বৈঠক। ছাত্র নির্বাচন সময় মতো করার দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনে বসেছেন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতির সমাধান সূত্র খুঁজতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাদের পাশপাশি স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠকে থাকার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা মতো বৈঠক মঙ্গলবার হল না। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পড়ুয়ারা অনশন না তুললে কোনও আলোচনা হবে না। আগে পড়ুয়ারা অনশন তুলে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবেন। তারপরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈঠক হবে। 

    স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে ফোন করেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে যখন কথা বলতে পড়ুয়ারা নারাজ, তখন স্বাস্থ্য ভবন কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারবে না। তিনি পড়ুয়াদের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি অধ্যক্ষকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যেখানে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি তাহলে স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকে কীভাবে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে? পরে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অনশন না তুললে বৈঠক হবে না। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, বৈঠক হবে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কোনও জিনিস অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    গতকালই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পড়ুয়াদের সঙ্গে সুপারের ঘরে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু, সেই বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। এরপরেই স্বাস্থ্যভবন থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, রোগীদের স্বার্থে হাসপাতালের ভিতরে কোনও রকমের আন্দোলন করা যাবে না। তবে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এ কথা জানানো হলেও ২২ ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় রয়েছেন পড়ুয়ারা। শুক্রবার পাঁচ জন ছাত্র অনশন শুরু করেন। তার মধ্যে গতকাল একজন অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। এই অবস্থায় জট কবে কাটবে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যালের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি আবারও স্বাস্থ্য সচিবকে ফোন করে বৈঠক হবে কি না সে বিষয়টি জানতে চাইবেন।

    পড়ুয়ারা অবশ্য জানাচ্ছেন, নির্ধারিত দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে স্বাস্থ্য ভবনের এত অনীহা কেন! রাজ্যের শাসক দলের ইচ্ছেতেই সিদ্ধান্ত বদল কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। পড়ুয়াদের হোস্টেল থেকে ফি নেওয়া হয়, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে  কোথায় কত টাকা নেওয়া হবে, বাড়তি টাকা নেওয়া হবে কিনা, সেটাও ঠিক করেন শাসক দলের কয়েক জন নেতা। কোনও সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়ম মাফিক হয় না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে সেটা আরেকবার স্পষ্ট হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এবার পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় স্বাস্থ্য দফতরে (health department) নিয়োগের জন্য জেলাস্তরে গঠিত ২৮ জনের সিলেকশন কমিটি (selection committee) বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।  এই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতা। 

    আদালতের অভিমত

    উচ্চ আদালতের অভিমত, গত বছর ২৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগের জন্য যে সিলেকশন কমিটি গঠন করেছিল, তার মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা উচিত। এর ফলে প্রার্থীদের সিলেকশন প্রক্রিয়া নিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টরকে হাইকোর্টের নির্দেশ, দু’সপ্তাহের মধ্যে সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। চেয়ারম্যান হিসাবে এমন গুরুত্বপূ্র্ণ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে যাঁর বিরুদ্ধে কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ থাকবে না। যিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হবেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার গঠিত মনোনয়ন কমিটির মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ্ব হবে।

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরে। সেই কমিটিতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, চন্দ্রনাথ সিংহ, শান্তা ছেত্রী, মলয় ঘটক, অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ানের মতো তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। তারপরই এই কমিটিকে নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পীযূষ পাত্র। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ১১,৫২১ পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, মনোনয়ন কমিটির প্রায় সকল সদস্যই শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। ফলে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bogtui Massacre: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    Bogtui Massacre: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের (Bogtui Massacre) মূল অভিযু্ক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু। কিছুদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয় ও সিবিআই হেফাজতে রাখা হয়। তাকে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে রাখা হয়েছিল। এর পর গতকাল বিকেলে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর ফলে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, লালনের মৃত্যুর নেপথ্যে পুলিশের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। আবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। ফলে লালনের রহস্যময় মৃত্যু নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    শুভেন্দু ও সুকান্তর দাবি

    গতকাল হাজরায় সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে সভাশেষে সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু বলেন, “লালন শেখের নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ, তাই পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যা সত্য, তা সামনে আসা উচিত। যেটুকু আমি শুনেছি, সিবিআই আধিকারিকেরা সেই সময় আদালতে গিয়েছিলেন। তবে, সবটাই শোনা।” এদিকে লালনের মৃত্যু নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেখতে হবে, লালনকে কোথায় রাখা হয়েছিল। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কাউকে বাঁচাতে এটি করা হল কি না সেটাও দেখা উচিত।”

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    সিবিআই ও পরিবারের দাবি

    গতকাল সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল যে, লালন আত্মহত্যা করেছে (Bogtui Massacre) । কিন্তু পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। গতকাল সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সূত্রের খবর, লালনের গলায় ফাঁস থাকলেও শৌচাগারের মেঝেতে তাঁর পা ঠেকে ছিল। তাই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে তাহলে ফাঁস লাগল? লালন শেখের দিদির বক্তব্য, “এত মেরেছে যে লালন দাঁড়াতে পারছিল না। ওকে খুন করা হয়েছে। আমরা শাস্তি চাই, সিবিআইয়ের শাস্তি চাই।”

    চড়ছে উত্তেজনার পারদ। গতকালের ঘটনার পর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান লালনের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন। যদিও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য রাতে পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়ানো হয় গ্রামে। যে হাসপাতালে লালনের ময়নাতদন্ত হচ্ছে, সেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যে সিবিআই ক্যাম্পে লালনের মৃত্যু, তার সামনেও পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে, রয়েছে কেন্দ্রীয়-নিরাপত্তাও। সোমবার রাতেই রামপুরহাটের এসডিপিও জানান, যে সমস্ত জায়গা তাঁদের কাছে উত্তেজনাপ্রবণ, সেই সমস্ত জায়গাতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মঙ্গলবার সকালেই সিবিআইয়ের বিশেষ দল পৌঁছেছে রামপুরহাটের ক্যাম্প অফিসে। তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও (Bogtui Massacre) ।

     
LinkedIn
Share