Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: আজ থেকে পারদ পতনের সম্ভাবনা! জানুন জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে

    Weather Update: আজ থেকে পারদ পতনের সম্ভাবনা! জানুন জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর পড়ে গিয়েছে। এখনও সেভাবে ঠান্ডার দেখা নেই। নভেম্বরের শেষের দিকে একটু শীত শীত ভাব লাগলেও গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। দুপুরের দিকে রীতিমতো গরম লাগছে। গরম জামা তো দূর, হালকা পাখা চালালেই ভাল লাগছে। তবে শুক্রবার থেকে পারদ পতনের কথা শোনাচ্ছে, হাওয়া অফিস। যদিও জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা এখনই নেই। চলতি মাসের ১০-১২ তারিখ থেকে ঠান্ডা পড়তে পারে। 

    গরম অনুভূতি

    বিগত কয়েকদিন ধরেই ধাপে ধাপে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৫ ডিগ্রি। হাওয়া অফিস বলছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধিতেই ঊর্ধ্বমুখী পারদ। তবে সপ্তাহের শেষে শীতের আমেজ ফিরবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office) জানাচ্ছে, আজ শুক্রবার থেকে ফিরবে শীতের আমেজ। শুক্রবার কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলে দিনের আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল থাকবে। শহরে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি ও ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে৷ আগামিকাল ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে কলকাতায়। তবে দক্ষিণবঙ্গে বিগত কয়েকদিন ধরে যেভাবে তাপমাত্রার বেড়েছে, তার প্রভাব পড়েনি উত্তরবঙ্গে। সেখানে শীতের অনুভূতি বজায় থেকেছে। উপরের পাঁচটি জেলার মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ইতিমধ্যে জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। পাহাড়ে পারদ দশ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: তাপ বাড়ছে শহরের, ডিসেম্বরের শুরুতে অধরাই শীত

    কবে থেকে ঠান্ডা

    পারদ পতন বঙ্গে, ফিরল শীতের আমেজ। গত সপ্তাহে পরপর পারদ পতন হলেও মাঝে শীতের আমেজ একটু হলেও কম ছিল গোটা রাজ্যে। উত্তুরে হাওয়ায় পড়েছিল ভাটা। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,  বাধাহীন উত্তুরে হাওয়ার দাপট ফের বাড়বে, পারদ ফের নামার সম্ভাবনা রয়েছে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। উত্তর পশ্চিমের বাতাস থাকবে।  রাজ্যে জুড়ে শীতের আমেজ বজায় থাকবে।  চলতি সপ্তাহ থেকে শীতের আমেজ  বাড়বে বাংলাজুড়ে। মেঘলা আকাশ হলেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Scam: লালার ডায়েরি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইডির হাতে, আছে কার কার নাম?

    Coal Scam: লালার ডায়েরি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইডির হাতে, আছে কার কার নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় (Coal Scam) অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার ডায়েরি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই ডায়েরি থেকে নানা তথ্য মিলেছে। একই সঙ্গে মিলেছে এই চক্রে যুক্ত একাধিক জনের নাম। সেই সূত্রেই ডাকা হতে পারে বেশ কয়েকজনকে।

    দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে… 

    এদিকে, নোটিশ পেয়ে আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের (TMC) সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে জেরার জন্য ডেকে পাঠায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের তদন্ত করতে গিয়ে নানা সময় উঠে আসে সুজয়ের নাম। ওই পাচারে তাঁর ভূমিকা কী, মূলত তা খতিয়ে দেখতেই ইডির সদর দফতরে এদিন তলব করা হয় তাঁকে। এই মামলার তদন্ত করছেন যাঁরা, তাঁরা জানান, লালার ডায়েরি থেকে কয়লা পাচারের টাকা কোথায় কোথায় যেত, সে সংক্রান্ত নানা তথ্য মিলেছে। কয়লা পাচারের জন্য প্রোটেকশন মানি কার কার কাছে যেত, ডায়েরিতে মিলেছে সেই সূত্রও। ওই ডায়েরিতেই রয়েছে সুজয়ের নাম। ইডি সূত্রে খবর, এ ব্যাপারেই জিজ্ঞাসা করা হবে তৃণমূল নেতা সুজয়কে। ইডির তরফে সুজয়ের কাছে জানতে চাওয়া হবে কয়লা পাচার চক্রের কারও সঙ্গে তাঁর কখনও যোগাযোগ হয়েছিল কিনা। তিনি স্বয়ং কোনও আর্থিক লেনদেনে জড়িয়েছিলেন কিনা। তিনি পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি। একজন সভাধিপতি হিসেবে কয়লা পাচার রুখতে তিনি কোনও পদক্ষেপ করেছেন কিনা, তাও সুজয়ের কাছে জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    প্রসঙ্গত, ইডির পাশাপাশি কয়লা পাচার মামলার (Coal Scam) তদন্ত করছে সিবিআইও। মাস কয়েক আগে লালার একটি ডায়েরিতে জনৈক এম ঘটকের নাম রয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝির কাছ থেকে মাসে ৭৫ লাখ করে টাকা নিতেন মলয় ঘটক। শুভেন্দুর দাবি, কেবল মলয়ই নন, ওই ঘটনায় বেশ কিছু তাবড় পুলিশ কর্তার নামও রয়েছে।

    তৃণমূল নেতা সুজয়কে ইডির তলব প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, এমন বলছেন, যেন রাষ্ট্রপতির নাম বলছেন সুজয়। চোর-চামারগুলো সব পার্টি করছে। পুরো পার্টি দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দলের নিচুতলা পর্যন্ত আরও অনেক লোক আসবে। অপেক্ষা করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

  • SSC Scam: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    SSC Scam: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এসএসসি (SSC Scam) এবং সিবিআইকে ভুয়ো চাকরি প্রার্থী বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে তথ্য পেশ করতে গিয়ে কিছুদিন আগেই ওএমআর জালিয়াতির কথা উল্লেখ করে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জাল শিক্ষকের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে এসএসসির ওয়েবসাইটে। বৃহস্পতিবার ওএমআর জালিয়াতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কোন প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্রের নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে, আদালতে তা পরিস্কার করা হয়েছে।

    রিপোর্টে কী জানিয়েছে সিবিআই? 

    সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, মোট চারটি নিয়োগ পরীক্ষার ২৩ লক্ষ ওএমআর শিট বাছাই করা হয়েছিল সল্টলেকের এসএসসির (SSC Scam) অফিসে। পরবর্তীতে একাধিক উত্তরপত্রে নম্বর বাড়ানো হয়। তিনটি হার্ড ডিস্ক খতিয়ে দেখেই এই তথ্য পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

    গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, এনওয়াইএসএ নামে একটি সংস্থাকে ওই চার নিয়োগ পরীক্ষার মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই- এর আরও দাবি, এসএসসি (SSC Scam) অফিস থেকে যে ডেটাবেস পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র মাদার ডেটাবেসের তথ্যের কোনও মিল নেই। অর্থাৎ শিট স্ক্যান করার দায়িত্বে থাকা সংস্থার দেওয়া নম্বর ইচ্ছামতো বদলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিধাননগরে এসএসসি-র দফতরেই যন্ত্র এনে সমস্ত ওএমআর শিট স্ক্যান করে তারা। তার পর স্ক্যান করা কপি ও প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হার্ড ডিস্কে ভরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছিল তারা। সিবিআই জানিয়েছে, তার পর সেই নম্বর ওয়েবসাইটে আপলোড করে এসএসসি। কিন্তু হার্ড ডিস্কের নম্বর ইচ্ছামতো বদলে তারপর আপলোড করেন এসএসসি আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: “আফতাবের ফাঁসি চাই! আগে তদন্ত হলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত”, বললেন শ্রদ্ধার বাবা

    গোয়েন্দারা আদালতকে জানিয়েছেন, প্রথম হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য, দ্বিতীয় হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য। আর তৃতীয় হার্ড ডিস্কটিতে রয়েছে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ওএমআরের স্ক্যান করা তথ্য। গাজিয়াবাদে পঙ্কজ বনশল নামে এক ব্যক্তির ঠিকানা থেকে এই তিনটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করে সিবিআই। পঙ্কজ বনশল এনওয়াইএসএ-র প্রাক্তন কর্মী বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের পরে নম্বর-সহ ডেটাবেসে রেখে দেওয়া হয়। সিবিআই দাবি করে, তিনটি হার্ড ডিস্ক এবং কমিশনের তথ্যভান্ডার পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, উত্তরপত্র মূল্যায়নে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। তদন্তের সময় কমিশনের (SSC Scam) ডেটাবেসও বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

     

  • Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকার খোঁজে তদন্ত চালিয়ে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। মানিকের স্ত্রী, পুত্র-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে বুধবারই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট বা প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার ইডির তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৬১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স এবং মিউচুয়াল ফান্ড মিলিয়ে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, এই ৬১টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকার লেনদেন হয়েছে। যদিও মানিক তাঁর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই।

    আরও পড়ুন: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী! 

    ইডির অভিযোগ, ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে টেট দুর্নীতির টাকা সরানো হয়েছে। এছাড়া শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ‌্যমেও টাকা সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ইডির নজরে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে শৌভিকের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি। কোন টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল এই সম্পত্তি, এখন তাই খতিয়ে দেখছে ইডি। ইডির তথ্য অনুযায়ী, মানিক ও তাঁর ছেলের নামে দু’টি আমবাগান রয়েছে। তাছাড়া নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকার মঘড়াইক্ষেত্র গ্রামে মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের দশ একর জমি আছে। 

    ইডির নজরে মানিকের সম্পত্তি 

    ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ছেলের নামে কালীগঞ্জে এক বিঘা আমবাগান কেনা হয়েছিল। সেই বাগান মাত্র দেড় লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল। পরে সেই গ্রামেই আরও ৩৬ ছটাক আমবাগান কিনেছিলেন মানিকপুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। সেই জমি কেনা হয় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে। এছাড়াও যাদবপুরে ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল‌্যাট রয়েছে মানিকের। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য বিমা সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তাছাড়া যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডে আরও এক ফ্ল্যাট রয়েছে মানিকের। সেটা দেড় হাজার বর্গফুটের। ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয় সেই ফ্ল্যাট। এর জন্যেও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফ্ল্যাটগুলির ডাউন পেমেন্টের টাকা কোথা থেকে এল? এখন সেটাই ভাবাচ্ছে ইডি গোয়েন্দাদের।

    ইডির তরফ থেকে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকের সক্রিয় ভূমিকা তো ছিলই। পাশাপাশি বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলিকে অনুমোদন ও ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার নামেও টাকা তুলতেন মানিক ও পার্থ। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, মানিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বন্ধু ও পরিজনদের নামেও অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন। যাতে সহজেই দুর্নীতির টাকা লোপাট করা যায়। মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তির নামে খোলা হয়েছিল এরকমই অ্যাকাউন্ট। তাতেও টাকা পাচার করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য ২০১৬ সালে মারা যাওয়ার পরেও তাঁর নামের অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএড কলেজের (BED College) অনুমোদন দিতে টাকা নিতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছে ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা প্রকাশ্যে নিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ইডির দাবি, কেবল মানিক নন, কলেজগুলিকে অনুমোদন পাইয়ে দিতে টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।

    ইডি-র চার্জশিট…

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বয়ানকে অস্ত্র করেই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এনসিটিই-র সদস্য ছিলেন মানিক। বিএড, ডিএলএড বা প্রাইমারি টিটার ট্রেনিং কলেজের চূড়ন্ত অনুমোদন পেতে হলে এনসিটিই-র অনুমোদন প্রয়োজন। চার্জশিটে পেশ করা তথ্যে দাবি করা হয়েছে, মানিক এই কাউন্সিলের সদস্যপদে থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে রাজ্যে এই ধরনের বহু প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পাইয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। সেই টাকার পরিমাণ নেহাত কম নয়। অনুমোদন পাইয়ে দিতে পার্থ নিতেন ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক নিতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

    ইডি জানিয়েছে, বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির কাছ থেকে মোটা টাকা উৎকোচ নিতেন মানিক (Manik Bhattacharya) ও পার্থ। সব মিলিয়ে এর মোট পরিমাণ ২০ কোটি টাকা বলে আগেই জানিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের জেরায় তাপস জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৩২৫ জন প্রার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া ও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য ‘ঘোষবাবু’ নামে পার্থ ও মানিকের কোনও এক প্রতিনিধিকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রাইমারি টেটের যেসব প্রার্থী ওই টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন শিক্ষকতা করছেন। 

    আরও পড়ুন: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার কলকাতার পিএমএলএ আদালতে মানিক (Manik Bhattacharya), তাঁর ছেলে সৌভিক ও মানিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে নথিভুক্ত হয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যের বয়ানও। ওই চার্জশিটে উঠে এসেছে কলকাতায় থাকা মানিকের কয়েকজন আত্মীয়ের বয়ানও। তাঁদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাদা কাগজে এবং কিছু ব্যাঙ্কের নথিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার নামে কী ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সে বিষয়ে কখনওই কিছু জানানো হয়নি তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Ustad Rashid Khan: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    Ustad Rashid Khan: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেনস্থার শিকার ধ্রুপদী গায়ক উস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। অভিযোগের তির কলকাতা পুলিশের দিকে। গাড়ি আটকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল  পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ করেছে সঙ্গীত শিল্পীর পরিবার। পরিবারের দাবি, চালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার প্রগতি ময়দান থানায়। চালক গ্রেফতারির খবর শুনে সেখানে প্রথমে যান রশিদ খানের স্ত্রী ও কন্যা। পরবর্তীতে গাড়ির মালিক হিসেবে রশিদ খানকেও ডেকে পাঠানো হয়। কেন গাড়িটি আটক করা হল? সেটাও পুলিশ পরিস্কার করেনি বলে অভিযোগ।  

    বুধবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটে। রশিদ খানের (Ustad Rashid Khan) স্ত্রী অভিযোগ করেন, থানায় তাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    কী ঘটে? 

    শিল্পীর স্ত্রী জানান, মঙ্গলবার রাতে গানের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরেন রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। এরপর তাঁর এক সহ শিল্পীকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল গাড়িটি। গাড়িতে ছিলেন রশিদ খানের এক ম্যানেজার। অভিযোগ, বেলেঘাটা ক্রসিং-এর কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নাকা চেকিং হয়। সেই সময় ওই ম্যানেজারের কাছে ২০০০ টাকা ‘ঘুষ’ চাওয়া হয়। তিনি দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে ‘কেস’ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর চালককে ডেকে চেক করে বলা হয় তিনি মদ্যপ। চালককে গ্রেফতার করে গাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    যদিও চালকের দাবি, তিনি মদ্যপ ছিলেন না। পুলিশের হাতে থাকা মেসিনে পরীক্ষার পর তাঁকে এনআরএস নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও কোনও পরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একটি ট্যুইট করে তিনি বলেন, “ভোর ৪ টেয় উস্তাদ রশিদ খানকে (Ustad Rashid Khan) থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পদ্মবিভূষণ প্রাপ্ত শিল্পীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”

     

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “প্রথমে বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকরা তাঁর গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিল অন্যথায় তারা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মিথ্যা অভিযোগ চাপানোর হুমকি দেয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা গাড়িটি প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে আটক করে। সেলিব্রেটিরা (Ustad Rashid Khan) যদি এমন হয়রানির শিকার হন তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা ভাবুন।” তিনিও এই রকম অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। আর এবারে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ৩২টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সায়গল হোসেন তিহার জেলে বন্দি।

    সায়গলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অন্যতম অভিযুক্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সায়গল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কাজ করেছেন। গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত চার্জশিটে সায়গলের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, বীরভূম করিডর দিয়ে যে সমস্ত গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। সিবিআই তাদের চার্জশিটেও এ কথা উল্লেখ করেছিল।

    আরও পড়ুন: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    এরপর মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নামলে তাঁর একাধিক জমি, সম্পত্তি, বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়। আর সেই অনুযায়ী সায়গলের ৩২টি সম্পত্তির হদিশ মেলে। গত ২ ডিসেম্বর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তারই জেরে সায়গলের সম্পত্তি আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ফলে এই সব সম্পত্তির টাকার সঙ্গে গরু পাচারের টাকার যোগ আছে কি না, তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।

    উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) প্রথমে সিবিআই সায়গলকে গ্রেফতার করে। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোলের জেলে। এরপরই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ায় তাঁকে আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত দিল্লির তিহার জেলেই রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সায়গলের মা-স্ত্রীকেও একাধিকবার তলব করেছে ইডি। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি।

    ইডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃতদের কাছ থেকে ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অপরাধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি (ED)। গরু পাচারের সঙ্গে সায়গলের যোগ কতটা, তা আরও খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhijit Gangopadhyay: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhijit Gangopadhyay: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাদা উত্তরপত্র জমা দিয়েও ৪৩ নম্বর পেয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী!নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরে ওএমআর শিটে বিকৃতির (OMR sheet Corruption) অভিযোগ উঠল গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। পরীক্ষায় পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর সার্ভারে দেখা যাচ্ছে, গ্রুপ ডির সেই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩। সিবিআইয়ের পেশ করা নথি নিয়েই মঙ্গলবার সরব কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী বলল আদালত

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেছিলেন লক্ষ্মী টুঙ্গা। এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিটেই এই বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। তবে তার আগে এই নিয়ে বৈঠকে বসার কথা বলেন তিনি। আগামী ১৪ ডিসেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে বৈঠক করবেন সিবিআই, মামলাকারীর আইনজীবী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের বাজেয়াপ্ত করা হার্ডডিক্স এবং ওএমআর শিট খতিয়ে দেখা হবে ওই বৈঠকে। এরপর আগামী ২১ ডিসেম্বর প্রাথমিক রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেবে সিবিআই। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    উল্লেখ্য, গাজিয়াবাদের সার্ভার থেকে এসএসসিতে নিয়োগ পরীক্ষার বেশ কিছু উত্তরপত্র মিলেছিল। তার মধ্যে রয়েছে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার খাতা। সেগুলি যাচাই করে সিবিআই দেখে, পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রার্থী উত্তরপত্রে পেয়েছেন দুই। এমনকি, ওই জেলার এক জন উত্তরপত্রে পেয়েছেন শূন্য। অথচ এসএসসির সার্ভারে দেখা গিয়েছে, তাঁরা পেয়েছেন ৪৩ নম্বর। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। সেগুলি দেখে যাচাই করতে হবে যে, ওই প্রার্থীদের জন্য ভুয়ো সুপারিশ করা হয়েছে কি না।

    আরও পড়ুন: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Electrification: রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর সমস্যা মেটাতে বিশেষ কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    Electrification: রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর সমস্যা মেটাতে বিশেষ কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখনও অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে, যেখানে এখনও বিদ্যুতের আলো (Electrification) পৌঁছয়নি। সূর্য ডুবলে টর্চলাইট বা কেরোসিনের আলোই ভরসা। আর সেই অন্ধকার রাস্তার সুযোগ নিয়ে দেদারে চলছে বহু অনৈতিক কাজকর্ম। একটি জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ ওঠে অন্ধকার রাস্তায় ঘটছে ধর্ষণের মতো ঘটনা। সেই মতো প্রত্যন্ত কতগুলি রাস্তায় আলো নেই, তা জানতে চায় হাইকোর্ট। সেই রিপোর্ট আসতেই বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রত্যন্ত গ্রাম সহ রাজ্যের কোন কোন রাস্তায় বিদ্যুতের অভাব রয়েছে বা বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি তা খতিয়ে দেখতে  ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করল আদালত। এই নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    জেলাভিত্তিক কমিটিতে রাখা হয়েছে সেই জেলার জেলাশাসক বা তাঁর মনোনীত কোনও প্রতিনিধি, জেলার পুলিশ সুপার বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আঞ্চলিক ও জোনাল ম্যানেজার এবং মামলাকারী আইনজীবী নীলাদ্রি সাহাকে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    কেন এই নির্দেশ?

    রাজ্যে পর পর কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। সম্প্রতি অন্ধকার (Electrification) রাস্তায় একটি ধর্ষণের ঘটনাও সামনে এসেছে। সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে মামলার শুনানিতে।

    রাজ্যের কোথায় কোথায় এখনও বিদ্যুৎ (Electrification) পৌঁছয়নি, বিদ্যুৎ দফতর এবং বণ্টন সংস্থার কাছে সেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল হাইকোর্ট। সেখানে দেখা যায় রাজ্যের অনেক রাস্তাতেই এখনও বিদ্যুতের আলো নেই। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, অনেক জায়গায় বাতি লাগানোর কাজ চলছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ আগের থেকে ভাল। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। শুরুতে পুরুলিয়ার জন্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার পর অন্য জেলাতেও এমন কমিটি গঠনের পথে হাঁঠতে চায় হাই কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কলকাতা হাইকোর্টে ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক (Administrator) নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে। আর আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক।

    প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নির্বাচনের জন্য ৩ ডিসেম্বর, শনিবার ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার শুক্রবার রাতেই পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে দেয়। এরপর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন ওই পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর। আর এই মামলাতেই এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। আগামী মাস পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর ফলে তৃণমূল ও কংগ্রেস কেউই প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে না।

    তৃণমূল জবা মাছোয়াকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল হাইকোর্টের নির্দেশ। আবার আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু স্থগিতাদেশের ফলে কোনও নিয়োগই হবে না। ফলে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুরসভার যাবতীয় কাজের দায়িত্ব দিল পুরুলিয়ার জেলাশাসককে।

    কী ঘটেছিল ঝালদা পুরসভায়?

    ঝালদার বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলাররা গত ২১ নভেম্বর তাঁরা একটি আস্থা ভোট ডাকেন। সেই আস্থা ভোটের পর অপসারিত হন চেয়ারম্যান। নিয়ম অনুযায়ী আস্থা ভোটের ৭ দিনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যানকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে হয়। সেই অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যানকে একটি সভা ডাকতে বলেন তাঁরা। এর মধ্যেই ভাইস চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেন। ফলে পুর আইন অনুযায়ী, তিনজন বিরোধী কাউন্সিলার ২৯ নভেম্বর একটি সভা ডাকেন এবং সেই সভায় ঠিক হয় ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে। কিন্তু আগেই রাজ্য সরকার গত ২ তারিখ ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

    সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু ঝালদা পুরসভায় কোনও চেয়ারম্যান নেই তাই রোজকার কাজ চালাতে একজন প্রশাসক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। সরকারের সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রশাসক সেই কার্যভার গ্রহণ করেছেন। আর এই নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নিয়োগে রাজ্যের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সরকারকে। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, “রাজ্য কীভাবে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে হস্তক্ষেপ করে?” এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ভাইসম্যানের পদত্যাগ নিয়ে। “ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন?” রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্য এর উত্তরে জানায়, তিনি পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু কার কাছে সেটা জানা নেই।

    এর পর আদালতে ভাইস চেয়ারম্যানের আইনজীবী জানান, গত ২৮ নভেম্বর এসডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি জানতে চান, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে যে তার কোনও লিখিত প্রতিলিপি আছে কিনা। কিন্তু আইনজীবী জানান মৌখিক ভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এসডিও। এই যুক্তি মানতে নারাজ বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ করেননি ভাইস চেয়ারম্যান, তাই এই প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি।

LinkedIn
Share