Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে। বুধবার পুরুলিয়ার লোধুড়কায় বিজেপির পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে ফের বিজেপি-র  (BJP) হয়ে রাজ্যে ভোটের ময়দানে নেমেছেন মহাগুরু। বাঙলায় বিজেপির বাজিও তিনি। সেই মতোই বাঙালি আবেগে শান দিয়ে পুরুলিয়া থেকে প্রচার শুরু করলেন বঙ্গসন্তান মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন মিঠুন চক্রবর্তীর সাংগঠনিক বৈঠক ও পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন রয়েছে বাঁকুড়ায়। তাঁকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। গঙ্গাজলঘাঁটির দুর্লভপুরে আজ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। এরপর শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন মিঠুন। মেনুতে রয়েছে ভাত-ডাল, সবজি, আলু পোস্ত, মাছ। নিজেই রান্না করেছেন বিধায়ক। বিকেলে মেজিয়া কলেজ মাঠে মিঠুনের সভা। আগামীকাল বিষ্ণুপুরের সোনামুখীতে কর্মসূচি রয়েছে মহাগুরুর।

    কী বললেন

    বুধবার পুরুলিয়ার জনসভায় আগাগোড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদলকে নিশানা করে যান মিঠুন। এ দিন কর্মী সম্মেলন চলাকালীন এক বিজেপি কর্মী প্রশ্ন ছোড়েন, “আমার চপ বিক্রি হচ্ছে না। কোনও কাজও হচ্ছে না, তাহলে আমি কী করব দিদি? ” সত্যিই চপ বিক্রি হচ্ছে না নাকি, তাঁর কাছে জানতে চান মিঠুন। জবাবে ওই কর্মী বলতে শুরু করেন, “দিদি বলেছিলেন চপ বিক্রি করে…।” কথা শেষ করার আগে তাঁকে থামিয়ে মিঠুন বলে ওঠেন, “এ বার আমি একটা কথা বলি, কাউকে ছোট করে কোনওদিন কথা বলি না। আজও বলছি না। যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে।”

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জিএসটি বাবদ প্রাপ্য থেকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে বলে  অভিযোগ  তৃণমূলের। সেই নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মিঠুন। আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগ জানান বিজেপি কর্মীরা। জবাবে মিঠুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই ঘর যোজনার জন্য অনেক টাকা দিয়েছেন। সেটা দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে। ব্যাঙ্কে তার একটা নাম থাকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু টাকাটা কোথায় যাবে? এখানে তো অলরেডি তার উপরে পোস্টার মেরে দিয়েছে! বাংলা আবাস যোজনা করে দিয়েছে! সেন্টার বলছে, আগে হিসেব দিন। টাকাটা কিছুদিনের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। এটা সরকারের পয়সা। পাবলিকের পয়সা। এটা তোমার আমার পয়সা। সবাইকে হিসেব দিতে হবে।”

    বাঙালি খাবার ভীষণ প্রিয়

    পুরুলিয়ায় এদিন কাঁসার বাসনে বাঙালি খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ডিস্কো কিং। একেবারে বাঙালি মেনু। মাছ-ভাতে বাঙালি। এ প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, ‘‘বাঙালি খাবার আমার ভীষণ প্রিয়।  আমরা খাবার নিয়ে কথা বলব না তো কি বালি, কয়লা, গরু নিয়ে কথা বলব!’’ 

  • Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের লুকোচুরির রোগ যেন কিছুতেই সারছে না। ডেঙ্গি আক্রান্ত আর ডেঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে যেন বিস্তর গোলমাল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রাজ্য সরকারের তথ্য গোপনের রোগ মুক্তি না ঘটলে, রাজ্যবাসীর ডেঙ্গি থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। 

    বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এ বছর ডেঙ্গিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চলতি বছরে একাধিকবার স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কমবেশি ৮০ জন মারা গিয়েছেন। কিন্তু বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১১। তথ্যের এত ফারাক কেন? এ প্রশ্নের অবশ্য উত্তর নেই রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে। 

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পুজোর পরে ডেঙ্গির গ্রাফ মারাত্মক বাড়তে শুরু করে। প্রতি সপ্তাহে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলোতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। কিন্তু এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শীত আসছে, ডেঙ্গি নিয়ে আর উদ্বেগ বিশেষ নেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস পরের বছরের জন্য আরও বড় বিপদ তৈরি করবে না তো? 

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত সংক্রমক রোগের মোকাবিলা বছরভর করতে হবে। তাই শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা কমলেও প্রশাসনের কাজ থামালে চলবে না। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এ বছরে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পুর কর্মীর অভাব। নজরদারি করার জন্য পর্যাপ্ত পুর কর্মী ছিল না। তাছাড়া, প্রশাসনের একাধিক বিভাগের সমন্বয়ের অভাব, একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে গেলে চলবে না। শীতের দাপটে ডেঙ্গির গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডেঙ্গি কমার আশ্বাসে, সেই কাজে ভাটা পড়বে কিনা সে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গির তথ্য গোপনের রোগ না সারলে রাজ্যবাসীর ডেঙ্গির থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। কারণ, ডেঙ্গির ভয়াবহতা মানুষকে বোঝাতে হলে, সচেতন করতে হলে সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে। ডেঙ্গি নিয়ে এই লুকোচুরির প্রবণতা থাকলে, সেই কাজ সম্ভব নয়। চিকিৎসক শারোৎদ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে বোঝানোর আগে সরকারের বোঝা দরকার প্রত্যেক বছর রাজ্যের মানুষকে কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ, কয়েকটা কথা বলে দায় এড়াতে চাইছে প্রশাসন। ডেঙ্গি মোকাবিলার সদিচ্ছা আদৌও রাজ্য সরকারের আছে কি? ” 

    চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে সরকারের স্বচ্ছতার বড় অভাব। মানুষ ভুগছে, অথচ মানুষকে বুঝতে দেওয়া চলবে না। জানানো যাবে না। সত্যি এভাবে গোপন করা যায় না। এতে সমস্যা বাড়ে। জনস্বাস্থ্যের মতো বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করতে সরকারের নূন্যতম স্বচ্ছতা প্রয়োজন। ডেঙ্গির ক্ষেত্রে যে রাজ্য সরকারের তা নেই, সেটা প্রমাণিত।” বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেদের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমানো যাবে না। কোনও ভাবেই যাতে মশা জন্মাতে না পারে, সেটা সাধারণ মানুষকে দেখতে হবে। পাশপাশি পুরসভাকেও বারবার জানাতে হবে। যাতে ডেঙ্গি রোধে পুরসভা সক্রিয় থাকে, সে নিয়েও নাগরিক সমাজকেই সজাগ থাকতে হবে।

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ১০ কোটির লেনদেন! ব্যাঙ্ককর্মীকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: কেষ্ট, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ১০ কোটির লেনদেন! ব্যাঙ্ককর্মীকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মাামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি। আর এরই মধ্যে ফের অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই-এর আধিকারিকরা। আর এই টাকার উৎসের সন্ধান করতে বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীদের ডেকে পাঠায় সিবিআই। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টের নথিও চাওয়া হবে তাঁদের কাছে। অন্যদিকে গতকাল অনুব্রতের প্রাক্তন পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

    ব্যাংকের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকার সন্ধান করতে বুধবার সন্ধ্যায় বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এখানেই বোলপুরের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। কারা, কত টাকা, কার অ্যাকাউন্টে ও কীভাবে জমা দিয়েছিল তা জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, আজও ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসবাদ করবে সিবিআই, এমনও জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করেছে যে, অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে। যার ফলে এই টাকা কার ও কীভাবে এল, আর এর উৎস কী তা জানতেই গতকাল ব্যাঙ্কের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    ইডির জেরার মুখে কেষ্টর প্রাক্তন পরিচারক মুন

    এর আগেও বিশ্বজ্যোতিকে তলব করেছিল ইডি। তবে এই প্রথম ইডির মুখোমুখি হয়েছেন বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর মুন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মুন পৌঁছান দিল্লিতে ইডির দফতরে। তার পর থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। গরু পাচার মামলায় সিবিআই আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মুনের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকার। ইতিমধ্যেই বোলপুর পুরসভার ওই কাউন্সিলরের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে এ বার মুনকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

    উল্লেখ্য, ২০১১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল ৫ হাজার টাকা। বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলরও হন বিশ্বজ্যোতি। এরপর গরুপাচার মামলায় তাঁর নাম উঠে আসে। সিবিআই দাবি করে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। মুনের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাঁকে ডেকে জেরা করা হয়। আর এবার ইডির নজরে মুন।

  • West Bengal Weather: রেকর্ড পারদ পতন! আজ কলকাতার শীতলতম দিন, ঠান্ডা পড়বে আরও

    West Bengal Weather: রেকর্ড পারদ পতন! আজ কলকাতার শীতলতম দিন, ঠান্ডা পড়বে আরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা শহরে আজ আরও কমল তাপমাত্রা (West Bengal Weather)। গতকাল কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি, আজ সেটাই আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ ডিগ্রির ঘরে। আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজই কলকাতার সবথেকে ঠান্ডা দিন আজ।

    রেকর্ড পারদ পতন…

    এই মরশুমের আজই কলকাতার শীতলতম দিন। গতকাল তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রিতে নামলে বলা হয়েছিল যে, গতকাল শীতলতম দিন এই মরশুমের। তবে গতকালের রেকর্ডকেও টপকে আজকে তাপমাত্রা কমে আসল ১৬-এর ঘরে। এবছরের নভেম্বরের মাঝ থেকেই শহরে শীত শীত ভাব অনুভূত হতে শুরু হয়েছে, যা সত্যিই বিরল ঘটনা। কারণ বিগত ৫ বছরে এমন ঘটনা মহানগরীতে ঘটেনি। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, এবছর শহরে শীত জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন:আজ এই মরশুমের শীতলতম দিন, আগামী ৫ দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    কলকাতার আবহাওয়া

    সপ্তাহের শুরুতে পারদ ২০-এর ঘরে থাকলেও সপ্তাহের শেষে ১৬-তে এসে নেমেছে। আর আগামী কয়েকদিন ১৬-এর ঘরেই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় সোমবার তাপমাত্রা ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি, বুধবার ১৭ ডিগ্রি এবং বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন শীতের আমেজ বজায় থাকবে (West Bengal Weather)। অবাধ উত্তুরে হাওয়ায় সপ্তাহের শেষে আরও পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আর কিছু দিনই বাকি কনকনে ঠান্ডা পড়তে। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই।

    চলতি মাসে কতটা কমবে তাপমাত্রা?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি রেকর্ড ঠান্ডা পড়তে পারে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও, যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে। চলতি সপ্তাহের শেষে অন্তত তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এই জেলাগুলিতে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে। আর দক্ষিণবঙ্গে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে (West Bengal Weather)।

    অন্যদিকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন, নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে আন্দামান সাগরে। আজ, ২৪ নভেম্বর ঘূর্ণাবর্ত তৈরী হতে পারে। যা পরবর্তীতে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপ কোনদিকে যায় সেদিকে নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা (West Bengal Weather)।

  • Basirhat Police Officer: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের

    Basirhat Police Officer: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী (Basirhat Police Officer) প্রভাত সর্দার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা প্রভাত। মঙ্গলবার বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। আপাতত পুলিশকর্মী বিপদমুক্ত বলেই জানিয়েছে পরিবার।

    উল্লেখ্য, সোমবার বসিরহাট (Basirhat Police Officer) তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। অশান্তি চরমে উঠলে তা সামলাতে এলাকায় উপস্থিত হয় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতেই আহত হন পুলিশ কর্মী প্রভাত সর্দার। ইতিমধ্যে ঘটনায় ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।   

     ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে 

    আহত পুলিশ কর্মী প্রভাত সর্দারের (Basirhat Police Officer) বাড়িতে রয়েছেন মা, স্ত্রী ও একটি ছোট্ট মেয়ে। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন পরিবার-পরিজনেরা। মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই পুলিশকর্মীর মা জানতে পারেন তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে নরেন্দ্রপুরের বয়নালা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ২০০৭ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। চাকরি সূত্রে বসিরহাটে থাকতেন প্রভাত। আবার অনেক সময় বাড়ি থেকেই যাতায়াত করতেন। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ডিউটিতে যোগ দেবেন বলে বাইক নিয়ে বসিরহাট র‌ওনা দেন তিনি। সেই রাতেই ঘটে এই ঘটনা। 

    আরও পড়ুন: রিহ্যাব থেকে ফিরেই গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল মাদকাসক্ত যুবক

    শাকচুড়া বাজারে তৃণমূলের ছাত্র নেতা আশরাফুজ্জামান বুলবুলকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ওই পুলিশকর্মী (Basirhat Police Officer)। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি কাঁধে লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে আহত প্রভাতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।   

    তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বিজেপির কটাক্ষ  

    আহত পুলিশকর্মীকে (Basirhat Police Officer) দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির বারাসাত জেলা সাংগঠনিক সভাপতি তাপস মিত্র। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন একজন অফিসার আহত হয়েছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সেইসময় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পিজি হাসপাতালে সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন উনি থাকলে বিজেপি কর্মীদের কপালে গুলি করতেন। যেভাবে গতকাল পুলিশ কর্মীকে গুলি করা হল, তাহলে এই ঘটনায় কি তৃণমূল কর্মীদের কপালে গুলি করবেন?” ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • West Bengal TET: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    West Bengal TET: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (West Bengal TET)। যে টেট পরীক্ষা ও নিয়োগ নিয়েই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, সেই টেট পরীক্ষাই ফের এবছর হতে চলেছে। ফলে এবছরের পরীক্ষাতে স্বচ্ছতা থাকবে কিনা, তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এবারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবছরের টেট পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনার জন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, এবছর রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৫০০ কেন্দ্রে টেট দেবেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি প্রার্থী।

    হাইকোর্টের নির্দেশের পর অপসারিত মানিক ভট্টাচার্যের জায়গায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Education Board) নতুন সভাপতি হন গৌতম পাল (West Bengal TET)। দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানান, ‘এবার প্রতিবছর টেট পরীক্ষা হবে এবং এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে।’

    কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    ১) এবছর টেট পরীক্ষার জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে (West Bengal TET)। এবারে উত্তরপত্রের কার্বন কপি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “প্রার্থী যে ওএমআর শিটে পরীক্ষা দেবেন, তার একটা কার্বন কপি নিয়ে যেতে পারবেন। টেটে এই ধরনের ব্যবস্থা আগে কখনও হয়নি।” এর আগে পরীক্ষার নম্বর নিয়ে এত কারচুপি হয়েছে ও ওএমআর শিটের নম্বর নিয়েও বদল করা হয়েছে, ফলে এবারে এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে পর্ষদ। যার ফলে পরীক্ষার্থীরা নিজেরাই নম্বর গুণে নিতে পারবেন যে, তাঁরা কত নম্বরের উত্তর ঠিক করে এসেছেন ও কত নম্বর পেতে পারেন।

    ২) জানা গিয়েছে, এবছরে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান বা পরিদর্শকেরা আর ওএমআর শিট এবং প্রশ্নের সিল করা প্যাকেট খুলবেন না। পরীক্ষার্থীরাই তা খুলে নেবেন।

    ৩) এবারে কোনও বেসরকারি ডিএলএড কলেজে টেট পরীক্ষা হচ্ছে না। সমস্ত সরকারি ডিএলএড কলেজ, স্কুল ও অন্যান্য কলেজে এই পরীক্ষা হবে।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    ৪) আরও জানা গিয়েছে, এবছরের টেট পরীক্ষার জন্য যেসব কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে, পরীক্ষার দিন সেইসব এলাকায় জারি করা হবে ১৪৪ ধারা। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    ৫) আবার পর্ষদ থেকে এও জানানো হয়েছে পরীক্ষার্থী, পর্যবেক্ষক, কারোরই পরীক্ষা হলে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। ঘড়িও পরতে পারবেন না প্রার্থীরা। সব ঘরে ঘড়ি থাকবে।

    ৬) পর্ষদের তরফে আগেই বলা হয়েছে, এনসিটিই-র গাইডলাইন ও আইন মেনে চলা হবে এই টেট পরীক্ষায়। এছাড়াও নির্বিঘ্নে যাতে টেট পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য জেলাশাসক অথবা মহকুমাশাসককে মাথায় রেখে সর্বত্র জেলাভিত্তিক কমিটি গড়া হবে।

    ৭) পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা দফতর থেকে একটি ১৬ দফা ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা সব জেলায় পাঠানো হচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩০০-র কিছু বেশি প্রার্থীরা বসবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে এক বা দু’জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার বলেন, “পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যে-স্কুল, কলেজ বা ডিএলএড কলেজে পরীক্ষা হবে, সেখানকার প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ হবেন সেন্টার ইনচার্জ। প্রতিটি কেন্দ্রে এক জন সরকারি অফিসারও ইনচার্জ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।” ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষার পর যত দ্রুত সম্ভব ফল ঘোষণা করা হবে বলেও পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে (West Bengal TET)।

  • Mithun Chakraborty: এখন শাসক শিবির ছাড়তে চান ক’জন বিধায়ক? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: এখন শাসক শিবির ছাড়তে চান ক’জন বিধায়ক? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে পৌঁছেই বিস্ফোরক দাবি করলেন মহাগুরু। বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। আগে সংখ্যাটা ছিল ২১ এখন তা বেড়েছে। ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। বর্ধিত  সংখ্যাটা ক্রমশ প্রকাশ্য। বিজেপির হয়ে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে এমনই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। আজ পুরুলিয়া সফরে যাচ্ছেন ডিস্কো কিং। 

    আরও পড়ুন: অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে! সারদা-প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    কী বললেন মিঠুন?

    বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির সদস্য মিঠুন (Mithun Chakraborty) গতবারও রাজ্যে এসে জানিয়েছিলেন, শাসকদলের ২১ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিন বলেন,সংখ্যাটা বেড়েছে। মঙ্গলবার কলকাতায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, কারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, চোখ এদিক-ওদিক ঘোরালেই বুঝতে পারবেন। তৃণমূলে যাঁরা ভালো, তাঁরা শান্ত। যাঁরা শান্ত, তাঁদের দিকে নজর রাখুন। যাঁরা শান্ত, তাঁদের শরীরী ভাষা সব কিছু বলে দেবে।” এখানেই শেষ নয়, আরও একধাপ এগিয়ে মিঠুনের বিস্ফোরক দাবি, “হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিলেন। রাজনীতিতে সবই সম্ভব।”

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মিঠুন দাবি করেন, “বাংলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিজেপি সংখ্যালঘুদের বিরোধী নয়, সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যদি কেউ উন্নয়ন ঘটাতে পারে তাহলে বিজেপিই পারবে।” তাঁর কথায়, “আমি সংস্কৃতি জগতের লোক। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করব না। সরকার ও শাসকদলের নীতিগত সমালোচনা করেই মানুষকে বুঝিয়ে দেব, বিজেপি কেন যোগ্য।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মিঠুনের সভা

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে জন সংযোগ বাড়াতে মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সূত্রে খবর, ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে  রাজ্যে। বুধবার পুরুলিয়ায় বিজেপির ( BJP ) পঞ্চায়েত সম্মেলনে যোগ দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, শুক্রবার বিষ্ণুপুর, শনিবার আসানসোলে সভা। রবিবার অনুব্রত-গড় বীরভূমে সভা করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ভোটে ব্লক স্তরে সংগঠনকে মজবুত করাই লক্ষ্য, জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • WB TET: জারি একাধিক বিধি, উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নবান্নে, টেট নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    WB TET: জারি একাধিক বিধি, উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নবান্নে, টেট নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান! দীর্ঘ ৬ বছর পর ফের টেট পরীক্ষা হতে চলেছে রাজ্যে। পরের মাসেই টেট। আর এই টেট নিয়েই প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু হয়েছে। টেটে কীভাবে স্বচ্ছতা আনা যায়, তা নিয়ে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ। আর এবারে টেট পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিল রাজ্য প্রশাসন। গতকাল টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করা হয়েছে।

    বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি পরিবহণ দফতর, সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary)। টেট সুষ্ঠুভাবে করানোর জন্য ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি জেলা স্তরে আর একটি মহকুমা স্তরে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, টেট নিয়ে ডিএম এবং এসপিদের সঙ্গে একটি সমন্বয় কমিটি গড়ার কথা বলা হয়েছে। টেটের দিন যাতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি না-হয়, সেই বিষয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। পরীক্ষা চলাকালীন নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার কথাও বলে মুখ্যসচিব।

    আরও পড়ুন: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    আরও জানা গিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। যেমন- কোনও গ্যাজেট, স্মার্ট ওয়াচ, মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা যাবে না পরীক্ষা কেন্দ্রে। পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে জারি করতে হবে ১৪৪ ধারা। এমনকি গণ টোকাটুকি রুখতেও জেলা প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর রাখা হবে, এও বৈঠকে বলা হয়। আরও জানা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হবে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের দফতরে। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথে এবং কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভি রাখারও কথা বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এবছর টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ, যা আগেরবারের তুলনায় তিনগুণ। ১১ ডিসেম্বর, বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। ১৫০ নম্বরের পরীক্ষার জন্য সময় আড়াই ঘণ্টা। পরীক্ষা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট করতে হবে। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের গাইডলাইন থেকে জানা গিয়েছে, টেট উত্তীর্ণ সার্টিফিকেটের ‘লাইফ টাইম’ বৈধতা থাকবে। অর্থাৎ, টেট উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট দিয়ে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীরা যতবার খুশি নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও একজন পরীক্ষার্থী একাধিকবার টেটে বসতে পারবেন। এতকিছুর পরে শেষপর্যন্ত এই পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হতে পারে কিনা সেদিকে তাকিয়েই রাজ্যবাসী।

  • West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) বিরুদ্ধে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। নয়া বছরের প্রথমেই কোমর বেঁধে আন্দোলনে নামছেন তাঁরা। ২৭ জানুয়ারি গণ ছুটির (Mass Holiday) ডাক দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। কলকাতায় ডাক দেওয়া হয়েছে গণ অবস্থানের। এদিকে, বৃহস্পতিবার দিনভর সওয়াল জবাব শেষে ডিএ (DA) আন্দোলনে অংশ নেওয়া ধৃত ৪৭ জনের জামিন মিলল। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এদিন তাঁদের হয়ে সওয়াল করেন দুঁদে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।  

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বুধবার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে বিধানসভা পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের তিরিশটি সংগঠন। তিরিশটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। বকেয়া ডিএ চাওয়ায় পুলিশ কয়েকজনকে ঘুষিও মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হন কয়েকজন। টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় গাড়িতে। পুলিশের ধাক্কাধাক্কি থেকে রেহাই পাননি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও। ওই ঘটনায় ৪৭জনকে গ্রেফতারও করা হয়। এদিন তাঁদেরই জামিন মেলে।

    আন্দোলনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ…

    তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে (West Bengal Government) এই আন্দোলনে যে এখানেই দাঁড়ি পড়ছে, তা নয়। নতুন বছরের শেষের দিকে জোরদার আন্দোলনে নামছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মঞ্চের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যদি দ্রুত বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি না মেনে নেয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে এবং যাবতীয় শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগের দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযান করা হবে। ২৭ জানুয়ারি দেওয়া হয়েছে গণছুটির ডাক। কলকাতায় হবে লাগাতার অবস্থান।

    আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বুধবার আন্দোলন চলাকালীন যে ৪৭জনকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁদের হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা অভাবনীয়। পুলিশ ছেড়ে দেবে বলেও, ছাড়েনি। আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে, নাকি অন্য কিছু করেছে? কলকাতায় ১৪৪ ধারা হামেশাই ভাঙে। কী দোষ এদের? হেফাজতে রাখার যুক্তি কী? ডিএ দেবে না আবার আন্দোলনও করতে দেবে না?  এর পরে পরে এদিন সন্ধের দিকে জামিন দেওয়া হয় ধৃতদের। এদিকে, ডিসেম্বরের ২ তারিখে সুপ্রিম কোর্টে হবে ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। তারই শুনানি হবে ওই দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata Banerjee: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তাই কি ‘সেটিং’ তত্ত্ব খারিজ করতে তৎপর মমতা?

    Mamata Banerjee: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তাই কি ‘সেটিং’ তত্ত্ব খারিজ করতে তৎপর মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এ রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিই (BJP)। অথচ জি-২০ (G-20) সম্মেলন উপলক্ষে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এনিয়ে ‘দিদি-মোদি সেটিং’য়ের তত্ত্ব খাড়া করতে পারে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সহ অন্যান্য দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্কালে যা তৃণমূল নেত্রীর পক্ষে খুব একটা সুখকর হবে না। সেই কারণে এবার দিল্লি যাওয়ার আগেই তৃণমূল নেত্রী খোলসা করে দিলেন, কী কারণে এবার তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাইবা করবেন কেন?

    দিল্লি যাত্রার উদ্দেশ্য…

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে ডিসেম্বরের ৫ তারিখে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। এর আগে একাধিকবার নানা অছিলায় প্রধানমন্ত্রীকে এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তবে এই যে ৫ তারিখে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি, তার আগে যেবার তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছিলেন, সেবার সেটিং তত্ত্ব তুলে তাঁকে বিঁধেছিল বিজেপি সহ একাধিক দল। এবার যাতে বিরোধীরা সেই তত্ত্ব খাড়া করতে না পারে, তাই কী উদ্দেশ্যে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার তা খোলসা করলেন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লিতে যাব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী নিয়ে আলোচনা হবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, জি-২০ সম্মেলন নিয়েই আলোচনা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সনদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আমিও দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    এর আগের বার বিরোধীদের সেটিং তত্ত্বের জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী ((Mamata Banerjee))। বলেছিলেন, আমি রাজ্যের প্রাপ্য চাইতে গিয়েছিলাম। সেটাকে নাকি সেটিং বলে। ভিক্ষা চাইতে যাইনি, নিজেদের প্রাপ্য চাইতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমি কারও সঙ্গে সেটিং করতে যাই না। সবাই আমার সঙ্গে সেটিং করতে আসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক যাতে বিরোধীদের হাতিয়ার হয়ে উঠতে না পারে, তাই আগেভাগেই গেয়ে রাখলেন তৃণমূল নেত্রী।  বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আটকে রয়েছে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা। অথচ পঞ্চায়েত ভোটে ১০০ দিনের কাজ বড় ইস্যু। কারণ, অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে অনেকে আয় করে থাকেন। ফলে, সেই টাকা আটকে যাওযায় বিপাকে পড়েছে রাজ্য। সম্প্রতি, ওই টাকা পেতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দল। কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই টাকা পেতেই দিল্লির দরবারে ছুটছেন মমতা।  

    প্রসঙ্গত, আগামী বছর ভারতেই হবে জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলন সফল করতে কোমর কষে নেমেছে মোদি সরকার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে ওই সম্মেলন কীভাবে সফল করা যায়, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

LinkedIn
Share