Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের মামলা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- মামলা করেছিলেন। সেই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান কেষ্ট। কিন্তু সেই মামলার প্রতিলিপি এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে এমনই জানাল ইডি। তাই, নিজেদের অবস্থান জানাতে আরও কিছুটা সময় চাইল তদন্তকারী সংস্থা। তার ভিত্তিতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    আদালতে সওয়াল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলাটিরও শুনানি রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। দুই মামলাতেই তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। আগামী দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই দুই মামলার উপর। ইডির করা এফআইআর খারিজের মামলা রয়েছে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। অন্যদিকে সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আর্জির শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টেও মামলা চলছে। তার মধ্যেই উচ্চ আদালতে ইডির মামলা খারিজের আর্জি জানান অনুব্রত। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছিল উচ্চ আদালত। তখনই আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেন ইডির আইনজীবী। সেইমতোই এদিন ইডিকে কিছুটা সময় দিল আদালত। গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দুর্গ কাঁথিতে সভা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের কাছেই প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে হয়েছিল সেই সভা। এবার সেই একই মাঠে সভা করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে পারেন শুভেন্দু। জানা গিয়েছে, এখনও সভা করার অনুমতি মেলেনি প্রশাসনের তরফ থেকে, তাই এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই রেখেছে গেরুয়া শিবির। 

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার থেকেও বেশি মানুষ টানতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি। ধারণা করা হচ্ছে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাবেশ হতে পারে। সভার অনুমতি পেলেই বিজেপির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের

    কেন এই সভা?  

    গত শনিবার দুই হাই ভোল্টেজ সভায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) গড় কাঁথিতে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, উল্টোদিকে অভিষেকের লোকসভা ক্ষেত্র ডায়মন্ডহারবারে সভা করেন শুভেন্দু। দুই সভার সুই মঞ্চ থেকে নাম না করে একে অপরের দিকে নিশানা দাগেন দুই হেভি ওয়েট নেতা। 

    বিজেপি সূত্রে খবর, এবার কাঁথি থেকেই অভিষেকের অভিযোগ এবং কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)৷ সম্ভবত আগামী ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে পাল্টা সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে সভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাঁথি কলেজ মাঠ অথবা কাঁথি রেল স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে সভার পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। 

    কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন অভিষেক। সরাসরি করেছেন দুর্নীতির অভিযোগ৷ অভিষেক দাবি করেন, তমলুক এবং কাঁথিতে লোকসভা উপনির্বাচন হলে তৃণমূলই জিতবে৷ তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’- এই পন্থা নিয়ে চলছে বিজেপি। বিশেষত অভিষেকের তোলা অভিযোগের জবাব না দিলে বার্তা যেতে পারে বলেই মত গেরুয়া শিবিরের৷ অভিষেক এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই মৌখিক যুদ্ধ নতুন নয়৷ অতীতেও একজনের সভার পাল্টা সভা করেছেন অন্য নেতা৷ পরস্পরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন তাঁরা৷ এবার কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু অভিষেককে কী জবাব দেন, এখন তাই দেখার পালা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Aparup Roy: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টেসলা-নাসায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, কে এই বাংলার ‘বিস্ময় বালক’?

    Aparup Roy: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই টেসলা-নাসায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, কে এই বাংলার ‘বিস্ময় বালক’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই আসাধ্য সাধন করেছেন দুর্গাপুরের অপরূপ রায় (Aparup Roy)। ইতিমধ্যেই এই বিস্ময় বালক ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানীর শিরোপা অর্জন করে ফেলেছেন। একাদশ শ্রেণির ছাত্র অপরূপ রায়ের ভাষায়, সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। আপনার পায়ের দিকে না তাকিয়ে তারার দিকে তাকানো সবসময়ই ভাল।” পরামর্শ দিয়ে বলেন, “টেনশনকে একেবারেই কাছে আসতে দেওয়া চলবে না। শুধু স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন।” 

    ইতিমধ্যেই অপরূপের (Aparup Roy) দুটি বই, রসায়নের তিনটি পেপার প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জার্নাল ও পত্রিকায়। গবেষণাপত্রগুলি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যে যে জার্নালে তাঁর  গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলি হল-বিজ্ঞান ও গবেষণার আন্তর্জাতিক জার্নাল, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইন কেমিক্যাল সায়েন্সেস, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন পদার্থের জার্নাল। এই জার্নালগুলি যখন প্রকাশিত হয় তখন অপরূপ দশম শ্রেণীতে পড়তেন। 

    ২০২১ সালের মে মাসে অপরূপের (Aparup Roy) প্রথম বই, ‘সাধারণ রসায়নে সমস্যা’ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর দ্বিতীয় বই ‘মাস্টার ICSE কেমিস্ট্রি সেমিস্টার’ গত বছরেরই অগাস্টে প্রকাশিত হয়েছে।

    অপরূপের (Aparup Roy) বরাবরের লক্ষ্য বিজ্ঞানী হওয়া। রসায়নের প্রতি তাঁর নিবিড় ভালোবাসাই তাঁকে লকডাউনের ভয়ঙ্কর সময় পার করতে সাহায্য করে। অপরূপ বলেন, “লকডাউন চলাকালীন  আমি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য জলে লবণ দ্রবীভূত করার পরীক্ষাটি বেশ কয়েকবার করেছি এবং আমি কিছু নতুন পর্যবেক্ষণ করেছি, যা আমি আগে কখনও লক্ষ্য করিনি। এর জন্য আমি কয়েকজন এমআইটি বিজ্ঞানীর সাহায্য নিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “যখন লকডাউন ছিল, তখন কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি, তাই আমি বাড়িতে আমার সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু আরও অনেক অ্যাসাইনমেন্ট আছে, যা আমি বাড়িতে করতে পারি না। তাই, আমি এনআইটি দুর্গাপুরের রসায়ন বিভাগের প্রধানকে চিঠি লিখেছিলাম এবং তিনি রাজি হয়েছিলেন। তার জন্য আমার স্কুল থেকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে লকডাউন তুলে নেওয়ার পরে আমি এটা পেয়েছিলাম এবং আমি এখন NIT-এর একটি ল্যাবে আমার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    এছাড়াও বর্তমানে টেসলাতে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। যেখানে তাঁর দুই বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি (Aparup Roy) নাসাতে গবেষণা সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন।

    অপরূপ (Aparup Roy) আরও জানান যে ক্লাস সেভেন থেকেই তাঁর অনু-পরমাণুর প্রতি আগ্রহ ছিল। অপরূপ এখন JEE-র তে ভাল ফল করার জন্যে ইতিমধ্যেই কঠোর পরিশ্রম শুরু করেছেন। ভবিষ্যতে আইআইটি বম্বেতে পড়তে চান। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপরূপ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস- এর দ্বারা সম্মানিত হন। অপরূপ দশম শ্রণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।

    এছাড়া গোবর থেকে মশা নিরোধক তৈরির বিষয়েও গবেষণা করেছেন অপরূপ (Aparup Roy)। তিনি বিশ্বাস করেন, বাজারে যেই মশা নিরোধকগুলি পাওয়া যায় সেগুলি নিরাপদ নয় এবং ত্বকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই তিনি মশা তাড়ানোর জন্য নিজের ভেষজ বিকল্প তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি স্বীকৃত জার্নালে তা প্রকাশিতও হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Bharat Sevashram Sangha: প্রয়াত ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সহ সভাপতি স্বামী হিরন্ময়ানন্দজি মহারাজ

    Bharat Sevashram Sangha: প্রয়াত ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সহ সভাপতি স্বামী হিরন্ময়ানন্দজি মহারাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে গেলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের (Bharat Sevashram Sangha) সহ সভাপতি স্বামী হিরন্ময়ানন্দজি মহারাজ। দীর্ঘদিন ধরে রোগ-ভোগের পর ৯৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কলকাতার এক নামী বেসরকারি হাসপাতালে শুক্রবার গভীর রাতে তিনি প্রয়াত হন৷ ১৯৫৪ সালে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে যোগ দেন স্বামী হিরন্ময়ানন্দ।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ, হিমাচলে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নাড্ডার

    শেষ শ্রদ্ধা

    স্বামী হিরন্ময়ানন্দজি মহারাজ নিজেকে পুরোপুরি ভাবে নিযুক্ত করেছিলেন সেবামূলক কাজে। উত্তরবঙ্গে জনজাতি সমাজে উন্নয়ন ও শিক্ষা বিস্তারে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। সঙ্ঘের (Bharat Sevashram Sangha) প্রধান কার্যালয় কলকাতার বালিগঞ্জে। তিনি সঙ্ঘের সহ-সভাপতি পদে অভিষিক্ত হন ২০১২ সালে। দীর্ঘ দিন ধরেই সঙ্ঘ পরিচালিত সেবামূলক কাজে নিবেদিত ছিলেন । ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের তরফে দীর্ঘ সময় তিনি উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন। মিষ্টভাষী এবং সঙ্গীতানুরাগী স্বামী হিরন্ময়ানন্দজী মহারাজ প্রখ্যাত ছিলেন তাঁর বাগ্মিতা এবং রচনার জন্যও। তাঁর উদ্যোগে বহু জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শাখা আশ্রম এবং মন্দির।প্রয়াত সঙ্ঘ সহ সভাপতির মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বালিগঞ্জে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্যালয়ে রাখা ছিল। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 

    আরও পড়ুন: ‘সবাই একটাই বিয়ে করবে’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে কমিটি গড়ে বললেন চৌহান

    আচার্য শ্রীমত স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের(Bharat Sevashram Sangha)। ভারত সহ বহু দেশেই রয়েছে সঙ্ঘের শাখা। যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গায়ানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, কানাডা, ফিজি এবং বাংলাদেশ সহ প্রায় একশো আশ্রম রয়েছে । স্বামী হিরন্ময়ানন্দের অগণিত ভক্ত রয়েছে। এদিন তাঁরা সকাল থেকেই হিরন্ময়ানন্দকে শ্রদ্ধা জানান। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া ভক্তদের মধ্যেয 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক গড় ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সভা থেকেই শুভেন্দু বলেন, “ডিসেম্বরে ফের আসব। সঙ্গে হাতে করে লাড্ডু নিয়ে আসব।” তবে ঠিক কেন এই মিষ্টিমুখ তা পরিস্কার করেননি বিজেপি নেতা। 

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আমাদের এই সভাতেও ওরা বাধা দিতে চেয়েছিল। আমরা একটা ছোট প্যান্ডেলে সভা করেছি। এখানে মঞ্চ বাঁধা শুরু হওয়ার পর রাত ৯টার দিকে এখানকার এক কাউন্সিলরের বাহিনী এখানে ঢুকেছিল। ওদের আতঙ্কের নাম শুভেন্দু। তারা প্রথমে এসে যা করার করে দিল। পরে আরেক বাহিনী এল। তারা সব খুলে দিয়ে চলে গেল। আমাদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন। আমি বলেছি আপনারা কেউ ঝগড়াতে জড়াবেন না। সবার মাথায় হাত প্যান্ডেল কী করে হবে। আমি রাত ১১টায় ফোন করলাম হাওড়ার এক ডেকরেটরকে। উনি বললেন আমি বিজেপির লোক, অবশ্যই সাহায্য করব। আমি বলেছিলাম, মাইক-জেনারেটর সব নিয়ে গেছে। উনি এসে প্যান্ডেল করে দিয়েছেন। ২০০-র বেশি গাড়ি আটকানো হয়েছে। ২০ হাজার কর্মীকে আটকানো হয়েছে। ১০০ গাড়ি ভাঙা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সিকিউরিটি আছে। কিন্তু আপনাদের সুস্থ হয়ে ফিরতে হবে। কারণ, আগামী দিনে অনেক বড় লড়াই অপেক্ষা করছে।” 

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “২০১৪, ২০১৬ সাল পর্যন্ত এখানে ভোট হত। কিন্তু ২০১৮ সালে এখানে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। গত এক মাসে ১৯ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। তার পরে বলছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা।”

    আরও পড়ুন: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নিশানা দেগে বলেন (Suvendu Adhikari), “এখানকার সাংসদ সর্বভুক। কয়লা খান, বালি খান, গরু খান, স্কুলের ইউনিফর্ম খান, মদের বোতল খান। ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি দিয়ে সেখান থেকেও খেয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Jhalda: প্রশাসক নিয়োগের নির্দেশিকা অগ্রাহ্য কংগ্রেসের, ঝালদায় দু’ জন পুরপ্রধান!

    Jhalda: প্রশাসক নিয়োগের নির্দেশিকা অগ্রাহ্য কংগ্রেসের, ঝালদায় দু’ জন পুরপ্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের প্রশাসক নিয়োগকে অগ্রাহ্য করে ঝালদায় (Jhalda) পুরবোর্ড গঠন করল কংগ্রেস (Congress)। শনিবার নির্ধারিত সময়ে ঝালদা পুরসভায় পৌঁছে পুরবোর্ড গঠন করেন কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলররা। তার আগে তাঁরা সবাই মিছিল করে যান শহরের কংগ্রেস পার্টি অফিসে (Congress Party Office)।

    অনাস্থা ভোটে…

    ২১ নভেম্বর অনাস্থা ভোটে অপসারিত হন পুর প্রধান তৃণমূলের (Tmc) সুরেশ আগরওয়াল। শনিবার ছিল নয়া বোর্ড গঠনের দিন। তার ঠিক আগে শুক্রবার রাজ্যের পুর দফতর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জবা মাছোয়াড়কে ভারপ্রাপ্ত পুর প্রধান নিয়োগ করে। কিন্তু পুর দফতরের সিদ্ধান্ত বেআইনি দাবি করে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার ঝালদার ৫ কংগ্রেস ও ২ নির্দল কাউন্সিলর নয়া পুর প্রধান বেছে নেন। তাঁরা শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুর প্রধান নির্বাচন করেন। এদিন তার আগে নির্দল কাউন্সিলর শীলা এবং সোমনাথ কর্মকার জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা জানান। তার পরেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে শীলাকে পুর প্রধান নির্বাচন করা হয়। শীলা বলেন, ঝালদা পুরসভা এলাকার মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই হবে আমার প্রথম কাজ।

    এদিকে, এদিনের পর ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় পুর প্রধান হলেন দুজন। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হল প্রশাসনিক জটিলতা। এ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাত বলেন, পুর দফতর যে ১৭ এ আইনে ভারপ্রাপ্ত পুর প্রধান মনোনীত করেছেন, তাঁর কাজ নতুন পুর প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করা। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে পুর প্রধানকে বেছে নিতে হবে। কিন্তু তার আগেই আমাদের তিনজন কাউন্সিলর ৩ ডিসেম্বর নয়া পুর প্রধান নির্বাচনী সভা ডেকেছিলেন। তাই পুর দফতরের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।  

    আরও পড়ুন: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    নিহত কাউন্সিলর কংগ্রেসের তপন কান্দুর স্ত্রী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা বলেন, দল শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুর প্রধান ঠিক করেছে। আমরা সকলে তাঁকে সহযোগিতা করব। ঝালদা পুরসভার মানুষ যাতে পরিষেবা পান, তার ব্যবস্থা করব। তিনি বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট আমার স্বামীকে কারা মেরেছে। যে কোনও উপায়ে ঝালদা পুরসভা দখল করতে চায় তৃণমূল। আমরা আদালতে যাব। তিনি বলেন, এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আজ, অভিষেকের গড়ে শুভেন্দুর সভা! ৪০ হাজার লোকের জমায়েতের আশা

    Suvendu Adhikari: আজ, অভিষেকের গড়ে শুভেন্দুর সভা! ৪০ হাজার লোকের জমায়েতের আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) সভা করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি সূত্রে খবর, ৪০ হাজার লোকের জমায়েত হবে।

    সভার তোড়জোড়

    আজ, দুপুর ১টায় অভিষেকের কেন্দ্রে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) জনসভা। ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) এই সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির (BJP)। তৃণমূলকে সাহায্য করছে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন। লাইট হাউস মাঠ থেকে চেয়ার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বলে দাবি বিজেপির। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পুলিশ-প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। জোর করে মঞ্চ খুলে দেওয়ার চেষ্টা, চেয়ার ছোড়াছুড়ি থেকে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় তৃণমূল! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনার ভিডিও ট্যুইট করে অভিযোগ করেন, হাইকোর্ট তাঁর সভায় অনুমতি দেওয়ার পরও, তা বানচালের চেষ্টা করছে লুম্পেনবাহিনী!

    গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মতো, শব্দবিধি মেনে, সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করেই সভার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। জমায়েত হতেও শুরু করেছে সকাল থেকে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বিজেপি জানাচ্ছে, তাদের লক্ষ্য ৪০ হাজার মানুষ জড়ো করা। তবে তাদের অভিযোগ, শাসকদলের তরফে ভয় দেখানো হচ্ছে সাধারণ বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের। বিজেপির দাবি, শাসক শিবিরের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে সভায় জড়ো হবেন ৬টি বিধানসভা এলাকার মানুষ।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ারকে কিছুতেই ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন ডায়মন্ডহারবারে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দুর সভা শুনে প্রথম থেকেই তাতে বাধা দিয়েছে শাসক দল। তাদের ইন্ধনে পুলিশ প্রশাসন জায়গা দিচ্ছিল না। তার পরেও আমরা জায়গা পেয়েছি। আইনি লড়াইয়ের পর হাইকোর্টের নির্দেশে লাইট হাউসের মাঠে সভা করতে পারছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শনিবার ফলতা, বজবজ, মহেশতলা, সাতগাছিয়া, মেটিয়াব্রুজ-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের সভায় আসবেন মানুষ। এ ছাড়া মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন অংশ থেকেও লাইট হাউসের মাঠে জড়ো হবেন আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jhalda Municipality: হাইকোর্টের রক্ষাকবচে স্বস্তিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা

    Jhalda Municipality: হাইকোর্টের রক্ষাকবচে স্বস্তিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের আগামী বুধবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঝালদা পুরসভার ৬ বিরোধী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শনিবার ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠনের কথা। তার আগে পুলিশকে ব্যবহার করে শাসকদল কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের গ্রেফতার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আবেদনকারীরা। 

    ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন

    চলতি বছর পুরভোটে দেখা যায় ১২ ওয়ার্ডের ঝালদা পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পাঁচজন করে কাউন্সিলর জয়ী হন। অপরদিকে দু’জন নির্দল কাউন্সিলর জেতেন। এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর‌ই খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu)। হাইকোর্টের নির্দেশে খুনের তদন্তভার পায় সিবিআই (CBI)। এর‌ই মাঝে তৃণমূল দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে ঝালদায় বোর্ড গঠন করে। কিন্তু উপনির্বাচনে তপন কান্দুর ওয়ার্ডে জিতে যাওয়ায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা ফের পাঁচ হয়ে যায়। এরপরই তারা তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান সুরেশ আগর‌ওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। গত ২১ নভেম্বর অনাস্থা ভোটে পুরবোর্ড হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। দুই নির্দল কাউন্সিলর কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। 

    আরও পড়ুন: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    আগামী শনিবার,অর্থাৎ ৩ নভেম্বর নতুন বোর্ড গঠন হ‌ওয়ার কথা পুরুলিয়ার এই পুরসভায়। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, কংগ্রেসি ও নির্দল কাউন্সিলরদের জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে গ্রেফতার করা হতে পারে আস্থা ভোটের আগে। যার ফলে বোর্ড গঠনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হবে কংগ্রেস শিবির। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, আগামী বুধবার পর্যন্ত ঝালদা পুরসভার ৪ জন কংগ্রেসি ও ২ নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। আরও ১ কংগ্রেস কাউন্সিলর আগেই রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন আদালত থেকে। আদালতের এই নির্দেশের ফলে আপাতত স্বস্তিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharyee) আমলে দুর্নীতির আখড়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যের ছটা থেকে এখনই মুক্ত হতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে পর্ষদের আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে। অভিমত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Abhijit Ganguly)। দুর্নীতির তদন্তের জন্য প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেন বিচারপতি। সেই মতো বৃহস্পতিবারই মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সিবিআই।

    কী বললেন বিচারপতি

    টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আপাতত রয়েছেন জেল হেফাজতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই তাঁকে পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “দুর্নীতি ও মানিক ভট্টাচার্যের ছটা মুক্ত হতে পর্ষদের আরও ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।” নিয়োগ দুর্নীতিতে যে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা অনেকটাই এদিন ফের তা বুঝিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  “আমাকে কি আবার সিট পুর্নগঠন করতে হবে?” দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনোর কথা বলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    এদিন শুনানির সময় এক মামলাকারী দাবি করেন, টেটে নিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষায় কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কেবলমাত্র হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষা নেওয়াই হয়নি। তার পরেও তাঁরা ওই পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) এই অভিযোগ শুনে মন্তব্য করেন, ‘‘কেউ আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে বলে নম্বর পেয়ে যাবে, ব্রাজিলের জার্সি পরলে নম্বর পাবে না, এটা হতে পারে না।’’ এই মন্তব্য করে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি। 

    সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদনই জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় রক্ষাকবচের কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘রক্ষাকবচ খারিজ করার আবেদন জানান।’ 

  • Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও কড়া নির্দেশ দিতে পারে আদালত। তদন্ত সাহায্য না করলে মানিক ভট্টাচার্য ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমন পরামর্শও দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ না খুললে দুজনকেই ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। হাইকোর্টের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আশ্বাস বিচারপতির। 

    বিচারপতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জানতে চান, প্রেসিডেন্সি জেলে শেষ কবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ? কতক্ষণ জেরা করেছে? 

    আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন। জেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই জন্যেই সম্প্রতি তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। অন্য মামলায় তিনি যুক্ত আছেন কিনা তার খোঁজও চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে গ্রুপ ডি মামলায় চাকরি বাতিল হওয়া ৫৪২ জনের মধ্যে ৩৩০ জনের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে।

    বিচারপতি কী বলেন? 

    বিচারপতি আরও বলেন, “সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya) যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে তাকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করুন।আপনারা কোন পরিস্থিতিতে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিল্লি, অসম বা ভুবনেশ্বরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারেন? যেমন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে শিলং – এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।”  সিবিআই উত্তরে বলে, “সেটা বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।” বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে না নিলে তথ্য জানা সম্ভব নয়। জেলে কতক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন? আপনাদের  মাধ্যমে আমি সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে মুখ খোলার আবেদন জানিয়েছিলাম। তিনি মুখ খোলেননি। আপনারা সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। তারপর আমি তাকে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেব।” বিচারপতি আরও বলেন, ”একই ধরনের নির্দেশ মানিক ভট্টাচার্যর ক্ষেত্রেও দিতে হবে।”

    মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবজের বিষয়ে সিবিআই প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উত্তরে বলেন, “রক্ষাকবচ খারিজের আবেদন করুন । আমাকে কি আবার সিট পুনর্গঠন করতে হবে?”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

          

LinkedIn
Share