Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ  রাজ্য

    Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাতেই ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)আবেদন রাজ্যের। SSC নিয়োগে অতিরিক্ত শূন্যপদে (SSC Case) বেনামি-আবেদনের কৈফিয়ত চেয়ে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে (Manish Jain) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Judge Abhijit Ganguly)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষাসচিবকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের  

    রাজ্যের আবেদন

    শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সকাল সাড়ে দশটার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। প্রধান বিচারপতির সচিবালয় মারফত ই-মেইল করে আবেদন করে রাজ্য। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে রাজ্যের আবেদনের শুনানির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত শূন্যপদে বেনামি-আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। গতকাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেনামি আবেদনের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত এবং বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে হাজিরার নির্দেশ দেন।  এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    অবৈধ আবেদন

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। এরপরে সেই মামলাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে করা হয় এহেন আবেদন। এবিষয়ে কোনও লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। তখনই শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari:  সৌজন্য সাক্ষাত! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: সৌজন্য সাক্ষাত! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনে নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরে আলাদাভাবে নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের  সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পর ইংরেজিতে লেখা একটি গীতা তাঁকে উপহার দেন শুভেন্দু। রাজ্যপালও তাঁর নিজের লেখা একটি হিন্দি বই শুভেন্দুকে উপহার দেন। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষেই ডিসেম্বর রহস্যের উন্মোচন করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে রাজ্যের সবচেয়ে বড় চোর ধরা পড়বে। 

    রাজ্যপালকে রিপোর্ট

    বুধবার বিকেলে রাজভবনে আনন্দ বোসের হাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি রিপোর্ট তুলে দেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে শাসকের আইন চলে, আইনের শাসন চলে না।” রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে রাজ্যপালকে বোঝানোর জন্যই এই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে বইটি প্রকাশ করেছে, সেই বইটি তাঁর অনুমতি নিয়ে তাঁকে উপহার দিয়েছি। উনি এসেছেন সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য। যাতে সরকার ফর দা পার্টি, বাই দা পার্টি, অব দা পার্টি না চলে… যাতে সরকার ফর দা পিপল, বাই দা পিপল, অব দা পিপল চলে… জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যা বলে গিয়েছে, তা প্রথমদিন রাজ্যপালের কাছে বিরোধী দলনেতা হিসেবে তুলে দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিল। বিরোধী দলনেতার পদকে আমি সম্মান করি। তার দায়িত্বটাও বুঝি। সেটাই পালন করেছি।” রাজ্যপাল সংবিধানকে রক্ষা করবেন। সংবিধানের যে চারটি স্তম্ভ রয়েছে – বিধানসভা, আমলা, বিচারব্যবস্থা ও সংবাদমাধ্যম যাতে আক্রান্ত না হয় তা উনি দেখবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    ডিসেম্বর তত্ত্ব

    গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে মাসখানেক আগে থেকেই বারবার ডিসেম্বর তত্ত্বের কথা উঠে এসেছে। অনেকেই বলছেন সরকার বদলাবে। অনেকে বলছেন অপেক্ষা করুন, কী হবে দেখাই যাবে। তবে এদিন নয়া রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর ডিসেম্বরে কী হতে চলেছে তা পরিষ্কার করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে রাজ্যের সবথেকে বড় চোর ধরা পড়বে। বিধায়ক ভাঙিয়ে নয়, ভোটে জিতে সরকার গড়বে বিজেপি।” তবে রাজ্যের সবথেকে বড় চোর কে সে প্রসঙ্গে খোলসা করে কিছু বলেননি শুভেন্দু। তাঁর কথায়, সময় হলেই সবাই সব কিছু দেখতে পাবে। সত্যি সামনে আসবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি থেকে হিংসা বাংলা এখন সব কিছুতেই শীর্ষে। আগে বাঙালি বলে গর্ববোধ হতো আর এখন বাঙালি শুনলে লোকে হাসে। শহরে এসেই বাংলার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন বাঙালির রোল মডেল মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শীতের শুরুতেই শাসক-বিরোধী দ্বন্দে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) সলতে পাকানো চলছে। এরই মধ্যে শহরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাংলায় দলের হয়ে প্রচারে এসেছেন মিঠুন। রাজ্যে পা দিয়েই এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শাসক থেকে সংবাদ মাধ্যম সবাইকেই দুষলেন মহাগুরু।

    মিঠুনের কথা

    কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে মিঠুন (Mithun Chakraborty) জানান, দলের সভাপতির নির্দেশে রাজ্যে এসেছেন। যা করবেন সবাই জানতে পারবেন তিনি লুকিয়ে কিছু করবেন না। ইদানিং বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষের সুরে মিঠুন বলেন,  “বাংলার ইমেজ এখন ফাটাফাটি। সব জিনিস টপ গিয়ারে চলছে। দুর্নীতিতে নম্বর ওয়ান। হিংসায় নম্বর ওয়ান। এখন বাংলাকে হারানো মুশকিল আছে।” মিঠুনের দাবি, একটা সময় ছিল যখন বাঙালি বলে গর্ববোধ করা যেত। এখন কিছু বললে সকলে হাসে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন বলেন, “আগে একটা সময় ছিল যখন বাঙালি মানে গর্ববোধ করা যেত। সেটা যেন কোথায় একটা চলে গিয়েছে। যে জায়গায় চলে গিয়েছে বাংলা সেখান থেকে কী করে ফিরবে আমি জানি না। তবে এর জন্য আমরা সকলেই দায়ী।”

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা

    ক্ষোভের সুরে মিঠুন (Mithun Chakraborty) সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন। বলেন, “মিডিয়া দায়ী। ভোটের পরে যে হিংসা হয়েছে, সেটা কতটুকু দেখিয়েছে মিডিয়া? দেখালে আজকে এই জায়গাটা আসত না। একটা রাজ্যে কোনও মিডিয়াই ছিল না যারা এই হিংসাকে দেখাবে। ৫৯ জন মানুষকে খুন করা হয়েছে। ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু, এক-দুজন ছাড়া কোনও সংবাদমাধ্যম সামনে আসেনি। আমি বিজেপির হয়ে কথা বলছি না। আমি এটা সাধারণ মানুষ হিসাবে বলছি।”

    বিপ্লবের ডাক

    রাজ্যে শাসক দলের দুর্নীতি দূর করতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মিঠুন (Mithun Chakraborty)। তিনি বলেন, দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরও হুঁশ ফিরছে না বাংলার মানুষের। তাঁর কথায়, “কোনও পলিটিক্যাল সাপোর্ট না নিয়ে রাস্তায় বসেছে, আন্দোলন করছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কোনও বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের সাপোর্ট নেয়নি। কিন্তু, বাংলার মানুষের হল কী? যে বাংলাকে আন্দোলনের মুখ বলা হত, বিপ্লবের মুখ বলা হত সেই মানুষরা কোথায়? কেন পার্টিদের আসতে হবে? কেন লাগবে পার্টি? কালকে সব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে যদি মাঠে মানুষ নেমে পড়ে। কিন্তু তারা কোথায়? আমি বিপ্লবের মধ্যে বড় হয়েছি। সেখানে এটা বুঝতেই পারি না কী করে হল। আমার মাথায় কিছু আসে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: আজ এই মরশুমের শীতলতম দিন, আগামী ৫ দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    West Bengal Weather: আজ এই মরশুমের শীতলতম দিন, আগামী ৫ দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই শীতের ব্যাটিং শুরু হতে চলেছে, আলিপুর আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী (West Bengal Weather)। যার কিছুটা টের পাওয়া গেল আজকেই। আজ শহর কলকাতায় এই মরশুমের শীতলতম দিন। পারদ আগে ১৭-এর ঘরে নামলেও আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারেই তাপমাত্রা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে একধাক্কায় আজ অনেকটাই কমেছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    শীত জাঁকিয়ে বসতে চলেছে শহরে…

    শহরে সকাল-সন্ধ্যায় শীতের আমেজ ভালোই অনুভূত হচ্ছে। সকালের দিকে কোথাও কোথাও কুয়াশা বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমায় বাতাসে শীত শীত ভাব অনুভব করা যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চড়া রোদের তেজের ফলে ঠান্ডা ভাবও চলে যাচ্ছে। তবে কনকনে ঠান্ডা পড়তে শহরবাসীদের ডিসেম্বরের অপেক্ষায় থাকতে হবে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আরও জানিয়েছে যে, আগামী চার-পাঁচ দিনে ২ থেকে ৩  ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে (West Bengal Weather)।

    কেমন আবহাওয়া থাকবে আজ?

    আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল থাকবে। সপ্তাহ জুড়ে এমন মনোরম আবহাওয়া বজায় থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া শুষ্ক ও পরিস্কার থাকবে (West Bengal Weather)।

    জেলায় জেলায় কেমন পরিস্থিতি?

    শহরে শীতের আমেজের আসা-যাওয়া থাকলেও আশেপাশের জেলায় বেশ জাঁকিয়ে বসেছে কনকনে শীত (West Bengal Weather)। রাজ্যের বাকি জেলাতে আজ পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। কাল থেকে মেঘমুক্ত পরিস্কার আকাশ দেখা যাবে। ফলে শুক্রবার থেকে রাজ্যজুড়ে আরও শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যাবে৷ এর ফলে তাপমাত্রা অনেকটাই নিম্নগামী হবে। আগামীকাল থেকে পানাগড়, শ্রীনিকেতনের মতো কিছু এলাকার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে। বাকি গোটা পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলায় নামবে পারদ। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূম, এই জেলাগুলিতে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে।

    তবে, আগামীকাল, ২৪ নভেম্বর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অনেক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রপাত সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু শুষ্ক থাকবে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলাগুলি। উত্তরবঙ্গেও আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। সেখানে আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না (West Bengal Weather)।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মন্ত্রী নন। হোমরাচোমরাও কেউ নন। তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনু্ব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তৃণমূল (TMC) নেত্রীর আদরের কেষ্ট। এহেন এক তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতেন। বীরভূম থেকে তিনি যখন কলকাতায় আসতেন, কিংবা কলকাতারই এক স্থান থেকে অন্যত্র যেতেন তাঁর গাড়ির মাথায় শোভা পেত লালবাতি। বাজত হুটার। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। তার পরেই নবান্নের কাছে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, লাল-নীল কত বাতি, কতজনকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার অপব্যবহারের জন্য সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে?

    মামলার নেপথ্যে…

    গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। মামলাটি করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর যুক্তি ছিল, অনুব্রত মণ্ডল এমন কোনও পদে নেই, যাতে লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা যায়। তাহলে তিনি লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেন কীভাবে? কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি লালবাতি লাগানো গাড়িতে পুলিশের নজর এড়িয়ে বীরভূম থেকে কলকাতায় আসেন সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেন ওই আইনজীবী। মঙ্গলবার হচ্ছিল ওই মামলার শুনানি। এদিন ওই মামলার শুনানিতেই আদালতের গুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতি রাকেশ শ্রীবাস্তবের প্রশ্ন, রাজ্যজুড়ে লালবাতি, নীলবাতির গাড়ি যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে কেন? সবই কি বৈধ? প্রধান বিচারপতি এদিন শুনানির সময় বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করে পদক্ষেপ নেওয়া যায়। এমন কত মামলা হয়েছে রাজ্যে? তাঁর এও প্রশ্ন, রাজ্যে মাল্টি কালার বাতির প্রচলন রয়েছে কি? এ ব্যাপারে সোমবারের মধ্যে জবাব চেয়েছে হাইকোর্ট। নবান্ন সূত্রে খবর, জেলাস্তরের বহু নেতা বিভিন্ন কমিশন বা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে গাড়িতে বিকন লাইট লাগানোর অনুমতি পেয়েছিলেন। অনুব্রতও (Anubrata Mondal) সেভাবে অনুমতি পেয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে বর্ধমানের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তখন তিনি এসেছিলেন স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির বোর্ড লাগানো একটি গাড়িতে চড়ে। এই গাড়ির মাথায় লাগানো ছিল লালবাতি। তবে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী, ওই পদে থেকে গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করা যায় না। তা সত্ত্বেও কীভাবে লালবাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরেছিলেন অনুব্রত? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Primary TET: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    Primary TET: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের প্যারাটিচারদের সঙ্গে এবার উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচারদেরও টেট (Primary TET) পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। সোমবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhya)। টেটে বসার সুযোগের আর্জি জানিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় বিচারপতি এই নির্দেশ দেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবারই ছিল টেট পরীক্ষার আবেদনের শেষ দিন। তাই এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ১১ তারিখে টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা। পাঁচ বছর পরে এবারই হচ্ছে এই পরীক্ষা। পরীক্ষায় বসবেন কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী।

    যোগ্যতার মাপকাঠি…

    টেট  (Primary TET) নিয়ে আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পর্ষদ। তাতে প্রথমে যে যোগ্যতার মাপকাঠি স্থির করা হয়েছিল, পরে তাতে অনেক বদল আনা হয়। প্রথমে বলা হয়েছিল, প্রাথমিকে কর্মরত প্যারাটিচারদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে এই ১০ শতাংশের মধ্যেই যুক্ত হচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও। প্রত্যাশিতভাবেই বাড়ল প্রতিযোগিতা।

    আরও পড়ুন: টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় মমতা-অভিষেক-শুভেন্দুর নাম! কী বললেন পর্ষদ সভাপতি?

    কেবল উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাই নন, এই টেটে (Primary TET) অংশ নিতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও। যাঁরা ইতিমধ্যেই বিএড পাশ করেছেন, তাঁরাও বসার সুযোগ পাচ্ছেন এই টেটে। প্রথমে বলা হয়েছিল, বিএডে পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর থাকলে তবেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ মিলবে। সম্প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাঁরাই বিএড পাশ করবেন, তাঁরাই বসতে পারবেন এই পরীক্ষায়। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশের জের এঁদের সঙ্গে যুক্ত হলেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী যেহেতু সোমবারই টেট পরীক্ষার আবেদনের শেষ দিন, তাই হাইকোর্টের এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট নয়।

    প্রসঙ্গত, এবার যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫টি। প্রার্থীদের একাংশের দাবি, এসসি, এসটি, এক্সম্পটেড ক্যাটাগরি এবং সংরক্ষণ বাদ দিলে শূন্যপদ থাকছে মাত্রই ৫ হাজার। প্রত্যাশিতভাবেই চাকরি প্রার্থীদের কাছে প্রতিযোগিতাটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘‘অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে!’’ শুভেন্দুর নিশানায় কে?

    Suvendu Adhikari: ‘‘অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে!’’ শুভেন্দুর নিশানায় কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা-তদন্ত পুরনো হয়নি। অপেক্ষা করুন ছবিটা সামনে আসবে। নাম না করে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেতা। সারদার ছবি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রশ্নও তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

    সারদা প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য, নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও পাচার কাণ্ডের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার ডাকে সোমবার কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল হয়। পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের সভায় শুভেন্দু বলেন,সারদা মামলা ও ছবি বিক্রির প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, “এই তো সবে সকাল। ছবি কেনাটা তো আসছে। সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা কার ছবি কিনেছিলেন? লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির? ভেবেছিলেন সারদা পুরনো হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা করুন। ছবি আসছে। সব সামনে আসবে।” ফের তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারিও দেন শুভেন্দু। পাশাপাশি এদিন চাকরিপ্রার্থীদের হয়েও সুর চড়ান তিনি। ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছিল, ”ছবি বিক্রির টাকায় আমি দল চালাব।” কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবির মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিত্রকলা বিশেষজ্ঞরা। এবার তাই নিয়ে তৃণমূল শিবিরকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।  তিনি বলেন, ”সারদাকাণ্ড নিয়ে ফের এগোবে ইডি। সারদাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রজত মজুমদারের ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছেন গোয়েন্দারা। শুক্রবারও গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয়েছে তাঁকে।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    সারদা-মন্তব্যে সমালোচনা

    মা সারদা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে চলতি বছরের জুনে উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক চিকিৎসক নির্মল মাঝি-র মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মা সারদার কথা টেনে বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তারই প্রেক্ষিতে নির্মলের নাম না করে কড়া সমালোচনা করেছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। কেন সারদা মায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা? ব্যাখ্যা চেয়েছিল মিশন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সোমবার নির্মল মাঝিকেও আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘তোলামূলের সংস্কৃতি কী? বলছে মা সারদা নাকি জন্মেছেন কালীঘাটে (Kalighat)’? মহুয়া মৈত্রকে আলট্রা মডার্ন-অতিশিক্ষিত তৃণমূলের জনপ্রিয় সাংসদ হিসেবে ব্যাখ্যা করে, তাঁর সাম্প্রতিক বিতর্কিত কালী মন্তব্যের কথাও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, “এই কথা যদি উত্তর প্রদেশে বা রাজস্থানে বলতেন, দোকানে আলকাতরা থাকত না। আজ এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুইপুরে (Baruipur) হত্যাকাণ্ডে দিল্লিতে শ্রদ্ধা-খুনের ছায়া। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির (Delhi) শ্রদ্ধা-হত্যার ঘটনা দেখেই খুন করে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের ছক কষে  তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। 

    দেহ টুকরো করে লোপাটের চেষ্টা

    পুলিশের দাবি, বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে ও স্ত্রী। তারপর মাকে সঙ্গে নিয়েই শৌচাগারে বাবার দেহ টুকরো করে ছেলে। করাত দিয়ে ৬ টুকরো করা হয় দেহ। তিনবারে সরানো হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ। প্রথমবার মাকে নিয়ে সাইকেলে চাপিয়ে দেহাংশ পুকুরে ফেলে আসে ছেলে। পরে আরও দু’বার একাই সাইকেলে দেহাংশ নিয়ে ফেলে আসে ছেলে জয়।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    গার্হস্থ্য হিংসার জের

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নৌসেনা থেকে অবসরের পর সারাক্ষণ নেশা করতেন উজ্জ্বল। তাঁর ছেলে জয় চক্রবর্তী পলিটেকনিক নিয়ে পড়াশোনা করে। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোর্স ফি দেওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ বাধে ছেলের। এর জেরে ছেলের গায়ে হাত তোলে বাবা। বাবাকেও ধাক্কা দেয় জয়। মাটিতে পড়ে যান উজ্জ্বল। স্ত্রী শ্যামলীর গায়েও হাত তোলেন উজ্জ্বল। তাঁকে আটকাতে গিয়ে তাঁর গলা টিপে ধরে ছেলে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জয়। জেরায় জয় জানিয়েছে, সে বুঝতে পারেনি বাবা মারা যাবেন। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পারে তখন ভয় পেয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। ঘটনার সময় সামনেই ছিলেন উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী শ্যামলী। বারুইপুর পুলিশের এসপি বলেন, “ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ও নেশা করা যে সমাজের জন্য কতটা ক্ষতিকর, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    কীভাবে মিলল দেহ

    গত ১৭ নভেম্বর বারুইপুর –মল্লিকপুর সড়কের পাশে মদনমাল্য গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর দেহ। দেহের হাত পা ছিল কাটা। দেহটি গোসাপ খাচ্ছিল। তাই দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। শ্যামলীদেবী দেহ সনাক্ত করেন। তিনি জানান ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নেশা করতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে সময়ের কথা শ্যামলীদেবী বলছেন, তখন বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি উজ্জ্বলবাবুকে। এর পরই মা ও ছেলেকে লাগাতার জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা। জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করে জয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CV Anand Bose: আগামী বুধবার শপথ নেবেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    CV Anand Bose: আগামী বুধবার শপথ নেবেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বুধবার ২৩ নভেম্বর শপথ নেবেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলায় সাংবিধানিক সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নেবেন তিনি। জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন রাজ্যপালকে শপথ গ্রহণের জন্যে ২১ নভেম্বর বা ২৩ নভেম্বর এই দুটি দিনের মধ্যে একটি দিন বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সিভি আনন্দ ২৩ নভেম্বর দিনটি বেছে নেওয়ায়, সেই দিনটিকে শপথ গ্রহণের জন্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগামী মঙ্গলবারই কলকাতায় নামবেন সি ভি আনন্দ বোস। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান মিটে গেলেই তিনি রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য বিনিময় করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।  

    কে এই সিভি আনন্দ বোস? 

    ১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারি কেরলের কোট্টায়ামে জন্মগ্রহণ করেন সিভি আনন্দ বোস। ১৯৭৭ সালে আইএএস হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ১৯৮৫ সালে কোল্লামের কালেক্টর থাকার সময় নির্মিতি কেন্দ্র গঠন করেন। এই প্রকল্পে কম টাকায় পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয় জনগণকে। এই ভাবনা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই দেশের সকলকে পাকা বাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘ম্যান অফ আইডিয়া’ হিসাবে পরিচিত তিনি। সরকারের বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছে আনন্দের ভাবনা। ১৯৮৬ সালে এই আমলাই জেলা পর্যটন উন্নয়ন পরিষদ গঠন করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবেও কাজ করেছেন আনন্দ।   

    এ ছাড়াও কেরল সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, জেনেভা এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিউশন এনার্জি অর্গানাইজেশন ও ফ্রান্সে ভারতের হয়ে  প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও অ্যাটমিক এনার্জি এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন সিভি আনন্দ বোস। জাতিসংঘে তাঁর উদ্যোগ চারবার ‘গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় বাসস্থান পুরস্কারে ভূষিত করে।  তিনি ‘শ্রী পদ্মনাভস্বামী’ মন্দিরের কোষাগার সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিরও প্রধান ছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

     

       

  • Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে। তবে কার কাছে সে টাকা গিয়েছে, তাঁর নাম নিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর নিশানায় কে, তাও খোলসা করলেন না নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক।

    ইডি এবং সিবিআই…

    কয়লাপাচারকাণ্ডের মূল পৌঁছতে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে জেরাও করেছে তারা। অভিযান চালানো হয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লাকেও। এঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, কয়লা পাচারের সঙ্গে এঁদের কোনও যোগ নেই। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুক্রবার ইডির দেওয়া চার্জশিটের প্রিন্ট আউট বলে দাবি করা কিছু কাগজ দেখিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত। তাতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীও যুক্ত রয়েছে। আয়কর হানায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার যে দু্র্নীতির হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। যিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    স্ব-বক্তব্যের দাবির সমর্থনে শুভেন্দু  (Suvendu Adhikari) এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত গুরুপদ মাজিকে দেওয়া ইডির দুশো পাতার চার্জশিরের কয়েকটি পাতার নম্বর উল্লেখ করে বলেন, এই চার্জশিটের কপি এখন জনসমক্ষে রয়েছে। আপনারা একটু কষ্ট করে দেখে নিন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত রয়েছে। তাতে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকেরা। ১২ ডিসেম্বর মামলা সুপ্রিম কোর্টে নির্দিষ্ট হয়েছে। তাই আমি ডিটেলস তথ্য প্রমাণ আপনাদের কাছে বলছি না। তিনি বলেন, এই মামলার মূল লাভবান, হাজার কোটি টাকা গেছে, তাঁর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে গেছে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে আছে ১২ ডিসেম্বর। এদিন তৃণমূলের জেলবন্দি নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, যাঁরা লুঠেরাদের সমর্থন করেন, তাদের কাছ থেকে আমরা শিখব না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share