Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই এই মামলায় চার্জশিট পেশ করতে পারে ইডি। থাকতে পারে মানিকের নাম। কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে। গত ১০ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতারের ৬০ দিনের মধ্যেই জমা দেওয়া হবে চার্জশিট। 

    শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিবিআইকে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককেই (Manik Bhattacharya) এই দুর্নীতির মাথা বলে দাবি করেছেন ইডি গোয়েন্দারা।

    মানিকের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে?  

    মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির প্রমাণ হাতে এসেছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। এই দুর্নীতিতে জড়িত আছে তাঁর ছেলেও বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। মানিকের ছেলের দুই সংস্থাতেও দুর্নীতি থেকে পাওয়া টাকা ঢুকেছে। আর এই সমস্ত তথ্য উল্লেখ করা থাকতে পারে পরবর্তী চার্জশিটে। এই দুর্নীতির টাকা মানিক কোথায় সরিয়েছেন, তারও উল্লেখ থাকতে পারে বলেই সূত্রের দাবি। 

    টাকা পাচারের মামলা হওয়ায় প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এ মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে ইডি। দুর্নীতির টাকা পাচারে মানিক ছাড়া আর কার কার নাম উঠে আসতে পারে তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনেই মানিক প্রায় এক দশক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মুহুর্তের ঠিকানা হাজত। মানিকের মামলাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম আসবে কী না তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের  
     
    ইডি সূত্রের দাবি, পার্থ-মানিক (Manik Bhattacharya) যোগসাজশের বেশ কিছু প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। দু’জনের পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়েছে। মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের ব্যাংকে- লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। কোনও কাজ না-করিয়েও কেন বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে সৌভিকের সংস্থার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। সেই লেনদেনেও দুর্নীতির আঁচ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। শুক্রবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে (TMC) এই ভাষায়ই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড়ে দলীয় সভার আয়োজন করে বিজেপি। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সুকান্তই। শাসক দলের পাশাপাশি এদিন পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও।

    খেলা হবে…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধের ব্যাপক প্রয়োগ করে তৃণমূল। দলের তরফে এনিয়ে গানও শোনানো হয় বিভিন্ন জনসভায়। তারস্বরে বাজানো সেই গানের চোটে ঘুম উড়ে যায় রাজ্যবাসীর। তৃণমূলের সেই অস্ত্রকেই এবার হাতিয়ার করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এদিনের সভায় তৃণমূলকে নিশানা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আপনারা এক পক্ষকে মারছেন। ভাবছেন বিজেপি কর্মীদের হাত-পা নেই। ঝান্ডার গায়ে ডান্ডা নেই। এটা ভাবলে ভুল করছেন। এর পরেই তিনি বলেন, খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। দু পক্ষেরই হবে। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আমরা তো ডাকছি, আপনারা দিল্লিতে আসুন। হাডুডু খেলি! কিন্তু কেউ যেতে চাইছে না। ভাইপো বলছে যাব না। পিসিও বলছে যাব না। সুকান্ত বলেন, কিন্তু কেন যাবে না, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    এদিনের সভায় অনুব্রত অনুষঙ্গও টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এক সময় চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা খাওয়ানোর কথা বলত, সেই কেষ্টও দিল্লি যেতে চাইছে না। দিল্লিতে গেলে ভাল গুড় বাতাসা, লাড্ডু খাওয়াব। তা সত্ত্বেও দিল্লির লাড্ডু খেতে চাইছে না। এর পরেই সুকান্ত বলেন, তাই সাবধান করছি!গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিন। বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তার মানে এই নয় যে বিজেপি দুর্বল। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেতাদের ঠান্ডা করতে জানে বিজেপি কর্মীরা। তার ওষুধও রয়েছে বিজেপির কাছে।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ডিসেম্বর মাস পড়ে গেছে। সরকার কাঁপছে। যত বড়ই চোর হোক, পার পাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, ততক্ষণ কোনও চোর চুরি করে পার পাবে না। সে যত বড় পদেই থাকুক না কেন। পুলিশের উদ্দেশে সুকান্ত বলেন, শাসক দলের তাঁবেদারি করা ছাড়ুন। আগামিদিনে লোকসভায় বিল আসবে। পুলিশের সংবিধান বিরোধী কাজ করা বন্ধ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডির (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বেসরকারি কলেজগুলিকে ‘নো অবজেকশন’ কিংবা অনুমোদন দেওয়ার জন্যও টাকা নেওয়া হত। ইডির দাবি, কলেজ পিছু ১০ থেকে ১২ লক্ষ করে টাকা নেওয়া হত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত।

    ইডির দাবি…

    প্রাইভেট ট্রেনিং কলেজের পর প্রাইভেট ল’ কলেজ ও ফার্মাসি কলেজ অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেই নেওয়া হয়েছে ওই পরিমাণ টাকা। ইডির একটি সূত্রের খবর, কলেজ পিছু আসা টাকা ভাগ হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে।   ইডির আরও দাবি, অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটি ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেও প্রভাব খাটিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, কোনও বেসরকারি ল’ কলেজ বা ফার্মাসি কলেজ খোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় শিক্ষা দফতরের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই বিষয়টিই মাথায় রেখে কাজ করে গিয়েছে পার্থ-মানিক জুটি। জানা গিয়েছে, যখন টাকার বিনিময়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হত, তখন তা দেওয়ার জন্য পার্থকে (Partha Chatterjee) সুপারিশ করতেন মানিক। কেবল তাই নয়, মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতির খোঁজও মিলেছে। ইডির দাবি, প্রসন্ন রায়ের মতো মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। তিনি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। সেই মধ্যস্থতাকারীকে চিহ্নিত করে তলব করা হতে পারে বলেও ইডি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সেই সব কলেজ চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

     এদিকে, এখনও পর্যন্ত ২৫টি প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিককে ডেকে বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। তাতে অফ লাইনে রেজিস্ট্রেশনে ঘুষের তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে বলেও দাবি ইডির। প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায়ও মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। মানিকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অবশ্য এই প্রথম নয়। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, যাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিতে চাইতেন, তাঁদের থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়া হত। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজে নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন না, তাঁদের অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। তাপসের দাবি, এভাবে অন্তত ২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Sukanta Majumdar: প্রথম সাক্ষাৎ রাজ্যপাল-বিজেপির রাজ্য সভাপতির, শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: প্রথম সাক্ষাৎ রাজ্যপাল-বিজেপির রাজ্য সভাপতির, শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরেই হবে তৃণমূল সরকারের পতন, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য বিজেপির তরফে। প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং পরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) গলাতেও সেই সুর শোনা গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবারই শুরু হচ্ছে সেই ডিসেম্বর। আর এদিকে আজই রাজভবনে নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । আর সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, প্রথমদিনেই তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নালিশ নিয়ে হাজির হন। এমনকি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে ভরা মোট ৬৩ পাতার নথিও রাজ্যপালের কাছে জমা দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ৬৩ পাতার নথি পেশ রাজ্যপালের কাছে

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন রাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কৃষি, শিল্পের অবস্থা থেকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, এককথায় রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) । তিনি এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমে বলেন, “রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি রাজ্যপালকে জানানো দরকার। রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে আইসিইউতে চলে যাচ্ছে। সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে পারছে না, রাজ্যে যে সমস্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলিতে যা যা সুবিধা পাওয়া উচিত সেগুলি মিলছে না। কৃষি, শিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষি পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কিষাণ যোজনা সহজে চালু করতে দেয়নি। শিল্পকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছু জানিয়ে আমরা ৬৩ পাতার নথি রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রামে বিশ্বাস নেই, কিন্তু আমাকে গালি দিতে রাবণকে টানে’’, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    তিনি আরও জানিয়েছেন, আগের রাজ্যপাল থাকাকালীন মমতার সরকার কী কী করেছে, সে বিষয়েও জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। আবার সি ভি আনন্দ বোসের মন্তব্যকে উল্লেখ করে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, বাংলা সিংহের মত গর্জন করবে। আমি রাজ্যপালের সঙ্গে সহমত। কিন্তু এই সরকার যেভাবে চলছে এটা চলতে থাকলে সেটা হবে না।”

    ফলে প্রথমদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেই একাধিক অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাই এরপর রাজ্যপালের কী পদক্ষেপ হতে চলেছে, সেদিকে তাকিয়েই রাজ্যবাসী। তবে এর ফলে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।

  • Suvendu Adhikari: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে শীতবস্ত্র না পেয়ে একেবারে হুলুস্থুলু কাণ্ড বেঁধে যায়। শীতবস্ত্র না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকি জেলা শাসক ও বিডিওকে তীব্র ভর্ত্‍‍সনা করেন তিনি। আর এই কাণ্ড নিয়েই এবারে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেদিনের সেই ঘটনা নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। শুভেন্দু ট্যুইট করে দাবি করেন, সেদিন শীতবস্ত্র বিতরণের কোনও কর্মসূচিই ছিল না। তিনি মিথ্যে কথা বলেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

    গত মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমদিন হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তিনি। আর সেখানে তিনি ঘোষণা করেন ১৫ হাজার শীতবস্ত্র প্রদান করবেন। কিন্তু তা চাইতেই ঘটল আরেক কাণ্ড। সরকারি আধিকারিকরা জানান, শীতবস্ত্র সেখানে আনা হয়নি। আর তাতেই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। শীতবস্ত্র কেন সেখানে আনা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর তিনি জেলাশাসক ও বিডিওকে তীব্র ভর্ত্‍‍সনাও করেন। তিনি মঞ্চ থেকেই বলেন, “পুলিশ একটা অন্যায় করলে দোষটা পরে আমাদের ঘাড়ে। আমরা জানি না। সরকার একটা অন্যায় করলে, গালাগালি খাই আমি। অথচ আমি জানিই না। আমার কোনও দোষ নেই।”

    মমতাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট শুভেন্দুর

    আর এরপরেই এই ঘটনাকে নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। কয়েকটি ট্যুইট করে একটি সরকারি নির্দেশিকার ছবি পোস্ট করেন। আর এটির অনুযায়ী স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের, হাসনাবাদের, মিনাখাঁর, সন্দেশখালি – i ও  সন্দেশখালি – ii এর বিডিও সাহেবদের যে জেলার গোডাউন (মালগুদাম) থেকে এই কম্বল ও শীতবস্ত্র গুলি ২৮ নভেম্বর সংগ্রহ করতে হবে এবং ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নিজের ব্লকের মধ্যে অবস্থিত পঞ্চায়েতগুলিতে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগণকে বিলি করতে হবে। আর এটিকে প্রমাণ হিসেবে ধরেই শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন নিশান করেন।

    এরপর তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী আচমকা সিদ্ধান্ত বদল করায়, তার বলি হতে হয়েছে ডিএম, বিডিওকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজের গরিব দরদী ভাবমূর্তি তৈরি করার জন্যে মঞ্চে উনি নাটক করেছেন।” তিনি আরও দাবি করেন, সেদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি নাটক করছিলেন। এছাড়াও বিজেপি মমতাকে খুব শীঘ্রই বিরোধী নেত্রী করবেন বলেও এদিন কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

  • Bhangar Arms: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে অস্ত্র-বোমা কারখানার হদিশ, ধৃত ২

    Bhangar Arms: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে অস্ত্র-বোমা কারখানার হদিশ, ধৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই অস্ত্র কারখানার খোঁজ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangar Arms)। বুধবার সারা রাতের তল্লাশি অভিযানের পরে ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। এই ঘটনায় নজরুল মোল্লা ও শামসুদ্দিন রহমান নামে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি 

    জানা গিয়েছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। নাটাপুকুর এলাকায় নজরুল মোল্লার বাড়ি (Bhangar Arms) পৌঁছে পুলিশ দেখে, বাবা-ছেলে মিলে বোমা বাঁধছে। এক কথায় হাতেনাতে তাদের ধরে পুলিশ। সেই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশের হাতে আসে। উদ্ধার হয়েছে ১টি একনলা বন্দুক, ১টি কার্তুজ, ৫টি সকেট বোমা ও ১৫ কিলোগ্রাম বোমা বানানোর মশলা।

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করুন ১৮৩ জনের ভুয়ো নিয়োগের তালিকা, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের    

    তল্লাশি অভিযান শেষ হলে, থানায় ফিরে নিয়ম মাফিক সাংবাদিক বৈঠক করেন কাশীপুর থানার ওসি। সামনে সাজিয়ে রাখেন উদ্ধার হওয়া সামগ্রী (Bhangar Arms)। তিনটি টেবিল ভরে রাখা হয় সেই সামগ্রী।  

    ধৃতদের বৃহস্পতিবার সকালে বারুইপুর আদালতে চালান করেছে কাশীপুর থানা (Bhangar Arms)। এই অস্ত্র কারখানার পিছনে মূল মাথাদের সন্ধান পেতে, এই দুজনকে হেফাজতে রাখতে চায় পুলিশ। এই সব বোমা ও অস্ত্র কাদের কাছে বিক্রি করা হত তাও জানার চেষ্টা চলছে।  

    অস্ত্র কারখানার খোঁজ মিলতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দাবি (Bhangar Arms), ধৃত নবিরুল শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতী। এর আগে একাধিকবার সে আইএসএফ কর্মীদের হুমকি দিয়েছে। এলাকায় বোমাবাজি করা তার নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Weather Update: তাপ বাড়ছে শহরের, ডিসেম্বরের শুরুতে অধরাই শীত

    Weather Update: তাপ বাড়ছে শহরের, ডিসেম্বরের শুরুতে অধরাই শীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শুরুতেও শহর কলকাতায় অধরাই শীত (Weather Update)। মেঘলা আকাশ থাকায় উত্তর-পশ্চিম বাতাস প্রবেশ করতে পারছে না রাজ্যে৷ কিছুদিন আগেও ঠান্ডার আমেজ থাকলেও, হঠাৎ তা উধাও৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫ ডিগ্রি ৷ কলকাতা এবং তার আশপাশে এলাকায় আবহাওয়া খানিকটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে৷ জেলাগুলি থেকেও ঠান্ডার আমেজ হাওয়া। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, কাল শুক্রবার থেকে ফের ফিরতে পারে শীতের আমেজ৷ হেমন্তেও, বসন্তের উত্তাপ পাচ্ছে রাজ্য৷ এখনও হাল্কা করে চালাতে হচ্ছে ফ্যান৷ 

    কিন্তু আবহাওয়ায় কেন এই পরিবর্তন?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই আবহাওয়ায় (Weather Update) এই পরিবর্তন৷ সপ্তাহের শেষে শীতের আমেজ ফিরবে৷ তবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার এই পরিবর্তন থেকে রেহাই পেয়েছে উত্তরবঙ্গ৷ তাপমাত্রার নিম্নগতি এখনও অব্যহত৷ উত্তরের পাঁচটি জেলার মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ইতিমধ্যে জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে৷ পারদ দশ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে৷ চলতি মাসে তাই জমিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করবে উত্তরবঙ্গবাসী৷

    আরও পড়ুন: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    কলকাতায় কবে ফিরবে শীত?   

    আবহাওয়াবিদদের মতে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে শীত পড়ার (Weather Update) সম্ভবনা নেই৷ তবে চলে যাওয়া হাল্কা ঠান্ডার আমেজ আগামিকালই ফিরবে৷ ফের ২-৩ ডিগ্রি নামবে পার৷ বুধবার কলকাতা এবং তার আশপাশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি৷ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮০ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ৷ বৃহস্পতিবার দিনের আকাশ থাকবে রৌদ্রজ্জ্বল৷ সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি ও ২১ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে৷ বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা জলীয় বাষ্পের জেরেই এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুর হাওয়া অফিস বলছে,  জলীয়বাষ্পের প্রবেশ বেড়েছে বঙ্গোপসাগরে, এইজন্যে শহরে মেঘলা আকাশ ছিল, সেই  কারণে দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে কিছুটা বেড়ে গেছে। তবে হাওয়া অফিস এটাও আশ্বস্ত করছে, পরবর্তী দু-তিনদিনের মধ্যে বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা ফের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চলে আসবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      
      
     

        
     

  • Government Hospitals: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

    Government Hospitals: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি এলেন, দেখলেন ও বললেন! আর তারপরেই যত বিপত্তি! বিতর্ক যেন থামছে না। সরকারি হাসপাতাল (Government Hospitals) নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরে বিস্মিত ও আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। বিরক্ত চিকিৎসক মহল থেকে স্বাস্থ্য কর্মী সকলেই। 

    এসএসকেএম হাসপাতালের (Government Hospitals) ট্রমা কেয়ার কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। রোগীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে তাণ্ডব চালায় এক রোগীর পরিজনেরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন ঢোকাতে হলেও হাত ফুলে যায়, রক্ত পরীক্ষা করাতে গেলেও যে ইঞ্জেকশন দিতে হয়, তাতে হাতে কালসিটে দাগ পড়ে যায়। ভয়ে তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান না। এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। অনেকটাই দেরি হয়। সরকারি হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা পেতেও অনেকটাই সময় লাগে। যা রোগীর পরিবারের কাছে বিরক্তিকর। 

    মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই বিতর্ক মাত্রা ছাড়িয়েছে। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের দাবি, খোদ মুখ্যমন্ত্রী যদি সরকারি হাসপাতালে (Government Hospitals) চিকিৎসা পরিষেবা নিতে না পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন? 

    রাজ্যের ৭৫ শতাংশ মানুষ সরকারি হাসপাতালের (Government Hospitals) উপরে নির্ভরশীল। এই ৭৫ শতাংশের মধ্যে ৫৫ শতাংশ কলকাতার বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করান। তার মানে এই সব জায়গায় ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না? সামান্য রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে কিংবা স্যালাইন দিতেই যদি মুখ্যমন্ত্রীর অসুবিধা হয়, তাহলে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য কাঠামো কি ভেঙে পড়েছে?

    দায় কার? 

    বিভিন্ন জনসভা কিংবা প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, বিশেষ করে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কথা বলেন। নিখরচায় চিকিৎসার কথা জানান। যদি সরকারি হাসপাতালে (Government Hospitals) সামান্য চিকিৎসাও না হয়, তাহলে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য খাদে এত বরাদ্দের বিজ্ঞাপন কেন? প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞেরা। 

    স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্য (Government Hospitals) ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজন মতো নিয়োগ করা হয় না। এই মূল সমস্যাগুলো সমাধান না করলে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতি সম্ভব নয়। সেটা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। কিন্তু তারপরও কোনও অদৃশ্য কারণে বাস্তব সমস্যাগুলোর সমাধান হয় না। 
    চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তিতে দালাল চক্রের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রাজ্যের শাসক দলের একাংশও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালে (Government Hospitals) ভর্তির জটিলতা নিয়ে নানান কথা বললেও দালাল চক্র রুখতে সরকারের কড়া অবস্থান নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা কেন দিলেন না? সেই প্রশ্ন ও উঠছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করার জের, আসাম মহিলা কমিশনের নোটিস বদরুদ্দিন আজমলকে 

    সর্বোপরি, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি স্বাস্থ্য (Government Hospitals) ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য অবহেলাকে স্পষ্ট করে দিলো, আরেকদিকে চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনাকেও ইন্ধন জোগালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। সরকারি হাসপাতালে নূন্যতম পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া না হলে, তার দায় সরকার তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারেন না। তেমনি, পরিষেবায় কোনও ত্রুটি থাকলে স্বাস্থ্য কর্মী বা চিকিৎসককে নিগ্রহ করা যায় না। তার জন্য আইন আছে। মুখ্যমন্ত্রী কখনোই সেটা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে চাইছেন না। এতে রোগী পরিষেবা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Awas Plus: আমতায় আবাস যোজনার বাড়ি সমীক্ষায় যাওয়া মহিলা আধিকারিককে ‘বেধড়ক মার’!

    PM Awas Plus: আমতায় আবাস যোজনার বাড়ি সমীক্ষায় যাওয়া মহিলা আধিকারিককে ‘বেধড়ক মার’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Plus) আওতায় হওয়া বাড়ির সমীক্ষার কাজে গিয়ে স্থানীয় বাধার সম্মুখীন হয়ে চলেছেন সরকারি আধিকারিক-কর্মীরা। বিগত কয়েকদিন ধরেই এমন ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে। সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি ঘটে গেছে বৃহস্পতিবার, হাওড়ার আমতায়। যেখানে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় হওয়া বাড়ির যাচাই করতে যাওয়া সরকারি মহিলা আধিকারিককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বাড়ির মালিক, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এই মর্মে, গোটা ঘটনার সম্পর্কে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ জানানো হয়েছে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সরকারি সমীক্ষাকারী (PM Awas Plus) দলের এক সদস্য জানান, উদাং-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁরা বাড়ি সমীক্ষার কাজ করছিলেন। সেই সময় স্থানীয় শঙ্করী কাওলের বাড়িতে যাচাইয়ের কাজে গেলে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ আধিকারিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। সরকারি দলের অভিযোগ, বাড়ির লোকরা তাঁদের মোবাইল ও সরকারি নথি ছিনিয়ে নেন। দলের মহিলা সদস্য তথা আমতা-১ ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সোমদত্তা দাশগুপ্তকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় গলায় থাকা সোনার চেন। আরও দাবি, দলের অন্য সদস্যদেরও মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এমনকি, গলা টিপে ধরা হয় বলেও অভিযোগ। ওই সরকারি টিমের দাবি, তাঁদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ ও বিডিও গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন (PM Awas Plus) সমীক্ষক টিমের সদস্যরা। ঘটনার কথা লিখিতভাবে জানানো হয়েছে মৎস্য দফতরের অধিকর্তা ও জেলাশাসককেও।

    আরও পড়ুন: ‘বেচাল দেখলেই ইমেল করুন’, কেন লিখলেন শুভেন্দু ?

    এই প্রথম নয়…

    বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি সমীক্ষা দলকে (PM Awas Plus) এভাবেই বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে খবর। তথ্য যাচাইয়ে গেলে সরকারি দলকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে, সমীক্ষা করতে গিয়ে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। অভিযোগ এসেছে গতকালই, আবাস যোজনা প্রকল্পে সমীক্ষা করার কাজ করতে গিয়ে সমীক্ষকরা বাধা প্রাপ্ত হয় পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া ১, পুঞ্চা, বরাবাজার প্রভৃতি ব্লকে। পুরুলিয়ার বরাবাজারের সিন্দ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা খুলতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। পুরুলিয়া ১ এর চাকলতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে সার্ভের কাজ বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    সরকারি হুঁশিয়ারিই সার

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Plus) ২০১৮ এর তালিকা যাচাইয়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এমনকি হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁদের। যে কারণে, গতকাল সমীক্ষার কাজ থেকে অব্যাহতি চাইলেন এই কাজে নিযুক্ত আশাকর্মী ও আইসিডিএসের কয়েকশো কর্মী। গ্রামীণ আবাস যোজনার (PM Awas Plus) অধীনে প্রাপকদের তালিকায় সমীক্ষা করতে গিয়ে কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করা যাবে না বলে বুধবার জেলাশাসকদের নিয়ে বিশেষ ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি কেউ যদি বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে চরম পদক্ষেপ করা হবে বলে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের তরফে৷ কিন্তু, হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও যে হুঁশ ফেরেনি, তা এই ঘটনাতেই প্রমাণিত।

  • Weather Update: শুক্রবার মরশুমের শীতলতম দিন! বড়দিনে কাঁপবে শহর?

    Weather Update: শুক্রবার মরশুমের শীতলতম দিন! বড়দিনে কাঁপবে শহর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে শীতের ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত। প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রার পারদ। আজ, শুক্রবার আবার কিছুটা নামলো পারদ (Kolkata Temperature)। শুক্রবার এই মরশুমের এখনও পর্যন্ত শীতলতম দিন। তাপমাত্রা ফের নামল ১৫.৬ ডিগ্রিতে। গত রবিবার তাপমাত্রা ১৫.৮ ডিগ্রি ছিল। তার থেকেও কমে শুক্রবার কলকাতার তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি। পাল্লা দিয়ে দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম হওয়ায় শীতের আমেজ বহাল থাকবে। কাল দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি। কোনও জলীয় বাষ্পের বাধা এখনও পর্যন্ত বাংলায় নেই। তাই উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড হয়ে শীতল হাওয়ার অবাধ প্রবেশ বহাল রয়েছে রাজ্যে। শনিবার থেকে কমবে শীতের আমেজ ( Kolkata Winter )। সোম মঙ্গলবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে। মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ১০০ জন মহিলার তালিকায় নির্মলা সীতারমন

    বড়দিনে কাঁপবে কলকাতা

    ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসের প্রভাব রাজ্যে পড়ছে না। সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। পাশাপাশি সারা দিন ধরে শহরের আকাশ আংশিক ভাবে মেঘে ঢাকা থাকবে বলে আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। যদিও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। সঙ্গে বাড়বে রাতের তাপমাত্রা। তবে মেঘলা আকাশের কারণে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর সামান্য করে বাড়বে তাপমাত্রা এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কিছুটা বাড়বে আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ১৫ ডিসেম্বরের পরে শীতের স্থায়ি স্পেল আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকেই চেন্নাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেই কনকনে শীত পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। বড়দিন এবং নতুন বছরে বাঙালি জমিয়ে শীত উপভোগ করতে পারবে বলেই দাবি হাওয়া অফিসের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share