Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিএড- ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিএড- ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে ইডি-র অফিসে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই তলব বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এর আগে  বেসরকারি বিএড এবং ডি এল এড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলকে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। মোট ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ দফতরে হাজিরা দিতে শুরু করেছেন। 

    আরও পড়ুন: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ, শহরে মিঠুন

    সোমবার ইডির দফতরে হাজিরা দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বসিরহাট মহাবোধি কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি সুজিত সরকার। তিনি বলেন, “তাপস মণ্ডল এবং বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের নির্দেশে টাকা দিয়েছিলাম মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের কোম্পানিকে। তখন জানতাম না, ওটা মানিকের ছেলের কোম্পানি। ইডি ডেকেছে, তাই এসেছি।”     

    গোটা রাজ্যে মোট বেসরকারি ডিএলএড কলেজ রয়েছে ৫৯৬টি। আর এই সব কলেজ থেকেই কম-বেশি টাকা তুলতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আর সেই বিষয়েই প্রশ্ন করা হতে পারে কলেজ কর্তৃপক্ষদের। এর আগেই মানিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তাঁর একদা ঘনিষ্ঠ বেসরকারি কলেজের মালিক তাপস মণ্ডল। পর্ষদের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক বয়ান দেন তাপস। তিনি দাবি করেছিলেন,  “পর্ষদের অফিসের পাঁচতলায় একটি এজেন্সি কাজ করত। তারাই এই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে সব দেখত। যাদের ঠিক করে দিয়েছিল সভাপতি হিসেবে মানিকবাবুই।” স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য ইডি আধিকারিকদেরও দিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতেই এদিনের তলব। মনে করা হচ্ছে, এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে তাঁদের। 

    কী উঠে এসেছে তদন্তে? 

    তদন্তে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের দু’টি সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ডিএলএড কলেজ  থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এছাড়া তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি বাবদ মানিক সারা রাজ্যের ৫৯৬টি ডিএলএড কলেজ থেকে পড়ুয়াদের মাথাপিছু ৫০০০ টাকা নিয়েছিলেন বলে উঠে এসেছে তদন্তে। বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে অনলাইনে ভর্তি বাবদ তাপসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Panchayat Election: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ কলকাতায় এলেন মিঠুন

    Panchayat Election: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ কলকাতায় এলেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শহরে তাপমাত্রার পারদ ওঠা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনীতির পারদও চড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)আসন্ন। তার আগে প্রচারে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই। কে-কাকে টেক্কা দেবে? চলছে সেই প্রস্তুতি। বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে মঙ্গলবার রাজ্যে এলেন মিঠুন চক্রবর্তী ( Mithun Chakraborty )। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন মহাগুরু।বুধবার পুরুলিয়ায় বিজেপির ( BJP ) পঞ্চায়েত সম্মেলনে যোগ দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, শুক্রবার বিষ্ণুপুর, শনিবার আসানসোলে সভা। রবিবার অনুব্রত-গড় বীরভূমে সভা করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ভোটে ব্লক স্তরে সংগঠনকে মজবুত করাই লক্ষ্য, জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।

    আরও পড়ুন: অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে! সারদা-প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    ময়দানে মহাগুরু

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে জন সংযোগ বাড়াতে মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) ময়দানে নামাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সূত্রে খবর, ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে  রাজ্যে। জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত সম্মেলনেও অংশ নেবেন তিনি।  মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে জেলা সফরে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তী শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের আইকন। চলতি মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করবেন।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    বাঙালি আবেগ

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যের নানা প্রান্তে সভা করতে দেখা গিয়েছিল। বলি-তারকার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রচার সভা করে গেরুয়া শিবির। তাঁকে ঘিরে বাঙালির যে আবেগ এবারও তাকেই হাতিয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যেই সাংগঠনিক তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি। ‘শক্তি মণ্ডল’ তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে তারা বুথ কমিটিও তৈরি করবে। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে,পঞ্চায়েত ভোটে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে বিজেপি। সেই জন্য প্রচারের কাজে লাগানো হবে মিঠুন চক্রবর্তীকে।  পুজোর আগে গত সেপ্টেম্বরে কলকাতায় এসেছিলেন মহাগুরু। নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তখন তোলপাড়। সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হতাশ মিঠুন বলেছিলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি দেখে আমার হতাশ লাগছে। ৪৩ বছরের কেরিয়ারে ২০০ কোটি টাকা দেখিনি। আর কামাতেও পারলাম না।’’ তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Akhil Giri Issue: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    Akhil Giri Issue: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির  কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। জনজাতি সমাজের প্রথম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর সমর্থনে ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমেছে জনজাতি সমাজ। বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ করছে এই ইস্যুতে। কারা মন্ত্রী অখিল গিরির কাঁথির বাসভবনের সামনেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। বর্ণবিদ্বেষমূলক এই মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির গাড়ি আটকে জনজাতি সমাজের বিক্ষোভও নজর এড়ায়নি রাজ্যের মানুষের। গত রবিবার সকালে বাঁকুড়ার খাতড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের জেরে গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে এলাকা ছাড়তে হয় মন্ত্রীকে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় জনজাতি সমাজের অন্যতম মুখ  বীরবাহা হাঁসদা অবশ্য এই ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জনজাতি সমাজের বিক্ষোভের এই উত্তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই আগামীকাল দেশ জুড়ে পালিত হবে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’। 

     ভগবান বীরসা মুন্ডার ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম 

    আগামী কাল ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। গত বছর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই দিনটিকে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করছে। বিরসা মুন্ডার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে তাঁর জন্মদিনেই ২০০০ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝাড়খন্ড রাজ্য গঠন করেছিল তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার। ‌বিমানবন্দর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই রয়েছে ভগবান বিরসা মুন্ডার নামে। জনজাতি সমাজের এই অবিসংবাদী নেতা ১৮৭৫ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝাড়খন্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী  মুন্ডা বিদ্রোহে তাঁর বীরত্ব গাথা ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে দেশের জন্য আত্ম বলিদান করেন মুন্ডা বিদ্রোহের এই নেতা। জনজাতি সমাজে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের জন্যই তাঁকে ভগবান বা ধরতি আবা বলা হয়। জনজাতিদের উপর হওয়া শোষণ এবং তাদের অধিকারের দাবিতে কিশোর বয়স থেকেই সক্রিয় ছিলেন ভগবান বিরসা মুন্ডা। জনজাতিদের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্মের রীতিনীতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এই নেতা। বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে মাত্র ১৫ বছর বয়সে দীক্ষা গ্রহণ করেন বিরসা মুন্ডা। তিনি পৈতে ধারণ করতেন। খাদ্যাভাসে নিরামিষাষী ছিলেন। কন্ঠস্থ ছিল তার রামায়ণ-মহাভারত সমেত অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থ।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    ১৮৯৪ সালে ব্রিটিশরা অরণ্য আইন বলবৎ করে। এই আইনের দ্বারা জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় । গর্জে ওঠেন জনজাতি সমাজের মানুষজন। ছোটনাগপুরে তীর ধনুক নিয়ে শুরু হয় বিদ্রোহ। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হলে, ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৫ সালে গ্রেফতার করে বিরসা মুন্ডাকে। বিচারে তাঁর দুবছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই বিরসা মুন্ডা পুনরায় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে ব্যাপক আকার ধারণ করে মুন্ডা বিদ্রোহ। ১৮৯৯ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর বিরসা মুন্ডার বাহিনী ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহরে ব্রিটিশ পুলিশদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অনেক পুলিশ কর্মী নিহত হন। ব্রিটিশ সরকার তখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। নামানো হয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। ইংরেজ সৈন্যদের আক্রমণের লক্ষ্য হয় ডোম্বারি পাহাড়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় জনজাতি সমাজের ৪০০ মানুষকে।  সেনারা বিরসা মুন্ডাকে ধরতে ব্যর্থ হয়। ঘোষণা করা হয় তাঁর মাথার দাম। সে সময়ে ভগবান বীরসা মুন্ডার মাথার দাম ছিল ৫০০ টাকা। ১৯০০ সালের এক গভীর রাতে চক্রধরপুর জঙ্গলে ঘুমিয়ে ছিলেন বিরসা মুন্ডা। ঘুমন্ত এবং নিরস্ত্র বিরসা মুন্ডাকে বন্দী করে ব্রিটিশ সরকার। বিচারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়। কারাগারেই মৃত্যু হয় তাঁর। এ নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কারো ধারণা তাঁকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছিল, তো কারও ধারণা অনুযায়ী, কলেরাতেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।

  • Dengue in Kolkata: মেয়রের ওয়ার্ডেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা! কবে কমবে দাপট?

    Dengue in Kolkata: মেয়রের ওয়ার্ডেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা! কবে কমবে দাপট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের আমেজ এলেও কমছে না ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রবিবার রাজ্যে নতুন করে প্রায় ৬০০ জনের কাছাকাছি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ৪ হাজার ৯৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গিতে মৃত্যুও। এখনও অবধি ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের 

    পুরসভার গাফিলতি

    তিন মাস আগে কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছিল পুরসভা। কিন্তু সচেতনতার অভাবেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরনিগম পিছিয়ে পড়েছে বলে সূত্রের খবর। কাউন্সিলরদেরও যে আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল মানছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। অতীন ঘোষের বক্তব্য, “কাউন্সিলরদের বুঝিয়ে বলেছিলাম কোন জায়গাটা আমাদের ধরতে হবে। কিন্তু এখন যা দেখছি, বোঝা যাচ্ছে সেই জায়গায় কিছু দুর্বলতা ছিল।” কলকাতা পুরসভার ( KMC)  সূত্রে খবর, শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে ১০০-জনের বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ( Mayor Firhad Hakim )  ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও অবধি ১১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বাধিক ৪৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে।  এই পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু মনোভাবই সার, অলিতে গলিতে মিলছে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ। আর্বজনা, জমা জল সবই নজরে পড়ছে। বস্তি অঞ্চলগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

    কবে কমবে দাপট

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণের ছবিটা অনেক বেশি উদ্বেগজনক। পুরসভার এক সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে, কলকাতা পুর এলাকায় বর্তমানে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬ হাজার ৫২ জন। গত বছর যে সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৯৩ । চলতি বছরে মোট আক্রান্তের ৭৬ শতাংশের বেশি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। অন্যদিকে, উত্তর কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১ হাজার ৩৭১ জন। স্বাস্থ্য পরিষেবাও বেহাল। সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর চাপ। এমতাবস্থায় শীত পুরোপুরি না পড়লে ডেঙ্গির দাপট কমবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Akhil Giri: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

    Akhil Giri: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করায় রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের হয়েছিল এফআইআর (FIR)। এবার খোদ রাজধানী দিল্লিতে অখিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। রবিবার সকালে রাজধানীর নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অবিলম্বে তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও পুলিশকে জানান লকেট।

    কী বললেন লকেট?

    থানা থেকে বেরিয়ে লকেট সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতিকে যেভাবে অখিল গিরি (Akhil Giri) অপমান করেছেন, তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। সব চেয়ে বড় কথা, নন্দীগ্রামের ওই সভায় অখিলের পাশেই ছিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, এটা কেবল রাষ্ট্রপতিকে অপমান নয়, পুরো আদিবাসী সমাজকে অপমান করা এবং মহিলাদের অপমান করা। লকেট বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা হয়ে একজন মহিলার অপমানের পরেও কোনও স্টেটমেন্ট নেই তাঁর। ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেল। হুগলির সাংসদ বলেন, যখন উত্তর প্রদেশে কিছু হয়, তখন মমতা নেতাদের দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিবৃতি দেওয়ান। বুদ্ধিজীবীরা সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। সাংসদরা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সেই স্পটে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মমতার কোনও বুদ্ধিজীবী, নেতা, মন্ত্রীর কোনও বিবৃতি নেই। লকেট বলেন, আমরা চাই, মমতা অখিল গিরিকে বরখাস্ত করুন এবং বিবৃতি দিন। তাঁর দাবি, অখিল গিরিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বসে রাষ্ট্রপতির পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের এক সভায় ভাষণ দিতে উঠে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন মন্ত্রী মশাই। এর পরেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বিজেপি। এই প্রতিবাদেরই অঙ্গ হিসেবে এদিন অখিলের (Akhil Giri) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন লকেট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Santragachhi: সংস্কার হবে সাঁতরাগাছি রেলওভারব্রিজ, জেনে নিন যান চলাচলের পথ

    Santragachhi: সংস্কার হবে সাঁতরাগাছি রেলওভারব্রিজ, জেনে নিন যান চলাচলের পথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিত্যদিন বাড়ছে যানবাহনের চাপ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওড়ার সাঁতরাগাছি (Santragachhi) রেল ওভারব্রিজ। হাওড়া (Howrah) কলকাতা (Kolkata) দুই যমজ শহরের অন্যতম প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম এটি। দীর্ঘদিন পরে ফের একবার শুরু হচ্ছে সংস্কারের কাজ। যার জেরে বন্ধ থাকবে ব্রিজের একাংশ। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৩ দিন বন্ধ থাকবে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর একটি অংশ। আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রিত হবে এই সেতুতে।

    কেন সংস্কার?

    জানা গিয়েছে, সাঁতরাগাছির (Santragachhi) ওই রেলওভার ব্রিজে কলকাতামুখী লেনের ২১টি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট খারাপ হয়ে গিয়েছে। সংস্কার করা হবে সেগুলিই। ২০১৬ সালে একবার সেতুর একটি লেন বন্ধ করে সংস্কার করা হয়েছিল এক্সপ্যানশন জয়েন্ট। সেই সময় কলকাতামুখী লেনের কাজ হয়নি। সম্প্রতি হয় সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। তখনই ধরা পড়ে গভীর অসুখ। রিপোর্টে জানা যায়, অবিলম্বে সেতুর জয়েন্ট সারাই না করা হলে, ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। তাই সেতুর কলকাতামুখী লেন বন্ধ করে মাস দেড়েক ধরে চলবে সেতু সংস্কারের কাজ।

    বুধবার সাঁতরাগাছির (Santragachhi) ওই রেলওভারব্রিজ নিয়ে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কলকাতা পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। সাঁতরাগাছি (Santragachhi) রেলওয়েব্রিজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সেতুর কলকাতামুখী লেনটি বন্ধ রাখা হলেও, অন্য লেনটি দিয়ে যান চলাচল করবে। ওই লেনটি দিয়েই দু দিকে যাতায়াত করবে গাড়ি। ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এভাবেই চলাচল করবে গাড়ি। রাত ১১টার পর বন্ধ হয়ে যাবে পুরো সেতুই। সংস্কার চলাকালীন সময়ে সাঁতরাগাছি রেলওয়ে ব্রিজ দিয়ে কোনও মালবাহী যান চলাচল করতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।   

    আরও পড়ুন: ‘নতুন জীবন পেলাম…’ দীর্ঘ ৩১ বছর পর জেলের বাইরে এসে কী বললেন নলিনী শ্রীহরণ?

    হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঠিক কবে থেকে পিডব্লুডি কাজ শুরু করবে, সে ব্যাপারে দ্রুত নোটিশ দেওয়া হবে। তবে আমরা ১৯ নভেম্বর থেকে সেতু বন্ধ রাখছি। সাঁতরাগাছি (Santragachhi) রেলওয়ে ব্রিজে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলে ব্যাপক যানজট হওয়ার আশঙ্কা। সমস্যা দূর করতে বিকল্প পথ বাতলে দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা। ওই সময় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজা পেরিয়ে আন্দুল রোড দিয়ে মৌড়িগ্রাম হয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে জাতীয় সড়কে। রাত ১০টার পর নিবেদিতা সেতু হয়ে কলকাতায় ঢুকতে পারবে মালবাহী গাড়িও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

  • TET Protest: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    TET Protest: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদেরই মধ্যে চাকরিপ্রার্থী অরণিমা পালের হাতে পুলিশকর্মীর কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় বিস্মিত রাজ্যবাসী। এবার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবলকে আগামী সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে লালবাজার৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ইভা থাপা নামে অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবারই লালবাজারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    অরুণিমাকেও জিজ্ঞাসাবাদ

    লালবাজার সূত্রে খবর, শুধু ইভা থাপাই নন, যাঁর হাতে কামড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই টেট পরীক্ষার্থী অরুণিমা পালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ অরুণিমা অন্যদের সঙ্গে কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভে নেমেছিলেন বুধবার। ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে বিক্ষোভ চলাকালীন অন্যদের সঙ্গে তাঁকেও পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। অভিযোগ, তখন এক মহিলা পুলিশকর্মী অরুণিমাকে কামড়ে দেন। যদিও প্রথমে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, অরুণিমাও নাকি ওই পুলিশকর্মীকে কামড়েছেন। কিন্তু ঘটনার দু’দিন পরে গতকাল সরকারি হাসপাতাল, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন, অরুণিমার হাতে মানুষের কামড়েরই ক্ষত রয়েছে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজ্য পুলিশ। শেষ পর্যন্ত লালবাজারের পক্ষ থেকে ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    লালবাজারের তদন্ত

    এই ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ ২ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়কে। আগামী সোমবার তাঁর অফিসেই ওই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। কামড়-কাণ্ডে ইনি ইভা এবং অরুণিমার বক্তব্য খতিয়ে দেখবেন। তবে, অভিযোগকারিণী অরুণিমা পালকে রোজই শেক্সপিয়ার সরণী থানায় হাজিরা দিতে হচ্ছে। ফলে তাঁকে সেখানেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। পাশাপাশি, যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেই ক্যামাক স্ট্রিটের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী অফিসার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রের জল জীবন মিশন (Jal Jeeban Mission) নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। এই প্রকল্পের আওতায় কাজের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি নলের মধ্য দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে বড়সড় দুর্নীতি করেছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, নলের মুখে যে ফেরুল লাগানো হয় তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা ৫০০ কোটি টাকার ‘কাটমানি’ নিয়েছে হাওড়া সদর ও সাঁকরাইলের নির্দিষ্ট চারটে এজেন্সির কাছ থেকে। এদিন নিজাম প্যালেসে সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন সব ঘরে পরিশ্রুত জল যাবে। জল জীবন মিশন নামে কেন্দ্রের যোজনা আছে। কিন্তু রাজ্য এটা কোথাও উল্লেখ করে না। এই নিয়ে আমি আগের রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলাম। এদিকে জল জীবন মিশনে ১০০ শতাংশ ফান্ড দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এতে রাজ্য সরকারের কোনও ফান্ড থাকে না।” 

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    হাওড়া জেলার একাধিক সংস্থা ফেরুল সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য খাটিয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তালিকায় রয়েছে বালাজি ট্রেডার্স, এ কে ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকো এন্টারপ্রাইজ, সাইবাবা এন্টারপ্রাইজ, প্রীতি এন্টারপ্রাইজ নামে কয়েকটি সংস্থাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, টেন্ডার দেওয়ার যে নিয়ম তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। সেখানে কিছু গোলযোগের অভিযোগ করেছেন তিনি। 

    নলবাহিত জলের ট্যাপের মুখে ফেরুল লাগানো হয়। এই ফেরল কেনার সময়েই বড় দুর্নীতি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। রীতিমতো একাধিক ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ফেরুলের এক একটির বাজারের দাম ২১৩ টাকা। কিন্তু, নথিতে দেখা যাচ্ছে কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকায়। একাধিক টেন্ডারের তথ্য হাতের সামনে এনে শুভেন্দুর দাবি, ৩২ টা টেন্ডারে কোথাও ২৭ হাজার ইউনিট, কোথাও ৩২ টেন্ডারে ২৪ হাজার ইউনিট, ৩২টি টেন্ডারে ৭৩ হাজার ইউনিট ফেরুল কেনা হয়েছে। প্রতিটাই কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকা দরে। এভাবে তৃণমূল নেতারা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দলের শীর্ষস্তরে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, গরু, কয়লা, পাথর পাচারের টাকা যেখানে পৌঁছয়, সেখানেই পৌঁছেছে এই টাকাও।

    শুভেন্দু দাবি করেন, ২জি স্পেকট্রাম, কমনওয়েলথ গেমসের মতো দুর্নীতি হয়েছে। আমি আজই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়তকে চিঠি লিখব। এই দুর্নীতির তদন্তের অনুরোধ করব তাঁকে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু না হলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করব।

  • Partha Chatterjee: দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা গিয়েছে তাঁর কাছেই, পার্থর জামাইকে জেরা ইডির

    Partha Chatterjee: দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা গিয়েছে তাঁর কাছেই, পার্থর জামাইকে জেরা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি স্ক্যানারে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য (Kalyanmoy Bhattacharya)। বুধবার ইডি (Enforcement Directorate) তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে। দুপুর দুটোয় আইনজীবীকে নিয়ে হাজির হন তিনি। তারপর চলে সাত ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা। মূলত, পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের যে স্কুল রয়েছে, সেখানে ১৫ কোটির বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর সেই বিষয়ে জানতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, তথ্যে একাধিক গরমিল থাকার কারণেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার রাত ১০ টার পর সিজিও থেকে বেরিয়ে যান কল্যাণময়। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    এবার উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইয়ের মাধ‌্যমে এসএসসি ও টেট দুর্নীতির ৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। এই ব‌্যাপারে আরও তথ‌্য পেতে জেরা করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের জামাই কল‌্যাণময় ভট্টাচার্যকে। ইডির দাবি, তাঁর বেশ কিছু উত্তরই সন্তোষজনক নয়। এখন না হলেও পরবর্তীকালে ফের তাঁকে জেরা করতে পারে ইডি।  

    কী অভিযোগ?

    ইডি গোয়েন্দাদের অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের মেয়ে ও জামাই দেশের বাইরে থাকলেও তাঁদের মাধ‌্যমেই প্রাক্তন মন্ত্রী এসএসসি ও টেট দুর্নীতির বিপুল টাকা সরিয়েছিলেন। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেরায় কল‌্যাণময় ভট্টাচার্য বলেছেন যে, তাঁর শ্বশুরের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি, মামার বাড়ির লোকেদের দিয়ে টাকা সরাতেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অবধি এসএসসি ও টেট দুর্নীতির ৫০ কোটি কালো টাকা পিংলার স্কুল ও পার্থর স্ত্রীর নামে তৈরি একটি ট্রাস্টের মাধ‌্যমে সাদা করা হয়েছে। নগদেও টাকার একটি বড় অংশ পাঠানো হয়েছে। কল‌্যাণময় ইডির জেরায় জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই আমেরিকার একটি আইটি সংস্থায় চাকরি করেন। ডলারে বেতন পেলেও লগ্নি করার মতো এত টাকা নেই তাঁদের। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। দুর্নীতির টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে তা জানতে তদন্ত করছে ইডি। ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশের পরেই এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তৎপর সিবিআই। সোমবার এসএসসি গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি – তে চাকরি পেয়েছেন এরকম বেশ কয়েক জন প্রার্থীকে তলব করা হল নিজাম প্যালেসে। এছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের কয়েকজনকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে করা হয়েছে তলব। 

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    চাকরি প্রাপকদের সুপারিশপত্র থাকলে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এছাড়া, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজই মুর্শিদাবাদের ১৫ জন স্কুল পরিদর্শককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদেরকেও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সঙ্গে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    কী প্রশ্ন করে সিবিআই?

    কীভাবে চাকরি পেল এই প্রার্থীরা? চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, ডেট অফ জয়েনিং, কবে পরীক্ষা হয়, কবে চাকরি পান সব কিছু খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। পাশাপাশি এসএসসিতে চাকরি প্রার্থী গ্রুপ সি- এর প্রার্থীদের নিজাম প্যালেসে তলব করে আজ তাই জিজ্ঞেস করে সিবিআই। এই প্রার্থীদের নোটিশ দেওয়া হয় গত শনিবার। সেই অনুসারে আজ হাজিরা দেন নিজাম প্যালেসে। কবে পরীক্ষা ইন্টারভিউ হয় তারপর কেন এখনও চাকরি হয়নি। এসব প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিজাম প্যালেসে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি যাঁরা চাকরি পেয়েছেন ও যাঁরা পাননি, দু ধরণের ব্যক্তিদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই।        

    এছাড়া এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব মেদিনীপুরের ৫টি কলেজের প্রিন্সিপ্যালকে আজ সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অফলাইন ভর্তিতে কী কী নির্দেশ মানা হয়েছে, কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে, সব জানতে চাওয়া হবে। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলি সম্পর্কে বহু তথ্য হাতে এসেছে ইডি গোয়েন্দাদের।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

        

LinkedIn
Share