Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dhulagarh: ‘হিজাব বিতর্কে’ ভাঙচুর ধূলাগড়ের স্কুলে, বন্ধ হয়ে গেল পরীক্ষা  

    Dhulagarh: ‘হিজাব বিতর্কে’ ভাঙচুর ধূলাগড়ের স্কুলে, বন্ধ হয়ে গেল পরীক্ষা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হিজাব বির্তক (Hijab Controversy) হাওড়ার (Howrah) স্কুলে। মঙ্গলবার ঘটনার জেরে পরীক্ষা বাতিল করতে হয় হাওড়ার সাঁকরাইলের ধূলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। হিজাব বিতর্কে অশান্ত হয়েছিল কর্নাটক (Karnataka)। এবার সেই একই বিতর্ক দেখা গেল এ রাজ্যেও।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। প্রতিদিনের মতো এদিনও সাঁকরাইলের ধূলাগড়ের (Dhulagarh) ওই স্কুলে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা হিজাব পরে স্কুলে আসে। হিজাব পরে স্কুলে প্রবেশ করা যাবে না বলে আপত্তি তোলে দ্বাদশ শ্রেণির একদল ছাত্র। তাদের দাবি, যদি হিজাব পরে স্কুলে আসা যায়, তাহলে তারাও নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে আসবে। নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে এলে তাদের প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার দ্বাদশ শ্রেণির পাঁচ ছাত্র নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে আসে। এবার প্রতিবাদ জানায় ওই স্কুলের দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির হিজাব পরা ছাত্রীরা।

    কেবল ওই ছাত্রীরাই নয়, নামাবলী গায়ে দিয়ে আসা পড়ুয়াদের নামাবলী খুলতে বলেন ধূলাগড়ের (Dhulagarh) ওই  স্কুল কর্তৃপক্ষও। স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষে বৈঠকে বসে ম্যানেজিং কমিটি। সেখানেও সিদ্ধান্ত হয়, ইউনিফর্ম পরেই স্কুলে আসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। অন্য কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুলে আসতে বারণ করা হয় পড়ুয়াদের। তার পরেও মঙ্গলবার থেকে তিন চারজন পড়ুয়া নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে আসে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি শুরু হয় পড়ুয়াদের মধ্যে। উত্তেজিত কয়েকজন ছাত্রছাত্রী স্কুলের চেয়ার টেবিল উল্টে দেয়। স্কুলের মধ্যে ভাঙচুরও চালায় তারা।

    আরও পড়ুন: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী

    ধূলাগড়ের (Dhulagarh) ওই স্কুলের টিটার ইনচার্জ অরিন্দম মান্না বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুলে আসতে পারবে না পড়ুয়ারা। কিন্তু কয়েকজন ছাত্র গায়ে নামাবলী জড়িয়ে এলে ঝামেলা শুরু হয়। প্রশাসনের নির্দেশে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দু পক্ষের অভিভাবকদের ডাকা হবে এবং ফের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। কর্নাটকে হিজাব বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। হাইকোর্ট হয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্ট পরে জানিয়ে দেয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়।

    এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে। ওই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যে উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে। প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল নেত্রীকে ‘লেডি কিম’ বলে উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। সেগুলি তিনি পুস্তিকাকারে প্রকাশ করবেন বলেও জানান বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) সরকারের হাতে রাজ্য পচছে। বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি। শনিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন একটি ট্যুইট করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে একাসনে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর শুক্রবার সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় ভাষণ দেন শুভেন্দু। পরে মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা। তার পরেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ ভেবেছিলেন, যে শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন এবং স্নেহের ভাই সম্বোধন করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’-এর কারণেই শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন করেন মমতা।

    ট্যুইট-বাণ

    তবে চায়ের নেমতন্ন করে যে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) বাগে আনা যাবে না, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাক্ষাৎকার পর্ব চব্বিশ ঘণ্টার চৌকাঠ পেরনোর আগেই রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি লেখেন, দুর্নীতি করে কেনা অবৈধ নিয়োগকে যেভাবে মন্ত্রিসভা বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা যদি সাংবিধানিক সঙ্কট না হয়, তাহলে আর কী হবে? এর পরেই তিনি লেখেন, তৃণমূল সরকারের হাতে বাংলা পচছে। বাংলায় এক আল্ট্রা ইমার্জেন্সির পরিস্থিতি।

    এ নিয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের লেটারহেডে মে মাসের একটি লেখাও নিজের ট্যুইটারে তুলে ধরেছেন তিনি। প্রতিলিপিগুলির একটি পাতায় লেখা রয়েছে, ৫ হাজার ২৬১টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির প্রস্তাব। এর মধ্যে নবম দশমের জন্য ১ হাজার ৯৩২টি পদ, একাদশ-দ্বাদশের জন্য ২৪৭টি পদ।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীকে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দুজনের মুখ দেখাদেখি। শুক্রবার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক স্বয়ং!

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    Mithun Chakraborty: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে বিনিয়োগের জোয়ার আসবে। শিল্প আসবে। স্বনির্ভর হবে শিক্ষিত যুবকরা। চাকরির জন্য হা-হুতাশ করতে হবে না। রাজ্যের বাইরে পাড়ি দিতে হবে না। পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের হাতে ছেলে-মেয়েদের জীবন সঁপে দিতে হবে না। বিষ্ণুপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে বসিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।

    কী বললেন মিঠুন

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য নির্বাচনী প্রচার সারছেন মহাগুরু। রাজ্যে বিনিয়োগের আকাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব বিরোধীরা। রাজ্যে যে বড় বিনিয়োগ আসেনি তা কখনও সরাসরি, কখনও ঘুরিয়ে মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিকল্প হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে। কিন্তু রাজ্যের এই নীতি যে ভ্রান্ত তা ইতিমধ্যে ছবির মতো স্পষ্ট। রাজ্যে কাজ না পেয়ে ভিনরাজ্যে গিয়েছেন লক্ষ লক্ষ দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক। প্রতিদিন ভিন রাজ্যে শ্রমিকদের দুরবস্থা চোখে পড়ে। এরই মধ্যে এদিন বিষ্ণুপুরে সভা করতে গিয়ে মিঠুন বললেন,  “যেদিন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে সেদিন দেখবেন, বাংলায় জোয়ার এসেছে। এত বিনিয়োগ হবে যে দেখে ভাববেন এটা সত্যি নাকি স্বপ্ন।”

    আরও পড়ুন: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    উল্লেখ্য, রাজ্যে শিল্পায়নের প্রথম চেষ্টা সিঙুরেই মাঠে মারা গিয়েছিল বলে মত উদ্যোগপতিদের। যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেদ তৈরি হয়ে যাওয়ায়, একটা কারখানাকে ভেঙে ফেলতে বাধ্য করেছিল তা শিল্পপতিদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের। তার ওপর টাটা গোষ্ঠীর মতো সংস্থা, যারা গোটা বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তাদের সঙ্গে এই আচরণ মেনে নিতে পারেনি উদ্যোগপতি সমাজ। যার জেরে সরকারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দফায় দফায় শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করলেও বিনিয়োগ আসেনি। ফলে অবধারিতভাবে বাংলার ছেলে-মেয়েদের কাজের খোঁজে ছুটতে হয়েছে ভিনরাজ্যে। পশ্চিমের সমৃদ্ধ রাজ্যগুলি তো বটেই, উত্তর-পূর্বে মিজোরামের মতো রাজ্যে খনিশ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে বোঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে কম বয়সী যুবকদের।

    তাই রাজ্যে এই পরিস্থিতির বদলের আহ্বান জানান মিঠুন। তিনি বলেন, তৃণমূলকে হারাতে বিরোধীদের একজোট হওয়া উচিত। শনিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তিনি বলেন, তৃণমূলের মতো শক্তিকে হারাতে গেলে মতাদর্শগত বিভেদ ভুলে সবার একজোট হওয়া উচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৫ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। পাঁচ দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের চতুর্থ দিনে শনিবার বিষ্ণুপুর পৌঁছন মিঠুন চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

  • Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে। বুধবার পুরুলিয়ার লোধুড়কায় বিজেপির পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে ফের বিজেপি-র  (BJP) হয়ে রাজ্যে ভোটের ময়দানে নেমেছেন মহাগুরু। বাঙলায় বিজেপির বাজিও তিনি। সেই মতোই বাঙালি আবেগে শান দিয়ে পুরুলিয়া থেকে প্রচার শুরু করলেন বঙ্গসন্তান মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন মিঠুন চক্রবর্তীর সাংগঠনিক বৈঠক ও পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন রয়েছে বাঁকুড়ায়। তাঁকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। গঙ্গাজলঘাঁটির দুর্লভপুরে আজ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। এরপর শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন মিঠুন। মেনুতে রয়েছে ভাত-ডাল, সবজি, আলু পোস্ত, মাছ। নিজেই রান্না করেছেন বিধায়ক। বিকেলে মেজিয়া কলেজ মাঠে মিঠুনের সভা। আগামীকাল বিষ্ণুপুরের সোনামুখীতে কর্মসূচি রয়েছে মহাগুরুর।

    কী বললেন

    বুধবার পুরুলিয়ার জনসভায় আগাগোড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদলকে নিশানা করে যান মিঠুন। এ দিন কর্মী সম্মেলন চলাকালীন এক বিজেপি কর্মী প্রশ্ন ছোড়েন, “আমার চপ বিক্রি হচ্ছে না। কোনও কাজও হচ্ছে না, তাহলে আমি কী করব দিদি? ” সত্যিই চপ বিক্রি হচ্ছে না নাকি, তাঁর কাছে জানতে চান মিঠুন। জবাবে ওই কর্মী বলতে শুরু করেন, “দিদি বলেছিলেন চপ বিক্রি করে…।” কথা শেষ করার আগে তাঁকে থামিয়ে মিঠুন বলে ওঠেন, “এ বার আমি একটা কথা বলি, কাউকে ছোট করে কোনওদিন কথা বলি না। আজও বলছি না। যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে।”

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জিএসটি বাবদ প্রাপ্য থেকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে বলে  অভিযোগ  তৃণমূলের। সেই নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মিঠুন। আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগ জানান বিজেপি কর্মীরা। জবাবে মিঠুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই ঘর যোজনার জন্য অনেক টাকা দিয়েছেন। সেটা দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে। ব্যাঙ্কে তার একটা নাম থাকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু টাকাটা কোথায় যাবে? এখানে তো অলরেডি তার উপরে পোস্টার মেরে দিয়েছে! বাংলা আবাস যোজনা করে দিয়েছে! সেন্টার বলছে, আগে হিসেব দিন। টাকাটা কিছুদিনের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। এটা সরকারের পয়সা। পাবলিকের পয়সা। এটা তোমার আমার পয়সা। সবাইকে হিসেব দিতে হবে।”

    বাঙালি খাবার ভীষণ প্রিয়

    পুরুলিয়ায় এদিন কাঁসার বাসনে বাঙালি খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ডিস্কো কিং। একেবারে বাঙালি মেনু। মাছ-ভাতে বাঙালি। এ প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, ‘‘বাঙালি খাবার আমার ভীষণ প্রিয়।  আমরা খাবার নিয়ে কথা বলব না তো কি বালি, কয়লা, গরু নিয়ে কথা বলব!’’ 

  • Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের লুকোচুরির রোগ যেন কিছুতেই সারছে না। ডেঙ্গি আক্রান্ত আর ডেঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে যেন বিস্তর গোলমাল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রাজ্য সরকারের তথ্য গোপনের রোগ মুক্তি না ঘটলে, রাজ্যবাসীর ডেঙ্গি থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। 

    বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এ বছর ডেঙ্গিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চলতি বছরে একাধিকবার স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কমবেশি ৮০ জন মারা গিয়েছেন। কিন্তু বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১১। তথ্যের এত ফারাক কেন? এ প্রশ্নের অবশ্য উত্তর নেই রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে। 

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পুজোর পরে ডেঙ্গির গ্রাফ মারাত্মক বাড়তে শুরু করে। প্রতি সপ্তাহে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলোতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। কিন্তু এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শীত আসছে, ডেঙ্গি নিয়ে আর উদ্বেগ বিশেষ নেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস পরের বছরের জন্য আরও বড় বিপদ তৈরি করবে না তো? 

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত সংক্রমক রোগের মোকাবিলা বছরভর করতে হবে। তাই শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা কমলেও প্রশাসনের কাজ থামালে চলবে না। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এ বছরে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পুর কর্মীর অভাব। নজরদারি করার জন্য পর্যাপ্ত পুর কর্মী ছিল না। তাছাড়া, প্রশাসনের একাধিক বিভাগের সমন্বয়ের অভাব, একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে গেলে চলবে না। শীতের দাপটে ডেঙ্গির গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডেঙ্গি কমার আশ্বাসে, সেই কাজে ভাটা পড়বে কিনা সে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গির তথ্য গোপনের রোগ না সারলে রাজ্যবাসীর ডেঙ্গির থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। কারণ, ডেঙ্গির ভয়াবহতা মানুষকে বোঝাতে হলে, সচেতন করতে হলে সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে। ডেঙ্গি নিয়ে এই লুকোচুরির প্রবণতা থাকলে, সেই কাজ সম্ভব নয়। চিকিৎসক শারোৎদ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে বোঝানোর আগে সরকারের বোঝা দরকার প্রত্যেক বছর রাজ্যের মানুষকে কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ, কয়েকটা কথা বলে দায় এড়াতে চাইছে প্রশাসন। ডেঙ্গি মোকাবিলার সদিচ্ছা আদৌও রাজ্য সরকারের আছে কি? ” 

    চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে সরকারের স্বচ্ছতার বড় অভাব। মানুষ ভুগছে, অথচ মানুষকে বুঝতে দেওয়া চলবে না। জানানো যাবে না। সত্যি এভাবে গোপন করা যায় না। এতে সমস্যা বাড়ে। জনস্বাস্থ্যের মতো বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করতে সরকারের নূন্যতম স্বচ্ছতা প্রয়োজন। ডেঙ্গির ক্ষেত্রে যে রাজ্য সরকারের তা নেই, সেটা প্রমাণিত।” বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেদের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমানো যাবে না। কোনও ভাবেই যাতে মশা জন্মাতে না পারে, সেটা সাধারণ মানুষকে দেখতে হবে। পাশপাশি পুরসভাকেও বারবার জানাতে হবে। যাতে ডেঙ্গি রোধে পুরসভা সক্রিয় থাকে, সে নিয়েও নাগরিক সমাজকেই সজাগ থাকতে হবে।

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ১০ কোটির লেনদেন! ব্যাঙ্ককর্মীকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: কেষ্ট, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ১০ কোটির লেনদেন! ব্যাঙ্ককর্মীকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মাামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি। আর এরই মধ্যে ফের অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই-এর আধিকারিকরা। আর এই টাকার উৎসের সন্ধান করতে বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীদের ডেকে পাঠায় সিবিআই। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টের নথিও চাওয়া হবে তাঁদের কাছে। অন্যদিকে গতকাল অনুব্রতের প্রাক্তন পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

    ব্যাংকের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকার সন্ধান করতে বুধবার সন্ধ্যায় বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এখানেই বোলপুরের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। কারা, কত টাকা, কার অ্যাকাউন্টে ও কীভাবে জমা দিয়েছিল তা জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, আজও ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসবাদ করবে সিবিআই, এমনও জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করেছে যে, অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে। যার ফলে এই টাকা কার ও কীভাবে এল, আর এর উৎস কী তা জানতেই গতকাল ব্যাঙ্কের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    ইডির জেরার মুখে কেষ্টর প্রাক্তন পরিচারক মুন

    এর আগেও বিশ্বজ্যোতিকে তলব করেছিল ইডি। তবে এই প্রথম ইডির মুখোমুখি হয়েছেন বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর মুন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মুন পৌঁছান দিল্লিতে ইডির দফতরে। তার পর থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। গরু পাচার মামলায় সিবিআই আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মুনের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকার। ইতিমধ্যেই বোলপুর পুরসভার ওই কাউন্সিলরের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে এ বার মুনকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

    উল্লেখ্য, ২০১১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল ৫ হাজার টাকা। বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলরও হন বিশ্বজ্যোতি। এরপর গরুপাচার মামলায় তাঁর নাম উঠে আসে। সিবিআই দাবি করে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। মুনের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাঁকে ডেকে জেরা করা হয়। আর এবার ইডির নজরে মুন।

  • West Bengal Weather: রেকর্ড পারদ পতন! আজ কলকাতার শীতলতম দিন, ঠান্ডা পড়বে আরও

    West Bengal Weather: রেকর্ড পারদ পতন! আজ কলকাতার শীতলতম দিন, ঠান্ডা পড়বে আরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা শহরে আজ আরও কমল তাপমাত্রা (West Bengal Weather)। গতকাল কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি, আজ সেটাই আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ ডিগ্রির ঘরে। আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজই কলকাতার সবথেকে ঠান্ডা দিন আজ।

    রেকর্ড পারদ পতন…

    এই মরশুমের আজই কলকাতার শীতলতম দিন। গতকাল তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রিতে নামলে বলা হয়েছিল যে, গতকাল শীতলতম দিন এই মরশুমের। তবে গতকালের রেকর্ডকেও টপকে আজকে তাপমাত্রা কমে আসল ১৬-এর ঘরে। এবছরের নভেম্বরের মাঝ থেকেই শহরে শীত শীত ভাব অনুভূত হতে শুরু হয়েছে, যা সত্যিই বিরল ঘটনা। কারণ বিগত ৫ বছরে এমন ঘটনা মহানগরীতে ঘটেনি। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, এবছর শহরে শীত জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন:আজ এই মরশুমের শীতলতম দিন, আগামী ৫ দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    কলকাতার আবহাওয়া

    সপ্তাহের শুরুতে পারদ ২০-এর ঘরে থাকলেও সপ্তাহের শেষে ১৬-তে এসে নেমেছে। আর আগামী কয়েকদিন ১৬-এর ঘরেই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় সোমবার তাপমাত্রা ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি, বুধবার ১৭ ডিগ্রি এবং বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন শীতের আমেজ বজায় থাকবে (West Bengal Weather)। অবাধ উত্তুরে হাওয়ায় সপ্তাহের শেষে আরও পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আর কিছু দিনই বাকি কনকনে ঠান্ডা পড়তে। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই।

    চলতি মাসে কতটা কমবে তাপমাত্রা?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি রেকর্ড ঠান্ডা পড়তে পারে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও, যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে। চলতি সপ্তাহের শেষে অন্তত তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এই জেলাগুলিতে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে। আর দক্ষিণবঙ্গে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে (West Bengal Weather)।

    অন্যদিকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন, নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে আন্দামান সাগরে। আজ, ২৪ নভেম্বর ঘূর্ণাবর্ত তৈরী হতে পারে। যা পরবর্তীতে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপ কোনদিকে যায় সেদিকে নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা (West Bengal Weather)।

  • Basirhat Police Officer: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের

    Basirhat Police Officer: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী (Basirhat Police Officer) প্রভাত সর্দার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা প্রভাত। মঙ্গলবার বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। আপাতত পুলিশকর্মী বিপদমুক্ত বলেই জানিয়েছে পরিবার।

    উল্লেখ্য, সোমবার বসিরহাট (Basirhat Police Officer) তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। অশান্তি চরমে উঠলে তা সামলাতে এলাকায় উপস্থিত হয় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতেই আহত হন পুলিশ কর্মী প্রভাত সর্দার। ইতিমধ্যে ঘটনায় ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।   

     ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে 

    আহত পুলিশ কর্মী প্রভাত সর্দারের (Basirhat Police Officer) বাড়িতে রয়েছেন মা, স্ত্রী ও একটি ছোট্ট মেয়ে। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন পরিবার-পরিজনেরা। মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই পুলিশকর্মীর মা জানতে পারেন তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে নরেন্দ্রপুরের বয়নালা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ২০০৭ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। চাকরি সূত্রে বসিরহাটে থাকতেন প্রভাত। আবার অনেক সময় বাড়ি থেকেই যাতায়াত করতেন। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ডিউটিতে যোগ দেবেন বলে বাইক নিয়ে বসিরহাট র‌ওনা দেন তিনি। সেই রাতেই ঘটে এই ঘটনা। 

    আরও পড়ুন: রিহ্যাব থেকে ফিরেই গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল মাদকাসক্ত যুবক

    শাকচুড়া বাজারে তৃণমূলের ছাত্র নেতা আশরাফুজ্জামান বুলবুলকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ওই পুলিশকর্মী (Basirhat Police Officer)। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি কাঁধে লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে আহত প্রভাতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।   

    তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বিজেপির কটাক্ষ  

    আহত পুলিশকর্মীকে (Basirhat Police Officer) দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির বারাসাত জেলা সাংগঠনিক সভাপতি তাপস মিত্র। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন একজন অফিসার আহত হয়েছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সেইসময় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পিজি হাসপাতালে সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন উনি থাকলে বিজেপি কর্মীদের কপালে গুলি করতেন। যেভাবে গতকাল পুলিশ কর্মীকে গুলি করা হল, তাহলে এই ঘটনায় কি তৃণমূল কর্মীদের কপালে গুলি করবেন?” ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • West Bengal TET: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    West Bengal TET: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (West Bengal TET)। যে টেট পরীক্ষা ও নিয়োগ নিয়েই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, সেই টেট পরীক্ষাই ফের এবছর হতে চলেছে। ফলে এবছরের পরীক্ষাতে স্বচ্ছতা থাকবে কিনা, তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এবারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবছরের টেট পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনার জন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, এবছর রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৫০০ কেন্দ্রে টেট দেবেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি প্রার্থী।

    হাইকোর্টের নির্দেশের পর অপসারিত মানিক ভট্টাচার্যের জায়গায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Education Board) নতুন সভাপতি হন গৌতম পাল (West Bengal TET)। দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানান, ‘এবার প্রতিবছর টেট পরীক্ষা হবে এবং এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে।’

    কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    ১) এবছর টেট পরীক্ষার জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে (West Bengal TET)। এবারে উত্তরপত্রের কার্বন কপি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “প্রার্থী যে ওএমআর শিটে পরীক্ষা দেবেন, তার একটা কার্বন কপি নিয়ে যেতে পারবেন। টেটে এই ধরনের ব্যবস্থা আগে কখনও হয়নি।” এর আগে পরীক্ষার নম্বর নিয়ে এত কারচুপি হয়েছে ও ওএমআর শিটের নম্বর নিয়েও বদল করা হয়েছে, ফলে এবারে এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে পর্ষদ। যার ফলে পরীক্ষার্থীরা নিজেরাই নম্বর গুণে নিতে পারবেন যে, তাঁরা কত নম্বরের উত্তর ঠিক করে এসেছেন ও কত নম্বর পেতে পারেন।

    ২) জানা গিয়েছে, এবছরে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান বা পরিদর্শকেরা আর ওএমআর শিট এবং প্রশ্নের সিল করা প্যাকেট খুলবেন না। পরীক্ষার্থীরাই তা খুলে নেবেন।

    ৩) এবারে কোনও বেসরকারি ডিএলএড কলেজে টেট পরীক্ষা হচ্ছে না। সমস্ত সরকারি ডিএলএড কলেজ, স্কুল ও অন্যান্য কলেজে এই পরীক্ষা হবে।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    ৪) আরও জানা গিয়েছে, এবছরের টেট পরীক্ষার জন্য যেসব কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে, পরীক্ষার দিন সেইসব এলাকায় জারি করা হবে ১৪৪ ধারা। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    ৫) আবার পর্ষদ থেকে এও জানানো হয়েছে পরীক্ষার্থী, পর্যবেক্ষক, কারোরই পরীক্ষা হলে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। ঘড়িও পরতে পারবেন না প্রার্থীরা। সব ঘরে ঘড়ি থাকবে।

    ৬) পর্ষদের তরফে আগেই বলা হয়েছে, এনসিটিই-র গাইডলাইন ও আইন মেনে চলা হবে এই টেট পরীক্ষায়। এছাড়াও নির্বিঘ্নে যাতে টেট পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য জেলাশাসক অথবা মহকুমাশাসককে মাথায় রেখে সর্বত্র জেলাভিত্তিক কমিটি গড়া হবে।

    ৭) পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা দফতর থেকে একটি ১৬ দফা ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা সব জেলায় পাঠানো হচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩০০-র কিছু বেশি প্রার্থীরা বসবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে এক বা দু’জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার বলেন, “পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যে-স্কুল, কলেজ বা ডিএলএড কলেজে পরীক্ষা হবে, সেখানকার প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ হবেন সেন্টার ইনচার্জ। প্রতিটি কেন্দ্রে এক জন সরকারি অফিসারও ইনচার্জ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।” ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষার পর যত দ্রুত সম্ভব ফল ঘোষণা করা হবে বলেও পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে (West Bengal TET)।

LinkedIn
Share