Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার টেট পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। আইন মেনে পরীক্ষা না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে পরীক্ষা, সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কবে টেট পরীক্ষা?

    টেট কেলেঙ্কারির জেরে বিব্রত রাজ্য সরকার (State Govt.)। শেষমেশ শিক্ষক সমস্যার সমাধান করতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা (TET Exam) নেওয়ার কথা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি ছিল টেট সংক্রান্ত একটি মামলার। ২০১৭ সালে টেটের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও, ২০১৪র ফল বের করেনি পর্ষদ। তা নিয়েই মামলা হয়। চলছিল শুনানিও। কেবল এটিই নয়, টেট নিয়ে বুধবার একাধিক মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে পর্ষদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। তার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    এদিন টেট নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে আরও একবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন আদালতে তিনি বলেন, পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না, তাহলে পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেব। নভেম্বর মাসের তিন তারিখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৪ এবং ২০১৭র টেটে সংরক্ষিত বিভাগের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন, তাঁদের টেট উত্তীর্ণ বলে গণ্য করতে হবে। ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এর জেরে পর্ষদ কর্তৃক ঘোষিত লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থী ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪ সালের সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে মেধা তালিকাও। আপাতত তারই প্রতীক্ষায় কর্মপ্রার্থীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jorasanko: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে নির্মাণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Jorasanko: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে নির্মাণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ক্যাম্পাসে (Rabindra Bharati University) হেরিটেজ তকমা পাওয়া ভবনে নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই ভবনের একাংশ ভেঙে নির্মাণ হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নির্মাণে স্থগিতাদেশ দিল আদালত। আদালতের নির্দেশ, হেরিটেজ ভাঙার যাবে না। ভবনে নির্মাণ সংক্রান্ত কোনও কাজ হলে রাজ্যকে জবাবদিহি করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। বিষয়টিতে নজরদারির জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।   

    অভিযোগ উঠেছিল, কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত হেরিটেজ ভবন ভেঙে তৃণমূল শিক্ষাকর্মী সংগঠনের অফিস তৈরি করা হচ্ছিল। আর এই বিস্ফোরক অভিযোগের পরেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল আদালত। 

    আরও পড়ুন: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    গত ৩ নভেম্বর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্বদেশ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। মামলাকারীর অভিযোগ, ইতিমধ্যেই এই হেরিটেজ ভবনের দুটি ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, ঐতিহাসিক সেই ঘর তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী সংগঠন শিক্ষা বন্ধু সমিতির অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেখানে কবিগুরুর ছবি সরিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ছবি টাঙানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

    ‘গ্রেড ওয়ান’ হেরিটেজ তকমা পেয়েছে জোড়াসাঁকোর কবিগুরুর বাড়ি। মামলাকারী স্বদেশ মজুমদারের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর জানান, রবীন্দ্রনাথের একটিও ছবি নেই সেই ঘরে। অথচ রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছবি রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ও রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে রাজ্যকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও নিজেদের বক্তব্য আদালতকে জানাবে।

    সোমবার,  প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন আর ভাঙা যাবে না। এই নির্দেশের পরেও যদি কাজ চলে, জবাবদিহি করতে  হবে রাজ্য সরকারকেই। কার নির্দেশে হেরিটেজ ভবন ভাঙা হচ্ছিল ? কোনও আগাম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না? এই রিপোর্ট ২১ নভেম্বর দিতে হবে রাজ্য সরকার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Medical College: জেলার মেডিক্যাল কলেজ কী শুধুই বিজ্ঞাপন? এসএসকেএমের নতুন রেকর্ডে নয়া বিতর্ক

    Medical College: জেলার মেডিক্যাল কলেজ কী শুধুই বিজ্ঞাপন? এসএসকেএমের নতুন রেকর্ডে নয়া বিতর্ক

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: হাসপাতালের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরকারি ওয়েবসাইট, সর্বত্র নয়া রেকর্ডের বিজ্ঞাপনে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। আর নিজেদের দেওয়া বিজ্ঞাপনেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজ্যের চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, এই নয়া রেকর্ড বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবার রুগ্ন হাল ছাড়া আর কিছুই নয়। জেলা সফরে গেলেই নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহার, হুগলি, কিংবা মেদিনীপুর, যেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান, একটা নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। আপাতত রাজ্যের প্রত্যেক জেলাতেই বেশ কয়েকটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল আর মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের প্রথম সারির সরকারি হাসপাতালের নয়া রেকর্ড, সেই সমস্ত জেলা হাসপাতালের অস্তিত্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

    সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে একদিনে আউটডোরে রোগী হয়েছিল ১৭ হাজার। স্বাধীনতার পরে এ এক রেকর্ড। এমনি দাবি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য ভবনও এই দাবির স্বীকৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রোগী পরিষেবায় নয়া নজির গড়েছে এসএসকেএম (SSKM)। কিন্তু, এসএসকেএমের এই রেকর্ড আসলে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ভগ্ন দশাকেই সামনে নিয়ে এলো বলে মনে করছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশ্যালিটি মেডিক্যাল কলেজ, আসলে তৃতীয় স্তরের হাসপাতাল। অত্যন্ত জটিল রোগ ছাড়া এই হাসপাতালে রোগী আসার প্রয়োজন হওয়া উচিত নয়। এটাই আদর্শ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু এ রাজ্যের পরিস্থিতি উল্টো।

    আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির মালিকও আম্বানি? জানুন কত টাকায় হচ্ছে হস্তান্তর 

    কেন এমন বলছেন? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগী তাঁর সমস্যা নিয়ে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাবেন। যা গ্রামে গ্রামে থাকা উচিত। তারপরে সদর হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল। সেখানেও রোগ নিরাময় না হলে, জেলার মেডিক্যাল কলেজে রোগীকে পাঠানো হবে। যদি রোগ অত্যন্ত জটিল হয়, তখন সেই রোগীকে এসএসকেএমের মতো হাসপাতালে রেফার করা হবে। যেমন, স্নায়ুর অত্যন্ত জটিল অস্ত্রোপচার কিংবা হৃদরোগ, কিডনি প্রতিস্থাপন বা লিভারের জটিল অস্ত্রোপচারের মতো সমস্যার সমাধান ছাড়া এই ধরনের হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। যখন রাজ্যের জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে, তখন জ্বর, হাঁপানি, স্ত্রীরোগের চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে বা মফস্বল থেকে সাধারণ মানুষকে কেন কলকাতার হাসপাতালে আসতে হচ্ছে? এখানেই বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, তাহলে কি জেলার মেডিক্যাল কলেজে বা জেলার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না?

    এসএসকেএম হাসপাতালের কর্মরত ইন্টার্নদের একাংশ জানাচ্ছেন, আউটডোরে যে রোগীরা দেখান, তাদের তিন বার লাইন দিতে হয়। সাধারণত ভোর তিনটে থেকে লাইন হয়। প্রথমে আউটডোরের টিকিট কাটার লাইন, তারপরে চিকিৎসককে দেখানোর আলাদা লাইন। তারপরে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে আরেকটি লাইন। অর্থাৎ, পরিষেবা পাওয়ার জন্য কার্যত রোগীর হয়রানির শেষ থাকে না। জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রশ্ন, এত রোগীকে একদিনে দেখতে হলে চিকিৎসকেরাও কতখানি মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারেন, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।

    হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এক অধ্যাপক-চিকিৎসক বলেন, “হিসাব করে দেখেছি ১৩ সেকেন্ডের বেশি সময় একজন রোগীকে দিতে পারছি না। তার সব কথা শোনার সময় হচ্ছে না। এতে রেকর্ড হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু রোগী পরিষেবার মান তলানিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলার হাসপাতালে ঠিকমতো পরিকাঠামো থাকলে এই ভিড় কখনওই হবে না। রোগী পরিষেবাও ভালো হবে। ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে সমস্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেছিলেন, দীর্ঘদিন অভিযোগ, সেখানে পরিকাঠামো নেই। পরিকাঠামোর অভাবে একাধিক বিভাগ বন্ধ হয়ে আছে। ফলে, জেলা থেকে মানুষ বাধ্য হয়ে কলকাতার হাসপাতালে যান। এমনকি আরামবাগ, কোচবিহার, পূর্ব মেদিনীপুরে সম্প্রতি যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছেন, সেখানেও কোনও পরিকাঠামো নেই বলে অভিযোগ। রেডিওথেরাপি বিভাগের এক অধ্যাপক-চিকিৎসক জানান, গত ১২ বছর তিনি কলেজে পড়াতে পারেননি। কারণ, তাঁকে যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়েছে, সেখানে রেডিও থেরাপির ক্লাস নেওয়ার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। এদিকে ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে দীর্ঘ লাইন থাকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে। অনেকে চিকিৎসার সুযোগও পান না।

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোনও রকম পরিকল্পনা নেই। বিজ্ঞাপনের জৌলুসে হারিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির খবর। তাই জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন হলেও সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। দিনের পর দিন সামান্য অসুখেও চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এদিকে ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং গড়ে উঠছে। কিন্তু রোগী পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।

  • Al Qaeda: রাজ্যে ফের আল কায়দার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক

    Al Qaeda: রাজ্যে ফের আল কায়দার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ জঙ্গিদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। কারণ ফের জঙ্গি সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। ধৃতের নাম মনিরুদ্দিন খান (২০)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সূত্রের খবর অনুযায়ী ধৃত জঙ্গি আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এর আগেও ফয়জল নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর কাছে থেকেই মেলে একটি পেন ড্রাইভ। আর সেই পেন ড্রাইভের সূত্রেই আরও কয়েকজনের হদিশ মেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মনিরুদ্দিনকে নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মনিরুদ্দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারাসাতের ধ্রবচাঁদ হালদার কলেজের, ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিযোগ উঠেছে, সে আল কায়দার শাখা সংগঠন ‘আলকায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট’ (একিউআইএস)-এর সঙ্গে যুক্ত। এসটিএফ সূত্রের মাধ্যমে আরও জানা গিয়েছে, মনিরুদ্দিন আল কায়দা, এবিটি (ABT), একিউআইএস (AQIS) সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে লজিস্টিকের কাজ করত। জঙ্গিদের জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তা ব্যবহার করে একাধিক সিম কার্ড জোগাড় করা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে ওস্তাদ এই যুবক। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় আল কায়দার স্লিপার সেল তৈরি করা এবং সংগঠনটির হয়ে প্রচার করার কাজে জঙ্গি নেতাদের সে সাহায্য করত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

    পুলিশরা তদন্ত শুরু করেছে যে, কীভাবে মনিরুদ্দিনের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ হল, কীভাবে সে বাংলাদেশ থেকে আসা জঙ্গিদের সাহায্য করছে, সবকিছু বিশদে জানতে তার মোবাইলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত শুক্রবার মথুরাপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় মনিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ধৃতকে কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করানো হয়।বিচারক ওই যুবককে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশের ব্লগার খুনের সঙ্গে জড়িত ফয়জল নামে এক যুবককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর গত শনিবার মথুরাপুরেরই বাসিন্দা আজিজুল হক নামে এক যুবককে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত অগাস্টেই গ্রেফতার করা হয় ২ সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি। সেপ্টেম্বরেও রাজ্যে ৪ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ডায়মন্ডহারবার থেকে গ্রেফতার করা হয় আল কায়দা জঙ্গি সমীর হোসেন খানকে। মুম্বই থেকেও সাদ্দাম হোসেন শেখ নামে এক জঙ্গি গ্রেফতার হয়। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মালদার হাসনাত শেখকে। ফলে একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতারি থেকে বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্যে আল কায়দা জঙ্গি সংগঠন পায়ের তলার মাটি শক্ত করে চলেছে। তবে কি বাংলাকে নিরাপদ মনে করছে জঙ্গিরা? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। 

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Jhalda: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ হচ্ছে না ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) আস্থা ভোট। ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিনই আস্থা ভোট গ্রহণের কথা ছিল। আজকের পরিবর্তে ২১ নভেম্বর আস্থা ভোট হবে বলে জানা গিয়েছে। ৪ নভেম্বর তিন কংগ্রেস কাউন্সিলরের জারি করা নোটিসও এদিন খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    বিরোধী কাউন্সিলরদের জারি করা নোটিস খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ঝালদা পুরসভার উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার। উপপুরপ্রধানের দাবি, ১৩ অক্টোবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। ১৫ দিনের মধ্যেই এ নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হয় চেয়ারম্যানকে। এটাই নিয়ম। কিন্তু তিনি তা না করায় ২৮ অক্টোবর উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারের কাছে তলবি সভা ডাকার আবেদন জানান বিরোধী কাউন্সিলররা। নিয়ম  অনুযায়ী, ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হয় উপপুরপ্রধানকে। ৩ নভেম্বর উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার জানান, আস্থা ভোট হবে ২১ নভেম্বর। এরই মাঝে ৪ঠা নভেম্বর তিন বিরোধী কাউন্সিলর আস্থা ভোটের জন্য নোটিশ জারি করেন। আজই আস্থা ভোটের দিন ধার্য হয়েছিল।   

    উপপুরপ্রধানের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ৭ নভেম্বর, অর্থাৎ সোমবার তলবি সভা ডেকেছিলেন বিরোধী কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উপপুরপ্রধান। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সোমবারের আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি। বিচারপতির দাবি, উপপুরপ্রধান ৭ দিনে কোনও পদক্ষেপ না নিলে, বিরোধীরা আস্থা ভোট করতে পারতেন। কিছু ৭ দিনের মধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছেন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার।

    প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া জেলার ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত পুরসভা ভোটে ঝালদায় ৫টি করে আসন জেতে তৃণমূল ও কংগ্রেস। ২টি আসনে জয়লাভ করেন নির্দল প্রার্থীরা। জয়ের পর নির্দল প্রার্থী শীলা চ্যাটার্জি তৃণমূলে যোগ দেন। এর জেরে সেখানে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬। সেই সঙ্গে আরও একজন নির্দলেরও সমর্থন পায় রাজ্যের শাসক দল। এই সমর্থন নিয়ে সেখানে পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর   

    বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূল-কংগ্রেস অশান্তির মধ্যেই গত ১৩ মার্চ খুন হন কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী তপন কান্দু। তপন কান্দু খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে কাকা তপন কান্দুর আসনে জয়ী হন ভাইপো মিঠুন কান্দু। যদিও বোর্ড গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস।        

    এরপর পদত্যাগ করেন শীলা চ্যাটার্জি। শীলার পদত্যাগের পর তৃণমূলের কাউন্সিলের সংখ্যা কমে হয় পাঁচ। তৃণমূল বোর্ড সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারায়। এরপরেই পাঁচ কাউন্সিলর ও একজন নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে অনাস্থার ডাক দেয় কংগ্রেস। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তৃণমূলের মোট কাউন্সিলর ৫ জন। অনাস্থার ডাক দেন এক নির্দল সহ ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

          

  • Joka Management College: ক্যান্টিন বন্ধ, বিপাকে রাজ্যের নামী ম্যানেজমেন্ট কলেজের পড়ুয়ারা

    Joka Management College: ক্যান্টিন বন্ধ, বিপাকে রাজ্যের নামী ম্যানেজমেন্ট কলেজের পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়া রয়েছেন। হচ্ছে কলেজও। অথচ বন্ধ হয়ে গিয়েছে কলেজ ক্যান্টিন। আচমকা ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিপাকে পড়ুয়ারা। কলেজের গেটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ক্যান্টিন কর্মীরা। এ ঘটনা রাজ্যের কোনও প্রান্তিক এলাকার নয়। খোদ কলকাতার (Calcutta)। জোকা ম্যানেজমেন্ট কলেজের (Joka Management College) ঘটনা।

    রাজ্যের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান এই কলেজ

    সম্প্রতি দেশের সেরা ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট জোকা। ওই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ক্রমতালিকা প্রকাশ করেছে এনআইআরএফ, তার একটি তৈরি করা হয়েছে ম্যানেজমেন্ট স্কুলগুলিকে নিয়েও। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, আইআইএম জোকার (IIM Joka) স্থান হয়েছে তৃতীয়।

    রাজ্যের এহেন গুরুত্বপূর্ণ এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিন বন্ধ হওযায় বিপাকে পড়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের হাজার খানেক পড়ুয়া। ওই প্রতিষ্ঠানে চারটি ক্যান্টিন রয়েছে। ফি দিন খাবার খান হাজারখানেক পড়ুয়া। পড়ুয়ারা সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু না বললেও, জানা গিয়েছে, খাবারের মান ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার দেওয়া হত না বলেও অভিযোগ। মর্যাদাপূর্ণ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিনের ভিতরেই মদ্যপান করা হত বলে অভিযোগ। পড়ুয়ারা নন, মদ্যপান করতেন ক্যান্টিনের কর্মীরাই।

    আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কান্ডে ইডি তলব করল কলকাতা পুলিশের এসিপিকে

    জোকা ম্যানেজমেন্ট কলেজের (Joka Management College) ক্যান্টিনের ভিতর মদ্যপান করায় ক্যান্টিনের ১৪ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। এর পরেই কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ক্যান্টিন বন্ধ করে দেন প্রায় ১২৫ জন কর্মী। মঙ্গলবার থেকে কাজ করছেন না তাঁরা। জোকা ম্যানেজমেন্ট কলেজের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ওই কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই খাবার না পেয়ে বিপাকে ওই প্রতিষ্ঠানের হাজারখানেক পড়ুয়া।

    জোকা ম্যানেজমেন্ট কলেজের (Joka Management College) মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিন বন্ধ রইলেও, পড়ুয়ার খাবার না পাওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। বিক্ষোভের জেরে খানিকটা হলেও, ব্যাহত হচ্ছে পঠনপাঠন। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ম্যানেজমেন্ট কলেজের গেটে। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের সাফ দাবি, যে ১৪ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে, অবিলম্বে কাজে ফেরাতে হবে তাঁদের। কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেন, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Liquor Shop License: এবার মদের দোকান দেবে রাজ্য সরকারই, কোষাগারে টান?

    Liquor Shop License: এবার মদের দোকান দেবে রাজ্য সরকারই, কোষাগারে টান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের কোষাগার শূন্য। সম্প্রতি এই অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সেই কথা যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ দিচ্ছে খোদ রাজ্য সরকারই। এবার আর্থিক সংকট দূর করতে সরকারি দোকান দিয়ে মদ বিক্রি করবে রাজ্য। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশন বা ‘বেভকো’ নামে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি় (Liquor Shop License) খোলা হবে। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিন জেলা- দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে সমীক্ষা চালিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি় দেওয়ার জন্য ৯২টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলার ডেয়ারি, হরিণঘাটা বা বেনফিশের আউটলেট আদলেই সাজানো হবে বেভকো-র ফ্র্যাঞ্চাইজি়র রিটেল আউটলেটগুলিকে। মদের ওই সব বিপণির নকশাও বেভকো তৈরি করবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মদের খুচরো ব্যবসায় রাজ্য সরকার 

    ২১ সালের ভোটের আগে রাজ্যে বিজেপির প্রবেশকে আটকাতে মরিয়া হয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিজের দিকে সমর্থন টানতে কোনও ভাবনা চিন্তা ছাড়াই ঘোষণা করে গিয়েছেন একের পর এক প্রকল্পের। এখন সেইসব সরকারি প্রকল্পের টাকা জোগাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করছেন বিরোধী নেতারা। যদিও কেন্দ্রের পাওনা আটকানোকেই আর্থিক সংকটের জন্যে দায়ী করেছে রাজ্য। সেই আবহেই এ বার মদের খুচরো দোকান খুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। তার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজতে রাজ্য সরকারের তরফে ডাকা হয়েছে ই-টেন্ডারও।   

    আপাতত দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার, উত্তরের তিন জেলায় শুরু হচ্ছে মদের সরকারি রিটেল শপ। এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য সরকার। 

    বিরোধী কটাক্ষ 

    রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধী নেতারা কটাক্ষ করে বলেছেন, “রাজ্য ‘দুয়ারে মদ’ পরিষেবা শুরু করছে।” রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্য সরকার মদ আর মা কালীতে টিকে আছে। তাই সরকার চাইছে মদ আরও বাড়াও আর বাড়াও। যুব সমাজকে ডুবিয়ে দাও। যাতে চাকরি না চায়।”

    আবগারি দফতরের এক কর্তা আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেছেন, “আবগারি দফতরের এক কর্তার কথায়, “বিষ মদের বিপদ তো আছেই। কিন্তু বেআইনি ভাবে রাজ্যে ঢোকা, ব্র্যান্ডেড মদও যে নকল ও বিষাক্ত নয়, তার গ্যারান্টি নেই। ফলে, আমাদের এই পদক্ষেপে ঝুঁকি কমবে, রাজস্বও বাড়বে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস’’, কামড়কাণ্ডে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হল শহর কলকাতা। চাকরির ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের কামড় খেলেন এক চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এর মাঝেই চাকরির দাবিতে বুধবার আন্দোলনে নামেন কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী। আর সেই নিয়েই উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যামাক স্ট্রিট। চাকরির দাবিতে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। আর সেই আন্দোলন থামাতে গিয়েই এক আন্দোলনকারী মহিলার হাতে কামড়ে দিলেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী। সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরাবন্দি হল সেই ভিডিও।  

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    শুভেন্দুর কটাক্ষ 

    এই কামড়কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে (Twitter) লিখেছেন, “এই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুলিশ। এক্সাইড মোড়ে একজন শিক্ষিত, বেকার, যোগ্য, ইচ্ছাকৃত এবং বেআইনিভাবে বঞ্চিত শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীকে কামড়াচ্ছে। লেডি কিমের শাসনকাল ইতিহাসে নৃশংস ঘটনা।”

     



    ঠিক কী হয়েছিল?

    ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই নৃশংস ঘটনা। দেখা যায়, ক্যামাক স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভে অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবল ছুটে যাচ্ছে। সোজা গিয়েই এক মহিলার হাতে বসালেন কামড়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলেই। ওই মহিলা পুলিশ সরে যেতেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে চাকরিপ্রার্থী ওই মহিলার হাতে কামড়ের দাগ।

    পরবর্তীতে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী দাবি করেন, তিনি কামড়াননি, আন্দোলনকারীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও ক্যামেরার ছবি বলছে অন্য কথা। প্রসঙ্গত, পরবর্তীতে আক্রান্ত মহিলার বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
     
  • TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা (TET Agitation)। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এক্সাইড মোড় এবং রবীন্দ্রসদন চত্বর। এক্সাইড মোড়ে (Exide Crossing) ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রক্তও ঝরল চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের এখন একটাই দাবি, ‘আমাদের হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু দিন।’

    এদিন হঠাৎ দুপুর থেকেই রবীন্দ্র সদনের কাছে এক্সাইড মোড়ে জড়ো হতে থাকেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)৷ আগে থেকে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়নি৷ আচমকাই সেই জায়গায় জমা হতে থাকে চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকে আবার মেট্রো করে এসে রবীন্দ্রসদন স্টেশনে নেমে জমায়েতে অংশ নেন। পরে ধীরে ধীরে সেখানে ভিড় বাড়তে থাকলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    আরও পড়ুন: বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

    রক্তারক্তি কাণ্ড

    এই গোলমালের মধ্যে মাথা ফাটল এক চাকরিপ্রার্থীর। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ ফলে আজ বিক্ষোভে রক্তাক্ত হওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। আবার কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থও হয়ে পড়েন। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এক মহিলা আন্দোলনকারীকে (TET Agitation) অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়।

    প্রিজন ভ্যানের তলায় শুয়ে বিক্ষোভ

    এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ৷ অনেককে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়৷ আবার বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী প্রিজন ভ্যানের চাকার সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ (TET Agitation) দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, ‘হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু৷’ কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে সেই জায়গা থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। এরপর প্রিজন ভ্যান ছাড়া, বাস থামিয়ে আন্দোলনকারীদের তুলে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।

    যান চালাচল অবরুদ্ধ

    আর এই ধুন্ধুমার (TET Agitation), রক্তারক্তি কাণ্ডের মধ্যে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে রয়েছে আশুতোষ মুখার্জি রোড, এজেসি বোস রোড, জওহরলাল নেহেরু রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা৷ ফলে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে রয়েছে। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। এদিন দ্রুত নিয়োগের দাবিতে শিয়ালদা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল তাঁদের, কিন্তু পুলিশ তা বানচাল করতে পরিকল্পনায় বদল আনেন চাকরি প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation in West Bengal) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী  মনসুখ মাণ্ডব্যকে (Mansukh Mandaviya) চিঠি পাঠালেন তিনি ৷ ট্যুইটারে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

     

    সোমবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অদক্ষতার জন্যই রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷ আমি সম্মানীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মাণ্ডব্যজিকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছি ৷ রাজ্য সরকারকে দিশা দেখানোর জন্য এবং আমজনতার সুবিধার্থে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর আবেদন জানিয়েছি ৷”

    আরও পড়ুন: ‘দুধ দিলে ক্ষীর পাবে, কিন্তু…’, কাকে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত, জানেন?

    চিঠিতে বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রাজ্য প্রশাসন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন বিরোধী নেতা। বিরোধী নেতার অভিযোগ, রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে। 

    চিঠিতে শুভেন্দু জানান, রাজ্য সরকারের কোষাগারে এই পরিস্থিতি সামলানোর যথেষ্ট টাকা নেই। রাজ্য সরকারকে ‘দেউলিয়া’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু আরও লেখেন, কেন্দ্র সরকারের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই টাকাও মাইনে দিতে খরচ করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। তাই ড্রেন পরিষ্কার করার বা স্বাস্থ্য খাতে খরচ করার মতো টাকা সরকারের নেই। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্যে স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অনুরোধ করেন, যাতে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যে  কেন্দ্রের তরফ থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল পাঠানো হয়। শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছ থেকেও গোপন করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share