Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar:  ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে। তার আগে প্রস্তুতি সারছে বিজেপি৷ রণকৌশল তৈরি করতে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের কুশবসানের গৈতাতে পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন আয়োজিত হয়েছিল দলের তরফে৷ পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য স্থানীয় বিজেপি নেতারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত। 

    ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ঘেউ ঘেউ করবেন না ডি.এ দিতে পারব না। পুলিশও ডিএ পাচ্ছে না পুলিশেরও একই অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী তখন ঘেউ ঘেউ করবেন না বলেছিলেন, কিন্তু পুলিশ যে ঘেউ ঘেউ করবে না শুনে ওই ঘেউ ঘেউয়ের মতো কামড়াতে শিখে গেছে।” তাঁর কটাক্ষ, “আপনারা হসপিটালে গেলে ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞেস করবেন, পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে? আর তৃণমূল নেতাদের দেখলে জিজ্ঞেস করবেন পুলিশ কামড়ালে যে ভ্যাকসিন নিতে হয় সেই ভ্যাকসিন কি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পাওয়া যাবে?”

    ডিসেম্বর ডেডলাইন হুঁশিয়ারি

    আবারও সুকান্ত মজুমদারের মুখে ফের শোনা গেল ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’ (December Deadline) হুঁশিয়ারি। নারায়ণগড়ের সভা থেকে ফের ডিসেম্বর-ডেডলাইন হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের। বললেন, ‘‘এখন মাগুর মাছ বেরোচ্ছে, সিবিআই রোজ মাগুর মাছের ঝোল খাওয়াচ্ছে। যত নেতা আছে, যত চোর আছে… এখন হাল্কা ঠান্ডা, ডিসেম্বরে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে। তখন দেখবেন তৃণমূল কাঁপছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘টাইম আসছে গোটা তৃণমূল সরকার কাঁপবে। এই সরকারের আয়ু আর বেশিদিন নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে সাহস পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী।’’ 

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মুখে একাধিক বার শোনা গিয়েছে ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’-এর হুঁশিয়ারি। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলের গলাতেই শোনা গিয়েছে ডিসেম্বরের হুঁশিয়ারি। তৃণমূল সরকারের পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ছ’মাস তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না৷ তার আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে ঝাঁপ গুটিয়ে যাবে তৃণমূলের।’’ সুকান্ত এর আগে বলেছিলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তার একটাই কারণ, সেটা হচ্ছে বিজেপি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিন্তাতেই রাখব। চিন্তার কিছু নেই। ডিসেম্বর হোক, জানুয়ারি হোক, ফেব্রুয়ারি হোক, ঠান্ডাও পড়বে, সরকার কাঁপবে।’’

    পুলিশকে করলেন সাবধান

    নারায়ণগড়ে পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনের প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত বললেন, ‘‘চাকরি বাঁচাতে যতটা করার করবেন, তৃণমূলের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করবেন না।’’ তিনি এও বললেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করতে তৃণমূলের সঙ্গে যদি পুলিশ হাত মেলায় তা হলে আমাদের কর্মীরা আপনাদের তৃণমূলের কর্মী হিসেবে দেখবে এবং সেই মতো ব্যবহার করবে। তখন কোনও ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় আমরা নেব না।’’ পুলিশকে ‘সাবধান’ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের অবশ্য প্রশংসা করেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ওপর তলার পুলিশদের একাংশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও দুর্নীতি! এমন অভিযোগ আগেই করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবারে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি

    রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। আর এই নিয়ে অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেছেন যে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়, সেই টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। কোনও কাজ না দিয়েই অন্য জায়গায় টাকা খরচ করার পর দুর্নীতি লুকোতে মানুষকে ভুল শংসাপত্র দিয়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। আর এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    এই ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এলাকায় প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আর্জি

    মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জিও করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

  • Suvendu Adhikari: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভে তপ্ত বিধানসভা, মশারি বিলি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভে তপ্ত বিধানসভা, মশারি বিলি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) ইস্যুতে বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে তপ্ত বিধানসভা। পদ্ম শিবিরের আনা মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ায় মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা চত্বরে তাঁরা মশারি ও মশার মডেল নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিধানসভার বাইরে পথ চলতি মানুষদের মশারিও বিলি করা হয় বিজেপির তরফে। এদিন বাইরে বেরিয়ে বাসে বাসে মশারি বিলি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পদ্ম শিবিরের অন্য বিধায়করাও।

    দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি…

    কিছুদিন আগে পর্যন্তও রাজ্যে চোখ রাঙিয়েছিল করোনা। করোনা পিছু হঠতেই এবার কলকাতায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি। কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে ডেঙ্গি রোধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পথে নামে বিজেপি। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রোধে রাজ্য সরকার ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে এদিন বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। বিজেপি বিধায়করা জানান, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনাও করতে চান তাঁরা। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত হলে বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নেবেন বিজেপি বিধায়কররা। তবে সে প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার অনুমতি দেননি অধ্যক্ষ। এরই প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আমাদের মুলতুবি প্রস্তাব পড়তে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে অধ্যক্ষকে জানিয়েছিলাম যে বিধানসভায় তো স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য দফতরের কেউ আসেন না। তাই আমাদের অনুরোধ ছিল, রাজ্য সরকারের কোনও মন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানান, এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বিরোধী পক্ষের কোনও বক্তব্য শুনতে নারাজ। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এতদিন পর সোমবার একটি রিভিউ মিটিং ডাকেন। আজ অধ্যক্ষ আমাদের বললেন মুলতুবি প্রস্তাব বিধানসভায় পড়তে পারাই যথেষ্ট। তাই আমরা বিক্ষোভ দেখাই।

    আরও পড়ুন: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    বিধানসভা চত্বরে একপ্রস্ত বিক্ষোভ দেখানোর পর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মনোজ টিগ্গা, অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক বিধানসভা লাগোয়া রাস্তায় ডেঙ্গি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ করেন। প্রতীকী মশা নিয়ে, মশারির মধ্যে ঢুকে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। বিলি করেন মশারিও। এদিকে, সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এলাকা চেতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC Factionalism: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চলল গুলি, জখম পুলিশ 

    TMC Factionalism: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চলল গুলি, জখম পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Factionalism)। তার জেরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিশ (Police) কর্মীও। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বসিরহাটের শাকচূড়া বাজারে। ঘটনার জেরে থমথমে এলাকার পরিস্থিতি। ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    নেপথ্য কাহিনি…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শাকচূড়া বাজারের টাকি রোডের ওপর রয়েছে তৃণমূলের (TMC) একটি পার্টি অফিস। সোমবার রাতে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে তুমুল অশান্তি (TMC Factionalism) হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে চলে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ। পরে শুরু হয় বচসা। কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর শুরু হয় দু পক্ষে হাতাহাতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বসিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ওই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। গুলির ঘায়ে জখম হন অনন্তপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল প্রভাস সর্দার। গুলি লাগে তাঁর বাম কাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। এর পরেই ছত্রভঙ্গ হয় দুষ্কৃতীরা। জখম ওই পুলিশ কর্মীকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। রয়েছেন বসিরহাটের পুলিশ সুপার জেবি থমাস কে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    গুলি চালানোর ঘটনার পরে পরেই স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলে সহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা সিরাজুল ইসলামকেও। পার্টি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দু রাউন্ড গুলি। তৃণমূল কর্মী কুতুবউদ্দিন গাজি বলেন, আমাদের এক নেতা বাজারে ছিল। আচমকাই সিরাজুলের অফিস থেকে বেশ কিছু জন বেরিয়ে তাঁকে মারধর করে ও বন্দুক দেখায়। আমরা ছুটে গেলে আমাদেরও মারধর করা হয়। তিনি বলেন, পার্টি অফিসে পুলিশ ঢুকতে যাওয়ার সময় গুলির আওয়াজ শোনা যায়। একজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন। সিরাজুলের ছোট ছেলে বা ভাইয়ের হাতে একটা বন্দুকও দেখা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিএড- ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিএড- ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে ইডি-র অফিসে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই তলব বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এর আগে  বেসরকারি বিএড এবং ডি এল এড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলকে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। মোট ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ দফতরে হাজিরা দিতে শুরু করেছেন। 

    আরও পড়ুন: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ, শহরে মিঠুন

    সোমবার ইডির দফতরে হাজিরা দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বসিরহাট মহাবোধি কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি সুজিত সরকার। তিনি বলেন, “তাপস মণ্ডল এবং বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের নির্দেশে টাকা দিয়েছিলাম মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের কোম্পানিকে। তখন জানতাম না, ওটা মানিকের ছেলের কোম্পানি। ইডি ডেকেছে, তাই এসেছি।”     

    গোটা রাজ্যে মোট বেসরকারি ডিএলএড কলেজ রয়েছে ৫৯৬টি। আর এই সব কলেজ থেকেই কম-বেশি টাকা তুলতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আর সেই বিষয়েই প্রশ্ন করা হতে পারে কলেজ কর্তৃপক্ষদের। এর আগেই মানিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তাঁর একদা ঘনিষ্ঠ বেসরকারি কলেজের মালিক তাপস মণ্ডল। পর্ষদের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক বয়ান দেন তাপস। তিনি দাবি করেছিলেন,  “পর্ষদের অফিসের পাঁচতলায় একটি এজেন্সি কাজ করত। তারাই এই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে সব দেখত। যাদের ঠিক করে দিয়েছিল সভাপতি হিসেবে মানিকবাবুই।” স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য ইডি আধিকারিকদেরও দিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতেই এদিনের তলব। মনে করা হচ্ছে, এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে তাঁদের। 

    কী উঠে এসেছে তদন্তে? 

    তদন্তে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের দু’টি সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ডিএলএড কলেজ  থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এছাড়া তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি বাবদ মানিক সারা রাজ্যের ৫৯৬টি ডিএলএড কলেজ থেকে পড়ুয়াদের মাথাপিছু ৫০০০ টাকা নিয়েছিলেন বলে উঠে এসেছে তদন্তে। বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে অনলাইনে ভর্তি বাবদ তাপসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Panchayat Election: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ কলকাতায় এলেন মিঠুন

    Panchayat Election: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ কলকাতায় এলেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শহরে তাপমাত্রার পারদ ওঠা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনীতির পারদও চড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)আসন্ন। তার আগে প্রচারে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই। কে-কাকে টেক্কা দেবে? চলছে সেই প্রস্তুতি। বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে মঙ্গলবার রাজ্যে এলেন মিঠুন চক্রবর্তী ( Mithun Chakraborty )। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন মহাগুরু।বুধবার পুরুলিয়ায় বিজেপির ( BJP ) পঞ্চায়েত সম্মেলনে যোগ দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, শুক্রবার বিষ্ণুপুর, শনিবার আসানসোলে সভা। রবিবার অনুব্রত-গড় বীরভূমে সভা করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ভোটে ব্লক স্তরে সংগঠনকে মজবুত করাই লক্ষ্য, জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।

    আরও পড়ুন: অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে! সারদা-প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    ময়দানে মহাগুরু

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে জন সংযোগ বাড়াতে মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) ময়দানে নামাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সূত্রে খবর, ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে  রাজ্যে। জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত সম্মেলনেও অংশ নেবেন তিনি।  মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে জেলা সফরে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তী শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের আইকন। চলতি মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করবেন।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    বাঙালি আবেগ

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যের নানা প্রান্তে সভা করতে দেখা গিয়েছিল। বলি-তারকার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রচার সভা করে গেরুয়া শিবির। তাঁকে ঘিরে বাঙালির যে আবেগ এবারও তাকেই হাতিয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যেই সাংগঠনিক তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি। ‘শক্তি মণ্ডল’ তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে তারা বুথ কমিটিও তৈরি করবে। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে,পঞ্চায়েত ভোটে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে বিজেপি। সেই জন্য প্রচারের কাজে লাগানো হবে মিঠুন চক্রবর্তীকে।  পুজোর আগে গত সেপ্টেম্বরে কলকাতায় এসেছিলেন মহাগুরু। নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তখন তোলপাড়। সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হতাশ মিঠুন বলেছিলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি দেখে আমার হতাশ লাগছে। ৪৩ বছরের কেরিয়ারে ২০০ কোটি টাকা দেখিনি। আর কামাতেও পারলাম না।’’ তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Akhil Giri Issue: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    Akhil Giri Issue: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির  কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। জনজাতি সমাজের প্রথম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর সমর্থনে ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমেছে জনজাতি সমাজ। বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ করছে এই ইস্যুতে। কারা মন্ত্রী অখিল গিরির কাঁথির বাসভবনের সামনেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। বর্ণবিদ্বেষমূলক এই মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির গাড়ি আটকে জনজাতি সমাজের বিক্ষোভও নজর এড়ায়নি রাজ্যের মানুষের। গত রবিবার সকালে বাঁকুড়ার খাতড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের জেরে গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে এলাকা ছাড়তে হয় মন্ত্রীকে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় জনজাতি সমাজের অন্যতম মুখ  বীরবাহা হাঁসদা অবশ্য এই ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জনজাতি সমাজের বিক্ষোভের এই উত্তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই আগামীকাল দেশ জুড়ে পালিত হবে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’। 

     ভগবান বীরসা মুন্ডার ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম 

    আগামী কাল ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। গত বছর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই দিনটিকে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করছে। বিরসা মুন্ডার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে তাঁর জন্মদিনেই ২০০০ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝাড়খন্ড রাজ্য গঠন করেছিল তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার। ‌বিমানবন্দর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই রয়েছে ভগবান বিরসা মুন্ডার নামে। জনজাতি সমাজের এই অবিসংবাদী নেতা ১৮৭৫ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝাড়খন্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী  মুন্ডা বিদ্রোহে তাঁর বীরত্ব গাথা ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে দেশের জন্য আত্ম বলিদান করেন মুন্ডা বিদ্রোহের এই নেতা। জনজাতি সমাজে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের জন্যই তাঁকে ভগবান বা ধরতি আবা বলা হয়। জনজাতিদের উপর হওয়া শোষণ এবং তাদের অধিকারের দাবিতে কিশোর বয়স থেকেই সক্রিয় ছিলেন ভগবান বিরসা মুন্ডা। জনজাতিদের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্মের রীতিনীতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এই নেতা। বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে মাত্র ১৫ বছর বয়সে দীক্ষা গ্রহণ করেন বিরসা মুন্ডা। তিনি পৈতে ধারণ করতেন। খাদ্যাভাসে নিরামিষাষী ছিলেন। কন্ঠস্থ ছিল তার রামায়ণ-মহাভারত সমেত অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থ।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    ১৮৯৪ সালে ব্রিটিশরা অরণ্য আইন বলবৎ করে। এই আইনের দ্বারা জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় । গর্জে ওঠেন জনজাতি সমাজের মানুষজন। ছোটনাগপুরে তীর ধনুক নিয়ে শুরু হয় বিদ্রোহ। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হলে, ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৫ সালে গ্রেফতার করে বিরসা মুন্ডাকে। বিচারে তাঁর দুবছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই বিরসা মুন্ডা পুনরায় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে ব্যাপক আকার ধারণ করে মুন্ডা বিদ্রোহ। ১৮৯৯ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর বিরসা মুন্ডার বাহিনী ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহরে ব্রিটিশ পুলিশদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অনেক পুলিশ কর্মী নিহত হন। ব্রিটিশ সরকার তখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। নামানো হয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। ইংরেজ সৈন্যদের আক্রমণের লক্ষ্য হয় ডোম্বারি পাহাড়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় জনজাতি সমাজের ৪০০ মানুষকে।  সেনারা বিরসা মুন্ডাকে ধরতে ব্যর্থ হয়। ঘোষণা করা হয় তাঁর মাথার দাম। সে সময়ে ভগবান বীরসা মুন্ডার মাথার দাম ছিল ৫০০ টাকা। ১৯০০ সালের এক গভীর রাতে চক্রধরপুর জঙ্গলে ঘুমিয়ে ছিলেন বিরসা মুন্ডা। ঘুমন্ত এবং নিরস্ত্র বিরসা মুন্ডাকে বন্দী করে ব্রিটিশ সরকার। বিচারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়। কারাগারেই মৃত্যু হয় তাঁর। এ নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কারো ধারণা তাঁকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছিল, তো কারও ধারণা অনুযায়ী, কলেরাতেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।

  • Dengue in Kolkata: মেয়রের ওয়ার্ডেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা! কবে কমবে দাপট?

    Dengue in Kolkata: মেয়রের ওয়ার্ডেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা! কবে কমবে দাপট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের আমেজ এলেও কমছে না ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রবিবার রাজ্যে নতুন করে প্রায় ৬০০ জনের কাছাকাছি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ৪ হাজার ৯৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গিতে মৃত্যুও। এখনও অবধি ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের 

    পুরসভার গাফিলতি

    তিন মাস আগে কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছিল পুরসভা। কিন্তু সচেতনতার অভাবেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরনিগম পিছিয়ে পড়েছে বলে সূত্রের খবর। কাউন্সিলরদেরও যে আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল মানছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। অতীন ঘোষের বক্তব্য, “কাউন্সিলরদের বুঝিয়ে বলেছিলাম কোন জায়গাটা আমাদের ধরতে হবে। কিন্তু এখন যা দেখছি, বোঝা যাচ্ছে সেই জায়গায় কিছু দুর্বলতা ছিল।” কলকাতা পুরসভার ( KMC)  সূত্রে খবর, শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে ১০০-জনের বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ( Mayor Firhad Hakim )  ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও অবধি ১১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বাধিক ৪৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে।  এই পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু মনোভাবই সার, অলিতে গলিতে মিলছে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ। আর্বজনা, জমা জল সবই নজরে পড়ছে। বস্তি অঞ্চলগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

    কবে কমবে দাপট

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণের ছবিটা অনেক বেশি উদ্বেগজনক। পুরসভার এক সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে, কলকাতা পুর এলাকায় বর্তমানে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬ হাজার ৫২ জন। গত বছর যে সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৯৩ । চলতি বছরে মোট আক্রান্তের ৭৬ শতাংশের বেশি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। অন্যদিকে, উত্তর কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১ হাজার ৩৭১ জন। স্বাস্থ্য পরিষেবাও বেহাল। সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর চাপ। এমতাবস্থায় শীত পুরোপুরি না পড়লে ডেঙ্গির দাপট কমবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Akhil Giri: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

    Akhil Giri: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করায় রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের হয়েছিল এফআইআর (FIR)। এবার খোদ রাজধানী দিল্লিতে অখিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। রবিবার সকালে রাজধানীর নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অবিলম্বে তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও পুলিশকে জানান লকেট।

    কী বললেন লকেট?

    থানা থেকে বেরিয়ে লকেট সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতিকে যেভাবে অখিল গিরি (Akhil Giri) অপমান করেছেন, তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। সব চেয়ে বড় কথা, নন্দীগ্রামের ওই সভায় অখিলের পাশেই ছিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, এটা কেবল রাষ্ট্রপতিকে অপমান নয়, পুরো আদিবাসী সমাজকে অপমান করা এবং মহিলাদের অপমান করা। লকেট বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা হয়ে একজন মহিলার অপমানের পরেও কোনও স্টেটমেন্ট নেই তাঁর। ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেল। হুগলির সাংসদ বলেন, যখন উত্তর প্রদেশে কিছু হয়, তখন মমতা নেতাদের দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিবৃতি দেওয়ান। বুদ্ধিজীবীরা সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। সাংসদরা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সেই স্পটে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মমতার কোনও বুদ্ধিজীবী, নেতা, মন্ত্রীর কোনও বিবৃতি নেই। লকেট বলেন, আমরা চাই, মমতা অখিল গিরিকে বরখাস্ত করুন এবং বিবৃতি দিন। তাঁর দাবি, অখিল গিরিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বসে রাষ্ট্রপতির পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের এক সভায় ভাষণ দিতে উঠে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন মন্ত্রী মশাই। এর পরেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বিজেপি। এই প্রতিবাদেরই অঙ্গ হিসেবে এদিন অখিলের (Akhil Giri) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন লকেট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Santragachhi: সংস্কার হবে সাঁতরাগাছি রেলওভারব্রিজ, জেনে নিন যান চলাচলের পথ

    Santragachhi: সংস্কার হবে সাঁতরাগাছি রেলওভারব্রিজ, জেনে নিন যান চলাচলের পথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিত্যদিন বাড়ছে যানবাহনের চাপ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওড়ার সাঁতরাগাছি (Santragachhi) রেল ওভারব্রিজ। হাওড়া (Howrah) কলকাতা (Kolkata) দুই যমজ শহরের অন্যতম প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম এটি। দীর্ঘদিন পরে ফের একবার শুরু হচ্ছে সংস্কারের কাজ। যার জেরে বন্ধ থাকবে ব্রিজের একাংশ। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৩ দিন বন্ধ থাকবে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর একটি অংশ। আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রিত হবে এই সেতুতে।

    কেন সংস্কার?

    জানা গিয়েছে, সাঁতরাগাছির (Santragachhi) ওই রেলওভার ব্রিজে কলকাতামুখী লেনের ২১টি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট খারাপ হয়ে গিয়েছে। সংস্কার করা হবে সেগুলিই। ২০১৬ সালে একবার সেতুর একটি লেন বন্ধ করে সংস্কার করা হয়েছিল এক্সপ্যানশন জয়েন্ট। সেই সময় কলকাতামুখী লেনের কাজ হয়নি। সম্প্রতি হয় সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। তখনই ধরা পড়ে গভীর অসুখ। রিপোর্টে জানা যায়, অবিলম্বে সেতুর জয়েন্ট সারাই না করা হলে, ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। তাই সেতুর কলকাতামুখী লেন বন্ধ করে মাস দেড়েক ধরে চলবে সেতু সংস্কারের কাজ।

    বুধবার সাঁতরাগাছির (Santragachhi) ওই রেলওভারব্রিজ নিয়ে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কলকাতা পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। সাঁতরাগাছি (Santragachhi) রেলওয়েব্রিজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সেতুর কলকাতামুখী লেনটি বন্ধ রাখা হলেও, অন্য লেনটি দিয়ে যান চলাচল করবে। ওই লেনটি দিয়েই দু দিকে যাতায়াত করবে গাড়ি। ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এভাবেই চলাচল করবে গাড়ি। রাত ১১টার পর বন্ধ হয়ে যাবে পুরো সেতুই। সংস্কার চলাকালীন সময়ে সাঁতরাগাছি রেলওয়ে ব্রিজ দিয়ে কোনও মালবাহী যান চলাচল করতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।   

    আরও পড়ুন: ‘নতুন জীবন পেলাম…’ দীর্ঘ ৩১ বছর পর জেলের বাইরে এসে কী বললেন নলিনী শ্রীহরণ?

    হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঠিক কবে থেকে পিডব্লুডি কাজ শুরু করবে, সে ব্যাপারে দ্রুত নোটিশ দেওয়া হবে। তবে আমরা ১৯ নভেম্বর থেকে সেতু বন্ধ রাখছি। সাঁতরাগাছি (Santragachhi) রেলওয়ে ব্রিজে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলে ব্যাপক যানজট হওয়ার আশঙ্কা। সমস্যা দূর করতে বিকল্প পথ বাতলে দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা। ওই সময় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজা পেরিয়ে আন্দুল রোড দিয়ে মৌড়িগ্রাম হয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে জাতীয় সড়কে। রাত ১০টার পর নিবেদিতা সেতু হয়ে কলকাতায় ঢুকতে পারবে মালবাহী গাড়িও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

LinkedIn
Share