Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Partha Chatterjee: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    Partha Chatterjee: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ”আমাকে বাঁচতে দিন”, আদালতে বিচারকের সামনে এভাবেই আর্তি জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Parth Chatterjee)। কিন্তু তাতেও গলল না বিচারকের মন। জামিন পেলেন না পার্থ। সিবিআই মামলায় ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। জেলে থাকতে হবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হওয়া সকলকেই! জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায়, প্রবীর সিং – এর। 

    প্রথমে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে পার্থকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। সোমবার, আলিপুর জাজেস কোর্টে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। নিজেই জামিনের আবেদন জানান। এদিন আদালতে পার্থের হয়ে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানানোর পরেও পার্থ নিজেও বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানান। পার্থের আইনজীবী এদিন বলেন, “পার্থর মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। একজন নেতা হিসেবে ওঁর কাজে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ। পালিয়ে যাবেন না। দরকার পড়লে দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে জামিন দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুন: কখন দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ? ভারতে কোথায় দেখা যাবে? 

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বিচারককে বলেন, “আমার শরীর দিচ্ছে না, সব কেস একসঙ্গে আনা হচ্ছে। কিছুই পাওয়া গেল না, তাও এরকমভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে।ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা চলছে, আমাকে বাঁচতে দিন।” 

    এদিকে এদিন পরিবারের লোকজনকে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় মাথা সুবীরেশ। তিনি সব জানতেন। সিবিআই দাবি করেছে, পদ যাওয়ার পরেও এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী সুবীরেশ। তাই তাঁকে জামিন দিলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। এদিন জামিন পাননি সুবিরেশও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ডেঙ্গিতে রক্ষে নেই, ম্যালেরিয়া দোসর! রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের হার বাড়ছে দিনের পর দিন। এরই মধ্যে আলোড়ন পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো একটি রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় (Malaria Outbreak) আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৪৮ জন। মাস দুয়েক আগেও এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৭০০। জানা গিয়েছে, যাঁরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের সিংহভাগই হচ্ছেন ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায়।

    রাজ্যে মশাবাহিত রোগের হাল হকিকৎ কী এবং প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো বাধ্যতামূলক। সেই মতো তথ্য পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ম্যালেরিয়ার (Malaria Outbreak) কথা। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির বলি হয়েছেন ৬৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং এই ছটি জেলা ডেঙ্গিপ্রবণ।

    ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই থাবা বসিয়েছে ম্যালেরিয়া (Malaria Outbreak)। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৪৪ জন। আর কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাসের শেষ দিন পর্যন্ত এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮১২। এর মধ্যে ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০২। মৃত্যু হয়েছে একজনের। কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    কেন্দ্রের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য পাঠাচ্ছে না রাজ্য। শনিবারও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণী। মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বছর পঁচিশের ওই বধূর। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, ভয়ঙ্কর অবস্থা। সরকার নেই। সরকার ছুটি কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ১১ দিন, কালীপুজোয় ৮দিন, ছুটি আর ছুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: খাদ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী মানিক পুত্র সৌভিক! বেতন এক লক্ষেরও বেশি! কী করে সম্ভব?

    Manik Bhattacharya: খাদ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী মানিক পুত্র সৌভিক! বেতন এক লক্ষেরও বেশি! কী করে সম্ভব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) অস্বস্তি আরও বেড়ে গেল।  এবারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ছেলে সৌভিকের নামে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। ইডির আধিকারিকরা দাবি করেছেন, ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই-এর আইটি বিভাগের রিফর্ম সেলের অস্থায়ী ডাটা অপারেটর বিভাগের টিম লিডার ছিল মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য। তবে সবার থেকে অবাক করা বিষয় হল তাঁর বেতন। কারণ যেখানে সমস্ত ডেটা অপারেটররা বেতন পান ১০-১৩ হাজার টাকা, কিন্তু সৌরভ মাসে ১,১০,০০০ টাকা বেতন পেতেন বলে সূত্রের খবর।

    কী করে সামান্য ডেটা অপারেটর হয়ে এত টাকা বেতন পেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) টেট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেই সৌভিকের খোঁজ করতে ইডি খাদ্য দফতরে পৌঁছে গিয়েছিল। এরপর ১৫ দিন আগে মির্জা গ্যালিব স্ট্রিটের খাদ্য দফতরের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন ইডি কর্তারা। তাঁরা মানিক পুত্র সৌভিকের সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায় ও কী ভাবে সে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হয় তাঁর? সেসব বিষয়ে জানতেই পৌঁছে গিয়েছিল ইডি। প্রসঙ্গত, এর আগেই সৌভিকের অ্যাকাউন্টে প্রায় ২.৭ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছিল। ফলে ওই টাকার সূত্র নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু ইডি তাঁর খোঁজ শুরু করার পর থেকেই খাদ্য দফতরের অফিসে তিনি আর যান না। সৌভিকের নিয়োগ ও বেতনের পরিমাণ নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে খাদ্য দফতরের ভূমিকা।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    আবার একদিকে যেমন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। তেমনই অন্যদিকে মানিককে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) মুখ খুলতে শুরু করলে অনেক উইকেট পড়বে। ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, সরকার কাঁপবে।’ রাজ্যে যেভাবে একাধিক দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন, এহেন পরিস্থিতিতেই, ‘জেলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও’, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাই বলেন, যদি শাসকদলের অধিকাংশ মন্ত্রীই জেলে যান, তাহলে কী করে চলবে সরকার? প্রশ্ন তুলেই, তিনি বলেন ‘সুতরাং, ডিসেম্বরেই পড়তে পারে সরকার।

  • Metro Rail: চলতি বছরেই মেট্রো ছুটবে দুই পথে, জেনে নিন রুট

    Metro Rail: চলতি বছরেই মেট্রো ছুটবে দুই পথে, জেনে নিন রুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে জোকা-তারাতলা (Joka-Taratala) রুটের বাসিন্দাদের। স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে নিউ গড়িয়া-রুবি (New Garia Ruby) রুটের বাসিন্দাদেরও। এতদিন এই দুই এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল বাস। এবার ব্যবস্থা হতে চলেছে তাঁদের যাতায়াতের আরও একটি মাধ্যমের। সেটি হল, মেট্রো রেল (Metro Rail)। সূত্রের খবর, আগামী বছর নয়, চলতি বছরেই জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি রুটে ছুটবে মেট্রো। উপকৃত হবেন ওই দুই রুটের কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী। জানা গিয়েছে, মেট্রো রেল (Metro Rail) কর্তৃপক্ষ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। জোকা তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া রুবি রুটে কমর্সিয়াল মেট্রো চালু করার ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ছাড়পত্র মিললে চলতি বছরেই শুরু হয়ে যাবে ওই দুই রুটে মেট্রো পরিষেবা।

    রেলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পথে ট্রেন চালাতে গেলে বেশ কিছুদিন ট্রায়াল রান দিতে হয়। ট্রায়াল রান সফল হলেই আবেদন করতে হয় ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্রের জন্য। জানা গিয়েছে, জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি দুই রুটেই বর্তমানে চলছে ট্রায়াল রান। আধিকারিকদের মতে, যেহেতু এই মুহূর্তে সিগন্যাল পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই, তাই বিশেষজ্ঞদের লাইন পরীক্ষার পর ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্র পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত, একটি লাইনে একটি মাত্র ট্রেন চললে সিগন্যাল টেস্টের প্রয়োজন হয় না। আপাতত এই দুই রুটে  একটি লাইনে একটি করেই ট্রেন চলবে বলে জানা গিয়েছে। জোকা-তারাতলা মেট্রো লাইনে চারটি স্টেশন রয়েছে। এগুলি হল, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা এবং বেহালা বাজার। এখনই ওই রুটে একটিই মাত্র ট্রেন চলবে। পুরো দূরত্ব অতিক্রম করতে মেট্রোর সময় লাগবে মাত্র ১৮ মিনিট।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    এর আগে মেট্রোরেলের (Metro Rail) জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা বলেছিলেন, ২৪ অক্টোবর কালীপুজোর দিন চালু হতে পারে মেট্রো পরিষেবা। তবে তা হয়নি। তাই চলতি বছরেই যাতে ওই দুই রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু করা যায়, জোরকদমে তার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, জোকা-তারাতলা রুটের মোট দৈর্ঘ ৬ কিলোমিটার। আর নিউ গড়িয়া-রুবি স্টেশনের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Contai: বিয়েতে না, বাড়ি থেকে নাবালিকা তুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Contai: বিয়েতে না, বাড়ি থেকে নাবালিকা তুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নাবালিকাকে অপহরণের (minor kidnap) অভিযোগ উঠল তৃণমূলের যুব সভাপতির (youth president) বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এগরা থানা (Egra) এলাকায় রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হল নাবালিকাকে। মারিশদা থানার দ্বারস্থ হয়েছে ওই নাবালিকার পরিবার। তাঁদের দাবি, আনন্দ দাস নামের এক তৃণমূল নেতা তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করেছেন। 

    পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়ি এগরার কুইথোড় এলাকায়। সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আনন্দ দাস। এর আগেও ওই নাবালিকাকে বিরক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে নিয়ে আগেও পালানোর চেষ্টা করেছিলেন আনন্দ। ৩ মাস আগে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে মেয়েকে খুঁজে নিয়ে আসে পরিবার। তার পরে কিছুদিন হোমে থাকে ওই নাবালিকা। দুর্গাপুজোর সময় মগাশার বাসিন্দা নাবালিকা মারিশদা এলাকায় মামার বাড়িতে এসেছিল। পরিবারের অভিযোগ, আচমকাই সেখানে চড়াও হন আনন্দ। শুধু তাই নয়, বাড়ি বয়ে গিয়ে নাবালিকার পরিবারকে হুমকি দেন। জিজ্ঞেস করেন, কেন পুলিশে জানিয়েছিলেন। মারধর করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর পর বিজয়া দশমীর পরের দিন ফের নাবালিকাকে সঙ্গে করে বাড়ি থেকে নিয়ে পালান আনন্দ।

    আরও পড়ুন: সমাজ সেবায় ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির আবেদন চলছে  

    অভিযোগ নাবালিকাকে আগে থেকেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল সে। ওই রাতেই জোর করে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় মেয়েটির পরিবার। আনন্দ মারধর করে ওই নাবালিকার বাবাকে। এরপরে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৬ বছর বয়সী নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সঙ্গে বয়সে দ্বিগুণ প্রায় ৩০ বছর বয়সি ওই যুবকের বিয়ে মেনে নেয়নি তার পরিবার।

    পরিবারের দাবি, আনন্দ হুমকি দিয়ে বলেন, তিনি তৃণমূলের একজন প্রভাবশালী নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না। থানা পুলিশ আদালত কোনও কিছুই কাজ করবে না। এই মর্মে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত এফআইআর করেছে নাবালিকার বাবা গদাধর ভূঁইঞ্যা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

        

  • Indigo Airlines: টেক অফের সময় আগুনের ফুলকি, ইন্ডিগো বিমানে বিপত্তিতে তদন্তের নির্দেশ ডিজিসিএ-র

    Indigo Airlines: টেক অফের সময় আগুনের ফুলকি, ইন্ডিগো বিমানে বিপত্তিতে তদন্তের নির্দেশ ডিজিসিএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার উড়ানের ঠিক আগেই আগুনের ফুলকি দেখা যায় বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো বিমানে। ইন্ডিগোর (Indigo Flight) 6E-2131 উড়ানটির দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। কিন্তু যাত্রা শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানের একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। বিমানের এক যাত্রী ইঞ্জিন থেকে আগুনের ফুলকি বেরনোর একটি ভিডিও করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিও।

    গতকালের ঘটনার পর আতঙ্কিত যাত্রীরা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে। এই অনভিপ্রেত ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার জন্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (Directorate General of Civil Aviation)-র তরফে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে শি জিনপিংয়ের জিরো-কোভিড টলারেন্স নীতি…     

    গতকাল রাত ৯ টা ৪৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ইন্ডিগোর ওই বিমানে ছিলেন ১৮৪ জন। জানা গিয়েছে, রাত ১১ টা নাগাদ বিমান থেকে যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। মধ্যরাতে তাঁদের অন্য একটি বিমান দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত যাত্রী ও ক্রু সদস্যরা নিরাপদে রয়েছেন। ডিজিসিএ-র প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পাইলট ইঞ্জিনে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।  

    ডিজিসিএ-র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিমানের ইঞ্জিন বিকলের সংকেত মিলেছিল। বিকট শব্দ শোনা যায়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কাজ করেছিল। বিমানটিকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে ডিজিসিএ। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    ইন্ডিগোর তরফে অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “টেক অফের সময় যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়। পাইলট তৎক্ষণাৎ বিমানটিকে থামিয়ে দেন। সমস্ত যাত্রী এবং ক্রু নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদের অন্য বিমানে করে রাত ১২টা ১৬ মিনিট নাগাদ নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 
     
     
  • Manik Bhattacharya: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    Manik Bhattacharya: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপদ বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। ফের তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।  সেইসঙ্গে সিবিআইয়ের (CBI) আবেদন মঞ্জুর করে আদালত জানিয়েছে, জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করা যাবে। মানিককে জেরা করতে চেয়ে আদালতে একটি পিটিশন জমা দিয়েছিল সিবিআই। তাতেই সম্মতি মিলল। এর ফলে এবার সিবিআই-এর জেরার মুখেও বসতে বাধ্য মানিক। একইসঙ্গে জেরা চলবে ইডি-রও (ED)।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় মানিককে।  আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে স্ত্রী ও ছেলেকে নামিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লেনদেনের অধিকাংশটাই মানিকের স্ত্রী ও ছেলের মারফত হতো। ইডির দাবি, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী নামের একজনের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই মৃত্যুঞ্জয়  ২০১৬ সালে মারা গেলেও তাঁর অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা রয়েছে বলে দাবি ইডির।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    তদন্তকারীদের নজরে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের নামে সেই কলেজ। সেখান থেকে প্রায় ২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। পার্থ এবং মানিকের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও নজরে তদন্তকারীদের। মানিকের ছেলের যে সংস্থা, তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিকের কথোপকথনের বিষয়ও ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, চাকরি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন মানিক। সিবিআই বহুবার মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় গ্রেফতার করতে পারেনি। এখন জেলবন্দি মানিককে জিজ্ঞসাবাদ করতে চায় সিবিআই। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। ফলে আরও বিপাকে পড়লেন মানিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি ট্যুইট করে দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরবিআই-এর কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট বা এফআরবিএমের অধীনে ঋণ নেওয়ার সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে এও জানিয়েছেন, বাংলার ঘাড়ে ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে বিরোধী দলনেতা পরামর্শ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ঋণ দেবেন না। দিলে টাকার অপব্যবহার হবে। 

    এদিন ট্যুইটারে শুভেন্দু লেখেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে। এফআরবিএম আইনে ঋণ গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা ইতিমধ্যে পার করে ফেলেছে। রাজ্যের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। যা উদ্বেগজনক।” 

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যে শুভেন্দু লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তাঁর আয় বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া উচিত। জমিনীতি বদলে ও বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে শিল্প ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিত। যাতে রাজ্যের অর্থনীতির পুনরুত্থান হয়, কর্মসংস্থান তৈরি হয় ও রাজ্যের ওপর দেনার ভার কমে।” 

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু এদিন ট্যুইটে বেতন বন্ধের সম্ভবনার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এমনটা হলে তা সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। 

    এদিন সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী একাধিক ট্যুইট করেন। তিনি ট্যুইটগুলোতে আরবিআইকে এবং পশ্চিমবঙ্গের অর্থসচিবকে ট্যাগ করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য- ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাপসকে এদিন ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের তথ্য সঙ্গে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন তাপস মণ্ডল। ২ নভেম্বর তাপসকে ডিএলএডের অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।  

    কিছুদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এরপরই ইডির স্ক্যানারে আসে মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। তাপসের বিভিন্ন ডেরায় হানা দেয় ইডি (ED)। এর আগে ২০ অক্টোবর তাঁকে তলব করেছিল এই কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা।

    সূত্রের খবর, ২০১৮-২০, ২০১৯-২১, ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডিইএলএড কলেজগুলিতে অফলাইনে কত রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তার হিসাব চাওয়া হয়েছে তাপসের থেকে। ইডির দাবি, ৬০০টি কলেজে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র পিছু ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হত। এই টাকা যেত মানিকের কাছে। ফলে কত সংখ্যক ছাত্রের অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল এবং মোট কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চায় ইডি।

    আরও পড়ুন: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    তাপসের নিজেরও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। ইডির নজরে রয়েছে এই কলেজও। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এই কলেজে বহুবার এসেছেন মানিক ভট্টাচার্য। ১৬ অক্টোবর তালা ভেঙে সেই কলেজের অফিসে ঢোকেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাঁশকুড়াতেও তাপসের  শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত মাইশোরা এলাকার রাসবিহারী প্রাইভেট টিচার্স  ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের  হদিশ মেলে৷ জেলার একাধিক জায়গায় তাঁর আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা।     

    বারাসতের বাসিন্দা তাপসের আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। প্রসঙ্গত, তাপসের ভাই বিভাসের স্ত্রী পারমিতা কয়েক মাস আগেই হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি খুইয়েছেন। এমনটা অভিযোগ-ও সামনে আসে, তাপস মণ্ডলকে বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে ফাইল সরাচ্ছে তাঁর ভাই ও সাঙ্গপাঙ্গোরা!  অভিযোগ করেন প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্ত তল্লাশিতে আরও দুর্নীতি ফাঁসের আশঙ্কা রয়েছে। তাপস মণ্ডলের আদি বাসভূমি পাঁশকুড়ার হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম এলাকায় রাতের অন্ধকারে তাঁর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ফাইল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

    মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে যে নথি পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে ইডির গোয়েন্দারা মনে করছেন, তাপসের সঙ্গে মানিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, মানিক এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তাই ইডির অফিসাররা মনে করছেন যে, মানিক তথ্য গোপন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে তৃতীয়বার তলব করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ

  • Suvendu Adhikari: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে ডিয়ার লটারির (Dear Lottery) কারবার! এই লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে আরও একবার সুর চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, এই লটারি সংস্থার সঙ্গে ভাইপো এবং তৃণমূলের (TMC) সম্পর্ক রয়েছে। এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা বলেও মনে করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)দাবি, অন্য সব লটারি সংস্থাকে কোণঠাসা করে দিয়ে কেবলমাত্র একটি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার বদলে সুবিধা নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তিনি জানান, পুরস্কারের আশায় লটারি কিনতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একাধিক ট্যুইট-বার্তায় তৃণমূলকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। একটি ট্যুইটে তিনি বলেন, আমি বরাবর বলে আসছি যে ডিয়ার (ভাইপো) লটারি ও তৃণমূলের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এটি আর্থিক তছরুপের একটি সহজ পন্থা।

    ওই লটারি সংস্থার পুরস্কার মূল্য এক কোটি টাকা। একবার সেই টাকা পেয়েছিলেন বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি পেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী। তাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট-বাণে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, সাধারণ মানুষ টিকিট কেনেন। আর বাম্পার পুরস্কার জেতেন তৃণমূল নেতারা। প্রথমে জ্যাকপট জিতলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং এখন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী জিতলেন এক কোটি টাকা। প্রকৃতপক্ষে গত বছর আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজিকে এনিয়ে চিঠি লিখেছিলাম। প্রায়ই আমি এনিয়ে সরবও হয়েছি।  

    অত্যন্ত সুচারুভাবে লটারি ব্যবসার নামে রাজ্যের দরিদ্র মানুষকে ঠকিয়ে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। অন্য একটি ট্যুইট-বাণে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, এই উদ্বেগজনক ইস্যুটি নিয়ে আমি অনেক দিন ধরেই আওয়াজ তুলছি। পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র মানুষকে লটারির পুরস্কারের নামে সহজে মোটা টাকা পাওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। তাঁরা সহজেই তাঁদের কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে এই সব লটারির টিকিট কাটছেন। আর সেই টাকায় লাভবান হচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআই যোগসূত্র ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share