Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • West Bengal NCC: ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগছে, রাজ্যে এনসিসি বন্ধ করে দিল মমতা প্রশাসন

    West Bengal NCC: ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগছে, রাজ্যে এনসিসি বন্ধ করে দিল মমতা প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এনসিসি (NCC West Bengal) বন্ধ হলো এরাজ্যে। গত ৬ অক্টোবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে পাঠানো রাজ্যের এনসিসি-র এডিজি মেজর জেনারেল সেনগুপ্তর চিঠি সামনে আসতেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়। ওই চিঠিতে ষ্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এরাজ্যে এনসিসিতে নতুন করে কোনও নাম নথিভুক্ত করা যাবে না। কারণ হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারের এই খাতে বাজেট বরাদ্দ না করার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নাম নথিভুক্ত রয়েছে এমন এনসিসি ক্যাডারের সংখ্যা এরাজ্যে ৯৫ হাজার ১২০, যাদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৩২৪ জন জাতীয় স্তরের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে। 

    ফলে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ক্লাবগুলোকে দুর্গাপুজোর নামে বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়া হচ্ছে, লক্ষ্মীভাণ্ডার প্রকল্পে মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, সেখানে এনসিসির খাতে বরাদ্দ কেন নেই? ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এখানে অন্য কারণ থাকতে পারে। স্কুল কলেজে অসংখ্য পড়ুয়া এনসিসিতে ভর্তি হয়। দেশাত্মবোধক গান, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে তাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগে। তাই এই কারণেই হয়তো এনসিসিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল। 

    ক্লাবকে আর্থিক সাহায্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) মতো প্রকল্পে শাসক দলের ভোট ব্যাংক তৈরী হয়। কিন্তু জাতীয়তাবোধ জাগলে সেটাকে শাসক দলের বিপক্ষ ভোট ব্যাংক বলেই মনে করে মমতা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলার বদলা হিসেবে এয়ার স্ট্রাইকের দ্বারা জঙ্গি নিকেশ করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সারাদেশের মতো তখন পশ্চিমবঙ্গেও বিজয় দিবস পালিত হয়েছিল। রাস্তায় নেমে জাতীয় পতাকা হাতে বহু সাধারণ মানুষ, দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে দিয়ে দেশের সেনাবাহিনীকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছিল। তখন একাধিক জায়গায় মমতা প্রশাসনের বিপক্ষে অভিযোগ ওঠে এই প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়ার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী (Mamata) সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেন – ‘‘জাতীয় পতাকা হাতে, সন্ধ্যা হলেই রাস্তায় নামছে। ওরা কারা?’’ তাই অনেকেই মনে করছেন, জাতীয়তাবোধ জাগে বলেই এনসিসি বন্ধের এই সিদ্ধান্ত। 

    গরুপাচার, শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে নাজেহাল শাসক দল, তার মধ্যে এনসিসি বন্ধ হওয়ার বিষয়টি মমতা প্রশাসনের অস্বস্তির মাত্রা বাড়াল বলেই মনে করছে অনেকে। এনসিসি শুধুমাত্র যে একটি প্রশিক্ষণ তাই নয়, এই ট্রেনিং এর দ্বারা সরাসরি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ভর্তির সুযোগ রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। সেদিক থেকে দেখলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দপ্তরে চাকরি করার সুযোগটাও চলে গেল অসংখ্য কলেজ পড়ুয়ার।

    দুর্নীতি, স্বজনপোষণে এবং একাধিক মামলায় জর্জরিত হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ‌‌। এখন শিক্ষক নিয়োগ বা অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষা এরাজ্যে প্রায় বন্ধ বললেই চলে‌। অসংখ্য তরুণ-তরুণী এনসিসির মারফত ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সরাসরি ভর্তি হতে পারতেন। এনসিসির ‘বি’ এবং ‘সি’ সার্টিফিকেটের পরীক্ষায় যাঁরা ভাল নম্বর নিয়ে পাশ করতেন এবং স্নাতক স্তরে যাদের ৫৫% শতাংশ নম্বর থাকত, তাঁদের ‘কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস’ এর লিখিত পরীক্ষায় বসতে হতো না‌। সরাসরি তাঁরা ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেতেন। এবার সে সুযোগ থেকেও তাঁরা বঞ্চিত হলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    SSC Scam: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআইএসএসসি নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম চার্জেশিট দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা । হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই চলতি বছরের এপ্রিলে এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। ওই চার্জশিটে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ মোট ১২ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো! 

    সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশ, কল্যাণময় ছাড়াও নাম রয়েছে এসএসসির সহকারী সচিব অশোককুমার সাহা, প্রাক্তন প্রোগ্রাম অফিসার পর্ণা বসু এবং সমরজিৎ আচার্যের নামও। অশোককুমার বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। এছাড়া চার্জেশিটে উল্লেখ রয়েছে  ৬ জন ‘প্রাইভেট পার্সন’-এর নাম। এই তালিকায় রয়েছেন প্রসন্ন কুমার রায়,  প্রদীপ সিংহ, জুঁই দাস, আজাদ আলি মির্জা , ইমন মোমিন ও রোহিত কুমার ঝা। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অযোগ্য প্রাথীদের মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করেছিল ধৃত ও চার্জশিটে নাম-থাকা অভিযুক্তরা। পর্ষদের  পদাধিকারীদের সঙ্গে  প্রাইভেট পার্সনরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করে নিয়োগ দুর্নীতি করেছে বলে চার্জেশিটে উল্লেখ  সিবিআইয়ের। 

    আরও পড়ুন:উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    প্রসঙ্গত, এর আগেই তদন্তে সিবিআই জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতির আসল কাজটা হয়েছে সফটওয়্যার প্রোগ্রামিংয়েই। সেখানেই দিনকে রাত করা হয়েছে। তাই চার্জশিটে প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্য, পর্ণা বসুর নাম রয়েছে। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, এই দুর্নীতির জাল বোনা হয়েছিল সংগঠিতভাবে। ধরা পড়লে কীভাবে নিজেদের বাঁচানো যাবে তারও ছক কষে রেখেছিলেন অভিযুক্তেরা, দাবি সিবিআইয়ের। অভিযোগ, কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদদের আগে যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে এঁরা আগে থেকেই জেনে নিতেন, সিবিআই কী কী প্রশ্ন করছে, কী তথ্য চাইছে। সেই মতো আগে থেকে বাঁচার রাস্তা তৈরি করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তেই হল, কারণ অপরাধ কাউকেউ ছাড়ে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bhatpara: ভাটপাড়ায় বোমা ফেটে মৃত্যু ছয় বছরের শিশুর, বল ভেবে খেলতে গিয়েই হল বিপত্তি

    Bhatpara: ভাটপাড়ায় বোমা ফেটে মৃত্যু ছয় বছরের শিশুর, বল ভেবে খেলতে গিয়েই হল বিপত্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ফের দুঃখের খবর। বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হল ছয় বছরের শিশুর। বোমা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গুরুতর জখম হয়েছে তার বাকি দুই খেলার সঙ্গীও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে, ভাটপাড়া থানার প্রেমচাঁদ নগরে রেললাইনের ধারে। মৃত শিশুর নাম চিকু পাসোয়ান। জানা গিয়েছে, ভাটপাড়ার ২৮ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইনের ধারে বোমাগুলি রাখা ছিল।  ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ ভাটপাড়া পুরসভার প্রেমচাঁদ নগর এলাকায় বোমা ফাটে। গুরুতর জখম ১১ বছরের মহেশ সাউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়রা জানান, ঘুম থেকে উঠে ওই দুজন বাড়ির কাছেই রেল লাইনের ধারে খেলা করছিল। ২৮ ও ২৯ নম্বর রেলগেটের মাঝে কাঁকিনাড়া স্টেশন সন্নিহিত রেল ধারে ওরা একটি বোমা কুড়িয়ে পায়। বল ভেবে নাড়াচাড়া করতে গিয়েই বোমা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চিকুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহেশকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে কল্যাণী ইএসআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর সেখান থেকে ওকে কলকাতার মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। আর সেখান থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নৈহাটির জিআরপি–আরপিএফ এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে বোমাটি কেউ ফেলে রেখেছিল। সেটাকেই বল ভেবে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হয় চিকুর। বোমাটি হাতে নিতেই বিকট শব্দে ফেটে যায়। আর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার জন্য ফের এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    অন্যদিকে, সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, ওখানে উকিল নামে এক দুষ্কৃতীর দাপটে তটস্থ এলাকার মানুষ জন। জুয়ার ঠেকে যাবার আগে ওরা বোমা আশেপাশে লুকিয়ে রাখে। জুয়ায় হেরে যাবার পর বোমা নিতে ভুলে যায়। সেই লুকিয়ে রাখা বোমা কুঁড়িয়ে পেয়ে খেলতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে। কে বা কারা রেললাইনের ধারে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখছে নৈহাটি জিআরপি থানা ও ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

     

  • Suvendu Adhikari: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর মাসেই এই সরকার ল্যাম্পপোস্ট হয়ে যাবে। রবিবার যাদবপুরের বিজয়গড়ে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে এমনটাই বললেন বিরোধে দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ” কালীপুজোয় মায়ের কাছে অনুরোধ করব ২০২৩ সালে যেন আমরা চোরমুক্ত বাংলা দেখতে পাই। দেখুন না কী হয়! ডিসেম্বর মাসেই এই সরকার ল্যাম্পপোস্ট হয়ে যাবে।” শুভেন্দুর এই দাবিকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ডিসেম্বর মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আর্থিক দেউলিয়া সরকার ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে আর ঋণ নিতে পারবে না রাজ্য সরকার। যা আর্থিক সংকট ডেকে আনতে পারে। তখন এই সরকারকে ফেলা অনেকটাই সহজ হবে।

    আরও পড়ুন: দেশের সুরক্ষা যাদের কাঁধে, প্রথা মেনে তাঁদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে কার্গিলে মোদি 

    শুভেন্দু আরও বলেন, “ডিসেম্বর মাসের পরে এই সরকারটা সরকার হিসেবে থাকবে না। মর্নিং শোজ দ্যা ডে। দেখতে পাচ্ছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ বঞ্চিত প্রার্থীরা করুণাময়ীর সামনে লাগাতার অবস্থান করছেন। সরকার চলে গিয়েছে কোর্টে। ১৪৪ ধারা জারি করতে কোর্টে যেতে হয়েছে। এই সরকার দুর্বল সরকার। যে সরকারে কোনও ক্ষমতা থাকে না সে কোর্টে চলে যায়। ডিসেম্বরের আগেই এই সরকার দুর্বল সরকারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।”

    আরও এক বিস্ফোরক দাবি করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “পুলিশের পাশাপাশি আন্দোলন ভাঙতে সরকারকে ভাঙড়- ক্যানিং থেকে ক্যাডারও আনতে হয়েছিল মেধাবী যুবক যুবতীদের আন্দোলন ভাঙতে। নিরস্ত্র অবস্থায় শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছিল ওরা। তাদের বল পূর্বক আন্দোলন ভাঙা হয়েছে।”

    এদিকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের (Birbhum Politics) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আর সেই ফাঁকেই ভাঙছে বীরভূম তৃণমূল। কেষ্টর জেলে যাওয়ার পরই দুর্বল হচ্ছে তৃণমূলের বীরভূমের দুর্গ? পরপর দু’দিন জেলার তৃণমুল নেতাদের কার্যকলাপে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল।

    শুভেন্দু অধিকারীর সম্প্রতি পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি সিউড়ির বামণী কালীমন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। কিন্তু সেই ভিডিও নজর কেড়েছেন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর। ভিডিওতে যে দুই তৃণমূল নেতাকে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে, তাঁদের একজন সিউড়ির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যজন হলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুন্দন দে। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: এবার প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়াল অনুব্রতর, আরও গাড্ডায় তৃণমূল নেতা  

    Anubrata Mondal: এবার প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়াল অনুব্রতর, আরও গাড্ডায় তৃণমূল নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ও গরু পাচারের (Coal and Cattle smuggling Case) পর এবার তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) নাম জড়াল প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও (Primary TET Scam)। ইডি (ED) সূত্রেই এ খবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পাচারের টাকায়ই নির্মাণ করা হয়ে থাকতে পারে একের পর এক বেসরকারি কলেজ।

    প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে মিলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) দুর্নীতি করেছিলেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১২ সালে মার্চ মাসে তাপস মণ্ডলের একটি ভাড়া বাড়িতে পাঁচটি বেসরকারি বিএড কলেজের চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি সংগঠন গড়া হয়। নাম দেওয়া হয়, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স। এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য ছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার চেয়ারম্যান। ইডির অভিযোগ, বকলমে ওই সংগঠনে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কেবল এই সংগঠনটিই নয়, ওই ব্যক্তির আরও তিনটি সংস্থা রয়েছে। এই সব সংস্থার মাধ্যমে পরবর্তীকালে রাজ্যে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিএড, পলিটেকনিক এবং মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারের টাকায়ই ওই সব কলেজ নির্মাণ করা হতে পারে। এই কলেজগুলির মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের এসএসসি ও প্রাথমিক টেটের বিএড ও ডিইএলইডির জাল সার্টিফিকেট তৈরি করা হতে পারে। কয়েক কোটি টাকার জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীকে। ইডির অভিযোগ, অনুব্রত (Anubrata Mondal) নিজে ওই প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রাথমিক টেটের অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠিয়ে দিতেন মানিকের কাছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ইডির হাতে তুলে দিল সিবিআই। গত কয়েক মাসে তদন্তে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, সায়গলের সম্পত্তি ও টাকাপয়সা সংক্রান্ত যে সব তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে সেসব এবং চার্জশিট সহ ৫০০ পাতার নথিও তুলে দেওয়া হবে ইডির হাতে। এই সব তথ্য সামনে রেখেই সায়গলকে জেরা করবে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cyclone Sitrang: আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং! সতর্ক উপকূলরক্ষী বাহিনী, চলছে মাইকিং

    Cyclone Sitrang: আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং! সতর্ক উপকূলরক্ষী বাহিনী, চলছে মাইকিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এই ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা হিসাবে শুক্রবার সকাল থেকেই মাঝসমুদ্রে গিয়ে মাইকিং শুরু করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে ব্যস্ত তাঁরা। সকাল থেকেই দেখা যায় মাইক হাতে চলছে কড়া নজরদারি৷ সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীরা যাতে বিপদে না পড়েন, তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেউ গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে তাঁর লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। কালীপুজোর পরের দিন মঙ্গলবার সিত্রাং এর প্রভাবে শুরু হয়ে যেতে পারে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব উপকূলে সর্বশক্তি দিয়ে  আগামী ২৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে বা  বিকেলে ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে সিত্রাং। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Office)।

    আরও পড়ুন: ওড়িশা ও গুজরাট থেকে গ্রেফতার পাণ্ডে ভাইয়েরা! শিবপুর-কাণ্ডে ধৃতদের থেকে কী জানতে চায় পুলিশ?

    মৌসম ভবন জানায়, ইতিমধ্যেই উত্তর আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এটি সোমবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আইএমডি সূত্রে খবর, নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এই গভীর নিম্নচাপটি ২৪ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমমধ্য এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের  সতর্কতা হিসেবে মৎস্যজীবীদের রবিবারের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে। মাঝসমুদ্রে সতর্কবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ঝড়ের কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতিও শুরু করেছে বাহিনী।  নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কিভাবে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

    নদী উপকূল জুড়েও চলছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মাইকিং ও টহলদারি। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চলছে। সুন্দরবনে পর্যটনে ব্যবহৃত জলযানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সবকিছু সামাল দিতে নদী ও সমুদ্রযানের পাশাপাশি কোস্টগার্ড আকাশযানও ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কণ্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কাকদ্বীপ এবং সাগরদ্বীপে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shibpur cash recovered case: ওড়িশা ও গুজরাট থেকে গ্রেফতার পাণ্ডে ভাইয়েরা! শিবপুর-কাণ্ডে ধৃতদের থেকে কী জানতে চায় পুলিশ?

    Shibpur cash recovered case: ওড়িশা ও গুজরাট থেকে গ্রেফতার পাণ্ডে ভাইয়েরা! শিবপুর-কাণ্ডে ধৃতদের থেকে কী জানতে চায় পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবপুরে টাকা উদ্ধার কাণ্ডে (Shibpur cash recovered case) অবশেষে ধরা পড়লেন পাণ্ডে ভাইয়েরা। গুজরাট (Gujrat) এবং ওড়িশায় (Odisha) একযোগে অভিযান চালিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে, তাঁর দুই ভাই অরবিন্দ ও রোহিত পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের আরও এক সহযোগীকে। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে আজ, শুক্রবার কলকাতায়  নিয়ে আসা হচ্ছে ।  প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত অনলাইন কোর্সের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার করা হত।

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

    হাওড়ায় ব্যবসায়ী ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশ পাণ্ডের ফ্ল্যাট, গাড়ি ও অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, পুলিশের অভিযানের কিছুক্ষণ আগে কয়েকটি ব্যাগ গাড়িতে তুলে পালিয়ে যাচ্ছেন শৈলেশের ভাই অরবিন্দ ও তাঁর মা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশি অভিযানের খবর কি তাঁরা আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন? তদন্তকারীদের অনুমান, এই বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল বিদেশ থেকেই। তাঁদের ধারণা, কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। আর শৈলেশ পাণ্ডেই ছিলেন সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের ইনট্রোডিউসার। মূলত তাঁর মাধ্যমেই চলত কালো টাকা সাদা করার কারবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে (Kolkata Police), হাওড়ায় ব্যবসায়ীর ১৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৭ কোটির লেনদেন হয়েছে। আরও অজস্র অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটির লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সময় ঘনিয়ে এলেই স্বৈরাচারীদের বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পায়…’’, রাজ্য সরকারকে নিশানা সুকান্তর

    তদন্ত শুরু হতেই পাণ্ডেরা গা ঢাকা দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেফতার করে। তাঁরা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেকারণে লালবাজার পাণ্ডে ভাইদের নামে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল। ওড়িশা এবং গুজরাতে পালিয়ে গিয়েছিল তাঁরা। দু’জনকে গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে এবং বাকিদের রাউরকেল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করে এই মামলার গভীরে পৌঁছতে চায় পুলিশ। কীভাবে এই প্রতারণা-কাণ্ড চলত। এই বিপুল টাকা লেনদেনে যে অ্যাপের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কে তা তৈরি করেছে তার খোঁজও করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED raid: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    ED raid: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবপুরের  এক ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং গাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি  এবার তদন্তে নামল  এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের থেকে মামলার এফআইআর এবং প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি হাওড়ার শিবপুরে হানা দিয়ে অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এবার ওই ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে PMLA-এ আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় কেরিম খানকে জেরা সিবিআইয়ের, হানা অনুব্রতর দিদির বাড়িতেও

    অভিযোগ, বিদেশী মুদ্রার কেনাবেচা কীভাবে করতে হয়, তা শেখানোর জন্য একটি অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রতারণার চক্র চালাতেন শিবপুরের শৈলেশ পাণ্ডে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিনি। তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ মেলেনি তাঁর দুই ভাই রোহিত এবং অরবিন্দেরও। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস পায় পুলিশ। ১৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ছ’টি খতিয়ে দেখে নতুন করে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি শাখা। বুধবার বাকি অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলেছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। সব মিলিয়ে এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস মিলল।

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    এই প্রতারণা চক্রের জাল বিদেশে পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে বলে অনুমান। নেপালের কয়েকজনও এই ঘটনায় প্রতারিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে যে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে মাত্র ২০ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। বাকি টাকা কোথায় গেল? তার উত্তর খুঁজতেই এবার তদন্তে নামল ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Agitation: “মাঝরাতে মহিলাদের আটক করা যায়?” প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন

    TET Agitation: “মাঝরাতে মহিলাদের আটক করা যায়?” প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝরাতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল করুণাময়ী (TET Agitation)। হঠাৎ পুলিশি অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মধ্যরাতে রাত ১২টা বেজে ১৬ মিনিট নাগাদ বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি ঘোষণা করলেন, এই জমায়েত আইনি নয়, বেআইনি। অভিযোগ, এরপরই সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের তুলতে সক্রিয় হয়ে পড়ল কলকাতা পুলিশ। এদিন ছেলেদের পাশাপাশি মহিলাদেরও আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কীভাবে পুলিশ মাঝরাতে মহিলাদের বিনা অনুমতিতে আটক করেত পারে? কারণ আইনে আছে, সূর্যাস্তের পর মেয়েদের গ্রেফতার বা আটক করা যায় না।

    ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদের প্রায় ৯০ ঘণ্টার ধর্নাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলপ্রয়োগ করে পুলিশ সরিয়ে দিল। কার্যত টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিল বহু মহিলাও। ফলে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে চ্যাংদোলা করে, জোর করে আন্দোলন থেকে তোলা হয় ও কিছু মহিলা-পুরুষদের আটকও করা হয় ও বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কী করে সূ্র্যাস্তের পর অনুমতি ছাড়া মহিলাদের গ্রেফতার বা আটক করা হয়?

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    অন্যদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল দশটার সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। কিন্তু সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারল না প্রশাসন। অভিযোগ তুললেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী। আন্দোলনকারীদের কেন ই-মেলে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী। মামলাকারীদের আইনজীবী প্রশাসনকে তোপ দেগে বলেছেন, রাজ্যে যদি সৎ পথে নিয়োগ করা হত, তবে রাস্তায় কেও বসতেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যশত তাঁদের হকের চাকরি চুরি করা হয়েছে। তাই চোরেরা যাতে জনসম্মুখে না আসে তার জন্যই এই পদক্ষেপ।

    তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “এই পর্ষদ কেন স্পষ্ট করে বলছে না, চাকরিপ্রার্থীদের দাবিগুলিকে আমরা মান্যতা দিচ্ছি। এই কথাটা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না? আলোচনা করার দায়িত্ব কার? মাথা ঝুকানোর দায়িত্ব কার? আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আপনি মামলা করছেন? রাস্তা কারোর বাবার নয়? অনুমতি নিতে হয় না আন্দোলন করতে গেলে…।” পর্ষদের মামলা সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চান টেট উত্তীর্ণরা। শুক্রবার দশটায় ছিল শুনানি। কিন্তু তার আগেই মধ্যরাতেই পুলিশের এমন পদক্ষেপে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন আন্দোলনকারীরা।  

  • Suvendu Adhikari: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের পুলিশ অভিযান চালিয়ে তুলে দেওয়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটারে তিনি লিখলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা যে বৈধভাবে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছিল, তাঁদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে জোর করে তুলে দিয়েছে মমতার পুলিশ। এটা পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?”

    এর আগে, ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি ও চাকরি চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এসবের সমাধান একটাই। নবান্নর ১৪ তলা থেকে ওনাকে সরাতে হবে। তাহলেই পশ্চিমবঙ্গে কাজের সুযোগ বাড়বে, শিল্প আসবে, বানিজ্যের পরিবেশ তৈরি হবে, সিন্ডিকেটরাজ-সাদা খাতায় চাকরি বন্ধ হবে।”

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের ওপর হঠাৎ করেই অভিযান চালায় পুলিশ। কুরুক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় করুণাময়ীতে। রীতিমতো বলপ্রয়োগ করে সরিয়ে দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষ টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা।  

    অনেককে নিয়ে যাওয়া হয় টানতে টানতে৷ তিন দিন ধরে অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই ধস্তাধস্তির মধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারান৷ বেশ কয়েক জন চোট পান বলেও অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের তিনটি প্রিজন ভ্য়ানে তোলা হয়। অসুস্থ এক আন্দোলনকারীকে তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অভিযোগ, তাঁদের ৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভোররাতে আটক চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ বাসে করে এনে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

     

LinkedIn
Share