Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পুনর্নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনেই  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত হবেন সোনালী চক্রবর্তী (Sonali Chakraborty)। এই রায়ের পরই রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া রাজ্যের অন্যান্য উপাচার্যদের অবিলম্বে পদত্যাগের কথা বলেন। 

    ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানান, ‘সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অরসারণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। তাই, এই রাজ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সমস্ত উপাচার্যদের অবিলম্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা জরুরি। এটা ওই উপাচার্যদের নৈতিক দায়িত্ব।’ তিনি তাঁর ট্যুইটে  ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, যেভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে সেইভাবেই যেসব উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের আদালতের কোপে পড়ার আগেই মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে সরে আসার পথ বেছে নেওয়া উচিৎ।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনরায় নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করেছিল সেপ্টেম্বর মাসে সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতও সেই রায় বহাল রাখল। মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনালী চক্রবর্তীকে পুনর্নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রায় একদম সঠিক ছিল। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি  হয়। গত বছর তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন ধনকড়। এবার সেই উপাচার্যদেরই সময় থাকতে সসম্মানে সরে যাওয়ার কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পদে সোনালি চক্রবর্তীর (Sonali Chakraborty) পুনর্নিয়োগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ থেকে তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত জানায়, রাজ্যপালের এক্তিয়ারে হাত দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। যা সংবিধান মান্যতা দেয় না। তাই এটা কখনওই করতে দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সোনালি চক্রবর্তী ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। ওই মামলার শুনানির পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি। চূড়ান্ত রায়ে তাঁরা বলেন, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ‘ডিফিকাল্টি ক্লজ’-এর অপব্যবহার করতে পারে না। সরকারের এহেন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া মানে আইনবিরুদ্ধ কাজ করা। তাই শীর্ষ আদালত সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণকেই মান্যতা দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অস্থায়ী উপাচার্য সুরঞ্জন দাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে যোগ দেন। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে শূন্যস্থান তৈরি হয়। সেই শূন্যপদেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা সোনালি চক্রবর্তীকে স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে রাজ্য। এরপর ২০২১ সালে তাঁকে ফের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করে সরকার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপালের কোনও সই ছিল না। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হন ধনকড়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মায়ের বিদায়বেলায় জলপাইগুড়ির মালবাজারের ঘটনার পাশাপাশি আরও দুই জায়গায় ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। জলাপাইগুড়ি ছাড়া মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমেও ঘটেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মোট দুই জনের। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আবার বীরভূমেও জলের তলায় তলিয়ে যান ৮০ বছরের এক যুবক।

    মুর্শিদাবাদে কী ঘটেছিল?

    প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে। সেখানেও মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় দুই জনের। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদেরই সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। ওই এলাকার কাঞ্চনতলা গঙ্গাঘাটে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানেও প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে নৌকা করে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তি নৌকা থেকে পরে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম অমিত সিংহ, বাড়ি ধুলিয়ান পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রায়গঞ্জে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    বীরভূমের দুর্ঘটনা

    প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল বীরভূমের ভীমগড়েও। সূত্রের খবর অনুযায়ী,  ইসগড়া গ্ৰাম থেকে বুধবার লোবা কালি মন্দিরে ১২ জন যুবক পুজো দিতে যান। তাঁরা দাবি করেছেন, পুজো দেওয়ার পর তাঁরা অজয় নদে স্নান করতে নামেন। আর সেকানে স্নান করতে গিয়েই জলে তলিয়ে যান ওই ব্যক্তি। ৪০ বছর বয়সী ওই মৃতের নাম কালিচরণ দত্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, করতে পারেনি। কালিচরণ জলেই তলিয়ে যান। পরে দুবরাজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান ও মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

    প্রায় প্রতি বছরই দশমীর দিন অনেক রাজ্যেই এমন দুর্ঘটনা দেখা যায়। প্রতিমা বিসর্জন করতে অনেকেই জলে ডুবে প্রাণ হারান। ফলে এবারও এমনই ঘটনা দেখা গেল পুরো রাজ্য জুড়ে। তবে এবারের মালবাজারের ঘটনার ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

  • Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল সরকার। পরিবেশ কর্মী তপন দত্ত হত্যা মামলায় (Tapan Dutta Murder Case) সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ বহাল। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলা নিম্ন আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এমনকি, সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে। কিন্তু এখনও সুবিচার পাননি নিহত তপনের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। গত ৯ জুন তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার এবং অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন। কিন্তু সেই আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।  

    আরও পড়ুন: পিএফআইকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    ২০১১ সালের ৬ মে গুলিতে প্রাণ হারান। এই ঘটনায় তৃণমূলের ১৩ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম জড়ায়। তারপর থেকেই অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। এক দশক কেটে গেলেও এই ঘটনায় কোনও সুবিচার হয়নি। অভিযুক্তরা আজও শাস্তি পায়নি। এতদিন এই তদন্তের ভার ছিল সিআইডির ওপর। রাজ্য সরকারের এই গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তের পর জানায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপনবাবুকে খুন হতে হয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম ছিল।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, শুভেন্দুর চিঠি নির্মলাকে, আরটিআই পত্রবোমা রাজ্যকেও

    শুরুতে তপন দত্ত খুনের মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৎকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি  অরূপ রায় সহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পরে ওই মামলার চার্জশিট থেকে ৮ জনের নাম বাদ দিয়েছিল সিআইডি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত।  

    সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলা চলাকালীন বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিআইডি তদন্তে কেন আটজনের নাম বাদ দেওয়া হল? মামলাকারীর সিআইডি তদন্তের প্রতি অনাস্থা অনেকাংশেই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছিল আদালতের। তাই  সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।  

    এরপর ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন ও রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। তবে তাতেও বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সিবিআই  তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর এনে দিয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ একদিকে যেমন ৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার, অন্যদিকে তেমনি রাজ্য সরকার ডিএ-এর (DA Case) দৌঁড়ে অনেকটা পিছিয়ে গেল। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ব্যবধান আরও বাড়ল। ডিএ-ব্যবধান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ শতাংশ।

    এর আগেই ডিএ (DA Case) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। সেদিন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার।  

    আরও পড়ুন: প্রাক-পুজো উপহার! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদির মন্ত্রিসভা

    এবারে কেন্দ্রের তরফে নতুন ডিএ ঘোষণার পরে রাজ্যের বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনগুলোও আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কর্মী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্র ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন হারে ডিএ দিতে শুরু করে। তার পরে জুলাই ও জানুয়ারি, বছরে দু’বার রীতি মেনে ডিএ বাড়াতে থাকে তারা। বুধবার কেন্দ্র যে-ডিএ ঘোষণা করেছে, তা কার্যকর হবে গত জুলাই থেকে। ফলে এখন কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণ বেড়ে হচ্ছে ৩৮%। বাংলায় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ২০২১-এর ১ জানুয়ারি মাত্র ৩% ডিএ চালু হওয়ায় বাস্তবে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সেই ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ শতাংশে।   

    কর্মী সংগঠন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কয়েক বছর ধরে সর্বনিম্নের বেতনে চাকরি করা কর্মচারীদের অনেক টাকার লোকসানও হচ্ছে। যারা গ্রুপ ডি-তে কাজ করেন তাঁদের প্রায় ৭০০০ টাকাকর মত লোকসান হচ্ছে ও যাঁরা গ্রুপ সি-তে চাকরি করেন তাঁদের প্রায় ১০০০০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

    মামলাকারী কর্মী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আদালত ডিএ (DA Case) মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও রাজ্য সরকার এই বিষয়কে এড়িয়ে চলেছে। তবে তাঁরা এই রাজ্য সরকারের থেকে ডিএ আদায় করেই ছাড়বে ও দরকার পড়লে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাস্তায় আন্দোলনো বসবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল অভিযোগ করেছেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা চরম আর্থিক বঞ্চনার শিকার। প্রতারণা করছে তৃণমূল সরকার। পুজোর ছুটির পরে ফের রাস্তায় নামব আমরা।’’ তবে এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ের পরে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেবে সেটার অপেক্ষায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারী।  

  • Durga Puja Weather: ষষ্ঠী থেকে দশমী— বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    Durga Puja Weather: ষষ্ঠী থেকে দশমী— বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠী (Durga Shasthi) থেকে দশমী (Vijaya Dashami) কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বৃষ্টির সম্ভাবনা। কোথাও মাঝারি, কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে, এমনই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore MeT Department)। পূর্বাভাস, ১ অক্টোবর, ষষ্ঠীর দিনই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সপ্তমীর মধ্যে তা শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সপ্তমী, অর্থাৎ ২ অক্টোবর থেকে কলকাতা ও উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে। যার জেরে পুজোয় (Durga Puja 2022) বৃষ্টিতে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দশমী পর্যন্ত বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    চলতি সপ্তাহের শুরুর দিনগুলোতেও বজ্র-বিদ্যুত্‍ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। সপ্তমী, অষ্টমীতে কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সপ্তমীর দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। অষ্টমীর দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়।  নবমী ও দশমীও হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায়। সেই কারণেই এবার দক্ষিণবঙ্গ পুজোয় ভাসতে পারে বৃষ্টিতে।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোতে চারদিনই বৃষ্টি! কোন কোন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আরও খবর, উত্তরবঙ্গের (North Bengal) কিছু জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এই মুহূর্তে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও সপ্তমী থেকে এর পরিমাণ বাড়বে। তা চলবে অষ্টমী ও নবমী পর্যন্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর আগে যাঁরা পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছেন, বা পুজোর মধ্যে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন, তাঁদের পরিকল্পনাতেও বাধ সাধতে পারে বৃষ্টি। 

    এমনিতে এবার মহালয়া থেকেই কলকাতার একাধিক মণ্ডপে মানুষের ঢল নেমেছে। তার ওপর বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকায় চতুর্থীতেই রাস্তায় মানুষের ঢল। ভিড় দেখে যেন মনে হচ্ছিল দেবী দুর্গার বোধন হয়ে গিয়েছে। যেন ষষ্ঠী এসে গিয়েছে। সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে। পঞ্চমীর সকালেও ঠাকুর দেখার উৎসাহ চোখে পড়ার মতো।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে কাটছে না ‘ডেঙ্গি বিপদ’, তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সায়গল! এবার জেরা করবে ইডি-ও

    Cattle Smuggling Case: ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সায়গল! এবার জেরা করবে ইডি-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন জেলেই থাকছেন। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেলেই থাকতে হবে, জানাল আদালত। বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। সায়গলের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তিনি জানান, যে কোনও শর্তে রাজি তাঁর মক্কেল। কিন্তু এদিন সায়গলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি  দেওয়া হয় ইডিকে (ED)। আসানসোল জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে  বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানায় ইডি। সেই আবেদনে সাড়া দিল আদালত। সায়গলকে ব্যবহার করেই অনুব্রতর উপর আরও চাপ বাড়াতে চাইছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে এদিন আদালত জানায়, যে কোনও দিন জেলে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা করতে পারবে দিল্লির ইডি টিম। 

    আরও পড়ুন: এফআইআর নিচ্ছে না পুলিশ! অভিষেকের ‘গুলি’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে আদালতে সুকান্ত

    ইডি সূত্রের খবর, গরু পাচারের টাকা কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, কোন খাতে খরচ করা হয়েছে, এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। সায়গল হোসেনের স্ত্রী ও মাকে এ প্রসঙ্গে আগেই তলব করা হয়েছিল। তাঁদের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। কনস্টেবলের চাকরি করে কী করে এত টাকার সম্পত্তি করলেন সায়গল, তা জানতে চায় তদন্তকারীরা। সায়গল গ্রেফতার হওয়ার পর তার বিপুল সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা হয়েছিল। এখন আসানলোল সংশোধনাগারে রয়েছেন সায়গল। সপ্তাহখানেক আগে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে সেবার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর মঙ্গলবার ইডি’র তরফে আবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে সায়গলকে জেরার অনুমতির আরজি জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করল আদালত।

    আরও পড়ুন : বিজেপির নবান্ন অভিযানে ‘অশান্তি’, সিবিআই তদন্তের দাবি অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে

    সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডল তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিয়ে এই ব্যাংক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলাতেন। সায়গল হোসেন নিজেই ওই ব্যাংক আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের হয়ে৷ অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করেই বোলপুর এবং সিউড়ির মোট চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আধিকারিকের নাম ও ঠিকানা পেয়েছিল সিবিআই। ওই চারজন ব্যাংক আধিকারিকের মধ্যে দুজন ব্যাংক আধিকারিকের বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করেছেন গোয়েন্দারা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: পুজোর আগে কাটছে না ‘ডেঙ্গি বিপদ’, তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

    Dengue: পুজোর আগে কাটছে না ‘ডেঙ্গি বিপদ’, তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর রাজ্যের নয়া আতঙ্ক ডেঙ্গি (Dengue in West Bengal)। আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা কমলেও উৎসবের মরসুমে ডেঙ্গি সংক্রমণ এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯১২ জন।

    আরও পড়ুন: জানুন ডেঙ্গির লক্ষণ, প্রতিকারের উপায়ই বা কী? 

    বর্তমানে সব মিলিয়ে ৬১০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ৮,১১৭ জনের ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৫৭। সূত্রের খবর, এখনও অবধি রাজ্যে ২৯ জন ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছেন। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়লেও আনন্দে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে এই রোগ। 

    স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) সূত্রের খবর, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দার্জিলিঙের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ এবং জলপাইগুড়ি জেলায় বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। গত মঙ্গলবার রাজ্যে দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ছিল প্রায় ১,৪০০। সেই তুলনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।  

    প্রতি বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি পরিস্থিতির সাপ্তাহিক রিপোর্ট প্রকাশ করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ২২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের ৩৮তম সপ্তাহের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্যে দেখা গিয়েছে, ৩৭তম সপ্তাহের চেয়ে ৪২২৪ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮তম সপ্তাহে। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে পাঁচশোর বেশি মানুষ মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগের এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা থেকে। সেখানে ৮৫৮ জন আক্রান্ত হয়ে, এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৩৯। পরিস্থিতি সামগ্রিক ভাবে উদ্বেগজনক হলেও আগামী বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিপোর্টে ডেঙ্গি সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা পুজোর (Durga Puja 2022) নিরঞ্জনের সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল নদীতে (Mal River)। বিসর্জনের সময় আচমকাই ছুটে এল হড়পা বান। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু। ১০ বছর বয়সী এক বালিকাও ভেসে যায় বলে খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

    প্রতিমা বিসর্জনের সময় কী ঘটেছিল?

    গতকাল রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ বাংলার মানুষ যখন শারদীয়া উৎসবে মেতে আছেন, সেইসময়েই ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা। মালবাজার এলাকায় মাল নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নদীর ধারে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রতিমা বিসর্জন যখন পুরোদমে চলছে তখনই আচমকা ধেয়ে আসে হড়পা বান। প্রতিমা বিসর্জনে যাঁরা নেমেছিলেন, তাঁদের প্রায় অনেকেই স্রোতের টানে ভেসে যান। তবে মাল নদীর মাঝে একটি চর রয়েছে। আর সেই চরে উঠেই প্রাণ বাঁচান অনেকে। চরে প্রায় ২০-৩০ জন আটকে ছিলেন। তাঁদের কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। দমকল এবং পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মালের বিধায়ক বুলু চিকবড়াইকও। পাশাপাশি, নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গতকাল রাত পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর আজ সকালেই তা বেড়ে হয় ৮। আজও নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। 

    আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    কেন আচমকা হড়পা বান?

    জানা গিয়েছে, সিকিমের দিকে বৃষ্টির জেরে এমনটা হয়েছে পাহাড়ি নদীতে। যে কারণে, অতর্কিতে হড়পা বান চলে আসে। আবার স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল যায়। আর এর জেরেও নদীর জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। মালের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বরাইক জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময় নদীর কাছাকাছি এলাকায় প্রায় হাজার খানেক লোক উপস্থিত ছিলেন, যে সময় হড়পা বানে অনেকে ভেসে যান।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা…

    প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মালবাজারের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ট্যুইট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুজোর মাঝে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মর্মাহত। যাঁরা তাঁদের কাছের মানুষদের হারালেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

    শোকজ্ঞাপন শুভেন্দু অধিকারীর…

    ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, “জলপাইগুড়ি থেকে দুঃখজনক খবর এসেছে। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আমি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে অনুরোধ করছি, উদ্ধারকার্যকে দ্রুত আরও জোরদার করতে এবং দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করতে।”

  • BJP Durga Puja: রাজ্য বিজেপির বিশেষ ‘চমক’! দলের দুর্গাপুজো করবেন এক মহিলা ‘অব্রাহ্মণ’ পুরোহিত

    BJP Durga Puja: রাজ্য বিজেপির বিশেষ ‘চমক’! দলের দুর্গাপুজো করবেন এক মহিলা ‘অব্রাহ্মণ’ পুরোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালে সল্টলেকের EZCC-তে দুর্গা পূজা শুরু করে বঙ্গ বিজেপি (BJP West Bengal))। প্রবল উৎসাহের সঙ্গে শুরু হয়েছে এই পূজা (Durga Puja 2022)। এবছরও রাজ্যের বিরোধী দল পিছিয়ে নেই। রাজ্য বিজেপির উদ্যোগে কলকাতায় দলীয় পুজো জাঁকজমকভাবেই করা হচ্ছে। তবে এবারে বিজেপির এই পুজোর এক চমক রয়েছে, কারণ এবারের তাঁদের পুজোর পুরোহিত হলেন, এক মহিলা। অর্থাৎ এবার এক নারীশক্তির আবাহন করবেন অন্য এক নারী। তাঁর নাম সুলতা মণ্ডল (Sulata Mondal)।

    তবে কে এই সুলতা মণ্ডল? জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছাত্রী সুলতা মণ্ডল এবং তিনি সুকান্ত মজুমদারের জেলার মেয়ে। জানা গিয়েছে সুকান্ত যে গৌড়বঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন, সুলতা সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী। সুলতা পেশাদার মহিলা পুরোহিত। ‘অব্রাহ্মণ’ সুলতা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার বাতাসকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বয়স মাত্র ২৮। তবে এই বয়সে শাস্ত্রজ্ঞানে পারদর্শী মণ্ডল পরিবারের একমাত্র কন্যা। চণ্ডীপাঠেও একইভাবে দক্ষ সুলতা। আর এবার তাঁর হাতেই হবে বিজেপির ‘ দূ্র্গতিনাশিনী’র আবাহন। সুকান্ত বোটানির শিক্ষক হলেও বাংলার বিভাগের ছাত্রী সুলতা তাঁকে সুকান্তস্যার হিসাবেই চেনেন। সেই সুলতাই এবার পুজোর এক বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন। ফলে এবারের পুজোর এক উল্লেখযোগ্য বিষয়ই হল, এই প্রথমবার এখানে পুজো করবেন মহিলা পুরোহিত। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করলেন সুকান্ত মজুমদার, দেখুন ছবি.

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার রাজ্য সভাপতি আগেই ঠিক করেছিলেন, কোনও মহিলা পুরোহিতই দলের হয়ে উমার আরাধনায় যোগ দেবেন। আর দলের পক্ষেও ঠিক হয়েছে, সুকান্তের সেই ছাত্রী সুলতাই হবেন পুরোহিত।

    আজ মহাষষ্ঠী, আর এরই মধ্যে পুজোর উদ্বোধন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঠিক ছিল উদ্বোধনে আসবেন অমিত শাহ কিংবা মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু পরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারই আদ পুজোর উদ্বোধন করেন। এনাকে আজ ঢাক বাজাতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। এবারের বিজেপির দুর্গাপুজোর থিম ‘দুর্গতিনাশিনী দশভূজা’। এই থিমে রাজ্যের দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

LinkedIn
Share