Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Partha Chatterjee: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    Partha Chatterjee: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই (CBI)। তারপর শনিবার থেকেই চলছে দফায় দফায় জেরা। এবার জেরায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় পার্থ বলেছে, “আমি শুধু ফাইলে সই করতাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) আমার বিশেষ কোনও ভূমিকা ছিল না, আমার কাছে ফাইল পাঠানো হত, আর সেই ফাইলে সই করতাম আমি।”

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    কেন না পড়ে ফাইলে সই করতেন সে বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা প্রশ্ন করলে উত্তরে পার্থ বলেন, “আমি ওদের বিশ্বাস করতাম। এই বিষয়ে আমার ভূমিকা সামান্যই। ” এবার প্রশ্ন উঠছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জবানবন্দীতে এই ‘ওরা’ কারা? সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান ‘ওরা’ বলতে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের কথাই বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  

    অন্যদিকে, একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Kalyanmay Ganguly) হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই (CBI Custody)। জেরা করা হচ্ছে তাঁকেও। জেরা করা হচ্ছে, তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকেও। জানা গিয়েছে এবার তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে পারে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে আরও জোরদার হচ্ছে কেস। আজই বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জীর ফ্ল্যাটে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই ইডি দুমাস আগে গ্রেফতার করেছিল পার্থ-অর্পিতাকে। আপাতত জেলেই রয়েছেন অর্পিতা। গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এরপর সিবিআই হেফাজতে যান পার্থ। মনে করা হচ্ছে, চার্জশিটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করতে পারে ইডি। দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে বলেও সন্দেহ রয়েছে ইডি গোয়েন্দাদের। চার্জশিটে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হতে পারে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

      

      

  • Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সিবিআই হেফাজতের (CBI Custody) নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। ২১ শে সেপ্টেম্বর অবধি সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ। এদিন এসএসসি দুর্নীতির (SSC Scam) মামলা আদালতে ওঠে। এতদিন ইডির হেফাজতে (ED Scam) ছিলেন পার্থ। এদিন জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Kalyanmay Ganguly) সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, আরও তদন্তের জন্য কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। এটি একটি বড় চক্রান্ত। এদিন আদালতেও একই কথা বলেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। 

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    সিবিআই গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, এসএসসি দুর্নীতির মূল চক্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে ঘাড় থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছেন পার্থ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এসএসসি আলাদা সংস্থা। আমি মন্ত্রী থাকলেও এসএসসির কোনও কাজে আমার নিয়ন্ত্রণ ছিল না।” নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে এদিন বার বার জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু এদিনও জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় সিবিআই- এর বিশেষ আদালত।   

    এদিন আদালতে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পারিবারিক কৌলিন্যের কথাও বিচারকের সামনে তুলে ধরেন পার্থ। তিনি বলেন, “আমি শিক্ষিত, ইকনমিক্সে স্নাতক, এমবিএ। আমার মামার নাম শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এখন আরও এক সংস্থা নতুন করে তদন্ত করতে চাইছে। আমি খুবই অসুস্থ। কে সাহায্য করবে? আপনি আপনার মতো বিচার করবেন। আপনার কাছে বিচারের আশায় আছি।” তিনি আরও বলেন, “ইডি দুমাস ধরে জেলে রেখেছে। এবার সিবিআই হেফাজতে চাইছে। ২৮টি ওষুধ খাই, আমি খুব অসুস্থ, জামিন দেওয়া হোক।” 

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় 

    সিবিআই- এর আইনজীবী আদালতে পাল্টা বলেন, সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, ২০১৬-তে গ্রুপ সি পরীক্ষা হয়। রেজাল্ট বের হয় ২০১৭-তে। কিন্তু ২০১৯-এ নিয়ম না মেনে ৪০০ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে অনৈতিকভাবে। 

    অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, “কোনও এফআইআর-এ আমার মক্কেলের নাম নেই। সিবিআই, ইডি ষড়যন্ত্র করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখতে চাইছে। সিবিআই যখনই ডেকেছে আমার মক্কেল তখনই গেছেন। ইডি গ্রেফতার করার পর ৬০ দিন হয়ে গেছে। ইডি চার্জশিট দিতে না পারলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেয়ে যেতে পারেন, তাই এবার এফআইআর-এ নাম না থাকলেও সিবিআই তাঁকে হেফজতে নিতে চাইছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • WB Farmers Suicide: এক বছরে রাজ্যের এক জেলাতেই আত্মঘাতী ১২২ কৃষক! বলছে আরটিআই রিপোর্ট

    WB Farmers Suicide: এক বছরে রাজ্যের এক জেলাতেই আত্মঘাতী ১২২ কৃষক! বলছে আরটিআই রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র (Maharasthra) নয়, খোদ বঙ্গেই (West Bengal) চলছে কৃষকের মৃত্যু  মিছিল। আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন এই কৃষক (Farmers) ও খেত মজুররা। এই ঘটনা সব চেয়ে বেশি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore)। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে আরটিআই (RTI)। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, কেবল ২০২১ সালেই ওই জেলায় আত্মঘাতী হয়েছেন ১২২ জন কৃষক ও খেত মজুর।

    আরটিআইয়ের এই রিপোর্টের সঙ্গে অবশ্য বিস্তর ফারাক রয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) রিপোর্ট ও রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যানের। কেননা, এই দুই ক্ষেত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে রাজ্যে কৃষক আত্মঘাতী হওয়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। অথচ আরটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, কেবল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়ই গত বছর আত্মঘাতী হয়েছেন ১২২ জন কৃষক ও খেতমজুর।

    আরও পড়ুন :নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    রাজ্য সরকারের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই ফি বছর পরিসংখ্যান তৈরি করে প্রকাশ করে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ গোস্বামী নামে এক ব্যক্তি তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন কৃষক মৃত্যুর পরিসংখ্যান। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের জন তথ্য আধিকারিক এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ রাজ্যের ২৩টি থানা থেকে সংগৃহীত তথ্য জমা দিয়েছেন। তা থেকে জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ১২২ জন। এঁদের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়েই রয়েছেন ১৪ জন। ওই এলাকারই আনন্দপুরে আত্মঘাতী হয়েছেন ১০ জন কৃষক। আরটিআই রিপোর্ট থেকে এও জানা গিয়েছে, গত বছরের পাশাপাশি জেলায় অব্যাহত কৃষকের মৃত্যু মিছিল। ২০২২ সালে এ পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সব মিলিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ৩৪ জন কৃষক ও খেত মজুর। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ঘাটালের ১৩ জন, দাঁতনের ৭ জন। এর পাশাপাশি আত্মঘাতী হয়েছেন গোয়ালতোড় ও কেশপুরে ৫ জন করে, পিংলা এবং আনন্দপুরে ২ জন করে কৃষক।

    যদিও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের দাবি, রাজ্যের কোথাও কোনও কৃষক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তাহলে কেন দুই রিপোর্টে দু রকম পরিসংখ্যান? রাজনৈতিক মহলের মতে, কৃষক মৃত্যুর বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। তাই সেই রিপোর্ট চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছে রাজ্য সরকার। আরটিআইয়ের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি বলেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বেড়াল।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Bengal Weather Update: মুখভার আকাশের! বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি বিঘ্নিত সকাল, কবে থেকে রোদের দেখা?

    Bengal Weather Update: মুখভার আকাশের! বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি বিঘ্নিত সকাল, কবে থেকে রোদের দেখা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে বর্ষার বৃষ্টি! আবহাওয়া দফতরের কথায়, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। শহরের প্রবীণদের মত অবশ্য ভিন্ন। বর্ষায় সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। তাই পুজোর আগে ভাসছে কলকাতা। তবে, কারণ যাই হোক, বৃহস্পতিবার সকালেও বৃষ্টি পিছু ছাড়ল না শহরবাসীর। সকাল থেকেই কলকাতার আকাশে মেঘের ঘনঘটা।

    আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ সকাল থেকে কলকাতা এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা-১১টা পর্যন্ত তিন জেলায়  হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, পুজোর মুখেই ঘোষণা হতে পারে ডিএ?

    কবে থেকে মিলবে রোদের দেখা? সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু না বললেও আবহাওয়াবিদদের মতে, বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। দুপুরের দিকে বৃষ্টি ধরতে পারে। বিকেলের দিকে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হওয়ার কথা। তবে, মৎস্যজীবীদের এখনই সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপের অক্ষরেখা এমন ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, যে তার প্রভাবে এখনই বদল হচ্ছে না আবহাওয়ার। নিম্নচাপের অক্ষরেখা এখনও বিস্তৃত রয়েছে ছত্তীসগঢ় থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। যা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়েই গিয়েছে। যার জেরে দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আজ ও কাল ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে রবিবার পর্যন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় নয়া মোড়, এবার সায়গলের স্ত্রী-মাকে তলব ইডির

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় নয়া মোড়, এবার সায়গলের স্ত্রী-মাকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) মা ও স্ত্রীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। জানা গিয়েছে সায়গলের মা এবং স্ত্রীর নামে বিপুল সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন গোয়েন্দারা। আর সেই সম্পত্তির উৎস কী তা জানতেই এই তলব। ঠিক কবে ডেকে পাঠানো হয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। সূত্রের খবর ইডির এই তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) দ্বারস্থ হতে পারে সায়গলের পরিবার। 

    এর আগে সিবিআই- এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল সায়গলের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে। কী করে একজন দেহরক্ষীর কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল তা ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের শাখা! দাবি সুকান্তর, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী?

    এদিকে দফায় দফায় কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকে (Sukanya Mondal) জেরা করেও সম্পত্তির উৎসর বিষয়ে কিছুই জানতে পারছেন না সিবিআই গোয়েন্দারা। এর আগে ১৭ অগাস্ট বাড়ি গিয়ে সুকন্যাকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। ফের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সুকন্যাকে জেরা শুরু করেছে সিবিআই। কিন্তু এখনও বিষয়ে মুখ খোলেননি সুকন্যা।  ‘ভোলে বোম’ এবং’ শিব শম্ভু’ রাইস মিলের বিষয়েও মুখ খোলেননি তিনি। এই দুটি চালকলের যৌথ মালিক অনুব্রত কন্যা এবং বিদ্যুৎবরণ গায়েন। একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক এবং একজন পুরসভা কর্মী কোনও  ঋণ না নিয়ে কী করে ৫ কোটি টাকার মিল কিনলেন, সেই প্রশ্ন গোয়েন্দারা বার বার করলেও কোনও সদুত্তর দেননি সুকন্যা। 

    অনুব্রতর দুর্নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক ঠোস প্রমাণ এসেছে সিবিআই- এর হাতে। বাবা-মেয়ের ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের হদিসও পেয়েছে গোয়েন্দারা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির সব দুর্নীতিতেই যে তাঁর মেয়ে সমান অংশীদার সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে আহত নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, কী বললেন তাঁরা?

    গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় উত্তাল রাজ্য। ইতিমধ্যেই শাসক দলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেশরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। দু’জনেই এই মুহূর্তে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন। এতদিন এই মামলায় তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই (CBI)। কিছুদিন ধরেই জল্পনা ছিল যে কোনও মুহূর্তে মামলায় তদন্তে নামতে পারে ইডি (ED)। ইডির সায়গলের স্ত্রী-মাকে তলবে সেই জল্পনাতেই শিলমোহর পড়ল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: আহত পুলিশকর্তাকে ফোন করে খোঁজ নিলেন সুকান্ত, বললেন ‘‘উনিও তো মানুষ…’’

    Sukanta Majumdar: আহত পুলিশকর্তাকে ফোন করে খোঁজ নিলেন সুকান্ত, বললেন ‘‘উনিও তো মানুষ…’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয় মঙ্গলবার। গতকালের ঘটনায় বহু বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। আহত হন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন এক  পুলিশকর্তা। গতকালের বিজেপির অভিযানে ডিউটিতে ছিলেন পুলিশ কর্তা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেই অভিযান চলাকালীন যে রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়েই গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। আর তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে খোঁজ নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    তিনি বলেন, “খোঁজ নিই উনি কেমন আছেন। হাজার হোক উনিও তো মানুষ আমাদেরই মতন। কথা হল। খুব ভাল নেই বললেন উনি। একটু অসুবিধা আছে। কথা বলতে পারছেন স্পষ্টভাবে। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবেন।” বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তিনি বুধবার সকালেই পুলিশ কর্তাকে ফোন করেছেন ও তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, তার খোঁজ নিয়েছেন। ফলে সুকান্ত মজুমদারের এমন কাজে অনেকেই তাঁর প্রশংসা করেছেন। কারণ তিনি এমন পরিস্থিতিতে একজন মানুষ হয়ে একজনের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা সবকিছু ভুলে পুলিশকর্তার খোঁজ নেওয়াতে তাঁর প্রশংসা করা হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।

    আরও পড়ুন:‘ ‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, গতকালের ঘটনায় দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও বেশ কিছু পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। দেবজিৎ বাবু মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর তাঁকে দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

    এছাড়া গতকাল বিজেপি কর্মীরাও আহত হয়েছেন। ফলে বুধবার আহত কর্মীদেরও দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কলকাতার দু’টি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আহত বিজেপি কর্মীরা। তাদের দেখতে দুপুর একটা নাগাদ বিশুদ্ধানন্দ হাসপাতাল এবং পরে মেডিক্যাল কলেজে যান তিনি। বিজেপি থেকে দাবি করা হয়েছে যে, পুলিশের মারে আহত হয়েছেন তাদের ১২৩৫ জন কর্মী। পুলিশের মারেই মাথা ফেটে যায় বিধায়ক মীনাদেবী পুরোহিতের।  

    আরও পড়ুন: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন, পুলিশ পিসি-ভাইপোর দাস নয়’’, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন, পুলিশ পিসি-ভাইপোর দাস নয়’’, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) পর রাজ্য সরকারকে নিশানা করে একের পর এক ট্যুইট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী৷  রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য প্রশাসন, রাজ্যের পুলিশকে নিশানা করে ট্যুইট করেন তিনি৷ মঙ্গলবার রাত থেকেই তিনি পরপর ট্যুইট করতে থাকেন, সেখানে ক্ষুরধার আক্রমণ শানান শাসক দলকে।

    নবান্ন (Nabanna) অভিযানের আগে গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু। একটি ভিডিও পোস্ট করে বিরোধী দলনেতার ট্যুইট,’ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রকাশ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে অবজ্ঞা করছেন। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Justice Rajsekhar Mantha) রায় অমান্য করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও যে রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি, তাকে অবজ্ঞা করেছে রাজ্যের প্রশাসন। এটাই প্রমাণ করে বাংলায় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন নাগরিকের মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করছে।’

    পুলিশের (West Bengal Police) স্বাধীনতাও খর্ব করা হচ্ছে, বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইট বার্তায় দাবি করেন, ‘পুলিশ-প্রশাসনকে স্বাধীনতা দিন, নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দিন। তাঁরা মানুষ, পিসি-ভাইপোর ব্যক্তিগত দাস নয়।’


    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিজেপি (BJP)-এর নবান্ন অভিযানের সময়, সাঁতরাগাছি যাওয়ার পথে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর (Vidyasagar Setu) মুখেই পুলিশ আটক করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও রাহুল সিনহাকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhiyan) থেকেই পরের নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। এদিন লালবাজার (Lalbazar) থেকে ফেসবুক লাইভের (Suvendu Facebook Live) মাধ্যমে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘লেডি কিম’ উল্লেখ করে তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, ক্ষমতায় এলে ভাইপো সহ-আইপিএসদের ভিতরে ঢোকানো হবে।

    রাজ্যে ক্রমবৃদ্ধিমান দুর্নীতির (West Bengal Corruption) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল বিজেপি (BJP)। ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan)। সেখানই, আলিপুর পিটিএসে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ ওয়ের কাছে আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। একইসঙ্গে আটক করা হয় লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও রাহুল সিনহাকে। তাঁদের সকলকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। সেখান থেকে ফেসবুক লাইভ করেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক বলেন, ‘‘আজকে আমার দায়িত্ব ছিল আমাদের যে মিছিল সাঁতরাগাছি থেকে বের হবে, তার নেতৃত্ব দেওয়া। জগিং করার পোশাক পরে কিছু মহিলা পুলিশ কর্মী ছিলেন ওখানে। পোশাক নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। সাধারণ ভাবে আমরা যাদের গুন্ডা বলি। লিঙ্গ পরিবর্তন করলে হয় গুন্ডি। তারা রাহুল সিনহাকে চোখে, হাতে আঁচড়ে দিয়েছে। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী বা শ্বশুর-বউমা ঝগড়া হলে যেমন হয় তেমন ভাবে আঁচড়ে দিয়েছে।’’

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে এক দশকের বেশী সময় ধরে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সেই দুর্নীতির যিনি কিংপিন তাঁকে আজ আমি নতুন নাম দিয়েছি লেডি কিম। পার্টির ক্যাডাররা ঘরে ঢুকে গেছে। পুলিশগুলোকে বাধ্য করা হয়েছে রাস্তায় নামতে। আর জ্ঞানবন্ত সিংয়ের (Gyanwant Singh) মতো কিছু বাছাই করা আইপিএস অফিসারদের ব্যবহার করা হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ক্ষমতায় এলে আজকে যে আইপিএস-রা শাসকের দলদাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তাঁদের ভেতরে ঢোকানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘কোনও প্ররোচনায় পা দেবে না। দীর্ঘমেয়াদি লড়াই হবে। ডিসেম্বরের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাতে পারবে না। এই আইপিএসগুলোকে ভেতরে ঢোকাবো। ভাইপোতো যাবেই। একদম প্ররোচনায় পা দেবেন না। আইনি লড়াই করবই। কোন কর্মী যেন লস না হয়।

    এদিন আটক হওয়ার আগে, শুভেন্দু বলেছিলেন, রাজ্যবাসীর সমর্থন হারিয়ে এখন উত্তর কোরিয়ার মতো পশ্চিমবঙ্গে স্বৈরতন্ত্র স্থাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে রাখেন, সোমবার থেকে পুলিশ যেভাবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার করেছে, তার ফল ভুগতে হবে। তিনি জানিয়ে রাখেন, ‘‘বিজেপি আসছে…।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) আরও জড়িয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং পলাশিপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। পার্থ এবং মানিকের মেসেজ চালাচালির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। তার পরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বেড়াল!

    পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে কয়েকটি মেসেজের। তার একটি হল, এক ব্যক্তি পার্থকে লিখেছেন, দাদা মানিক ভট্টাচার্য ইজ টেকিং মানি যা তা ভাবে। কোভিডের সময় প্রাইভেট কলেজগুলো থেকে ছাত্র পিছু ও ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। ছাত্ররা দিতে না পারলে কলেজকে ধমকি দিয়েছে, তাদের হয়রান করছে। নদিয়ায় টেটের ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। কিন্তু ও চেয়ারম্যানকে বলেছে, ফাঁকা সাইন করা ডকুমেন্ট মাস্টার শিট জমা দিতে। ইন্টারভিউয়ের কোনও নম্বর লিখতে বারণ করছে। আবার ও টাকা নিয়ে করবে। আবার কেস হবে। আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ এটা দেখুন। লাভ। ইডির দাবি, পরে এই মেসেজটি পার্থ রি-ফরোয়ার্ড করেন।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। মানিককে গ্রেফতার করা না হলেও, তাঁকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তার পরেই উঠে আসছে পার্থ-মানিক মেসেজ চালাচালির কথা। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এরকম কয়েকটি মেসেজের উল্লেখ করেছে ইডি। চার্জশিটে ইডির তদন্তকারীরা বলেছেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটি মেসেজ পাঠান মানিক। পলাশিপাড়ার বিধায়ক লেখেন, দশ মিনিট দিস, কাল বাড়ি যাব। মেসেজ পেয়ে পার্থ লেখেন ওকে। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পার্থকে অন্য একটি মেসেজে মানিক লেখেন, ইন্টারভিড স্টার্টেড অল ওভার দ্য স্টেট। পার্থ লেখেন টিকেএস। তদন্তকারীদের দাবি, টিকেএস লিখে মানিককে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন পার্থ।

    জনৈক ব্যক্তি মানিক সম্পর্কে পার্থকে সতর্ক করে দিলেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। উল্টে তিনি মেসেজটি ফরওয়ার্ড করে দেন বলে ইডির দাবি। এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হয় চার্জশিট। এক্ষেত্রে গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ইডি। ব্যাংকশাল কোর্টে বিশেষ সিবিআই আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে মেসেজের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি (Terrorist) সন্দেহে গ্রেফতার মালদহের সুজাপুরের নাজিরপুর এলাকার যুবক। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হল হাসনাত শেখকে। সাহারানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police) এসটিএফ (STF)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের (Al Queda Indian Sub Continent) সদস্য। ২০১৫ সালে খুন হন বাংলাদেশি ব্লগার (Blogger) অভিজিৎ রায়। ওই ঘটনায় হাসনাতের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে এ রাজ্যে জঙ্গিদের শেকড় কতটা গভীরে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।  

    পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পঁচিশের হাসনাত প্রথমে সুজাপুরের লাল মহম্মদ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। পরে পড়াশোনা করে বর্ধমানের একটি মাদ্রাসায়। বছর সাতেক আগে ধর্মশিক্ষার জন্য সে চলে যায় উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের একটি মাদ্রাসায়। মাস চারেক পরে মৌলবী হয়ে ফেরার কথা ছিল তার। ঘটনার জেরে বিস্মিত হাসনাতের প্রতিবেশীরা। নাজিরপুর এলাকায় ভদ্র ও মৃদুভাষী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। তাই তার সঙ্গে জঙ্গিযোগের খবর মেনে নিতে পারছেন না হাসনাতের পরিবারও। হাসনাতের মা রেজি বিবি বলেন, কিছু দিন আগেই ছেলে বাড়ি ঘুরে গেল। ওর কাছে ফোন ছিল না। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার মাদ্রাসা হস্টেলের সুপারের ফোন থেকে বাড়িতে কথা বলত। আমি বিশ্বাস করি না জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ওর আছে।   

    আরও পড়ুন : বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    তবে এসটিএফ সূত্রে খবর, হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সদস্য। সূত্র মারফত তদন্তকারীরা খবর পেয়েছিলেন, বাংলাদেশি ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনের নেপথ্যে ছিল আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট নামক জঙ্গি সংগঠনের হাত। ওই ঘটনায় সম্প্রতি ফয়জল আহমেদ নামে ধৃত এক বাংলাদেশিকে জেরা করে হাসনাতের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এর পরেই হাসনাতকে গ্রেফতার করতে উঠপড়ে লাগে পুলিশ। প্রথমে তদন্তকারীরা যান সুজাপুরে। সেখানে তার নাগাল পাননি তাঁরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন, হাসনাত রয়েছে সাহারানপুরে। এর পরেই তদন্তকারীদের একটি দল চলে যায় সেখানে। দিন কয়েক ধরে কড়া নজর রাখা হয় হাসনাতের গতিবিধির ওপর। শেষমেশ বুধবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।

    উত্তর ২৪ পরগনার শাসন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর। গত এক মাসেরও কম সময়ে এই এলাকা গুলি থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন জঙ্গি। এবার সেই তালিকায় উঠল মালদহের সুজাপুরের নামও। কারণ সাহারানপুরে ধৃত হাসনাত এখানকারই বাসিন্দা।  

    বাংলা কি তবে ক্রমেই জঙ্গিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share