Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “রাজ্য মন্ত্রিসভার সবাই চোর, পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই”! বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তাল বিধানসভা। গোটা ক্যাবিনেটের গ্রেফতারির দাবি তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে আলোচনা এবং মুলতুবির প্রস্তাব দেয় বিজেপি। কিন্তু সেটা বিচারাধীন বিষয় বলে নাকচ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে বিধানসভায় শুরু হয় হট্টগোল। বিধানসভার ভিতরে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ই রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন শুভেন্দু। 

    উত্তাল বিধানসভা 

    বেনামি আবেদন মামলা, ইস্যুতে তোলপাড় বিধানসভা। সোমবার এই নিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তান আনেন তাঁরা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভার বাইরে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আজকে একটা মুলতুবির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো মন্ত্রিসভা অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করে হাইকোর্টে পাঠিয়েছিল। মন্ত্রিসভার দায়বদ্ধতা থাকে বিধানসভার কাছে। আমাদের বলা হল বিচারাধীন বিষয়, পড়তে দেওয়া হবে না। আমি নিশ্চিত এটা বড় দুর্নীতি। একটা মন্ত্রিসভা মেধাদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের সুপারিশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪০ জন মন্ত্রীর জেলে যাওয়া উচিত।” 

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    হাইকোর্টের কথা

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই বেনামি আবেদন মামলায় শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের সওয়াল জবাবের সময়ে কড়া ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার হাইকোর্টে মণীশ জৈন সরাসরি জানিয়েছেন, এই শূন্যপদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার। মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “রাজ্য কেন বেআইনিভাবে নিযুক্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছে? গণতন্ত্র কি আদৌ সঠিক লোকের হাতে রয়েছে? সন্দেহ রয়েছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    হাইকোর্টের এই কথা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান, “মন্ত্রিসভা সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট চেপে ধরেছে। এই অযোগ্যদের নিয়োগের সুপারিশ কারা করল? পুরো মন্ত্রিসভার গ্রেফতারি চাই।” শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত থেকেছে রাজ্য বিধানসভা। এদিন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ককে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “গতকাল মানিকচকের বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন তাঁরা নাকি মহিলাদের বস্ত্রহরণ করেন। আগামিকাল মহিলা বিধায়করা এ বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনবেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়। এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary TET: টেট পরীক্ষায় বসতে পারবে স্পেশ্যাল বিএডরাও, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: টেট পরীক্ষায় বসতে পারবে স্পেশ্যাল বিএডরাও, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এবার টেটে (Primary TET) বসতে পারে স্পেশ্যাল বিএড প্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের আর্জি মেনে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ এবং টেট পরীক্ষায় বসার আবেদন নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয় স্পেশাল বিএড’রা। নিয়োগ এবং পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রায় ৫০ জন প্রার্থী। আপাতত আসন্ন টেট পরীক্ষায় বসার অনুমতি পেল স্পেশাল বিএডরা। এই প্রথম বিএডদের পাশাপাশি পরীক্ষায় বসবে স্পেশাল বিএড। প্রাথমিকে নিয়োগের আবেদনের শুনানি ৬ ডিসেম্বর।   

    উচ্চ আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার এই নির্দেশ দেন। বিএড-রা যদি প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষায় বসতে পারেন, তাহলে বিএড স্পেশালরা নয় কেন? এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের বক্তব্য, বিভিন্ন রাজ্যে বিএড ও বিএড স্পেশালদের একই গণ্য করা হয়। কিন্তু এই রাজ্যে সেটি হয় না বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। এই নিয়ে মামলায় শুক্রবার বিএড স্পেশাল চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক টেটে বসার সুযোগ দিল হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর  

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলা হয়েছে, বিএড স্পেশাল যে ক্যান্ডিডেটরা ফর্ম ফিল আপ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে অ্যাডমিট কার্ড দিতে হবে। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষা রয়েছে। প্রায় ৬ বছর পর টেট পরীক্ষায় আয়োজন হচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু এই পরীক্ষায় স্পেশাল বিএড-এর জন্য কোনও অপশন দেওয়া হচ্ছিল না। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের বিএড হিসেবেই আবেদন করতে হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, বিএড স্পেশালরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। সেই নিয়েই মামলা করা হয়েছিল আদালতে।

    স্পেশ্যাল বিএড কী? 

    বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিতদের স্পেশ্যাল বিএড বলে। তাঁদের দাবি, দেশের একাধিক রাজ্য রয়েছে, যেখানে বিএড এবং বিএড স্পেশালদের একই সারিতে রাখা হয়। এমন অবস্থায় তাঁদের প্রশ্ন, টেটে বিএড উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারলে, বিএড স্পেশালরা কেন অংশ নিতে পারবেন না? তাঁদের বক্তব্য, টেট পরীক্ষায় তাঁদেরও সুযোগ দেওয়া হোক। এমনকী তাঁদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই স্পেশাল স্টুডেন্ট থাকে। সেক্ষেত্রে বিএড স্পেশালরা যদি সুযোগ পান, তাহলে স্পেশাল স্টুডেন্টদের (Primary TET) পড়ানোর ক্ষেত্রেও সুবিধা পাওয়া যাবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (CM) বানাব। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে যান শুভেন্দু। সেখানেই এই চ্যালেঞ্জ নেন তিনি।

    সিএএ…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে সিএএ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। এদিন বিজেপির ডাকে সিএএ (CAA) নিয়ে জনসমাবেশে যোগ দিতে ঠাকুরনগরে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এই ঠাকুরনগর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান তীর্থক্ষেত্র। সেই ঠাকুরনগরে গিয়ে ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, যেমন কথা তেমন কাজ। সিএএ আইন পাশ হয়েছে। আপনারা দেখছেন সিএএ আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনারা শুভেন্দু অধিকারী, শান্তনু ঠাকুরের ওপর ভরসা রাখুন। সিএএ হবেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে সিএএ-র আশ্বাস পেয়ে প্রবল হাততালি পড়ে সমাবেশে। বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন শুভেন্দু।

    এদিনের সমাবেশে পুরানো একটি সভার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) কিছুদিন আগে বলেছিলেন, বাংলার টাকা আটকাতে বিরোধী দলনেতা চিঠি দেন। কাল (শুক্রবার) সে কথা গিলেছেন। স্নেহের ভাই বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দু বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এর পরেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। ঠাকুরবাড়িতে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম।

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুক্রবারই সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী ছিল বিধানসভা। সংবিধান দিবস উপলক্ষে এদিন ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়ি এবং মনোজ টিগ্গাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, চা খাওয়া হয়নি। তাঁর ভাষায়, এটি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরাশায়ী করেছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকে দুজনের মুখ দেখাদেখি এক প্রকার বন্ধই ছিল। শুক্রবার কেটেছিল জট। তবে শনিবার ফের শুভেন্দু স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর অবস্থান। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nirmal Majhi: নার্সিং এবং ফার্মেসি কাউন্সিলে থাকছেন না নির্মল! কারণ কী?

    Nirmal Majhi: নার্সিং এবং ফার্মেসি কাউন্সিলে থাকছেন না নির্মল! কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নার্সিং ও ফার্মাসি কাউন্সিল থেকে নাম বাদ পড়েছে নির্মল মাজির। সাধারণত নার্সিং, ডেন্টাল এবং ফার্মাসি কাউন্সিলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে একজন করে মনোনীত প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়। তাঁরা ৫ বছরের জন্য সেখানে থাকেন। এর আগে নার্সিং এবং ফার্মেসি কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন নির্মল মাজি। তবে এবার এই দুটি কাউন্সিলে নতুন মুখ আনা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ১.৩ লক্ষে স্থান, পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    নতুন মুখ

    দীর্ঘ দিন পরে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কমিটি। সেখানে বিধায়ক-চিকিৎসক নির্মল মাজি ও সাংসদ-চিকিৎসক শান্তনু সেনকে মনোনীত সদস্য করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু মেডিক্যাল কাউন্সিলের মনোনীত প্রতিনিধি হিসাবে আরও যে সমস্ত কাউন্সিলে নির্মল ছিলেন, সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় এসেছে নতুন মুখ। নার্সিং কাউন্সিলে চিকিৎসক অভীক দে এবং ফার্মাসি কাউন্সিলে সৌরভ পালকে মনোনীত করে পাঠানো হবে, বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে ডেন্টাল কাউন্সিলে প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন রাজীব গণচৌধুরী। তাঁর মৃত্যুর পরে নির্মলের নাম মনোনীত করে পাঠানো হলেও শেষ পর্যন্ত ডেন্টাল কাউন্সিলে তা কার্যকর হয়নি। এ বার সেখানে মনোনীত হয়েছেন বিধায়ক-চিকিৎসক খগেন মাহাতো। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় এবার ইডির নজরে রাজ্যের পাঁচ আইপিএস অফিসার! কারা তাঁরা?

    নয়া কাউন্সিল

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে। সেখানে সরকার পন্থীর ১৪ জন চিকিৎসক জয়লাভ করেছেন। এরপরে তাঁদের মধ্যে থেকে সভাপতি করা হয়েছে বিধায়ক ও চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়কে। সুশান্ত রায়কে সহ সভাপতি করা হয়েছে। সহকারী সম্পাদক করা হয়েছে রবি হেমব্রম এবং দীপাঞ্জন হালদারকে। সুদীপ্ত বলেন, “উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীও নতুন প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে দিচ্ছেন। সেই মতো কাউন্সিলও কাজের অগ্রগতির জন্য নতুনদের প্রাধান্য দিচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sundarban: নতুন জেলা সুন্দরবন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

    Sundarban: নতুন জেলা সুন্দরবন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নতুন জেলা হচ্ছে সুন্দরবন (Sundarban)। হিঙ্গলগঞ্জের সভা থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল, আজ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল।

    নতুন জেলা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    সুন্দরবনে (Sundarban) দুদিনের সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকালেই ডুমুরজোলা হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে বসিরহাট পুলিশ জেলার শামসেরনগর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছন মমতা। শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠান ছিল হিঙ্গলগঞ্জে। এরপর তিনি হিঙ্গলগঞ্জের সভা থেকেই নতুন জেলা সুন্দরবনের (Sundarban) ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সুন্দরবনের জন্য মাস্টারপ্ল্যান করেছে। সেটি কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো হবে। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। আমি সুন্দরবন জেলা করছি। এই জন্য করছি, যে আপনাদের অনেক দূরে যেতে হয়। আমি অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র করছি, যাতে মানুষ চিকিৎসার ব্যবস্থা পায়।”

    এরপর তিনি শাড়ি, ধুতি, মালা, মিষ্টি ফল দিয়ে পুজো দেন বনবিবি মন্দিরে। করেন বৃক্ষপুজো। এদিন বনবিবি মন্দির পাকা করারও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেন, মন্দির তৈরি হয়ে গেলে তিনি আবার আসবেন।

    আরও পড়ুন: রাবণের সঙ্গে তুলনা মোদিকে! বিতর্কিত মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের, প্রতিবাদ বিজেপির

    মুখ্যমন্ত্রী আজ সুন্দরবনকে (Sundarban) জেলা বলে ঘোষণা করার পর জানিয়েছেন যে, সুন্দরবনের মানুষদের স্বার্থে কী কী ব্যবস্থা নিতে চলেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, সুন্দরবনকে বারবার নদী ভাঙ্গনের ফলে বিপর্যস্ত হতে  হয়। ফলে কীভাবে নদী ভাঙ্গন থেকে রোধ করা যায় সুন্দরবনকে, সেই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মাস্টার প্ল্যান জমা দেওয়া হবে। আবার এই বিষয়ে সুন্দরবনের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান মমতা ব্যানার্জি।

    তিনি আজ সুন্দরবনবাসীর (Sundarban) উদ্দেশে বলেন, “আলাদা জেলা হলে সুন্দরবনবাসীকে আর সরকারি পরিষেবা পেতে দূরে যেতে হবে না। হাতের কাছেই তাঁরা সরকারি বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে যাবেন। সরকার নতুন জেলা করার তোড়জোড় শুরু করেছে।” সুন্দরবনে স্বাস্থ্য উন্নয়নেরও কথা বলা হয়েছে আজ। সেখানকার মানুষদের যাতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Manab Mukherjee: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়

    Manab Mukherjee: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘ দিন ধরেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। অবশেষে হল না শেষ রক্ষা। প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায় (Manab Mukherjee)। বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। বহুদিন ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। দু’‌বার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। প্রথমবার হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক জীবন থেকে অব্যহতি নিতে হয়েছিল চিকিৎসকের পরামর্শেই। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদার–সহ অন্যান্যরা।

    আরও পড়ুন: আগেই ছিল হাইকোর্টের নির্দেশ, এবার ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করল পর্ষদ

    কী জানিয়েছে হাসপাতাল?

    হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি (Manab Mukherjee)৷ আজ সকালে বাড়িতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ জরুরি বিভাগে তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সমস্ত লড়াই। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ সিপিএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে মানব মুখোপাধ্যায়ের৷

    জানা গিয়েছে, সকাল ১১.১০ নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন (Manab Mukherjee)। ১১.৪৫ নাগাদ হাসপাতালে আনার পথেই প্রয়াত হয়েছেন।  চক্ষুদানের পর পিস ওয়ার্ল্ডে মরদেহ রাখা হবে। আগামীকাল ৩০ নভেম্বর সকাল ১০ টায় বেরিয়ে বেলেঘাটা পূর্বতন জোন অফিস, ১১টায় পার্টি রাজ্য দফতর , ১১.৩০ টায় জেলা দফতর হয়ে বেলা ১২.৩০ টায় মিছিল করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দেহদান করা হবে। 

    সিপিআইএমের নেতা হিসেবে বরাবরই ছিলেন প্রথম সারিতে। মানব মুখোপাধ্যায় (Manab Mukherjee) সিপিআইএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে বেলেঘাটা থেকে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী হন। বাম আমলে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি এবং পর্যটন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। সাংবাদিকদের সঙ্গেও সখ্যতা বজায় রেখেছিলেন বরাবর। ২০১৭ সালে কলকাতা জেলা সিপিআইএমের সম্মেলনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কল্লোল মজুমদারের কাছে হেরে গিয়েছিলেন মানব মুখোপাধ্যায়। 

    বিতর্ক পিছু ছাড়েনি

    তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্নেহের পাত্র ছিলেন বলে, সমসাময়িকদের তির্যক মন্তব্যেও বিদ্ধ হতে হয়েছে বার বার। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী (Manab Mukherjee) থাকার সময়ই তাঁর চশমার দাম খবরের শিরোনাম হয়ে ওঠে। সমালোচিত হন দলের অন্দরেও। মার্ক্সবাদী তত্ত্বে বিশ্বাসী সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই প্রাক্তন সদস্যের বিরুদ্ধে দামী চশমা পরার অভিযোগ ছিল।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Anubrata Mondal: জামিনের পর এবার মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট

    Anubrata Mondal: জামিনের পর এবার মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের আবেদনের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা মামলা খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।

    কোন মামলায় আবেদন?

    গত ১৭ নভেম্বর আসানসোল সংশোধনাগারে কেষ্টকে জেরা করতে যান ইডি গোয়েন্দারা। সেই সময় সিবিআই হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আসানসোল জেলেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। যদিও অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত। দিল্লি নিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সেই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনও করেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মামলার শুনানি হবে ১ ডিসেম্বর। কিন্তু এবার এই মামলা খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলেন অনুব্রত। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে আজ দ্রুত শুনানির আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। আদালত ২ ডিসেম্বর এই মামলা শুনবে। 

    এদিকে, সিবিআই মামলায় আসানসোল আদালতে বারবার জামিন চেয়েও না মেলায় গতকাল হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার শুনানি হবে অনুব্রতর জামিন মামলার। গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। ২৫ নভেম্বর গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল আদালত।

    কী অভিযোগ? 

    গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফোন থেকে এই সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই বারবার পাল্টা দাবি করে এসেছে, অনুব্রতর মতো একজন প্রভাবশালীকে জেল থেকে ছাড়া হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। দেশজুড়ে চলছে গরু পাচার মামলার তদন্ত। এই মামলায় অনুব্রতর ভূমিকা নিয়ে নিশ্চিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    ১১ অগাস্ট তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর ৫ দিন সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন তিনি। এর পর থেকে প্রায় ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি জামিন। এর মাঝে আসানসোন জেলে থাকাকালীনই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই অবস্থায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

         

  • TMC Worker Shot: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    TMC Worker Shot: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের! ফের গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker Shot)। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে গোসাবা বিধানসভার শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। সম্প্রতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিউর রহমানের। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় তৃণমূল কর্মী মনোরঞ্জন মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি করার খবর সামনে এসেছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মনোরঞ্জনকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ও তাঁর অবস্থাও স্থিতিশীল। গুলিবিদ্ধ মনোরঞ্জনের দাবি, পুরনো রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই এই হামলা।

    কী ঘটে?

    আক্রান্ত মনোরঞ্জন জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। আর তখনই তাঁকে উদ্দেশ্য করে গুলি করা হয় (TMC Worker Shot)। তিনি অভিযোগ করেছেন শম্ভুনগরের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বরুণ ওরফে চিত্ত প্রামাণিকের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে যাঁর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এরপরে এই ঘটনার বিষয়ে তৃণমূলের বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, বরুণ ওরফে চিত্ত প্রামাণিক তৃণমূলেরই নেতা। তবে তাঁর দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একদল লোক এই অভিযোগ আনছে। তিনি অভিযোগের আঙুল তুলছেন বিজেপির দিকে। যদিও, গেরুয়া শিবিরের দাবি, পুরোটাই শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে ঘটেছে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বোমাবাজি, গড়িয়া স্টেশন এলাকায় আতঙ্ক

    এর আগেও একাধিক তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের খবর সামনে এসেছে। চলেছে বোমাবাজি, ঝরেছে রক্ত, গিয়েছে প্রাণ। বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা । আর এর জেরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বোমাবাজি, অস্ত্র উদ্ধার, কর্মী খুন (TMC Worker Shot)।

    গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে আগের কিছু ঘটনা

    পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রকট হচ্ছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। এর জেরে সম্প্রতি সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের নওদায়। বোমা-গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিউর রহমান। পরিবারের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে। এছাড়াও, মালদায় প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষের দলবলের বিরুদ্ধে। আবার, মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পিস্তল, লোহার রড নিয়ে তৃণমূল নেতা তথা ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ চাকীর ওপর হামলা চলেছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের বিরুদ্ধেই। বসিরহাটেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোসাবার ঘটনায় তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল (TMC Worker Shot)।

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি করার অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।   

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করে বলেন, “কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা দলের লোকদের পাইয়ে দিতে ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করেছে তৃণমূল। ভুয়ো নথি বানিয়ে টাকা আত্মসাত্‍ করা হয়েছে।” গত ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে শুভেন্দু দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিওর এফআইআরের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় বেশি জবকার্ড রয়েছে। এমনকি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।   

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে বলে, “একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে এর আগেও অভিযোগ উঠেছে। তার প্রেক্ষিতে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের হলফনামা পেশ করতে হবে।” কেন্দ্রের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর, কেন্দ্রের টাকা তছরুপ করা সংবিধান বিরোধী।” রাজ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে, এই ধরনের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অশোক চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর। কেন্দ্রের টাকা যেভাবে ইচ্ছেমতো তছরুপ করা হয়েছে তা আইন বিরুদ্ধ। সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।” অ্যাডভোকেট জেনারেলের পাল্টা দাবি, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। মামলাকারী ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে আমরা হলফনামা দিয়ে সমস্ত বক্তব্য জানাতে চাই।” হলফনামা দেওয়ার জন্যে রাজ্যের আইনজীবী দুসপ্তাহের সময় চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ফের জামিনের আবেদন খারিজ, কমপক্ষে আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ- সুবীরেশদের

    কী জানিয়েছে আদালত? 

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলকেও নিজের বক্তব্য জানাতে বলে। ২০ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।                  

     

LinkedIn
Share