Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছে রাজ্য, অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছে রাজ্য, অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) টাকা দিচ্ছে রাজ্য। শনিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ন মাস ধরে চুরি করছে। হিসাব দিতে না পারায় বন্ধ ১০০ দিনের টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, কেন্দ্রের জল প্রকল্পের টাকাও পাবে না। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এদিন নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বলেন, জাতীয় শিক্ষা মিশনের টাকা থেকে ভাইপো, পার্থরা কাটমানি খেয়েছেন। এঁদের টাকা খাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে আসছে।

    এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই রাজ্য সরকার এবং অভিষেক-পার্থকে লক্ষ্য করে তোপ দাগেন তিনি। পরে নিক্ষেপ করেন ট্যুইট-বাণও। শুভেন্দু লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ বিভাগ, বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলের ব্যবহার অন্যত্র করছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে।

    অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, আমি এটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইসিডিএসের মতো কেন্দ্রীয় তহবিলগুলিকে অস্থায়ীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে তহবিল দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছে। কেন্দ্রীয় তহবিল যেমন মিড-ডে মিলের অর্থেরও ব্যবহার হচ্ছে। এটা একটার কাছ থেকে আর একটা দিতে ধার নেওয়ার মতো। এটা বন্ধ করতে হবে।

    আরও পড়ুন :বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    এর আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের টাকা আটকে যায় বলেও সূত্রের খবর। এবার শুভেন্দুর অভিযোগ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তহবিল নিয়ে। তার পরেই উঠছে প্রশ্ন, এবার কি তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে তৃণমূল নেত্রীর সাধের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পও?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Dengue in Kolkata: গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০০-এর বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত! পুজোর মুখে আতঙ্কে শহরবাসী

    Dengue in Kolkata: গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০০-এর বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত! পুজোর মুখে আতঙ্কে শহরবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। তবুও কোথাও যেন তাল কাটছে। ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ প্রত্যেক দিন লাফিয়ে বাড়ছে শহর তথা সংলগ্ন জেলাগুলিতে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue situation in West Bengal) মোকাবিলায় কার্যত ব্যর্থ রাজ্য সরকার (Mamata Banerjee Government)। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) সূত্র অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪০ জন। ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছে ৭,৬৮২ জনের। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ১২৯ জনকে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৫৪১ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ভাবে চলতে থাকলে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা শীঘ্রই ২০ হাজার ছুঁয়ে ফেলবে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ, উৎসবের আগে ডেঙ্গির পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে কোভিড

    স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, যে জেলাগুলিতে ডেঙ্গি হু হু করে বাড়ছে, সেগুলি হল, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং। ইতিমধ্যে হাওড়া, কলকাতা, হুগলিতে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরের এক গৃহবধূর (Housewife dies by dengue) ৷ মৃতের নাম মৌমিতা ভট্টাচার্য । সোনারপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি ৷ 

    আরও পড়ুন: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তৎপর রাজ্য সরকার। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুজোর (Durga Puja 2022) সময় স্বাস্থ্য কর্তাদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুজো স্পেশাল ডিউটি রোস্টার তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক। কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭টি বরোর মধ্যে আটটি বরোর ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ১, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর বোরোয় ডেঙ্গি পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Corona In West Bengal: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%

    Corona In West Bengal: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও তো পুজো শুরুই হয়নি, সবেমাত্র মহালয়া পেরোল, আর তাতেই করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করেছে। মহালয়ার দিনই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই করোনা সংক্রমণও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিনশোর বেশি। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও গত একদিনে দৈনিক পজিটিভিটি রেট (Covid Positivity Rate) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৩১ শতাংশ। ফলে পুজোর শুরুতেই নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।

    সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহালয়ার দিন রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৪। রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতকালের থেকে এদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫০-এরও বেশি। ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২১ লক্ষ ১৩ হাজার ২৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। রাজ্যে মোট করোনাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২১, ৮৯৬ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.৮৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০,৮৮,৬২৭ জন। এই মুহূর্তে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩১২৩, যার মধ্যে ৭৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    তবে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা কম হলেও খুশী হওয়ার কিছু নেই। কারণ অন্যদিকে দৈনিক পজিটিভিটি রেটের (Covid Positovity Rate) ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। প্রায় গত দেড় মাস পর রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ৫-এর গণ্ডি পেরোল। অন্যদিকে, রাজ্যে দৈনিক সুস্থতার হারও আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০২ জন।

    গত দুবছর করোনার প্রকোপে কেউই কোনও উৎসব সেভাবে উদযাপন করতে পারেনি। ফলে এবছর করোনা দাপট অনেকটাই কমলে সবাই ফের মাস্ক ছাড়া, শারীরিক দূরত্ববিধি না মেনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া মহালয়ার দিন থেকেই যে পরিমাণে প্যান্ডেলে ভিড় বাড়ছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। ফলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন, করোনার বিধিনিষেধ এখন থেকে না মেনে চললে ফের করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। তাই তাঁদের পরামর্শ যে, উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি সাবধানতা অবলম্বন করাও জরুরি। এছাড়াও শুধু করোনা নয়, এবছর রাজ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ডেঙ্গিও।

  • Mithun Chakraborty: ‘‘হতাশ লাগছে, ৪৩ বছরের কেরিয়ারে…’’, কাকে খোঁচা দিলেন মিঠুন?

    Mithun Chakraborty: ‘‘হতাশ লাগছে, ৪৩ বছরের কেরিয়ারে…’’, কাকে খোঁচা দিলেন মিঠুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজোর (Durga Puja 2022) আগে কলকাতায় এসেছেন অভিনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রথমেই নিজস্ব ঢঙে কথা বললেন ‘মহাগুরু’। এখন একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে জেরবার রাজ্য প্রশাসন। শাসক দলের এক-এক জন শীর্ষস্থানীয় নেতার কেলেঙ্কারি ফাঁস হচ্ছে। গরাদের পিছনে হেভিওয়েটরা। এই নিয়ে এদিন তৃণমূলকে বিঁধলেন মিঠুন। শনিবার হেস্টিংসে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন ‘ফাটাকেষ্ট’। 

    সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি দেখে আমার হতাশ লাগছে। ৪৩ বছরের কেরিয়ারে ২০০ কোটি টাকা দেখিনি। আর কামাতেও পারলাম না।’’ তবে সেই সঙ্গেই মিঠুন বলেন, ‘‘আমি কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করি না। কার নীচে, কত টাকা পাওয়া গেল, যাঁর টাকা তিনি বলতে পারবেন।’’

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন?

    দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাটে স্থানীয় সাংসদ সুকান্তর এলাকার নিউটাউন পল্লী পাঠাগারে দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা মিঠুনের। বিজেপির অভিযোগ, জেলা সার্কিট হাউসে মিঠুনকে থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে বলেন, ‘‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি।’’ তবে, বাঙালির পুজো নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পুজো সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। হাজারো কষ্টের মধ্যে বাঙালি উৎসব পালন করবে।’’

    জুলাই মাসে কলকাতায় এসে মিঠুন বলেছিলেন, তৃণমূলের অনেক নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিন এসে সেই কথা ফের জানালেন তিনি। বললেন, ‘‘আই স্ট্যান্ড বাই। এখনও বলছি, তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’’ যদিও তাঁরা কারা, সে বিষয়ে তিনি কোনও খোলসা করেননি।

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    শুক্রবারই শহরে পা রেখেছেন মিঠুন। রাতেই তিনি ট্রেনে রওনা দেবেন মালদহের উদ্দেশে। সেখান থেকে গাড়িতে যাবেন বালুরঘাট। সোমবার সকালে শিয়ালদহ পৌঁছবেন মিঠুন। উঠবেন নিউটাউনের হোটেলে। মঙ্গলবার সকালে আরামবাগের পুজো সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা মহাগুরুর।

  • Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগে আবারও নিয়োগ। প্রাথমিক টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে পুজোর আগেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সোমবার একটি মামলায় এই রায় দান করেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশে পুজোর আগে মোট ২৫২ জন চাকরি পেতে চলেছেন।  

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?  

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে বহু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। অভিযোগ ছিল, আদালত ভুল প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ করার নির্দেশ দিলেও, বহুদিন সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের গোড়ায় সেই নম্বর দেওয়া হলেও বাড়তি নম্বর পেয়ে যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ না করারও অভিযোগ ছিল। এই চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এই ধরণের ৩টি মামলায় আগেই ১৮৭ জনকে পুজোর আগে নিয়োগপত্র দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯ সেপ্টেম্বর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মতো গত সপ্তাহে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর সোমবার আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর এই নিয়ে পুজোর আগে চাকরি পাচ্ছেন মোট ২৫২ জন।  

    আরও পড়ুন: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন এই যোগ্য প্রার্থীরা। ফলে পুজোর আগেই তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।” আদালতের নির্দেশ, শূন্য পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। এবং সেই পদে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট টেট উত্তীর্ণদের। আদালতের এই রায়ে খুশিতে ভেসেছেন চাকরি প্রার্থীরা। বিচারপতির তরফে এটা পুজোর উপহার বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন মামলাকারী।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ। সোমবার ফের আলিপুর কোর্টে (Alipur Court) তোলা হয় প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে চায় সিবিআই। কিন্তু উপাচার্যের আইনজীবীরা বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর তাঁদের মক্কেলকে গ্রেফতার করার পর থেকে আজ পর্যন্ত একবারের জন্যও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই আধিকারিকেরা জানান, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ। পাল্টা সুবীরেশের আইনজীবীরা বলেন, যাঁকে জিজ্ঞাসবাদই করা হল না, তাঁর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, অসহযোগিতার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? সমস্ত সওয়াল-জবাব শুনে সুবীরশকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক। 

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সুবীরেশের সময়েই প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ২০১৬ সালে চাকরি পান। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায়ে অঙ্কিতা চাকরি খুইয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুবীরেশের আমলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি চরম আকার নিয়েছিল বলে ধারণা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তাঁর সময়কালেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সিবিআই সেই নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে। সুবীরেশকে তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগে দলের প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ভিতরেই ৷ প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, একের পর এক নেতাদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ায় হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীরাও৷ তাদের বক্তব্য, এই ঘটনা বাংলার ঐতিহ্যকেই কলুষিত করছে ৷ সরব হয়েছেন দলের প্রথম সারির এক নেতাও ৷ ওই নেতার প্রশ্ন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডাব্লিউবিএসএসসি-এর চেয়ারম্যান এবং শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন কীভাবে ! কোনও ব্যক্তির প্রতি সুবীরেশের একান্ত আনুগত্যই তাঁকে এই তিনটি পদে একসঙ্গে আসীন রেখেছিল ৷ এই ঘটনা জনসমক্ষে যে সরকার এবং দলের মুখ পুড়িয়েছে, তাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগে আবারও নিয়োগ। প্রাথমিক টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে পুজোর আগেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সোমবার একটি মামলায় এই রায় দান করেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশে পুজোর আগে মোট ২৫২ জন চাকরি পেতে চলেছেন।  

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?  

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে বহু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। অভিযোগ ছিল, আদালত ভুল প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ করার নির্দেশ দিলেও, বহুদিন সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের গোড়ায় সেই নম্বর দেওয়া হলেও বাড়তি নম্বর পেয়ে যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ না করারও অভিযোগ ছিল। এই চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এই ধরণের ৩টি মামলায় আগেই ১৮৭ জনকে পুজোর আগে নিয়োগপত্র দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯ সেপ্টেম্বর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মতো গত সপ্তাহে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর সোমবার আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর এই নিয়ে পুজোর আগে চাকরি পাচ্ছেন মোট ২৫২ জন।  

    আরও পড়ুন: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন এই যোগ্য প্রার্থীরা। ফলে পুজোর আগেই তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।” আদালতের নির্দেশ, শূন্য পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। এবং সেই পদে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট টেট উত্তীর্ণদের। আদালতের এই রায়ে খুশিতে ভেসেছেন চাকরি প্রার্থীরা। বিচারপতির তরফে এটা পুজোর উপহার বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন মামলাকারী।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ। সোমবার ফের আলিপুর কোর্টে (Alipur Court) তোলা হয় প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে চায় সিবিআই। কিন্তু উপাচার্যের আইনজীবীরা বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর তাঁদের মক্কেলকে গ্রেফতার করার পর থেকে আজ পর্যন্ত একবারের জন্যও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই আধিকারিকেরা জানান, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ। পাল্টা সুবীরেশের আইনজীবীরা বলেন, যাঁকে জিজ্ঞাসবাদই করা হল না, তাঁর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, অসহযোগিতার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? সমস্ত সওয়াল-জবাব শুনে সুবীরশকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক। 

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সুবীরেশের সময়েই প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ২০১৬ সালে চাকরি পান। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায়ে অঙ্কিতা চাকরি খুইয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুবীরেশের আমলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি চরম আকার নিয়েছিল বলে ধারণা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তাঁর সময়কালেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সিবিআই সেই নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে। সুবীরেশকে তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগে দলের প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ভিতরেই ৷ প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, একের পর এক নেতাদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ায় হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীরাও৷ তাদের বক্তব্য, এই ঘটনা বাংলার ঐতিহ্যকেই কলুষিত করছে ৷ সরব হয়েছেন দলের প্রথম সারির এক নেতাও ৷ ওই নেতার প্রশ্ন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডাব্লিউবিএসএসসি-এর চেয়ারম্যান এবং শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন কীভাবে ! কোনও ব্যক্তির প্রতি সুবীরেশের একান্ত আনুগত্যই তাঁকে এই তিনটি পদে একসঙ্গে আসীন রেখেছিল ৷ এই ঘটনা জনসমক্ষে যে সরকার এবং দলের মুখ পুড়িয়েছে, তাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue In West Bengal: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই

    Dengue In West Bengal: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Corona) পাশাপাশি এবারে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। ডেঙ্গিতে আক্রান্তের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পুজোর আগেই নতুন করে রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ১০০০-এর গণ্ডিও পার করে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) সূত্রে খবর, গতকাল ৯৬৫ জন নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে এক দিনে এত বেশি সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি। জেলাগুলির মধ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Pargana)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার, সল্টলেক (Saltlake), বারাসাত (Barasat), টিটাগড় (Titagarh), দেগঙ্গা (Deganga), বারাসাত, স্বরূপনগরে ডেঙ্গি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গতকাল স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বিভিন্ন পুরসভা ও বিডিও-দের সঙ্গে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। এরপরেই এই খবর সামনে এসেছে।  

    আরও পড়ুন: মেয়রের ওয়ার্ড সর্বাধিক ডেঙ্গি প্রবণ, মারাত্মক আকার নিলেও ডেঙ্গি তথ্য নিয়ে সরকারের লুকোচুরি অব্যহত!

    উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিঙেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই সাত জেলায় চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬০৪ জন রোগী এখনও সরকারি হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    আবার ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রিপোর্ট অনুসারে, এখনও রাজ্যে ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে ৩ জন শিলিগুড়ির বাসিন্দা। গতকালই শিলিগুড়িতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সাড়ে ৩ বছরের শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশু বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। এরপর টেস্ট করানোর পর জানা যায়, সে ডেঙ্গি আক্রান্ত। তারপরও কিছুদিন বাড়িতে রেখেই শিশুর চিকিত্‍সা করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সোমবার আনা হয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। গতকাল সকালেই তার মৃত্যু হয়।

    রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে চিন্তায় প্রশাসন। ফলে জেলা প্রশাসনের তরফে পুরসভাগুলিকে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

  • Bolpur Municipality Case: কাটমানি না গেলে বোলপুরে পাস হয় না ‘বিল্ডিং প্ল্যান’! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Bolpur Municipality Case: কাটমানি না গেলে বোলপুরে পাস হয় না ‘বিল্ডিং প্ল্যান’! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিল্ডিং প্ল্যান’ পাস করাতে গেলে লাগে অনুদান। বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আর এই গোটা চক্রের মূলে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল, অভিযোগ মামলাকারীর। অর্থাৎ মামলাকারীর অভিযোগ, অনুব্রতর কাছে কাটমানি না গেলে বোলপুরে বাড়ি করা যায় না। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলার শুনানিতে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই চক্র চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে৷ তবে এদিন শুনানি শেষ হলেও আদালত এখনও রায় ঘোষণা করেনি।

    এই চক্রে শুধুমাত্র অনুব্রত নয়, আরও অনেকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার আইনজীবী শামিম আহমেদ এদিন জানান, বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। মামলাকারীর অভিযোগ, পুরসভার বিল ছাপিয়ে টাকা নেওয়া হত। কাটমানি না পেলে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানো হত না।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    তবে এই অভিযোগের পাল্টা উত্তরে বোলপুর পৌরসভার আইনজীবী দাবি করেছেন, সব হিসাব পুরসভার খাতায় আছে, বেআইনিভাবে কিছু নেওয়া হয়নি, গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এই অভিযোগের পাল্টা প্রশ্ন করে আদালতকে জিজ্ঞেস করেন, ‘অনুদান নেওয়া বেআইনীর কী আছে?’ তিনি জানিয়েছেন, অনুদান নেওয়া বেআইনি নয়, পুরসভা অনুদান নিয়ে থাকে। বহু মানুষ স্বেচ্ছায় অনুদান দিয়ে থাকেন। পরে এই টাকা গরীব মানুষদের উন্নয়নের জন্যই খরচ করা হয়ে থাকে।

    ফলে বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করা হয়েছিল, তা সবই অস্বীকার করা হয় এদিন। কিন্তু আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share