Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Coal Smuggling Scam: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

    Coal Smuggling Scam: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে (Coal Smuggling Scam) জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা। মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Maji) ওরফে লালার ১৫ জন সহযোগীর নামে জারি হয়েছে ওই পরোয়ানা। মঙ্গলবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই আদালত (CBI Court) এই পরোয়ানা জারি করে। কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে যে ৪১ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এঁরাও রয়েছেন। এদিকে, কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে ধৃত বিকাশ মিশ্র ও চারজন বর্তমান এবং প্রাক্তন ইসিএল আধিকারিককে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের সিবিআই আদালত।

    বছর দুয়েক আগে কয়লাপাচারকাণ্ডে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে লালার নাম। লালা সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। সুপ্রিম কোর্টে লালা জামিন পেলেও, তাঁর সঙ্গী গুরুপদ মাজি এখন তিহাড় জেলে বন্দি। এই মামলায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন : কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের ইডির তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    এদিকে, এদিনই কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই আদালতে তোলা হয় ইসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ মল্লিক, তন্ময় দাস, সুভাষ চন্দ্র মৈত্র, মুকেশ কুমারকে। আর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় ইসিএলের নিরাপত্তা আধিকারিক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও রিঙ্কু বেহারাকে। সিবিআই আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশকেও।

    এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, ধৃতদের জামিন দিলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই তাঁদের ফের জেল হেফাজত দেওয়া হোক। যদিও অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেন, বাকি যাঁদের নামে চার্জশিট রয়েছে, তাঁদের এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি। কিংবা তাঁদের শমন পাঠানো হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তাই ধৃত ইসিএল আধিকারিকদের আটকে না রেখে তাঁদের জামিন দেওয়া হোক। তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করবেন। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ধৃতদের ফের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC Councillors son hanged: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    TMC Councillors son hanged: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে কলকাতার (Kolkata) গার্ডেনরিচ এলাকা। এবার রহস্যমৃত্যু তৃণমূল কাউন্সিলের (TMC Councilor) ছেলের। শনিবার নিজের অফিস থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পিন্টু শীলের (Pintu Shil)। তিনি ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলে। পিন্টু আত্মহত্যা করেছেন নাকি, তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    শনিবারই গার্ডেনরিচের পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। সেই খবরের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই নিজের অফিস থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পিন্টুর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন কাউন্সিলরের ছেলে।

    ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত শীল। তিনি ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যানও। এদিন রাতে নিজের অফিসে ছিলেন তাঁর ছেলে পিন্টু। তিনি প্রমোটিং করতেন। রাতে কয়েকজন তাঁর খোঁজে ওই অফিসে যান। দেখেন, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন কাউন্সিলরের ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় রঞ্জিতবাবুকে। খবর দেওয়া হয় মেটিয়াবুরুজ থানায়ও। গভীর রাতে পিন্টুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    পুলিশ জানিয়েছে, পিন্টুর দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। তা থেকেই অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন পিন্টু। তবে কেন তিনি নিজের অফিসে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে ঠিক পিন্টু আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    দিন কয়েক আগে খিদিরপুরে পথ দুর্ঘটনায় ছেলেকে হারিয়েছিলেন ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাম পিয়ারি রাম। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ছেলে কিঙ্কর রামের। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে  যাওয়ার আগে তৃণমূল শিবিরে ফের শোকের খবর। এবার সন্তান হারা হলেন আরও এক দলীয় কাউন্সিলর রঞ্জিত শীল।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • ED-CBI Arrest: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    ED-CBI Arrest: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: ‘দুয়ারে’ কখনও ইডি (ED) আবার কখনও সিবিআই (CBI)। এ যেন এরাজ্যে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। ব্যবসায়ী হোক বা রাজনৈতিক নেতা, সিবিআই আর ইডির আতস কাচের নীচে থাকার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শারীরিক অসুস্থতা।

    সিবিআই কিংবা ইডির কাছে হাজিরা দিতে হলে অধিকাংশ সময়েই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। অনেক সময়েই তাঁরা হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘোরেন। ভর্তি করানোর জন্য কাতর হয়ে ওঠেন। এমনকি অর্শ্ব অস্ত্রোপচারের জন্যও মরিয়া হয়ে যান। অনেক সময়েই তাঁদের শারীরিক অসুস্থতার জন্য তদন্তের গতি শ্লথ হয়। তদন্ত চলাকালীন, যাঁরা গ্রেফতার হন, নিত্যদিন তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন সিবিআই, ইডি আধিকারিকেরা।

    কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই এই ভোগান্তি কমবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রয়োজন ভালো ঘুম। রাতের পর্যাপ্ত ঘুম কমিয়ে দিতে পারে শারীরিক অসুস্থতা। ইডি কিংবা সিবিআইয়ের ডাক পেয়ে অনেক রাজনৈতিক নেতার হৃদরোগ দেখা দেয়। বুকে চিনচিন ব্যথা অনুভব করেন। রাজ্যের এক প্রভাবশালী প্রাক্তন মন্ত্রী হৃদরোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুরুতর হৃদরোগ নয়, ‘অ্যাংজ়াইটি অ্যাটাক’ হয়। আর তার জেরেই বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা যায়। কোনও বিষয় নিয়ে ভয়, মাত্রারিক্ত দুশ্চিন্তা থেকেই এই সমস্যা হয়। আর অনেক সময়েই দুশ্চিন্তার জেরে ঘুম ঠিক মতো হয় না। দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, দেহে একাধিক সমস্যা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: আভাস ছিল কি, আগেই মলয় ঘটক রাজভবন থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ছিলেন কেন?

    চিকিৎসক স্বপন বিশ্বাস বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জীবনযাপন খুব ব্যস্ত হয়। একটু অন্যরকম হয়। কিন্তু সময় মতো ঘুমনো জরুরি। যদি তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমোন, তাহলে কিন্তু হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা কমানো যেতে পারে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে হাইপারটেনশনের প্রবণতা বাড়ছে।” চিকিৎসক শারোদ্বৎ মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, “রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের শরীর ও মন দুটো সুস্থ রাখা বেশ মুশকিল। কারণ, এত অসুস্থ পরিবেশে কি নিজেকে সুস্থ রাখা যায়! তবে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জন্য একটাই পরামর্শ, কী খাচ্ছেন, একটু ভেবে খান! বেশি খেলে কিন্তু হজম করা মুশকিল।”

    অতিরিক্ত মানসিক চাপ শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ইডি কিংবা সিবিআইয়ের ডাক পেলে তাই নিজেকে একটু সৃজনশীল কাজের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ থেকে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের মতো সমস্যার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ। ছবি আঁকা, বই পড়া, গান শোনার মতো সৃজনশীল কাজের জন্য প্রতিদিন সময় বরাদ্দ করলে মানসিক চাপ কমে। তাতে শরীর ও সুস্থ থাকে। চিকিৎসক সন্দীপন মিত্র বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যে যথেষ্ট সৃজনশীল হতে পারেন, তার উদাহরণ তো আমরা দেখছি। সকলের শেখা উচিত। সারাদিনের ব্যস্ততার পরে একটু ছবি আঁকা বা গান লেখার মতো কাজ করলে মানসিক চাপ কমে। তাতে শরীর ও মন দুই ভালো থাকে। তখন যে কোনও পরিস্থিতিতেই নিজেকে তৈরী রাখা যায়।”

    তবে, ইডি, সিবিআইয়ের সামনে সুস্থ শরীরে উপস্থিত থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ রাজ্যের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতারা স্থুলতার সমস্যায় ভোগেন। তাদের এই সমস্যার কারণ, খাদ্যাভ্যাস। তাঁদের মতে, অনিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়া ও অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার খাওয়ার জেরেই স্থুলতার সমস্যা হয়। আর স্থুলতা ডেকে আনে হৃদরোগ থেকে ক্যানসার, একাধিক জটিল শারীরিক সমস্যা।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    সূত্রের খবর, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মটন কারি খাওয়ার আবদার করেছিলেন। ডায়বেটিসের জন্য ভাত না দেওয়ায় তিনি খুব বিরক্ত হয়েছিলেন। চিকেন স্ট্যু তার মুখে রোচে না। জেল হেফাজতে বিকেল হলেই পার্থবাবু বেগুনি আর আলুর চপ চান। এদিকে সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মটন কারী আর ভাত পেয়ে খুব খুশি। এই ধরণের খাদ্যাভ্যাস একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কলকাতার এক পুষ্টিবিদ বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংবা অনুব্রত মণ্ডল যে স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন, তা তাঁদের দেখলেই বোঝা যায়। অতিরিক্ত তেল-মশলা ও ভাজা খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। নিয়মিত শারীরিক কসরত করা উচিত।” তবে, এই পরামর্শ শুধু পার্থ বা অনুব্রতর জন্য নয়। ওই পুষ্টিবিদ বলেন, “জেলে থাকাকালীন কিন্তু পরিমিত আহার ও শারীরিক কসরত করা উচিত। যদি বেশি শারীরিক পরিশ্রম করতে না হয়, তাহলে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। তবেই শরীর সু্স্থ থাকবে। সব রকম ধকল নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা যাবে।”

  • Menoka Gambhir: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    Menoka Gambhir: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনটা ঘটার কথা নয়। তবু ঘটল। রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় ইডির দফতরে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা (sister-in-law) মেনকা গম্ভীর (Menoka Gambhir)। কয়লা মামলায় (Coal scam) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করে ইডি (ED)। মধ্য রাতে সিজিও কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক ভাবেই সেই সময়ে সিজিও-র মূল দরজায় তালা ঝোলানো ছিল। কর্তব্যরত জওয়ানদের মেনকারা জানান, এই সময়ে তাঁদের তলব করা হয়েছে। তারপর তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়। মেনকা এবং তাঁর আইনজীবী যান পাঁচতলায়। কিন্তু সেখানেও কেউ ছিলেন না। ফলে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে রাত একটা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

    কিন্তু এত রাতে এই নাটকের মানে কী? স্বভাবতই যে কেউ বুঝতে পারবেন এত রাতে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে না। এটা হয়ত বা যান্ত্রিক ত্রুটি। কী কোনওভাবে ভুলবশত হয়ে গিয়েছে। যদিও বা এই ধরনের ভুল কাম্য নয়। কিন্তু এই বিচিত্র সময়ে ডাকার কারণ আগেই চিঠি দিয়ে জানতে চাইতে পারতেন মেনকা। কিন্তু তিনি তা না করে নিজের আইনজীবী  সৌমেন মহান্তিকে নিয়ে রাতেই ইডির দফতরে যান। শুরু হয় নাটক। সংবাদ মাধ্যমকে ডেকে এই খবর দেওয়া হয়। এটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ছোট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে, বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন: বাংলায় কালো টাকার পাহাড়! এবার ইডি হানা কোথায়?

    এর আগে শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকাকে ব্যাঙ্কক যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরেই আটকে দেয় ইডি। লুকআউট সার্কুলার থাকায় তাঁকে ফিরতে হয় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে।  বিমানবন্দর সূত্রে খবর,মেনকা অভিবাসন দফতরের কাউন্টারে যাওয়ার পরই সেখানকার অফিসাররা তাঁকে ইডির লুকআউট সার্কুলারের কথা জানান।  এরপর তাঁকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে। অভিবাসন দফতর বিষয়টি জানায় দিল্লির ইডি দফতরে। তারপর কলকাতার ইডি দফতরের এক অফিসার পৌঁছে যান বিমানবন্দরে। আগামী সপ্তাহে কলকাতার ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডির নোটিস ধরানো হয় মেনকাকে। ওই নোটিসেই সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ‘টুয়েলভ থার্টি PM’-এর বদলে কোনওভাবে ‘টুয়েলভ থার্টি AM’হয়ে যায়। 

    সূত্রের খবর, নোটিস পাঠিয়েও ইডির তরফে কারও না থাকাকে হাতিয়ার করে এবার পাল্টা আইনি লড়াইয়ে হাঁটতে পারেন মেনকা গম্ভীর। যদিও এ ব্যাপারে সোমবার পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। সময়ের গণ্ডগোলের জন্য আজ হয়ত হাজিরা দেবেন না মেনকা যদি না পাল্টা সমন জারি করা হয় এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

    এদিকে, ভুল সংশোধন করে সোমবার সকালে মেনকাকে নতুন সমন পাঠানো হয়। সেই মতো, দুপুর ১২টা ৪৩ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা। এদিন তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

  • Bengal BJP: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    Bengal BJP: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok sabha Elections)। আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সহ বিভিন্ন রাজ্যের রশি তুলে দেওয়া হল দক্ষ সংগঠকদের হাতে। শুক্রবার বৈঠকে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। বাংলার দায়িত্ব বর্তাল মঙ্গল পাণ্ডের হাতে। বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী কাঁধে তুলে দেওয়া হল দায়িত্ব। 

    কে এই মঙ্গল পাণ্ডে? জানা গিয়েছে, বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে বাংলার সংগঠনের দেখভাল করবেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁকে নিয়োগ করেন। মঙ্গল পাণ্ডেকে সাহায্য করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য এবং নেত্রী আশা লাখরা। এরাজ্যে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা।

    নীতীশ কুমার যখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার চালাচ্ছিলেন, তখন মঙ্গল পাণ্ডে পালন করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। দুঁদে রাজনীতিকের পাশাপাশি তিনি দক্ষ সংগঠকও। সেই কারণেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলার দায়িত্ব। একুশের ভোটে বাংলায় আশাব্যঞ্জক ফল হয়নি বিজেপির। তাই রাজ্য বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একাধিকবার স্থায়ী পর্যবেক্ষকের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। রাজ্য বিজেপির সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই মঙ্গল পাণ্ডেকে দেওয়া হল বাংলার দায়িত্ব। 

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪, মেগা বৈঠকে বিজেপি, কী আলোচনা হল জানেন?

    গতমাসেই রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা নিযুক্ত হন বহু-যুদ্ধের ঘোড়া সুনীল বনসল। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও, ওড়িশা ও তেলঙ্গানার দায়িত্বে রয়েছেন সুনীল। ওড়িশা ও তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোট আসন্ন। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতৃত্বের কাছে, এই দুই বিরোধী-শাসিত রাজ্যে জয়ী হতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। ফলত, সুনীলের ওপর গুরুদায়িত্ব রয়েছে। সব দিক বিচার করে, পশ্চিমবঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষক হিসেবে মঙ্গলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। জানা গিয়েছে, সুনীলের অধীনে থাকবেন মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য ও আশা লখরা।

    বাংলার পাশাপাশি বিজেপি নজর দিয়েছে বিহারের দিকেও। বিহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ টাওডেকে। বিহারের সহ পর্যবেক্ষক থাকছেন হরিশ দ্বিবেদী। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রকেও। উত্তর পূর্বের আটটি রাজ্যের কোঅর্ডিনেটর করা হয়েছে তাঁকে। দলের জাতীয় সম্পাদক ঋতুরাজ সিনহাকে দেওয়া হয়েছে জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ের। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার দায়িত্ব। কেরলের ভার দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের হাতে। 

    গুজরাট এবং ত্রিপুরায় সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আরও কয়েকটি রাজ্যেও রয়েছে নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই রাজ্যগুলির কুর্সি দখলই এই মুহূর্তে পাখির চোখ গেরুয়া নেতৃত্বের। এই বিধানসভা নির্বাচনের পর্ব মিটতে মিটতে বাজবে লোকসভা ভোটের বাদ্যি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই অগোছাল বিরোধীদের একজোট হওয়ার আগেই ঘর গুছিয়ে ফেলল বিজেপি। সেই কারণেই রদবদল হল পদ্মশিবিরে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Suvendu Adhikari: “চোরেদের রানি কে?”, নবান্ন অভিযানের আগে আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “চোরেদের রানি কে?”, নবান্ন অভিযানের আগে আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানের আগে ফের তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। আলিপুরদুয়ারে বিজেপির নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি সভায় তিনি প্রশ্ন তোলেন, চোরেদের রানি কে? শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের সভায় যাওয়ার পথে তিনি ফের বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই পড়ে যাবে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।

    চলতি মাসের ১৩ তারিখে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এরই প্রস্তুতি সভা চলছে। আলিপুরদুয়ারের সভায় যোগ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমি পরিবর্তন যাত্রায় এসেছিলাম। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত গিয়েছিলাম। তৃণমূলের লোকেরা ফালাকাটার সব লাইট অফ করে দিয়েছিল। কিন্তু মানুষ মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত গিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল, যে এবারে পিসিমনিকে আলিপুরদুয়ার থেকে খালি হাতে ফিরতে হবে। পরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও এসেছি। এর পরেই তিনি বলেন, আজ কেন এসেছি জানেন তো? বলে দর্শকদের তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলতে বলেন, চোরেদের জেলে ভরো, ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন চলো। এর পরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, চোরেদের রানি কে?

    আরও পড়ুন : চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় কর্মী সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলকে বীরের মতো ফেরাতে হবে। এদিন আলিপুরদুয়ার যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে মমতার মন্তব্যের জবাব দেন শুভেন্দু। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে বীর বলছেন, তার সঙ্গে দেখা করতে দিল্লির তিহার জেলে যেতে হবে। শনিবার দু দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, কাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন টাকা তুলতে। শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলটা একটা সম্পূর্ণ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। দলটা পরিবারবাদ, তোষণ ও দুর্নীতির ওপর চলছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত একটা দল দুর্নীতিবাজদের সম্মান করবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এখন আত্মবিশ্বাস না দেখালে তো পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে পারবে না। তিনি বলেন, কাল যারা দেখা করতে গিয়েছিল, পঞ্চায়েত প্রধানরা, তারা সব চোর। আর ভাইপো সহ ডাকাতরা বসেছিল মঞ্চে। শুভেন্দু বলেন, আত্মবিশ্বাস বজায় রাখার জন্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট করবে রাজ্য সরকার। এদিন কাওয়াখালি এলাকায় পোড়াঝাড় কাওয়াখালি ভূমি রক্ষা কমিটির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁদের ধর্না মঞ্চে গিয়ে দেখা করেন শুভেন্দু। আশ্বাস দেন পাশে থাকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BJP Nabanna Abhijan: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    BJP Nabanna Abhijan: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক সরকারি দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এক-এক করে রাজ্যের শাসক দলের (TMC) নেতা-মন্ত্রীদের কেলেঙ্কারি ফাঁস হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে পথে বিজেপি (BJP)। প্রবল বৃষ্টি, দুর্যোগ ও প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই আজ, মঙ্গলবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নবান্ন অভিযান করছে বিজেপি (BJP Nabanna Abhijan)। দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই রাজ্য বিজেপির আজকের নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan)। 

    ইতিমধ্যেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতা ও হাওড়ার দিকে আসতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হাওড়ায় সকালেই এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ, তার মধ্যেই যাঁরা হাওড়া এসে পৌঁছেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন সুকান্ত।  এদিন কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে লড়াইয়ের ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘চারিদিকে পুলিশ দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ রাজ্য সরকার বিজেপির ভয়ে থরহরি কম্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। তাই বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। লড়াই হবে লড়াই!’’ পুলিশি তৎপরতা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘বিজেপি উৎশৃঙ্খলতাতে বিশ্বাসী নয়। পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন, আপনাদের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, সেটাই পালন করুন। নয়তো আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবে বিঘ্নিত হলে সেই দায় পুলিশ প্রশাসনের উপরই পড়বে।’’

    আজ বিভিন্ন দিক দিয়ে বিজেপির মিছিল নবান্নমুখী (Nabanna) হবে। এক-এক দিকের নেতৃত্ব দেবেন এক-এক জন নেতা। যেমন, হাওড়া ময়দানের দিক থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল এগোবে নবান্নর দিকে। আরেকচি মিছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu) নেতৃত্বে সাঁতরাগাছি থেকে আসবে। আবার দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে তৃতীয় মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, হাওড়া ব্রিজ অ্যাপ্রোচ রোড হয়ে এগোনোর কথা। বিজেপির নবান্ন অভিযানের আগে সোমবার রাজ্যের বাকি বিরোধী দলগুলোর উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Nursing Corruption: নার্সিংয়ে ভর্তি যেন ‘দুর্নীতির’ আঁতুড়ঘর, স্বনির্ভরতার স্বপ্ন অধরাই থাকছে তিথিদের

    Bengal Nursing Corruption: নার্সিংয়ে ভর্তি যেন ‘দুর্নীতির’ আঁতুড়ঘর, স্বনির্ভরতার স্বপ্ন অধরাই থাকছে তিথিদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: দিনকয়েক আগেই এক বাঙালি নারীর ‘সাহসিকতা’ দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন বঙ্গ সমাজ। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় তখন ইডি হেফাজতে। নিয়মমাফিক জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হচ্ছে। রুটিন মেনে পরীক্ষা করানোর পরে পার্থবাবু গাড়িতে উঠেছেন, তাঁকে লক্ষ্য করে একটি জুতো উড়ে আসে। এক মহিলা পার্থবাবুর দিকে জুতো ছুড়েছিলেন। বলেছিলেন, “এত টাকা ঘুষ খেয়েছে তাই জুতো মেরেছি। বেশ করেছি।” 

    ওই মহিলার স্বামী জানিয়ে ছিলেন, তাঁদের মেয়ে নার্সিংয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ভর্তি হতে আট লাখ টাকা দরকার। অত টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা নিম্নবিত্ত ওই পরিবারের নেই। তাই মেয়ের নার্সিং পড়া হয়নি। এদিকে টিভিতে দেখাচ্ছে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি। সবকিছু মিলিয়েই নাকি ওই মহিলা এমনভাবে রাগের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছিলেন। দিন কয়েক আগে চন্দ্রকোণার মেয়ে তিথি দলুই আত্মহত্যা করেছেন। কারণ, তিনি নার্সিংয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু পড়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সঙ্গতি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডও কাজে আসেনি। লোন পাননি তিথি। তাঁর পরিবার জানান, তাই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার মতো চরম পথ বেছে নেন।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা 

    এই দুই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়। এ রাজ্যের একটি বড় অংশের নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা নার্সিং পড়ে স্বনির্ভর হন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। তামিলনাড়ু, কেরলের মতো দেশের একাধিক রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার রাস্তা নার্সিং। কিন্তু এ রাজ্যে নার্সিং পড়ার পথে এক বড় অন্তরায় হয়ে উঠেছে দুর্নীতি। নার্সিং পড়ার খরচ গত কয়েক বছরে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে। তবে, ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, শুধু কলেজ ফি বাড়েনি। কলেজ ভর্তি হতে নানান জায়গায় টাকা দিতে হচ্ছে। আর তাতেই নাজেহাল হচ্ছেন পড়ুয়ারা।

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে নার্সের চাহিদা যথেষ্ট। স্টাফ নার্সের আসন কয়েক হাজার খালি রয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিত্তিই এই স্টাফ নার্স। রোগীকে দেখভালের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব এই স্টাফ নার্সের উপরেই থাকে। সেই চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন প্রশিক্ষিত নার্স। অথচ গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ জায়গায় নার্সিং কলেজে ভর্তি নিয়ে একটা অস্বচ্ছ হিসাব চলছে।

    গত কয়েক বছরে রাজ্যে কয়েক হাজার নতুন বেসরকারি নার্সিং কলেজ গড়ে উঠেছে। সেগুলোতে ভর্তি করার জন্য এক লাগামহীন অর্থ চাহিদাও তৈরি হয়েছে। শুধু মাত্র কোর্স ফি বাবদ নার্সিং কলেজে টাকা দিতে হচ্ছে এমন নয়। অভিযোগ, প্রবেশিকা পরীক্ষার উত্তীর্ণ তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নার্সিং কলেজে ভর্তির জন্য বিভিন্ন স্তরে টাকা দিতে হচ্ছে। শুধুমাত্র পড়া খরচ বাবদ লক্ষাধিক টাকা নয়। বিভিন্ন স্তরে টাকার জোগান দিতেই কয়েক লাখ টাকা চলে যাচ্ছে নার্সিং পড়ুয়াদের। আর এই সবটাই বেআইনিভাবেই নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে ভর্তি হতে পারবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু কোথাও অভিযোগ জানানোর উপায় নেই। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    স্বাস্থ্য ভবনের নার্সিং শাখায় কর্মরত কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সবকিছুই হচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অঙ্গুলি হেলনে। স্বাস্থ্য ভবন জানে না, এমন নয়। কিন্তু এই টাকার ভাগ অনেক দূর পর্যন্ত যায়। তাই সব জেনেও কোথাও কোনও হেলদোল নেই। শুধুমাত্র বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেই যে এত সমস্যা তা নয়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, ভর্তির তালিকা তৈরির সময় থেকেই একটা অস্বচ্ছতা দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। 

    স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানান, নার্সিং রুল বুকের ন্যূনতম নিয়মও মেনে চলা হচ্ছে না। নার্সিংয়ের সবটাই এখন চলছে বেনিয়মে। তিনি জানান, যাঁরা সাব সেন্টারে পোষ্টেড সেই Health Assistant Female রা ৩ বছর ‘uninterrupted’ সার্ভিস করলে তাঁদের TR দিয়ে GNM করাবে বলে তথ্যপুস্তিকা প্রকাশ করে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড এবং পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষার পরে, যারা কৃতকার্য হয়, তারা কাউন্সেলিং করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য ভবনের Nursing ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের পরীক্ষায় বসার জন্যে BMOH এর পারমিশন, Rank কার্ড, অ্যাডমিটসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট পাঠায়।

    প্রথম রাউন্ড কাউন্সেলিং শেষ করার পরও ডিপার্টমেন্টের কোনও হেলদোল ছিল না। TR লিস্ট বার করার, জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সিট আপগ্রেডেশন সুবিধা পরীক্ষার্থীদের দেয় তাই সেই সার্ভিস ক্যান্ডিডেটরা দ্বিতীয় রাউন্ড কাউন্সেলিংয়ে বসে যাতে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ পর্যন্ত TR এর জন্যে অপেক্ষা করা যায়। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ সব সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবন থেকে বলে দেওয়া হয়েছে সার্ভিস ক্যান্ডিডেটদের ভর্তি না করতে করলেও ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট হিসেবে ভর্তি করতে, এদিকে ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট হিসেবে ভর্তি করলে সার্ভিস ব্রেক হয়ে যাবে হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেলদের। ওই কর্তা বলেন, “West Bengal Nursing Personnel (Placement on Trainee Reserve) Rules, 2009, অর্ডার নম্বর. HF/O/GA(NG)/303/1N-26/09 অনুসারে HAF দের TR পাওয়ার কথা, কিন্তু ডিপার্টমেন্ট নিঃশ্চুপ। হয়তো এমন সময় TR বার করবে যখন কোন লাভ নেই আর। হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেলদের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতা করাটার কি খুব প্রয়োজন ছিল!”

    স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের আশঙ্কা, এসএসসির মতো স্বাস্থ্য দফতর নিয়ে কখনো আদালতে তদন্তের নির্দেশ দিলে, তা শিক্ষা দফতরের দূর্নীতিকেও পিছনে ফেলে দেবে।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় এলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কর্মীদের বকেয়া ডিএ (DA) মিটিয়ে দেওয়া হবে। পাণ্ডবেশ্বরে এক জনসভায় এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ কর্মীরা দীর্ঘদিন প্রাপ্য ডিএ থেকে বঞ্চিত। একজন কনস্টেবল কমপক্ষে প্রায় দশ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন। আর সাব ইন্সপেক্টরের ক্ষেত্রে সেটা প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে আরটিজিএস কিংবা এনইএফটি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের অ্যাকাউন্টে ডিএ পাঠিয়ে পাঠিয়ে দেব।’ একই সঙ্গে তিনি পুলিশকে পরামর্শ দেন, নবান্নে আমাদের আটকাবেন না। তিনদিক থেকে মিছিল করে যাব আমরা। আমি থাকব সাঁতরাগাছিতে।

    আরও পড়ুন: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ’র দাবি বহুদিনের। তা নিয়ে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে (High Court)। তার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কেন্দ্রীয় হারে (৩১ শতাংশ) দ্রুত ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায় মানতে রাজি নয়। এক্ষেত্রে যুক্তি দেখানো হয়, রোপা রুল অনুযায়ী ১৬ শতাংশ ডিএ বাকি রয়েছে। একই সঙ্গে তাই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিও শেষ। রায় বেরনোর অপেক্ষা। রাজ্য সরকারি কর্মীরা আশা করছেন, এবারও রায় তাদের পক্ষেই যাবে। তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন, হেরে গেলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যেতে পারে রাজ্য। তাতে প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা পেতে আরও কিছু সময় লাগবে।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলছে বৃষ্টি

    এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারি ডিএ নিয়ে প্রতিশ্রুতি মাস্টারস্ট্রোক বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। যা শুধু পুলিশ কর্মীদের নয়, সব রাজ্য সরকারের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কারণ, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেলে রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেতন এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • MGNREGA: কেন্দ্র দিয়েছে ডেডলাইন! মনরেগা প্রকল্পের টাকা পেতে তড়িঘড়ি ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ রাজ্যের

    MGNREGA: কেন্দ্র দিয়েছে ডেডলাইন! মনরেগা প্রকল্পের টাকা পেতে তড়িঘড়ি ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ করা হল। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সব রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে যে তাদের মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি অ্যাক্ট, ২০০৫ (MNREGA) এর অধীনে টাকা পেতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানিয়েছেন “MNREGA তহবিলের ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন। অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত রাজ্যগুলিকে এ নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে।” কেন্দ্রের এই হুঁশিয়ারিতেই টনক নড়ে রাজ্যের। দ্রুত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়  ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। এঁরা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে ঘিরে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে সরকারি কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে। প্রকল্পে স্বচ্ছতা থাকলে তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেবে।

    আরও পড়ুন: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুলাই মাসে মনরেগা তহবিল আটকানোর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছিলেন। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ শুনে কেন্দ্রীয় কর্তারা রাজ্যে গিয়ে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে তার সত্যতাও পেয়েছেন। একশো দিনের কাজে রুল নম্বর ২৭ অনুযাযী যদি কোনও রাজ্য কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে না চলে সে ক্ষেত্রে সেই রাজ্যের বকেয়া অর্থ আটকে দেওয়ার অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমি রাজ্যগুলিকে লিখেছি যে আমাদের তহবিলের কোনও অভাব নেই, তবে তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনও আর্থিক অনিয়ম কাম্য নয়। রাজ্যগুলি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কী পদক্ষেপ করেছে তা আমরা অক্টোবরে খতিয়ে দেখব।”

    আরও পড়ুন: যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, এনআইএ আদালতে খারিজ নভলাখার জামিনের আবেদন

    মন্ত্রী আরও বলেন, “আমি রাজ্যগুলিকে MNREGA-তে আরও স্বচ্ছতা আনতে বলেছি এবং এর জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যেমন কমিশনারদের পরিদর্শন, রিয়েল-টাইম উপস্থিতি, একটি সক্রিয় লোকপাল, সামাজিক অডিট, একটি জাতীয় মোবাইল পর্যবেক্ষণ।” একটি অ্যাপের সাথে পুরো সিস্টেমটি যোগ করার কথাও বলেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা দুর্নীতির বেড়াজালে আটকে রয়েছে রাজ্য। তাই স্বচ্ছতা দেখাতে তড়িঘড়ি ‘ওমবাডসম্যান’ নিয়োগের কথা ভাবা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share