Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Partha-Arpita: জেলে খাট পেলেন পার্থ! কেমন কাটছে পার্থ- অর্পিতার জেলের জীবন, জানেন কী?

    Partha-Arpita: জেলে খাট পেলেন পার্থ! কেমন কাটছে পার্থ- অর্পিতার জেলের জীবন, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ঘুমোনোর জন্য জেলে খাট পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শুক্রবার পার্থ – অর্পিতাকে (Arpita Mukherjee) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারপর কেটে গেল দ্বিতীয় রাতও। প্রেসিডেন্সি জেলের ২ নম্বর সেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তাঁর জন্য জেলে আনা হয়েছে খাট। জেলে প্রথম রাতে শোয়ার জন্য কম্বল দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি মাটিতে অর্থাৎ মেঝেতে শুয়ে ঘুমোতে পারেননি। তাই তাঁকে খাট দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে জানানো হয়েছিল। এরপরেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে একটা খাট দেওয়া হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও তাঁকে কীভাবে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডাল-রুটি খেয়ে মেঝেয় কম্বল পেতে শুয়ে পড়লেন পার্থ, খাবার মুখেই তুললেন না অর্পিতা

    শুধু খাটই নয়, তাঁর জন্য রয়েছে খাবারের বিশেষ সুবিধাও। শুক্রবার রাতে তাঁর জন্যে খাবারের মধ্যে ছিল রুটি, ডাল, সবজি। শনিবার সকালে জলখাবারে খেয়েছেন মুড়ি, চা, বিস্কুট। আর দুপুরে খেয়েছেন ভাত, ডাল, মাছ, সবজি। তবে কেন তাঁকে খাট দিয়েছে, এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, ভারী চেহারার কারণেই মেঝেতে বসা, শোওয়া তাঁর পক্ষে কষ্টকর। ফলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে যেন একটা চেয়ার বা খাট দেওয়া হয়, এই নিয়ে আবেদন করা হয়। এরপর তাঁকে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে খাট দেওয়া হয়। এমনকি জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেলের শৌচাগারে ছিল কমোড। তাই মাটিতে বসতে না পারায় শুক্রবার রাতে সেই কমোডের উপরে বসেই কাটাতে হয় মন্ত্রীকে। এরপরেই গতাকাল তাঁকে খাট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে অর্পিতার! কী বিশেষ নির্দেশ দিলেন বিচারক?

    অন্যদিকে অর্পিতাকে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ২ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাঁকে শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ জেলে আনা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খুবই মনখারাপ করে বসে থাকছে অর্পিতা। মাঝে মাঝে কান্নাকাটিও করছে। অর্পিতার প্রাণহানির আশঙ্কা আছে বলে জানায় ইডি। তাই জেলের মধ্যেও তাঁর জন্য বিশেষ নিরাপত্তাকর্মীর ব্যবস্থা করা হয়েছে ও কোনও খাবার দেওয়ার আগেও সেটি চেক করে নেওয়া হচ্ছে।

     

  • CBI Summons Anubrata Mondal: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    CBI Summons Anubrata Mondal: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ফের তলব (Summon) করল সিবিআই (CBI)। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবারই দিতে হবে হাজিরা। এবার কী করবেন অনুব্রত? প্রতিবারের মত এবারেও কী সিবিআই জেরা এড়িয়ে যাওয়ার অজুহাত প্রস্তুত রেখেছেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত এই নেতা? নাকি এবার আর শেষ রক্ষা হবে না? 

    আরও পড়ুন: বালি-পাথরের ‘নবগ্রহ’ ইডি-সিবিআইয়ের নজরে, কেষ্টর পর কে কে?

    অনুব্রত-সিবিআই লুকোচুরি চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। সিবিআই তলব প্রতিবারই কোনও না কোনও ভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন কেষ্ট। আর প্রতিবারই বাহানা শরীর খারাপের। গতকালও সিবিআই জেরা থেকে বাঁচতে এসেছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভর্তি হতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, সুস্থ আছে কেষ্টা। এবার অসুস্থতার অজুহাতও কাজ করবে না। তাহলে কী এবার পার্থর মত অনুব্রতরও ঠাই হবে শ্রীঘরে? নাকি এক রাতেই নতুন কোনও ফন্দি এঁটে ফেলবেন অনুব্রত? 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে আগামীকাল সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে ( Nizam Palace ) হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার আগে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে দিল্লি থেকে এলেন সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। বৈঠক করবেন দুর্নীতিদমন শাখার জয়েন্ট ডিরেক্টর, এসপি পদমর্যাদার অফিসার ও গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে। তলব সত্ত্বেও গতকাল সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। 

    সোমবার নিজাম প্যলেসে অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু সেদিন নিজাম প্যালেসের পরিবর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন তিনি। হাসপাতাল থেকে তাঁকে পরিষ্কার জানানো হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো ততটাও অসুস্থ নন তিনি। তারপরেই সিবিআই নির্দেশ দিয়েছিল হাসপাতাল থেকেই সোজা নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। কিন্তু সেই কথায় পাত্তা না দিয়েই অনুব্রত মণ্ডল চলে গিয়েছিলেন তাঁর কলকাতার চিনার পার্কের বাড়িতে। সেখান থেকে যান বোলপুরের বাড়িতে।  এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতা জানিয়েছিলেন আবার সিবিআই তলব করলে তিনি যাবেন কিনা সেটা পরে জানিয়ে দেবেন। এবার বীরভূমে যেতে না যেতেই ফের তলব করা হয়েছে। 

    গতকাল অনুব্রতর চিনার পার্কের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু সেখানে কেউ ছিলেন না। তার আগেই, অনুব্রত বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছিলেন। সিবিআই যখন পৌঁছয়, ফ্ল্যাটটি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলেই চলে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ফলে নোটিস দেওয়া ‌যায়নি তাকে। পরে অনুব্রতকে তলবের চিঠি ই-মেল করে পাঠিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, আজই বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে আসবেন সিবিআই অফিসাররা। এর পাল্টা কী কৌশল নেন অনুব্রত তাই দেখার।  

    মূলত রাজ্যের শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতা গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত। এখন অবধি অসংখ্য বার তিনি ইডি-সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তলব এড়িয়ে কিছুতেই যাতে এসএসকেমে না যেতে পারেন অভিযুক্ত নেতারা, তার জন্য পার্থ ইস্যুতে আগেই প্রস্তুতি নিয়েছিল সিবিআই। তারপরেই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এখন আর চাইলেই এসএসকেএমের উডবার্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া যাবে না। আর এবার তাই আর এসএসকেএমে ভর্তি হতে পারেননি অনুব্রত। 

  • Partha Chatterjee: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    Partha Chatterjee: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Teachers Recruitment Scam) মামলায় আজ, বুধবার ইডি হেফাজতের (ED custody) মেয়াদ শেষ হচ্ছে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)। এই প্রেক্ষিতে আজই এই দুজনকে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। এর আগে পার্থ-অর্পিতার ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, এদিন ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরা পর্ব চলাকালীন বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে দু’জনকেই ফের জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই পার্থ-অর্পিতাকে (Partha-Arpita) ফের হেফাজতে নেওয়ার ভাবনা ইডি-র।

    এদিন আদালতে তদন্তকারীদের তরফে সওয়ালে বলা হতে পারে, পার্থ এবং অর্পিতার নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির (Benami Properties) হদিশ তাঁরা পেয়েছেন৷ আরও সম্পত্তির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি৷ এ ছাড়াও তাঁদের বিলাসবহুল চারটি গাড়ির খোঁজও এখনও মেলেনি৷ ফলে পার্থ এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অভিযোগ, পার্থ ও অর্পিতা দু’জনেই তদন্তকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন। সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট নথি থাকা সত্ত্বেও জেরায় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন পার্থ-অর্পিতা। এই বিষয়টিও এদিন আদালতে পেশ করতে পারে ইডি। 

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ইডির (ED) সন্দেহ, এই গোটা কাণ্ডে আরও একাধিক প্রভাবশালী জড়িয়ে থাকতে পারেন। সঙ্গে রয়েছে হাওয়ালা-যোগও। সেই কারণে ওই দু’জনকে ফের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এর জন্য পার্থ ও অর্পিতাকে আবার হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন করতে পারে ইডি। সূত্রের খবর, তদন্তকারী দল তাদের সওয়ালে এও জানাতে পারেন, কীভাবে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন পার্থ-অর্পিতা। এছাড়া, পার্থর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বও তুলতে পারে ইডি। বলা হতে পারে, বের হলেই, নিজের প্রভাব খাটিয়ে অনেক তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারেন তিনি এবং অর্পিতা। 

    টালিগঞ্জ (Tollygunj) ও বেলঘরিয়া (Belghoria)— অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে প্রায় ৬ কোটি মূল্যের সোনা। এছাড়া, ইডি এখনও রাজ্যজুড়ে পার্থ ও অর্পিতার নামে বেনামে থাকা বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে ফ্ল্যাট ও বাড়ি, তেমনই রয়েছে ফার্মহাউস, কোম্পানি ও জমির দলিল। এই প্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা অন্তত ৬টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ইডি। এরমধ্যে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট যেমন ছিল, তেমনই ছিল অর্পিতার একাধিক নেল-আর্ট পার্লার।

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    গতকালের অভিযান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি ডায়েরি। ইডি সূত্রের খবর, এই গোটা দুর্নীতির যাবতীয় হিসেব-নিকেষ রয়েছে ওই ডায়েরিগুলোতে। কার হাতে সেই ডায়েরি লেখা, তা নিশ্চিত করার জন্য হ্যান্ড-রাইটিং এক্সপার্টের (Hand writing expert) সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ফলে, এই পরিস্থিতিতে পার্থ-অর্পিতা জামিন পেলে, তদন্ত বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছে ইডি। যে কারেণে, এই দুজন এখনই যাতে জামিন না পান, তার জন্য জোরালো সওয়াল করতে পারে ইডি। 

    এদিকে, গতকালের জুতোকাণ্ডের পর এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshall court) চত্বরে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আদালতে আগে থেকেই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পার্থ-অর্পিতার নিরাপত্তার জন্য রয়েছে অন্তত ৮৬ জন আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান।

  • Independence day at Raj Bhavan: স্থায়ী রাজ্যপাল নেই, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের অ্যাট-হোম কি বাতিল?

    Independence day at Raj Bhavan: স্থায়ী রাজ্যপাল নেই, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের অ্যাট-হোম কি বাতিল?

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(jagdeep dhankhar) হয়ে গিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। রাজ্যভবনের স্থায়ী মালিকানা নেই কারও হাতে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এবার রাজভবনে ১৫ অগস্ট কি আনুষ্ঠানিক চা-চক্র বা অ্যাট হোম(AT HOME)-র আসর বসবে না? নাকি অমৃত মহোৎসব পালনের আগেই রাজ্যে চলে আসতে পারেন নতুন রাজ্যপাল। এই দুই সম্ভাবনার মাঝেই রাজভবন সরকারি আমন্ত্রণ পত্র ছাপতে পারছে না।কারণ, রাজ্যপাল ছাড়া কখনও অ্যাট হোমের অনুষ্ঠান হতে পারে না। তিনিই সেই চা-চক্রের আসরের মূল হোতা। ফলে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে কলকাতা রাজভবনে চা-চক্র বসবে কি না, তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

    রাজভবনের এক কর্তার কথায়, আমরা এখনও আমন্ত্রণ পত্র ছাপাতে পারিনি। কাউকে সরকারিভাবে জানাতেও পারছি না। যদি নতুন রাজ্যপাল আসেন তা হলে তিনিই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হবেন। মনিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন সেদিন ইম্ফল ছেড়ে কলকাতা আসতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। ফলে জটিলতা বেড়েই চলেছে।

    সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির ডাকা আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন দিল্লি গিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতার উৎসব সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট তিনিই প্রধানমন্ত্রীর সামনে পেশ করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রোতা ছিলেন মাত্র। দিল্লি থেকে গণেশন (Ganeshan) মনিপুর ফিরে গিয়েছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার কলকাতা ফিরতে পারেন। তারপরই ঠিক হবে আদৌ ৭৫ বছরের স্বাধীনতা দিবসে অ্যাট হোম অনুষ্ঠান হবে কি না।

    কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    রাজভবন সূত্রের দাবি, গণেশন মনিপুরের রাজ্যপাল। এখানে তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে রয়েছেন।ফলে ইম্ফলের রাজভবনের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান এবং চা-চক্রে তাঁকে হাজির হতেই হবে। আবার রাজ্যপাল ছাড়া এই অনুষ্ঠান হয় না। ফলে তিনি কলকাতায় থাকবেন কি করে?

    গত দুবছর কোভিডের কারণে অবশ্য এই অনুষ্ঠান হয়নি। গণেশন সকালে মনিপুরের অনুষ্ঠান করে বিকালে কলকাতায় এসে চা-চক্রে যোগ দিতে পারেন। আবার করোনার প্রকোপ যে ভাবে বাড়ছে সেই কারণে অনুষ্ঠান বাতিলও হতে পারে।

    বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    সর্বোপরি ১৫ অগস্টের মধ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ হয়ে গেলে সব সমস্যার সমাধানই হয়ে যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কে হবেন, তা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। প্রশাসনিক মহলে দিল্লি পুলিশের সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্তানার নাম নিয়েও কানাঘুঁষো চলছে। তবে জগদীপ ধনখড়ের ফেলে আসা পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারবেন, এমন কারও খোঁজ চলছে।স্বাধীনতা দিবসের আগে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ তাই একপ্রকার অসম্ভব। ফলে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের চা-চক্র এখন অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে। 

  • Partha Chatterjee: স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম, ঠিক কী হয়েছে পার্থর?

    Partha Chatterjee: স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম, ঠিক কী হয়েছে পার্থর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) দেখতে শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) পৌঁছল এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) মেডিক্যাল টিম। দলে ছিলেন কার্ডিওলজি, মেডিসিন-সহ বিভিন্ন বিভাগের ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এছাড়াও টিমে রয়েছেন ৬ মেডিক্যাল স্টাফ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শেখানো হয় বিশেষ ব্যায়াম।

    এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, আদালতে ইডি দাবি করে, হেফাজত এড়াতে অসুস্থতার নাটক করছেন পার্থ। ইডি (ED) আরও জানায়, হাসপাতালে তাদের সঙ্গে ডনের মতো আচরণ করছেন পার্থ। 

    আরও পড়ুন: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা, কার উদ্দেশ্যে বললেন মালব্য?

    এরপর আদালতের নির্দেশে পার্থকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বর এইমস (AIIMS Bhubaneswar) হাসপাতালে। ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পার্থকে হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অবস্থা হয়নি। ওনার শ্বাস–প্রশ্বাসে সামান্য সমস্যা রয়েছে। আর কিডনিতে ক্রনিক কিছু সমস্যা রয়েছে। শরীরের ওজনও বেশি। এমনকী তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হয়েছিল। তারপর জেলেই কাটছিল পার্থের দিন। হঠাৎই তাঁকে জেলের হাসপাতালে রাখা হয়।

    সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, জেল হাসপাতালে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। বিষয়টি আইনজীবীকেও জানান পার্থ। জেল সুপারকে দেওয়া রিপোর্টে জেলের চিকিৎসক দাবি করেন, পার্থর যে সমস্যা রয়েছে, তাঁর চিকিৎসা জেলের চিকিৎসককে দিয়ে সম্ভব নয়। সেই রিপোর্ট কারা দফতর ঘুরে যায় নবান্নে। সেখান থেকে রিপোর্ট পাঠানো হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। তাঁর নির্দেশেই এদিন পার্থকে দেখতে প্রেসিডেন্সি জেলে যায় ৮ জনের চিকিৎসক দল। 

    আরও পড়ুন: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ। সেখানে তিনি কী করছেন কী খাচ্ছেন, সেই খবর সূত্র মারফৎ সংবাদমাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছচ্ছে। তেমনভাবেই জানা গিয়েছিল, চিকিৎসকদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই সম্প্রতি তিনি তেলেভাজা খাচ্ছিলেন। জেলের ক্যান্টিন থেকে দেদার চপ-বেগুনি খান। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সব খেয়েই কি অসুস্থ হয়েছেন পার্থ? জেলের আরেক সূত্রের মতে, গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার খবরেও নাকি বেশ মুষড়ে পড়েন পার্থ। তাহলে তাঁর এই সমস্যা কি মানসিক?

    জেল সূত্রে এও জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে পা ও পিঠের ব্যথা বেশ ভোগাচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তা থেকে সুরাহা কীভাবে মিলবে, সেটা বোঝাতে এদিন তাঁকে বিশেষ ব্যায়াম দেখান চিকিৎসকরা। পাশাপাশি শোওয়ার ধরন বদলানোর পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে, যাতে কমে পিঠের ব্যথা। 

  • Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এবার পেল রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

    গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসেনকেও। এঁদের নামেই মিলেছে বিপুল পরিমাণ নথিভুক্ত সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতের পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সব মিলিয়ে ওই সম্পত্তির পরিমাণ ১৬২টি। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর চেয়েও বেশি, ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামে রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    অনুব্রতর দেহরক্ষী ছিলেন সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। সায়গলের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭টি। নথিভুক্ত সম্পত্তির বিচারে কম যান না বোলপুর পুরসভার কর্মী অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনও (Bidyut Baran Gayen)। তাঁর নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি। তাঁর স্ত্রী মহুয়ার নামেও রয়েছে ২টি। অর্থাৎ এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গায়েন পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪টি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণও নেহাত কম নয়। কমল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও রয়েছে ১৮টি নথিভুক্ত সম্পত্তি।

    আরও পড়ুন : বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    বুধবারই রাজ্যের চার জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। গরু পাচার মামলায় এদিনও গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর এক ঘনিষ্ঠকে। তিনি বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর তৃণমূলের বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু। জেলায় তিনি অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অসঙ্গতি মেলায় প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে। এদিন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    SSC Scam: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee and Arpita Mukherjee) আরও দুই দিনের ইডি হেফাজত। SSC দুর্নীতির মামলায় (SSC Scam) এখনও সব তথ্য হাতে আসেনি। তাই দু’জনকেই ফের একবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। সেই আবেদনে সাড়া দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। তবে চারদিন নয় আরও ২ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। ৫অগাস্ট পর্যন্ত সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে। জানা গিয়েছে, এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেননি। তবে ইডি হেফাজতের বিরোধিতা করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীও এই হেফাজতের বিরোধিতা করেন।

    এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশের আগে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় ইডি (ED)। এদিন সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ পার্থ-অর্পিতাকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে দু’জনকে নিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের উদ্দেশে রওনা হন ইডির আধিকারিকরা। হাসপাতালে থেকে বের হওয়ার সময় চুপ রইলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। মুখের কাছে দু’হাত জড়ো করে রেখে, চোখ বন্ধ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বরং হুইল চেয়ারে বসে থরথর করে কাঁপছিলেন তিনি। তাঁর শরীরি ভাষাই বলে দিচ্ছিল যে, তিনি যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    উল্টো দিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) মাস্ক নামিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে মুখ খুলতে দেননি। বুধবারও হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে। এর আগে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কখনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তিনি। কখনও আবার বলেছেন, “নেত্রীর সিদ্ধান্ত ঠিক”, তবে দল থেকে সাসপেন্ড প্রসঙ্গে হেঁয়ালি বজায় রেখে জানান, সময় এলে বোঝা যাবে। 

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    সময় এলে সবকিছু বলব, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই বুধবার তাঁকে আরেক দফা নিজেদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। নগর আদালতের ইডি স্পেশাল কোর্টে এই আর্জি করেন তদন্তকারীরা। অফিসারদের দাবি, থিতু হওয়ার জন্য সময় চাইছেন পার্থ। ২৪ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অর্পিতা ইডির বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাদের দেওয়া সূত্র ধরে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক সাফল্যও পেয়েছে ইডি। 

     

     

  • ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) পর এবার নজরে বীরভূম (Birbhum)। এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তের মাঝেই এবার কয়লাকাণ্ড (Coal smuggling) ও গরুপাচার কাণ্ডের (Cattle smuggling) তদন্তেও ময়দানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তবে একা নয়, একেবারে সিবিআই-কে (CBI) সঙ্গে নিয়ে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী ও এক নেতার বাড়িতে সাতসকালে অভিযান চালাল যৌথ দল।

    বুধবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে সকালে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের ৬টি গাড়ির কনভয়। বেলা এগারোটার কিছু পরে বোলপুর (Bolpur) পৌঁছয় ইডি-সিবিআই নিয়ে গঠিত যৌথ তদন্তকারী দল। বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) রতন কুটির গেস্ট হাউজে ওঠেন আধিকারিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটি দলে বিভক্ত হয়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। গন্তব্য, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং এক নেতার বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে একটি দল যায় নানুরের বাসাপাড়া ও আরেকটি দল যায় সিউড়ির (Siuri) দিকে। 

    আরও পড়ুন: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    নানুরের (Nanur) বাসাপাড়ায় বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের (TMC leader Kerim Khan) বাড়িতে যান অফিসারেরা৷ প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে এই কেরিম খানের৷ গরুপাচার কাণ্ডে তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এছাড়া কেরিম খানের ডান হাত হিসাবে পরিচিত তৃণমূল (TMC) নেতা তথা নানুরের আটকুলা গ্রামে চালের আড়তের মালিক মুক্তার শেখের বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। 

    অন্যদিকে, পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের (Stone trader Tulu Mondal) বাড়িতে সকাল সকাল হানা দেয় সিবিআই অফিসারেরা।  এরা দু’জনেই তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। স্থানীয়দের দাবি, টুলু মণ্ডল কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। তাই তাঁর বিপুল সম্পত্তির উৎস খুঁজতেই ইডি আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের ৩টি বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চলছে।

    ইতিমধ্যে কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। ইলামবাজার-সহ বীরভূমের নানা জায়গায় সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এই সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে উঠে এসেছে টুলু ও কেরিমের নাম। অভিযোগ, সায়গলের ব্যবসা নাকি টুলু দেখতেন। অন্য দিকে, এঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম। এই সব সূত্র ধরেই ইডি ওই দুই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    অন্যদিকে, এসএসসি কাণ্ডে বীরভূমে পার্থ-অর্পিতার (Partha-Arpita) বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে এদিন অভিযানে নামে ইডি-র (ED) আরেকটি দল। এদিন সকালে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বাড়ি ‘অপা’-য় পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে ইডি। প্রথমেই ওই বাড়িতে প্রবেশ করার পরই বাড়ির কেয়ারটেকারের থেকে বাড়ির দলিল পান ইডি আধিকারিকরা। রীতিমতো গোটা বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙার ‘অপা’ (Apa) কার্যত এখন দর্শনীয় স্থান। সামনে বিশাল লন, বিভিন্ন গাছপালায় সুসজ্জিত একটি বাড়ি। বাড়িটি শিক্ষক দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। ইডির হাতে এসেছে বোলপুরের জমির দলিল। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতার সুসেন বন্দ্যোপাধ্যায়-শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ‘অপা’ বাড়িটি কিনেছিলেন পার্থ-অর্পিতা। বাড়িটির দলিলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই মিলেছে৷

  • ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে মঙ্গলবার দিনভর শহরের মোট ৬টি জায়গায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকালেই ফের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে ইডি (ED) আধিকারিকদের চারটি দল অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। একটি দল যায় গড়িয়াহাট (Gariahat) এলাকার পণ্ডিতিয়া রোডে (Panditia Road)। দ্বিতীয় দলটি মাদুরদহ (Madurdaha) এবং তৃতীয় দল বরানগরে (Baranagar) যায়। চতুর্থ দলটি যায় পাটুলিতে (Patuli)। 

    দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া এলাকার ফোর্ট ওয়েসিস (Fort Oasis) নামের অভিজাত আবাসনে অভিযান চালায় ইডি-র একটি দল। ইডি সূত্রে খবর, ওই আবাসনের ছ’নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও খাতায়কলমে ফ্ল্যাটটি অন্য এক ব্যক্তির নামে। ইডি সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ওম ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত করা আছে। 

    তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, কলকাতার কোনও এক নামজাদা শিল্পপতির কাছ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন ২০১৫-১৬ সাল নাগাদ, যে সময়ে তিনি আসীন ছিলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর পদে। দক্ষিণ কলকাতার এই বন্ধ ফ্ল্যাটটিতেও কোটি কোটি টাকা লুকিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    দীর্ঘ চেষ্টা করেও ঝুনঝুনওয়ালা নামে সেই ব্যক্তির কোনও হদিস পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই ইডি এখন তাঁর খোঁজ শুরু করেছে। ওই ফ্ল্যাট বেনামে কেনা হয়েছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছে, কয়েকমাস ধরে তালাবন্ধ ওই ফ্ল্যাটের মালিক। যদিও ইডি সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সূত্রে পণ্ডিতিয়া রোডের এই ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করতেন অর্পিতা। আপাতত, ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে ইডি।

    এই আবাসনের পাশাপাশি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা একাধিক নেল আর্টের (nail art) দোকানে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অর্পিতা ও পার্থর নামে থাকা বেলঘরিয়ার (Belghoria) ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই সব নেইল আর্ট শপ সম্পর্কে জানতে পারেন ইডি আধিকারিকরা৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এ দিন ৬টি জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ 

    একটি দল আসে দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে পালকি রেস্টুরেন্টের উল্টো দিকে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারে। এদিন পাটুলির ‘ম্যাজিক টাচ, দ্য নেল প্লেস’ দোকানটিতে অভিযান করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের ধারণা, নেল আর্টের দোকান কিনতে বা ভাড়া নিতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলরের। যদিও প্রসেনজিতের দাবি, দোকান কেনা বা লিজের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে কিছু নথিপত্র সম্ভবত পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজনে সেটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    পাটুলির পাশাপাশি বরানগর, লেক গার্ডেন্স এবং লেক ভিউ রোডের নেল আর্ট স্টুডিওতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যেই এই শপগুলিতে যেতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷ বরানগর ও লেক ভিউ-র পার্লার থেকেও নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। লেকভিউ পার্লারটি বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল। দুপুরে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছলেও পার্লার বন্ধ থাকায় তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর পার্লারের ম্যানেজার এসে পার্লারটি খুলে দেন। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির পাশাপাশি সিসিক্যামেরার হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। 

    বরানগরে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারেও চলে তল্লাশি। সেখান থেকেও গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ যেগুলি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে৷ সেই সব কাগজগুলিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তবে, নেইল আর্ট শপগুলিতে কোনও টাকা বা মূল্যবান সামগ্রী এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে৷ 

    অন্যদিকে, মাদুরদহের ওম ভিলা আবাসনেও তল্লাশি অভিযানে যান ইডি-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি জমি ছিল। যেখানে কয়েকজন ফ্ল্যাটও কেনেন বলে খবর। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় মাদুরদহে। ফ্ল্যাটের পরিচারিকা এবং কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। একইসঙ্গে কেন্দুয়া মেন রোড সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি।

    আরও পড়ুন: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

  • TMC on ‘Chor’ slogan: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    TMC on ‘Chor’ slogan: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে তৃণমূল (TMC) নেতাদের। আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকেছে রাজ্যের শাসক দলের। জনতার রোষে এতটাই জর্জরিত তৃণমূল যে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘তৃণমূলে সবাই চোর নয়’ – এই বিবৃতি দিতে হচ্ছে প্রথম সারির নেতাদের। আর এই সবে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় যে মোটেই খুশি নয় তাঁরা সে কথাও জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    হাসপাতাল থেকে হাসতাপাল। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের দেখলেই এখন ভেসে আসছে একটাই আওয়াজ। কেউ মুখ লুকিয়ে কোনও রকমে পালাচ্ছেন। কেউ আবার বুকে হাত দিয়ে সবকিছু শুনছেন। উপায় নেই। অনেকে বলছেন, পাপের ফল। যে যাই বলুক, একের পর এক কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর এখন আর কেউ ভয় পাচ্ছে না শাসককে। তাই কেলেঙ্কারির নায়কদের দেখলেই রব উঠছে, চোর চোর চোর। এসএসসি কেলেঙ্কারি থেকে গরু, কয়লা পাচার। দুর্নীতির পাহাড়ে বসে কিছুদিন আগেও ক্ষমতার আস্ফালন করতে দেখা গিয়েছিল এই নেতাদের। এখন সবকিছু সামনে আসতেই লজ্জায় মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছেন না তাঁরা। অনুব্রত থেকে পার্থ জনতার ‘চোর’ বদনাম থেকে রেহাই পাননি কেউ। এমনকি হাসপাতাল চত্বরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে জুতোও চুড়ে মারেন এক মহিলা।  কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন আরও অনেকে। সকলেই ভয় পাচ্ছেন, তাঁকেও না শুনতে হয় এই চোর অপবাদ। চায়ের ঠেক থেকে বিধানসভা সব জায়গায় একটাই আলোচনা, ‘তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি’। আর এতেই বেজায় বিপদে পড়েছে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

    তাই ঢাক ঢোল পিটিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ‘চোর’ না হওয়ার সাফাই দিতে হচ্ছে।  তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমসহ (Firhad Hakim) অন্যান্য নেতারা। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে। একটা মামলা হয়েছে। ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? অনেকে রোজগারের টাকায়, ব্যবসা করেছি? অদ্ভুত লাগে, অর্ধ সত্য প্রকাশিত হচ্ছে।”  

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, ” আয়বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আদালতের দেওয়া তালিকায় তৃণমূলের নেতাদের পাশাপাশি বাম, কংগ্রেস নেতাদের নামও রয়েছে। সেই সব নাম নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ টুঁ শব্দ করছে না। উল্টে সংবাদমাধ্যমের একাংশ ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ বা ‘খাপ পঞ্চায়েত’ বসাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে।” 

    তাহলে কি এবার ভয় পেতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা! এবার কার ডাক পড়বে ইডি দফতরে তার ভয়ে সিটিয়ে যাচ্ছেন! তার তাতেই কি আগাম সাফাই? যাতে এরপর তাঁদের দিকেও না আসে চোর স্লোগান। এমনটাই কিন্তু বলছে রাজনৈতিক মহল।  

LinkedIn
Share