Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Swasthya Sathi: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    Swasthya Sathi: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পঞ্চান্নের ঈপ্সিতা দত্ত। বুকের চিন চিনে ব্যথা মাঝে মধ্যেই অনুভব করেন। চিকিৎসক নানান পরীক্ষা করে জানালেন তিনি হৃদরোগে ভুগছেন। দ্রুত অস্ত্রোপচার জরুরি। খরচ আনুমানিক চার লাখ টাকা। নিম্ন-মধ্যবিত্ত দত্ত পরিবারের কাছে নগদ টাকা না থাকলেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi) রয়েছে। কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেন ঈপ্সিতা। কিন্তু অভিযোগ, ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন, তাঁদের হাসপাতালে বেড ফাঁকা নেই। তাই ঈপ্সিতা দেবীকে ভর্তি করানো যাবে না। তবে, অগ্রিম নগদ দিয়ে বেড বুক করিয়ে গেলে অবশ্য কিছু দিনের মধ্যে ব্যবস্থা করানো যাবে। 

    বছর তিরিশের তপন কর্মকার গলব্লাডার স্টোনের সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি রুবি হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে চিকিৎসা করাবেন জানার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, অপেক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকের কাছে রোগীর লম্বা লাইন। তাছাড়া শল্য চিকিৎসক বিশেষ নেই। তাই কবে অপারেশনের ডেট পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। 

    বাড়িতেই স্ট্রোক হয় বছর পয়ষট্টির অনিতা বসুর। মেয়ে নিয়ে যায় ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেসে। সেখানে নানান পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, ভর্তি করানো জরুরি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পরিষেবা দিতে নারাজ। পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলেও কয়েক ঘণ্টা পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, আপাতত তাদের রোগী পরিষেবা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। রোগীর চাপ অনেক। তাই অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। সরকারি হাসপাতালেও ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অনিতা বসুর এখন বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে। ফলে, শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতিও হচ্ছে না। 

    আরও পড়ুন: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    অনিতা বসু, ঈপ্সিতা দত্ত কিংবা তপন কর্মকার কোনও ব্যতিক্রম নন। রাজ্যের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পরিষেবা পেতে গিয়ে এমনি নাজেহাল হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সব মানুষ নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। শুধু সরকারি হাসপাতালে নয়, সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে মানুষ এই পরিষেবা পাবেন। চিকিৎসা খরচ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পাওয়া যাবে। 

    যদিও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবের ছবিটার পার্থক্য অনেকটাই বলে মনে করছেন অনেকেই। আশঙ্কার মেঘ অবশ্য দেখা দিয়েছিল, রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিবের কথায়। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে ঘোষণা করার কয়েক দিনের মধ্যেই এক বৈঠকে তৎকালীন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে অন্তত কোনও বেসরকারি হাসপাতাল যাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা রোগীকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার না করে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি স্বাস্থ্য সাথী শুধুই ‘বিজ্ঞাপন’? ভোট জয়ের অস্ত্র? সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার কি সুনিশ্চিত হবে না? 

    হাসপাতালে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির ছবি যেন আশঙ্কাগুলোকেই সত্যি করছে। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে প্রত্যেক অপারেশন ও চিকিৎসার যে প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা কার্যত অবাস্তব। তাছাড়া স্বাস্থ্য সাথীর টাকা পাওয়ার পদ্ধতি ও বেশ দীর্ঘ প্রসারি। এক বেসরকারি হাসপাতালের কর্তা বলেন, “শুধুমাত্র দানের জন্য বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয় না। বেসরকারি হাসপাতালে বিনিয়োগ হয় লাভের জন্য। তিক্ত হলেও এটাই বাস্তব। কোনও শিল্পপতি, ব্যবসায়ী শুধুমাত্র সমাজের ভালোর জন্য বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে তোলেন না। লাভ করার জন্য গড়ে তোলেন। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে যে ভাবে বেসরকারি হাসপাতালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেটা বাস্তব সম্মত না।” দক্ষিণ কলকাতার আরেক বেসরকারি হাসপাতালের কর্তা বলেন, “এই প্রকল্প শুরু করার আগে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। আমাদের উপরে কার্যত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা করলে হয়তো সাধারণ মানুষ আরও ভালো পরিষেবা পেত। এভাবে সবাইকে অলাভজনক ভাবে দীর্ঘদিন পরিষেবা দিলে হাসপাতালে তালা পড়বে।”

    আরও পড়ুন: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    তবে, প্রশাসনের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করতে না পেরে রোগী হয়রানিকে অবশ্য সমর্থন করছেন না চিকিৎসকরা। মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তা ও চিকিৎসক জানান, বেসরকারি হাসপাতালে একটি অস্ত্রোপচার করতে যে অর্থ চিকিৎসকের জন্য বরাদ্দ, তার থেকে কয়েক গুণ কমে স্বাস্থ্য সাথীতে চিকিৎসকদের পরিষেবা দিতে হয়। তাঁর কথায়, “এটা বাস্তব যে বেসরকারি হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী আওতায় থাকা রোগীকে পরিষেবা দিতে অনীহা দেখা যায়। তার কারণ, একটি অস্ত্রোপচার করতে একজন চিকিৎসক যে সময় বরাদ্দ করেন, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে তিনি সেই অনুপাতে পারিশ্রমিক পান না। মনে রাখতে হবে, চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া একটা পেশা। শুধুই সমাজসেবা নয়।” 

    স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের মত, বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা না করলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে না। কম খরচে পরিষেবা দেওয়া নিয়ে আরও বেশি আলোচনা জরুরি। শুধুই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া নয়। বরং বেসরকারি হাসপাতালগুলো কী চাইছে, সেটাও শোনা জরুরি। কিন্তু খোলামেলা আলোচনা হয় না। বরং অধিকাংশ সময়েই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়। তাই প্রশাসনের সামনে নীরব থাকলেও পরে পরিষেবা দিতে চায় না বেসরকারি হাসপাতালগুলো। যার জেরে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anis Khan: সাক্ষী সরাতেই হামলা! আক্রান্ত হাওড়ার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সলমন

    Anis Khan: সাক্ষী সরাতেই হামলা! আক্রান্ত হাওড়ার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সলমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan) খুড়তুতো ভাই সলমন খানকে (salman khan) তাঁর  নিজের বাড়িতেই ধারাল অস্ত্র (sharp weapon) দিয়ে একাধিক কোপ (attack) মারল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার আমতায় বাড়িতেই আক্রান্ত হন সলমন।  আনিস কাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী সলমন। সাক্ষী সরাতেই তাঁর ভাইয়ের উপর হামলা বলে জানিয়েছেন সলমনের দাদা সাবির খান। তাঁর দাবি, সলমনকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এর পিছনে রয়েছে। মাথায় গভীর ক্ষত নিয়ে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে (uluberia hospital) চিকিৎসাধীন সলমন। পুলিশি (west bengal police) নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করেছে সলমনের পরিবার। 

    আরও পড়ুন: “চোরেদের রানি কে?”, নবান্ন অভিযানের আগে আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রশ্ন শুভেন্দুর

    শুক্রবার রাত সওয়া ১টা নাগাদ ধারাল অস্ত্র নিয়ে সলমনের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে স্ত্রীর সামনেই সলমনের ওপর টাঙি দিয়ে আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। মাথার পিছনের দিকে একাধিক অস্ত্রের কোপ মারায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সলমন। স্ত্রীর চিৎকারে সবাই ছুটে আসে। পরে সলমনকে আক্রান্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আরও পড়ুন:ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?

    সলমনের পরিবারের অভিযোগ, আনিস মৃত্যুকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী হওয়ায় সলমনকে আগেও হুমকির দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের কাছে এপ্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। আনিস-কাণ্ডে সবসময়ই সক্রিয় থাকতেন সলমন। এই ঘটনার পর ফের সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে আনিসের পরিবার। এমনকী সলমনের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়ার প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলে দাবি আনিসের পরিবারের। পুলিশ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও জানান আনিস ও সলমনের দাদা সাবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ED Raids: শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    ED Raids: শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবাসরীয় সকালে শহর কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন জায়গায় ফের হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate)। এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হয় ইডি-র ৩টি দল। শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি-অভিযান (ED raid in Kolkata)। ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    সূত্রের খবর, কলকাতার তিন জায়গা— পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুর ও গার্ডেনরিচে আজ হানা দিয়েছেন ইডি অফিসাররা। প্রতিটি দলে ২ জন মহিলা সহ রয়েছেন ৪ জন আধিকারিক। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। একটি দল যায় পার্ক স্ট্রিট লাগোয়া ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের ৩৬/১ এবং ৩৪/এ বহুতল আবাসনে। সেখানে এক আইনজীবীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। দ্বিতীয় দলটি যায় গার্ডেনরিচে। সেখানে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে চলে জোর তল্লাশি। তৃতীয় দলটি মোমিনপুরে ১৪ নম্বর বিন্দুবাসিনী স্ট্রিটে এক কাপড় ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে হানা দেয়। 

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    সম্প্রতি রাজ্যে একাধিক মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। গত জুলাই মাসে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাতেই প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। পরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল নগদ টাকা উদ্ধার করে। এছাড়া বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর পরই গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাতে দেখা গিয়েছে ইডি-কে। 

    এই কাণ্ডেই গত সোমবার ইডি আধিকারিকরা সোদপুরের রাজেন্দ্র পল্লিতে হানা দেন। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসাবে যুক্ত সুব্রত মালাকারের বাড়ি ‘স্নেহদিয়া’য় পৌঁছন আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি। প্রায় সাত ঘণ্টা পর ওইদিন বেলা তিনটে নাগাদ গ্রেফতার করা হয় সুব্রতকে। 

    আরও পড়ুন: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    পাশাপাশি, কয়লাকাণ্ডেও এর আগে শহরজুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। পার্ক সার্কাস, মিডলটন স্ট্রিটে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন আধিকারিকরা। মিডলটন স্ট্রিটের শেঠিয়া হাউস, একটি ট্রাভেল কোম্পানির অভিসে হানা দিয়েছিল ইডি। কলকাতার গোলপার্ক ও চেতলার দু’জায়গাতেও চলেছিল তল্লাশি। 

  • Student Murder: মেধাবী ছাত্রকে অপহরণ করে খুন, বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া বীরভূমে?

    Student Murder: মেধাবী ছাত্রকে অপহরণ করে খুন, বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া বীরভূমে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের ছাত্র খুন (Student Murder)। বাগুইআটির জোড়া ছাত্র খুনের ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা রাজ্যবাসীর। তার মধ্যেই ফের মেধাবী ছাত্র খুনের ঘটনা। এবার অবশ্য ঘটনাস্থল কলকাতা থেকে বেশ খানিকটা দূরে, বীরভূমে (Birbhum)। রবিবার সাত সকালে ইলামবাজার থানার চৌপাহাড়ির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় সৈয়দ সালাউদ্দিনের দেহ। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। অভিযোগ, অপরহণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রকে। সালাউদ্দিনের বাড়ি বীরভূমেরই খয়রাশোল থানার আহমদপুর গ্রামে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, সালাউদ্দিনের বাবা আবদুল মতিন পাথরের ব্যবসায়ী। সেই সূত্রে তিনি থাকতেন মল্লারপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে। আসানসোলের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিলেন বছর উনিশের সালাউদ্দিন।

    মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে যাবেন বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। শনিবার সকালে চলেও যান পিকনিকে। তার পর আর তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এদিন গভীর রাতে তাঁর বাবাকে ফোন করে দুষ্কৃতীরা বলে, সালাউদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, অপহরণকারীরা ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তি পণ দাবি করে। পুলিশকে খবর দিলে সালাউদ্দিনকে মেরে ফেলা হবে বলেও ফোনে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। রাতেই সালাউদ্দিনের  পরিবারের লোকজন খবর দেন থানায়। রবিবার সকালে গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয় সালাউদ্দিনের। খবর পেয়ে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    আরও পড়ুন : ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?

    ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শেখ সলমন নামে এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সে সালাউদ্দিনের বন্ধু। কিছুদিন আগে সলমন সালাউদ্দিনের কাছে দু লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিল। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, ধৃত সলমন সালাউদ্দিনকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। তাঁকে বিরিয়ানি খাইয়ে পরে খাওয়ানো হয় মদ। অচৈতন্য হয়ে পড়লে করা হয় খুন। বাজারে সলমনের অনেক টাকা ধার ছিল। তাই বড়লোক বন্ধুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ছক কষেছিল সে।  

    ২২ অগাস্ট খুন হয় বাগুইআটির আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। এলাকারই হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল তারা। সেই ঘটনার পর এবার ফের ছাত্র খুন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার হাল অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে ভাল বলে বরাবরই দাবি করেন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে তিন ছাত্রের খুনের ঘটনাই প্রমাণ করে দেয় তাঁর দাবি কতটা অসার!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী 

    Suvendu Adhikari: চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসা ভাতা (Medical Allowance) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইট মালায় শুভেন্দু লেখেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক, ডাক্তার এবং পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে সকল সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য ডিএ থেকে বঞ্চিত রেখেছেন। তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।” 

    এর আগেও বহুবার বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগে দুর্নীতি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দুর্নীতির রানি’বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। আর এবার সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে আক্রমণ শানালেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস…’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    এদিন ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনি শিক্ষক, ডাক্তার, পুলিশকর্মী সহ সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য ডিএ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন, যা তাদের অধিকার। আপনি সময়মতো তাদের বেতন দিয়ে উঠতে পারেন না। তাদের বেতন বৃদ্ধি করতে পারেন না, কারন আপনার কোষাগার শূন্য। অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের তুলনায় অনেক কম বেতন পেয়ে থাকেন আমাদের রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। এবার আবার নতুন ফন্দি এঁটে, স্বাস্থ্য সাথীর দোহাই দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা দেওয়া বন্ধ করলেন। এটি একেবারে একটি অত্যন্ত অমানবিক, নক্কারজনক সিদ্ধান্ত।” 

     

    তারপরে ওই একই ট্যুইটে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়েও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সঙ্গে তুলনাও করেন। তিনি লেখেন, “আপনার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের দুরবস্থা প্রতিনিয়ত প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছেন রাজ্যবাসী। এই প্রকল্পের আওতায় কেউই সময়মতো ও সঠিক চিকিৎসা পায় না। আপনার স্বাস্থ্য সাথীর থেকে অনেক ভালো কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে, যার সুবিধা থেকে আপনি পশ্চিমবঙ্গের আপামর জনসাধারণকে  বঞ্চিত করে রেখেছেন।”

    আরও পড়ুন: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?
     
    এরপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা যদি এতই উন্নতমানের হয়, তাহলে আপনার ভাইপো চিকিৎসার করাতে কেন বিদেশে যান? আপনার পরিবারের সদস্যদের কি তাহলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর আস্থা নেই?”  

    শেষে তিনি লেখেন, “সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্য বলবো এই অমানবিক ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করুন এবং আপনাদের ন্যায্য চিকিৎসা ভাতা থেকে আপনারা যাতে বঞ্চিত না হন তা সুনিশ্চিত করুন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • ED: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! গার্ডেনরিচে কোন সূত্রে মিলল ১৭.৩২ কোটি টাকা?

    ED: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! গার্ডেনরিচে কোন সূত্রে মিলল ১৭.৩২ কোটি টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একেই কি বলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! প্রায় দেড় বছর আগের এক মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণার তদন্তে নেমে মিলল যখের ধন! উদ্ধার কোটি কোটি টাকা! আসলে আর্থিক তছরুপ মামলায় (PMLA) শনিবার রাজ্যের ৬ জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। মোবাইল অ্যাপ (Mobile App) সংক্রান্ত প্রতারণার মামলায় হানা দিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তদন্তকারী দলের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণনায় মেলে ১৭.৩২ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর নথি ও নগদ টাকা। 

    কিন্তু কীসের ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল তদন্ত? ইডি সূত্রে খবর, গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি মাসে পার্কস্ট্রিট থানায় প্রতারণার একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফেডারেল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের আঙুল তোলা হয় জনৈক আমির খান ও আরও কয়েকজনের দিকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে ইডি।

    জানা গিয়েছে, জনৈক নিশার আহমেদ খানের ছেলে আমির খান ই-নাগেটস নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ করে। লোক ঠকানোর জন্যই পাতা হয়েছিল এই ফাঁদ। প্রথম দিকে অ্যাপ ব্যবহারকারীরা কমিশন সহ পুরস্কৃত হতেন। পুরস্কারের টাকা এবং কমিশন জমা হত ওয়ালেটে। টাকাও তোলা যেত কোনও রকম ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই। এভাবে আমির অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জন করত। পরে মোটা টাকা কমিশন ও পারচেজ অর্ডারের লোভে বড় অঙ্কের টাকা লগ্নি করতে শুরু করেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। এভাবে বিরাট অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর অ্যাপ থেকে আর টাকা তোলা যেত না। সিস্টেম আপগ্রেডেশন সহ নানা অছিলায় অ্যাপে সমস্যা হচ্ছে বলে বলা হত। পরে সার্ভার থেকে অ্যাপ ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য মুছে ফেলা হত। তখনই প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারতেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা।

    আরও পড়ুন : শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    এদিন তদন্ত করতে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা এ সংক্রান্ত প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন। আমিরের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭.৩২ কোটি টাকা। তবে মূল চক্রী আমির খানকে গ্রেফতার করা যায়নি। সে কোথায় গা-ঢাকা দিয়েছে, তাও জানা যায়নি। এদিন গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়ি থেকে প্রথমে অন্তত সাত কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা। পরে নিউটাউনে তার অফিস থেকেও মেলে বেশ কয়েক কোটি টাকা। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭.৩২ কোটি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের যকের ধন উদ্ধার কলকাতায়। গার্ডেনরিচের (Garden Reach Money Scam) পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ কোটি! এমনটাই জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ সকাল দশটা থেকে টাকা গোনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ ৯ ঘণ্টায় ১৭ কোটি টাকা গোনা হয়েছে৷ গোয়ান্দাদের দাবি, ওই বাড়িতে আরও টাকা রয়েছে। তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ 

    টাকা গোনার মেশিন নিয়েই ওই বাড়িতে হানা দেন ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। টাকার অঙ্ক যে এরকমই বিপুল হতে পারে, তা ধারণা করে আগে থেকেই প্রস্তুতি রেখেছিলেন তাঁরা। উপস্থিত আছেন সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরাও৷ প্রথম কয়েক ঘণ্টা টাকা গোনার পর সাত কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আগে জানিয়েছিল ইডি৷ পরে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৮ কোটি৷ এর পর ১২ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানানো হয়৷ আর এখন নগদের পরিমাণ ১৭ কোটি। ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। 

    ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে আসার জন্য গার্ডেনরিচের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে পৌঁছেছে ট্রাক৷ কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে যাওয়া হবে স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের দফতরে৷ 

    আরও পড়ুন: সাক্ষী সরাতেই হামলা! আক্রান্ত হাওড়ার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সলমন

    বেআইনি লেনদেনের মামলায় একযোগে কলকাতার ৬ জায়গায় ইডির তল্লাশি চালায়। গার্ডেনরিচ ছাড়াও মোমিনপুর, পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-সহ ৬ জায়গায় অভিযান। চিনা মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে পুরস্কার জেতার টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে গার্ডেনরিচের ব্যসায়ী নিসার খানের (Nesar Khan) বিরুদ্ধে৷ সেই অভিযোগের সূত্রেই এ দিন সকালে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ 

    কোন পথে জালিয়াতি?

    সূত্রের খবর ‘ই-নাগেটস’ নামের একটি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে চলত প্রতারণা। ঠিক কী ভাবে কোন পথে এই লোক ঠকানোর চক্র চালানো হত তাও জানায় ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, আমির খান ই-নাগেটস নামে মোবাইল গেমিং অ্যাপটি লঞ্চ করেছিলেন। লোক ঠকাতেই এই গেমিং অ্যাপ বাজারে আনা বলেই ইডির হাতে তথ্য উঠে এসেছে। এই গেমিং অ্যাপে খেলার শুরুতে ব্যবহারকারীরা ভালো টাকাই ফেরত পেতেন। সেই টাকা পেতে খুব একটা কসরতও করতে হয় না তাঁদের। ফলে এই খেলার প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়। এই অ্যাপে ২০০ টাকা খরচেই সাধারণ মেম্বার হতে পারতেন যে কেউ।  সাধারণ মেম্বারশিপ নিয়ে খেলা শুরু হত। খেলে কয়েন জিততে হত। একটা কয়েন সমান ১ টাকা। প্রথমে জেতা টাকা ওয়ালেট মারফত ট্রান্সফার করা যেত কিংবা অনলাইন শপিং করা যেত। অ্যাপের মালিকদের প্রথম পর্যায়ে মূল লক্ষ্য ছিল, ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস জিতে নেওয়া, যাতে তাঁরা আরও বেশি করে টাকা খাটান। ব্যবহারকারীরা বড় অঙ্কের টাকা খাটাতেই ওই অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইডি। তখন একের পর এক কয়েন জিতে মোটা টাকা জিতলে টাকা তোলা যেত না। তখন সার্ভার প্রবলেম বলা হত। আর এভাবেই লোক ঠকাত এই চক্র। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় আমির খানের বিরুদ্ধে। এরপর এই মামলার তদন্তে নামে ইডি।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Saradha Scam: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    Saradha Scam: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে প্রায় থিতু হয়ে যাওয়া সারদাকাণ্ড (Saradha scam)। এবার সিবিআইকে (CBI) চিঠি দিলেন সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থাকে শর্বরী জানিয়েছেন, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছ’কোটি টাকা নিয়েছেন বলে যেন সিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করেন দেবযানী। শর্বরীর অভিযোগ, ২৩ অগাস্ট জেলে গিয়ে সিআইডি দেবযানীকে চাপ দিয়ে একথা বলতে বলে। 

    মাসকয়েক আগে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন সিবিআইকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি নিজে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। সুদীপ্ত সেনের এই বক্তব্যকেই হাতিয়ার করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। নানা সময়ে তাঁরা আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুকে। সারদাকাণ্ডের জেরে ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্ত সেন ও তাঁর সহকর্মী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। বর্তমানে আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে বন্দি রয়েছেন দেবযানী। বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। বাংলায় রেহাই পেলেও, প্রতিবেশী দুই রাজ্যের মামলা থেকেও অব্যাহতি পেতে হবে তাঁকে। তা না পাওয়ায় বন্দি রয়েছেন তিনি।

    সারদা গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজের পদস্থ কর্তা ছিলেন দেবযানী। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লগ্নিতে বেশি অর্থ ফেরতের আশ্বাস দিয়ে বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সারদার কোম্পানির বিরুদ্ধে। সেই মামলায়ই এবার এল নয়া মোড়। 

    শর্বরী বলেন, মেয়েকে মানসিক চাপ দিচ্ছে সিআইডি (West Bengal CID)। শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) নামে অভিযোগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। সারদার কাছ থেকে দুজনেই নিয়েছেন ৬ কোটি করে টাকা। তাঁর সামনেই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে বয়ান দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে দেবযানীকে। অভিযোগ না করলে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসানো হবে তাঁকে। ঘটনাটিকে ধিক্কার জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, এক সময়ের মর্যাদা সম্পন্ন সিআইডি বর্তমানে পিসি-ভাইপোর দারোয়ানে পরিণত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • CBI raids Moloy Ghatak House: কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী?

    CBI raids Moloy Ghatak House: কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন রক্ষকের ভূমিকায় যিনি, এবার তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। বুধবার সকালে রাজ্যের আইনমন্ত্রী (Law Minister) মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) বাড়ি হানা দিল সিবিআই (CBI)। বেআইনি কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Scam) এর আগে বহুবার মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তলব করেছে আর এক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু প্রতিবারই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন হাজিরা। তাই এবার গোয়েন্দারা সরাসরি হানা দিলেন মলয়ের ডেরায়। 

    আরও পড়ুন: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস…’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    আসানসোলে মলয় ঘটকের একাধিক বাড়ি রয়েছে। প্রথমে এদিন সকালে আসানসোলে শহরে মলয় ঘটকের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই টিম। সেই সঙ্গে গোটা এলাকা ঘিরে নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পর আসানসোলের কাছে মলয় ঘটকের পৈতৃকের বাড়িতেও পৌঁছে যান সিবিআইয়ের অফিসাররা। মোট তিনটে ভাগে বিভক্ত হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। প্রথমে এদিন সকাল সোওয়া ৮টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসানসোলে শহরে মলয় ঘটকের বাড়িতে যায় ২ থেকে ৩ জন অফিসারের সিবিআই টিম। সিবিআই যাওয়ার খবর পেয়ে আসানসোল থানার এক অফিসার যান ঘটনাস্থলে। চার জন গোয়েন্দার একটি দল যান মলয়ের পৈতৃক বাড়িতে। এই দুটি বাড়িতে তল্লাশির পরে তৃতীয় বাড়িতেও যান সিবিআই গোয়েন্দারা। যদিও তল্লাশির এই সময় বাড়িতে উপস্থিত নেই মলয় ঘটক। সোম থেকে শুক্রবার তিনি কলকাতায় থাকেন বলে খবর। এই মুহূর্তে তিনি মহানগরীতেই আছেন। তাই মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেই চলছে তল্লাশি।কয়লাপাচার কাণ্ডে একই সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই এবং ইডি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেট। তার আগেই অতর্কিত সিবিআই হানায় উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও 

    জানা গিয়েছে, বুধবার আসানসোলের আকতার রোড গার্ডেন এবং জেলিডাঙায় মন্ত্রীর দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন জমা রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে মলয়ের তিনটি বাড়িতে হানা দিয়েছে দিয়েছে সিবিআই। পরে তাঁর অফিসেও যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। প্রসঙ্গত, পুরভোটের সময় কয়লাপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের পূর্ত ও আইনমন্ত্রী মলয়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়কে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। ৯ সেপ্টেম্বর আবার হাজিরা দেওয়ার কথা প্রসন্নর। ২৬ অগস্ট নিউটাউন থেকে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন কুমার রায়। শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এসএসসি-র (SSC Scam তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং মিডলম্যান প্রদীপ সিং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিউ টাউনের এই কোটিপতি প্রসন্ন রায়ের হদিশ পায় সিবিআই (CBI custody)। সেই মতোই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ।

    আরও পড়ুন: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    সোমবার, সকালে তাকে সিবিআইয়ে বিশেষ আদালতে তোলা হলে আদালতের তরফে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাঁকে আরও  জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানায়। আদালতে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, এসএসএসি নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত রয়েছে। বহু টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। তদন্তে উঠে আসছে অনেকের নাম। কয়েকজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাই তাঁরা আরও পাঁচদিনের জন্য প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে চায়। এমনকি প্রসন্ন রায় তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেও সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়। সিবিআইয়ের আর্জি মেনে আদালত প্রসন্নকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠায়।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    অভিযোগ, সল্টলেকে প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক তথ্য এবং নথি উদ্ধার করেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই অফিসেই বসেই নাকি হত এসএসসি কাণ্ডের টাকার লেনদেন।  তদন্ত করে সিবিআই জানতে পেরেছে, প্রায়ই রাতে একাধিক গাড়ি করে আসত টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসত, কে পাঠাত, কোথায় যেত, কার কাছে যেত— এই সব প্রশ্নের উত্তর বিশদে জানতে প্রসন্নকে আরও কিছুদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share