Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যখন রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা চলছে, সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই পর্যবেক্ষক বদল করে ফেলল বিজেপি (BJP)। রাজ্য বিজেপিতে নয়া পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীল বনসলকে (Sunil Bansal)। সুনীল বনসলকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন যোগী রাজ্যের সংগঠন সামলানো সুনীল বনসলকে বাংলা বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হল। সেইসঙ্গে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওড়িশা ও তেলঙ্গনার। ঘটনাচক্রে এই তিনটিই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য।

    একুশের ভোটে বাংলায় পরাজয়ের পর থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সেভাবে দেখা যায়নি। তবুও বাংলা বিজেপির দায়িত্বে খাতায় কলমে ছিলেন ইন্দোরের নেতা। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিল বিজেপি (BJP)। বাংলার সঙ্গে যোগ না থাকা কাউকে আর দায়িত্ব দিতে চায়নি বিজেপি। এই রাজ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে, এমন কোনও ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো দায়িত্ব বণ্টন করা হল। সুনীল বনসলের পৈতৃক বাড়ি দুর্গাপুরে। তবে দীর্ঘদিন তিনি সঙ্ঘের কাজের জন্য বাইরে বাইরে থাকতেন। আরএসএসের প্রচারক ছিলেন সুনীল। অনেকের বক্তব্য, বাংলা যোগের কারণেই এই নেতাকে সুকান্ত, শুভেন্দুদের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হল।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    কেন সুনীল? বিজেপি নেতাদের মতে, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে দারুন কাজ করেছেন তিনি। দলের দাবি, সুনীল ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীনই দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দখল করেছিল এবিভিপি (ABVP)। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে জেতানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সুনীল বনসলের। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিতে এ বার গুরুত্বপূর্ণ পদে সেই সুনীল। ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাড়তি দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং তেলেঙ্গানায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সুনীলেরর কাঁধে। সেই সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও সতীশ বনসলকে নিযুক্ত করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    উত্তরপ্রদেশ বিজেপির এক নেতা জানাচ্ছেন, অমিত শাহ প্রচারের সামনে থাকলেও উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের নেপথ্যে ছাত্র-নেতা সুনীলের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য ছিল। তাঁর কৌশল এবং অমিত শাহের মস্তিষ্কের জোরেই বিজেপি লোকসভা ভোটের নিরিখে এখন ওই রাজ্যে ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩২৭টি-তে এগিয়ে ছিল। বাংলায় সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর লোকসভা। এই দুই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীলকে।

  • Anubrata Mondal: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই? 

    Anubrata Mondal: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআই তলব (CBI Summon) এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এখনও পর্যন্ত গরুপাচার মামলায় ১০ বার কেষ্টকে তলব করেছে সিবিআই। এর মধ্যে মাত্র একবার তিনি নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন। এবার নিজের আইনজীবীকে দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে সিবিআইকে নিজাম প্যালেজে উপস্থিত না হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। ফের ঢাল করলেন শারীরিক অসুস্থতাকেই। চিঠির সঙ্গে চিকিৎসা সম্পর্কিত নথিও জমা দিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, অনুব্রত চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি অসুস্থ এবং বেড রেস্টে রয়েছেন। প্রমাণস্বরূপ তিনি, বোলপুরের চিকিৎসকের এবং এসএসকেএমের প্রেসক্রিপশন পেশ করেছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, সিবিআই হাজিরা এড়াতে নিজের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে জোর করেই কি এই ‘বেড রেস্ট’- লিখিয়ে নিয়েছেন কেষ্ট? প্রশ্ন যে অমূলক নয়, তা কেষ্টর বাড়িতে যাওয়া চিকিৎসকের দাবি থেকেই প্রকট। 

    গতকাল অনুব্রত সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছেন, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। একটি সংবাদমাধ্যমে ওই চিকিৎসক দাবি করেন, বেড রেস্ট লিখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন খোদ কেষ্ট মণ্ডলই। তৃণমূলের এই নেতার কথাতেই তিনি ১৪ দিনের বেড রেস্টের কথা লিখে দেন। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর জানান, বাড়িতে গেলে ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিতে বলেন অনুব্রত মণ্ডল।

    এপ্রসঙ্গে, অনুব্রতকে প্রভাবশালী উল্লেখ করে চন্দ্রনাথ জানান, তাঁকে ওই জেলায় থাকতে হবে। এর থেকেই স্পষ্ট, বীরভূমে কতটা প্রভাব রয়েছে এই তৃণমূল নেতার। জানান, তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেছিলেন, তাই ফেলতে পারেননি, সাদা কাগজে অ্যাডভাইস লিখে দিয়েছেন।

    ওই চিকিৎসকের আরও দাবি, সাদা কাগজে লিখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। আর এখানেই দানা বেঁধেছে আরেক বিতর্ক। জানা গিয়েছে, যখন সুপার এই নির্দেশ দিয়েছিলেন, তখন তিনি ছুটিতে ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে ছুটিতে থাকাকালীন কী কোনও সুপার কী এই রকম নির্দেশ দিতে পারেন! যেখানে এই মুহূর্তে হাসপাতালে অ্যাক্টিং সুপার রয়েছেন।

    এদিকে, কেষ্ট বারবার শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়ানোয় তাহলে কি ফের তলব করা হবে অনুব্রতকে? নাকি আদালতের দ্বারস্থ হবে সিবিআই? নাকি বাড়ি গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা? সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই এখন নজর সকলের।

     

     

     

  • Mamata-Modi Delhi Meet: দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    Mamata-Modi Delhi Meet: দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তিনদিনের দিল্লি সফর সেরে ফিরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। দিল্লি যাওয়ার পর থেকেই কলকাতায় সিপিএম-কংগ্রেস বলতে শুরু করে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছেন মমতা। ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) তৎপরতায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) এখন উচ্চগ্রামে চলছে। ৫১ কোটি নগদ উদ্ধার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বান্ধবীর ঘর থেকে। গত ১১ বছরে তোলাবাজি, সিন্ডিকেটবাজি করে যে সমস্ত তৃণমূল (TMC) নেতারা কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন, তাঁরাও চাইছিলেন দিদি যেন মোদির (Modi) সঙ্গে সেটিং করে ফিরে আসেন। তা হলে অন্তত ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে তাঁরা বাঁচবেন। কিন্তু সেটিং কি হল?  প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন মমতাকে?

    দিল্লির খবরওয়ালাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেটিং তো দূরের কথা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার মমতাকে বিশেষ পাত্তা দেননি। প্রধানমন্ত্রীর হাবভাবও তেমন ভাল লাগেনি মুখ্যমন্ত্রীর। তাই বৈঠক শেষে দিদির মন ফুরফুরে ছিল না। বরং দিল্লি থেকে চিন্তা নিয়েই কলকাতা ফিরে এসেছেন তিনি।

    সূত্রের খবর, দিল্লি পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একান্ত বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। মিনিট কুড়ির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রিসেপশন পর্যন্ত সঙ্গী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রেসিডেন্ট কমিশনার এবং এক সাংবাদিক। অতীতে মোদির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে মমতাকে যেমন উৎফুল্ল দেখায়, এ বার তেমন ছিল না। অনেকেই মনে করছেন, বৈঠকে রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারিভাবে বলা হলেও আসলে ইডি-সিবিআই যেন ব্যানার্জী পরিবারে হাত না দেয়, সেই আর্জিই জানাতে গিয়েছিলেন মমতা। তাঁর যুক্তি ছিল, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তিনি কংগ্রেসকে কোণঠাসা করে দিচ্ছেন। বিজেপির সুবিধা হয় এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাঁকে শুধু পশ্চিমবঙ্গটুকু ছেড়ে দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী মমতার কথা শুনে গিয়েছেন শুধু। কোনও আশ্বাস তো দূরের কথা সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানে যে কোনও শিথিলতা দেখাবে না, তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    পরের দিন বিকালে ছিল ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে মমতা থাকলেও মোদি দৃশ্যত পাত্তা দেননি মমতাকে। স্বাধীনতা ৭৫ উদযাপনের অনুষ্ঠান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) রিপোর্ট পেশ করেন অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশন (La Ganeshan)। মমতাকে একটি শব্দ বলারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। অনেকে জানাচ্ছেন, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, বৈঠকে উপস্থিত অন্য বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরাও মমতার সঙ্গে খেজুরে আলাপ করেননি। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani) সঙ্গে কিছুটা কথা বলে চলে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর চায়ের আসরে যোগ দেননি।

    কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    এর পর শেষ বৈঠকটি ছিল নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠক। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন মাত্র। অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে দু-এক কথা বললেও মমতার সঙ্গে বাক্যালাপ করেননি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝপথেই কলকাতার বিমান ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সংসদের অধিবেশনের শেষ দিনে চা চক্রে তৃণমূল সাংসদ নীতি আয়োগের বৈঠকের প্রসঙ্গ পাড়তেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সবার সামনেই বলেন, দিদি খুশি হয়েছেন?

    বিজেপির অন্দরের লোকেরা জানেন এটি আসলে মোদিজির মোক্ষম খোঁচা। সেটিং করতে গিয়ে যে জোর ধাক্কা খেয়েছেন তাঁর প্রমাণ কলকাতা ফিরতে না ফিরতেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) আগামীকাল সকাল ১১টায় তলব করেছে সিবিআই। দিল্লি থেকে অতিরিক্ত নির্দেশক অজয় ভাটনাগর এসেছেন চলতি মামলার তদন্ত করতে। আগামী কয়েক দিনেই বোঝা যাবে দিল্লির সফরে লাড্ডু মিলেছে কি না?

  • SSC  Scam: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি মামলাকারীকে

    SSC Scam: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি মামলাকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে (SSC recruitment) নয়া ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। ২০১৪ সাল থেকে এসএসসি-র মাধ্যমে যে ৪২ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল রাজ্য সরকার তার একটি মেধাতালিকা (merit list) প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর করা মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। এই মর্মে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একটি অর্ডার প্রকাশ করা হয়। যেখানে আবেদনকারীর আর্জি মেনে নিয়ে আদালত জানিয়েছে, যে ৪২ হাজার ৮০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের কীসের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে সেই নথি প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার। প্রকাশিত সেই নথি পরীক্ষা করতে পারবে মামলাকারী। এমনই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    মামলার ভারে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত এসএসসি। আলাদা বোর্ড হলেও একেবারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teachers Recruitment) থেকে দুর্নীতির অভিযোগের শুরু। এরপর উচ্চপ্রাথমিক, নবম-দশম ছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রু ডি নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে কারচুপি। মেধাতালিকায় প্রথমের দিকে নাম থাকলেও তাঁকে নিয়োগ না করে সুযোগ পেয়েছেন অনেক পিছনে থাকা চাকরি প্রার্থী। এই সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। নিয়োগে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্তে নামে ইডি।

    আরও পড়ুন: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    সিবিআই (CBI) তদন্ত এবং নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। এছাড়াও সিদ্দিক গাজি নামে এক অঙ্ক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট (Primary TET) পরীক্ষায় অনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার মেধাতালিকা প্রকাশের নথি সামনে এলে তার থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতি আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করেন আবেদনকারী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এর ফলে রাজ্য সরকারের মুখোশ খুলে যাবে বলে মনে করেন এই বিজেপি নেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। বোলপুরে (Bolpur) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ি ছিল বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতির ‘নিউক্লিয়াস’। নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই পরিচালিত হত জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ড, তা সে রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক। কিন্তু, গত ৩৬-ঘণ্টায় বিস্তর পট-পরিবর্তন ঘটে গেছে। বৃহস্পতিবার, গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) অনুব্রতকে ১০ দিন সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    স্থানীয়দের মতে, বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ ছিলেন কেষ্ট। তাঁর প্রভাব ও প্রতাপ এতটাই ছিল যে, স্থানীয় প্রশাসন তাঁর নির্দেশেই চলত। এমনকী, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাতেন। এতটাই ছিল তাঁর দাপট। স্থানীয়রা জানালেন, তিনি (অনুব্রত) ছিলেন বীরভূমের অঘোষিত রাজা। গোটা জেলা ছিল তাঁর সাম্রাজ্য। আর সেই সাম্রাজ্য চালাতেন নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই।

    আরও পড়ুন: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে থাকলে রাস্তায় গাড়ি, মোটরবাইকের ভিড় লেগে থাকত। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাক্ষাত্‍প্রার্থীরাও আসতেন। গমগম করত গাড়ি আর মানুষের ভিড়ে। আজ বাড়ির মালিক সিবিআই হেফাজতে। রয়েছেন নিজাম প্যালেসে। ফলে, শুনশান বোলপুরের নিচুপট্টিতে কেষ্টর বাড়ির চত্বর পুরোপুরি ফাঁকা। এক প্রতিবেশী জানালেন, আজ বাড়িতে কেউ নেই। শুধু কয়েকজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন পাহারায়।

    স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসনের যে সকল উচ্চপদস্থ আধিকারিক বীরভূমে দীর্ঘদিন ধরে পোস্টেড ছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গেই কেষ্টর সুসম্পর্ক ছিল। বা বলা ভাল, সকলেই কেষ্ট-দার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলতেন। তাঁদের কথায়, কে-ই বা জলে কুমীর এবং ডাঙায় বাঘের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রাখতে চায়? ফলে, অনুব্রত যা চাইতেন, জেলায় তাই হতো। রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক— সব সিদ্ধান্ত নিতেন অনুব্রতই। 

    আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে বীরভূমে কেষ্ট এমন একটা ‘সিস্টেম’ চালু করেছিলেন, যাতে করে ওই জেলার যাবতীয় প্রধান সিদ্ধান্তগুলি তিনিই নিতেন। মাঝে কেষ্টর একটা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল বটে। তাঁদের দাবি, একটা গোষ্ঠী সেই সময় মুকুল রায়ের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব উধাও হয়ে যায়। আর অনুব্রত হয়ে ওঠেন বীরভূম জেলার ‘শেষ কথা’।

    স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই গরু, কয়লা ও বালি পাচারের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বীরভূম। তাঁরা জানান, বীরভূমের বাতাসে টাকা নাকি ভেসে বেড়ায়। আর সবকিছুর হিস্-সা আসত কেষ্টর কাছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা আব্দুল লতিফ হল গরু হাটের মালিক। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আব্দুল লতিফের সঙ্গে অনুব্রতর দেহরক্ষক বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকা সায়গল হোসেনের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

  • Shootout at Chinsurah: গ্যাং-ওয়ার! ফিল্মি কায়দায় চুঁচু়ড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে বন্দিকে গুলি করে চম্পট দুষ্কৃতীদের

    Shootout at Chinsurah: গ্যাং-ওয়ার! ফিল্মি কায়দায় চুঁচু়ড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে বন্দিকে গুলি করে চম্পট দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মাস্ক চড়িয়ে রোগী সেজে ঘাপটি মেরে বসেছিল হামলাকারীরা। প্রিজন ভ্যান থেকে বন্দি বেরোতেই চারদিক থেকে ধেয়ে এল ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। একেবারে ফিল্মি কায়দায়! মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে এসে গুলিবিদ্ধ খুনে অভিযুক্ত এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী। শনিবার সকালে এমনই দুষ্কৃতী হামলা ঘটনার সাক্ষী থাকল চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল। 

    ঘটনায় প্রকাশ, আদালতে তোলার আগে বেলা ১২টা নাগাদ কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাস-সহ কয়েকজন বন্দিকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় গুলি চলে। মুখে মাস্ক পরে আগে থেকেই তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের বাইরে ঘাপটি মেরে বসেছিল। টোটোনকে নামানোর সময়েই আচমকা চলে পরপর গুলি। 

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্স নিয়ে এবার সতর্কতা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

    গুলিবিদ্ধ হয় টোটন বিশ্বাস নামে ওই দুষ্কৃতী। টোটন বিশ্বাসের পেটে গুলি লাগে। ভয় পেয়ে টোটোন ফের প্রিজন ভ্যানে ছুটে উঠে যায়। পরে, হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা টোটন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, খুন এবং অপহরণের মতো গুরুতর মামলাও। সম্প্রতি একটি মাদক মামলায় সে বন্দি ছিল হুগলির জেলে। এরই মধ্যে একটি পুরোনো কেসে তাকে রিমান্ডে নেয় চুঁচুড়া থানা। সেই কেসেই আজ আদালতে তোলার কথা ছিল তাকে। 

    এদিকে, ব্যস্ত সময়ে হাসপাতালে পুলিশের সামনেই গুলি চলায় অন্য বন্দি ও রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় জরুরি বিভাগের গেট। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গোটা হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। কিন্তু, ভিড়ের মধ্যে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই গিয়ে পৌঁছেছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সুপার অমিত পি জাভালগী। হামলাকারীদের সন্ধান পেতে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি

  • Justice Abhijit Ganguly: প্রথম ৫ বছরের মধ্যেই ৩ বার বদলি শিক্ষিকার! সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতির

    Justice Abhijit Ganguly: প্রথম ৫ বছরের মধ্যেই ৩ বার বদলি শিক্ষিকার! সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) পর এবার জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) সার্কিট বেঞ্চে গিয়ে শিক্ষক বদলি মামলায় (Teachers Transfer Case) সিবিআই তদন্তের (CBI probe) নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। শিক্ষিকার ঘন ঘন বদলির ঘটনায় সিবিআই  তদন্তের নির্দেশ দিলেন তিনি। 

    ঠিক কী ঘটনায় এই নির্দেশ?

    শান্তা মণ্ডল নামে ওই শিক্ষিকা ২০১৬ সালে শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন। ২০১৯ সালে ৩ বছরের মধ্যে তিনি প্রধান শিক্ষিকা হওয়ার জন্য পরীক্ষা দেন। উত্তীর্ণ হয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন তিনি। স্কুলে যোগ দেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে শান্তা আবার বদলির জন্য রাজ্যের শিক্ষা দফতরে আবেদন করেন। 

    আবেদন মঞ্জুর করে মধ্যশিক্ষা পর্যদ তাঁকে শিলিগুড়ির অমিয় পালচৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে বদলি করে শিক্ষা দফতর। কিন্তু সেখানে যোগদান করতে অস্বীকার করেন তিনি। ফের বিশেষ কারণে বদলির আবেদন করেন শান্তাদেবী। এবারও তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। এবার তাঁকে তাঁর পুরনো স্কুল শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরে বদলির নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতর।

    আরও পড়ুন: এসএসসি শিক্ষকদের বদলির নিয়ম ‘বদলের’ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!
     
    বদলি প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রসুনসুন্দর তরফদার। সেই মামলার শুনানিতে তিন সপ্তাহ আগে শান্তাদেবীকে অস্থায়ীভাবে শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিতে বলে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলাটি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে।

    মামলার সওয়াল-জবাব চলাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই শিক্ষিকাকে ‘বড়ই প্রভাবশালী’ বলে মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, বিচারপতি তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তুলনা করেন। অর্পিতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তাও জানতে চান বিচারপতি।

    শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘শিক্ষা দফতরের (Education Department) আইন অনুসারে ৫ বছরের আগে বদলির আবেদন করা যায় না। তাহলে কী করে ১ বছরের মধ্যে বীরপাড়া স্কুল থেকে বদলির আবেদন করলেন শান্তা মণ্ডল? আর সেই আবেদন গৃহীতই বা হল কেন?’ এর পিছনে বড়সড় কোনও প্রভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করে বিচারপতি এই বদলির রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব সিবিআইকে (CBI) দেন।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    একইসঙ্গে, শান্তা মণ্ডলকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে যাতে ওই স্কুলে যোগ দিতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য আদালতের নির্দেশ সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ এদিনই ওই শিক্ষিকার হাতে তুলে দিতে বিচারপতি শান্তার আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। ওই শিক্ষিকা যদি শুক্রবার বীরপাড়ার স্কুলটিতে কাজে যোগ না দেন তবে তা তাঁর ‘ব্রেক অফ সার্ভিস’ হবে বলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন।

    রাজ্যে এক ডজন মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। এবার শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতির (Teacher Transfer Scam) আঁচ পেয়ে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে (Circuit Bench Jalpaiguri) বসে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর মামলাকারী প্রসূনসুন্দর তরফদারের প্রতিক্রিয়া, ‘সত্যের জয় হল। ন্যায় বিচার পেলাম।’

  • Bengal Cabinet Reshuffle: রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় হল কী কী পরিবর্তন? দেখুন এক নজরে

    Bengal Cabinet Reshuffle: রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় হল কী কী পরিবর্তন? দেখুন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল হয়েছে। মমতার মন্ত্রিসভায় এলেন ৮ জন নতুন মুখ। মমতা মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক। পূর্ণমন্ত্রী হলেন উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন বীরবাহা হাঁসদা। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন বিপ্লব রায়চৗধুরী। শুধু প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে সত্যজিত্‍ বর্মন, তাজমুল হোসেন ।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় কী কী পরিবর্তন হল—

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— মখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, তাঁর অধীনে রয়েছে স্বরাষ্ট্র ও পাহাড় বিষয়ক দফতর, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতর, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান এবং প্রকল্প নিরীক্ষণ দফতর।

    মানস ভুঁইঞা— পূর্ণমন্ত্রী, জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর এবং পরিবেশ দফতর।

    মলয় ঘটক— পূর্ণমন্ত্রী, আইন ও বিচারবিভাগীয় দফতর ও শ্রম দফতর।

    অরূপ বিশ্বাস— পূর্ণমন্ত্রী, বিদ্যুৎ দফতর, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর, হাউসিং দফতর।

    উজ্জ্বল বিশ্বাস— পূর্ণমন্ত্রী, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বায়ো-টেকনোলজি দফতর।

    ফিরহাদ হাকিম— পূর্ণমন্ত্রী, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

    আরও পড়ুন: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি

    শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়— পূর্ণমন্ত্রী, কৃষি দফতর, পরিষদীয় দফতর।

    পুলক রায়— পূর্ণমন্ত্রী, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, পূর্ত দফতর।

    শশী পাঁজা— পূর্ণমন্ত্রী, নারী, শিশুকল্যাণ ও সমাজ কল্যাণ দফতর, শিল্প ও বাণিজ্য দফতর।

    বিপ্লব মিত্র— পূর্ণমন্ত্রী, ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক দফতর।

    বাবুল সুপ্রিয়— পূর্ণমন্ত্রী, তথ্যপ্রযুক্তি দফতর ও পর্যটন দফতর।

    স্নেহাশিস চক্রবর্তী— পূর্ণমন্ত্রী, পরিবহন দফতর।

    পার্থ ভৌমিক— পূর্ণমন্ত্রী, সেচ দফতর, জলপথ দফতর।

    আরও পড়ুন: দফতর বণ্টনও সম্পন্ন, পার্থর হাতে থাকা তিন দফতরের দায়িত্বে এবার তিনজন

    উদয়ন গুহ— পূর্ণমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর।

    প্রদীপ মজুমদার— পূর্ণমন্ত্রী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর।

    বেচারাম মান্না— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কৃষি বিপণন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন।

    অখিল গিরি— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কারা দফতর।

    ইন্দ্রনীল সেন— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি।

    বিপ্লব রায়চৌধুরী— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) মৎস্য দফতর।

    বীরবাহা হাঁসদা— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) স্বনির্ভর ও স্ব-রোজগার দফতর। প্রতিমন্ত্রী, বন দফতর।

    শ্রীকান্ত মাহাতো— প্রতিমন্ত্রী, ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।

    তাজমুল হোসেন— প্রতিমন্ত্রী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর, বস্ত্র দফতর।

    সত্যজিৎ বর্মন— প্রতিমন্ত্রী, স্কুল শিক্ষা।

  • WB Cabinet Reshuffle: মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯ 

    WB Cabinet Reshuffle: মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা মতো বুধবারের বারবেলায় মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিন কয়েক আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তখনই জানিয়েছিলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভার চার পাঁচজনকে দলের কাজে লাগানো হবে। আসবেন পাঁচ ছ জন নতুন মুখ। সেই মতো এদিন শপথ নিয়েছেন মোট ন’ জন। রাজভবনে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন।

    দলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতির দাবি উঠেছিল অনেক আগেই। এই দাবি উঠে এসেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গলায়ই। প্রথম দিকে অভিষেকের দাবিকে আমল না দিলেও এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হতেই আমূল বদলে যায় পরিস্থিতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মন্ত্রিসভায় রদবদল।

    আরও পড়ুন : মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    এদিন যে নজন শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আটজনই নতুন। আর প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দফতরের দায়িত্ব পেলেন বীরবাহা হাঁসদা। এদিন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সত্যজিৎ বর্মন এবং তাজমূল হোসেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে যাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবুল যে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাবেন, তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। কারণ মন্ত্রিত্ব খোয়া যাওয়ায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল। এদিন তিনি তারই পুরস্কার পেলেন। পুরস্কার পেয়েছেন আরও একজন। তিনি উদয়ন গুহ। দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষাধিক ভোটে হারানোর পুরস্কার পেয়েছেন তিনিও। এক সময় ফরওয়ার্ড ব্লক করলেও, পরে ভিড়ে যান তৃণমূলে। দলবদল এবং বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষাধিক ভোটে পরাস্ত করার পুরস্কারই এদিন তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব রইল উত্তরবঙ্গেরও।

    আরও পড়ুন : জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখেই মমতা মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সেই কারণেই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন মালদহের তাজমূল হোসেন। এই তাজমূলও ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বেরিয়ে ভিড়েছিলেন তৃণমূলের ছাতার তলায়। তাই পুরস্কার পেয়েছেন তিনিও। ‘পদোন্নতি’ হয়েছে বীরবাহা হাঁসদারও।

    ভোট যে বড় বালাই!

     

  • Mamata Banerjee Cabinet: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি 

    Mamata Banerjee Cabinet: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হল। পাঁচ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং তিন জন প্রতিমন্ত্রী বুধবার শপথ নিয়েছেন। বাদও গিয়েছেন কয়েকজন। মন্ত্রী হলে কার না আনন্দ হয়, কিন্তু জানেন কি মমতার ভাঁড়ে মা ভবানী সরকারের মন্ত্রীদের কতটুকু ক্ষমতা রয়েছে? কত টাকা খরচ করার ক্ষমতা রয়েছে? আর কাজ করার ক্ষমতাই বা কতটুকু রয়েছে? অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি বেশ খারাপ। ফলে মন্ত্রিদের কাজ করার জন্য আর্থিক স্বাধীনতা প্রায় নেই। যেটুকু রয়েছে তাতে নতুন মন্ত্রিদের খুশি হওয়ার কারণ নেই। 

    আরও পড়ুন : মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯

    নবান্নের অর্থ দফতর সূত্রের দাবি, নতুন-পুরনো সব মন্ত্রীরাই এখন কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রে দেড় কোটি এবং চলতি স্কিমের ক্ষেত্রে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কাজ করাতে পারেন। এর চেয়ে বেশি কাজ করাতে হলেই সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ফাইলটি নবান্নে পাঠিয়ে অনুমোদন নিতে হবে। যা দেখা যাচ্ছে, এক বার নবান্নে ফাইল পৌঁছালে তা আর বেরতে চায় না। তার উপরে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, সারা বছরের বাজেট বরাদ্দের মাত্র ২০% স্টেট ডেভেলপমেন্ট স্কিমে খরচ করা যাবে। বাকি টাকা জোগানোর অবস্থা নেই। মন্ত্রী হয়ে সকলেরই ইচ্ছা হয়, জনকল্যাণের কাজ করতে। কিন্তু যে রাজ্যে উন্নয়নের কাজের ৮০ ভাগ টাকা ছাঁটাই হয়ে গিয়েছে, সেখানে মন্ত্রীদের আর কাজ কি?

    সবচেয়ে মজার ব্যাপার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি নগদ উদ্ধারের পর চোখ কপালে উঠেছে সরকারি মহলে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলস্তরে দুর্নীতির ইস্যুটি যে সামনে আসবে তা সবার জানা। সেই কারণে যে কোনও সরকারি বরাতে ১ লক্ষ টাকার বেশি কাজ হলেই তার জন্য ই-টেন্ডার করার নির্দেশ জারি করেছে সরকার। গত পাঁচ-ছয় বছরে যা ৫০ লক্ষ টাকা থেকে কমে ১ লক্ষ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদের কপালে নীলবাতি, পুলিশের স্যালুট আর পাইলট গাড়ি ছাড়া বিশেষ কিছু ক্ষমতাই থাকছে না। 

    যে সব মন্ত্রীর কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে টাকা আসার কথা তাঁরাও যে বিশেষ আনন্দে রয়েছেন তেমন নয়। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাম পরিবর্তনের জন্য কেন্দ্রের টাকা আসাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে মন্ত্রী হয়ে সরকারি বোর্ডে নাম তোলা ছাড়া বিশেষ কিছুই থাকছে না বলে প্রশাসনিক মহলে চর্চা চলছে।

LinkedIn
Share