Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Anubrata FD Accounts: অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’! তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি?

    Anubrata FD Accounts: অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’! তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার কাণ্ডের (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে কোটি কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই (CBI)। বুধবার এই প্রেক্ষিতে অনুব্রতর নামে একাধিক ব্যাংকে ছড়িয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিটে রাখা প্রায় ১৭ কোটি ফ্রিজ করেছে সিবিআই। এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে কেষ্টর ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি।

    বুধবার দুপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে কথা বলতে চাননি অনুব্রত-কন্যা। তারপর অনুব্রতর বাড়ির কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যান গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এসবিআই, ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং অ্যাক্সিস ব্যাংকের একাধিক অ্যাকাউন্টে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বা FD ফ্রিজ করে সিবিআই। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে ও ঘনিষ্ঠদের একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একাধিক সংস্থার খোঁজও পেয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ১০-১২ জনের নাম উল্লেখ করে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেকে পাঠানো হয়েছে চিঠি।

    আরও পড়ুন: টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    সিবিআই একদিকে যেমন কয়লা ও গরুপাচার নিয়ে আদাজল খেয়ে লেগে রয়েছে, ঠিক তেমনভাবেই এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডর শিকড়ের খোঁজে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে আরেক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। তবে, হালে প্রকাশ্যে আসা কিছু তথ্য ও ঘটনাপ্রবাহের দৌলতে নতুন করে ভাবতে লেগেছে সিবিআই ও ইডি। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মেলার পাশাপাশি, টেট পাশ না করেই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পাওয়ার ঘটনা গোটা বিষয়টিকে অন্য আঙ্গিক এনে দিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখন খতিয়ে দেখছে, গরুপাচারের পাশাপাশি এসএসসি-টেট কেলেঙ্কারির সঙ্গেও অনুব্রত যোগ রয়েছে কিনা।

    ইতিমধ্যেই, গত ২৩ জুলাই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) জোড়া ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে, সেখানেই থেমে থাকতে চাইছেন না ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের নজরে রয়েছে তৃণমূলের আরও ১৯ জন হেভিওয়েট। আবার গরুপাচার মামলায় গত ১১ অগাস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন কেষ্ট মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রভাবশালীদের কাছে গরু পাচারের টাকা নগদে পৌঁছনোর পাশাপাশি, প্রভাবশালীদের সংস্থায় ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

    এখানে বলে রাখা দরকার, ২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১ – পরপর তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচনী হলফনামা দিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। কিন্তু বেশ কয়েকজনের সম্পত্তি আচমকা বহুগুণ ফুলে ফেঁপে যাওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় সম্প্রতি ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তালিকায় ১৯ জন তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীর নাম রয়েছে। তালিকায় রয়েছেন – ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো নেতারা।

    আরও পড়ুন: বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    এখন ইডি-সিবিআই খতিয়ে দেখতে চাইছে, অনুব্রতর ফ্রিজ করা ফিক্সড ডিপোজিটগুলোয় তৃণমূলের এই ১৯ জনের মধ্যে কারও ‘বিনিয়োগ’ বা ‘ভাগ’ অথবা ‘হিস্‌সা’ লুকিয়ে আছে কিনা। কেন এমন আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা? সূত্রের খবর, এর নেপথ্যে রয়েছে অনুব্রত ইস্যুতে এই হেভিওয়েটরা ‘ভোকাল’ হয়ে উঠেছেন, তাতে জোরালো হচ্ছে সন্দেহ। কারণ, পার্থর বেলায় কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। উল্টে দলের তরফে ‘লজ্জা’ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু, কেষ্টর বেলায় পুরো ভিন্ন চিত্র। সমস্বরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে সরব হয় শাসক শিবির। বাদ যাননি দলের সর্বেসর্বাও। এর থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, ক্ষমতায় আসা ইস্তক তৃণমূলের হেভিওয়েটদের সম্পত্তির ওজন লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে পাচার-যোগ থাকাটাই স্বাভাবিক।

    এখান থেকেই তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন জাগছে— অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’? তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি? 

  • Cong-Cpm on ED-CBI: দিল্লিতে অসুর-বঙ্গে দোসর, ইডি সিবিআই নিয়ে কং-সিপিএমের বিচিত্র অবস্থান   

    Cong-Cpm on ED-CBI: দিল্লিতে অসুর-বঙ্গে দোসর, ইডি সিবিআই নিয়ে কং-সিপিএমের বিচিত্র অবস্থান   

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করে ফিরে আসার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে তিন ব্যক্তি। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় দুই কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহা। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল। এর পর ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা ফের একবার আতসকাচের নীচে এসেছে। সিপিএম এবং কংগ্রেস একযোগে বলছে, ইডি-সিবিআই অনেক দেরি করেছে। তৃণমূলের নেতাদের গ্রেফতারি আরও আগেই করা উচিৎ ছিল। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, এখানেই থামলে চলবে না, অনুব্রত-শান্তিপ্রসাদরা নাকি নাটবল্টু, আসল মেশিনটাকে ধরতে হবে।

    যার মোদ্দা কথা হল, ইডি-সিবিআই কলকাতায় ভাল কাজই করছে। আরও ভাল কাজ করতে হবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি আবার বলেছেন, সব পিসির শিবিরের লোকেদের সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করছে। ভাইপো শিবিরের লোকেদেরও গ্রেফতার করতে হবে।

    কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ নিয়ে সিপিএম-কংগ্রেসের বেঙ্গল লাইন নিয়ে নানা টিপ্পনিও রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ইডি-সিবিআই এতদিন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের রাজনৈতিক হাতিয়ার বলেই বামেরা সমালোচনা করে এসেছে। প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্য এই দুই ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই ইডি-সিবিআইয়ের কলকাতার অপারেশন দেখে অবশ্য আর প্রতিহিংসার কথা বলছেন না সিপিএম নেতারা। বরং কেন এত দেরি হল সেই প্রশ্ন তুলছেন। যার অর্থ, ইডি-সিবিআইকে আরও তৎপর হওয়ার বার্তা দিতে চাইছেন সিপিএম নেতারা।

    কংগ্রেসেরও কার্যত ঘুরিয়ে একই অবস্থান। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে জেরার সময় ইডির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল কংগ্রেস। সেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কলকাতায় ভাইপো শিবিরের নেতাদের ইডি-সিবিআই কেন ধরছে না সেই দাবি তোলা হচ্ছে। অর্থাৎ দিল্লিতে ইডি-সিবিআই খারাপ, কিন্তু কলকাতায় এই দুই সংস্থাকে আরও ভাল কাজ করার আর্জি কংগ্রেস নেতাদের।

    সিপিএমেরও অবস্থান বিচিত্র। দুবাই থেকে সোনা চোরাইয়ের স্বপ্না সুরেশ মামলায় ইডি যখন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল, তখন ইডি ছিল প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রতীক। প্রকাশ কারাতের আত্মীয় এনডিটিভির আর্থিক অনিয়ম নিয়ে আয়কর দফতর, ইডি সক্রিয় হওয়ার সময়েও সিপিএম প্রতিহিংসার রাজনীতি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর আঘাতের কথা বলেছে।দিল্লিতেও সীতারাম ইয়েচুরিসহ বাম নেতারা হালে মহারাষ্ট্র সরকার পতনের পরেও একই মত জানিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লিসহ দেশের অন্যপ্রান্তে যে ইডি-সিবিআইকে অসুরের সঙ্গে তুলনা করেছে বামেরা তারাই কলকাতায় দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দোসর ভাবছে। যা রাজনৈতিক মহলে কৌতুকের উদ্রেক করেছে।

    বাম ও কংগ্রেসের এই অবস্থান নিয়ে বিজেপি যারপরনাই খুশি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, বামেরা বরাবরই রাজনৈতিক ভাবে ভণ্ড। কংগ্রেস-সিপিএম উভয়েই বাংলার মাটিতে প্রাসঙ্গিক থাকতে এখন ইডি-সিবিআইয়ের প্রশংসা শুরু করেছে। নরেন্দ্র মোদীর একটিই নীতি, খাবও না, খেতেও দেব না। তা গোটা দেশে কার্যকর। পশ্চিমবঙ্গে চোরের মহারানির সরকারের ধসে যাওয়ার সময় দ্রুত আসতে চলেছে।    

  • Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মুখে বলতে শোনা গিয়েছিল, “টাকা আমার নয়…।” রবিবার জোকা ইএসআই (Joka ESI) হাসপাতালের সামনে এই মন্তব্য করেছিলেন এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের (TMC) সাসপেন্ডেড নেতা। এবার মঙ্গলবার, মুখ খুললেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। আর প্রথমেই করে বসলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। 

    আদালতের নির্দেশে এদিন নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে আসা হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই মুখ খোলেন তিনি। এতদিন মুখ না খুললেও, প্রকাশ্যে কাঁদতে ও হাত-পা ছুড়তে দেখা গিয়েছে অর্পিতাকে। কিন্তু, এদিন তিনি বললেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে টাকা ঢোকানো হয়েছে’। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    এদিন সাংবাদিকরা অর্পিতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, টাকা কার? জবাবে তিনি বলেন, “এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে এই টাকা ঘরে ঢোকানো হয়েছে।” অর্থাৎ তাঁর ডায়মন্ড সিটি ও বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাট থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে তা তাঁর অজ্ঞাতসারে সেখানে কেউ বা কারা ঢুকিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন অর্পিতা।

    এর আগে জেরা চলাকালীনও অর্পিতা একই কথা জানিয়েছিলেন। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতা জানিয়েছিলেন, বন্ধ ঘরে প্রবেশাধিকার ছিল না তাঁর। উল্লেখ্য, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকা। আর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ২৯ কোটি টাকা এবং সোনা পেয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    আগের দিন যখন জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই সময়ে টাকার ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার টাকা নয়।’ এবার একই কথা বললেন অর্পিতাও। অর্থাৎ, দু’জনের দু’দিনের বয়ান অনুযায়ী, অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকা পার্থর নয়, অর্পিতারও নয়। এখন প্রশ্ন হল, তাহলে টাকাটা কার? যদিও, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর এদিন দেননি অর্পিতা।

  • Commonwealth Games 2022: কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া সোনা ভারতীয় পুরুষ টিটি, মহিলা লন বল দলের

    Commonwealth Games 2022: কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া সোনা ভারতীয় পুরুষ টিটি, মহিলা লন বল দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে (Birmingham Commonwealth Games 2022) ভারতের পদকের ধারা অব্যাহত পঞ্চম দিনেও। মঙ্গলবার টিম ইভেন্টে জোড়া সোনা জয় করল ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। একদিকে, টেবিল টেনিস টিম ফাইনালে সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে সোনা জিতল ভারতীয় পুরুষ টিটি দল। অন্যদিকে, লন বল টিম ইভেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জয় করল ভারতের মহিলা দল। এর পাশাপাশি, ভারোত্তোলনে ভারতকে আরেকটি পদক এনে দিলেন বিকাশ ঠাকুর (Vikas Thakur)। ২৮ বছর বয়সি ভারতীয় ৯৬ কেজি বিভাগে রুপো জিতলেন। এর আগে, ভারোত্তোলনে ভারতকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দেন হারজিন্দর কৌর (Harjinder Kaur)।

    টেবিল টেনিসে শরথ কমলের নেতৃত্বাধীন দল এদিন ফাইনালে সিঙ্গাপুরকে ৩-১ সেটে হারিয়ে জয় করে ভারত। ভারতকে দুর্দান্ত শুরু দেন হরমীত দেসাই এবং জি সাথিয়ান। যদিও এরপর হতাশ করেন শরথ কমল। সিঙ্গলসে ১-৩ ব্যবধানে হেরে যান তিনি। তবে এরপর সাথিয়ান এবং হরমীত তাঁদের সিঙ্গলস ম্যাচ জিতে দলকে ৩-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন। এই নিয়ে পরপর ২টি কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতলেন ভারতীয় পুরুষ প্যাডলাররা। এর আগে, চার বছর আগে, গোল্ড কোস্ট সংস্করণেও সোনা জিতেছিল ভারতীয় দল। 

    আরও পড়ুন: আশা করি এবার একটা সিনেমা দেখার সময় পাবে! অচিন্ত্যর প্রশংসায় মোদি

    টেবিল টেনিসে ভারতীয় পুরুষ দল যেমন দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে, ঠিক তেমনই সোনা ঘরে তুললেন ভারতের মহিলা লন বল দল। যেই দেশে একটি স্পোর্টস পুরো অচেনা সেই স্পোর্টস থেকেই সোনা ঘরে আনলেন চার মহিলা। মহিলাদের লন ফোরস ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় মহিলা লন বল দল (Womens Lawn Bowl Team)। সেখানেই সোনা জয় ভারতের মেয়েদের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে ১৭-১০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় লাভলি চৌবে (Lovely Choubey), পিঙ্কি (Pinki), নয়নমণি শইকিয়া (Nayanmoni Saikia) ও রূপা রানি তিরকেরা (Rupa Rani Tirkey) নিয়ে গঠিত ভারতীয় টিম।

    এর আগে, মঙ্গলবার ভোররাতে (ভারতীয় সময়) ভারোত্তোলনের ৭১ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জিতলেন হারজিন্দর। হারজিন্দর ‘স্ন্যাচ’-এ ৯৩ কেজি ও ‘ক্লিন অ্যান্ড জার্ক’-এ ১১৯ কেজি, মোট ২১২ ভারোত্তোলন করে ব্রোঞ্জ জিতলেন।  মীরাবাই চানু, জেরেমি লালরিনুনগা, অচিন্ত্য শিউলির স্বর্ণপদকসহ, মোট ছয়টি পদক আগেই এসেছিল ভারোত্তোলন থেকে। এবার হারজিন্দর কৌর (Harjinder Kaur) ভারোত্তোলনে ভারতকে সপ্তম পদক এনে দিলেন।

    এদিন সন্ধ্যায়, ভারোত্তোলনে ভারতকে অষ্টম পদক এনে দিলেন বিকাশ ঠাকুর (Vikas Thakur)। ২৮ বছর বয়সি ভারতীয় ৯৬ কেজি বিভাগে রুপো জিতলেন। ‘স্ন্যাচ’-এ ১৫৫ কেজি ও ‘ক্লিন অ্যান্ড জার্ক’-এ ১৯১ কেজি, মোট ৩৪৬ কেজি ভারোত্তোলন করে দ্বিতীয় হলেন বিকাশ ঠাকুর। ভারতের মোট পদক সংখ্যা পৌঁছল ১২-তে। অবশ্য এই প্রথম নয়, বিকাশ ঠাকুর এর আগের দুই কমনওয়েলথে গেমসেও পদক জিতেছিলেন। ২০১৪ সালে গ্লাসগোয় তিনি রুপো জিতেছিলেন। চার বছর আগে গোল্ড কোস্টে এসেছিল ব্রোঞ্জ। এবার ফের ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতীয় ভারোত্তলক। 

  • Arpita Mukherjee: ১৮ জোড়া দুল, ১১টি বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    Arpita Mukherjee: ১৮ জোড়া দুল, ১১টি বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি কোনও ডাকসাইটে অভিনেত্রী বা নামজাদা মডেল নন। বাংলা ও ওড়িয়া ভাষার কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও, তিনি কোনও পরিচিত মুখই নন। এমনও নয়, তিনি পুরুষাণুক্রমে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন। তা সত্ত্বেও, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সম্পত্তির পরিমাণ দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় সকলের।

    এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে যেন যকের ধনের সন্ধান পেয়েছেন ইডি (ED) গোয়েন্দারা। প্রথমে টালিগঞ্জের (Tollygunj) হরিদেবপুরে অভিজাত ডায়মন্ড সিটি সাউথের (Diamond City South) ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এই উদ্ধার নিয়ে যখন চারদিক তোলপাড়, তখন এরচেয়েও বড় জ্যাকপট লাগে ইডি-র হাতে। এবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার (Belghoria) ক্লাব টাউন হাইটস আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নগদ ২৯ কোটি টাকা। সঙ্গে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ সোনা।

    আরও পড়ুন: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    টাকার অঙ্ক মোটামুটি সকলেই জেনে গিয়েছেন। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার খতিয়ান সম্প্রতি আদালতে পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে কী কী উদ্ধার হয়েছে, তার পূর্ণ তালিকা পেশ করা হয়। ইডি সূত্রের খবর, হিসেব বলছে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেই ছিল প্রায় ৪ কোটি ৩০ লক্ষের সোনা। সেই নথি আদালতে জমা দিয়েছে ইডি। নথিতে বলা হয়েছে উদ্ধার হওয়া এক-একটি কঙ্কনের ওজন ৫০০ গ্রাম। উদ্ধার হয়েছে ১১টি সোনার বালা, ১৮ জোড়া সোনার দুল, ৪টি বড় হার, ৯টি নেকলেস, ৭টি সোনার চেন, ৫টি আংটি। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে ৮টি সোনার বাট ও একটি সোনার কলম।

    উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ থেকে শুরু করে সোনার গয়নার ওজন— সন্দেহ উঠছে সবকিছু নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে কী করে তিনি এই বিপুল সম্পত্তি একত্রিত করলেন? ইডি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে মুখ খোলেননি পার্থ-ঘনিষ্ঠ। তবে অর্পিতা দাবি করেছেন, তাঁর অজান্তে ওই টাকা তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকানো হয়েছিল। যে ঘর থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা তাঁর ফ্ল্যাটের মধ্যে হলেও, সেখানে প্রবেশাধিকার তাঁর নাকি ছিল না।

    আরও পড়ুন: পার্থর বাড়িতে নথির ফাইলটি তল্লাশির আগে রেখে এসেছিলেন কে? ‘ষড়যন্ত্র’?

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, টাকার মতো কি এই বিপুল পরিমাণ সোনাও তাঁর অজান্তে ও অবর্তমানে তাঁর ক্যাবিনেটে রাখা হয়েছিল? কী বলছেন অর্পিতা?

  • ED Raids Apa: শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার ‘অপা’-য় হানা ইডির, সম্পত্তির খোঁজে মাটি খুঁড়ে তল্লাশি

    ED Raids Apa: শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার ‘অপা’-য় হানা ইডির, সম্পত্তির খোঁজে মাটি খুঁড়ে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) কাণ্ডে যেন পরতে পরতে রহস্য। তদন্তে নামতেই ‘যকের ধন’- এর সন্ধান পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং বিপুল সোনা গয়না। কিন্তু তাতেও যেন রোমাঞ্চে ইতি নেই।

    এবার পার্থ-অর্পিতার শান্তিনিকেতনের বিলাসবহুল বাড়ি ‘অপা’- য় (Apa) হানা দিল ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে ৭ জন ইডি আধিকারিকের একটি দল ওই বুধবার সাত সকালে অপা-য় যায়। তাঁদের একটি দল অবশ্য মঙ্গলবার রাতেই পৌঁছে গিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙায় রয়েছে পার্থ-অর্পিতার এই রাজকীয় বাড়ি।  সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। ৭ জন ইডি অফিসারের একটা দল বাড়ির ভিতরে রয়েছেন।  ইডি সূত্রের খবর, পার্থ-অর্পিতাকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এদিন ‘অপা’-য় হানা দিয়েছে  ইডি। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোটা বাড়িটি ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ির গেট খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন ইডি আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে মাটি খুঁড়ে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। সূত্রের খবর, সেখান থেকে অর্পিতার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এর পাশাপাশি, হদিশ মিলেছে ‘লাবণ্য’ ও ‘তিতলী’ নামের দুই বাড়ির।

    ২০১২ সালে এই বাড়িটি অর্পিতার নামে কেনা হয়। বাড়িটির দলিলেও পার্থ চ্যাটার্জির সই মিলেছে। শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙার ‘অপা’ (Apa) কার্যত এখন দর্শনীয় স্থান। সামনে বিশাল লন, বিভিন্ন গাছপালায় সুসজ্জিত একটি বাড়ি। ইডির হাতে এসেছে বোলপুরের জমির দলিল। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতার সুসেন বন্দ্যোপাধ্যায়-শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ‘অপা’ বাড়িটি কিনেছিলেন পার্থ-অর্পিতা। বাড়িটির দলিলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই মিলেছে৷

    আরও পড়ুন: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি? 

    বীরভূমের শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির হদিশ আগেই মিলেছে। শান্তিনিকেতন-বোলপুর এলাকায় পার্থ-অর্পিতার একাধিক ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, গেস্ট হাউজ রয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর। পার্থ-অর্পিতার নামে একাধিক বাড়ি রয়েছে শান্তিনিকেতন, প্রান্তিক, বনেরপুকুর ডাঙায়। অপা ছাড়া আরও ৭ বাড়ি রয়েছে পার্থ-অর্পিতার বলে খবর। 

    এদিকে, ইডি সূত্রে খবর, বোলপুরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যে ৭টি বাড়ির হদিশ মিলেছে সেগুলি আদতে কার, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কিনা তা জানতেই আহমেদপুরের (Ahmedpur) রাজীব ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জমি, বাড়ি সহ সমস্ত সম্পত্তির দেখাশোনা করতেন রাজীব ভট্টাচার্য (Rajiv Bhattacharya)। তাই তাঁকে জেরা করেই বোলপুরের (Bolpur) বিশাল সম্পত্তির মালিকানার প্রকৃত হদিশ মিলবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে রাজীব ভট্টাচার্যের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি তাঁকে জেরা শুরু করেছেন তাঁরা।

    সময় যত গড়াচ্ছে আরও বেশি করে পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তির খোঁজ মিলছে। এর শেষ কোথায়, তাই এখন দেখার পালা। 

  • SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ-অর্পিতার পর এবার অর্পিতার গাড়ি চালক প্রণব ভট্টাচার্যকে (Pranab Bhattacharya) জেরা করতে চলেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে সঙ্গে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjees) গাড়ি চালাতেন এই প্রণব। ইডির দাবি, প্রণবকে জেরা করলেই মিলতে পারে বিস্ফোরক তথ্য।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) তদন্ত করতে গিয়ে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা এবং সোনা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন পার্থ। টাকা এবং সোনা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। অর্পিতারও দাবি, টাকা তাঁর নয়। ইডি সূত্রে খবর, সমস্ত সম্ভাব্য সূত্র থেকে তথ্য জোগাড় করতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মতো প্রণবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা। কারণ ২২ জুলাই অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময় সেখানে হাজির ছিলেন তাঁর গাড়ি চালক প্রণবও।

    আরও পড়ুন : তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    এদিকে, অর্পিতা ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রণব। তাঁর জুলাই মাসের বেতন এখনও বকেয়া। কবে পাবেন, তা জানেন না। এমতাবস্থায় সংসার চালাতে যেন-তেন প্রকারে তিনি চাইছেন নতুন একটা কাজ জোটাতে। প্রণব স্বীকার করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রেফারেন্সেরই অর্পিতার গাড়ি চালানোর কাজ পেয়েছিলেন তিনি। অর্পিতার গাড়ি চালক এও জানিয়েছেন, স্থানীয় এক নেতাকে ধরে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন। তার পরেই মেলে অর্পিতার গাড়ির ড্রাইভারির চাকরি। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ওই চাকরি পান তিনি। প্রণব জানান, অর্পিতার আরও অনেক গাড়িচালক ছিলেন। তবে তিনি যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তখন চালক হিসেবে তাঁকেই সঙ্গে নিতেন। অর্পিতার গাড়ি চালকদের মধ্যে ছিলেন তাঁর বোনের স্বামী কল্যাণ ধরও। তবে বেরনোর সময় তাঁকে সঙ্গে নিতেন না অর্পিতা।

    আরও পড়ুন : মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

  • Calcutta Highcourt: এসএসসি শিক্ষকদের বদলির নিয়ম ‘বদলের’ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

    Calcutta Highcourt: এসএসসি শিক্ষকদের বদলির নিয়ম ‘বদলের’ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recduitment Scam)  নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে রাজ্যে, তখন শিক্ষকদের বদলির নিয়ম (Teachers Transfer Law) পালটে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। 

    ১৯৯৭ সালের এসএসসির আইনের (SSC Law) ১০বি ধারা অনুযায়ী, ৫ বছরের কম চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে বদলির সুযোগ ছিল না। এমনকী, শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও নিয়মে বদলি আটকে যেত। সেই নিয়মের বদল ঘটালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহের মধ্যে বদলির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, ‘অসুস্থতা কি ডাকবিভাগে বলে আসে? যে কোনও সময় যে কেউ অসুস্থ হতে পারেন।’

    আরও পড়ুন: বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদল, ঘোষণা মমতার, কে বাদ যাবেন, কে ঠাঁই পাবেন?

    কোন আবেদনে আইন বদল?

    বর্ধমান আউশগ্রামের হাতকিরিনগর বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা পাস করে চাকরিতে যোগ দেন। ওই স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন হামিদা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে হামিদা খাতুনের বাড়ি৷ ফলে, যাতায়াত মিলিয়ে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় তাঁকে। স্ত্রী রোগ সংক্রান্ত বিশেষ সমস্যা রয়েছে তাঁর।  চিকিৎসকরা জানান, শারীরিক কারণে এত দীর্ঘ পথ যাতায়াত করা তাঁর পক্ষে একেবারেই উচিত নয়।  

    ২০২১-এর ২৪ অগাস্ট হামিদা খাতুন বদলির জন্য আবেদন করলে তা বাতিল করে দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসির বদলির এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন হামিদা, সুদেষ্ণা বেরা, মাফুজা খাতুন-সহ অনেকেই। এদিন মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, অসুস্থতা কি জানিয়ে আসে? যে কোনও সময় মানুষ অসুস্থ হতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

    এর আগেও, ২০১৭ সালেও এসএসসির বদলির নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন স্নিগ্ধা দত্ত নামে এক শিক্ষিকা। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্য করেছিলেন, ‘গোলি মারো রুলো কো।’  তারপরেও কিন্তু বদলির নিয়ম পাল্টায়নি।

  • Bengal Cabinet Reshuffle: দফতর বণ্টনও সম্পন্ন, পার্থর হাতে থাকা তিন দফতরের দায়িত্বে এবার তিনজন

    Bengal Cabinet Reshuffle: দফতর বণ্টনও সম্পন্ন, পার্থর হাতে থাকা তিন দফতরের দায়িত্বে এবার তিনজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল (Bengal Cabinet Reshuffle) করলেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব ঘোষণামতো, এদিন শপথগ্রহণ হয়ে গিয়েছিল বিকেলেই। সন্ধ্যায় হয়ে গেল দফতর বণ্টনও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় বুধবার যাঁরা শপথ নিলেন, তাঁরা কে কোন দফতর পেলেন দেখে নেওয়া যাক—

    পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee)। এর আগে এই দফতর সামলাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নারী শিশুকল্যাণের সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী হলেন শশী পাঁজা (Sashi Panja)। শিল্প-বাণিজ্য দফতর ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) অধীনে। 

    এছাড়া, রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন মন্ত্রী হলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তথ্যপ্রযুক্তির দফতরও সামলাতেন পার্থ। পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী হলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হলেন প্রদীপ মজুমদার। এই দফতর ছিল প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। সেচ ও জলপথ মন্ত্রী হলেন পার্থ ভৌমিক।

    আরও পড়ুন: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি

    স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হলেন সত্যজিৎ বর্মন। এই দায়িত্বে ছিলেন এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) জড়িত পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary)। অন্যদিকে, বন দফতরের সঙ্গে স্বনির্ভর-স্বনিযুক্তি গোষ্ঠীর প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ রাজভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন। এদিন যে নজন শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আটজনই নতুন। আর প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দফতরের দায়িত্ব পেলেন বীরবাহা হাঁসদা। এদিন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সত্যজিৎ বর্মন এবং তাজমুল হোসেন।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯

    এদিকে, রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীদের আমরা ল্যাম্পপোস্ট মন্ত্রী বলতে পারি। বঙ্গের মন্ত্রীদের অধিকার, মর্যাদা, কাজ করার সুযোগ, ক্ষমতা ইত্যাদি কতটা, তা আমার থেকে ভাল কেউ জানে না। এখানে সবটাই একজন করেন, অন্য কারও কোনও ভূমিকা থাকে না। অন্তত আমার সাড়ে ৪ বছরের অভিজ্ঞতায় বাস্তব তাই দেখেছি।’ 

     

  • Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সংকটে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও (Arpita Mukherjee)। পার্থের পাশাপাশি এবার অর্পিতার সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, অর্পিতার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। 

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন পার্থ। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া ইস্তক তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল থেকে। যা আদতে বহিষ্কারেরই শামিল। কারণ তদন্ত করে শেষ হবে তা কেউ জানে না। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর দাবি, আমার কোনও টাকা নেই। ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা যে তাঁর নয়, তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অর্পিতার জন্য যে জোড়াফুল শিবিরের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হয়েছে, তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন তৃণমূল নেতারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই শুরু হয়েছে অর্পিতার সঙ্গে দূরত্ব রচনার প্রয়াস।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    সম্প্রতি তৃণমূলের একটি কর্মসূচির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছেন অর্পিতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গে ওই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন তৃণমূলের অন্য নেতানেত্রীরাও। সংবাদ মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ্যে এলেও, অর্পিতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। ২২ জুলাই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ষড়যন্ত্রের শিকার। অর্পিতার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কও অস্বীকার করেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে টাকা এবং সোনা উদ্ধারের পর অর্পিতা তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন ওই টাকা এবং সোনা পার্থের। তবে দল তাঁকে সাসপেন্ড করায় তিনি যে যারপরনাই অখুশি, তা গোপন করেননি তৃণমূলের সাসপেন্ডেড মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন : ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

LinkedIn
Share