Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Durga Puja Donation: কেন দুর্গোৎসব কমিটিগুলোকে দেওয়া হচ্ছে অনুদান? রাজ্যের ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের

    Durga Puja Donation: কেন দুর্গোৎসব কমিটিগুলোকে দেওয়া হচ্ছে অনুদান? রাজ্যের ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA case) দেওয়ার টাকা নেই। অথচ, পুজো অনুদানের (Durga Puja Donation) নামে কোটি কোটি টাকা বিলোচ্ছে রাজ্য সরকার (Bengal Government)। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় (PIL Against Durga Puja Donation)  এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)।

    সম্প্রতি, রাজ্যের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। কিন্তু কেন এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে? হলফনামা আকারে রাজ্য সরকারের কাছে তার স্পষ্ট কারণ জানতে চাইল হাইকোর্ট।

    গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের রেজিস্টার্ড ৪৩ হাজার পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। গত দু’বছর পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্যের দেওয়া অনুদানের অঙ্ক ছিল ৫০ হাজার। সঙ্গে ক্লাবগুলোকে পূজায় বিদ্যুৎ বিলে ভর্তুকি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য। এর ফলে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের কোষাগার থেকে। 

    আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    এর বিরুদ্ধে গত ২৪ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিল। পরে আরও দুটি মামলা দায়ের হয়। এই পর্যন্ত মোট তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে। মামলাগুলির মূল প্রশ্ন, রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে, কেন এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। 

    সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, “এই বিষয়ে এখনও সরকারের তরফে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। বিজ্ঞপ্তি জারি না হলে সরকারের তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।” মামলাকারীর তরফে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “বৈঠক ডেকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে টাকা দেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার আপত্তিতে বন্ধের মুখে মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো

    রাজ্যের তরফে বলা হয়, বিগত কয়েক বছর ধরেই এই অনুদান দিয়ে আসছে রাজ্য। এই প্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল গত দু’বছরের অর্থাৎ ২০২০ ও ২০২১ সালের হাইকোর্টের দুটি নির্দেশের কপি আদালতে পেশ করেন জানান, হাইকোর্ট এই অনুদান দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য তখন বলেন, “আপাতত অনুদান দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিক আদালত। কারণ টাকা বিলি করা শুরু হয়ে গেলে সেটা ফেরত নেওয়া সম্ভব নয়।” 

    দুপক্ষের সওয়াল-পর্ব শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশের সুযোগ দিয়েছে। রাজ্য সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, তার মধ্যেই কারণ জানিয়ে আদালতের কাছে হলফনামা পেশ করতে হবে সরকারকে। ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vedic Planetarium: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় স্থাপত্য বাংলায়, নির্মাণে খরচ ১০ কোটি টাকা

    Vedic Planetarium: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় স্থাপত্য বাংলায়, নির্মাণে খরচ ১০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সব থেকে বড় এবং উঁচু মন্দির তৈরি হচ্ছে বাংলার (West Bengal) মায়াপুরে (Mayapur)। বিশ্বের সব থেকে উঁচু গম্বুজ থাকবে এই মন্দিরেই। ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষের অত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে এই মন্দির।  

    বিশ্বের এই বৃহত্তম ধর্মীয় স্থাপত্যটি তৈরি হচ্ছে নদীয়ার মায়াপুরে। নাম দেওয়া হয়েছে বৈদিক তারামণ্ডল মন্দির (Vedic Planetarium)। আগে ২০২৩ সালে এই মন্দির উদ্বোধনের কথা থাকলেও কোভিডের কারণে পিছিয়ে যায় কাজ। আশা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের মধ্যেই এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়ে যাবে। এই মন্দির পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

    আরও পড়ুন: ভারতের ধনীতম গণপতি! ৩১৬ কোটি টাকার বিমায় সুরক্ষিত মুম্বইয়ের এই গণেশ, আওতায় ভক্তরাও!  

    এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। প্রাথমিকভাবে ২০১৬ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়। 

    আপাতত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় স্থাপত্য কম্বোডিয়ার আংকর ভাট মন্দির। কিন্তু এই মন্দির উদ্বোধন হওয়ার পরে শীর্ষস্থান দখল করবে বাংলাই। তাজমহল, ভার্টিক্যান সিটির সেন্টপলস ক্যাথিড্রালের থেকেও উঁচু হবে এই মন্দিরের চূড়া। 

    এই বৈদিক তারামণ্ডলে বৈদিক কসমোলজি ইনস্টিটিউট থাকবে। এখানে বৈদিক বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে। 

    ১০ কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি করা হচ্ছে এই মন্দির। একসঙ্গে ১০ হাজার ভক্ত থাকতে পারবেন এই মন্দিরে। 

    আরও পড়ুন: উল্লা কাণ্ডা, পৃথিবীর উচ্চতম স্থানে অবস্থিত কৃষ্ণ মন্দির

    এই মন্দিরটির নেতৃত্বে থাকবেন আলফ্রেড ফোর্ড। বিখ্যাত ব্যবসায়ী হেনরি ফোর্ডের প্রপৌত্র এবং ফোর্ড মোটর কোম্পানির ভবিষ্যত মালিক তিনি। ইসকনে যোগদানের পর ১৯৭৫ সালে নিজের নাম পরিবর্তন করে অম্বরীশ দাস রাখেন৷ মন্দির তৈরির জন্যে ৩ কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি।  
    ভিয়েতনাম থেকে আনা মন্দিরটি নীল বলিভিয়ান মার্বেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে। এই মন্দিরটি নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন আচার্য প্রভুপাদ। বৈদিক বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চেয়েছিলেন তিনি।

    প্ল্যানেটেরিয়ামে একটি বিশাল ঘূর্ণায়মান মডেল থাকছে। এটি ভগবত গীতা, পুরাণের মতো পবিত্র গ্রন্থে বর্ণিত বিষয়গুলিকে চিত্রায়িত করবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ED CBI on Cattle Case: সায়গলকে হেফাজতে চায় ইডি, সিবিআই- এর নজরে অনুব্রতর ড্রাইভার

    ED CBI on Cattle Case: সায়গলকে হেফাজতে চায় ইডি, সিবিআই- এর নজরে অনুব্রতর ড্রাইভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) তদন্তের ভার পেয়েছে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। 

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো অনুব্রত মামলায় এখনও যকের ধনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুরুপাচার মামলার বিপুল টাকা কোথায় গেল? এখন সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। তাই এবার মঞ্চে নামতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এবার সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossian) নিজেদের হেফাজতে (Custody) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই 

    ইডি যে এই মামলায় তদন্তে নামতে পারে, এরকম জল্পনা আগেই ছিল। এবার তা সত্যি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই  সায়গল হোসেনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সম্প্রতি সায়গলের বোলপুরের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। এবার ইডির নজরে গরুপাচারের টাকা। 

    কোথায় গেল গরুপাচারের টাকা? তার পরিমাণ কী? কোন কোন খাতে এই টাকা কোথায় পাঠানো হয়েছে? এই সব জানতেই সায়গলকে জেরা করতে চান ইডি গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত এবং সায়গলের বিষয়ে সিবিআই- এর থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে ইডি। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে অনুব্রত মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। 

    এদিকে অনুব্রত, সায়গলের পর এবার সিবিআই- এর স্ক্যানারে অনুব্রতর ড্রাইভার আনারুল শেখ। অনুব্রত মণ্ডলের ড্রাইভারের ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ির রহস্য কী তা জানতে চায় সিবিআই। 

    দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ড্রাইভার হিসাবে কাজ করছেন আনারুল শেখ। এই আনারুল শেখের (Anarul Shekh) গ্রামের বাড়ি বোলপুর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে খিরুলি গ্রামে। তবে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে তিনি বেশ কয়েক বছর আগে বোলপুরের গুরুপল্লিতে একটি ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ি বানান আনারুল। সেখানেই এখন থাকে আনারুলের পরিবার।

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও! 

    আনারুলের বোলপুরের গুরুপল্লিতে যে বাড়িটি রয়েছে সেই বাড়িটি আনুমানিক তিন কাঠা জায়গার উপর তৈরি। বাড়িটির কারুকার্য চোখে পড়ার মতো। যে জায়গায় এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে সেখানকার জমির মূল্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা কাঠা। পাশাপাশি তাঁদের বোলপুর ইলামবাজার রোডের ওপর একটি এক বিঘা সমান জায়গা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই জায়গার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।   

    অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আনারুল এবং তাঁর দাদার রোজগার নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। যদিও আনারুল শেখের বৌদি দাবি করেছেন, তাঁরা গ্রামের জমি-বাড়ি বিক্রি করে এই বাড়ি তৈরি করেছেন। অন্যদিকে আনারুল শেখের দাদা আলমের দাবি, রাজমিস্ত্রির কাজ করে টাকা জমিয়ে এই সম্পত্তি তৈরি করেছেন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rice Mills and Cattle Smuggling: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা?  কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    Rice Mills and Cattle Smuggling: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারের (Cattle Smuggling) তদন্তে নেমে বীরভূমেই অন্তত ১৭টি চালকলের সন্ধান পেল ইডিসিবিআই (ED-CBI)। জেলার ৮২টি চালকলের মধ্যে এই ১৪টি চালকলে তৃণমূল বোমমারা নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসূত্র রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তবে তদন্ত এখানেই থেমে থাকছে না জেলার এক মন্ত্রী এবং এক বিধায়কের বকলমে নেওয়া কয়েকটি চালকলের সন্ধানও তদন্তকারীরা পেয়েছেন। অনুব্রত পর্ব মেটার পরই ওই চালকলগুলি নিয়ে তদন্ত শুরু করবে ইডি। কারণ, জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের অধীনে যে চাল মিলগুলি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল তাতেও প্রভাব খাটানো হয়েছে। বীরভূমের অন্য চালকলগুলিকে বঞ্চিত করে বিপুল পরিমাণে চাল রাজ্য খাদ্য দফতরকে সরবরাহ করেছে অনুব্রত ও তার বেনামে থাকা চালকলগুলি। অন্য চালকল মালিকেরা সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিশদ তথ্য তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    তদন্তকারী সূত্রের খবর, ২০১১ সালে সরকারে আসার পর থেকেই বীরভূমের একের পর এক চালকল হাতে নিতে থাকেন অনুব্রত ও তাঁর বেনামিরা। গত ১১ বছরে এমনই ১৭টি মিল দখল করেছে তাঁরা। এখন ইডির তদন্তের সামনে তাঁদের দেখাতে হবে, কীভাবে লগ্নি এনে এই চালকলগুলি তাঁরা দখল করেছিলেন বা কিনে নিয়েছিলেন। তদন্ত সংস্থা সূত্রের দাবি, শ্রী অম্বিকা, শান্তিময়ী, সাংড়া, সর্বোত্তম, জয় মা দুর্গা, জয় মা ভগবতী, জয় মা মহায়ামা, শ্রী কৃষ্ণ, শিবশম্ভু, মোহনানন্দ, জয় ভারত, সিউড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় কৃষি বিপণনের নামে থাকা মিল, ইলামবাজারের জোনাল কোঅপারেটিভের অধীনে থাকা চালকল, ভোলে ব্যোম, বাবা জম্পেশ্বর, জয় বাবা জম্পেশ্বর, জম্পেশ্বর অ্যাগ্রো নামে চালকলগুলিতে অনুব্রত মণ্ডলের বিনিয়োগ লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া বর্ধমান এবং পুরুলিয়ার কয়েকটি মিলেও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের।

    ইডি-সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতের কন্যা, বিদ্যুৎ গায়েন, রাজীব ভট্টাচার্য, চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব মজুমদার, রাজা ঘোষ, সিদ্ধার্থ মণ্ডলের নামে থাকা মিলগুলি নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। চালকল মালিকদের নথিপত্র, ব্যাংকের কাগজপত্র দেখিয়ে প্রমাণ করতে হবে তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের টাকা এই চালকলগুলিতে খাটাচ্ছেন না। তাঁদের নিজস্ব বিনিয়োগের তথ্যও দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালের পর থেকে পর পর চালকলে যে বিপুল বিনিয়োগ হয়েছে তাতে গরু, কয়লা, বালি, পাথরের বেআইনি টাকা ঢুকে থাকতে পারে। সেই কারণেই তদন্তের মুখে এই ১৭টি মিল। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ওই মিলগুলির মালিকরা তাঁদের স্বাধীন লগ্নির তথ্য না দিতে পারলে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা আলাদাভাবে রুজু হবে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও!

    Anubrata Mondal: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2022)। ধুমধামের সঙ্গে এই বিশেষ দিন পালিত হচ্ছে। এর জন্য সেজে উঠেছে বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠ মন্দির (Tarapith Temple)। অতীতে, প্রতিবছর এই কৌশিকী অমাবস্যা ঘটা করে পালন করে এসেছেন মা কালীর (Goddess Kali) ভক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আর কালীপুজোর আয়োজনে কোনও খামতি থাকত না। জাঁকজমক করে এই উৎসব পালন হত তাঁর বাড়িতে। শোনা যায়, কালীপুজোয় প্রতিমাকে প্রায় ২৫০-৩০০ ভরি সোনার গয়নায় সাজিয়ে পুজো করতেন অনুব্রত। আবার কখনও, সোজা তারাপীঠ মন্দিরে হাজির হয়ে যেতেন বীরভূমের একসময়ের ‘বেতাজ বাদশা’।

    কিন্তু, এবছর যেন সব ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। গরুপাচার মামলায় এখন শ্রীঘরে রয়েছেন কেষ্ট। বর্তমানে, কেষ্টর ঠিকানা আসানসোল জেল (Asansol Jail)। সেখানেই ১৪ দিনের হাজতবাস কাটাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায়, কার্যত বাধ্য হয়ে জেলের মধ্যেই পুজো সারলেন কেষ্ট। সূত্রের খবর, এদিন, জেলেই পুজো দিলেন অনুব্রত। সংশোধনাগারে মায়ের কোনও বিগ্রহ নেই। তবে মা কালীর একটা ছবি আছে। সকাল সকাল স্নান সেরে আসানসোল সংশোধনাগারের হনুমান মন্দিরে মা তারার ছবিতে লাল জবা, ধুপ ও নকুলদানা দিয়ে পুজো দিলেন অনুব্রত। তাঁর প্রসাদও অন্যান্য বন্দিদের মধ্যে বিতরণ করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    এদিকে, সূত্রের আরও খবর, আসানসোল সংশোধনাগারে যে হাসপাতাল রয়েছে, সেই  দু’টি ঘরের মধ্যে একটিতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ওই ঘর লাগোয়া পৃথক কমোডযুক্ত শৌচাগারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে তাঁর জন্য। তবে সংশোধনাগারে কেষ্টকে কোনও  বিশেষ আতিথেয়তা দেওয়া হচ্ছে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের নির্দেশে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর হচ্ছে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা৷ গত স্বাস্থ পরীক্ষায় জানা গিয়েছে তাঁর ওজন কমেছে৷ জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ৩ কেজি ওজন কমে গিয়েছে৷ ১১২ কেজি থেকে কমে এখন তাঁর ওজন দাঁড়িয়েছে ১০৯ কেজি৷ অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার কথা চিন্তা করে আপাতত জেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁকে৷

    আরও পড়ুন: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বা ডিএ (Dearness Allowance)। ২০ মে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই সময়সীমার আড়াই মাসের মাথায় নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Govt.)।

    ডিএ (DA) নিয়ে টালবাহানার এই আবহে দুর্গোৎসবের (Durga Puja 2022) দেড়মাস আগে রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এহেন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে তিনটি মামলা। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে বলে একটি সূত্রের খবর। 

    গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার করে টাকা। এবার অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেবল অনুদান বাবদ যে টাকা দেওয়া হবে পুজো কমিটিগুলিকে, তার পরিমাণ ২৪০ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

    সরকারের এহেন ‘অনুদান’-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। মামলাকারীদের প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মীদের ডিএ না দিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? কেন বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত? যেখানে বহু মানুষ এখনও খাবার, বিশুদ্ধ জল, বিদ্যুৎ, ওষুধ পাচ্ছেন না, সেখানে কেন এই খয়রাতি? কোন বৃহত্তর স্বার্থে লাগবে এই অনুদান?

    আরও পড়ুন : কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩১ শতাংশ। পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্তে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা বলছেন, এই গরু চুরির টাকায় পুজোর অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এই চুরির টাকায় কতজন মানুষ পুজো করবে বা দেখতে আসবেন, তা ঈশ্বরই জানেন।

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (West Bengal Panchayat Elections)। সেই কারণে দরাজ হস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। অন্য একটি কারণও রয়েছে। সেটি হল, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে দলের হেভিওয়েট দুই নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তার জেরে মুখ পুড়েছে তৃণমূল সরকারের (TMC Government)। সেদিক থেকে রাজ্যবাসীর অভিমুখ ঘোরাতেই অনুদানের সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Recruitment Scam: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    SSC Recruitment Scam: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) যত তদন্ত এগোচ্ছে, ততই এক-এক করে রহস্য ফাঁস হচ্ছে। ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ছে এক এক করে বেড়াল। কয়েকদিন আগেই, এই মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ এক মিডলম্যান প্রদীপ সিংকে (Pradip Singh) গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এবার সেই প্রদীপকে জেরা করে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার আরেক মিডলম্যান প্রসন্ন কুমার রায়কে (Prasanna Roy) শুক্রবার সন্ধেয় সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    কে এই প্রসন্ন রায়? সিবিআই সূত্রে খবর, প্রদীপের মতো ধৃত প্রসন্নও পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে, সম্পর্কে তিনি নাকি পার্থর ভাগ্নি-জামাইও। কেন সিবিআইয়ের নজরে এলেন প্রসন্ন? সল্টলেকে প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক তথ্য এবং নথি উদ্ধার করেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই অফিসেই বসেই নাকি হত এসএসসি কাণ্ডের টাকার লেনদেন। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    সূত্রের দাবি, মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে, সেই সব চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার কাজ চলত সেখান থেকেই। তদন্ত করে সিবিআই জানতে পেরেছে, প্রায়ই রাতে একাধিক গাড়ি করে আসত টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসত, কে পাঠাত, কোথায় যেত, কার কাছে যেত— এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। 

    ইতিমধ্যেই, প্রসন্নর উল্কার বেগে উত্থানের কাহিনী শুনে রীতিমতো চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রসন্নর এই উত্থান যে কোনও কল্পনাকেও হার মানাবে। কী জানতে পেরেছে সিবিআই? তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন এই প্রসন্ন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ এতটাই যে শুনলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! কয়েক বছর আগে পর্যন্ত সামান্য রং-মিস্ত্রির কাজ করতেন প্রসন্ন। সেখান থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘হাতযশেই’ ফুলেফেঁপে ওঠেন তিনি। সিবিআই জানতে পেরেছে, এখন তিনি দুবাইয়ে হোটেলের মালিক! পরে রঙের ঠিকাদারির ব্যবসা শুরু করেন। তারপর নাকি আচমকা এমন উত্থান! বর্তমানে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার অফিস রয়েছে তাঁর। 

    কী আছে সেই সম্পত্তির তালিকায়? সিবিআই জানতে পেরেছে, সল্টলেক ও নিউটাউন এলাকায় একাধিক সম্পত্তি রয়েছে এই প্রসন্নর। নিউটাউনের বলাকা আবাসনে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। নিউটাউনে অন্তত পাঁচটি বাগান বাড়ি রয়েছে তাঁর। কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় একটি অভিজাত ভিলা রয়েছে প্রসন্নর— বিশাল ভিলা, সামনে বাগান একেবারে চোখ ধাঁধানো। 

    আরও পড়ুন: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    এছাড়া, রাজারহাটের ধারসাইতে তাঁর তিন তলা বাগান বাড়ির হদিশ মিলেছে বলেও সূত্রের খবর। এ ছাড়া একাধিক জমির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই বাগান বাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিক বার গিয়েছেন বলেও সিবিআই সূত্রে দাবি৷ সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যের চারদিকে যেমন— দিঘা, সুন্দরবন, জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গে রিসর্ট রয়েছে প্রসন্নর। বেশ কয়েকটি চা বাগানেরও মালিক তিনি। উত্তরবঙ্গে তাঁর নামে কয়েক বিঘা জমিরও তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। হোটেল ব্যবসা রয়েছে পুরী, উত্তরাখণ্ডেও। এমনকী দুবাইতেও তাঁর হোটেল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। 

    প্রশ্ন হচ্ছে, একজন রঙের ঠিকাদারের এত বিপুল সম্পত্তি, এত বৈভব কী ভাবে হল? তাহলে কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকার সঙ্গে এই বিপুল সম্পত্তির যোগ রয়েছে? এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে একের পর এক হোটেলের মালিক হলেন প্রসন্ন? তাঁর আয়ের উৎস কী? এই সব প্রশ্নের উত্তরই জানতে চাইছে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রসন্ন ও প্রদীপ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বিশেষ করে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কীভাবে ঘুরপথে সাদা করা যায়, সেই কাজই চালাত এই দুই ধৃত মিডলম্যান। অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসএসসি-র নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগা করতেন প্রদীপ।

    সিবিআই জানতে পেরেছে, শান্তিপ্রদসাদের ফোনে প্রদীপ সিং-র নাম ছোটু বলে সেভ করা ছিল। প্রদীপের ডাক নাম ছোটু। দুজনের কখোপকথনও হোয়াটসআপে পাওয়া গিয়েছে। প্রদীপ সিংকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার প্রসন্নকেও হেফাজতে চাইবে সিবিআই। সূত্রের কবর, হেফাজতে নেওয়ার পর প্রদীপ ও প্রসন্ন দু’জনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসএসসি দুর্নীতির অনেক প্রশ্নের উত্তরই মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Smuggling Case: এবার কয়লাপাচার মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা আইপিএস সেলভা মুরুগানের

    Coal Smuggling Case: এবার কয়লাপাচার মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা আইপিএস সেলভা মুরুগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই কয়লাপাচার কেলেঙ্কারি (Coal Smuggling Scam) নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। তদন্ত করতে ময়দানে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এই মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। ৮ আইপিএস কর্তাকে (IPS Officers) তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যেই ইডির দিল্লির হেড কোয়ার্টারে হাজিরা দিয়েছেন আইপিএস শ্যাম সিং ও কোটেশ্বর রাও। এবার হাজিরা দিলেন আইপিএস সেলভা মুরুগান (Selva Murugan)।

    আরও পড়ুন: কয়লাপাচার মামলায় কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং- কে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ইডি দফতরে পৌঁছেছেন সেলভা মুরুগান। বর্তমানে তিনি পুরুলিয়ার এসপি। এই নিয়ে পরপর দু দফায় ওই জেলার পুলিশ সুপার পদে রয়েছেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ওই একই পদে ছিলেন সেলভা মুরুগান। ভোটের সময় তাঁকে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হলেও, ফের একই পদে নিযুক্ত হন ২০১০ সালের ব্যাচের ওই আইপিএস। 

    ইডি গোয়েন্দাদের দাবি, কয়লাপাচারের মূল হোতা লালার অফিস থেকে পাওয়া ডায়েরীতে এই পুলিশ কর্তার নামের উল্লেখ ছিল। এই বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন কিনা, বা জানলেও এই অপরাধের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা, আইপিএসকে মূলত এই প্রশ্নই করবেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা বলে ইডি সূত্রের খবর। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও

    রাজ্যের পশ্চিমের জেলা গুলির সঙ্গে কয়লাপাচারের যোগ পেয়েছে ইডি। লালার লোকজন কী ভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কয়লাপাচার করত মূলত সেই রহস্যই উন্মোচন করতে চায় ইডি। তাই ওই সব জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে যাঁরা ছিলেন বা আছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।   

    ইডি সূত্রে খবর, সরাসরি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে অনেক পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধেই। লরি করে কয়লা পাচার হত পুলিশের চোখের সামনেই এমন অভিযোগও রয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পুলিশ চাইলেই পাচার আটকাতে পারতেন বলে মনে করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির দাবি, ওই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে টোকেন নম্বর দেওয়া থাকত, আর তা দেখে ছেড়ে দেওয়া হত কয়লার গাড়ি। অভিযোগগুলিতে কতটা সত্যতা আছে এখন তাই খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। 

    মুরুগান ছাড়াও আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং, রাজীব মিশ্র, সুকেশকুমার জৈন, শ্যাম সিং, কোটেশ্বর রাও, তথাগত বসু ও ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। জ্ঞানবন্ত সিং হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। হাজিরার জন্যে ইডির কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। শ্যাম সিং ও কোটেশ্বর রাও ইতিমধ্যে হাজিরা দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • College Teachers Transfer: কলেজ শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে অনলাইন বদলি ব্যবস্থা, জানুন কবে

    College Teachers Transfer: কলেজ শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে অনলাইন বদলি ব্যবস্থা, জানুন কবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) জন্য অনলাইনে বদলির (On Line System) ব্যবস্থা চালু হয়েছে আগেই। এবার একই ধাঁচে অনলাইন বদলির ব্যবস্থা চালু হচ্ছে রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকদের জন্যও। শুক্রবার এ খবর জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি জানান, সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলির শিক্ষকরা অনলাইনের মাধ্যমে শীঘ্রই বদলির আবেদন করতে পারবেন।

    এতদিন রাজ্যের স্কুল কিংবা কলেজের শিক্ষকদের বদলি নিতে গেলে ঝক্কি পোহাতে হত। পরে স্কুল শিক্ষকদের জন্য অনলাইন বদলি ব্যবস্থা চালু হয়। রাজ্য সরকারের তৈরি ওই পোর্টালের নাম দেওয়া হয় উৎসশ্রী। সেই পোর্টাল চালুর পরে অনলাইনে আবেদন করে নিজের জেলায় কিংবা বাড়ি থেকে স্বল্প দূরত্বের স্কুলগুলিতে বদলি হয়ে আসতে পারছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। সেই কারণেই হয়তো কোচবিহারের কোনও কলেজের শিক্ষক চাকরি করছেন কাকদ্বীপের কোনও কলেজে। দক্ষিণবঙ্গের কোনও শিক্ষককে হয়তো ঘরসংসার ছেড়ে যেতে উত্তরবঙ্গের কোনও কলেজে পড়াতে। এতদিন এ নিয়ে বারংবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা। তার পরেও টনক নড়েনি সরকারের।

    আরও পড়ুন : এনআইআরএফ তালিকায় দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি মাদ্রাজ, সেরা কলেজ মিরান্ডা হাউজ

    তবে ইদানিং একের পর এক কেলেঙ্কারির জেরে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। এর মধ্যে অন্যতম স্কুল শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই কলেজ শিক্ষকদের বদলির জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে বিষয়টিতে স্বচ্ছতা নিয়ে আসতে চাইছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত ৪৫০টি কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা। বর্তমানে বদলির জন্য কলেজ শিক্ষকদের আবেদন করতে হয় উচ্চ শিক্ষা দফতরের অফিসে। বিষয়টিতে সময় লাগে ঢের বেশি। কোন কলেজে কত শূন্যপদ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখেই নিতে হয় ব্যবস্থা। ব্রাত্য জানান, অনলাইল সিস্টেম চালু হলে এই সমস্যা দূর হবে। উপকৃত হবেন রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছি আমরা। ব্যবস্থাটি চালু হলে যে কোনও শিক্ষক অনলাইনে শূন্যপদ দেখে পোস্টিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দু-তিন দিনের মধ্যেই আমরা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করব, জানান ব্রাত্য।

    আরও পড়ুন : বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI on SSC Scam: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    CBI on SSC Scam: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (SSC Recruitment Case) নয়া মোড়!

    এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) উপাচার্য (Vice Chancellor) সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বুধবার প্রায় ১২ জন তদন্তকারীর একটি দল উপাচার্যের কোয়ার্টার ও দফতরে তল্লাশি চালায়। সূত্রের খবর, সুবীরেশের দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটেও হানা দেন সিবিআইয়ের কয়েকজন আধিকারিক।

    জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে সুবীরেশ ছিলেন ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম রয়েছে তাঁর। বাগ কমিটির ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষাই দেননি ২২২ জন। এনিয়ে চলছিল বিচারবিভাগীয় তদন্ত। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন সুবীরেশের দুই ডেরায় হানা দেয় সিবিআই। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন সুবীরেশ। তার পরে পরেই উত্তরবঙ্গে তাঁর কোয়ার্টার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এদিকে এদিনই সিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট।

    আরও পড়ুন : এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। প্রচুর সোনাও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। পার্থর দাবি, ওই টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অর্পিতারও দাবি, টাকার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। পার্থর লোকজনই ফ্ল্যাটে গিয়ে টাকা রেখে আসতেন। পার্থ গ্রেফতার হতেই উঠে আসে সুবীরেশের নামও। সিবিআই সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সুবীরেশকে জেরা করলেই হাতে আসবে অনেক অজানা তথ্য। তাই তাঁকে জেরা করা প্রয়োজন। সেই কারণেই এবার সুবীরেশের ডেরায় হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share