Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Income Tax Raid: তৃণমূলের ‘হিসাব’ রাখা আইনজীবীর বাড়িতে আয়কর হানা কেন? কী পাওয়া গেল জানেন?

    Income Tax Raid: তৃণমূলের ‘হিসাব’ রাখা আইনজীবীর বাড়িতে আয়কর হানা কেন? কী পাওয়া গেল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত এক আইনজীবী এবং চার্টার্ড ফার্মের কর্ণধারের বাড়ি ও অফিসে তিনদিন ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। উদ্ধার হয়েছে নগদ কয়েক কোটি টাকা। ওই দুজনের বাড়ি ও অফিস থেকে পাওয়া নথিপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ থেকেও বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।

    এই দুই ব্যক্তি শাসক দলের মুখপত্র, দলীয় তহবিল এবং কয়েকটি আরও গোপন লেনদেনের হিসাব দেখতেন বলে আয়কর অফিসারদের একাংশ দাবি করেছেন। সূত্রের খবর, আয়কর দফতরের দিল্লি থেকে আসা বিশেষ দল এই তল্লাশি চালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কলকাতার আয়কর দফতরে এতটাই প্রভাব রয়েছে যে মন্ত্রক স্থানীয় অফিসারদের উপর ভরসা করেনি বলে জানা গিয়েছে। 

    কেন ওই দুই ব্যক্তি আয়কর দফতরের নজরে এসেছেন?

    আয়কর দফতর সূত্রের একাংশের দাবি, নোটবন্দির সময় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদ্বয়ের যোগাযোগ বাড়ে। আগে যে সংস্থা শাসক দলের হিসাব পরীক্ষার কাজ করত নোটবন্দির পর তাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে শাসক দলের প্রভাবশালীদের। তারপরই ক্ষমতার অলিন্দে প্রভাব বাড়তে থাকে এই আইনজীবীর। 

    আয়কর কর্তাদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনুমোদন না করলে শাসক দলের দুই প্রভাবশালী কোনও আর্থিক সিদ্ধান্ত নাকি ইদানীং নেন না। এহেন ব্যক্তির বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা এবং নথিপত্র-নগদ উদ্ধার নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে।

    আয়কর কর্তারা জানাচ্ছেন, শাসক দলের মুখপত্রের তহবিলেই সারদা-রোজভ্যালির মতো চিটফান্ডের মালিকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি কিনে টাকা জমা দিয়েছিলেন। এনিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের বয়ান আগেই রেকর্ড করেছে সিবিআই।

    শাসক দলের যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের খবরাখবর রাখতেন, সেই কারণেই কি ওই ব্যক্তির বাড়িতে আয়কর তল্লাশি চালানো হল-এমন চর্চাও বিভিন্ন মহলে চলছে। কারণ, ভবানীপুর এলাকায় নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো থেকে অভিজাত ক্লাবের পরিচালক হিসাবে বসে থাকা ওই আইনজীবী শহরের গণ্যমান্যদের মধ্যেই পড়েন। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলত্যাগী রাজ্যসভার এক প্রাক্তন সাংসদের সম্পর্কও সর্বজনবিদিত।
      
    যদিও আয়কর কর্তারা জানাচ্ছেন, পুরনো একটি বেনামি সংস্থার নামে এন্ট্রি অপারেশনের কাজে গোলমাল ধরা পড়েছে। সে জন্য তল্লাশি। তা ছাড়া অন্য নানা সংস্থার বিরুদ্ধেও তল্লাশি চলছে। নথিপত্রে যদি শাসক দলের সঙ্গে বেআইনি কারবারের যোগ মেলে তখন তারও তদন্ত হবে। এটা তদন্তের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘটনাচক্রে কলকাতার দুই ব্যক্তির সঙ্গে শাসক দলের দুই প্রভাবশালীর যোগাযোগ থাকায় তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কৌতুহল দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে আয়কর তল্লাশির কারণও খুঁজতে শুরু করেছেন অনেকে।

    কৌতুহল বাড়ছে এর পর কী হয় তা জানারও। কারণ আয়কর দফতরের তল্লাশির পরেই কয়লা কাণ্ডের জাল বহুদূর বিস্তার লাভ করেছে। বৃহস্পতিবারই কলকাতার ইডি দফতরে কোলের শিশুকে নিয়ে হাজিরা দিতে হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পত্নী রুজিরাকে। তাই অনেকের প্রশ্ন, এবারের আয়কর হানার অনুবর্তী পদক্ষেপও কি রোমহর্ষক হবে? আয়কর কর্তাদের জবাব, এখন নথি যাচাই চলছে। কিছু বলা যাচ্ছে না। 

  • Suvendu Adhikari: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

    Suvendu Adhikari: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বিস্ফোরণ ও বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারের মতো ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিও জানান তিনি।

    গত সপ্তাহে পাণ্ডবেশ্বরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ৩০ জুন বীরভূমে প্রচুর পরিমাণ জিলেটিন স্টিক, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সোমবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাঘারপুর রমনা এলাকায় প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা তল্লাট। মৃত্যু হয় সিরাজুল শেখ নাম বছর সাতাশের এক যুবকের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে হাত উড়ে গিয়েছে তার সঙ্গী নাজমুল শেখের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমুল। স্থানীয়দের অভিযোগ, বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয়েছিল। পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে।

    আরও পড়ুন : আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ

    এই প্রথম নয়, জানুয়ারি মাসে বেলডাঙায়ও একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। এরকম একের পর এক ঘটনার কথা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) , মালদহ (Malda) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Pargana) নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    শুভেন্দু বলেন, গত সপ্তাহে বীরভূম থেকে ২৪ হাজার কোটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ৮১ হাজার টুকরো ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। যা গোটা বীরভূমকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণ কাদের মারফত পাচার হয়েছিল, আর কোথা থেকে এল, তা জানতেই তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও চিঠিতে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তূপে রয়েছে। জিলেটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করছেন তদন্তকারীরা। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ই-মেইলও করেছি। একের পর এক ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চাই।

     

  • Covid: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের 

    Covid: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  করোনা (Covid) সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের (Kids) মধ্যে। ১২ বছরের নীচে যাদের বয়স, তাদের করোনা প্রতিষেধক (Corona Vaccine) দেওয়া হয়নি। সেই সব শিশুদের মধ্যেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তা সত্ত্বেও অবশ্য শিশুদের স্কুল বন্ধ না করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন কলকাতার(Calcutta) শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। অভিভাবকদের প্রতি তাঁদের আবেদন, করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সেই শিশুকে যেন কয়েকদিনের জন্য স্কুলে না পাঠানো হয়।

    দিন কয়েক ধরে গোটা দেশেই করোনা সংক্রমণের লেখচিত্র ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে সোমবারের পর থেকে সেটা কিছুটা কমেছে। অবশ্য সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের। শিশুদের মধ্যে মূলত ধুম জ্বর, সর্দিকাশির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেটের গন্ডগোলও হচ্ছে। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ঠিকই, তবে তা কোনওভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক নয়।

    আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু

    ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হানায় ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল ভারতে। সেই সময় শ্বাসকষ্ট ছিল অন্যতম মূল উপসর্গ। সেবারও শিশুরা সংক্রমিত হয়েছিল। তবে তখন সংক্রমিত শিশুদের সিংহভাগকেই ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। এবার অবশ্য এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। সিএমআরআই হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শতরূপা মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা খুব কম শিশুর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। গতবার যেটা খুব বেশি ছিল। তিনি বলেন, ১২ বছরের শিশুরা যেহেতু টিকাপ্রাপ্ত নয়, তাই অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের জ্বর বা কাশি হলে স্কুলে পাঠানো যাবে না।

    আরও পড়ুন : সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    কলকাতার বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, এবার সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়েছে। কিন্তু যেহেতু রোগীরা মূলত মৃদু উপসর্গেই সংক্রমিত, তাই জরুরি কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এবারের মূল উপসর্গ মৃদু জ্বর ও সর্দিই। এই সংক্রমণের জেরে শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। সংক্রমণ বাড়লেও, স্কুল বন্ধ না করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন আর এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শান্তনু রায়। তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমাধান নয়। কারণ এর ফল মারাত্মক। শিশুরা প্রায় দু বছর স্কুলে যায়নি। তাই তাদের ক্যাম্পাসে ফিরতেই হবে। মাস্ক পরতে বাধ্য করা, জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের স্কুলে না পাঠানো, ঘেঁষাঘেঁষি না করে বসার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে স্কুলগুলিকে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৩ জন। এর মধ্যে কলকাতায়ই সংক্রমিত হয়েছেন ৭১৭ জন।

     

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। বিরোধী দলনেতার কনভয়ে (Convoy) আচমকা ধাক্কা মারল লরি (Truck)। কাঁথির বাড়ি থেকে তমলুকে আসার পথে শুভেন্দুর কনভয়ে ধাক্কা মেরেছে লরিটি। শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ ১১৬বি জাতীয় সড়কে মারিশদার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও আঘাত লাগেনি। সুস্থ আছেন তিনি। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তমলুকের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। লরিচালক পলাতক। ঘটনাস্থলে যায় মারিশদা থানার পুলিশ। আপাতত চালকের খোঁজ চলছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের    

    দুর্ঘটনার জেরে শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা ওই গাড়ির সামনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। মারিশদায় একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়িতে ধাক্কা দেয় লরিটি। কনভয়ের গাড়ির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগলেও শুভেন্দু অন্য গাড়িতে থাকায় সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এদিন দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে সাময়িক যানজটও তৈরি হয়। পরে শুভেন্দু নিজের গন্তব্যে রওনা দেন। নিছকই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র? তা খতিয়ে দেখছে মারিশদা থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর 

    দুর্ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতার কনভয়ের ওই গাড়ির চালকসহ আরও একজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরেই গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় চালক। পরে গাড়িটি আটক করে মারিশদা থানার পুলিশ। চালকের খোঁজ শুরু হয়েছে।  

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রথযাত্রা উপলক্ষে আজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। তমলুকের ইসকন মন্দিরে যাওয়ার জন্য এদিন দুপুরে বাড়ি থেকে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। ১১৬বি জাতীয় সড়ক দিয়ে শুভেন্দুর কনভয় যাচ্ছিল। সেই সময় আচমকা কনভয়ের একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে লরিটি। তার পরই গাড়িটিকে ধাওয়া করতে শুরু করে পুলিশ। যদিও লরি সমেত চালক পালিয়ে যান।   

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তা সত্ত্বেও কীভাবে কনভয়ে লরিটি ঢুকল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

     

  • Arpita Mukherjee Properties: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    Arpita Mukherjee Properties: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির (Arpita Mukherjee Properties) খোঁজ পেতে কলকাতার একাধিক জায়গায় একযোগে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেলঘরিয়ার অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কসবায় সংস্থার অফিস— সর্বত্র তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে ইডি-র (ED) কাছে এখন ‘তুরুপের তাস’ হয়ে উঠেছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিনেত্রী-মডেল অর্পিতা। বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অর্পিতা। তাঁকে ক্রমাগত পালা পালা করে জেরা করে চলেছেন ইডি-র দুঁদে অফিসাররা। আর সেই জেরা থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে তদন্তকারী দল। 

    গত শুক্রবার, টালিগঞ্জে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না। এছাড়া ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে। একেবারে, ২ হাজার ও ৫০০-র নোটের ২ বস্তা ভর্তি বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    এখানেই শেষ নয়। ইডি সূত্রের দাবি, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, জমি-বাড়ি ও অফিস সংক্রান্ত একাধিক দলিল। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অর্পিতার অনেক ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে। সেগুলিকে নিয়ে অর্পিতাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করা হচ্ছে। ইডি-র আরও দাবি, নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক অর্পিতা। জেরা থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে সেই সম্পত্তির হদিশ পেতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    যার প্রেক্ষিতে, আজ অর্পিতার কোথায় কী কী সম্পত্তি রয়েছে, তার হদিশ পেতে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। একটি দল বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হাজির হয়েছে। রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে রয়েছে অর্পিতার ২টি ফ্ল্যাট। একটি ১১০০ ও আরেকটি ১৪০০ স্কোয়ার ফিটের। ২টি ফ্ল্যাটের একটি রয়েছে ব্লক-২ তে, আরেকটি ব্লক-৫ তে। ২টি ফ্ল্যাটই এই মুহূর্তে তালাবন্ধ। কাছেই, বেলঘরিয়া দেওয়ান পাড়ায় রয়েছে পৈতৃক বাড়ি। সেখানে থাকেন তাঁর মা মিনতি মুখোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    ইডি-র আরেকটি দল তখন হানা দিয়েছে কসবার রাজডাঙায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সংস্থা ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টের অফিসেও। সেখানেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। ইডি জানতে পেরেছেন, এই সংস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

  • Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগদানের পর এই প্রথম বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেনের অফিসে পা রাখলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। জানালেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন। এক সাধারণ কর্মীর মতোই দলের সব নির্দেশ পালন করবেন। কাজ করবেন বাংলার মানুষের জন্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ছিলেন রাজ্য বিজেপির তারকা-প্রচারক। কিন্তু ভোটে দলের বিপর্যয়ের পর বঙ্গ-রাজনীতির ময়দানে তাঁকে আর সে ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। সোমবার ফের বঙ্গ রাজনীতিতে যোগ দিলেন ‘ডিস্কো-কিং’। এদিন রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর মিঠুন চক্রবর্তী  বলেন, ‘‘দল আমাকে যে কাজ দিয়েছে, তা করে যাব আমি। আমি রাজনীতি করি না, আমি মানুষ-নীতি করি। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই এবং সেটা করবও।’’

    সোমবার সকালেই কলকাতায় পৌঁছন মিঠুন। যদিও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। পরে সন্ধ্যা নাগাদ মিঠুন পৌঁছে যান বিজেপির দফতরে। সেখানে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু কী নিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি মিঠুন। তিনি বলেন, “সব ঠিক সময় মতো জানতে পারবেন।” শুধু জানান, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁকে কিছু কাজ দিয়েছেন। সেই কাজ তিনি করবেন। প্রসঙ্গত, সোমবার বৈঠকে সুকান্ত ছাড়াও হাজির ছিলেন রাহুল সিন্‌হা, রুদ্রনীল ঘোষ এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী-সহ অন্য নেতারা। “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে আমি কলকাতায় এসেছি। তবে বাংলায়  আমার ‘বস’ (BOSS) সুকান্ত মজুমদার। ওঁর নির্দেশে বাংলার মানুষের স্বার্থে আন্দোলনে সামিল হব।” কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশে বসিয়ে একথা বলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

    আরও পড়ুন: “বাংলার হারানো গৌরব ফেরাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ”, রাজ্য সফরে এসে নাড্ডা

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টানা ৫৫ দিন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু ফলাফলে বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় বিজেপির। যদিও এতে মোটেই তিনি হতাশ নন তা জানিয়ে মিঠুনের যুক্তি, পরাজয় হলেও বাংলায় বিজেপির উত্থানে তিনি খুশি। পরিসংখ্যান দিয়ে বিজেপির এই তারকা প্রচারক বলেন, “তিন থেকে আমরা সাতাত্তর হয়েছি। ৫৫ লক্ষ থেকে বেড়ে দু কোটি আঠাশ লক্ষ  মানুষ গত বিধানসভায় আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। তাই নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি গতবারের থেকেও এবার বেশি সময় দেব। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে বিজেপি।”

    গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ব্রিগেডের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন। তার পর থেকে ভোটের সময় রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রোড শো থেকে শুরু করে বহু প্রচার কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই আবার বাংলায় পাঠানো হয়েছে অভিনেতাকে। লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচার চালানোর যে কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব, সেই সব কর্মসূচিতে কাজে লাগানো হতে পারে মিঠুনকে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো হয়নি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।

    রাজ্য বিজেপি-তে মিঠুন কী ভূমিকা পালন করতে চলেছেন জানতে চাইলে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মিঠুনদা হেভিওয়েট প্রচারক, ইংরেজিতে যাকে স্টার ক্যাম্পেইনার বলি আমরা। স্বাভাবিক ভাবেই সেই অস্ত্রকে নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবহার করা হবে। যুদ্ধে সবসময় তো পরমাণু বোমা ব্যবহার করা হয় না! আগে ছোটখাটো হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়। যখন পরমাণু বোমার প্রয়োজন হবে, আমরা চার্জ করব।”

  • Ashutosh Mukherjee: বিচারপতির পাশাপাশি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারকও, জন্মবার্ষিকীতে আশুতোষ-স্মরণ

    Ashutosh Mukherjee: বিচারপতির পাশাপাশি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারকও, জন্মবার্ষিকীতে আশুতোষ-স্মরণ

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে (Calcutta University) সারা বিশ্বের মানচিত্রে (World map) স্থান করে দিয়েছিলেন ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (Ashutosh Mukherjee)। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি। ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থায় লালিত বাঙালিদেরকে ভারতীয় ঐতিহ্য ও বঙ্গসংস্কৃতিতে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেছিলেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। ১৮৬৪ সালের ২৯ জুন জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন যশস্বী ডাক্তার। সে কালের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি ছাত্রদের বাংলায় লেখা বইয়ের অভাব দেখে প্র্যাকটিসের ফাঁকেই লিখেছিলেন বেশ কয়েকটা বই।  তাঁর প্রেরণাতেই ছোট থেকে বাংলা ভাষার প্রতি ভালবাসা জন্মায় আশুতোষের। 

    স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তাঁর কর্মজীবনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। আশুতোষের জন্ম বৌবাজারের মলঙ্গা লেনের এক ভাড়াটিয়া বাড়িতে। তবে তাঁদের পরিবারের আদি বসবাস ছিল হুগলি জেলার জিরাট-বলাগড় গ্রামে। আগাগোড়া মেধাবী ছাত্র ছিলেন আশুতোষ।  ১৮৭৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৮৮৪ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি ও ১৮৮৫ সালে গণিতে এম.এ পাস করেন। পরের বছরে পদার্থবিদ্যাতেও এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৮৮৬ সালে প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ জ্যামিতির ওপর তার কাজের স্বীকৃতি দেন। ১৮৮৮ সালে তিনি বি.এল. ডিগ্ৰি লাভ করেন এবং তখন থেকেই আইন ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি অ্যাকাডেমিক পড়াশোনাও চালিয়ে যান। ১৮৮০ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে বিভিন্ন জার্নালে তিনি উচ্চতর গণিতের উপর প্রায় বিশটির মতো প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। ১৯০৪ সালে তিনি কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯০৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯০৮ সালে তিনি ‘ক্যালকাটা ম্যাথেমেটিক্যাল সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৪ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের  দায়িত্ব পালন করেন।

    আরও পড়ুন: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির

     আশুতোষ যখন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কর্মভার গ্রহণ করেন বাংলায় তখন স্বদেশীদের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন চলছে। অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত ঔপনিবেশিক শিক্ষা পুঁথিগত, কেতাবি ও অবৈজ্ঞানিক এবং এই শিক্ষাব্যবস্থা ব্রিটিশ রাজের জন্য শুধু কেরানিই তৈরি করে। আশুতোষ এ মত মেনে নেননি। তিনিও স্বাধীনচেতা ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষই ছিলেন। তাঁর মতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত পাশ্চাত্য শিক্ষাকেও জাতীয় স্বার্থে ব্যবহার করা সম্ভব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার চেয়েছিলেন। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর জন্য সেই সময়ে তাঁর মতো এক ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন ছিল। তবে কখনওই ব্রিটিশ শাসকদের দাবি মেনে নেনি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি সংস্কার করলেন, স্নাতকোত্তরে খুললেন নতুন নতুন বিষয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব, ফলিত রসায়ন, প্রাচীন ভারত ও ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির মতো বিষয়ের শুরু তাঁর চেষ্টাতেই। নিয়ে এলেন উপযুক্ত শিক্ষক। পদার্থবিদ্যায় সি ভি রমন, রসায়নে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় এলেন পড়াতে। গণেশ প্রসাদ, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, হাসান সুরাবর্দি সকলেই ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়কে এম এ পাশ করার পরেই এম এ ক্লাসে পড়ানোর ভার দিয়েছিলেন আশুতোষ। দর্শনের চেয়ার-অধ্যাপক করে বসিয়েছিলেন এক দক্ষিণী তরুণকে— নাম সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ। শিক্ষার সংস্কারে আদর্শ শিক্ষক ছিলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়।  ১৯২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। ১৯২৪ সালের ২৫ মে পাটনায়  প্রয়াত হন ‘বাংলার বাঘ’।  

  • Malda Bus accident: মালদায় রাস্তার পাশে বাস উল্টে জখম অন্তত ২০ পড়ুয়া, ঠিক কী ঘটেছে?

    Malda Bus accident: মালদায় রাস্তার পাশে বাস উল্টে জখম অন্তত ২০ পড়ুয়া, ঠিক কী ঘটেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক স্কুলবাস দুর্ঘটনায় (School Bus Accident ) জখম অন্তত ২০। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার থানার (English Bazar PS) লক্ষ্মীপুর এলাকায়। বাসটির যাত্রীরা সবাই স্থানীয় একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া (Students)। আহত (Injured) পড়ুয়াদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে মালদহ জেলা হাসপাতালে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন স্কুল ছুটির পরে ৭১ জন পড়ুয়াকে নিয়ে ফিরছিল বাসটি। মালদহ মানিকচক রাজ্য সড়কের লক্ষ্মীপুর এলাকায় আচমকাই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ওই বাসটিকে পিছলাতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন। এর পরেই রাস্তার পাশে উল্টে যায় বাসটি। ভয়ে চিৎকার করতে থাকে পড়ুয়ারা। তাদের আর্ত চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। শুরু হয় উদ্ধার কার্য। খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসে পুলিশও। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি থেকে একে একে বের করা হয় সব পড়ুয়াকেই। এদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জখম হয়েছে। মাথায় আঘাত লেগেছে কয়েকজনের। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনকও। আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি টোটো করেও পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। বর্ষার নরম মাটি নাকি চালকের ভুলে এই ঘটনা তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন ডিএসপি সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। রাজু মোহন্ত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখতে পেলাম বাসটি আস্তে আস্তে উল্টে যাচ্ছে। বাসটি সেই সময় আস্তেই যাচ্ছিল। কী করে যে হল, তা বুঝতে পারছি না। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। স্বাভাবিকভাবেই জ্বালানি নিতে রাস্তা দিয়েই চলাচল করে ভারী যানবাহনও। বর্ষার ভিজে মাটিতে রাস্তাটির ক্ষতি হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা, নাকি চালকের ভুলে এই ঘটনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

     

  • Rath Yatra 2022: পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাচীন রথযাত্রাগুলোও সমান ঐতিহ্যবাহী, জানেন কি?

    Rath Yatra 2022: পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাচীন রথযাত্রাগুলোও সমান ঐতিহ্যবাহী, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথের রথযাত্রা হল বিশ্বের সব থেকে বড় আর প্রসিদ্ধ রথযাত্রা। তবে পুরীর পাশাপাশি,  পশ্চিমবঙ্গেরও বহু প্রাচীন আর প্রসিদ্ধ বেশ কিছু রথযাত্রা এখনও হয়ে থাকে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে মায়াপুরের ইসকনের রথ, তেমনই রয়েছে মাহেশের রথও।

    মাহেশের রথ: পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের অন্যতম প্রাচীন রথযাত্রা হল শ্রীরামপুরের মাহেশের রথযাত্রা। বিশালাকারের এই রথ। রথকে ঘিরে একমাসের মেলাও বসে এই এলাকায়। ১৩৯৬ সাল থেকে এই রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রথের ওজন ১২৫ টন। উচ্চতা ৫০ ফুট। চাকার সংখ্যা ১২টি। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেঅ এখানে দর্শনার্থীরা আসেন না, দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের মানুষও আসেন এখানে। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে শুরু হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন

    গুপ্তিপাড়ার রথ: হুগলির গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা বাংলার রথযাত্রাগুলোর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত রথযাত্রা। ১৭৪০ সালে এই রথ উৎসব শুরু করেন মধুসূদানন্দ। তবে এই নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। গুপ্তিপাড়ার রথের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হল ৪০ কুইন্টাল খাবারের ভাণ্ডার লুট প্রথা। পুরীর রথকে যেমন জগন্নাথ দেবের রথ বলে, গুপ্তিপাড়ার রথকে বলে বৃন্দাবন জীউর রথ। এই রথের ১৬টি চাকা। উচ্চতা ৩৬ ফুট।

    মায়াপুরে ইসকনের রথ: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মস্থান নদীয়ার মায়াপুরে ইসকনের রথ খুবই প্রসিদ্ধ। মহা সমারোহ এবং ভক্ত সমাগমের সঙ্গে এখানে রথযাত্রা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত রথ উৎসব। 

    মহিষাদলের রথ: পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রা খুবই বিখ্যাত। এটি দুশো বছরের পুরোনো রথ। ১৭৭৬ সালে মহিষাদল বাড়ির জমিদার আনন্দলালের স্ত্রী জানকী এই উৎসবের শুরু করেন। তোপধ্বনি করে রথযাত্রার সূচনা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    রাজবলহাটের রথ: হুগলির জঙ্গিপাড়ার রাজবলহাটের রথযাত্রা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিখ্যাত রথযাত্রা। এই রথে জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রার পরিবর্তে রাধাকৃষ্ণকে বসিয়ে টানা হয়। সঙ্গে থাকেন নিতাই-গৌরও।

    আমাদপুরের রথ: বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম আমোদপুর বা আমাদপুর। গ্রাম ছোট্ট হলেও, এই গ্রামে রথযাত্রা পালন করা হয় ধুমধাম করে। গ্রামের জমিদার পরিবারের দেবতা হলেন রাধামাধব। সেই রাধামাধবকে নিয়ে হয় রথযাত্রা। গ্রামেরই প্রাচীন মন্দিরে পুজো হয় তাঁর। রথের দিন সকালে তাঁকে প্রথমে দুর্গাবাড়ি (মা দুর্গার মন্দির), পরে সারা গ্রাম ঘোরানো হয়।

  • BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র (NDA) বাজি বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi murmu)। জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলিও। তা সত্ত্বেও রাজ্য বিজেপি  ভোট চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীদের কাছেও। সেই মতো দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখল বঙ্গ বিজেপি। চিঠির নীচে সই করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুন : এখনও অন্ধকারে! অবশেষে বিদ্যুৎ এল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী। নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রপতি যাতে সর্বসম্মতভাবে মনোনীত হন সেজন্য বিরোধীদের কাছে আবেদন করেছিলেন রাজনাথ। তার পরেও বিজেপিকে মাত দিতে সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দিয়েছে ১৮টি বিরোধী দল। প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী তথা  তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু প্রথম কোনও জনজাতি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। আমরা চাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকেই নির্বাচিত করুন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    রাজনৈতিক মহলের হিসেব বলছে, সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে দ্রৌপদী অনেক এগিয়ে।এডিএর শরিক নয়, এমন কয়েকটি দলও দ্রৌপদীকেই সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। তাই দ্রৌপদীর জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মমতা সহ রাজ্যের সব বিধায়ক ও তৃণমূল (TMC) এবং কংগ্রেসের (Congress) সাংসদদের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। মমতাকে পাঠানো চিঠিতে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে, দ্রৌপদীদেবীর বিজয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আপনার কাছে তাঁর হয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। কারণ, বর্তমান সময়ের কষ্ঠিপাথরে শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হওয়া সর্বোত্তম পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।

     

LinkedIn
Share