Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Babul Supriyo Oath Controversy: ‘বিধায়ক’ বাবুলের দুবার শপথ! প্রথমে প্রকাশ্যে, পরে গোপনে, কেন জানেন? 

    Babul Supriyo Oath Controversy: ‘বিধায়ক’ বাবুলের দুবার শপথ! প্রথমে প্রকাশ্যে, পরে গোপনে, কেন জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালিগঞ্জের বিধায়ক (Ballygunge TMC MLA) বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) শপথ গেরো যেন কাটছে না। দেশে কোথাও যা ঘটেনি তাঁর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) তেমনই ঘটেছে। এক বিধায়ককে দুবার শপথ নিতে হয়েছে। এক বার প্রকাশ্যে, একবার লুকিয়ে। কারণ দিনক্ষণ জানা গেলেও কোথায়, কবে তাঁকে স্পিকার শপথ পাঠ করিয়েছেন তা কেউ বলতে পারছেন না। যদিও সংসদীয় বিষয়ক দফতরের ফাইলে তা জ্বলজ্বল করছে। আর এমন আজব কাণ্ড জানাই যেত না, যদি না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar) সদ্য রাজভবনে (Raj Bhawan) যাওয়া তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধি দলকে বাবুল-কাণ্ডের কথা না জানাতেন। প্রতিনিধি দলের এক সদস্য মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাবুল সুপ্রিয়র দ্বিতীয় শপথের কথা রাজ্যপালের মুখেই প্রথম শুনেছেন। এমনকি, অস্বস্তি এড়াতে বিধানসভায় শাসক দলের কোর টিমেরও নাকি এসব অজানাই রয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

    ঠিক কি হয়েছিল? বিধানসভা সূত্রের খবর, বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য গত ২৯ এপ্রিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেন। সংসদীয় বিষয়ক দফতর রাজ্যপালের সেই অথরাইজেশন ২ মে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে ডেপুটি স্পিকার রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণে অপারগ। একই চিঠি আশিসবাবু সংসদীয় বিষয়ক দফতরকেও জানিয়ে দেন। এর পর সংসদীয় বিষয়ক দফতর ডেপুটি স্পিকারের অপারগতার কথা জানিয়ে রাজ্যপালকে অবহিত করেন। ফলে ২৯ এপ্রিল রাজ্যপাল যে অথরাইজেশন ডেপুটি স্পিকারকে দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাখ্যান করার সঙ্গে সঙ্গে রাজভবনের সেই আদেশনামা মূল্যহীন হয়ে পড়ে। ৭ মে সংসদীয় বিষয়ক দফতরও প্রত্যাখানের কথা রাজভবনকে জানিয়ে দিয়েছিল।

    কিন্তু এর মধ্যেই গত ১১ মে ডেপুটি স্পিকার বাবুল সুপ্রিয়কে বিধানসভায় ডেকে শপথবাক্য পাঠ করান। সংবাদমাধ্যমে তা প্রচারিতও হয়। রাজভবন বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করে জানতে চায়, কীভাবে রাজ্যপালের সাংবিধানিক অথরাইজেশন ছাড়া বাবুলের শপথ হল? বিধানসভার সচিব এস ভট্টাচার্য গত ২৭ মে রাজভবনে রিপোর্ট পাঠান। বিধানসভা সূত্রের খবর, সচিব লিখিত রিপোর্টে জানান, ডেপুটি স্পিকার ৬ মে চিঠি দিয়ে প্রত্যাখান করলেও, ১০ মে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেন। তা জানানো হয় নবান্নেও। 

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    এর পরই ১১ মে বাবুলের বেলা সাড়ে ১২টায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। বিধানসভা সূত্রের খবর, রাজভবন জানায়, বিধায়কের শপথ গ্রহণের অথরাইজেশন দেওয়ার একমাত্র সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে রাজ্যপালের। গত ২৯ এপ্রিল ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া অথরাইজেশন প্রত্যাখান করার পরই তা মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল। ফলে বাবুলের শপথ সাংবিধানিকভাবে বৈধ নয়। স্পিকার কোনওভাবেই ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে এমন শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন না। স্পিকার রাজ্যপালের সাংবিধানিক চৌহদ্দিতে ঢুকছেন বলেও অভিযোগ তোলে রাজভবন। চাওয়া হয় রিপোর্টও। 

    ৩ জুন বিধানসভার সচিব সুপ্রতিম ভট্টাচার্য স্পিকারের পর্যবেক্ষণ লিখিত আকারে রাজভবনে জানান। তাতে বলা হয়, বাবুল সুপ্রিয়র শপথে অনিয়ম কিছু হয়নি। ২৯ এপ্রিলের অথরাইজেশন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রক ২ মে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হয়নি। ফলে সেই বিজ্ঞপ্তি বহাল রয়েছে ধরে নতুন অথরাইজেশন নেওয়া হয়নি। ডেপুটি স্পিকারকে তিনি কেবলমাত্র সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার বলেছিলেন, কোনও নির্দেশ দেননি। রাজ্যপালের সাংবিধানিক চৌহদ্দিতে প্রবেশও করতেও চাননি বলে নিজের পর্যবেক্ষণে জানান স্পিকার। 

    আরও পড়ুন: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির

    তবে ৬ মে ডেপুটি স্পিকারের শপথগ্রহণ করাতে না পারার কথা জানানো এবং ৭ মে সংসদীয় বিষয়ক দফতর তা রাজভবনকে জানিয়ে দেওয়ার পরও কীভাবে ২৯ এপ্রিলের অথরাইজেশন বহাল থাকে তার কোনও ব্যাখ্যা বিধানসভা বা সরকার রাজভবনকে দিতে পারেনি। এর পরই গত ৯ জুন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব তুলে দিয়ে ফের একবার বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পাঠ করানোর অথরাইজেশন দেন রাজ্যপাল। তা না হলে বাবুলের শপথের সাংবিধানিক বৈধতা ছিল না। তবে দ্বিতীয় অথরাইজেশনের সেই নির্দেশ কীভাবে, কখন, কোথায়, কবে পালিত হয়েছে তা আজও গোপন। সরকারিভাবে বাবুল সুপ্রিয়র দ্বিতীয় শপথটির গোপন কথা কবে জানা যাবে তা লাখ টাকার প্রশ্ন। এ ব্যাপারে বালিগঞ্জের বিধায়ক বা বিধানসভা থেকে কারও কোনও টুঁ শব্দটি শোনা যাচ্ছে না।     

  • Amit Shah: ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, রাজ্য নেতৃত্বকে কী বার্তা দেবেন? জল্পনা

    Amit Shah: ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, রাজ্য নেতৃত্বকে কী বার্তা দেবেন? জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ মুহূর্তে অমিত শাহের (Amit Shah) বঙ্গ সফরসূচিতে রদবদল। বিজেপি (BJP) সূত্রের খবর, বুধবার অর্থাৎ ৪ মে রাতে এরাজ্যে আসার কথা থাকলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home Minister) আসছেন পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, ৫ তারিখ সকালে। দুদিনের এই সফরে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে দলীয় বৈঠক– ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে অমিত শাহের। 

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ তারিখ উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে যাবেন কল্যাণীতে। হরিদাসপুরে বিএসএফের একটি শিবিরে যাবেন। মৈত্রী সংগ্রহশালা উদ্বোধনের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। 

    সেখান থেকে আকাশপথে যাবেন উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গ বিজেপি’র অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। বিধানসভায় সেখানে ভালো ফলও করেছে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর তাই সেই উত্তরবঙ্গকেই শাহের জনসভার জন্যে বেছে নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। 

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলিগুড়িতে একটি জনসভা করার কথা রয়েছে অমিত শাহের। এছাড়া দার্জিলিঙে তিনি একটি ঘরোয়া বৈঠক করতে পারেন। সেখানে রাত কাটিয়ে শুক্রবার কোচবিহারে যাবেন শাহ। সেখানে তিনবিঘায় বিএসএফের আর একটি সভায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন তিনি।  সেখান থেকে সোজা কলকাতায় ফিরবেন।

    আগামী ২০২৩ সালে রাজ্য পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপিকে চাঙ্গা করতে কলকাতায় এক জোড়া সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে শাহের। বিজেপি সূত্রের খবর, কলকাতার হোটেলে দুটি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন শাহ। সেখানে সাংসদ, বিধায়ক-সহ পুরসভা, জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থীরা থাকতে পারেন। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব তো বটেই, এমনকী জেলা সভাপতি, সমস্ত বিধায়ক, সাংসদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, বিজেপির শাখা সংগঠনগুলির দায়িত্বে থাকা নেতাদের সঙ্গেও অমিত শাহের বৈঠক হবে বলেও জানানো হয়েছে।

    সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের পর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victoria Memorial) একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শাহ। সেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) স্ত্রী ডোনা (Dona Ganguly) নৃত্য পরিবেশন করবেন।

    এদিকে, বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অমিত শাহ সফর সেরে দিল্লি ফেরার পরই বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলীয় সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিয়ে একাধকি জনসংযোগমূলক কর্মসূচি নেবে বঙ্গ বিজেপি।

     

  • CBI summons Paresh Paul: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার হত্যা-মামলায় পরেশ পালকে তলব সিবিআইয়ের

    CBI summons Paresh Paul: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার হত্যা-মামলায় পরেশ পালকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে (West Bengal) ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post poll violence) মামলায় পরেশ পালকে (TMC MLA Paresh Paul) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI)। অভিজিৎ সরকার খুনের (Abhijit Sarkar Murder) মামলার তদন্তে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ককে। বুধবার তাঁকে যেতে হবে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে। 

    একুশের বিধানসভা ভোটের (2021 West Bengal Assembly Elections) ফলপ্রকাশের দিন অর্থাৎ ২ মে, কাঁকুরগাছিতে খুন হতে হন বিজেপির (BJP) শ্রমিক সংগঠনের সদস্য অভিজিৎ সরকার। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় জড়িয়ে যায় পরেশ পালের (Paresh Paul) নাম।

    নিহতের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, পরেশ পালের অঙ্গুলিহেলনেই ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এমনই অভিযোগ করেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ। তাঁর অভিযোগ, খুনের নেপোথ্যে বড় মাথা আছে। বিধায়কের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করেন বিশ্বজিৎ।

    ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তে এসে এই ঘটনায় ২০ জনের নামে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ইতিমধ্যেই, খুনের মামলায় এর আগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পাশাপাশি ঘটনার সাক্ষী হিসেবে বেশ কয়েকজনকে নোটিসও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। 

    কিন্তু, পরেশ পালের গ্রেফতারের দাবিতে সম্প্রতি অবস্থান বিক্ষোভে বসেন নিহতের দাদা। বিশ্বজিৎ সরকার বারবার দাবি করছিলেন, তাঁর ভাইয়ের খুনের তদন্তে কেন পরেশ পালকে ডাকা হচ্ছে না? তাঁর আরও দাবি ছিল, সিবিআইকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিজিৎ সরকারের খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে। 

    অবশেষে তলব করা হল পরেশ পালকে। খুনের ঘটনায় পরেশ পালের কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখতে চলেছে সিবিআই।

  • CBI Quizzes Paresh Pal: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা পরেশ পালের

    CBI Quizzes Paresh Pal: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা পরেশ পালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar Murder Case) খুনের মামলায় সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিলেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল (MLA Paresh Pal) ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরেশ পালকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নোটিস পাঠিয়েছিল ৷ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পরই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে ৷ ওই ঘটনায় শাসকদলের বিধায়ক পরেশ পাল যুক্ত বলে অভিযোগ করে বিজেপি ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে অভিজিতের মৃত্যু নিয়েই তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ৷

    প্রায় তিন ঘণ্টা জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান পরেশ পাল। তিনি জানান, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। সিবিআইয়ের সঙ্গে তিনি সবরকম সহযোগিতা করবেন। এর পাশাপাশি জানান সিবিআই তাঁকে বলেছে যে আর তাঁকে ডাকা হবে না।। অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার বলেছিলেন, তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ভিডিও রয়েছে, যা তিনি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিয়েছেন যেখানে দাবি করা হয়েছে অভিজিৎ সরকার মৃত্যুর পেছনে পরেশ পাল ও তার লোকজন দায়ী। কিন্তু এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন পরেশ পাল। মানুষের তাঁদের ওপর আস্থা রেখেছে, তাই বিপুল ভোট দিয়ে তাঁদের এনেছেন। এই কাজের সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।

  • Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মালদার (Malda) কালিয়াচকের (Kaliachak) ধর্মান্তরনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। এই মামলায় সিবিআই (CBI) এবং এনআইএ-কে (NIA) যৌথভাবে তদন্ত করবে এবং আদালতকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে।

    সম্প্রতি, কালিয়াচকে কয়েকটি গরিব হিন্দু পরিবারকে ধর্ম পরিবর্তনের (forceful conversion) জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বলপূর্বক ধর্মান্তরণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন ওই হিন্দু পরিবারগুলির মহিলা ও শিশুরা। পরিবারগুলির অভিযোগ, তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় আগেও দুই হিন্দু পরিবারকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, কালিয়াচক থানার আইসি-ই তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দিচ্ছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, কালিয়াচক থানার পুলিশ জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগের নিশানায় ছিলেন কালিয়াচক থানার আইসি। অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন না করলে পুরুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, এর আগেও ২ জনকে চাপ দিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে।

    একজন সরকারি আধিকারিকের এহেন আচরণে যারপরনাই বিস্মিত বিজেপি নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত লেখেন, গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে। সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তাঁর ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কীভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য কোনও মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    পশ্চিম বাংলায় ধর্মীয় স্বাধীনতাও বিপন্ন হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি লেখেন,  পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতাও নেই। এছাড়াও নানা সমস্যা রয়েছে। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতাটুকুও থাকবে না? তাঁর আশঙ্কা, তৃতীয়বার ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো?

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষাও দাবি করেন সুকান্ত। তিনি লেখেন, সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবারগুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তার পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    থানার আইসি-র নেতৃত্বে জোর করে ধর্মান্তরণের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, সিবিআই ও এনআইএ যৌথ তদন্ত করবে অভিযোগের ভিত্তিতে। আগামী ২১ জুনের মধ্যে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

     

  • Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Mamata government) জারি করা নির্দেশিকায় কেন্দ্রের প্রকল্পের (central projects) নাম বদল করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের নামে। শাসকদলের (TMC) ‘নির্দেশে’ এই কাজ করছেন খোদ জেলাশাসক (District Magistrate)। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। 

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, কেন্দ্রের অন্তত ৩টি প্রকল্পের নাম রাজ্যের নামে বদল করেছেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) জেলাশাসক তথা কালেক্টর অরবিন্দ কুমার মীনা (Arvind Kumar Mina)। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশেই এই কাজ করছেন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের আধিকারিক। 

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, এই আমলার কাজ একজন আইএএস অফিসারের কর্তব্যের পরিপন্থী। চিঠিতে শুভেন্দু উল্লেখ করেন, কীভাবে কেন্দ্রের তিন প্রকল্প — প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা ও স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের নাম বদল করে যথাক্রমে বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও মিশন নির্মল বাংলা রাখা হয়েছে।

    রাজ্য সরকারের যে নির্দেশিকায় এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, টুইটারে (Twitter) তার ছবি প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি লেখেন, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের এই নির্দেশিকা দেখে আমি বিস্মিত। কার কথায় তিনি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করলেন? না কি তিনি নিজের ইচ্ছেতে এই কাজ করেছেন? একজন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের অফিসারের থেকে এটা আশা করা যায় না। 

    পরে, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির সঙ্গেও সরকারি নির্দেশিকার একটি কপিও পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে মোদিকে পাঠানো চিঠির প্রতিলিপিও সামাজিক মাধ্য়মে (social media) প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানেও তিনি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তোলেন। ওই আমলার (IAS) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

     

  • TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপারের ভোটে লড়ছে ওপার বাংলার নাগরিক! 

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনেই এমন কাণ্ড ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আলো রানী সরকার। 

    তবে, বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে দু’হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। এরপরই বিতর্কের সূত্রপাত। নির্বাচনী ফলাফল মানতে রাজি হননি ভোটে হেরে যাওয়া আলো রানী। দাবি করতে থাকেন যে তিনিই জিতেছেন। তাঁর আরও দাবি যে, তাঁকে চুরি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    যেমন ভাবা তেমন কাজ। ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আর এতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। তখনই জানা যায়, আলো রানী সরকার আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা! তাঁর নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়!

    জানা গিয়েছে, ওপার বাংলার বরিশাল জেলায় জন্ম আলো রানীর। তাঁর ভাই-মা সহ পরিবার এখনও বরিশালের পিরোজপুরের বাসিন্দা। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বাসিন্দা চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে আলো রানীর বিয়ে হয়। 

    নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী আলো রানীর দাবি ছিল, তাঁর জন্ম হুগলির বৈদ্যবাটিতে, বিয়ের পর তাঁর নাম কোনওভাবে বাংলাদেশের ভোটার কার্ডে উঠে যায়। তিনি প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও এই মর্মে কোনও প্রামাণ্য নথিই তিনি জমা করতে পারেননি আদালতে। 

    এই প্রেক্ষিতে, কলকাতা হাইকোর্ট তৃণমূল প্রার্থী আলো রানী সরকারের আবেদন খারিজ করে দিল। খারিজের কারণ হিসেবে বিচারপতি জানিয়েছেন, “আলো রানী সরকারের নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়।”

    অর্থাৎ, এরাজ্যের তো নয়ই, এমনকী এদেশের বাসিন্দাও নন তিনি। তাহলে, কোন জাদুমন্ত্রে তিনি এরাজ্যের ভোটার হলেন? শুধু তাই নয়, কী করে ভোটে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেলেন? আর কী করেই বা সেই যোগ্যতা অর্জন করলেন? 

    হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, আলো রানী সরকারের বাংলায় তো বটেই, ভারতের কোনও প্রান্তে কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।

    গোটা বিষয়টি ট্যুইট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যে রাজনৈতিক দল একজন বাংলাদেশিকে নির্বাচনে প্রার্থী করতে পারে, সে রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে না কেন?

    [tw]


    [/tw]

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে হানা পুলিশের। পুলিশি হানার কারণ জানতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। ঘটনার নিন্দায় সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

     

    [tw]


    [/tw]

     

    নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ নেতা মেঘনাদ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পদে নিয়োগ পেয়েছেন, এমন এক অভিযোগ তুলে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এসডিপিও-র নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী এদিন নন্দীগ্রামে মহুয়ার বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কার্যালয়ে হানা দেয়। অভিযোগ, আগাম কোনও খবর না দিয়ে শুভেন্দুর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী।

    ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। বিধায়কের কার্যালয়ে পুলিশ আসা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ্যসচিবের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ট্যুইটে রাজ্যপাল লেখেন, বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দিয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের। তাই আমি মুখ্যসচিবের কাছে এনিয়ে জবাব চেয়েছি। 

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যপালকে জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু নিজেও একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ। ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “কোনও পূর্ব সূচনা না দিয়ে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে আচমকা আচমকা মমতা পুলিশ (পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ) আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। মমতা সরকারের পুলিশের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।”

    [tw]


    [/tw]

    পদ মর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একজন পূর্ণমন্ত্রীর সমান। তাই ঘটনাটি বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের ইতিহাসের লজ্জাজনক দিন। আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করি, যেখানে সাংবিধানিক পদ মর্যাদা সম্পন্ন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের কার্যালয় পর্যন্ত পুলিশ পাঠাতে বাকি রাখল না পশ্চিমবঙ্গের শাসক। এই ঘটনা এক প্রকাশ গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন অপরাধ দমন কম, বিরোধী দমন করতেই বেশি তৎপর।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে নিয়ে সৌরভের বাড়িতে ‘শাহি’ভোজ অমিতের, কী ছিল মেনুতে?

     

     

     

  • Paresh Adhikary: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    Paresh Adhikary: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment scam) মামলায় আরও বিপাকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary)। 

    গত মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৭ মে রাত ৮টায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজির না হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননার (contempt of court) মামলায় কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। আজ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে শেষ সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। এদিনই বিকেল ৩টার মধ্যে সিবিআই (CBI) অফিসে হাজির হতে হবে মন্ত্রীকে। যদি তিনি সেটা না করেন, তাহলে বিকেল ৩টের পর আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে। এদিকে, আদালত যখন পরেশ অধিকারীকে নিয়ে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তখন তাঁর আইনজীবী ছুটতে ছুটতে এসে জানান, পরেশ অধিকারী কোচবিহারে আছেন।

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    মঙ্গলবার রাতেই মন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে ইমেল পাঠিয়ে মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে হাজির হতে বলেছিল সিবিআই। কিন্তু রাজ্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আসেননি। উল্টে জানা যায়, মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়ে পদাতিক এক্সপ্রেসে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মন্ত্রী। তবে, শিয়ালদহ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিলেও মাঝপথ থেকে মেয়েকে নিয়ে ‘উধাও’ হয়ে যান পরেশ। তিনি যে কলকাতায় না এসে বর্ধমানেই ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল৷ সেই খবরে সিলমোহরও পড়ে। বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মেয়ে অঙ্কিতার সঙ্গে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর ছবিও মিলেছে৷ কিন্তু এবার হাই কোর্টের চরম হুঁশিয়ারির মুখে পড়লেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

    স্কুল সার্ভিস কমিশন (School service commission) নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় নাম জড়িয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে৷ ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে পরেশ অধিকারী ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাম জমানার খাদ্যমন্ত্রী শাসকদলে যোগ দেওয়ার পরই মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikary) নাম উঠে যায় এসএসসি নিয়োগের মেধাতালিকায়। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলেই সিবিআই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে বলেও জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ 

    আরও পড়ুন: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। কিন্তু মামলা শুনবে না বলে জানিয়ে দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। পরে প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী এবং মেয়ে অঙ্কিতার মামলার শুনানির জন্য বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চকে নির্দিষ্ট করেছেন প্রধান বিচারপতি। মন্ত্রী ও রাজ্যের আবেদন সবটাই শুনবেন বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আজই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Ssc Scam: শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    Ssc Scam: শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি(ssc) মামলায় অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের। কেবল শান্তি প্রসাদ নন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সমরজিৎ আচার্য, সৌমিত্র সরকার ও অশোক সাহার। এঁদের মধ্যে শান্তিপ্রসাদের নামই বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ তাঁর সুপারিশেই নিয়োগ করা হত এসএসসিতে।

    বৃহস্পতি, শুক্রবারের পর শনিবার ফের একপ্রস্ত জেরা করা হয় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারীকে(Paresh Chandra adhikary)। এদিন নিজাম প্যালেসে সিবিআই(cbi) কর্তারা তাঁকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জেরা করেন। সূত্রের খবর, বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেও, বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে নীরব ছিলেন পরে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের মেয়েকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আদালত অবমাননার অভিযোগও দায়ের হয়েছে পরেশের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এসএসসিকাণ্ডে লেজেগোবরে দশা রাজ্য সরকারের। এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বেশ কয়েক দফায় জেরা করেছে সিবিআই।সদুত্তর না মেলায় আরও কয়েকবার তাঁকে জেরা করা হতে পারে। রক্ষাকবচের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পার্থ। তবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তার অনুমতি দেয়নি। তাই পার্থকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এসএসসির গ্রুপ-সির নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বাগ কমিটি যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তাতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুরোধও জানানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, শান্তি প্রসাদের নির্দেশেই ভুয়ো প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্যানেলে যাঁদের নাম থাকত, তাঁদের ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হত প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে। তাঁর নির্দেশেই বাকিরা এসব কাজ করতেন বলেও অভিযোগ।এই সব কারণেই শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ৭ হাজার পদ তৈরি এসএসসি-তে?

    এদিকে, এসএসসিকাণ্ডে বর্তমান পরিস্থিতিতে লন্ডন সফর বাতিল করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে মউ চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য শনিবারই তাঁর লন্ডন উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এদিন তাঁর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনেরও। দুজনেই আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না বলে খবর।

     

LinkedIn
Share