Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন অনুব্রত মণ্ডল(anubrata mandal)!

    শেষমেশ বৃহস্পতিবার সাত সকালেই নিজাম প্যালেসে গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই(cbi) দফতরে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের(tmc) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। বুধবার সন্ধেয় সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

    ৬ এপ্রিল গরু পাচারকাণ্ডে দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন সকালে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়েও পরে আর সিবিআই দফতরে হাজির হননি তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জেরে এসএসকেএম হাসপাতালের(sskm hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। অনুব্রত তখন সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, তারা চাইলে হাসপাতালে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। হাসপাতাল থেকে ছুটির পরে ফের একবার সিবিআইকে চিঠি দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি আছেন তিনি।

    পরে সিবিআইকে ফের একবার চিঠি দিয়ে তিনি জানান, ২১ মে’র পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত। নির্দিষ্ট ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই বুধবার সিবিআই দফতরে ফের আইনজীবি মারফৎ চিঠি পাঠান অনুব্রত। জানিয়ে দেন, গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রাজি হন তিনি। সেই মতো বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে সময় দেয় সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন তার ঢের আগেই চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি।           

    এসএসসি মামলায় বুধবার সন্ধেয় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরের দিনই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিলেন অনুব্রত। তাঁকে জেরা করে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তের জট খুলতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন : নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পার্থকে(partha chaterjee ) কেবল জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দিয়েছে সিবিআই। তার পরেই সাহস পেয়েছেন অনুব্রত। সেই কারণেই এদিন বীরভূমের(Birbhum) দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত সাত সকালে হাজির হয়েছেন সিবিআই দফতরে।

     

     

  • SSC Recruitment Scam: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! মধ্যরাতে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে “সিল” করে দেওয়া হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service commission) দফতর। গোটা ভবন মুড়ে ফেলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC frecruitment scam) নাটকীয় মোড় নিল বুধবার মধ্যরাতে।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers Recruitment scam) মামলায় সাড়ে তিন ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব সেরে বুধবার রাত ৯টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বের হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তার মধ্যেই, আচমকা এসএসসি (SSC) চেয়ারম্যান পদে রদবদল ঘটে। হঠাৎই চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যেই। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এসএসসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে আইএএস অফিসার শুভ্র চক্রবর্তীকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।

    এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আশঙ্কা এই পরিস্থিতির মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে ফেলা হতে পারে। আদালতের কাছে তাঁদের আর্জি অবিলম্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসির দফতরে সিআরপিএফ মোতায়েন করা হোক। চাকরিপ্রার্থীদের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে এ দিন রাতারাতি রাত সাড়ে দশটায় বেনজিরভাবে হাইকোর্টে শুরু হয় শুনানি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে শুনানি শুরু হয়। নিজের চেম্বার থেকেই মামলা শোনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীরা জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দিয়েছেন। যিনি মঙ্গলবারই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি ‘দুর্নীতিতে’ নম্বর জানিয়েছেন। অধ্যাপক মজুমদার ইস্তফা দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অবিলম্বে সিআরপিএফ মোতায়েন করে নথি সংরক্ষণের আবেদন করেন এসএসসির (SSC) চাকরিপ্রার্থীরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, কমিশনের হাতে থাকা হার্ড ডিস্ক-সহ নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করা হোক।  পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বা তাঁদের লোকজন নথি নষ্ট করতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত।

    এরপরই প্রায় মধ্যরাতে বিশেষ নির্দেশ দেয় আদালত। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ শুনে একের পর এক কড়া নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, বুধবার রাত সাড়ে বারোটা থেকে CRPF’এর নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে SSC সদর দফতর আচার্য সদন। বৃহস্পতিবার দুপুর একটা অবধি কোনও সরকারি আধিকারিক, কোনও কর্মী এসএসসি-র অফিসে ঢুকতে পারবেন না কেউ। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর থেকে কে বা কারা দফতরে ঢুকেছে তার সিসি ফুটেজ কাল বেলা ১২টার মধ্যে পেশের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। 

    সূত্রের খবর, হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর বিচারপতির চেম্বার থেকেই সিআরপিএফের (CRPF) অফিসে ফোন করা হয়। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত কথা বলেন।

     

     

  • Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) । কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী। পরেশ অধিকারীর মামলা শুনবে না বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা থেকে অব্যাহতি চাইল বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    গতকাল, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার জেরেই পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: আজই হয় হাজিরা সিবিআইয়ে নয়তো হেফাজত, গ্রেফতারি এড়াতে ডিভিশন বেঞ্চে মন্ত্রী পার্থ

    নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান পরেশ অধিকারী। সিবিআই-জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি টন্ডনের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মামলা থেকে অব্যাহতি চান বিচারপতি টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হবে পরেশ অধিকারীকে। কিন্তু, কলকাতায় না থাকায় সেই হাজিরা দেননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।

    এদিকে, পরেশের কলকাতায় আসা নিয়েও তৈরি হয় ধোঁয়াশা। গতকাল আদালত যখন রায় দিচ্ছিল, সেই সময় মেখলিগঞ্জে ছিলেন পরেশ। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ে অঙ্কিতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত পৌনে ৮টার পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। কিন্তু, বুধবার সকালে দেখা যায়, পদাতিক এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে কলকাতায় পৌঁছলেও, তাতে নেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা। আজ সকাল ৬টা ৪৫-এ শিয়ালদা স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছয় পদাতিক এক্সপ্রেস। ট্রেন অ্যাটেন্ড্যান্ট জানান, এইচ-১ কামরার নম্বর সি কুপে ছিলেন পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।

    ট্রেনের অ্যাটেন্ড্যান্ট দাবি করেন, মাঝপথেই  ট্রেন থেকে নেমে যান মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা। পরে, জানা জায়, বর্ধমান স্টেশনে নেমে যান তাঁরা। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। জানা গিয়েছে, ভোর ৪: ৫২ মিনিটে বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে থামে পদাতিক এক্সপ্রেস৷ মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর সঙ্গে ভোর ৪: ৫৬ মিনিট নাগাদ দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷ এরপর ভোর ৫:০৪ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশন চত্বর থেকে একটি সাদা স্করপিও গাড়িতে করে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷

    আরও পড়ুন: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

  • Mukul Roy: বিতর্কের জের! পিএসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা মুকুল রায়ের

    Mukul Roy: বিতর্কের জের! পিএসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা মুকুল রায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি (Public Accounts Comittee) বা পিএসি (PAC)-র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। সোমবার বিধানসভার (West Bengal Assembly) অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) কাছে ই-মেল মারফৎ ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক।

    গত শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনের শেষে স্পিকার আরও এক বছরের জন্য ৪১টি কমিটির মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন। এর ফলে পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়েরও মেয়াদ বাড়ে আরও এক বছর। কিন্তু এরই মধ্যে সোমবার পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে স্পিকারকে ই-মেল করেন মুকুল। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যজনিত কারণেই তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন।
     
    মুকুলের পিএস চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়ে বিতর্ক অনেকদিন ধরেই চলছিল। এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি বঙ্গ রাজনীতিতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে ভোটে লড়েন মুকুল রায়। তাতে তিনি জিতেওছিলেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের একমাসের মধ্যেই আচমকাই বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। কিন্তু, বিজেপির বিধায়ক পদ ত্যাগ করেননি মুকুল রায়।

    এর কয়েকদিনের মধ্যেই মুকুল বিধানসভায় পিএসি-র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সাধারণত এই পদটি পায় বিরোধীরা। সে ক্ষেত্রে মুকুল দলবদল করায় কী ভাবে পিএসি চেয়ারম্যান করা হল তাঁকে, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই নিয়ে আপত্তি তুলেছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি ছিল যে, পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে বসতে পারেন বিরোধী দলের কোনও নেতা। কিন্তু মুকুল রায় তো শাসকদলে যোগ দিয়েছেন, তাহলে তিনি এই পদের যোগ্য নন। 

    এই নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ করা হয় বিজেপির তরফে। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সরব হয় পদ্ম-শিবির। যদিও, স্পিকার জানান যে, মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। স্পিকারের এই রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। কিন্তু আদালতের নির্দেশে দু’বার স্পিকার জানিয়েছিলেন, মুকুল এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘মুকুল বিজেপিতে’, স্পিকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় দিলীপ

    ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, মুকুলের ওপর চাপ বাড়ছিলই। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ গত ১১ এপ্রিল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিধানসভার স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছিল৷ মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদানের সাংবাদিক বৈঠকের ভিডিও ফুটেজকেও প্রামাণ্য নথি হিসেবে গণ্য করতে বলেছিল আদালত৷ এরই মধ্যে, পিএসি সহ ৪১টি কমিটির মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করেন বিধানসভার স্পিকার। তাই নতুন বিতর্ক এড়াতে পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল।

  • Cyclone Update:  আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?

    Cyclone Update: আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মে মাসের শুরুতেই ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় (cyclone)। তেমনই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে।  শুক্রবার ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। ক্রমশ যা রূপান্তরিত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার।
    বিগত কয়েক বছরে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার সাক্ষী থেকেছে বাংলার এই পড়শি রাজ্য। এই প্রসঙ্গে ওড়িশার মুখ্যসচিব এস সি মহাপাত্র বলেন, ”ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য তৈরি। ক্ষয়ক্ষতি কী হতে পারে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের তৎপর করা হয়েছে (Cyclone Update)।”
    বাংলাতেও কী আছড়ে পড়বে সাইক্লোন? কোন পথে এগোবে ঘূর্ণিঝড়? এখনও এই নিয়ে চূড়ান্ত পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। শনিবারের আগে এব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
    IMD-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন,”ল্যান্ডফল নিয়ে এখনও পূর্বাভাস নেই। কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। আরেকটা বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে ও নভেম্বরের মধ্যে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।” IMD-র বিজ্ঞানী আর কে জেনামনি বলেছেন, ”৬ মে নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর তা শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘনীভূত হবে। দক্ষিণ আন্দামান ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় সতর্ক করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের মূলত না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কেননা আবহাওয়ায় অনেক বদল ঘটবে।” জানা যাচ্ছে, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে, তার নাম হবে ‘অশনি’। ঘূর্ণাবর্ত নিয়ে মৌসম ভবনের ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আনন্দকুমার দাস বলেন, ‘আমাদের ধারণা, গভীর নিম্নচাপ থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে (এই ঘূর্ণাবর্তটি)। যা সম্ভবত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমরা নির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না যে সেটা কীভাবে এগিয়ে যাবে বা উপকূলে কতটা প্রভাব ফেলবে।’

    এখনও ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া না গেলেও ইতিমধ্যেই মালকানগিরি থেকে ময়ূরভঞ্জ পর্যন্ত ১৮টি জেলাকে সতর্ক করেছে ওড়িশা সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • Pending DA Case: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

    Pending DA Case: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনের শেষ দিনে বেতন হয়েছে বিদ্যুৎ কর্মীদের। কিন্তু ডিএ মেলেনি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বেতনের সঙ্গেই আরও কিস্তি ডিএ পাওয়ার কথা ছিল রাজ্যের চারটি বিদ্যুৎ সংস্থার প্রায় ১৪ হাজার কর্মীর। ডিএ দিতে না পারলে চার কর্তার বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এদিন আরও এক দফা নির্দেশে ছয় কর্তার বেতন বন্ধ রাখতে বলেছেন তিনি। প্রশ্ন, তা হলে কি ডিএ পাবেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা?

    বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের চলতি বেতন কমিশনের আগের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবে চার সংস্থা। এক কিস্তি দিয়েও দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচটি কিস্তি বাকি রয়েছে। কিন্তু টাকার সংস্থান করতে সময় লাগছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ কর্তারা। তাঁরা জানান, ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার জন্য বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ ২৪০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার ৮০ কোটি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের ১২০ কোটি এবং ডিপিএলের বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত বকেয়া মেটাতেই ৪৮০ কোটি টাকা লাগবে বিদ্যুৎ দফতরের। এর পর রয়েছে ২০২০ থেকে আজ অবধি বকেয়ার পরিমাণও। 

    আরও পড়ুন: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    কর্তারা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে এক কিস্তি ডিএ দেওয়া হয়েছে। এখনও প্রয়োজন ৪৫০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারের অবস্থা করুণ। ফলে রাজ্যের মন্ত্রিসভা চার বিদ্যুৎ সংস্থাকে টাকার ব্যবস্থা করে দেবে এমন পরিস্থিতি নেই। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সরিয়ে কর্মীদের ডিএ মেটানোর একটা চেষ্টা হচ্ছে বটে, সেটাও কতটা ফলপ্রসু হবে না বুঝে উঠতে পারছেন না কর্তারা। অগত্যা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কর্মীদের ডিএ মেটানোর পথেই হাঁটতে হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ ভবনে কানাঘুঁষো চলছে। 

    যদিও এক বিদ্যুৎ কর্তার ব্যাখ্যা, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ২৪ হাজার কোটি টাকার সংস্থা। সামান্য টাকা মেটাতে কোনও সমস্যা নেই। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ মিটিয়ে দিলে রাজ্যের বাকি ১০ লক্ষ কর্মচারীর কী হবে? নবান্ন চায়নি শুধু বিদ্যুৎ কর্মীদের সব পাওনা মিটে যাক। সেই কারণেই এতদিন বকেয়া ডিএ মেটানো হয়নি। এখন হাইকোর্টের নির্দেশে ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

    কর্তাদের ব্যাখ্যা যাই হোক না কেন দফতরের অন্দরের খবর, কর্মীদের ডিএ-র বোঝার দায় আসলে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপরই চাপিয়ে দিতে পারে বণ্টন সংস্থা। অচিরেই বিদ্যুতের মাশুল বাড়ানোর পথে হাঁটতে হতে পারে বলে কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, আগেরবার ডিএ দেওয়ার নাম করেই মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। এবারও কি বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দাম বাড়াতে রাজি হবে? বিদ্যুৎ কর্মীরা বকেয়া পেলেই অবশ্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র দাবি আরও জোরালো হবে। এক্ষেত্রেও হাইকোর্ট ডিএ মেটানোর রায় দিলেও রাজ্য চুপ করে বসে রয়েছে। 

  • SSC Scam: মন্ত্রীই সর্বেসর্বা, ‘অবৈধ’ প্যানেলেও সম্মতি দিয়েছিলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিত বয়ান শিক্ষাসচিবের

    SSC Scam: মন্ত্রীই সর্বেসর্বা, ‘অবৈধ’ প্যানেলেও সম্মতি দিয়েছিলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিত বয়ান শিক্ষাসচিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) বা এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam) তদন্তে সিবিআইয়ের (CBI) সামনে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়ে এসেছেন, নিয়োগের অনিয়মের ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা ছিল না। যিনি এসব জানতেন, তিনি হলেন শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন (Manish Jain)। মাধ্যম গতকালই জানিয়েছিল, শিক্ষাসচিব তদন্ত কমিটির সামনে কী বলেছেন তাও জানানো হবে। মাধ্যম জেনেছে, শিক্ষাসচিবও তদন্ত কমিটির সামনে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্বেসর্বা ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। সব সিদ্ধান্তে তিনিই সিলমোহর দিয়েছিলেন। বরং তাঁর (মনীশবাবুর) কোনও ক্ষমতাই ছিল না।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Teachers Recruitment scam) তদন্তে বর্তমান শিক্ষাসচিব যাবতীয় দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়াতে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে অনেকেই নানা ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন। অনেকের মতে, হাইকোর্টের সামনে অনিয়মের অভিযোগ স্পষ্ট। সিবিআই সক্রিয়। ফলে পিঠ বাঁচাতে মন্ত্রী বা আমলা কেউই আর দায় নিতে রাজি নন। একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেরা মুক্তি পেতে চাইছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরের চোরাস্ত্রোতের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানাচ্ছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সরকারের প্রভাবশালীরা এখন বলির পাঁঠা খুঁজছেন। সর্বোচ্চ স্তরের ইঙ্গিত না থাকলে বর্তমান শিক্ষাসচিব কখনই লিখিতভাবে তদন্ত কমিটির সামনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর উপর সব দায় চাপিয়ে দিতেন না।

    আরও পড়ুন: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    কোথায়, কী বলেছেন মনীশ জৈন?

    বিকাশ ভবনের খবর, ২০১৬ সালের ৮ অগাস্ট গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি তার লিখিত পরীক্ষা হয়। স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে যোগ দিতে ১১ লক্ষ ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর কমিশনের ওয়েবসাইটে প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেখানে ৩৯২৪ জনের নাম নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয় ৯৮৪৭ জনকে। 

    কোনও পরীক্ষার প্যানেল সাধারণত এক বছর ভ্যালিড থাকে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাতকারণে গ্রুপ-ডির প্যানেল ২০১৯-এর ৪ মে পর্যন্ত সরকারিভাবে ভ্যালিড ছিল। কিন্তু তার পরেও নিয়োগ চলতে থাকে। এ সব নানা গরমিল নিয়েই আদালতে মামলা হয়। আদালত বিচারপতি রণজিৎ বাগের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে দেয়। তদন্ত করে দেখতে বলে পুরো বিষয়টিকে। গত ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল বিচারপতি বাগ তাঁর ৬৮ পাতার মূল রিপোর্টটি কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা করেন। সেই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের  (Justice Abhijit Gangyopadhyay) রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। শুরু হয় সিবিআই তদন্ত।

    সূত্রের খবর, বিচারপতি রণজিৎ বাগ কমিটির (Ranjit Bag Committee) কাছেই লিখিতভাবে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন জানিয়ে দেন, নিয়োগের ব্যাপারে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হাতে সিদ্ধান্তগ্রহণের কোনও ক্ষমতাই ছিল না। শুধু তাই নয় গ্রুপ-ডি নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যে মাথায় প্রশাসনিক কমিটি বসিয়ে নিয়োগ চালিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাও বাগ কমিটিকে জানিয়ে দেন মনীশ জৈন। সেই সিদ্ধান্তও যে পার্থবাবুই নিয়েছিলেন তাও স্পষ্ট করে দেন স্কুল শিক্ষাসচিব। বিচারপতি বাগ হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টের ৫৬-৫৭ পাতায় শিক্ষা সচিবের দেওয়া বয়ান ও নথির কথা উল্লেখ করেছেন। কমিটির মতেও নিয়োগের ব্যাপারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই ছিলেন সর্বেসর্বা।

    কী বলেছেন মনীশ জৈন?

    বাগ কমিটির রিপোর্টের ৫৬-৫৭ পাতায় বলা হয়েছে, স্কুল শিক্ষাসচিব মন্ত্রী পরিষদের কার্য পরিচালনা এবং সিদ্ধান্তগ্রহণের নানা ফাইলের নোটশিট পেশ করেছেন। শিক্ষাসচিব জানিয়েছেন, সংবিধানের ১৬৬(৩) ধারা মেনে রাজ্য মন্ত্রিসভার কার্য পরিচালনার জন্য ‘রুলস অব বিজনেস’ তৈরি হয়। সেই রুলস অব বিজনেস-এর ১৯ ধারায় বলা রয়েছে, কোনও মন্ত্রী স্ট্যান্ডিং অর্ডার দিয়ে ঘোষণা করবেন দফতর পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় তাঁর নজরে আনতে হবে। সেই নির্দেশিকা প্রকাশ হলে দফতরের আমলারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে স্বাধীন থাকেন। শুধুমাত্র মন্ত্রীর উল্লেখিত বিষয়গুলি ছাড়া সব সিদ্ধান্ত আমলারাই নিতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমলাদের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেননি। ফলে নিয়োগ সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত মন্ত্রীমশাই নিয়েছেন বলে অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন মনীষ জৈন। কেবল তাই নয়, পার্থবাবু যখন নিয়োগ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ততদিনে গ্রপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগের প্যানেলের ভ্যালিডিটি শেষ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ অবৈধ প্যানেল থেকে নিয়োগ করার জন্য পার্থবাবু নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও মনীশ জৈন বাগ কমিটিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তারই পরিণতিতে সিবিআই (CBI) তদন্ত। সেই তদন্তের মুখোমুখি হয়ে পার্থবাবুর বয়ান, তিনি অজ্ঞ, সব জানেন মনীশ জৈন।   

  • Sukanta Attacks Mamata: “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Attacks Mamata: “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের কাঁধে বন্দুক রেখে ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রল-ডিজেলের দাম (petrol diesel price) হ্রাস সম্পর্কে এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumdar)। তাঁর দাবি, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমিয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেও, বাস্তবে তা হয়নি।

    রবিবার পেট্রলে লিটারপ্রতি ৮ টাকা এবং ডিজেলে ৬ টাকা করে শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠক করে পেট্রোলের ওপর ২ টাকা ৮০ পয়সা এবং ডিজেলের ওপর ২ টাকা ৩ পয়সা ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করুন।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও, আদৌ কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। হিসেব কষে বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “কেন্দ্র ছাড় দেওয়ার পর ২২ তারিখ রাজ্যে পেট্রলের দাম ছিল ১০৬ টাকা ৩০ পয়সা। রাজ্য ২ টাকা ৮০ পয়সা ছাড়ের কথা ঘোষণা করে ২৩ তারিখ। তাহলে ২৪ তারিখ পেট্রোলের দাম হওয়ার কথা ১০৩ টাকা ২৩ পয়সা। সুকান্তের দাবি, যদিও বাস্তবে তা হয়নি। ২২ তারিখ এবং তার পরের দিন পেট্রোলের দাম একই ছিল।”

    আরও পড়ুন : “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গতকাল নিজের মুখে প্রেস কনফারেন্সে স্বীকার করেছেন, কেন্দ্র পেট্রলের ওপর লিটার প্রতি ৮ টাকা ছাড় দেওয়ায় রাজ্যের লোকসান হচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, এটা সুস্পষ্ট করে মাননীয়া নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কেন্দ্র পেট্রল-ডিজেল থেকে যা টাকা প্রাপ্ত করে সেখান থেকে একটা অংশ রাজ্যকে ফেরত দেয়।”

    অঙ্কের হিসেব কষে সুকান্ত বলেন, “দিদির অঙ্কের ভাষায় কেন্দ্রের ছাড় দেওয়া ৮ টাকা থেকে রাজ্য ফেরত পেত ১ টাকা ৮০ পয়সা। ডিজেলের ক্ষেত্রে ৬ টাকা থেকে রাজ্য ফেরত পেত ১ টাকা ৩ পয়সা। সুকান্তের দাবি, ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকার পেট্রল-ডিজেলের ওপর ১ টাকা ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিল। ওই ১ টাকা ছাড় এবং কেন্দ্রের বর্তমান ৮ টাকা ছাড়ের মধ্যে রাজ্যের ফেরত পাওয়া ১ টাকা ৮০ পয়সা যোগ করে ২ টাকা ৮০ পয়সা রাজ্যের ছাড় বলে চালিয়ে দিলেন!”

    সুকান্ত বলেন, “মমতা (mamata) যে আদৌ কোনও ছাড় দেননি, তা পেট্রল পাম্পে গিয়ে বুঝতে পারছেন সাধারণ মানুষ। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর ২ টাকা ৮০ পয়সা ছাড়ের পরেও পেট্রল-ডিজেলের দাম কমেনি।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “কেন্দ্রের কাঁধে বন্দুকটা রেখে আবার বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর

    পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়লে যে আদতে রাজ্যেরই লাভ হয়, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “অবশ্য সব চালাকির মধ্যেও একটা ভাল জিনিস স্বীকার করেছেন যে, পেট্রল-ডিজেলের ওপর কেন্দ্রের প্রাপ্ত টাকা থেকে রাজ্য টাকা ফেরত পায়। অর্থাৎ পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়লে পক্ষান্তরে রাজ্যের কোষাগারেরই লাভ হয়। আর উনি দোষ দেন কেন্দ্রকে।” সুকান্তের প্রশ্ন, এভাবে আর কতদিন মানুষকে বোকা বানাবেন মাননীয়া?  

    এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাকে গুজরাত হতে দেবেন না। অথচ গুজরাতে পেট্রলের দাম ৯৬ টাকার আশেপাশে। অথচ বাংলায় ১১০ টাকারও বেশি।

     

  • Beat-Heat: রাস্তায় ফ্রিজ,খুললেই মিলছে ঠান্ডা জল, গরমে মানবিকতার ছবি শহরে

    Beat-Heat: রাস্তায় ফ্রিজ,খুললেই মিলছে ঠান্ডা জল, গরমে মানবিকতার ছবি শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঠফাটা রোদে রাস্তায় বেরিয়ে জলের জন্য হাহাকার করছেন অনেকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জলের সংকট দেখা গিয়েছে।   এই পরিস্থিতিতে বাড়ির ফ্রিজ রাস্তায় রেখে পথচারীদের সেবা করছেন কলকাতার তরুণ তুর্কি মোহাম্মদ তৌসিফ রহমান আর মুদর পাথারেয়া।

    আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ২৯ বছরের তৌসিফ প্রায় এক মাস ধরে নিজের বাড়ির ফ্রিজ রাস্তায় রেখে দিয়েছেন। প্রতিদিন ফ্রিজে ৩০টির বেশি জলের বোতল রেখে দিচ্ছেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন মুদর। তবে এই ভাবনা কিন্তু মুদরের মেয়ের। যিনি ভিন দেশ থেকে তাঁর বাবাকে জানিয়েছেন, কাতারে নাকি একরকম চিন্তা ভাবনা বাস্তবায়িত হয়েছে। মজার ব্যাপার হল,সারা দিন যখন জল শেষ হচ্ছে,তখন সাধারণ মানুষ নিজেরাই গিয়ে জল ভরে দিচ্ছেন। যে কোনও পথচারী নিজের পিপাসা মেটানোর তাগিদে এখানে এসে ঠান্ডা জল পান করতে পারেন। তার জন্য অর্থ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    [fb]https://www.facebook.com/La.Kolkata.Tales/photos/a.103020028208928/524916896019237/?type=3[/fb]

    এই গরমে ঠান্ডা জলের হাহাকার সর্বত্র। জুস, লস্যি থেকে নরম পানীয়,বিক্র হচ্ছে সব জায়গায়। ঠান্ডা জলের বোতলেরও বিক্রি বেড়েছে বেশ কিছুটা। সেখান থেকে সাধারণের জন্য এরকম অসাধারণ ভাবনা তৌসিফকে সবার কাছে প্রিয় করে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শহরের প্রতি,  ভালবাসা, মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদেই তাঁর এই প্রয়াস।

  • Partha Chatterjee: হাইকোর্টে খারিজ রক্ষাকবচের আবেদন, ফের সিবিআই তলব পার্থকে

    Partha Chatterjee: হাইকোর্টে খারিজ রক্ষাকবচের আবেদন, ফের সিবিআই তলব পার্থকে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: মিলল না রক্ষাকবচ। হাইকোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ফের একবার ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    সিবিআই হাজিরা এবং হেফাজত এড়াতে সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রক্ষাকবচের আবেদন করেছিলেন পার্থ। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, বা তাঁকে যাতে সিবিআই হেফাজতে না নেয় তার জন্যই আর্জি পেশ করা হয়েছিল।  একইসঙ্গে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ থেকে মন্ত্রীপদ ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশের বিষয়টি বাদ দেওয়ার আবেদনও জানান পার্থর আইনজীবী। এদিন জোড়া আবেদন খারিজ করে দেয় বেঞ্চ। ফলে, প্রয়োজনে সিবিআই হেফাজতে নিতে পারবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। 

    বুধবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই শুনানির সময় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ারও পরামর্শ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুরে আদালতের এই কড়া নির্দেশের পরেই বুধবার সন্ধ্যায় সিবিআই-এর মুখোমুখি হন পার্থ, চলে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান পার্থ। সেই মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে নেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের সিদ্ধান্ত অনুসারে মামলাটি যায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বে়ঞ্চে। সেখানে গৃহীত হয় মামলা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি না হয়ে, তা হয় শুক্রবার।

    এদিন পার্থর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণই বজায় রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যাযের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখুন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। সেই অংশটি নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন পার্থর আইনজীবীরা। ডিভিশন বেঞ্চ সেই আপত্তি মানল না। আদালতের তরফ থেকে বলা হল, এই অংশটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে এই অংশটি বাদও যাচ্ছে না। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ রাজ্য বা তদন্তকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”

    আরও পড়ুন: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    এরইমধ্যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের একবার তলব করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে দিনটা জানায়নি সিবিআই৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আরও তথ্য জানতে চায় সিবিআই। প্রথমবার বয়ানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে। তথ্য খতিয়ে দেখার পর যে নতুন প্রশ্ন উঠেছে তারই উত্তর চাইবে সিবিআই। তাই তাঁকে ফের তলব৷

LinkedIn
Share