Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jagdeep Dhankhar: রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের

    Jagdeep Dhankhar: রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও আমলাতন্ত্র নিয়ে ফের একবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (governor Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষা করতে বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজের উচিত একসঙ্গে গর্জে ওঠা, অভিমত রাজ্যপালের। ঝটিকা সফরে বুধবার দার্জিলিংয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জিটিএ (GTA) নির্বাচনের পর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই পাহাড়ে পা রাখেন তিনি। এদিন তিনি সকালে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় নেমে সোজা সড়কপথে চলে যান দার্জিলিং। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের লালকুঠিতে জিটিএ (GTA)-র চিফ এগজিকিউটিভের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে   রাজ্যপাল জানান, রাজ্যে প্রশাসনিক অনেক সমস্যা রয়েছে, যেটা সকলেই জানে। কিন্তু ভয়ের কারণে, কেউ সেসব বিষয়ে কথা বলতে চায় না। তিনি সমাজের বুদ্ধিজীবীদের অনুরোধ করেন, রাজ্যের সমস্যাগুলি নিয়ে যেন তাঁরা সরব হন। ট্যুইটবার্তায় তিনি জানান, ‘নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চুপতা আমার কাছে খুব বেদনাদায়ক। আর্থিক বিষয়ে ও আমলাতন্ত্রে সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা ও সাম্প্রদায়িক ক্ষমতায়ন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা বাস্তবে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বিরোধী। নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের সেই বিষয়ে সরব হওয়া উচিৎ। হাইকোর্টের মত অনুযায়ী রাজ্যের প্রত্যেক কোনায় তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এসব আইনের ভূমিকা নয়। এটা একমাত্র শাসকের শাসন চললেই হয়। গণতন্ত্রে এসবের জায়গা নেই। বিভিন্ন সময়ে শাসকদল রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিল্পের কথা বললেও আদতে তার দেখা নেই। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়ছে নানা আর্থিক দূর্নীতিতে। অথচ মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন সুশীল সমাজ। প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না বুদ্ধিজীবিদের। এটা সমাজের পক্ষে ভয়ংকর। রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক করতে হলে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সুশীল সমাজকে।’ যতদিন পর্যন্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে সমাজ গর্জে না উঠবে ততদিন পর্যন্ত এ রাজ্যের হাল ফিরবে না বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বঙ্গকন্যা মেহুলির

    গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) নির্বাচনের পর পাহাড় সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার জিটিএর নবনির্বাচিত ৪৫ জন সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। তবে চেয়ারম্যান পদে এখনও শপথ নেওয়া বাকি অনীত থাপার। এমতাবস্থায় রাজভবনে অনীত থাপাকে শপথগ্রহণ করাতেই পাহাড়ে রাজ্যপাল। প্রোটোকল মেনেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি জিটিএ নিয়ে পুরো বিষয়টিও বুঝে নিতে চাইছেন ধনকড়।

  • Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam) শুক্রবার ইডির কাছে গেলেন না রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) এবং তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। এদিন দিল্লির সদর দফতরে দু’জনকে তলব করেছিল ইডি (ED)। এ নিয়ে চতুর্থবার ইডির তরফে মলয়কে ডাকা হয়। কিন্তু এদিনও হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রী। অন্যদিকে,কয়লা দুর্নীতিতে আবার ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের এক প্রাক্তন কর্তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এদিন ইসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে তদন্তকারী অফিসারেরা। আজ, শনিবার তাঁকে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোল আদালত। 

    সূত্রের খবর, শুক্রবার সময় পেরিয়ে গেলেও ইডির সদর দফতরে যাননি মন্ত্রী মলয়। এমনকি বাঘমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোও আসেননি। তবে সুশান্ত তদন্তকারী অফিসারদের ইমেল করে জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত থাকায় এদিন যেতে পারেননি তিনি। আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে কলকাতায় এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন অফিসাররা। কিন্তু, হাজিরা এড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের কিছুই জানাননি মলয় ঘটক। ফের মলয়কে নোটিস পাঠাতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    অন্যদিকে শুক্রবার সকালেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠায় ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাস তিনেক আগেই তিনি ইসিএলের শাঁকতরিয়ার সদর দফতরের জেনারেল ম্যানেজার পদ থেকে অবসর নেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তের আইনজীবী উদয়চাঁদ মুখোপাধ্যায়। ২০২০ সালে কয়লা কাণ্ডের মামলায় সুভাষ বাবুর ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে কিছু কাগজপত্র, আবাসনের দলিল এবং ২৬ টি কিষান বিকাশ পত্র ও বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। সম্প্রতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় কলকাতার উচ্চ আদালতে ওই জিনিসগুলি ফেরত পাওয়ার আবেদন জানান। আদালত জানিয়েছিল সিবিআই আদালতেই এর আবেদন করতে হবে। সেইমতো গত ৩০ মার্চ আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাড়ির দলিল, কিষান বিকাশ পত্র সহ বেশ কিছু কাগজ ফেরত দেওয়ার। যদিও ধৃতের আইনজীবির দাবি টাকা বাদ দিয়ে আদালতের নির্দেশ মতো বাকি সব নথিপত্রই সিবিআই ফেরত দিয়েছে। 

    এদিন সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালার যোগসূত্র মিলেছে। তাই তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। কীভাবে লালা ইসিএলের জমিতে বেআইনিভাবে কয়লা তোলার সুযোগ পেল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয় ইসিএলের প্রাক্তন জিএমকে। কোনও প্রশ্নেরই সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

     

  • SSC Scam: অর্পিতাকে চিনতেন মুখ্যমন্ত্রী! কী বললেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য?

    SSC Scam: অর্পিতাকে চিনতেন মুখ্যমন্ত্রী! কী বললেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে চিনতেন। এমনকী অর্পিতা ভালো কাজ করেন বলে প্রকাশ্যেই সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এক মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (Mamata Banerjee ) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee), ভিডিও পোস্ট করে ট্যুইট বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকান্ডে শুক্রবার থেকেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে হরিদেবপুরের ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ায় আটক করা হয়েছে ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডির প্রাথমিক ধারণা, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ ২১ কোটি টাকার সঙ্গে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির নিবিড় যোগ রয়েছে। এরই মাঝে একটি পুরনো ভিডিও ট্যুইট করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।

    [tw]


    [/tw]

    ট্যুইট বার্তায় অমিত মালব্য লেখেন, ‘খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি মঞ্চ থেকে সর্বসমক্ষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর প্রশংসা করেছিলেন। তাঁরই বাড়ি থেকে ইডি খুব বেশি নয়, মাত্র ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। মমতা তাঁর সম্পর্কে জানতেন এবং তিনি যে ‘ভালো কাজ’ করছেন সেই বিষয়েও জানতেন।’

    আরও পড়ুন: এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো সিনেমা এখনও বাকি! ট্যুইটে কাকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে শুক্রবারই দাবি করেছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কিন্তু, বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের ট্যুইট অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। অমিত মালব্যর ট্যুইট করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো বলে পরিচিত নাকতলা উদয়নের দুর্গা মণ্ডপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চেই দেখা যায়, অর্পিতার প্রশংসা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্পিতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘অর্পিতা, তুমি ওড়িশায় সিনেমা কর শুনলাম। ভাল করে কর। ওড়িয়া বুঝতে পার? সুতরাং ও ওড়িশায় কাজ করে, বাংলার মেয়ে, আমি আগেরবারও দেখিলাম ও এসেছিল, ববিদের ওখানেও যায়।’

  • Partha Chatterjee: মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    Partha Chatterjee: মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে মন্ত্রিত্ব, তারপর পদ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সবকিছু হারালেন একদা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলা ভালো, এসএসসি কেলেঙ্কারির দায় মাথায় চাপিয়ে পার্থকে দল থেকেই ছেঁটে ফেলল তৃণমূল। বিকেল পাঁচটার বৈঠকের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, দল থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ, পার্থ আর তৃণমূলের মহাসচিব থাকছেন না। থাকছেন না তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকের পদেও। পাঁচটি পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 

    ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মা মাটি মানুষের সরকারে কার্যত দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলেও ছিলেন মহাসচিব পদে। কিন্তু টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়াতেও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর আর ঝুঁকি নিতে পারল না দল। আজ বিকেলেই তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক বসে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, তদন্ত যতদিন না শেষ হবে, ততদিন দল থেকে সাসপেন্ড থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজেকে যেদিন নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন , সেদিনই দল তাঁর ওপর শাস্তি অপসারণ নিয়ে ফের চিন্তাভাবনা করবে। 

    বিকেলের এই সিদ্ধান্তের আগে আজ দুপুরেই মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর হাতে থাকা তিনটি দফতরই আপাতত থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তবে শিল্প দফতর নিজের হাতে রেখে বাকি দুটি দফতর বন্টন করে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে, তথ্য প্রযুক্তি পেতে পারেন ব্রাত্য বসু। পরিষদীয় মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাপস রায়ের। নবান্ন সূত্রে অবশ্য নির্মল ঘোষের নামও পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে ভেসে উঠছে। পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সরকারি নোটিফিকেশন আজই জারি হয়।  ২৮জুলাই থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে সরকারি নোটিফিকেশনে বরখাস্ত শব্দটি ব্যবহার না করে অব্যাহতি শব্দটি লেখায় সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

    শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যেভাবে কামিনীকাঞ্চন যোগ সামনে এসেছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে দায় এড়াতে পারে না, বিরোধীরা বারবার সেই প্রসঙ্গ সামনে এনেছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন উঠেছে, একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি এই কোটি কোটি টাকা তুলতে পারেন? নাকি সঙ্গে আছে দলের আরও অনেকে? খোদ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও ইডির জেরার মুখে জানিয়েছেন, এই টাকা তোলার সঙ্গে অনেকেই যুক্ত আছে। এই অভিযোগ আর মানুষের মনে ওঠা প্রশ্ন , ভাবাতে শুরু করেছে তৃণমূলকে। তাই যে মুখ্যমন্ত্রী দুদিন আগে বলেছিলেন, এটা ষড়যন্ত্র কিনা দেখতে হবে, এখন তিনিও বুঝতে পারছেন, শিয়রে সমন। তাই আপাতত পার্থকে বলি দিতে পিছু হঠলেন না তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, যে সমস্ত ছবি সামনে আসছে, তার প্রেক্ষিতেই দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

    দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান দলের সমস্ত পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে  সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব ছাড়াও দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদক, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য এবং শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ইডি তল্লাশির ৪৮ ঘণ্টা পর প্রথমবার মুখ খুলেছিল তৃণমূল। তখনও এই দ্বন্দ্ব ছিল। ৭২ ঘণ্টা পর মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তখন মন্ত্রী পার্থ নয়, নিজেকে বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিলেন দলনেত্রী। বলেন আমার হাতেও আলকাতরা আছে, আমাকে বদনাম করলে আমিও আলকাতরা লাগাতে পারি। কোন ওয়াশিং মেশিন তা ধুতে পারবে না।

    সময়ই বলবে, এসএসসি কেলেঙ্কারিতে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধারে কারা কারা জড়িত। তবে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে মানুষের বিশ্বাস একেবারেই হারিয়েছে, তা দোকানে-বাজারে কান পাতলেই বোঝা যাচ্ছে। 

     

  • ED Raid Cash Recovery: অর্পিতার ২ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নগদ ৫০ কোটি! এটাই কি ইডি-র সর্বকালীন রেকর্ড?

    ED Raid Cash Recovery: অর্পিতার ২ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নগদ ৫০ কোটি! এটাই কি ইডি-র সর্বকালীন রেকর্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC scam) তল্লাশি চালিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) হরিদেবপুর ও বেলঘরিয়ার আবাসন থেকে যথাক্রমে ২২ কোটি ও ২৮ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। অর্থাৎ, এই দুজায়গায় হানা দিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি (ED)। 

    আর এই উদ্ধার হওয়া নগদের অঙ্ক নিয়ে এখন বিশ্লেষণ করছেন পরিসংখ্যানবিদরা। তাঁদের মতে, অতীতে ইডি একটি মামলায় এত বিপুল নগদ কখনও উদ্ধার করেনি। ফলে, অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি হতে পারে ইডি-র ক্ষেত্রে একটা সর্বকালীন রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    অতীতে, একাধিক মামলায় হানা দিয়েছে ইডি। একাধিক জায়গায় স্থাবর-অস্থাবর সমেত বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। সাম্প্রতিককালে তেমন একটি ঘটনা হল চিনা ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভো মোবাইলের বিরুদ্ধে অভিযান। তাতে ১১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৪৬৫ কোটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। কিন্তু এগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ, বাড়িতে  রাখা নগদ নয়।

    বহু জায়গা থেকেই নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। এর মধ্যে সাম্প্রতিককালে ইডি-র তল্লাশিতে বিপুল টাকা উদ্ধারের যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঝাড়খণ্ডের ঘটনা। সেখানে অবৈধ খনি মামলায় আইএএস অফিসার পুজা সিঙ্ঘলের বাড়ি ও দফতরে হানা দিয়ে প্রায় নগদ ২৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। সেটিই ছিল এযাবৎকালে সর্ববৃহৎ। এছাড়া, সত্যন্দ্র জৈনের বাড়ি থেকে নগদ ২.৮৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ডায়মন্ড সিটির পার্কিং লট থেকে ‘উধাও’ অর্পিতার ৪টে দামী গাড়ি! তাতেও ছিল টাকা?

    কিন্তু, দুর্নীতিতে ঝাড়খণ্ডকে পিছনে ফেলে ‘এগিয়ে বাংলা’। অর্পিতার ২ ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েই উদ্ধার হল ৫০ কোটি। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতার নামে কলকাতা ও শহরতলিতে নামে ও বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। একাধিক ফ্ল্যাট ও জমি-বাড়ি রয়েছে। সেগুলোতে এখনও তল্লাশি চালায়নি ইডি। সেখান থেকেও আরও বিপুল নগদ উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। 

    তবে, রেকর্ডের চেয়ে আরেকটি বিষয় আরও বেশি করে ভাবিয়ে তুলছে ইডি-কে। তা হল, মুম্বই বা দিল্লির মতো বড় শহর থেকে এই নগদ উদ্ধার হয়েছে এমন নয়। এই টাকা উদ্ধার হয়েছে কলকাতা থেকে। যা দেশের বাণিজ্য বা প্রশাসনিক রাজধানী নয়। ফলে, এসএসসি কাণ্ডে এই অর্থ উদ্ধার হওয়াটা একদিকে যেমন ইডি-র যেমন বড় সাফল্য, ঠিক তেমনই কলকাতা থেকে কেলেঙ্কারির এই বিপুল অর্থ উদ্ধার হলো— তা একটা অশনি সংকেতও বটে।

  • Partha Chatterjee: কোথায় রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুকুরের ফ্ল্যাট? অবশেষে মিলল খোঁজ

    Partha Chatterjee: কোথায় রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুকুরের ফ্ল্যাট? অবশেষে মিলল খোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই সকলের মুখে ঘোরাফেরা করছিল প্রশ্নটা। তা হল— কোথায় রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুকুরের (Partha Chatterjee Pet Dogs) ফ্ল্যাট? এতদিনে তার খোঁজ মিলল।

    গত মে মাসে এই এসএসসি-কাণ্ডের (SSC Scam) শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) একটি মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে। মন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য ছিল, নাকতলায় পোষা কুকুরের জন্য ওনার একটা ফ্ল্যাট আছে জানেন তো? এত সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে? ওনার সম্পত্তির হিসেব আদালতে পেশ করা হোক। এই সম্পত্তির পরিমাণ কত, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেই পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপতি।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (Teachers Recruitment Scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির তদন্ত করতে গিয়েই প্রথম সিবিআইয়ের হাতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, কুকুরের নামে ওই ফ্ল্যাটের কথা। যদিও, কোথায় সেই ফ্ল্যাট রয়েছে, তা তখন প্রকাশ্যে আসেনি। এখন এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডের আর্থিক দিক খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। গতকাল, সেই সূত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে ২০ কোটির বেশি নগদ ও বিপুল গয়না উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে দাবি, তল্লাশিতে উঠে এসেছে একাধিক চমকপ্রদ তথ্য। কী সেই তথ্য?

    ইডি (ED) সূত্রে দাবি, শুক্রবার টালিগঞ্জের অভিজাত ডায়মন্ড সিটি সাউথ (Diamond City South) আবাসনের টাওয়ার ২ ফ্ল্যাট ১এ-তে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এই ফ্ল্যাটেই থাকেন অর্পিতা। কিন্তু, তদন্তে উঠে এসেছে, ওই একই টাওয়ারে আরও তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে পার্থ-অর্পিতার। সেগুলি হল— ১৮ডি, ১৯ডি ও ২০ডি। সূত্রের দাবি, এর মধ্যে ১৮ডি ফ্ল্যাটটি পার্থ চট্টোপাধ্যয়ায়ের কুকুরের জন্য বরাদ্দ। জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাঝেমধ্যেই এই আবাসনে আসতেন। অর্পিতার সঙ্গে দেখা করতেন। 

  • East-West Metro: শিয়ালদহ থেকে যাত্রা শুরু করল মেট্রো, উচ্ছ্বসিত কলকাতাবাসী

    East-West Metro: শিয়ালদহ থেকে যাত্রা শুরু করল মেট্রো, উচ্ছ্বসিত কলকাতাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই প্রথম শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন (Sealdah Metro Station) থেকে সেক্টর ফাইভের (Sector 5) উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করল মেট্রো। ঝাঁ-চকচকে শিয়ালদহ স্টেশন প্রথম দিনেই দেখল ব্যস্ত কলকাতার এক অনন্য রূপ। শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন অন্যান্য স্টেশনের থেকে আকারে অনেকটাই বড়। তাই শুরুতে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে ভরসা রাখতে হবে ম্যাপে। বাংলার নানারকম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ইতিহাস ফুটে উঠেছে এই মেট্রো স্টেশনে, ছবির মাধ্যমে। উচ্ছ্বসিত নিত্যযাত্রীরা।

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষা শেষ, শিয়ালদহ- সল্টলেক মেট্রোর উদ্বোধন স্মৃতি ইরানির

    মেট্রোর প্রথম দিনের ব্যস্ততার ছবি তুলে ধরেছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রথম মেট্রোর যাত্রীদের গোলাপ ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন মেট্রো কর্মীরা। 

    [tw]


    [/tw]

    ট্যুইটারে ছবি পোস্ট করে কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকে লেখা হয়েছে, “শিয়ালদহ থেকে যাত্রা শুরু করছে প্রথম মেট্রো। প্রথম মেট্রোর যাত্রীদের স্বাগত।” 

    [tw]


    [/tw]

    উচ্ছসিত কলকাতাবাসীও। মেট্রোর ট্যুইটের কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, “একেই বলে উন্নয়ন। আরও কিছুর অপেক্ষায় রইলাম।”

    আরও পড়ুন: বৃহস্পতি থেকে যাত্রী যাতায়াত শিয়ালদহ মেট্রোয়, প্রথম ট্রেন কটায়, কী হবে ভাড়া?

    [tw]


    [/tw]

    আরেক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “কলকাতার সবচেয়ে সুন্দর মেট্রো স্টেশন।”

    [tw]


    [/tw]

    দেখুন এরকম আরও কিছু কমেন্ট:

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Draupadi Murmu: দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    Draupadi Murmu: দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এক দিনের ঝটিকা সফরে দার্জিলিংয়ে আসছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। দার্জিলিংয়ে আগেই পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও (Jagdeep Dhankhar) পৌঁছেছেন দার্জিলিং রাজভবনে। জল্পনা তুঙ্গে, তা হলে দার্জিলিংয়ে এত কাণ্ড কেন?

    সূত্রের খবর, আজ কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা-হিমন্ত বৈঠক হতে পারে। তারপরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। জনজাতি মহিলা প্রার্থী দ্রৌপদীদেবী কলকাতায় এসে প্রচারে রাজ্যের ২৯৪ বিধায়ক এবং ৪২ লোকসভা এবং ১৬ রাজ্যসভা সাংসদের ভোট পাওয়ার আশা করেছিলেন। পরের দিনই হিমন্তের মমতা দর্শন রাজনৈতিক কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চান সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জিতুন সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের এই মহিলা মুখ। এনডিএ নেতারা সেই কারণেই সব দলকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও ঘোষণা করেছেন, শিবসেনা দ্রৌপদীদেবীকেই ভোট দেবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সমর্থন চেয়ে উদ্ধবকে ফোনও করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    মমতাকে ফোন করে সমর্থন চান দ্রৌপদীদেবী স্বয়ং। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যুগ্মভাবে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তারপরেই মমতা জানান, আগে এনডিএ প্রার্থীর কথা জানলে তিনি বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন দিতেন না। ঘটনাচক্রে যশবন্ত সিংহ তৃণমূলেরই সহ-সভাপতি ছিলেন। অনেকের মতে, দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থী হওয়ায়  সারা দেশে জনজাতি সমাজে বিজেপির পক্ষে হাওয়া উঠেছে। মমতা তা বিলক্ষণ বোঝেন। তাই দ্রৌপদীদেবীর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা বলে আসলে সেই আদিবাসী সমাজকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন : খ্যাতির বিড়ম্বনা! দ্রৌপদী মুর্মুর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ছেয়ে গেছে ট্যুইটার

    এর মধ্যেই হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দূত হিসাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ। তাঁর একটাই অনুরোধ, দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের এমন ঐতিহাসিক সময়ে একজন আদিবাসী প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার ভুল যেন তৃণমূল না করে। দেশের বাকি বিরোধী দলগুলির কাছে শেষ দুদিন দূত পাঠিয়ে একই অনুরোধ জানাবে বিজেপি। অনুরোধ মেনে দ্রৌপদীদেবীকে ভোট দিলে উনি রেকর্ড ভোটে জিতে রাষ্ট্রপতি পদে বসবেন। তৃণমূল ভোট না দিলে বিজেপি প্রচার করবে আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে চায়নি তৃণমূল।এমন আবহে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হতে চলেছে মমতা-হিমন্তের নজরকাড়া বৈঠক।

    রাজ্যের বিধায়কদের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন সুকান্ত-শুভেন্দু জুটি। মমতার কাছে নম্বর বাড়াতে ফিরহাদ হাকিম এবং নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় তা গ্রহণ করেই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মমতা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে নতুন কি অবস্থান নেবেন, তাতে ফিরহাদ- নয়নাকে আফশোস করতে হবে কি না, তা সময়ই বলবে।

     

  • Primary TET Scam: বুধবারের মধ্যে ৪৩ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ-নথি তলব প্রাথমিক পর্ষদের

    Primary TET Scam: বুধবারের মধ্যে ৪৩ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ-নথি তলব প্রাথমিক পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে রাজ্যের প্রাথমিক টেট দুর্নীতি (Primary TET scam) মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। সেই মোতাবেক, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Primary Education Board) কাছে ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ-নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। সেই মর্মে, এবার, প্রতিটি জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলির থেকে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ নিয়ে তথ্য চাইল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী বুধবারের মধ্যে এই নথি সংসদের দফতরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    সোমবার এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন প্রাথমিক পর্ষদের সচিব আর সি বাগচি। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ৪২,৯৪৯ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। তাই জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সংসদকে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের একটি ই-মেল অ্যাড্রেস দেওয়া হয়েছে। বুধবারের মধ্যে সমস্ত তথ্য হাতে পাবার পর সেই তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    তদন্তের স্বার্থে, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৪২, ৯৪৯ শূন্য পদে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই তথ্য খতিয়ে দেখবে সিবিআই। টেটের রোল নম্বর, টেট পাশ সার্টিফিকেট সহ যাবতীয় নথি জমা দিতে হবে। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই সমস্ত শিক্ষক নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। সেই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবার সিবিআই আধিকারিকদের হেফাজতে আসতে চলেছে।

    এরই মধ্যে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। কী কারণে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি? টাকা নিয়ে কিছু করা হয়েছে কিনা? এই বিষয়গুলো জানতে ইডি, সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের আরজি জানিয়েছিলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। রাজ্যের যুক্তি ছিল, ২০১৪ সালে হয়েছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া, ইতিমধ্যেই ৮ বছর অতিক্রান্ত। এতদিন পর জনস্বার্থ মামলা করায়, সেই মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের দাবি খারিজ করে দিল আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

  • Mamata on Droupadi Murmu: দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা

    Mamata on Droupadi Murmu: দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) দূতের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Elections) দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) ভোট দিতে অক্ষম তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল দার্জিলিং (Darjeeling) রাজভবনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে (Hemant Biswasarma) জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিজেপির (BJP) প্রার্থীকে ভোট দেবেন না। বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই (Yashwant Sinha) ভোট দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জিতুন সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের এই মহিলা মুখ। এনডিএ নেতারা সেই কারণেই সব দলকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই মোদির দূত হিসেবে রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার দার্জিলিঙের রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) উপস্থিতিতে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই, হেমন্ত মমতাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী চান দেশের সামনে যখন একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি করার সুযোগ এসেছে তখন সমস্ত রাজনৈতিক ভেদাভেদ সরিয়ে রেখে তৃণমূলেরও উচিত তাঁকে সমর্থন করা। কারণ দ্রৌপদী মুর্মু তৃণমূল ভোট না দিলেও রাষ্ট্রপতি হবেন। সে কথা বুঝেই রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরেও দ্রৌপদীদেবীকে ভোট দিতে চলেছেন। মমতা বৈঠকে জানান, দ্রৌপদীদেবীর নাম জানিয়ে আগে প্রস্তাব দিলে ভাবা যেত। এখন আর সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    আসলে মমতার কাছে দূত পাঠিয়ে দ্রৌপদীদেবীর জন্য ভোট চাওয়ার পিছনেও রাজনীতিও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আদিবাসী মহিলা প্রার্থীকে ভোট দিলে বিজেপি জাতীয় স্তরে প্রমাণ করতে পারত বিরোধী নেত্রী হিসাবে মমতা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। এখন ভোট না দিলে বিজেপি বলতে পারে, রাজনৈতিক আকচাআকচির মধ্যেও এক জন আদিবাসী মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসাতে সমস্ত ইগো বিসর্জন দিয়ে বিজেপি মমতার কাছে ভোট চাইতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু মমতা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আদিবাসী প্রার্থীকে ভোট দেননি।

    এর আগে, মমতাকে ফোন করে সমর্থন চান দ্রৌপদীদেবী স্বয়ং। রাজ্য বিজেপির সভাপতি (BJP State President) সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী যুগ্মভাবে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তারপরেই মমতা জানান, আগে এনডিএ প্রার্থীর কথা জানলে তিনি বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন দিতেন না। ঘটনাচক্রে যশবন্ত সিংহ তৃণমূলেরই সহ-সভাপতি ছিলেন। অনেকের মতে, দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থী হওয়ায় সারা দেশে জনজাতি সমাজে বিজেপির পক্ষে হাওয়া উঠেছে। মমতা তা বিলক্ষণ বোঝেন। তাই দ্রৌপদীদেবীর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা বলে আসলে সেই আদিবাসী সমাজকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির

    এদিকে, দার্জিলিং রাজভবনে মমতা-হেমন্ত এবং রাজ্যপালের একটি ছবি ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিভিন্ন হ্যান্ডেল থেকে প্রচার করা হচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং হচ্ছে এমন ধারণা তৃণমূলই সর্বত্র ছড়াতে চাইছে। অনেকেই মনে করছেন, নানা দুর্নীতির মামলায় যেভাবে সিবিআই, ইডি একের পর এক টিএমসি নেতাদের তলব করছে তাতে নিচুতলার কর্মীরা আর সক্রিয়ভাবে দল করতে চাইছেন না। তাঁদেরই টিএমসি বার্তা দিয়ে জানাতে চাইছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরে ভাল সম্পর্ক রয়েছে মমতার। ফলে ইডি-সিবিআইকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

    এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আদিবাসী মহিলার জন্য আমরা মুসলিম লিগের কাছেও ভোট চেয়েছি। এনডিএ প্রার্থী যাতে সর্বোচ্চ ভোট পান, তার জন্য সব কৌশলই নেওয়া হবে। কিন্তু তৃণমূল প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা আদিবাসী সমাজের উত্থান চায় না। আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি যারা চুরি-জোচ্চুরি করেছে তাদের ডাকবে এবং জেলে ঢোকাবে। এ নিয়ে কারও ধোঁয়াশা রাখা উচিত নয়।

LinkedIn
Share