Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bagtui Violence: বগটুইকাণ্ডে নাম জড়াল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের, প্রত্যক্ষদর্শীর বিস্ফোরক দাবিতে বিপাকে তৃণমূল

    Bagtui Violence: বগটুইকাণ্ডে নাম জড়াল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের, প্রত্যক্ষদর্শীর বিস্ফোরক দাবিতে বিপাকে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিককালের একটি ঘটনা যা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে তা হল বীরভূমের (Birbhum) বগটুইকাণ্ড (Bagtui violence)। রামপুরহাটের (Rampurhat) এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। ইতিমধ্য়েই এই কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। আর এরমধ্য়েই উঠে আসছে একটার পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

    ইতিমধ্য়েই, এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। এই কাণ্ডের পরেই তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নেতা এখন সিউড়ি জেলে বন্দি। এবার উঠে এল উঠে এল রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। স্থানীয় বিধায়ক আশিসের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন এই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী তথা নিহতদের আত্মীয় মিহিলাল শেখ। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।

    সম্প্রতি, মিহিলাল শেখ দাবি করেছেন, ‘আশিস বন্দোপাধ্যায় আনারুলকে দিয়ে এসব কাণ্ড ঘটিয়েছেন। উনিই আনারুলকে ব্লক সভাপতি করেছেন। তিনি আনারুলকে গাইড করছেন। কাউকে যেন না ছাড়া হয়।’ এখানেই থেমে থাকেননি মিহিলাল। আশিসের বিরুদ্ধে আরও তোপ দাগেন তিনি। ক্ষোভের সুরে তাঁর অভিযোগ, ধৃতরা জেলের ভিতর রাজার হালে আছে। স্থানীয় বিধায়কের মদতে জেলের ভিতর তাদের সব সুবিধা পৌঁছচ্ছে।

    আশিসের নাম এই প্রথম উঠে এল এমনটা নয়। বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এর আগে আনারুলকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই আনারুলকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমি আশিসকে বলেছিলাম।’ 

    গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তারপর বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে শিশু ও মহিলা সহ ৭ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হা পাতালে ঘটনায় আহত আরও দুই মহিলার মৃত্যু হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে জোড়া ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনসহ মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

    ইতিমধ্যেই সিবিআই একের পর এক বহু প্রশাসনিক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকারের নাম জড়ানোই তাঁকেও কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে? সেই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে। চরম অস্বস্তিতে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস। মিহিলালের স্পষ্ট দাবি, ‘আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ওপর অত্যাচার করছে। যারা পুড়িয়ে মেরেছে তারা জেলে থেকেও সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। জেলে এলাহিভাবে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। বিয়ার খাচ্ছে, বিরিয়ানি, বাইরের খাবার পাচ্ছে। আর এসব ব্যবস্থা করছে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।’ 

    যদিও, মিহিলালের (Mihilal Sheikh) যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছেন রামপুরহাটের বিধায়ক। আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Deputy Speaker Ashish Banerjee) পাল্টা দাবি, মিহিলাল কারও শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন। পরিকল্পিতভাবে তিনি দলকে ও আমাকে হেয় করতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘এক মাস হয়ে গেল তারপর এখন এই ঘটনায় আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। আমার মনে হয় এইসব পুরোপুরি মিথ্যা, শেখানো কথা। প্রমাণ থাকলে আমি নির্বাসন নেব।’

     

     

  • Mamata Banerjee BGBS 2022: শিল্প সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রসঙ্গ উত্থাপন করা কি আদৌ প্রয়োজন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর?

    Mamata Banerjee BGBS 2022: শিল্প সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রসঙ্গ উত্থাপন করা কি আদৌ প্রয়োজন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হোক বা বাণিজ্যিক, শিল্প হোক বা সামাজিক– কেন্দ্রকে বিঁধতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে কোনও সুযোগ ছাড়েন না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা কারোরই অজানা নয় যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই প্রতিপক্ষমূলক রাজনীতি পছন্দ করেন। কিন্তু, সদ্যসমাপ্ত বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি সম্ভবত লাল দাগ অতিক্রম করলেন। 

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2022) মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের রাজ্যপালকে বলেছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যাতে শিল্পপতিদের হেনস্থা না করে তা যেন তিনি কেন্দ্রকে বলে নিশ্চিত করেন। সেইসময় সভাঘরে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি থেকে শুরু করে ১৪টি দেশের আমন্ত্রিত শিল্প ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী একথা বলে দেন।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সব রকম সাহায্য আমরাও পেতে চাই। তবে শিল্পপতিদের তরফে রাজ্যপালের কাছেও আমার একটি অনুরোধ আছে। অনুরোধ এই যে, শিল্পপতিদের যেন কেন্দ্রীয় সংস্থা মারফৎ কোনওরকম হেনস্তা না করা হয়। রাজ্যপালও যেন বিষয়টি কেন্দ্রের কানে পৌঁছে দেন।’ 

    শেষোক্তি কতটা যুক্তিযোগ্য়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিশেষ করে, বাণিজ্য সম্মেলনের মতো একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা বলার কি আদৌ প্রয়োজন ছিল? আর এই কথা তিনি বলছেন কাকে? — মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের রাজ্যপালকে। রাজনৈতিক মঞ্চ হলে হয়ত কোনও কথা ছিল না। প্রশাসনিক জায়গা হলে, তবুও মানা যেত। কিন্তু, রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের ফ্ল্যাগশিপ বাণিজ্য সম্মেলনে দেশী-বিদেশি অতিথিদের সামনে কেন্দ্রকে ও কেন্দ্রের প্রতিনিধিকে শ্লেষাত্মক কথা বলা আদপেই নিষ্প্রয়োজন ছিল।

    মমতার এই মন্তব্য আরও অনভিপ্রেত এই কারণে যে, এই মঞ্চে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক আগে, নিজের বক্তব্যের সময় কেন্দ্র-রাজ্যের বিভেদ ভুলে একসঙ্গে এগিয়ে চলা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। ধনকড় বলেন, বাংলার উচিত রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে, উন্নয়নের কথা ভেবে কেন্দ্রের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এতেই বাংলার ভাল হবে।

    সম্মেলনে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী গত বছরই দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন। তবে পূর্ব-নির্ধারিত সূচি থাকায় সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, মমতা তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে বিঁধলেন শিল্পপতি ও রাজ্যপালের সামনেই। মুখ্যমন্ত্রী হয়ত এটা ভুলে যাচ্ছেন, শিল্পপতিরা যাই করুক, তাঁরা কেউ-ই কেন্দ্রকে চটাতে চাইবেন না। ফলে, তাঁর এই মন্তব্য শিল্পপতিদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে বাধ্য। এটা মাথায় রাখতে হবে, বর্তমান যুগে, কোথায় কী হচ্ছে, কী ঘটছে, সে সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। রাজ্য ও রাজ্য প্রশাসন সম্পর্কে, সব খোঁজখবরই থাকছে সকলের কাছে। 

    ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য আখেরে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে। অন্তত এমনটাই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

     

  • BJP attacks Mamata: “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন “ধর্ষক-খুনীদের রক্ষা করছেন, মহিলাদের কী আশা থাকতে পারে”, আক্রমণ বিজেপির

    BJP attacks Mamata: “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন “ধর্ষক-খুনীদের রক্ষা করছেন, মহিলাদের কী আশা থাকতে পারে”, আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল বিজেপি। বিরোধী দলের মতে, যখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে “খুনী ও ধর্ষকদের রক্ষা” করছেন, তখন মহিলাদের আর কী-ই বা আশা থাকতে পারে!

    রাজ্য বিজেপির যুগ্ম-দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালব্য জানান, হাঁসখালি কিশোরী নির্যাতিতার চরিত্রহনন করার পর মুখ্যমন্ত্রী এখন বিষয়টিকে “আত্মহত্যা” বলে উল্লেখ করছেন। টুইটারে মালব্য লেখেন, “হাঁসখালি নির্যাতিতার চরিত্রহনন করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘটনাটিকে “আত্মহত্যা” বলে উল্লেখ করছেন। হত্যা করার আগে কিশোরীকে যে নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল, তা তিনি অস্বীকার করছেন। যখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে “খুনী ও ধর্ষকদের রক্ষা” করছেন, তখন মহিলাদের আর কী-ই বা আশা থাকতে পারে!”

    [tw]


    [/tw]

    হাঁসখালি কাণ্ডে একটি পাঁচ সদস্যের তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। ওই কমিটির দায়িত্ব ছিল কিশোরী নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করা। গত ২১ এপ্রিল ওই কমিটি তার রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা তুলে ধরে এরাজ্যে ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারা জারি করার সুপারিশ করে। 

    ওই কমিটি তার রিপোর্টে উল্লেখ করে, “মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রশাসন ও শাসক দলের গুন্ডারা সব প্রমাণ নষ্ট করে ফেলেছে। না ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে, না ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে।” শুধু তাই নয়, কমিটি সুপারিশ করে, এই মামলার শুনানি যাতে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হয়, যাতে নির্যাতিতার পরিবার সুবিচার পায়। প্রসঙ্গত, হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘নির্যাতিতা কিশোরী (যার পরে মৃত্যু হয়) এবং  অভিযুক্তের মধ্যে “লাভ অ্যাফেয়ার্স” ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

    এর আগেও আপরেকটি টুইটেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন মালব্য। তিনি লিখেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার ভগ্ন পরিস্থিতিকে রক্ষা করতে গিয়ে নার্ভাস হয়ে পড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের ২ মে-র পর পশ্চিমবঙ্গে যে ব্যাপকহারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুট, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চলেছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনিই দায়ী।”

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Primary TET Scam:চাকরির বিনিময়ে সোনা! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় প্রকাশ্যে আরেক ‘রঞ্জন’

    Primary TET Scam:চাকরির বিনিময়ে সোনা! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় প্রকাশ্যে আরেক ‘রঞ্জন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দেশের নজর যেন কেন্দ্রীভূত হয়েছে বাংলার দিকে। না না কোনও ভালো কারণে নয়। সামনে আসছে তৃণমূল সরকারের একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জী (Arpita Mukherjee)। তাঁদের একাধিক বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এখনও শেষ হয়নি সেই বিশাল গুপ্তধনের উদ্ধার কাজ। জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। আর এর মাঝেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary TET Scam) প্রকাশ্যে এল আরও এক ‘রঞ্জন’ (New Ranjan) – এর নাম। শুক্রবার এই রঞ্জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নদিয়ার বাসিন্দা এই ‘রঞ্জন’ – এর আসল নাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা বলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকা থেকে তিনি তিন কোটি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ করেছেন খোদ চাকরি প্রার্থীরাই। 

    আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের শিকার! দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, কেন এমনটা বললেন তিনি?

    এদিন আদালতে সুমন চট্টোপাধ্যায়ের নামে নদিয়ার সুপর্ণা দাস রায় নামের এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, জেলায় বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে বেকার ছেলে মেয়েদের থেকে টাকা তুলতেন তিনি। নিজেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক সুদীপ্ত আচার্য ও দিব্যেন্দু বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে টাকা তুলতেন। প্রতিটি চাকরির জন্য নিতেন ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। এমনকি কেউ নগদ টাকা দিতে না পারলে তাঁর কাছ থেকে সোনার গয়নাও নিতেন ওই অভিযুক্ত। প্রসঙ্গত, সুমন চট্টোপাধ্যায় নিজেও পেশায় একজন শিক্ষক। 

    অভিযোগ পাওয়ার পরেই নদিয়ার এই নতুন ‘রঞ্জন’ – এর  বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

    এর আগে উপেন বিশ্বাস বাগদার নামের এক ব্যক্তি এক রঞ্জনের নাম করেছিলেন আদালতে। তিনিও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। 

    আরও পড়ুন: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এএসসি কাণ্ডের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে দুর্নীতি। একের পর এক কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলার হাত ধরেই প্রকাশ্যে আসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টি। তারপরেই সামনে আসে গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি। তাতেও শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম জড়িয়েছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এসএসসির একাধিক মামলার সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। তারপরেই সেটা ইডির হাতে চলে যায়। আর ঝোলা থেকে বেরিয়ে পড়ে বেড়াল। থুরি টাকা।        
     

  • BJP Rally Kolkata: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চার অভিযানে ধুন্ধুমার, মিছিল রুখতে ব্যারিকেড-জলকামান পুলিশের

    BJP Rally Kolkata: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চার অভিযানে ধুন্ধুমার, মিছিল রুখতে ব্যারিকেড-জলকামান পুলিশের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (BJP Youth wing) বিকাশ ভবন (Bikash Bhawan) অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকের (Salt Lake) করুণাময়ী। স্কুল সার্ভিস কমিশনে (SSC) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Teachers recruitment scam) প্রতিবাদে পথে নেমেছিল বিজেপি। কর্মসংস্থানের দাবি তুলে এবং পুলিস নিয়োগ-সহ একাধিক সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল।

    প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের (heatwave) মধ্যেও মঙ্গলবার দলের যুব মোর্চার তরফে বিকাশ ভবন অভিযান শুরু হয়। কলকাতা ও সল্টলেকের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের  পাশাপাশি লাগোয়া জেলাগুলি থেকেও বিজেপির বহু কর্মী এসে ভিড় জমিয়েছিলেন করুণাময়ী চত্বরে। 

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির মিছিলে যোগ দেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP Youth national President) তেজস্বী সূর্য (Tejasvi Surya), মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ছিলেন দলীয় নেত্রী তথা মহিলা বিজেপির রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।

    বিকাশ ভবনের আগেই যুব মোর্চা কর্মীদের মিছিল ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। প্রচুর সংখ্যক পুলিশ বিকাশ ভবনের আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছিল। যুব মোর্চা কর্মীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের তুমুল বচসা শুরু হয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। সেই সময়ই আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।

    এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP State President)। সুকান্ত মজুমদার বলেন,  কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে বহু পরীক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। নবান্নের ১৪ তলায় বসে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। পুলিস-সিআইডি সবটা জেনেও চুপ করে বসেছিল। কোর্টের নির্দেশে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চের দয়ায় ‘বেঁচে’ রয়েছেন বলেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    [tw]


    [/tw]

    অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Pal) নিশানা করেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “একটা মিথ্যা কথা ঢাকতে গিয়ে উনি আর একটা মিথ্যা কথা বলছেন। এবার বললেন, ৪০ লক্ষ চাকরি হয়েছে! কোথায় চাকরি? শ্বেতপত্র বার করুন। আমরা খুশি হব। চাকরি কেউ পাচ্ছে না। যারা যোগ্য, তারা ওই গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অনশন করছে। আর যারা অযোগ্য, তারা টিএমসির সাপোর্টার, পিছনের দরজা দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার মাধ্যমে চাকরি পাচ্ছে। এটা চলতে পারে না।”

     

  • Shah-Sourav: সৌরভের বাড়িতে শুভেন্দুকে নিয়ে নৈশভোজে যাচ্ছেন অমিত শাহ?

    Shah-Sourav: সৌরভের বাড়িতে শুভেন্দুকে নিয়ে নৈশভোজে যাচ্ছেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বাড়িতে নৈশভোজে যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে যাওয়ার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীরও। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তেরও এদিন নৈশভোজ সারার কথা সৌরভের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি তৃণমূল। ঘটনাটি নিছকই সৌজন্যমূলক বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসক দলের একাংশ।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে ভারতীয় ক্রিকেট তারকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছড়ায়। তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করে বিজেপি ভোটে লড়বে বলেও জল্পনা ছড়ায়। এর পরে পরেই তড়িঘড়ি সৌরভের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। সৌরভ যাতে পদ্ম-প্রার্থী না হন, সেই অনুরোধই জানাতে এসেছিলেন অশোক। যাবতীয় জল্পনায় বরফ ঠান্ডা জল ঢেলে পরে সৌরভও জানিয়ে দেন, বিজেপির প্রার্থী তিনি হচ্ছেন না।

    এর পর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে সময়ের স্রোত। রাজ্যের কুর্সি দখল করেছে তৃণমূল। দিন দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন সৌরভ। পরে দুজনেই জানান, রাজ্যে স্টেডিয়াম গড়া নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।

    এই আবহে শুক্রবার সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।তিনি একা গেলে হয়তো বিষয়টি নিয়ে চর্চাই হত না। তবে সৌরভের বাড়িতে এই শাহি নৈশভোজে যোগ দেওয়ার কথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও স্বপন দাশগুপ্তের। এর পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।

    যদিও এই শাহি নৈশভোজে রাজনীতির রং লাগাতে চায় না রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের মতে, অমিতের পুত্র জয় শাহ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে সৌরভের ডেপুটি। সেই সূত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে শাহের সঙ্গে ওই ভোজে কেন স্বপন এবং শুভেন্দু, তা বুঝতে পারছেন না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পুরো পরিস্থিতির ওপর তাঁরা নজর রাখছেন বলেও সূত্রের খবর।        

      

  • Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি আবাসনেই চারটি ফ্ল্যাট। প্রত্যেকটিই বেনামি (Benaami)। কিন্তু আবাসনের সকলেই জানতেন চারটি ফ্ল্যাটের মালকিনই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। ইডির তদন্তে সব তথ্যই জমা পড়েছে। যাঁদের নামে ওই ফ্ল্যাটগুলি কেনা হয়েছে বা নথিভূক্ত রয়েছে তাঁদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) যোগসূত্র কী তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। 

    সবচেয়ে রহস্যের বিষয়, পুরো আবাসনে একমাত্র এই চারটি ফ্ল্যাটে কারা আসছেন, কোনও গাড়ি ঢুকছে, কতক্ষণ থাকছে তা নিরাপত্তা রক্ষীরা রেকর্ড রাখতে পারতেন না। কোনও এক অজানা হাত আবাসনের নিরাপত্তা সুপারভাইজারকে তেমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে ‘মাই গেট’ অ্যাপ (My Gate App) থেকে এই চারটি ফ্ল্যাটকে বাদ রাখা হয়েছিল। ইডির তদন্তে সেই প্রসঙ্গটিও আতসকাচের নীচে চলে এসেছে।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার নিয়ন্ত্রণে চারটি ফ্ল্যাট ছিল। টাওয়ার-২’তে ১এ নম্বরের ফ্ল্যাটটি রয়েছে সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং কল্যাণ ধরের নামে। টাওয়ার-২তে ১৮ডি এবং ১৮ই ফ্ল্যাট দুটি রয়েছে অ্যালকোভ রিয়েলটি প্রজেক্টসের নামে। একই টাওয়ারে ১৯আই নম্বরের ফ্ল্যাটটি আশুতোষ শি এবং শর্মিষ্ঠা চৌধুরির নামে নথিভূক্ত রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    ইডি (ED) জেনেছে, বিভিন্ন জনের নামে ফ্ল্যাটগুলি কেনা থাকলেও আসলে সেগুলির নিয়ন্ত্রক ছিলেন অর্পিতা। তদন্তকারীদের সামনে তিনি অবশ্য জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা। বেনামি মালিকদের সূত্র ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরও কিছু ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। সেই সূত্রেই বেলঘরিয়া, চিনার পার্কসহ আরও কয়েকটি স্থানে লুকনো ঠিকানার সন্ধান পেয়েছে ইডি।

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেনামি ফ্ল্যাট কেনা টাকা ঘোরানোর সহজ পথ। কিন্তু আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ফ্ল্যাট রাখার মধ্যে অপরাধমূলক মানসিকতা রয়েছে। ইডির দাবি, বহুতল আবাসনের সুরক্ষার জন্য ‘মাই গেট’ নামে অ্যাপ খুবই উপযোগী এবং জনপ্রিয়। এই অ্যাপ আবাসিকদের কাছে থাকে। কোনও ভিজিটর ফ্ল্যাটে আসতে চাইলে মাই গেট অ্যাপের মাধ্যমেই আবাসনের গেট থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা অনুমতি চান। এটা অনেকটা ব্যাঙ্কিং ওটিপি পাঠানোর মতো। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অনুমতি দিলে তবেই আবাসনের ভিতর কোনও ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন বা গাড়ি ঢুকতে পারে।

    ষড়যন্ত্রের শিকার! দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, কেন এমনটা বললেন তিনি?
     
    তদন্তে নেমে ইডি যখন মাই গেট অ্যাপে অর্পিতার চারটি ফ্ল্যাটে ভিজিটরদের রেকর্ড চান, তখন নিরাপত্তা সুপাইভাইজার জানান, ওই চারটি ফ্ল্যাটে কে আসছেন, কে যাচ্ছেন, কোন গাড়িতে আসছেন তা রেকর্ড রাখা বা জানার অধিকার তাঁদের ছিল না। অর্পিতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বলে আসলে যা বলা হচ্ছে তা যে আসলে বেনামি তা এবার স্পষ্ট। ইডির তদন্ত শুরু এখান থেকেই। এসএসসি দুর্নীতির (SSC scam) টাকা নাকি তৃণমূলের (TMC) দলীয় তহবিলের কিছু অংশ মিলেছে ডায়মন্ড সিটির (Diamond City) ফ্ল্যাট থেকে। তা হলে পার্থ-অর্পিতাতেই (Partha-Arpita) তদন্ত থামছে না। আরও উপরে উঠবে সেই তদন্ত, এমনই আভাস।

  • Dona Ganguly: রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ-পত্নী ডোনা? জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে

    Dona Ganguly: রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ-পত্নী ডোনা? জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হ্যাঁ বা না, এখনও পর্যন্ত কিছুই বলেনি বেহালার গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। মুখ খোলেননি বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি সৌরভ (Sourav)। মুখে কুলুপ ওড়িশী নৃত্যশিল্পী ডোনা (Dona) গঙ্গোপাধ্যায়েরও। সোমবার রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মন্তব্যের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়াও আসেনি বেহালা থেকে। ফলে জল্পনা বাড়ছে। ‘ডিনার-পলিটিক্স’এ কি এবার তাহলে সাফল্য এল?

    ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য করার প্রস্তাবে এবার কি এক ঢিলে তিন পাখি মারছে বিজেপি? কারণ-

    ১) ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Elections) বছরেই ওড়িশাতে (Odisha) বিধানসভা নির্বাচন। ওড়িশী নৃত্যশিল্পী হিসেবে দেশজুড়ে সমাদৃত বাঙালি ডোনা গাঙ্গুলি। নির্বাচনী প্রচারে বাংলা ওড়িশা দুই রাজ্যের আবেগকেই কাজে লাগাতে পারবে বিজেপি।
    ২) রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হলে কোন রাজনৈতিক রংও লাগছে না গায়ে। 
    ৩) আবার সৌরভ-জায়াকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে সৌরভকেও পাশে রাখতে পারছে বিজেপি।   

    এবছরই রাজ্যসভার রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দুই জনই বাঙালি। সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্ত ও অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলির মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে ২০২২-এ। রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। তাহলে কি ঐ দুই শূন্য পদের একটায় আসতে চলেছেন সৌরভ-জায়া ডোনা। যিনি নিজেই একজন নামী ওড়িশী শিল্পী। যদিও এ বিষয় নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি বেহালার গাঙ্গুলি পরিবার। তবে, সোমবার বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে জল্পনা বেড়েছে বৈ কমেনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, দিলীপ ঘোষ বলেন, “তিনি খুশি হবেন যদি ডোনা গাঙ্গুলির মত কোন বিশিষ্টকে রাজ্যসভার জন্য বেছে নেন দেশের রাষ্ট্রপতি।” জল্পনা আরও বেড়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে। সুকান্ত মজুমদার পুরোটাই ছেড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর। সঙ্গে যোগ করেছেন,”আরও খুশি হব যদি সৌরভ গাঙ্গুলির মত কেউ রাজ্যসভায় যায়, রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে।

    এর আগেও সৌরভকে দলের প্রার্থী (election candidate) করতে চেয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে রাজ্যের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। দলমত নির্বিশেষে সৌরভ রাজ্য রাজনীতির সব দলের কাছেই একটি গ্রহণযোগ্য নাম। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। সবাই তাঁকে পাশে পেতে চায় ‘আইকন’ হিসেবে। কিন্তু সৌরভ কখনই কোনও রাজনৈতিক দলে নাম লেখাননি। ফলে তাঁর চাহিদা আর আকর্ষণ বেড়েছে প্রতিদিন। অমিত শাহের ছেলেকে পাশে নিয়ে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবেও নিজের কর্মদক্ষতা দেখাচ্ছেন ক্যাপ্টেন সৌরভ। ফলে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক তাঁর।

    সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলে নাম না লেখালেও রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য হওয়াই যায়। একাধিক উদাহরণও আছে গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে। তবে, সৌরভ নিজে রাজি না হলেও ডোনাতে আপত্তি থাকার কোন কারণ নেই। ৬ মে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী ও সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশে দাঁড়িয়ে সারাক্ষণ তদারকি করেছিলেন ডোনা। তাঁর আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victoria Memorial) ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ওড়িশী নৃত্য পরিবেশন দেখতে হাজির ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  

  • Suvendu Adhikari: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচার্য বিলের (University Amendment Bill) ভোট গণনায় বিভ্রান্তি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata) ‘ছাপ্পাশ্রী’ বলে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী  (Suvendu)।  একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাপ্পাশ্রী পুরস্কার দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। শুধুমাত্র সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারই তাঁর প্রতিভার জন্যে যথেষ্ট নয়।”

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যপাল নন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্যের পদে বসাতে সোমবারই বিধানসভায় পাশ করানো হয় ‘আচার্য বিল’। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর বিল এনেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই বিলের বিরুদ্ধে ভোটের দাবি তোলে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভোট গণনার পর দেখা যায়, বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৪০টি। এতেই চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, বিজেপির ৫৭ বিধায়ক বিলের বিপক্ষে ভোট দিলেও কেন ৪০টি ভোট বিপক্ষের বলে জানানো হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: অবহেলার ছাপ?

    এরপর সোমবার আচার্য বিলের ভোট গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল তা কার্যত স্বীকার করে নেয় রাজ্য সরকার। ভোট গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল, মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে একথা স্বীকার করে নেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিভাগীয় তদন্ত হবে বলেও জানান তিনি। এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের ফল গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল। এমন ভুল আর হবে না বলেই আশা করছি। তবে কেন এই ভুল হল এর বিভাগীয় তদন্ত হবে।”  

    আরও পড়ুন: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এরপরেই আরও একটি ট্যুইট করে মমতাকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন,”মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। কিন্তু সেই ভুল ইচ্ছাকৃত হতে তা ভুল বলে বিবেচিত হয় না। ১১ বছর সরকার চালিয়েও বিধানসভায় ভোট প্রক্রিয়া উন্নত করতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বাইরের সব বিধানসভাতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা আছে।”   

    [tw]


    [/tw]

    একই বিষয়ে বিমান বন্দ্যোপধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির আরেক বিধায়ক অশোক লাহিড়ীও (Ashok Lahiri)। বিধানসভায় সোমবার আচার্য বিলের ভোট গণনায় ভুলের প্রসঙ্গটি তুলে তিনি বলেন, “কালকের ঘটনায় খুব কষ্ট পেয়েছি। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। অনেকে বলেছেন যে, এটা ষড়যন্ত্র। আমি বিশ্বাস করিনি। লোকসভা বা বিধানসভায় ভোট হয়। কিন্তু এমন হয় না। অবহেলা হয় না।” 

    এরপরেই ভুল স্বীকার করেন স্পিকার। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় অর্থনীতিবিদ বিধায়ক বলেন, “আপনিই আমাদের নেতা। তাই আপনার নির্দেশ শিরোধার্য। আপনি থাকতে এটা কী করে হল? অবহেলা বা অনিচ্ছাকৃত ভুল বললে চলবে না।” 

  • Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ডাক্তার প্রয়াত সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে মন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাত্মার প্রতীক। অসংখ্য মানুষের রোগ উপশমকারী একজন দয়ালু ও উদারহৃদয় চিকিৎসক হিসেবেই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবারের পাশে আছি। ওনার জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। ওনার চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি। উনি না থাকলেও ওনার আদর্শ এবং কাজ আমাদের মধ্যে চিরদিন থেকে যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘পদ্ম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময় তাঁর সঙ্গে মত বিনিময়ের কথা আমার আজও মনে আছে । তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত।’ এর আগে তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।

    গত ২৬ জুলাই প্রয়াত হন বোলপুরের ((Bolpur) অত্যন্ত জনপ্রিয় চিকিৎসক ‘১ টাকার ডাক্তার’ (1 Rupee doctor) সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sushobhan Banerjee)। কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ফেলেন (Demise) তিনি। বছরের পর বছর ধরে এলাকায় এক টাকার ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ছিলেন, সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের হরগৌরিতলায় ৫৭ বছর ধরে মাত্র এক টাকায় রোগী দেখে আসছিলেন তিনি। গরিব মানুষদের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।

    আরও পড়ুন: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি।  গত কয়েক মাস ধরেই কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। ধারাবাহিকভাবে চলছিল তাঁর ডায়ালাইসিস। তবে এই ডায়ালাইসিস চলাকালীনও তিনি যতটা সম্ভব রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ১৫-২০ দিন আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সুশোভনবাবু আজীবন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্য ছিলেন। সাধারণ মানুষের আর্জি মেনে নিয়ে জীবিত অবস্থায় বোলপুরে তিনি নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।

LinkedIn
Share