Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Anubrata Mondal: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    Anubrata Mondal: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি। এক সময় বীরভূমে তৃণমূলের যাবতীয় প্রচার-ফ্লেক্সে জ্বলজ্বল করত তাঁর হাসি মুখের ছবি। অথচ গরুপাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case)  সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হতেই ফ্লেক্স-ফেস্টুন থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছেন  অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠ (Tarapith) ছয়লাপ তৃণমূলের ফ্লেক্সে। সেখানে জ্বলজ্বল করছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) হাতজোড় করা ছবি। তাহলে কি কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব? উঠছে প্রশ্ন।

    ফি বার কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে মেলা ভিড় হয় তারাপীঠে (Tarapith)। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কৌশলে প্রতিবার প্রচারের কাজটি সেরে ফেলে তৃণমূল। এবারও তাই করেছে। তবে ভক্তদের যেটা নজর কেড়েছে, সেটা হল অন্যান্যবার ফ্লেক্স-ফেস্টুনে উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকে অনুব্রতর। এবার তিনি নেই। তাঁর বদলে তারা মায়ের ছবির পাশে রয়েছেন দলনেত্রী স্বয়ং!

    তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ফ্লেক্স-পরিকল্পনা যাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত, তিনি তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর রামপুরহাট কিষাণ মান্ডিতে আয়াস অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক আলোচনার সময় মেজাজ হারিয়ে আশিসকে ‘অপদার্থ’ বলেছিলেন অনুব্রত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ফ্লেক্স থেকে অনুব্রতকে মুছে দিয়ে এবার সেই ‘অপমানে’র বদলা নিলেন আশিস। তাঁদের মতে, অনুব্রতকাণ্ডে ফের যাতে দলের মুখ না পোড়ে, তাই তাঁকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে দলে।

    আরও পড়ুন : সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

    রাজনৈতিক মহলের অনুমান যে নিছক কষ্ট-কল্পনা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে বৃহস্পতিবারই। এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে বৈঠকে ডেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল নন, এবার থেকে বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দেখভাল করবেন জেলা নেতৃত্বই। এদিনের বৈঠকে অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও।

    আরও একটি কারণে তৃণমূলে অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলা হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। সেটি হল, সিবিআই হেফাজত থেকে অনুব্রত গিয়েছেন জেল হেফাজতে। তদন্ত শুরু করতে চলেছে ইডিও। যার অর্থ, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের কিছু প্রমাণ মিলেছে।   

    তাহলে কি তৃণমূলে অবসান হতে চলেছে অনুব্রত-যুগের?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রল, ডিজেলের দাম (Petrol Diesel Prices) কমানো নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের ওপর পালটা চাপ দিল বিজেপি (BJP)। ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য জ্বালানির দামে করছাড় ঘোষণা না করলে নবান্ন  (Nabanna) অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    গত ২১ মে দেশজুড়ে পেট্রল ও ডিজেলের করে ছাড় ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) জানান, পেট্রলে লিটারে প্রায় ১০ টাকা ও ডিজেলে লিটারে প্রায় ৭ টাকা কর কমাতে চলেছে কেন্দ্র। পর দিন থেকে লাগু হয় নতুন দাম। 

    কিন্তু তার পরও করছাড় ঘোষণা করেনি রাজ্য। উলটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, দেশের অবিজেপি সরকারগুলির মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলে সব থেকে বেশি করছাড়া দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    রাজ্যের শাসক দলের এই দাবি বৃহস্পতিবার নস্যাৎ করে দেয় বিজেপি। বিজেপির দাবি, ইতিমধ্যে পেট্রল-ডিজেলে কর কমিয়ে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকার তার ভূমিকা পালন করছে না। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্য কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও করবে বিজেপি।

    জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    সুকান্তর মতে, জিএসটি (GST) সমেত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের সব বকেয়া পাওনা মঙ্গলবারই মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। এবার পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে কর কমাক তৃণমূল সরকার।

    এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’

    জ্বানানি ইস্যুর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। 

    স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বর্তমানে ব্যর্থসাথীতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত আসতে বাধ্য হবে।

    “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

  • Sukanya Mondal: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

    Sukanya Mondal: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরেশ (Paresh Adhikary)-কন্যার অঙ্কিতার (Ankita Adhikary) পর এবার অনুব্রত (Anubrata Mondal)-কন্যার বিরুদ্ধেও উঠল টেট পরীক্ষায় (Primary TET) পাশ না করে স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। আর এই অভিযোগ বিস্ফোরক ঘিরে জোর আলোড়ন। ২৪-ঘণ্টার মধ্যে স্কুলের রেজিস্টার আদালতে পেশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt)। 

    আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ তো ছিলই, এবার কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) বিরুদ্ধে উঠল টেট অনুত্তীর্ণ হয়েও চাকরি নেওয়ার অভিযোগ। বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী সৌমেন নন্দী অভিযোগ করেন, অনৈতিক ভাবে, টেট পাশ না করেই স্কুলের চাকরি পেয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চে ওঠা মামলায় বুধবার অভিযোগ করা হয়েছে, সুকন্যা নাকি স্কুলেও যেতেন না। অথচ, অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে যেত হাজিরার রেজিস্ট্রার। 

    আরও পড়ুন: স্কুলে চাকরি করেই কয়েক’শ কোটির সম্পত্তি সুকন্যার! কী করে? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    মামলাকারীর আরও অভিযোগ, শুধু সুকন্যাই নয়, চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর আরও ৫ আত্মীয়। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেন, সুকন্যার মতো স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর আপ্ত সহায়ক অর্ক দত্তও। চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর ভাই, ভাইপো, ছাড়াও ২ ঘনিষ্ঠ। শুনানির শেষে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ৩ টার মধ্যে সুকন্যা সহ ৬ জনকে টেট সার্টিফিকেট নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে, কালকের মধ্যে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে রেজিস্টার নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাজিরা না দিলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশ যাতে কার্যকর করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে আদালতের রায় জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    এমনিতেই স্কুল শিক্ষিকা হয়ে কী করে কয়েক’শ কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন সুকন্যা, তার উৎস খুঁজতে তৎপর হয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, গরুপাচারের টাকা দিয়েই এই বিপুল সম্পত্তি কেনা হয়ে থাকতে পারে। যে উত্তর খুঁজতে এদিন সকালে, বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়িতে সুকন্যাকে জেরা করতে পৌঁছ গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, সুকন্যার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মা বেঁচে নেই, বাবা হেফাজতে। তিনি বাড়িতে একা রয়েছেন। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই এমতাবস্থায় তিনি কথা বলতে চান না। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

  • Suvendu Adhikari: ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’, মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ায় ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’, মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ায় ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’। ঠিক এই ভাষাতেই  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। বললেন, “চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছালে এই ছড়া কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়।”

    নিরলস কাব্য সাধনার জন্য চলতি বছর বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (bangla academy prize) দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। পুরস্কারদাতাদের ‘চাটুকারিতা’য় বিস্মিত রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। অনেকে অপমানিত হয়ে যেমন রাজ্যের তরফে পাওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তেমনই অনেকে আবার বাংলা আকাদেমির গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন। 

    তৃণমূলনেত্রীকে বাংলা আকাদেমি পুরস্কৃত করার ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক ট্যুইট করে পরোক্ষে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে খুশি করতে গিয়ে রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন বাংলা সাহিত্যকে কার্যত অপমান করেছেন বাংলা আকাদেমি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরই প্রথম পুরস্কার দিতে শুরু করে বাংলা আকাদেমি। প্রথম বছরেই পুরস্কার দেওয়া হয় তৃণমূল নেত্রীকে।

    মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মঞ্চে বসা মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমির পক্ষে পুরস্কার দেন তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। পুরস্কার গ্রহণ করেছেন পুরস্কারের ঘোষক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৯৪৬টি কবিতার (Mamata poem) সংকলন ‘কবিতা বিতান’ (Kabita Bitan) কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রাজ্যজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

    একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, শিল্পকলা সংস্কৃতিতে মুনশিয়ানাই তো আমাদের পরিচয় বিশ্বের কাছে। সেই অহংবোধ কিনা রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিনে ধূলিসাৎ হল। বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত। ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত। চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছলে এই ছড়া/কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়।

    [tw]


    [/tw]

    মমতাকে সাহিত্য সাধনার পুরস্কার দেওয়ায় ক্ষুণ্ণ হয়েছে বাংলা সাহিত্যের মর্যাদা। অন্তত রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিমত তাই। অন্য একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ আমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকলে হয়তো লিখতেন, বাংলার সাহিত্য সমাজ, তুমি চেতনা হারাইয়াছ? পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির পুরস্কার বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে তাঁর কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্য।

    এই ‘চাটুকারিতা’র আয়ু যে দীর্ঘস্থায়ী নয়, তাও মনে করেন শুভেন্দু। কোনও মানুষের কীর্তির মূল্যায়ন করে ইতিহাস। তাই অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, ইতিহাস যখন একটি সভ্যতার বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করে কয়েক শতাব্দী পরে, তখন তাতে উল্লেখ থাকে না কোন ব্যবসায়ী, কেরানি কত বড় অবদান রেখেছিলেন। আতস কাচের তলায় দেখা হয় কবি, সাহিত্যিক, ভাস্কর, চিত্রকর, শিল্পীদের কাজ। বাঙালি তো এই জায়গায় শ্রেষ্ঠ।

    [tw]<bloc


    kquote class=”twitter-tweet”>

    শিল্প কলা সংস্কৃতিতে মুনশিয়ানাই তো আমাদের পরিচয় বিশ্বের কাছে। সেই অহংবোধ কিনা রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে ধূলিসাৎ হলো। বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত !
    ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত।
    চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছালে এই ছড়া/কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়: pic.twitter.com/HYsM2ctZ9r

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 10, 2022

    [/tw]

     

     

     

  • CATTLE AND POLICE: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

    CATTLE AND POLICE: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

     

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি ও গরু পাচার চক্রের তদন্তে নেমে রাজ্যে ৪২ ঘাটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। উত্তরবঙ্গের হিলি থেকে উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন সংলগ্ন ৪২টি ঘাট দিয়ে নিয়মিত গরু পাচারে মদত দিয়েছেন অন্তত ৬২ জন পুলিশ অফিসার। সীমান্তবর্তী এলাকায় ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টর থাকা নীচুতলার পুলিশ অফিসাররা ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত গরু পাচারে অতি সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের মদত করতেন আটটি জেলার পুলিস কর্তারা। কয়লা কাণ্ডের মতো এবার গরু পাচারের ৪২ ঘাটের এলাকা সামলানো সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের সিবিআই-ইডির আতস কাচের নীচে আসতে হবে।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, কোনও কোনও থানা এলাকায় আট-দশটি পাচার ঘাট ছিল। সেই সব থানায় ওসির পোস্টিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বীরভূম, বর্ধমান জেলার কয়েকটি থানার ওসি আসার গরু পাচারের রুটের প্রোটেকশন দিতেন। ফলে পাচার ঘাটের চেয়েও গরুর হাট থেকে সীমান্ত পর্যন্ত গরু নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতেন যে সব নীচু তলার পুলিশ কর্তা, তাঁদেরও নজরে রাখছে সিবিআই।

    সিবিআই-ইডি জেনেছে, পশ্চিমবঙ্গে যে ৪২টি ঘাট দিয়ে গরু পাচার হত সেগুলি হল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়া, মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকার খাদুয়া, মদনঘাট, টিকলি চর, ভাগিরথী, নিমতিয়া, ধুলিয়ান ঘাট, কাহারপাড়া, রাজাপুর, মোহনগঞ্জ, বামনাবাদ, চর কামারি, কাতলামারি, চর বিনপুর, চর লবনগোলা, সবদলপুর-কানাপাড়া, রাজারামপুর, দিয়ার মানিকচক, আসারিয়াদহ, রামনগর, রেনু, বাহারা ঘাট, নিমতিতা, ফিরোজপুর। মালদহ জেলার ঘাটগুলির মধ্যে উল্লেখ্য হল, বৈষ্ণবনগরের সাহাপুর, শিবপুর ঘাট, কুম্ভীরা, দৌলতপুর, কালিয়াচক, হবিবপুরের কেদারিপাড়া, আগ্রা এবং আর কে ওয়াধা ঘাট। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, হেমনগর, স্বরূপনগর, গাইঘাটা, বনগাঁও, বাগদার বাঁশঘাটা, মালিদা, গাঙ্গুলিয়া এবং আংরাইল ঘাট দিয়ে নিয়মিত গরু পাচার হয়েছে। এছাড়া বীরভূমের মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন থানার ওসিরা এবং বর্ধমানের ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে মুর্শিদাবাদ আসার পথের যে সব থানা রয়েছে সেগুলির ওসিরাও সিবিআই-ইডির নজরে রয়েছে।

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পুলিশ কর্তা থেকে নীচু তলার পুলিশ কর্মীদের যোগসাজশেই বরাবর গরু পাচার হয়ে এসেছে। রাজনৈতিক নেতাদের ধরা শুরু হয়েছে, কয়লা কাণ্ডে যোগ থাকা পুলিশ কর্তাদের নোটিস দিয়েছে ইডি, একই পথে গরু পাচারে যুক্ত পুলিশ কর্তা এবং থানার ওসিদের এক এক করে ডাকা হবে।     

    গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকের বিভিন্ন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে অন্তত রাজ্যের ৬২টি থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি)-র নাম পাওয়া গিয়েছে।প্রতি মাসে গরু পাচার চক্র থেকে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আট-ন’টি জেলার কর্মরত ওই ওসি-রা ‘মাসোহারা’ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূ্ত্রের দাবি, এনামুলের খাতায় নাম থাকা সব ওসি’দেরই ধীরে ধীরে আয়কর ও সিবিআই তদন্তের সামনে আসতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি এবং আট আইপিএস অফিসারকে ইডির তলবের পর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নীচুতলার বহু পুলিশ অফিসার সিবিআইকে তথ্য দেওয়াও শুরু করেছেন। নিজে থেকেই তাঁরা সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোপনে গরু-কয়লা পাচারে যুক্ত অফিসারদের বেআইনি সম্পত্তি ও কারবারের তথ্য তুলে দিচ্ছেন বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।  

     

  • Suvendu Attacks Mamata: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Mamata: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) সরকারের পাশ করা আচার্য বিলকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিলেন, এখানে পাশ করে কোনও লাভ নেই। বিল দিল্লি পাঠাতে হবে। তাঁর কটাক্ষ, দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না।  

    বিরোধীদের শত আপত্তি সত্বেও বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই পাশ হয়েছে আচার্য বিল। এই বিলে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) নন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসবেন এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। বিলের পক্ষে এদিন ভোট পড়ল ১৮২, বিপক্ষে ভোট পড়ল ৪০টি। বিধানসভায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল (University Act Amendment Bill) পাস হয়েছে। এবার রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য যাবে সংশোধনী বিল।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা মারতেই কি স্কুলে গরমের ছুটিবৃদ্ধি? তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই প্রেক্ষিতে এদিন বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, দাবি করেন, “বিধানসভায় সংখ্যা আছে, বিল পাস করিয়ে নিয়েছে৷ কিন্তু আমাদের আপত্তি নথিভুক্ত করেছি৷ বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়নি৷ আগামী সোমবার আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তাঁকে বলব যে বিলে সই না করতে৷ আমি এখনই বলে দিচ্ছি, রাজ্যপাল বিলে সই করবেন না৷”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মনে করিয়ে দেন, শিক্ষা যুগ্মতালিকার অন্তর্ভুক্ত। ফলে, তা যাবে কেন্দ্রের কাছে। তিনি বলেন, বিধানসভায় বিল পাশ হলেও তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। এরপর বিষয়টি যুগ্ম তালিকা ভুক্ত হওয়ায় কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে হবে। তবে তা রাজ্যের নাম পরিবর্তনের মতোই সেখানে গিয়ে পড়ে থাকবে। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক-পত্নীকে তলব সিবিআইয়ের, আগামীকাল জেরা কলকাতাতেই?

    অর্থাৎ, শুভেন্দু জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আপাতত কার্যকরী হচ্ছে না। মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না।”

    বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী— এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিবৃতি দিয়েছে বিশিষ্টজনরাও। তাঁদের তরফে জানানো হয়, কোনও শিক্ষাবিদকে আচার্য করা হোক। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রধান আচার্য হলে ভঙ্গ হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকার’। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিভাস চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, সমীর আইচ, অনীক দত্ত-সহ আরও অনেক বিশিষ্টরা। 

     

  • Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র একের পর এক প্রকল্প চালু করছে। উপকৃত হচ্ছেন সারা দেশের মানুষ। কিন্তু বিরোধিতার জন্যই শুধু বিরোধিতা করে যাচ্ছে মমতার (Mamata) সরকার। কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে নিজেদের নাম দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আবার কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (Central projects) বিরুদ্ধেই বিষোদগার করছে। যার ফলে, বঞ্চিত হচ্ছেন এরাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ। যুক্তি দিয়ে এভাবেই তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের ভ্রান্ত সমালোচনার বিরুদ্ধাচরণ করা থেকে জনগণের কল্যাণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি চালু করার দাবি— এদিন একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার জানান, আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পকে মেনে নিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের প্রকল্প চালু না হওয়ায় মানুষ বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গে ৩ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান প্রকল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু রাজ্যের বাধায় তা কাজে আসেনি। এরাজ্যের সরকার আজ না হয় কাল এই প্রকল্পে যোগদান দিতে বাধ্য হবে বলেই মত তাঁর। এর পিছনে যুক্তিও দেন তিনি। সাম্প্রতিক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়ে তিনি বলেন, “মানুষ স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এই বিল নিয়ে বিধানসভায় বিতর্কও হতে দিচ্ছে না।” একে স্বাস্থ্যসাথী না বলে অস্বাস্থ্য সাথী বা ব্যর্থ সাথী বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

    এই কার্ড নিয়ে হাজার হাজার মানুষ যেভাবে নাজেহাল হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ভাবে ফুঁসে উঠছেন, তার জন্য সরকারি দিশাহীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, কেন্দ্রের বিরোধিতা করার মানসিকতা থেকে রাজ্যের মানুষকেই দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পকে মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে বাধ্য হবেন বলেও তোপ দাগেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    এর পাশাপাশি, মনে করিয়ে দেন রাজ্য সরকারের ১১ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ নিয়ে। তিনি জানান, কেন্দ্র গোটা দেশজুড়েই আয়ুষ্মান ভারত ওয়েলনেস সেন্টার (Ayushman Bharat Wellness Centre) খুলছে। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে রাজি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কিন্তু এখানেও কোন অভিসন্ধি নিয়ে তৃণমূল সরকার হাঁটতে চলেছে তা প্রকাশ্যে এনেছেন সুকান্ত। প্রকল্পটির নাম বদলে রাজ্য নাম দিয়েছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর পিছনে আর এক কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছে বিজেপি। তাই তারাও সতর্ক থাকছে। দুর্নীতি রুখতে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। দরকারে খোলা রাখা হচ্ছে সিবিআইয়ের (CBI) কাছে যাওয়ার রাস্তা। কেন্দ্রকেও অনুরোধ করা হয়েছে গোটা বিষয়টির প্রতি কড়া নজর রাখতে। 

    এরই পাশাপাশি জ্বালানি ইস্যু নিয়েও রাজ্য সরকারকে বেঁধেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর (Fuel cess) কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন (Nabanna) অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) দিতে হবে।

  • National Education Policy: কেন্দ্রের সঙ্গে ফের ‘সংঘাতে’ রাজ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনায় গঠিত ১০ সদস্যের কমিটি

    National Education Policy: কেন্দ্রের সঙ্গে ফের ‘সংঘাতে’ রাজ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনায় গঠিত ১০ সদস্যের কমিটি

    কলকাতা: কেন্দ্র-রাজ্য় সংঘাত (Centre-Bengal spat) এবার শিক্ষাক্ষেত্রেও।  কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) পর্যালোচনা করতে এবার বিশেষ কমিটি গঠন করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal government) । ১০ সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

    গত ৮ এপ্রিল, ওই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে। এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, পৃথক রাজ্য শিক্ষানীতির (State Education Policy) প্রয়োজন রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। কেন্দ্রের শিক্ষানীতি (NEP 2020) প্রকাশ পাওয়ার পর মহারাষ্ট্র ও কেরল সরকার যেমন নিজেদের পৃথক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তেমন কোনও পদক্ষেপ এরাজ্যও গ্রহণ করতে পারে কি না, তা পর্যালোচনা করবে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওই আধিকারিক বলেন, সাম্প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (University Grant Commission) নেওয়া নির্দেশিকাও (UGC guidelines) খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।

    রাজ্যের গঠিত ১০ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন — কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Columbia University) অধ্যাপিকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, এনআইটি দুর্গাপুরের ডিরেক্টর অনুপম বসু এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) অধ্যাপক সুগত বসু (Sugata Basu), সংস্কৃত ভাষা বিশেষজ্ঞ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি (Nrisingha Prasad Bhaduri) প্রমুখ। 

    এর আগের দিন, অর্থাৎ গত ৭ এপ্রিল, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bengal Education Minister Bratya Basu) ঘোষণা করেছিলেন যে, কেন্দ্রের শিক্ষানীতি কার্যকর করবে না পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। পরিবর্তে, রাজ্য সরকার নিজস্ব শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, অন্য সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাতেও জোর করে নিজেদের নীতি জারি করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।  তবে, আমরা তাতে রাজি নই। ফলত, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করার। 

    শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department) সূত্রে খবর, আগামী দুমাসের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে এই কমিটি। রাজ্য সরকারের পৃথক নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, নিজস্ব শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার অধিকার রয়েছে রাজ্যের। এটি ভালো সিদ্ধান্ত। তাঁর মতে, ভারতের মতো জনবহুল এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশে অভিন্ন শিক্ষানীতি কখনই কাম্য নয়। 

    অন্যদিকে, কেন্দ্রের (Modi government) তরফে যুক্তি, জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কেন্দ্রের মতে, জাতীয় শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্য হল ২০৩৫ সাল নাগাদ বৃত্তিমূলক শিক্ষা সহ উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়াদের মোট নিবন্ধীকরণের হার (Gross Enrolment Ratio) ২৬.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা। 

     

  • Howrah Violence: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Howrah Violence: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার পাপের ফলে আজ ভুগতে হচ্ছে জনগণকে। হাওড়াকাণ্ডে ( Howrah Violence) এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। হজরত মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি (BJP) মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অশান্ত বাংলার হাওড়া। পরপর দুদিন জেলার একাংশের পরিস্থিত অগ্নিগর্ভ হয়ে রইলেও, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। তার জেরেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের এই ট্যুইটবাণ।

    হাওড়ার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই হুমকির প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, কেন আপনি মিছে ধমক দিচ্ছেন। সবে কিছু দোকানপাট লুঠেছে, পার্টি অফিস, গাড়ি পুড়িয়েছে, বোমা ছুঁড়েছে, থানায় পাথর মেরেছে, রেলস্টেশন ভাঙচুর করেছে। অশান্তির দায় মমতা চাপিয়েছেন বিজেপির ঘাড়ে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই শুভেন্দু বলেন, বিজেপি কোনও পাপ করেনি। আপনার পাপের ফল ভুগতে হচ্ছে জনগণকে।

    [tw]


    [/tw]

    মমতার উসকানিতেই যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। বলেন, আপনি সিএএ নিয়ে ভুল বুঝিয়ে জনগণকে ক্ষিপ্ত করেছিলেন। উসকানি দিয়ে পথে নামিয়েছিলেন। দাঙ্গাবাজদের সাহস জুগিয়েছেন আপনি। সায়নী ঘোষের পবিত্র শিবলিঙ্গ সম্বন্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের বেলায় আপনি চুপ ছিলেন কেন? শুভেন্দুর প্রশ্ন, তখন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগেনি? ক্ষমতা আছে নিন্দা করার?

    আরও পড়ুন : “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    মমতাকে রোম সম্রাট নিরোর সঙ্গে তুলনা করেছেন শুভেন্দু। বলেন, রোম যখন পুড়ছিল তখন নিরো বেহালা বাজাচ্ছিলেন। আর বাংলা যখন পুড়ছে, তখন মমতা গুণ্ডাদের কাছে ভিক্ষা চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীও। শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মন্ত্রী আপনি জেগে উঠুন। মুর্শিদাবাদে বেলডাঙা থানায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে কেন্দ্রের সাহায্য চান। শুভেন্দু বলেন, এক জন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কী আশা করা যায়, যিনি গুন্ডাদের সামনে হাতজোড় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে  ভিক্ষে চাইছেন? 

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দুর কথায় রাজ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে পার্টি অফিস, দোকানপাট। তৃণমূলের মদতপুষ্ট গুন্ডারাই দোকানপাট ভাঙচুর করছে। বাড়িঘরে আগুন লাগানো হয়।

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গত দু দিন ধরে অশান্ত হাওড়া। সড়ক অবরোধের জেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় বাসে ট্রেনে বসে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের। অসুস্থ মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি পরিজনেরা। ক্যান্সার রোগী, বয়স্ক মানুষের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। কোথাও কোথাও পানীয় জলের জন্য হাহাকার করতে দেখা গিয়েছে যাত্রীদের কাউকে কাউকে। শিশুরা কেঁদেছে খাবারের অভাবে। কেঁদে কেঁদে ক্লান হয়ে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে কোনও কোনও শিশু। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মূল স্লোগান ছিল, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। এক মায়ের ছবি দেখিয়ে এদিন তাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, এই দেখুন বাংলার মেয়ের এক মাকে। শিশুর অবস্থা দেখে যিনি উগরে দিচ্ছেন ক্ষোভ।

    [tw]


    ass=”twitter-tweet”>

    The mob on rampage since yesterday is targeting @BJP4Bengal Party Offices & functionaries, as instigated by CM.
    In the name of protest specific places, people & their properties are being attacked.
    The TMC sponsored goons are vandalising and setting shops & homes on fire as well. pic.twitter.com/6fDxAjobcd

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 10, 2022

    [/tw]

  • Mamata Award Protest: মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে পদত্যাগ, পদক ফেরালেন ‘অপমানিত’ বিশিষ্টজনরা

    Mamata Award Protest: মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে পদত্যাগ, পদক ফেরালেন ‘অপমানিত’ বিশিষ্টজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপমানিত’ বিশিষ্টরা। কেউ বললেন অশ্রদ্ধা কবিগুরুকে। কেউ ফেরালেন পুরস্কার। কেউ বা করলেন পদত্যাগ। ট্যুইটারে (Twitter) প্রতিবাদ অনেকের। ওখানেই থেমে থাকেনি। সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) মিম-  মশকরার ছড়াছড়ি। লক্ষ্য একজনই। মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সরকারের হাত থেকে নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করেছেন রাজ্যের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী।

    সোমবার ‘নিরলস কবিতার সাধনা’র জন্য বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (Bangla Academy Award) দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বেছে নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindra Nath Tagore) জন্মদিবসের (Rabindra Jayanti) সরকারি কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানকে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মঞ্চে বসা মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমির পক্ষে পুরস্কার দেন তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। পুরস্কার গ্রহণ করেছেন পুরস্কারের ঘোষক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৯৪৬টি কবিতার (Mamata poem) সংকলন ‘কবিতা বিতান’ (Kabita Bitan) কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘কবিতা বিতান’।

    এরপরই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তীক্ষ্ণ সমালোচনায় ফেটে পড়েন সংস্কৃতির গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় (Ratna Rashid Bandopadhyay)। ২০০৯ তিনি বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন ও ২০১৯ সালে বাংলা আকাদেমি তাঁকে দিয়েছিল ‘অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান’ পুরস্কার। গবেষক রত্না তাঁর ২০১৯ সালের পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কবিতার বইয়ের একটা মানদণ্ড থাকবে তো! যে ভাবে বাংলা আকাদেমি এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে তার একটা প্রতিবাদ দরকার। তিনি বলেন, ‘‘উনি (মমতা) একজন মান্যগণ্য মানুষ। উনি আমাদের সবার ভোটে জিতে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ওঁর কাছ থেকে পরিপক্ক সিদ্ধান্ত আশা করি। বইয়ের তো একটা স্ট্যান্ডার্ড (মান) থাকতে হবে। পুরস্কার দিলেই বা উনি নিয়ে নেবেন কেন!’’

    মঙ্গলবারই সাহিত্য আকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন, লেখক ও সম্পাদক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতায় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর দিন কবিকে যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে, তাতে তিনি ‘বিরক্ত’। সেই কারণেই ইস্তফা।” প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন বিশিষ্ট কবি তসলিমা নাসরিনও। তিনি এখন দিল্লিতে থাকেন। ট্যুইটে কবি সাহিত্যিক তসলিমা জানিয়েছেন,”…বাংলার লেখক শিল্পী বুদ্ধিজীবিরা সবাই বিক্রি হয়ে গেছে। অর্থ আর ক্ষমতার কাছে তাঁরা নিজেদের সততা, ব্যক্তিত্ব আর মর্যাদাকে বিকিয়ে দিয়েছেন।”

    [tw]


    [/tw]

    ‘অবাধ্য’ সোশ্যাল মিডিয়া ও বিশিষ্টজনের প্রতিবাদে বেজায় চটেছেন রাজ্যের নাট্যকার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, যিনি আবার বাংলা আকাদেমির সভাপতিও বটে। ব্রাত্য বলেন, “একমাত্র বাঙালিদের একটা অংশই এমন পারে! বলতে ইচ্ছে করছে, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি। অ-বাঙালিরা এমন করতেন না!” বাংলা আকাদেমির আরেক অন্যতম সদস্য কবি সুবোধ সরকারের মতে, এই পুরস্কার আসলে ‘ম্যাগসেসের মত’। “এই ত্রিবার্ষিক সম্মাননা এমন একজন সাহিত্যিককে দেওয়া হল যিনি সমাজকল্যাণে পরিবর্তনের ভূমিকা পালন করেছেন। ১১৩ গ্রন্থের লেখক, জুরি বিচারকদের বিচারে প্রথমেই ছিল কবিতা বিতান।”

    ম্যাগসেসে পুরস্কারকে (Magsaysay award) এশিয়ান নোবেলও বলা হয়। ফিলিপাইনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি র‌্যামন ম্যাগসেসে-এর নামে এই পুরস্কার দেওয়া হয় এশিয়াবাসীদের। ১৯৫৮ সালে এই পুরস্কারের সূচনা। শাসন ব্যবস্থায় সততা, জনগণের প্রতি সাহসী সেবা এবং একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে বাস্তববাদী আদর্শবাদের উদাহরণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পুরস্কৃত করা হয় প্রাপকদের। বিনোবা ভাবে ১৯৫৮ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ম্যাগসেসে পুরস্কার পান।

    tag: 

     

LinkedIn
Share