Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • President Kovind: বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    President Kovind: বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি নিয়ে শুক্রবার রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হল বিজেপি প্রতিনিধিদল। ১০ জনের ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজেপি-ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা। সেখানে তাঁরা দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। ফলত, সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। 

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রতিনিধিদলের সদস্য এক আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে দিল্লি হাইকোর্ট ও জেলা আদালতের আইনজীবীরা — সকলে মিলে আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করি। আমাদের আবেদন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। তাই সেখানে ৩৫৬ ধারা জারি করা হোক। ওই সদস্য জানান, পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং হিংসা হয়ে চলেছে। এটা রুখতে তাঁর (কোবিন্দ) হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তাই এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত। ওই সদস্য জানান, ২০ মিনিট বৈঠকে রাষ্ট্রপতি গোটা বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। 

    আইনজীবী প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি, এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারবর্গের। কিন্তু, কোভিড-নিয়ন্ত্রণ থাকায় তাঁদের সঙ্গে রামনাথ কোবিন্দের দেখা হয়নি। তবে তাঁদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা। পাশাপাশি, ইন্ডিয়া গেটের কাছে নিহতদের পরিবারবর্গ মোমবাতি মিছিলও করবেন তাঁরা। 

     

  • Salt Lake: বিধাননগরে সম্পত্তি কর এক লাফে তিনগুণ! জেনে নিন নতুন হার

    Salt Lake: বিধাননগরে সম্পত্তি কর এক লাফে তিনগুণ! জেনে নিন নতুন হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যানুয়াল বা বার্ষিক ভ্যালুয়েশন (AV) একই রয়েছে, বেড়েছে কর! বিধাননগরে (Bidhannagar) সম্পত্তি কর (Property Tax) রশিদ পেয়ে হতবাক বাসিন্দারা। নতুন কর কাঠামোয় (New tax regime) কোনও কোনও বাসিন্দাকে গুনতে হচ্ছে প্রায় তিনগুণের বেশি অঙ্ক। বিধাননগর পুরসভার (Bidhannagar municipal corporation) লক্ষ্য, নতুন কর কাঠামোর ফলে সম্পত্তি কর বাবদ আদায়, বর্তমান অর্থ বছরে ৯ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ২৫ কোটিতে। গত আর্থিক বছরে সম্পত্তি কর বাবদ আদায় ছিল প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

    সম্প্রতি বিধাননগরে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের সম্পত্তি করের রশিদ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন জমানায় নতুন করের হার। গত অর্থবর্ষে যিনি মোটামুটি ৭০০ টাকার মত সম্পত্তি কর দিতেন, এবার তাঁর কাছে এসেছে ২৩০০ টাকার বিল। যদিও তাঁরা স্বীকার করছেন, কলকাতার (KMC) তুলনায় ট্যাক্সের হার কম। তবে তাঁদের দাবি, কর দামি হলেও আগেভাগে বাসিন্দাদের জানানো উচিত ছিল। বাড়তি কর দিতেও আপত্তি নেই অনেকের। অভিযোগ, বিধাননগর পুরসভার (BMC) কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ট্যাক্সের রশিদের বণ্টনে সব বাসিন্দাদের কাছে, নয়া ট্যাক্স-কাঠামো সংক্রান্ত নোটিফিকেশন পাঠানো।

    যদিও বিধাননগর কর্তৃপক্ষের দাবি, “বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ভ্যালুয়েশনের কোনও বদল করা হয়নি। সম্পত্তি করের ক্ষেত্রে, ১৯৯৭ সালের পুরনো ভ্যালুয়েশনই বজায় থাকছে। তবে বাড়ানো হয়েছে করের হার। যা হয়েছে আইন মেনেই। সে কারণেই নোটিফিকেশনের কোনও প্রয়োজন নেই।”

    কেমন হল সম্পত্তি করের নতুন হার?

    যে সব বাসিন্দাদের সম্পত্তির বার্ষিক ভ্যালুয়েশন (AV) ৯৯৯ টাকার মধ্যে, তাঁদের সম্পত্তি কর, AV/১০০+১০%
    যে সব বাসিন্দাদের সম্পত্তির বার্ষিক ভ্যালুয়েশন (AV) ৯৯৯ টাকার বেশি, তাঁদের দিতে হবে, AV/১০০০+২০%

    আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বিধাননগর পুরসভার সম্পত্তি করের রশিদে। কর অনাদায়ে বা সময় পেরিয়ে গেলে ১০% হারে জরিমানাও দিতে হবে বাসিন্দাদের।

  • Cattle Smuggling Case: নিশুতি রাতে পাচার হত পাল পাল গরু, কীভাবে চলত অপারেশন?

    Cattle Smuggling Case: নিশুতি রাতে পাচার হত পাল পাল গরু, কীভাবে চলত অপারেশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা সূয্যি ডোবার। তার পরেই অন্ধকার হয়ে যেত বীরভূম (Birbhum)-মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ অংশ। অন্ধকার ফুঁড়ে ছড়ি হাতে বের হত গরু পাচারকারীরা। নিশুতি রাতে কেবল শোনা যেত গরুর খুরের ঠক ঠক শব্দ। আর মাঝে মধ্যে পাচারকারীর হ্যাট, হ্যাট আওয়াজ। এভাবেই দিনের পর দিন পাচার হয়ে যেত পাল পাল গরু। দেশের সীমান্ত পেরিয়ে সেই গরু চলে যেত বিভুঁইয়ে, বাংলাদেশে (Bangladesh)। তারপর ভায়া কষাইখানা হয়ে সটান খানদানিদের টেবিলে টেবিলে। এই গরু পাচার চক্রেই নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol)। বিএসএফের (BSF) এক শীর্ষ কর্তা সহ আরও কয়েকজনের। 

    কিন্তু কীভাবে চালানো হত গোটা অপারেশন? আসুন জেনে নেওয়া যাক, সেই গল্পই। সিবিআই সূত্রে খবর, যেসব গরু পাচার হত, তার সিংহভাগই আসত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান থেকে। যেসব গরুর প্রজনন ক্ষমতা নেই, বয়সের কারণে বাতিল হয়ে যাওয়া বলদই মূলত ঝাড়খণ্ড সীমান্ত হয়ে পাচারকারীদের হাত ধরে পৌঁছাত বীরভূমে। এই বীরভূমের ইলামবাজারে বসে বিরাট গরুর হাট। হাট চালাত গরু ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ। ব্যবসার খাতিরেই লতিফ সম্পর্ক রেখে চলত জেলার সর্বেসর্বা অনুব্রতর সঙ্গে। হাট থেকে ফের গরু চলে যেত পাচারকারীদের হাতে। ট্রাকে করে সেই গরু বীরভূমের ফুটিসাঁকো বা বাদশাহি রোড ধরে সটান চলে যেত মুর্শিদাবাদে। 

    সেখানেই গরু নিয়ে পাচারকারীরা অপেক্ষা করত সূয্যি ডোবার। কেবল সূর্য অস্ত গেলেই হবে না। পাচারকারীদের অপেক্ষা করতে হত বিএসএফ এবং কাস্টমসের একাংশের সবুজ সংকেতেরও। তারাই পাচারকারীদের জানিয়ে দিত, কোন দিন কখন লাইন খোলা হবে। নির্দিষ্ট দিনে এক কিংবা দু ঘণ্টার জন্য চোখে ঠুলি পরে বসে থাকত বিএসএফ। তার পর কখনও স্থলপথে কখনও বা জলপথে হাত বদল হয়ে যেত গরুর পাল। বাংলাদেশের পাচারকারীদের হাতে গরু তুলে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। মিলবে মোটা অঙ্কের টাকা। পাঁচ হাজার টাকার গরুই হাত ফের হয়ে বিক্রি হয় আট থেকে দশগুণ বেশি দামে।
    আরও পড়ুন : গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে
    লাভের কড়ি মোটা হলেও, সে টাকার সবটা ভোগে লাগত না পাচারকারীদের। টাকার বখরা দিতে হত পুরো চ্যানেলে থাকা লোকজনকে। যেসব থানার ওপর দিয়ে আসত গরুর পাল, সেখানকার থানার কর্তা এবং শাসকদলের নেতাদের দিতে হত নজরানা। যিনি যেমন মাপের নেতা, তাঁর পকেটে ঢুকবে তেমন পরিমাণ টাকা। শুধু নেতাদের নজরানা দিলেই যে সব কিছু মসৃণ গতিতে চলবে, তা তো নয়! তাই বখরার একটা অংশ দিতে হত বিএসএফ কর্তাদের একাংশকেও। কারণ তাঁরাই ‘গোপন’ সীমান্ত  নির্দিষ্ট সময়ে ‘ওপেন’ করে দেন। তাই গরু-পাচারের টাকার ভাগ পেতেন বিএসএফের কমান্ডান্ট পর্যায়ের আধিকারিক, ডিআইজি কিংবা আইজি স্তরের একাংশও। এঁদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ। গ্রেফতার হয়েছেন বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার, জেডি ম্যাথু। গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। গ্রেফতার হয়েছে তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত এনামূল হক। তবে এখনও অধরা হাটের মালিক লতিফ।

    আরও পড়ুন : গ্রেফতার হতে না হতেই কেষ্টকে ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল!

    এখনও নিয়মিত বসে ইলামবাজারের হাট। বিক্রি হয় গরুও। তবে অনুব্রতরা গ্রেফতার হওয়ার পর ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে পাচারকারীরা। তাই বিক্রি কমেছে গরুর। কমেছে দামও। কাজলকালো চোখে জল নিয়ে নতুন মালিকের অপেক্ষায় হা পিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকে হাটের গরু। 

     

  • West Bengal: ১৮ দিনে ৬ তদন্তভার সিবিআইকে, কেন মমতার পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালত? 

    West Bengal: ১৮ দিনে ৬ তদন্তভার সিবিআইকে, কেন মমতার পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়সীমা মাত্র ১৮ দিন। তার মধ্যেই ছ’টি মামলায় সিবিআই তদন্তের (CBI investigation) নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্রমেই রাজ্য পুলিশে (West Bengal police) আস্থা হারাচ্ছে আদালতও। তাই সত্য উদ্ঘাটনে দ্বারস্থ হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI)। 

    বামেরা বলছে, তাদের জমানার শেষের দিকে পাঁচ বছরে তিনটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর তৃণমূল জমানায় ১৮ দিনেই ৬টি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নিখাদ রাজনীতি করতে গিয়েই পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে রাজ্যের শাসক দল। যার জেরে ক্রমেই বাড়ছে সিবিআই তদন্তের দাবি।

    পুরসভা ভোটের ফল বেরনোর পরে পরেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পুরুলিয়ার ঝালদার ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই শুরু। ওই ঘটনার পরে পরেই রহস্য মৃত্যু হয় তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের। ওই ঘটনার তদন্তের রাশও যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। 
    এর পরেই ঘটে রাজ্য তোলপাড় করা ঘটনা। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন স্থানীয় উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখ। ওই ঘটনার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ঘরে আগুন লাগিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় ন’ জনকে। এই দুটি মামলাও গড়ায় আদালত অবধি। জোড়া ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 

    সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ যাবৎ কালের এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বড় কেলেঙ্কারি এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে। ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আলাদা করে ডেকে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই কেলেঙ্কারির রহস্যভেদ করতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    সিবিআই তদন্তের নির্দেশের হাতে গরম উদাহরণ আরও আছে। নদিয়ার হাঁসখালিতে বছর চোদ্দর এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত রক্তক্ষণের জেরে মৃত্যুও হয় তার। ওই ঘটনায়ও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আদালতের বারবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশে একটা জিনিস খুব স্পষ্ট। সেটি হল, সাধারণ মানুষের মতো রাজ্য পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালতও। হারানোরই কথা। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব হয়েছেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শাসক দলের কোনও কর্মীকে কোনও অভিযোগে গ্রেফতার করা হলে, পুলিশকে মারধর করে আসামী ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও এ রাজ্যে ঘটেছে ঘাসফুল জমানায়। 

    ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেওয়ার মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত মারমুখী তৃণমূল কর্মীদের ‘ঝান্ডাঘাত’ থেকে বাঁচতে খোদ কলকাতার বুকে নির্লজ্জভাবে পুলিশকে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছিল টেবিলের তলায়। এসব ঘটনা থেকে আমজনতা বুঝে গিয়েছে বাম জমানার মতোই তৃণমূল জমানায়ও পুলিশ পরিণত হয়েছে দলদাসে। পার্থক্য কেবল একটাই। বামেরা (Left Front) রেজিমেন্টড পার্টি। সব কিছু গুছানো। আর তৃণমূল (TMC)? ওয়ান উওম্যান শো! সব কিছুই বড্ড অগোছালো! তাই বারেবারেই মুখ পুড়ছে রাজ্য সরকারের (Mamata Banerjee government)। 

  • MGNREGA: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    MGNREGA: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনরেগা (MGNREGA) বা ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া টাকা কেন কেন্দ্র আটকে রেখেছে, তার আসল কারণ বা বলা ভালো কারণগুলি জানা গেল। যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, রাজ্যের অসহযোগিতার কারণে কার্যত বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে কেন্দ্রকে।

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করছেন যে, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি, বকেয়া টাকা যাতে রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) কাছে চিঠিও লিখেছেন।

    কিন্তু, মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুললেও, সত্য ঘটনা একেবারেই উল্টো। আসল তথ্য যাতে বাইরে না আসে, তাই নিয়ে কেন্দ্রের ওপর দোষ চাপিয়ে গোটা বিষয়টিকে যাতে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একবারের জন্যও রাজ্যবাসীর কাছে খোলসা করেননি যে, কেন বা কী কারণে কেন্দ্র এই বরাদ্দ অর্থ প্রদান করা থেকে বিরত থেকেছে। অথবা, বলা ভালো কেন রাজ্যের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বিলক্ষণ জানেন, এক্ষেত্রে ঝুলি থেকে অনেক বেড়াল বেরিয়ে পড়বে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কোথায় কোথায় কারচুপি করা হয়েছে, কোথায় কোথায় গরমিল করে রাখা হয়েছে, সেই সব ঘটে যাওয়া বিস্তর দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ্যে চলে আসবে।

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ বা মনরেগা প্রকল্প নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। আন্তঃ মন্ত্রক ওই রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ঠিক কেন ও কীসের ভিত্তিতে কেন্দ্র রাজ্যের অর্থ আটকে রেখেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে মনরেগা বা ১০০ দিনের কাজে প্রকল্পে ব্যাপকহারে কারচুপি হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে রয়েছে বিস্তর গরমিল। এই নিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে বিভিন্ন সময়ে চিঠি পাঠানো হলেও, রাজ্য থেকে কোনও জবাব না আসায় বাধ্য হয়ে অর্থ বন্ধ করতে হয়েছে কেন্দ্রকে।

    ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে যুগ্ম সচিব পর্যায়ের আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত করে। রিপোর্ট মূলত ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রদেয় অর্থের প্রেক্ষিতে তৈরি। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী টিমের তদন্তে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলা হয়েছে, অন্তত ৩১টি কাজে বিস্তর গোলযোগ ধরা পড়েছে। তদন্তকারী টিমের মতে, ভূমি সংক্রান্ত কাজে বিশেষ করে বিস্তর গোলমাল রয়েছে। 

    কেন্দ্রীয় টিম যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে একাধিক গাফিলতি ও গরমিলের উল্লেখ করা হয়েছে—

    ১. কাজের অনুমতি জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রয়োজনীয় স্ক্রুটিনি এড়াতে একটি বড় কাজকে ছোট ছোট কাজে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ২. সেচ দফতরের সঙ্গে কোনও প্রকার শলা-পরামর্শ না করে বা কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়াই বন্যা রোধ প্রকল্পের আওতায় যত্রতত্র এবং যথেচ্ছভাবে পলি তোলার কাজ করা হয়েছে। 

    ৩. জমির ধরণ বিবেচনা না করেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। কতটা কাজের আদৌ প্রয়োজন তা বিচার না করেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। এমনকি, কতটা কাজ হয়েছে তা যাচাই না করেই পেমেন্ট করা হয়েছে। 

    ৪. পুরনো বা চলমান কাজ নতুন রূপে মনরেগা প্রকল্পের আওতায় আবেদন করা হয়েছে।  

    ৫. কেনার বিষয়ে কোনও নিয়ম মানা হয়নি। টেন্ডার প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। কাজের অনুমতি মেলার ১৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ দেখানো হয়েছে। 

    ৬. মনরেগা প্রকল্পে অধীনে থাকতে পারে না এমন কাজ যেমন— বন্যা প্রতিরোধে বালির বস্তা ফেলা, কাঁটাতার দেওয়া, বাহারি গাছ লাগানো ইত্যাদিকেও এর আওতায় এনে দেখানো হয়েছে। 

    ৭. যে সব কাজ অপ্রয়োজনীয়, সেগুলিকেও মনরেগা প্রকল্পের আওতায় এনে করা হয়েছে। 

    ৮. কাজের খতিয়ান নথিভুক্ত বা ফাইল রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত দায়সারাভাবে করা হয়েছে। 

    কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় টিমের পাওয়া তদন্ত রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফ থেকে একটি অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠানো হয়। কিন্তু, ওই এটিআর রিপোর্ট দেখে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্র। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যের জবাবে খামতি পাওয়া গিয়েছিল। এরপর রাজ্যকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও, মমতা প্রশাসনের তরফে থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।

    এদিনই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। এপ্রসঙ্গে, প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি (BJP Bengal) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, সকলেই চায় ১০০ দিনের কাজ হোক। কিন্তু, কেন্দ্রের টাকা সাধারণ মানুষের জন্য। তৃণমূলের নেতাদের প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরির জন্য নয়। 

  • SSC Recruitment Scam: চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment scam) মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি গেল রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতার। তাঁকে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। পাশাপাশি, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’টি কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে বেতনের টাকা, নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বেতন বাবদ পাওয়া সমস্ত টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। 

    অঙ্কিতা (Ankita Adhikary) কোচবিহারের (Coochbehar) মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাবার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে শিক্ষকতার চাকরি (Teachers recruitment scam) নেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেছিলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar) নামে এক এসএসসি (SSC) পরীক্ষার্থী । অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, নিজেকে শিক্ষক হিসাবেও পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশ, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রায় ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে। প্রথম কিস্তি দিতে হবে ৭ জুন। দ্বিতীয় কিস্তির তারিখ ৭ জুলাই।

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    পরেশ অধিকারীর মেয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অঙ্কিতার নাম ওঠে। অভিযোগ, মেরিট লিস্টের প্রথম কুড়ি জনের তালিকায় নাম না থাকা অঙ্কিতাকে দ্বিতীয় তালিকার একেবারে প্রথমে নিয়ে আসা হয় ‘অবৈধ’ ভাবে।

    স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। এবং এই মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর। মেধাতালিকার ২০ নম্বরে ছিলেন ববিতা। কিন্তু, মামলাকারীর চেয়ে ১৬ নম্বর কম পেয়েও পরেশ-কন্যাকে অবৈধভাবে প্রথম স্থান দেওয়া হয়। এর ফলে, মামলাকারী সেই তালিকা থেকে ছিটকে যান। ববিতা চাকরির সুযোগ হারান।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, গোটা বিষয়টি শুনে মনে হচ্ছে অঙ্কিতা অধিকারীর মাথায় কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তির অদৃশ্য হাত ছিল। এখানে দুর্নীতি হয়েছে মনে হচ্ছে। নইলে এ ভাবে একজন প্রার্থীকে মেধা তালিকায় আমদানি করে তাঁকে প্রথম স্থানে বসানো যায় না।

    সম্প্রতি ঘটনাটির কথা আদালতকে জানিয়েছিলেন এসএসসির সদ্য ইস্তফা দেওয়া চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এর পরেই অঙ্কিতার বাবা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজির হতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় এসে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের (CBI) দফতরে হাজির হন মন্ত্রী পরেশ। কিন্তু, জেরায় সন্তুষ্ট হয়নি তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার সকালে তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অঙ্কিতাকে নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ আসে পরেশের জেরা চলাকালীনই।

    আরও পড়ুন: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

  • Dengue in Kolkata: ডেঙ্গির ভয়াবহতা বাড়ছে রাজ্যে, সরকারি হিসাবে মৃত্যু বেড়ে ১৯

    Dengue in Kolkata: ডেঙ্গির ভয়াবহতা বাড়ছে রাজ্যে, সরকারি হিসাবে মৃত্যু বেড়ে ১৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ প্রত্যেক দিন লাফিয়ে বাড়ছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue situation in West Bengal) মোকাবিলায় কার্যত ব্যর্থ রাজ্য সরকার (Mamata Banerjee Government)। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) সূত্র অনুযায়ী, এই পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ডেঙ্গিতে ১৯ জন মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। বেসরকারি হিসাবে অবশ্য ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তাই বাড়তি তৎপর রাজ্য। 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুজোর (Durga Puja 2022) সময় স্বাস্থ্য কর্তাদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুজো স্পেশাল ডিউটি রোস্টার তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক। প্রত্যেক দিন কয়েক’শ মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তার কথায়, “সব জায়গায় পর্যাপ্ত পরীক্ষা হচ্ছে না। তা সত্ত্বেও যে পরিস্থিতি, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।” 

    কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭টি বরোর মধ্যে আটটি বরোর ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ১, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর বোরোয় ডেঙ্গি পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। অর্থাৎ, বালিগঞ্জ, বেকবাগান, শ্যামবাজার, কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় প্রত্যেক দিন যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা যথেষ্ট চিন্তার। কলকাতা পুরসভার ৬, ৬৯, ৮২, ৮৩ এবং ১১২ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি পরিস্থিতি খারাপ। পুরসভা বিশেষ নজর দিচ্ছে। উল্লেখ্য, এরমধ্যে রয়েছে খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ড। অর্থাৎ, ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। চেতলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ, উৎসবের আগে ডেঙ্গির পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে কোভিড

    তবে কলকাতার মতোই চিন্তা বাড়াচ্ছে হাওড়া (Howrah),  হুগলি (Hooghly), উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা (24 Parganas)। প্রত্যেক দিন এই জেলাগুলোয় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মিছিল ও অবহ্যত। এলাকার মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। বিশেষত পুরসভার ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বছর ভর পুরসভার ভূমিকা একেবারেই চোখে পড়ে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এমনকি ডেঙ্গি পরিস্থিতি বিপজ্জনক হওয়ার পরেও এলাকা পরিস্কার, রাস্তা মেরামতের মতো রুটিন কাজেও হেলদোল নেই পুরসভার। এমনি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জেলার বাসিন্দাদের একাংশের। 

    ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উৎসবের মরশুমে আলাদা পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এক অধিকর্তা জানান, পুজোর সময় স্বাস্থ্য ভবনে আলাদা ডেঙ্গি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। চব্বিশ ঘণ্টা কাজ হবে। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তি, রক্তের প্রয়োজন, কোথাও ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হলে সেই এলাকার দিকে বিশেষ নজরদারির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে এই বিশেষ কন্ট্রোল রুম। 

    পুজোর সময় সরকারি হাসপাতালগুলো কার্যত অচল হয়ে যায়। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, নার্স ছুটি নেন। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা থমকে যায়। কিন্তু যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকলে, পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতে ও উৎসব স্পেশাল ডিউটি রোস্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কে যাতে রক্তের জোগান ঠিক থাকে, সেদিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি চিকিৎসায় প্লেটলেট খুব জরুরি। রক্তের জোগান ঠিক মতো না হলে, রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই ব্লাড ব্যাঙ্কের দিকে বিশেষ নজর। 

    আরও পড়ুন: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    কলকাতার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য পুর দফতরের বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন। প্রশাসনিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের পাশপাশি পুর দফতর ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ ভূমিকা নেবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ নজরদারি দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতোই পুর কর্তারাও উৎসবের মরশুমে এলাকা পরিদর্শন করবেন। কোথাও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে, সেই এলাকায় বিশেষ নজরদারি দেওয়া হবে।
     
    যদিও সরকারের এই উদ্যোগ নিতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের মতে, রাজ্যে ডেঙ্গি মহামারির আকার নিয়েছে। প্রত্যেক পাড়ায় মশাবাহিত রোগ (vector-borne disease) বাসা বাধছে। সরকারের অনেক আগেই সক্রিয় হওয়ার দরকার ছিল। ভাঙা রাস্তায় জমা জল, অপরিচ্ছন্ন নর্দমা, পার্ক মশার আঁতুড়ঘর। বছর ভর কাজ করছে বর্ষায় মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ কমে। কিন্তু সারা বছর সরকারের উদ্যোগ চোখে পড়ে না। ডেঙ্গি হচ্ছে, এটা মানতেই প্রত্যেক বছর সরকারের অনেকটা সময় চলে যায়। পরিস্থিতি বিপদসীমা অতিক্রম করলে সরকারের হুঁশ ফেরে। তবে, পরিকল্পনা সত্যিই বাস্তবায়িত হলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেই আশা করছে চিকিৎসক মহল।

  • PFI in West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    PFI in West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল সারা দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (Popular Front of India) বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ (NIA), ইডি (ED), কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)। সূত্রের খবর, প্রায় শতাধিক পিএফআই (PFI) নেতা-কর্মীকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক হয়েছে দেড়শোর বেশি ফোন, কম্পিউটার অন্যান্য নথি। মূলত দেশজুড়ে উগ্রপন্থা ছড়ানো এবং জঙ্গি কার্যকলাপে (Terror activities) আর্থিক মদতের অভিযোগে পিএফআইয়ের উপর দেশজুড়ে তল্লাশি চলেছে। এনআইএ-র তদন্তে অন্তত চারটি জঙ্গি হানার পিছনে পিএফআইয়ের প্রত্যক্ষ যোগ পাওয়া গিয়েছে। তাতে বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি পশ্চিমবঙ্গে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা দেখেও চমকে উঠেছে।

    বিশেষ করে, গত ১০-১১ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ-ছয়টি জেলায় ব্যাপকহারে বেড়েছে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা। খোদ কলকাতার বুকেও ট্রেনিং ক্যাম্প করে ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কেরল-কর্নাটক থেকে শুরু হওয়া এই সংগঠন বাংলায় প্রথমে মুর্শিদাবাদে কাজ শুরু করে। ক্রমেই অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে এখন দুই ২৪ পরগনা, মালদহ,নদিয়া, বীরভূম, হাওড়া, কলকাতা এবং উত্তর দিনাজপুরে সব মিলিয়ে কয়েক হাজার ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। বেশ কিছু হোলটাইমারও পিএফআইয়ের সংগঠন বাড়াতে দিন-রাত কাজ করছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদে প্রথম পিএফআই কাজ শুরু করে। কলকাতার তপসিয়া এলাকায় রাজ্য দফতর তৈরি হলেও সংগঠনের অধিকাংশ নেতা মুর্শিদাবাদ-মালদহ জেলার। এ রাজ্যে পিএফআইয়ের সভাপতি হলেন হাসিবুল ইসলাম। গত পাঁচ-ছয় বছর পিএফআই কিছুটা অন্তরালে থেকেই কাজ করত। কিন্তু সিএএ-র (CAA) বিষয়টি সামনে আসার পর এ রাজ্যেও পিএফআই প্রকাশ্যে এসে কার্যকলাপ শুরু করে। ২০১৯ এর ৯ নভেম্বর রামমন্দির (Ram Mandir) সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় আসার পর মুর্শিদাবাদে ১৩ নভেম্বর কয়েকশো ক্যাডার নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে পিএফআই। ইদানীং কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের উত্তরাংশে প্রচার পুস্তিকা এবং লিফলেটও ছড়াচ্ছে তারা।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির দাবি, সাংগঠনিক ভাবে পূর্ণিয়া জোনের অধীনে পিএফআইয়ের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা পড়ছে। তার মধ্যে পিএফআইয়ের জঙ্গিপুর ডিভিশনের সুতি, সামশেরগঞ্জ, লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, বহরমপুর ডিভিশনে ডোমকল, ইসলামপুর, দৌলতাবাদ, বেলডাঙায় শাখা তৈরি হয়েছে। পিএফআইয়ের বেঙ্গল জোনের অধীনে রয়েছে কলকাতা সংলগ্ন এলাকা এবং ওড়িশা। কলকাতা জেলার অধীনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডিভিশনে মগরহাট ও উস্থিতে শাখা তৈরি হয়েছে পিএফআইয়ের। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া, তেলেনিপাড়া, ঘুটিয়ারি শরিফ, সংগ্রামপুর, মল্লিকপুর, বারুইপুরেও পাকাপোক্ত শাখা তৈরি হয়েছে পিএফআইয়ের।

    আরও পড়ুন: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কলকাতায় অফিস থাকলেও বহরমপুর থানার অন্তর্গত বাখুরি গ্রামে রয়েছে পিএফআইয়ের সদর দফতর। সেখান থেকে রাজ্যজুড়ে কাজের নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এক ব্যক্তি রাজ্যে পিএফআইয়ের ক্রমেই অন্যতম মাথা হয়ে উঠছে। এছাড়া রাজ্যে মাওবাদীদের শাখা সংগঠন হিসাবে পরিচিত বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও পিএফআই নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যে ভাবে গত কয়েক বছরে ১৭টি শাখা খুলে পিএফআই বাংলায় তাদের ক্যাডার নিয়োগ এবং জাল বিস্তার করে চলেছে তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বহরমপুরে যে দু-তিনটি স্টেশনে ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিতে পিএফআই ক্যাডারদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। দুটি এলাকাতেই পিএফআইয়ের সাংগঠনিক শাখা তৈরি হয়েছে। একইভাবে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকা ঘাঁটি তৈরি হলেও নেপথ্যে ছিল পিএফআই। সেই কারণে গত কালের তল্লাশির পর বাংলা নিয়েও বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে এনআইএ, ইডি এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।   

  • Paresh Adhikary: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

    Paresh Adhikary: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি। গত দুদিন ধরে পরেশ অধিকারী কোথায় আছেন, তা জানতে পারছিল না কেউ-ই। আদালতের নির্দেশে সিবিআই-হাজিরার ফরমান সত্ত্বেও এড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। 

    কিন্তু, আদালত কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিতেই পট-পরিবর্তন। বাগডোগরা থেকে সোজা বিমান ধরে কলকাতায় এলেন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত পরেশ অধিকারী। বিকেল চারটে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে দেখা যায় মন্ত্রীকে। বলেন, ‘কিছু বলব না। কলকাতা যাচ্ছি।’ বিকেল ৫.৫৫ মিনিটে বাগডোগরা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। তবে সঙ্গে ছিলেন না কন্যা অঙ্কিতা। সোজা যান সিবিআই দফতরে।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    এদিন সকালে পরেশকে হাজিরা দেওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন, দুপুর তিনটের মধ্য়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে পরেশকে। কিন্তু, মন্ত্রীর আইনজীবী দাবি করেন, পরেশ রয়েছেন কোচবিহারে। বিকেল পাঁচটায় বাগডোগরা থেকে কলকাতাগামী বিমানে উঠবেন তিনি। সাড়ে ৬টা নাগাদ পৌঁছাবেন। বিচারপতির নির্দেশ, ‘মন্ত্রী বিমানবন্দরে নামলে তাঁকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রহরায় সোজা নিজাম প্যালেসে নিয়ে যেতে হবে। আর যদি বিমানবন্দরে না নামেন তাহলে তা আদালত অবমাননা বলে গন্য হবে।’

    এদিকে, দুপুর তিনটের ডেডলাইন পার হওয়ার পরও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হাজিরা না দেওয়ায় বাধ্য হয়েই কড়া পদক্ষেপ নিতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে কন্যা-সহ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তখন কোচবিহারে থাকায় তা পারেননি মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর কন্যা অঙ্কিতা। ওই রাতেই মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা উত্তরবঙ্গ থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে উঠতে দেখা যায়। তাঁদের গন্তব্য ছিল অবশ্যই কলকাতা। কিন্তু বুধবার সকালে ট্রেন কলকাতায় পৌঁছলেও দেখা মেলেনি তাঁদের। যদিও বর্ধমান স্টেশনে তাঁদের দেখা যায়। এরপর কলকাতায় দেখা যায়নি মন্ত্রী ও তাঁর কন্যাকে।

    অন্তরালে থেকেই সিঙ্গলবেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন করেন পরেশ অধিকারী। যাদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই আজ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে, আজ বিকেল ৩টের মধ্যে পরেশ অধিকারীকে সিবিআই দফতরে যেতে হবে। বেকায়দায় পড়েছেন বুঝে অন্তরাল থেকে বেরিয়ে এসে হাজিরা দিতেই মনস্থির করেন পরেশ। 

  • Cbi on Bhadu Sheikh murder: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ভাদু শেখ, বলছে সিবিআই রিপোর্ট

    Cbi on Bhadu Sheikh murder: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ভাদু শেখ, বলছে সিবিআই রিপোর্ট

    কলকাতা: বখরার টাকার ভাগ বাঁটোয়ারার পরিণতিতেই বগটুইয়ের(bogtui) ঘটনা ঘটেছিল। সিবিআইয়ের (CBI) প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর অন্তত এমনই মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। সেই কারণেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনেও (bhadu sheikh murder) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ খুন হন রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখ। এর ঘণ্টা দুয়েক পরেই বগটুই গ্রামে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় ৯ জনকে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে রাজ্য সরকার (West Bengal government)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে তারাপীঠ থেকে সিট গ্রেফতার করে তৃণমূলের তৎকালীন ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে (Anarul Hossain)। যদিও আনারুলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি।

    বগটুইকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই দাবি করেন বিরোধীরা। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিবিআই তদন্তের (CBI investigation) নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টও। ৮ এপ্রিল সিবিআই প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট থেকেই জানা যায়, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ার জেরে ঘটে বগটুইয়ের ঘটনা। ওই রাতে ভাদু শেখ খুনের পরেই শুরু হয় বদলা নেওয়ার পালা। যার জেরে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে লাশ হয়ে যান ৯ জন। এর পরেই ভাদু শেখ খুনেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ভাদু শেখ খুনের নেপথ্যে যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বখরা সংক্রান্ত কোনও বিবাদ রয়েছে, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। একই দাবি জানিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন সিবিআইয়ের কাছ থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়ে আদালতও মনে করছে, বখরা সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরেই বগটুইকাণ্ড। সেই কারণেই ভাদু শেখ খুনেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।

LinkedIn
Share