Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC scam: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    SSC scam: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) দফতরে অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ছয় সদস্যের একটি দল যায় সল্টলেকের ডিরোজিও ভবনে। তদন্তকারীরা কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গেও। এদিকে, এদিনই উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।এদিন সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল যায় তাঁর সার্ভে পার্কের বাড়িতে।

    এসএসসি দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। সেই শিকড়ের গোড়ায় পৌঁছতেই এদিন সকালে সিবিআইয়ের একটি দল হানা দেয় সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে। কথা বলেন পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে। খতিয়ে দেখেন প্রয়োজনীয় নথিপত্রও। কাদের কাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তা জানতে আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

    সিবিআইয়ের একটি দল যখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে অভিযান চালাচ্ছে, প্রায় ঠিক সেই সময়েই অন্য একটি দল হানা দেয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে। এসএসসি গ্রুপ সি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।শান্তিপ্রসাদ ছাড়াও নাম রয়েছে তৎকালীন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য, তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার, তৎকালীন সচিব অশোক কুমার সাহা এবং তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    সূত্রের খবর, শান্তিপ্রসাদের বাড়ির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শান্তিপ্রসাদের কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।  

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে খোঁজখবর করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও আয়কর সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই পাঁচজনের নামে-বেনামে গত পাঁচ বছরে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিও চাওয়া হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, এদিন সার্ভে পার্কের একটি আবাসনের তিন তলায় শান্তিপ্রসাদের বাসভবনে পৌঁছান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। নথিপত্র দেখিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেন তাঁরা। পরে বন্ধ হয়ে যায় ফ্ল্যাটের দরজা। তারপর আর দীর্ঘক্ষণ খোলেনি।

    সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসি দুর্নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শান্তিপ্রসাদের। দুর্নীতি করতেই বেআইনি কমিটি গড়ে তার উপদেষ্টা পদে বসানো হয়েছিল তাঁকে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শান্তিপ্রসাদের গ্রেফতারি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

  • SSC Recruitment: দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ৭ হাজার পদ তৈরি এসএসসি-তে?

    SSC Recruitment: দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ৭ হাজার পদ তৈরি এসএসসি-তে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : স্কুল সার্ভিস কমিশনে দুর্নীতির(ssc scam) অভিযোগে ল্যাজেগোবরে দশা তৃণমূল(tmc) পরিচালিত রাজ্য সরকারের। সেই দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই তড়িঘড়ি সৃষ্টি করা হল প্রায় সাত হাজার পদ। ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষকদের চাকরি দিতেই জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। মেধাতালিকার শেষের দিকে নাম থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের এক মন্ত্রীর মেয়েকে অন্যায়ভাবে শিক্ষকের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল জমানায় শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতিও হয়েছে। জোড়া অভিযোগে সরগরম রাজ্য। এই কেলেঙ্কারির(scam) দিক থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি জারি বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    ২০১১ সালে বামেদের হঠিয়ে রাজ্যের কুর্সিতে আসে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(mamata banerjee) স্বয়ং। অভিযোগ, তার পরেই শুরু হয় ‘পাইয়ে দেওয়ার’ খেলা। কাউকে অন্যায়ভাবে চাকরি, কাউকে বড় কোনও পদ দিয়ে দলে ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। সময় যত গড়িয়েছে, পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির খেলায় ততই পোক্ত হয়েছে তৃণমূলের ভিত। সম্প্রতি সেই কেলেঙ্কারিই প্রকাশ্যে এসেছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নেওয়া পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। দলীয় কর্মী কিংবা তাঁদের ছেলেমেয়ে অথবা তাঁদের সুপারিশ করা পরীক্ষার্থীদের শিক্ষকের চাকরি দেওয়া হয়েছে অন্যায়ভাবে। যার জেরে বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি অনেকে। আবার মেধাতালিকার শেষের দিকে নাম থাকলেও, কেউ হয়তো চাকরি পেয়েছেন তালিকার ওপরে থাকা পরীক্ষার্থীদের টপকে গিয়ে। অন্যায়ভাবে চাকরি পাওয়ায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর(paresh adhikary) মেয়ে অঙ্কিতাকে বরখাস্ত করার নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দুর্নীতির জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।  

    আরও পড়ুন : চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

    গত কয়েকদিন ধরে এসএসসির এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় জেরবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। তার পরেই শুরু হয় সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার প্রচেষ্টা। সেই মতো রাতারাতি সৃষ্টি করা হয় ৬ হাজার ৮৬১টি পদ। রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরে তাতে সই করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তার পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। ওয়েটিং লিস্টে থাকা শারীর শিক্ষা, কর্মশিক্ষা এসএলএসটিসহ যাবতীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের চাকরি দিতেই নয়া বিজ্ঞপ্তি। এই সব শূন্য পদে নিয়োগ, যাচাই পর্ব এবং সুপারিশের দায়িত্বে থাকবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে আদালতের নির্দেশ মেনে।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    জানা গিয়েছে, নবম-দশম শ্রেণির সহকারি শিক্ষকের জন্য নয়া পদ সৃষ্টি হয়েছে ১৯৩২টি। একাদশ-দ্বাদশে ২৪৭টি, গ্রুপ সি ১১০২, গ্রুপ ডি ১৯৮০টি এবং কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার সহকারি শিক্ষক নিয়োগে মোট ১৬০০ নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।

     

  • Anubrata Daughter CBI: হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদ, কেন সিবিআই স্ক্যানারে কেষ্ট-কন্যা?

    Anubrata Daughter CBI: হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদ, কেন সিবিআই স্ক্যানারে কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতর পর সিবিআই (CBI)-এর স্ক্যানারে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। এবার তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে  চায় এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। তদন্তে নেমে সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর এরপরেই বাড়িতে গিয়ে সুকন্যার সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

    এর আগেই জানা গিয়েছিল যে, সুকন্যা মণ্ডলের নামে দুটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা দুটিতে বহু বেআইনি লেনদেনের খোঁজ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সংস্থাগুলিতে প্রচুর টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, মেয়ের নাম ব্যবহার করে সংস্থা দুটি চালাতেন কেষ্ট নিজেই। আর এই অনুমান সত্যি কি না তা জানতেই সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন তাঁরা। রেকর্ড করা হতে পারে তাঁর বয়ানও। 

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ের নাম যে দুটি সংস্থার সঙ্গে জড়িয়েছে, তার মধ্যে একটি হল অ্যাগ্রো কেমিক্যাল সংস্থা। ওই সংস্থায় সুকন্য়া মণ্ডলের নামে বেশিরভাগ শেয়ার রয়েছে। এই সব সংস্থাগুলিতে কোনওভাবে গরুপাচার কাণ্ডের টাকা ঘুরপথে ঢুকত কি না, তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই কারণেই এই জিজ্ঞাসাবাদ। সুকন্যাকে কোনও রকম অসুবিধায় ফেলতে চাইছেন না গোয়েন্দারা। তাই সিবিআই অফিসে না ডেকে বাড়িতে গিয়েই সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানোর নির্দেশ দিয়ছিলেন কে? এবার বিস্ফোরক দাবি সুপারের

    অনুব্রত কন্যা ছাড়াও আরও ১২-১৫ জন এই মামলায় সিবিআই – এর নজরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মিলেছে তাঁর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ। 

    সায়গলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, অনুব্রতর হয়ে বাজার থেকে টাকা তুলতেন সায়গলই। আর এভাবেই তৈরি করেছেন এই বিপুল সম্পত্তি। এখনও পর্যন্ত কেষ্টর দেহরক্ষীর থেকে যে সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলি হল, ডোমকলে ৩৬টি জমির প্লট (বাজার দর ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা), বোলপুরে ৭ টি জমির প্লট (বাজার দর ১ কোটি ৫ লাখ টাকা), সিউড়িতে ৭টি জমির প্লট (বাজারদর ৭২ লাখ টাকা), বীরভূমের অন্যত্র পাঁচটি জমির প্লট (বাজার দর ৮৫ লাখ টাকা), নিউটাউন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট (বাজার দর ১০ লাখ), বিমানবন্দর নিউটাউন এলাকায় ৩টি ফ্ল্যাট (বাজার দর ৬০ লাখ টাকা), ইলামবাজারে একটি পেট্রোল পাম্প, ২টি লরি, ৩৭ লাখ টাকার গয়না এবং সাড়ে চার লাখ টাকা নগদ। 

     

  • West Bengal Day: ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে পাশ হয় পশ্চিমবঙ্গ গঠনের প্রস্তাব, কী ঘটেছিল সেদিন?

    West Bengal Day: ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে পাশ হয় পশ্চিমবঙ্গ গঠনের প্রস্তাব, কী ঘটেছিল সেদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৭ সালের বঙ্গভাগ বাংলার রাজনৈতিক ভূগোলে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তনের অধ্যায়। এই বিভাজন করা হয়েছিল মূলত সাম্প্রদায়িক সংখ্যাতত্ত্বকে ভিত্তি করেই। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলার পশ্চিমাঞ্চলকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্বাঞ্চল অন্তর্ভুক্ত হয় পূর্ব পাকিস্তানে।

    ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী হিন্দু প্রত্যাখ্যান করলেও কংগ্রেসবিরোধী মুসলমান বিশেষ করে পূর্ববাংলার জনগণ, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু, ১৯৪৭ সালে বঙ্গভাগের প্রস্তাব করেছিল হিন্দুরা, বিশেষ করে হিন্দু মহাসভা। মুসলিম নেতৃত্ব প্রথমে প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও পরবর্তী সময়ে তারা তা গ্রহণ করেছিল।

    ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ সালের মধ্যে অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সুরাওয়ার্দির নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগ শাসনকালে অকথ্য ও বর্বরোচিত অত্যাচারের সাক্ষী থেকেছিল হিন্দুরা। সেই সময়ই ঘটেছিল ৪৬-এর দাঙ্গা, নোয়াখালির দাঙ্গা এবং ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর ঘটনাপ্রবাহ।

    অচিরেই, হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। হিন্দুরা বুঝতে পারছিলেন যে, বাংলা অবিভক্ত থাকলে সেখানে সংখ্যাধিক্যের কারণে মুসলমানদেরই আধিপত্য থাকবে এবং হিন্দুরা নিপীড়নের শিকার হবে। হিন্দুরা চাইছিল ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে থাকতে। অন্যদিকে, মুসলিমরা চাইছিল পাকিস্তানে যোগ দিতে।

    হিন্দুদের সেই আতঙ্ক যে অমূলক ছিল না, তার প্রমাণ মেলে বঙ্গভাগের পর। ইতিহাস সাক্ষী আছে, বঙ্গ বিভাজনের পর এপারে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় বসবাসকারী মুসলিমরা বিশাল সংখ্যায় যে ওপারে চলে গিয়েছেন, এমন নিদর্শন পাওয়া যায়নি। অথচ অন্যদিকে, অন্তত ৭০ লক্ষ থেকে ১ কোটি হিন্দু এপারে চলে এসেছিলেন উদ্বাস্তু হয়ে। এর থেকেই পরিষ্কার ছিল যে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় হিন্দুদের কী অবস্থা ছিল।

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ দিবসের শপথ: আমি ভয় করব না, ভয় করব না

    শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যদের একান্ত চেষ্টায় ১৯৪৭ সালের ৩ জুন, বঙ্গ বিভাজন এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নীতি ও পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই বছরের ২০ জুন বঙ্গভাগের প্রস্তাব বঙ্গীয় আইনসভার সদস্যদের দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। তিন দফা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

    প্রথম ভোটাভুটি হয় অবিভক্ত বাংলার আইনসভার সকল সদস্যদের নিয়ে। প্রস্তাব ছিল ভারতে যোগদান নিয়ে। হিন্দুরা ছিলেন প্রস্তাবের পক্ষে। অর্থাৎ, ভারতে যুক্ত হতে। মুসলিমরা ছিলেন বিপক্ষে। অর্থাৎ, তারা পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে ছিলেন। যৌথ অধিবেশনের ভোটাভুটিতে বিপক্ষে ১২৬টি এবং পক্ষে ৯০টি ভোট পড়েছিল। অর্থাৎ, প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি। 

    দ্বিতীয় ভোটাভুটি হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার সদস্যদের নিয়ে। ভোটাভুটির প্রস্তাব ছিল বঙ্গ ভাগ করা। তাঁরা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেন। একইসঙ্গে, তাঁরা পাকিস্তানে যোগদানের জন্য একটি প্রস্তাব পাশ করেছিলেন। ভোটাভুটির ফল ছিল ১০৬-৩৫। 

    এর পর তৃতীয় ভোটাভুটি হয় হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার সদস্যদের নিয়ে। প্রস্তাব ছিল পূর্ব পাকিস্তান ভেঙে পৃথক পশ্চিমবঙ্গ গঠন। হিন্দু সদস্যদের ভোটে পাশ হয়ে যায় প্রস্তাব। ভোটাভুটির ফল ছিল ৫৮-২১। তৃতীয় ভোটাভুটিতে পৃথক পশ্চিমবঙ্গ গঠনের পক্ষে একজোট হয়ে ভোট দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও জ্যোতি বসু। 

    নথি বলছে, পৃথক পশ্চিমবঙ্গ গঠনের পক্ষে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁরা সকলেই হিন্দু বা অমুসলিম। অন্যদিকে, এই প্রস্তাবের বিপক্ষে যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই আইনসভার মুসলিম সদস্য।  এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারা কারা পৃথক পশ্চিমবঙ্গ গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এবং কারা বিপক্ষে। 

    আরও পড়ুন: ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পশ্চিমবঙ্গের অস্তিত্ব রক্ষার ঘোষণা



  • Anubrata Mondal: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    Anubrata Mondal: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি। এক সময় বীরভূমে তৃণমূলের যাবতীয় প্রচার-ফ্লেক্সে জ্বলজ্বল করত তাঁর হাসি মুখের ছবি। অথচ গরুপাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case)  সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হতেই ফ্লেক্স-ফেস্টুন থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছেন  অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠ (Tarapith) ছয়লাপ তৃণমূলের ফ্লেক্সে। সেখানে জ্বলজ্বল করছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) হাতজোড় করা ছবি। তাহলে কি কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব? উঠছে প্রশ্ন।

    ফি বার কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে মেলা ভিড় হয় তারাপীঠে (Tarapith)। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কৌশলে প্রতিবার প্রচারের কাজটি সেরে ফেলে তৃণমূল। এবারও তাই করেছে। তবে ভক্তদের যেটা নজর কেড়েছে, সেটা হল অন্যান্যবার ফ্লেক্স-ফেস্টুনে উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকে অনুব্রতর। এবার তিনি নেই। তাঁর বদলে তারা মায়ের ছবির পাশে রয়েছেন দলনেত্রী স্বয়ং!

    তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ফ্লেক্স-পরিকল্পনা যাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত, তিনি তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর রামপুরহাট কিষাণ মান্ডিতে আয়াস অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক আলোচনার সময় মেজাজ হারিয়ে আশিসকে ‘অপদার্থ’ বলেছিলেন অনুব্রত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ফ্লেক্স থেকে অনুব্রতকে মুছে দিয়ে এবার সেই ‘অপমানে’র বদলা নিলেন আশিস। তাঁদের মতে, অনুব্রতকাণ্ডে ফের যাতে দলের মুখ না পোড়ে, তাই তাঁকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে দলে।

    আরও পড়ুন : সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

    রাজনৈতিক মহলের অনুমান যে নিছক কষ্ট-কল্পনা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে বৃহস্পতিবারই। এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে বৈঠকে ডেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল নন, এবার থেকে বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দেখভাল করবেন জেলা নেতৃত্বই। এদিনের বৈঠকে অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও।

    আরও একটি কারণে তৃণমূলে অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলা হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। সেটি হল, সিবিআই হেফাজত থেকে অনুব্রত গিয়েছেন জেল হেফাজতে। তদন্ত শুরু করতে চলেছে ইডিও। যার অর্থ, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের কিছু প্রমাণ মিলেছে।   

    তাহলে কি তৃণমূলে অবসান হতে চলেছে অনুব্রত-যুগের?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রল, ডিজেলের দাম (Petrol Diesel Prices) কমানো নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের ওপর পালটা চাপ দিল বিজেপি (BJP)। ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য জ্বালানির দামে করছাড় ঘোষণা না করলে নবান্ন  (Nabanna) অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    গত ২১ মে দেশজুড়ে পেট্রল ও ডিজেলের করে ছাড় ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) জানান, পেট্রলে লিটারে প্রায় ১০ টাকা ও ডিজেলে লিটারে প্রায় ৭ টাকা কর কমাতে চলেছে কেন্দ্র। পর দিন থেকে লাগু হয় নতুন দাম। 

    কিন্তু তার পরও করছাড় ঘোষণা করেনি রাজ্য। উলটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, দেশের অবিজেপি সরকারগুলির মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলে সব থেকে বেশি করছাড়া দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    রাজ্যের শাসক দলের এই দাবি বৃহস্পতিবার নস্যাৎ করে দেয় বিজেপি। বিজেপির দাবি, ইতিমধ্যে পেট্রল-ডিজেলে কর কমিয়ে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকার তার ভূমিকা পালন করছে না। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্য কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও করবে বিজেপি।

    জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    সুকান্তর মতে, জিএসটি (GST) সমেত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের সব বকেয়া পাওনা মঙ্গলবারই মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। এবার পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে কর কমাক তৃণমূল সরকার।

    এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’

    জ্বানানি ইস্যুর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। 

    স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বর্তমানে ব্যর্থসাথীতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত আসতে বাধ্য হবে।

    “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

  • Sukanya Mondal: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

    Sukanya Mondal: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরেশ (Paresh Adhikary)-কন্যার অঙ্কিতার (Ankita Adhikary) পর এবার অনুব্রত (Anubrata Mondal)-কন্যার বিরুদ্ধেও উঠল টেট পরীক্ষায় (Primary TET) পাশ না করে স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। আর এই অভিযোগ বিস্ফোরক ঘিরে জোর আলোড়ন। ২৪-ঘণ্টার মধ্যে স্কুলের রেজিস্টার আদালতে পেশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt)। 

    আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ তো ছিলই, এবার কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) বিরুদ্ধে উঠল টেট অনুত্তীর্ণ হয়েও চাকরি নেওয়ার অভিযোগ। বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী সৌমেন নন্দী অভিযোগ করেন, অনৈতিক ভাবে, টেট পাশ না করেই স্কুলের চাকরি পেয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চে ওঠা মামলায় বুধবার অভিযোগ করা হয়েছে, সুকন্যা নাকি স্কুলেও যেতেন না। অথচ, অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে যেত হাজিরার রেজিস্ট্রার। 

    আরও পড়ুন: স্কুলে চাকরি করেই কয়েক’শ কোটির সম্পত্তি সুকন্যার! কী করে? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    মামলাকারীর আরও অভিযোগ, শুধু সুকন্যাই নয়, চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর আরও ৫ আত্মীয়। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেন, সুকন্যার মতো স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর আপ্ত সহায়ক অর্ক দত্তও। চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর ভাই, ভাইপো, ছাড়াও ২ ঘনিষ্ঠ। শুনানির শেষে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ৩ টার মধ্যে সুকন্যা সহ ৬ জনকে টেট সার্টিফিকেট নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে, কালকের মধ্যে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে রেজিস্টার নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাজিরা না দিলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশ যাতে কার্যকর করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে আদালতের রায় জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    এমনিতেই স্কুল শিক্ষিকা হয়ে কী করে কয়েক’শ কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন সুকন্যা, তার উৎস খুঁজতে তৎপর হয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, গরুপাচারের টাকা দিয়েই এই বিপুল সম্পত্তি কেনা হয়ে থাকতে পারে। যে উত্তর খুঁজতে এদিন সকালে, বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়িতে সুকন্যাকে জেরা করতে পৌঁছ গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, সুকন্যার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মা বেঁচে নেই, বাবা হেফাজতে। তিনি বাড়িতে একা রয়েছেন। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই এমতাবস্থায় তিনি কথা বলতে চান না। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

  • Suvendu Adhikari: ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’, মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ায় ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’, মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ায় ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’। ঠিক এই ভাষাতেই  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। বললেন, “চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছালে এই ছড়া কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়।”

    নিরলস কাব্য সাধনার জন্য চলতি বছর বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (bangla academy prize) দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। পুরস্কারদাতাদের ‘চাটুকারিতা’য় বিস্মিত রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। অনেকে অপমানিত হয়ে যেমন রাজ্যের তরফে পাওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তেমনই অনেকে আবার বাংলা আকাদেমির গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন। 

    তৃণমূলনেত্রীকে বাংলা আকাদেমি পুরস্কৃত করার ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক ট্যুইট করে পরোক্ষে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে খুশি করতে গিয়ে রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন বাংলা সাহিত্যকে কার্যত অপমান করেছেন বাংলা আকাদেমি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরই প্রথম পুরস্কার দিতে শুরু করে বাংলা আকাদেমি। প্রথম বছরেই পুরস্কার দেওয়া হয় তৃণমূল নেত্রীকে।

    মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মঞ্চে বসা মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমির পক্ষে পুরস্কার দেন তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। পুরস্কার গ্রহণ করেছেন পুরস্কারের ঘোষক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৯৪৬টি কবিতার (Mamata poem) সংকলন ‘কবিতা বিতান’ (Kabita Bitan) কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রাজ্যজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

    একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, শিল্পকলা সংস্কৃতিতে মুনশিয়ানাই তো আমাদের পরিচয় বিশ্বের কাছে। সেই অহংবোধ কিনা রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিনে ধূলিসাৎ হল। বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত। ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত। চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছলে এই ছড়া/কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়।

    [tw]


    [/tw]

    মমতাকে সাহিত্য সাধনার পুরস্কার দেওয়ায় ক্ষুণ্ণ হয়েছে বাংলা সাহিত্যের মর্যাদা। অন্তত রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিমত তাই। অন্য একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ আমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকলে হয়তো লিখতেন, বাংলার সাহিত্য সমাজ, তুমি চেতনা হারাইয়াছ? পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির পুরস্কার বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে তাঁর কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্য।

    এই ‘চাটুকারিতা’র আয়ু যে দীর্ঘস্থায়ী নয়, তাও মনে করেন শুভেন্দু। কোনও মানুষের কীর্তির মূল্যায়ন করে ইতিহাস। তাই অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, ইতিহাস যখন একটি সভ্যতার বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করে কয়েক শতাব্দী পরে, তখন তাতে উল্লেখ থাকে না কোন ব্যবসায়ী, কেরানি কত বড় অবদান রেখেছিলেন। আতস কাচের তলায় দেখা হয় কবি, সাহিত্যিক, ভাস্কর, চিত্রকর, শিল্পীদের কাজ। বাঙালি তো এই জায়গায় শ্রেষ্ঠ।

    [tw]<bloc


    kquote class=”twitter-tweet”>

    শিল্প কলা সংস্কৃতিতে মুনশিয়ানাই তো আমাদের পরিচয় বিশ্বের কাছে। সেই অহংবোধ কিনা রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে ধূলিসাৎ হলো। বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত !
    ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত।
    চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছালে এই ছড়া/কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়: pic.twitter.com/HYsM2ctZ9r

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 10, 2022

    [/tw]

     

     

     

  • CATTLE AND POLICE: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

    CATTLE AND POLICE: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

     

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি ও গরু পাচার চক্রের তদন্তে নেমে রাজ্যে ৪২ ঘাটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। উত্তরবঙ্গের হিলি থেকে উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন সংলগ্ন ৪২টি ঘাট দিয়ে নিয়মিত গরু পাচারে মদত দিয়েছেন অন্তত ৬২ জন পুলিশ অফিসার। সীমান্তবর্তী এলাকায় ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টর থাকা নীচুতলার পুলিশ অফিসাররা ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত গরু পাচারে অতি সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের মদত করতেন আটটি জেলার পুলিস কর্তারা। কয়লা কাণ্ডের মতো এবার গরু পাচারের ৪২ ঘাটের এলাকা সামলানো সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের সিবিআই-ইডির আতস কাচের নীচে আসতে হবে।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, কোনও কোনও থানা এলাকায় আট-দশটি পাচার ঘাট ছিল। সেই সব থানায় ওসির পোস্টিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বীরভূম, বর্ধমান জেলার কয়েকটি থানার ওসি আসার গরু পাচারের রুটের প্রোটেকশন দিতেন। ফলে পাচার ঘাটের চেয়েও গরুর হাট থেকে সীমান্ত পর্যন্ত গরু নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতেন যে সব নীচু তলার পুলিশ কর্তা, তাঁদেরও নজরে রাখছে সিবিআই।

    সিবিআই-ইডি জেনেছে, পশ্চিমবঙ্গে যে ৪২টি ঘাট দিয়ে গরু পাচার হত সেগুলি হল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়া, মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকার খাদুয়া, মদনঘাট, টিকলি চর, ভাগিরথী, নিমতিয়া, ধুলিয়ান ঘাট, কাহারপাড়া, রাজাপুর, মোহনগঞ্জ, বামনাবাদ, চর কামারি, কাতলামারি, চর বিনপুর, চর লবনগোলা, সবদলপুর-কানাপাড়া, রাজারামপুর, দিয়ার মানিকচক, আসারিয়াদহ, রামনগর, রেনু, বাহারা ঘাট, নিমতিতা, ফিরোজপুর। মালদহ জেলার ঘাটগুলির মধ্যে উল্লেখ্য হল, বৈষ্ণবনগরের সাহাপুর, শিবপুর ঘাট, কুম্ভীরা, দৌলতপুর, কালিয়াচক, হবিবপুরের কেদারিপাড়া, আগ্রা এবং আর কে ওয়াধা ঘাট। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, হেমনগর, স্বরূপনগর, গাইঘাটা, বনগাঁও, বাগদার বাঁশঘাটা, মালিদা, গাঙ্গুলিয়া এবং আংরাইল ঘাট দিয়ে নিয়মিত গরু পাচার হয়েছে। এছাড়া বীরভূমের মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন থানার ওসিরা এবং বর্ধমানের ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে মুর্শিদাবাদ আসার পথের যে সব থানা রয়েছে সেগুলির ওসিরাও সিবিআই-ইডির নজরে রয়েছে।

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পুলিশ কর্তা থেকে নীচু তলার পুলিশ কর্মীদের যোগসাজশেই বরাবর গরু পাচার হয়ে এসেছে। রাজনৈতিক নেতাদের ধরা শুরু হয়েছে, কয়লা কাণ্ডে যোগ থাকা পুলিশ কর্তাদের নোটিস দিয়েছে ইডি, একই পথে গরু পাচারে যুক্ত পুলিশ কর্তা এবং থানার ওসিদের এক এক করে ডাকা হবে।     

    গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকের বিভিন্ন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে অন্তত রাজ্যের ৬২টি থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি)-র নাম পাওয়া গিয়েছে।প্রতি মাসে গরু পাচার চক্র থেকে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আট-ন’টি জেলার কর্মরত ওই ওসি-রা ‘মাসোহারা’ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূ্ত্রের দাবি, এনামুলের খাতায় নাম থাকা সব ওসি’দেরই ধীরে ধীরে আয়কর ও সিবিআই তদন্তের সামনে আসতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি এবং আট আইপিএস অফিসারকে ইডির তলবের পর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নীচুতলার বহু পুলিশ অফিসার সিবিআইকে তথ্য দেওয়াও শুরু করেছেন। নিজে থেকেই তাঁরা সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোপনে গরু-কয়লা পাচারে যুক্ত অফিসারদের বেআইনি সম্পত্তি ও কারবারের তথ্য তুলে দিচ্ছেন বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।  

     

  • Suvendu Attacks Mamata: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Mamata: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) সরকারের পাশ করা আচার্য বিলকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিলেন, এখানে পাশ করে কোনও লাভ নেই। বিল দিল্লি পাঠাতে হবে। তাঁর কটাক্ষ, দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না।  

    বিরোধীদের শত আপত্তি সত্বেও বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই পাশ হয়েছে আচার্য বিল। এই বিলে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) নন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসবেন এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। বিলের পক্ষে এদিন ভোট পড়ল ১৮২, বিপক্ষে ভোট পড়ল ৪০টি। বিধানসভায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল (University Act Amendment Bill) পাস হয়েছে। এবার রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য যাবে সংশোধনী বিল।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা মারতেই কি স্কুলে গরমের ছুটিবৃদ্ধি? তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই প্রেক্ষিতে এদিন বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, দাবি করেন, “বিধানসভায় সংখ্যা আছে, বিল পাস করিয়ে নিয়েছে৷ কিন্তু আমাদের আপত্তি নথিভুক্ত করেছি৷ বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়নি৷ আগামী সোমবার আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তাঁকে বলব যে বিলে সই না করতে৷ আমি এখনই বলে দিচ্ছি, রাজ্যপাল বিলে সই করবেন না৷”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মনে করিয়ে দেন, শিক্ষা যুগ্মতালিকার অন্তর্ভুক্ত। ফলে, তা যাবে কেন্দ্রের কাছে। তিনি বলেন, বিধানসভায় বিল পাশ হলেও তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। এরপর বিষয়টি যুগ্ম তালিকা ভুক্ত হওয়ায় কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে হবে। তবে তা রাজ্যের নাম পরিবর্তনের মতোই সেখানে গিয়ে পড়ে থাকবে। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক-পত্নীকে তলব সিবিআইয়ের, আগামীকাল জেরা কলকাতাতেই?

    অর্থাৎ, শুভেন্দু জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আপাতত কার্যকরী হচ্ছে না। মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না।”

    বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী— এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিবৃতি দিয়েছে বিশিষ্টজনরাও। তাঁদের তরফে জানানো হয়, কোনও শিক্ষাবিদকে আচার্য করা হোক। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রধান আচার্য হলে ভঙ্গ হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকার’। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিভাস চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, সমীর আইচ, অনীক দত্ত-সহ আরও অনেক বিশিষ্টরা। 

     

LinkedIn
Share