Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • New Website of EC: চালু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন ওয়েবসাইট, মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা

    New Website of EC: চালু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন ওয়েবসাইট, মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে একযোগে বাংলাতেও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে এসআইআর। শোরগোল চলছে ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট নিয়ে। যদিও সূত্রের খবর, ওই বছরের ভোটার লিস্টের সঙ্গে সাম্প্রতিক ভোটার লিস্টের ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের পুরনো ওয়েবসাইটও বাতিল হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তে চালু হয়েছে নতুন ওয়েবসাইট (New Website of EC)। এই ওয়েবসাইটেই মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা।

    কেন চালু হল নয়া ওয়েবসাইট

    গত ২৭ অক্টোবর, সোমবার রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর ঘোষণা হয়। ঘটনাচক্রে, তার পরদিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল রাজ্যের সিইও দফতরের ওয়েবসাইটটি। তা নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয়েছিল জনগণের মধ্যে। কারণ, বহু মানুষই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখতে চাইছিলেন, যা ওই ওয়েবসাইট থেকে পাওয়ার কথা ছিল। সেই ওয়েবসাইট অকেজো হয়ে পড়ায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে নতুন ওয়েবসাইট চালু করল সিইও দফতর। ওয়েবসাইটটির নাম— https://ceowestbengal.wb.gov.in/ । সিইও দফতর সূত্রে খবর, এই ওয়েবসাইট থেকেই ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এসআইআর সংক্রান্ত কাজকর্মও হবে এই ওয়েবসাইটে।

    কী ভাবে খুঁজবেন ভোটার তালিকা

    উল্লিখিত ওয়েবসাইটে (New Website of EC) ক্লিক করলেই যে পাতাটি আপনার মোবাইল, কম্পিউটার বা ডিজিটাল স্ক্রিনে খুলবে, সেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলার নাম লেখা থাকবে। আপনি বা আপনার বাবা-মা ২৩ বছর আগে যে জেলার ভোটার ছিলেন, প্রথমে সেই জেলার নামে ক্লিক করতে হবে। তখন খুলে যাবে সংশ্লিষ্ট জেলার বিধানসভাগুলির নাম। তখন আপনি যে বিধানসভা এলাকার ভোটার ছিলেন, সেই বিধানসভা কেন্দ্রের নামে ক্লিক করলে খুলে যাবে ভোটকেন্দ্রের (পোলিং স্টেশন) নাম। ‘স্ক্রল’ করে সেই কেন্দ্রের নামে ক্লিক করলেই আপনি দেখতে পাবেন ভোটার তালিকা।

    কী সমস্যা হতে পারে

    কমিশন সূত্রে খবর, একটি বিষয়ে সমস্যা হতে পারে। অনেক জায়গায় একটি ভোটকেন্দ্রে একাধিক বুথ থাকে। অর্থাৎ, একটি বড় স্কুলে উপরতলা, নীচের তলা মিলিয়ে চারটি-পাঁচটিও বুথ হয়। ২৩ বছর আগের বুথ বা পার্ট নম্বর স্মরণে থাকলে আপনি এক বারেই সেই তালিকা পেতে পারেন। একান্তই মনে না থাকলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সবকটি কক্ষের তালিকাই মিলিয়ে দেখতে হবে।

    পাশে রয়েছে কমিশন

    এসআইআর (SIR) নিয়ে যতরকম জটিলতা তৈরি করা সম্ভব তার চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস। মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা চলছে জোর কদমে। সোশাল মিডিয়া পোস্টে যে যার মতো ভাসিয়ে দিচ্ছে মিথ্যে। লক্ষ্য একটাই রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কিন্তু এসআইআর নিয়ে সবরকম জটিলতা কাটাতে মানুষের পাশে আছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এসআইআরের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন বিএলও-রা। এই কাজটি শুরু হবে ৪-নভেম্বর, চলবে এক মাস, অর্থাৎ ৪-ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথমেই দেখা হবে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে কিনা। বিএলও-রা রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন। যে বাড়ির ঠিকানা আছে, সেখানেও যাবেন, যে বাড়ির ঠিকানা নেই, সেখানেও যাবেন। অর্থাৎ যেখানেই মানুষ বাস করেন, সেখানেই যাবেন। কেউ বাদ যাবে না। এনুমারেশন ফর্ম ভর্তি করবেন। সেখানে লেখা হবে প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের বয়স, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য। তার জন্য যাঁরা ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট দেখতে চান, কমিশনের নতুন ওয়েবসাইটে গিয়ে সহজেই তা করতে পারবেন।

  • Sukanta Majumder: তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা, নেই হাতের ৪ আঙুল! পানিহাটির আত্মঘাতীর সুইসাইড নোট কে লিখল? প্রশ্ন বিজেপির

    Sukanta Majumder: তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা, নেই হাতের ৪ আঙুল! পানিহাটির আত্মঘাতীর সুইসাইড নোট কে লিখল? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে ব্যক্তির ডান হাতের চারটি আঙুল ঠিকমতো নেই, তিনি সুইসাইড নোট লিখলেন কী করে? পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির প্রদীপ করের সুইসাইড নোটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি। মঙ্গলবার সকালে আগরপাড়ার ফ্ল্যাটে তাঁর ঘর থেকে প্রদীপের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ওই ঘরেই মেলে একটি ডায়েরি। সেই ডায়েরির পাতা থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, এনআরসি এবং এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন পানিহাটির এই বাসিন্দা। সুইসাইট নোটেও লেখা ছিল সে কথা। কিন্তু বিজেপির প্রশ্ন প্রদীপ কর কি আদৌ লিখতে পারতেন?

    যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন

    মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রদীপ তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন এবং সর্বোপরি তাঁর ডান হাতের ৪টি আঙুল ছিল না। ১৯৮০ সালে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর হাতের ৪ আঙুল কাটা পড়ে। তবে তিনি বাঁ হাতে লিখতেন কি না, সে তথ্য মেলেনি। ফলে মৃতের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট এবং তাতে এনআরসি-কে মৃত্যুর জন্য দায়ী করার বিষয়টি ধোপে টিকছে না বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব পানিহাটির এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও বলেন, “যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সুইসাইড নোটটি কে লিখেছেন তা জানা দরকার। এনআরসি তো চালুই হয়নি। এনআরসি নিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল।” সুইসাইড নোটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

    ‘বিতর্কিত’ সুইসাইড নোট

    প্রদীপের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও মেলেনি। তিনি আদৌ লিখতে জানতেন কি না, তা নিয়ে তাঁর সংশয় রয়েছে। অবিবাহিত প্রদীপ ভাই এবং ভ্রাতৃবধূর সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে তিনি নিজের ঘরে শুতে যান। মঙ্গলবার সকালে ভ্রাতৃবধূ বার বার ডেকেও সাড়া না পেয়ে প্রদীপের ভাইকে ডাকেন। প্রতিবেশীরা আসেন। থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে প্রদীপের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। পুলিশই উদ্ধার করে ‘বিতর্কিত’ সুইসাইড নোটটি। মশারির দোকান ছিল প্রদীপের। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, উনি পানিহাটি বিধানসভার ভোটার। ২০২৪ সালেও ভোট দিয়েছেন। তবে বাবা বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। বুধবারই আগরপাড়ায় প্রদীপ করের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মৃত্যুর জন্য কমিশন ও বিজেপিকে একযোগে তোপ দাগেন তিনি। তারপর তিনি স্লোগান তোলেন, ‘জাস্টিস ফর প্রদীপ কর।’ সামাজিক মাধ্যমে নিজের ডিপিও পরিবর্তন করেন তিনি। এবার এই নিয়ে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার।

    চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ

    উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর পানিহাটির তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে সারা কলকাতা সরব হয়েছিল ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগানে। রাস্তায় হয়েছিল গণঅভ্যুত্থান। এবার প্রদীপ করের এই মৃত্যু, আর তাতে বিচারের দাবিতে অভিষেক এই স্লোগান সেই পানিহাটি-আগরপাড়া এলাকাতে দাঁড়িয়েই চড়ালেন। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আরজি করের ঘটনায় অভিষেক চুপ ছিলেন। সে সময় উনি তো নিজের জিমে ব্যস্ত ছিলেন। উনি এই বক্তব্য এর মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সারা বিশ্ব আন্দোলন করলেও তৃণমূলের কিছু করতে পারবে না। বাংলার মানুষকে হিউমিলিয়েট করার চেষ্টা করলেন। চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।”

    মিথ্যা ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এই ঘটনার নিন্দা করেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি সাংসদ বলেন, “কপি ক্যাট। নকল করার চেষ্টা করছে।” প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। তিনি বলেন,“অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, পানিহাটির ব্যক্তি এসআইআর- আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর ডায়েরিতে লেখা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।” কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “যে কোনও মৃত্যু দুঃখের। যে ব্যক্তির নাম ২০০২ এর ভোটার তালিকায় রয়েছে, তাঁর চিন্তা থাকার কথা নয়। তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। ভুল বুঝিয়ে মিথ্য ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছে।”

  • Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শহরে! শীত আসতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন

    Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শহরে! শীত আসতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। ঘূর্ণিঝড় মন্থা (Cyclone Mantha) শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, সংশ্লিষ্ট নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। অর্থাৎ ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাবে। আর তার জন্যই বৃষ্টি হবে বাংলায়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। কমপক্ষে আগামী তিন দিন বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া জারি থাকবে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বহু জেলায়। কলকাতাতেও (Kolkata) জারি হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা।

    ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি গতির দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Office) জানিয়েছে, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েক দিন ঝড়-বৃষ্টি চলবে। বৃহস্পতিবারই জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। অর্থাৎ বলা যায়, পুজোর দিন কলকাতায় বৃষ্টি হতে পারে। মূলত কয়েকটি জেলায় তুমুল বৃষ্টি হবে। সেই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া,পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে কলকাতা ও শহরতলিগুলিতে। আর আগামিকাল অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর শুক্রবার বৃষ্টি হবে সব জেলাতেই। বইতে পারে দমকা ঝোড়ো বাতাস। ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি গতির দমকা হাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। একই রকমভাবে শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা বৃষ্টি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রঝড় ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। রবিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে।

    উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই বৃষ্টি

    দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পার্বত্য জেলাগুলিতে অতি ভারী বর্ষণ, অন্যান্য জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবারও আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে অনুমান। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপকূলের কাছে সাগরে ঘণ্টায় ৩৫–৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে, তাই ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    কলকাতায় কবে শীত

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী কয়েক দিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে, বৃষ্টিও হতে পারে। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকবে। যদিও এই পারদ পতনকে শীতের আগমন বার্তা বলা যাবে না , এমনই অভিমত হাওয়া অফিসের। জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে গেলেও এখনও নভেম্বর মাস পড়েনি। শহরে শীত আসতে বেশ কিছুদিন দেরি। নিম্নচাপ কাটলেই পারদ ফের চড়বে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। ফলে এখনই রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। হালকা শীতের আমেজ রয়েছে ভোরের দিকে। জেলায় জেলায় শীত আসার ইঙ্গিত মিললেও শীত পড়তে পড়তে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

  • SIR in Bengal: এসআইআর নিয়ে মনে নানা প্রশ্ন! বিএলও-দের সঙ্গে সরাসরি কথার সুযোগ, হেল্পলাইন নম্বর চালু কমিশনের

    SIR in Bengal: এসআইআর নিয়ে মনে নানা প্রশ্ন! বিএলও-দের সঙ্গে সরাসরি কথার সুযোগ, হেল্পলাইন নম্বর চালু কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR in Bengal) নিয়ে মানুষের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তাদের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নাগরিকরা ১৯৫০ (1950) এই ভোটার হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন। এই নম্বরের সাহায্যে বিএলও- দের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে। যাবতীয় প্রশ্ন করা যাবে তাঁদের। পাওয়া যাবে উত্তরও।

    নাগরিকদের সকল প্রশ্ন ও অভিযোগের দ্রুত সমাধান

    এসআইআর (SIR in Bengal) পর্ব মসৃণ ভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ‘ন্যাশনাল ভোটার হেল্পলাইন’ (এনভিএইচ) এবং দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জেলা পর্যায়ের হেল্পলাইন সক্রিয় করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য—নাগরিকদের সকল প্রশ্ন ও অভিযোগের দ্রুত সমাধান। কমিশন (Election Commission of India) সূত্রের খবর, ‘ন্যাশনাল কনট্যাক্ট সেন্টার’ (এনসিসি) হবে সমগ্র দেশের কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টোল-ফ্রি নম্বরে (১৮০০-১১-১৯৫০) নাগরিকেরা যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রশিক্ষিত কর্মীরা ভোটারদের ভোট সংক্রান্ত তথ্য ও সহযোগিতা প্রদান করবেন। প্রতিটি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জেলার জন্য আলাদা করে স্টেট কনট্যাক্ট সেন্টার (এসসিসি) ও ডিস্ট্রিক্ট কনট্যাক্ট সেন্টার (ডিসিসি) তৈরি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দৈনিক সরকারি দফতরের সময়সূচি মেনে সারা বছর এগুলো চালু থাকবে এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভাষায় পরিষেবা দেবে। ছুটির দিন ছাড়া বাকি সব দিনেই সারা বছর অফিস আওয়ার্সে কাজ করবে এইসব কনট্যাক্ট সেন্টার।

    সমস্ত অনুরোধের নিষ্পত্তি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে করতে হবে

    বিশেষ নিবিড় সমীক্ষাপর্ব (SIR in Bengal) সংক্রান্ত প্রতিটি অভিযোগ ও প্রশ্ন ‘ন্যাশনাল গ্রিভ্যান্স সার্ভিস পোর্টাল ২.০ (এমসিএসপি ২.০)-র মাধ্যমে ‘রেকর্ড ও ট্র্যাক’ (নথিভুক্ত ও চিহ্নিত) করা হবে। চালু হয়েছে ‘বুক আ-কল উইথ বিএলও’ সুবিধা— যার মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি তাঁদের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-র সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এটি ‘ইসিআইনেট’ প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। নাগরিকেরা ‘ইসিআইনেট অ্যাপ’ ব্যবহার করেও নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এবং সমস্ত অনুরোধের নিষ্পত্তি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিশ্চিত করতে সিইও, ডিইও এবং ইআরও-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পুরনো অভিযোগ জানানোর পদ্ধতিগুলো আগের মতোই চালু থাকবে বলে কমিশনের (Election Commission of India) তরফে জানানো হয়েছে। নাগরিকেরা ইমেলে অভিযোগ পাঠাতে পারবেন (complaints@eci.gov.in)।

    বিএলও-দের কড়া বার্তা কমিশনের

    আগামী ৪ নভেম্বর ২০২৫ থেকে রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) কাজে যোগ দেওয়ার সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে কাজে যোগ না-দিলে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কমিশনের। সাসপেন্ড করার মতো পদক্ষেপ করা হবে বলেও তারা জানিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে কাজে যোগ না-দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে খবর, কয়েকটি জেলায় বিএলও-রা এসআইআর প্রক্রিয়ায় এখনও অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা নানা বাহানা দিচ্ছেন। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (ডিইও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে বিএলও-দের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। সেইমতো মুর্শিদাবাদ-সহ কয়েকটি জেলায় বিএলও-দের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও এখনও পর্যন্ত বিএলও-দের নিয়ে মাথাব্যথা কমিশনের। রাজ্যের ৮০ হাজারের বেশি বুথে বিএলও নিয়োগ করা হলেও, কিছু জায়গায় পদ শূন্য রয়েছে। সেখানে নিয়োগ করা যাচ্ছে না। এসআইআর নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক তৈরি হতেই অনেকে আর কাজ করতে ইচ্ছুক নন। এর আগেও কাজ করতে না চাওয়ায় এক হাজারের বেশি বিএলও-কে শোকজ করেছিল কমিশন (Election Commission of India)। এখন নির্দেশে কাজ না হলে সরাসরি সাসপেন্ড করার দিকে যাচ্ছে কমিশন।

  • Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি টেকাতে তৃণমূলের হাতিয়ার সেই এনআরসি জুজু! পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তি এনআরসির ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। রাজ্যে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পানিহাটির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মিথ্যাচার করছে বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের একাংশেরও দাবি, অযথা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসক দল।

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ (Suvendu Adhikari)

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ খুলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যিনি মারা গিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। তিনি তখন ভোট দিয়েছেন। ফলে এসআইআর হলে তো তাঁর চিন্তার কিছু নেই। তাছাড়া, যে পরিবারের কথা বলা হচ্ছে, তারা তৃণমূল করে। মৃতের আত্মীয় বলতেও তেমন কেউ নেই। দেখা উচিত, সুইসাইড নোট কে লিখেছেন।” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা বলেছিলেন এসআইআর হতে দেব না, ঘেরাও করা হবে। বাস্তবে দেখা গেল, এসআইআর হচ্ছে এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নামও বাদ পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। মমতা কালীঘাটে বাটি নিয়ে বসবেন, ভাইপো যাবেন জেলে।”

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে নথি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “ফলতার ১৭৬ নম্বর পার্টে চাঁদপালা সন্তোষপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের ক্ষেত্রে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত দিব্যেন্দু সরকার ফলতা ব্লকের হরিণডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।” তাঁকে বিএলওর পদ থেকে সরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বিএলওদের বিহারের কথা মনে করাব। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় ৫২ জন এখনও জেলে রয়েছেন। ভাবতে পারেন ওখানে নীতীশ কুমারের পুলিশ বলে জেলে, এখানে কিছু হবে না। কিন্তু আপনাদের জেলে পাঠাতে আমরা সবরকম বন্দোবস্ত করব। তাই বিজেপি কিংবা অন্য কোনও (SIR) পার্টির কথা না শুনে সঠিকভাবে কাজ করুন, কেবল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণা করেছে এই রাজ্যে। দেশজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২টি রাজ্যে রীতিমতো কাজও শুরু হয়েগিয়েছ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা এসআইআর-এর বিরোধিতা করে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ‘দেখে নেবো। যেখানেই থাকেন খুঁজে বার করব।’ এবার অভিষেককে আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কাছের আমলাদের নিয়ে তালিকা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারিতেই হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন।” এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবশ্য সাফ কথা কোনও অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা যাবে না। পাশাপাশি কোনও বৈধ ভোটারের নামও তালিকা থেকে বাদ যাবে না।

    ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট বানিয়েছে (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হুগলির ভদ্রেশ্বরে দক্ষিণপাড়া সারদাপল্লিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এসআইআর নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বিরুদ্ধে নাম না করে তোপ দাগেন। আইপ্যাক ও ভাইপো বলে সম্বোধন করেন। শুভেন্দু বলেন, “আইপ্যাক ভাইপো আর ভাইপোর কাছে আইএএস-রা ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট (SIR) বানিয়েছে। তবে কোনও লাভ হবে না। কমিশনের নজরদারি কঠিন থাকবে। আমরাও কড়া ভাবে নজর রাখব। এসআইআর কেউ আটকাতে পারবে না, এসআইআর হলেই ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত হবে।”

    ভারতীয়দের কোনও চিন্তা নেই…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসআইআর প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা বলেছিলাম এসআইআর হবে। অনুপ্রবশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। যারা ভারতীয় নয়, তারা কেন ভারতে ভোট দেবে? এই তালিকায় কোনও ভারতীয়দের চিন্তা নেই সে যে দল করুক না কেন। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের কোনও চিন্তা নেই। একইভাবে ভারতীয় মুসলমানদেরও চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারতীয়দের জন্য কোনও ভয় নেই। ভাষা ও জাতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে আলাদা না হওয়ার কথা বলছি। পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা কমছে। হিন্দুরা নিজের নিজের ধর্মপালনে সবরকম ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বছরের পরম্পরাকে মানতে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম-উৎসব, পালা-পার্বণে এক অশুভশক্তি বিরাট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে ৩৩ শতাংশ হিন্দু ছিল। এখন তা কমে মাত্র ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ। ২০৩১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা হবে ৬৫ শতাংশে নেমে আসবে।”

    মা কালীকে উনি প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন…

    আবার একই দিনে দুর্গাপুরে স্বপ্ন উড়ান-এর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হাতে ত্রিশূল নিয়ে রণংদেহী মেজাজে তৃণমূলের অপশক্তির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “ঠিক ভাবে বাংলায় এসআইআর হলে অনেকেই প্রাক্তন হয়ে যাবে। মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন মমতা। আর ভাতা, ভিক্ষাতে তিনি চটকদারির রাজনীতি করেন। কারণ উনি জানেন, ওনার সঙ্গে সলিড ৩৫% ভোট রয়েছে। আরও ১০%-এর দিকে ভাতা ছুড়ে দেন। তাতে যা আসে। তারপর তো ছাপ্পা আছে। কিন্তু এসআইআর হলে কোনও কিছুই হবে না।”

    তবে বিহারে এসআইআর (SIR) ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই রাজ্যে যাতে জাল ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ যায় তা নিয়েই তৎপর কমিশন। মমতা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাজে বাধা দিলে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট হয় কিনা তাই এখন দেখার।

  • Khagen Murmu: হাসপাতাল থেকে বাড়ি, ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তার বলয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন

    Khagen Murmu: হাসপাতাল থেকে বাড়ি, ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তার বলয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরাকাটায় ত্রাণবিলি করতে গিয়ে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীতের আক্রমণে রক্তাক্ত হয়েছিলেন উত্তর মালদার বিজেপি (BJP) সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu)। গুরুতর অবস্থায় হাসপতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সোমবার রাতে শিলিগুড়ির নেওয়াটিয়া হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। শিলিগুড়ি থেকে সড়ক পথেই মালদার বাড়িতে ফেরেন তিনি। তবে চোখে দেখছেন ঝাপসা, চোয়াল এবং দাঁতে ভীষণ ব্যথা। কথা বলা বারণ। তরল খাবার খেতে হচ্ছে। চিকিৎসক আরও কিছুদিন রেস্টে থাকতে বলেছেন। তবে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে কিছুটা আরও সুস্থ হলে দিল্লি এইমসে যাবেন ডাক্তার দেখাতে।

    ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তা (Khagen Murmu)

    খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) স্ত্রী বলেন, “ডাক্তার বলেছেন দেড় মাস বিশ্রাম নিতে। সেই সঙ্গে কথা বলা বারণ।” এদিকে বিজেপি (BJP) সাংসদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কদমপুর বাঁধ রোডের বাড়িতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তবে তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আগে ছিল ২ জন রক্ষী এখন হয়েছে ১১ জন। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীদের অনুমতি ছাড়া কাউকেই ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে খগেনের পর দার্জিলিং-এর সাংসদ রাজু বিস্তার গাড়িও দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছিল। তিনিও নাম করে তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

    হত্যার চক্রান্ত?

    গত ৬ অক্টোবর বন্যা এবং ধস কবলিত জলপাইগুড়িতে মানুষকে ত্রাণদিতে গিয়ে মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন খগেন মুর্মু (Khagen Murmu)। দুষ্কৃতীদের আঘাতে মাথা ফেটে গিয়েছিল তাঁর। আবার সেই সঙ্গে মারে চোটে চোখে মুখে ব্যাপক আঘাত লেগেছিল। আঘাতে নাকের হাড় এবং চোখের নিচের হাড়ে বিরাট ক্ষতি হয়েছিল। ভাঙচুর করা হয়েছিল গাড়িও। এই ভাবে তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। হাতে বেশ পরিমাণে আঘাত পেয়েছিলেন। বিজেপির দাবি গোটা হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত এবং তৃণমূলের নেতারা খগেন-শঙ্করকে মেরে ফেলার বড় চক্রান্ত করেছিল।

    জঙ্গলের রাজত্ব

    তবে বিজেপি সাংসদ খগেন (Khagen Murmu) হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। আইসিইউতে ভর্তি থাকাকালীন নাগরাকাটার প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমরা ওখানে ত্রাণ দিতে যাই, এরপর রাস্ততেই দেওয়া হয় বাধা আমাদের। আমাদের বলা হয় আপনারা এখানে থেকে যান নয়তো খুব খারাপ হবে। এরপর ধাক্কা মারতে মারতে আমাদের এলাকা থেকে সারানো হয়েছে। আমরা কোনও রকম দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছি। দুষ্কৃতীরা গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করে। গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে দিয়েছে। গাড়িতে বড় বড় পাথর ছুড়ে মেরে ছিল। তিন-চার জায়গায় ফ্র্যাকাচার হয়।” মুখরক্ষা করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য হাসপাতালে খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছলেন। কিন্তু আহত বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে দেখতে যাননি। শঙ্কর অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁকে দেখতে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানতে চাইলে সরাসরি না করে দেন তিনি। তবে খগেন মমতাকে তোপ দেগে বলেন, “মমতার কাছে সবটাই ছোট ঘটনা। কোনও বড় ঘটনা ঘটেইনি। এই রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।”

    এলাকায় ভয়সৃষ্টি করাই প্রধান উদ্দেশ্য

    যদিও ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। রাজ্যের একজন নির্বাচিত সাংসদকে কীভাবে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করতে পারে। পুলিশ প্রশাসন কীভাবে কাজ করছে। একজন জনপ্রতিনিধির যদি সামাজিক নিরাপত্তা না থাকে তাহলে একজন সাধারণ মানুষের হাল কি হবে? প্রশাসন কেন আগে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি জোর দেয়নি। অপর দিকে যারা যারা এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বা নাম পাওয়া গিয়েছে পুলিশ তাঁদের ধরপাকড় পর্যন্ত করেনি। বিজেপির (BJP) স্পষ্ট অভিযোগ, তৃণমূল নিজেদের দুষ্কৃতীদের দ্বারা এই রকম হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে এবং পুলিশ যাতে অপরাধীদের না গ্রেফতার করে তারও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় শাসকদলের নেতারা। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন তাই বিজেপির সাধারণ কর্মী—সমর্থকদের মনে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতেই হামলার ঘটনা বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

  • SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ভোটকুশলী। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘কৌশল’ বেচে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জেতানোয় তাঁর নাকি (SIR) দারুন হাতযশ! আদতে বিহারের বাসিন্দা এই প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) ওরফে পিকে-কে ২০১৪ সালে বাংলায় ডেকে নিয়ে এসেছিলেন কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। উদ্দেশ্য ছিল, বাংলায় তৃণমূলকে ভোট-বৈতরণী পার করে দেওয়া। জনশ্রুতি এই যে, পিকের সংস্থার দাওয়াইয়ের জেরেই পর পর দু’বার ক্ষমতায় এসে টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে রয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘জন সুরাজ পার্টি’ নামে নিজে একটি দলও খুলেছেন পিকে। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গুচ্ছের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট-ময়দানে নেমেও পড়েছে তাঁর দল। এহেন পিকেই ফের একবার চলে এলেন খবরের শিরোনামে। না, রাতারাতি বিরাট কিছু করে ফেলেননি তিনি। তবে বাংলায় এসআইআরের ঢাকে কাঠি পড়তেই ‘মুখোশ’ খুলে পড়েছে এই ভোটকুশলীর।

    বাংলায় এসআইআর (SIR)

    ফেরা যাক খবরে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে এসআইআর করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেবল এ রাজ্যেই নয়, গোটা দেশেই, যে প্রক্রিয়ার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে পড়শি রাজ্য বিহারে। সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। রাত ১২টায় ফ্রিজ করে দেওয়া হয় ভোটার তালিকা। তার পরেই দেখা গেল, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়েছে কেউটে! জানা গেল, বাংলা এবং বিহার দু’রাজ্যেরই ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে ভোটকুশলীর নাম! পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা অনুযায়ী, তিনি কলকাতার বাসিন্দা। ঠিকানা ১২১, কালীঘাট রোড। এই ঠিকানাটি আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষ কমান্ডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এলাকার মধ্যে পড়ে। প্রশান্ত কিশোরের নাম রয়েছে বিহারের করহাগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়ও। ওই রাজ্যে তাঁর ভোটকেন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোনার। এই গ্রামই প্রশান্ত কিশোরের পৈতৃক গ্রাম।

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার পিকে

    অর্থাৎ একই প্রশান্ত কিশোর একই সঙ্গে দুই রাজ্যের (SIR) ভোটার। একটি রাজ্যে লড়ছে তাঁর দল, আর একটি রাজ্যে তৃণমূলকে জেতাতে মরিয়া তাঁরই হাতে গড়া সংস্থা আই-প্যাক। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানতে চেয়েছে, প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) কি নাম কাটার জন্য আবেদন করেছিলেন? বিষয়টি ইচ্ছাকৃত কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে কমিশন। উল্লেখ্য, কোনও একজন ভোটারের একই সঙ্গে দুই জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ম বহির্ভূত।

    পিকের টিমের বক্তব্য

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পিকে স্বয়ং। তবে তাঁর টিমের এক সদস্য বলেন, “বঙ্গের ভোট শেষ হওয়ার পরই তিনি ভোটার হন বিহারের। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।” তবে সেই আবেদন বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয় (SIR)। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিনোদ সিং গুঞ্জিয়াল।

    কী বলছে আইন

    প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রাখতে পারেন না। ১৮ নম্বর ধারায়ও বলা হয়েছে, একই কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় একাধিকবার নাম তোলা আইন বিরুদ্ধ। তবে, কোনও ভোটার বাসস্থান পরিবর্তন করলে তিনি ফর্ম ৮ পূরণ করে নয়া ঠিকানার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম স্থানান্তর করতে পারেন (SIR)। নির্বাচন কমিশনের মতে, দেশে একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা নতুন কিছু নয় (Prashant Kishor)। এই কারণেই নির্বাচন কমিশন চালু করেছে এসআইআর, যার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে বিহারে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৬৮.৬৬ লাখ নাম। এর মধ্যে ৭ লাখ ভোটারের নামই ছিল একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “জন সুরাজের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোরের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার — দুই জায়গায়ই… আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাহুল গান্ধীর সব সহযোগীরাই ‘ভোট চুরি’তে জড়িত। এই কপটতা বিস্ময়কর।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কলকাতার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১২১, কালীঘাট রোড আমাদের দলীয় কার্যালয়। প্রশান্ত কিশোর তখন এখানে কাজ করতেন এবং প্রায়ই থাকতেন। তবে তিনি এখান থেকে ভোটার হিসেবে নাম তুলেছেন কিনা, তা জানি না (SIR)।” রাজনৈতিক মহলের মতে, কাজরি না জানলেও, বিষয়টি নিশ্চিত জানতেন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জানতেন পিকের টিমের সদস্যরা। তাছাড়া, পার্টি অফিসের ঠিকানা (Prashant Kishor) দেখিয়ে যে কোনও ‘গৃহস্থে’র নাম (পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী এবং পার্টি অফিসই যাঁর ঘর, তাঁদের কথা অবশ্য আলাদা) ভোটার তালিকায় তোলা যায়, তা দেখিয়ে দিলেন (SIR) ভোটকুশলী স্বয়ং।

    এটাও কি ভোটকৌশলেরই অঙ্গ ‘SIR’?

  • SIR: বাংলায় শুরু এসআইআর, জেনে নিন ভোটার তালিকায় নাম রাখতে গেলে যা করতে হবে

    SIR: বাংলায় শুরু এসআইআর, জেনে নিন ভোটার তালিকায় নাম রাখতে গেলে যা করতে হবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শুরু গিয়েছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সংক্ষেপে এসআইআরের (SIR) কাজ। এই এসআইআরের চূড়ান্ত তালিকা ধরেই আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবারই বিকেলে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হবে ২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকে। এর পরেই উঠছে নানা প্রশ্ন। এসআইআর হলে কী কী নথির প্রয়োজন? কাদের নাম তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে? কারাই বা অবৈধ ভোটার?

    ‘এনুমারেশন’ ফর্ম (SIR)

    কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআরের জন্য রাজ্যের প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে পৌঁছে যাবে ‘এনুমারেশন’ ফর্ম। ফর্ম পৌঁছে দেবেন বুথ লেভেল অফিসার, সংক্ষেপে বিএলওরা। এই ফর্মের সঙ্গেই কমিশনের বেঁধে দেওয়া নথি জমা দিতে হবে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের কোনও নথিই দিতে হবে না। ওই তালিকায় নাম থাকলেই এসআইআরে তাঁদের নাম উঠে যাবে। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি এবং ২০০২ সালের তালিকায় বাবা অথবা মায়ের নাম রয়েছে, তা প্রমাণ করতে পারলেই নাম উঠবে নয়া তালিকায়।

    যে সব নথির প্রয়োজন

    কমিশন নির্দিষ্ট যে ১১টি নথির প্রয়োজন, সেগুলি হল কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন কিংবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি, জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র, ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র, কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার এবং জমি কিংবা বাড়ির দলিল। এর বাইরেও এমন কোনও নথি যা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে, তাও গ্রহণ করা হবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আধারকার্ড দেখানো গেলেও, তাকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ধরবে না কমিশন (SIR)। অর্থাৎ, আধারের পাশাপাশি উপরের ১১টির মধ্যে যে কোনও একটি দেখাতে হবে। এখনকার ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য দু’টি করে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে। এই ফর্মে ভোটারের এপিক (West Bengal) নম্বর, নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ-সহ ৯০ শতাংশ তথ্য ছাপা থাকবে। এই সব ফর্ম ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন বিএলওরা। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ একটি দিয়ে দিতে হবে বিএলওকে, অন্যটি থাকবে ভোটারের কাছে।

    নাম বাদ যাবে

    প্রশ্ন হল, কাদের নাম বাদ যাবে? মৃত এবং ভুতুড়ে ভোটারের নাম বাদ যাবে প্রথমেই। ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে পরিবারের কারও নাম নেই এবং সংশ্লিষ্ট ভোটার ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ, তাঁর নাম বাদ যেতে পারে। যাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন কিংবা যাঁদের নাম দু’টি এপিক নম্বরে দু’জায়গায় রয়েছে, তাঁদের নাম এক জায়গা থেকে বাদ পড়বে। কারচুপি করে তালিকায় নাম তোলা ব্যক্তিরা ‘অবৈধ ভোটার’। ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারলে বাদ পড়বে এদের নামও।

    নতুন করে নাম তোলা

    প্রশ্ন হল, নতুন করে নাম তোলা যাবে কিনা? নতুন নাম অবশ্যই তোলা যাবে। যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাঁদের নতুন করে ওই তালিকায় নাম তোলাতে হবে। এঁরা অবশ্য এনুমারেশন ফর্ম পাবেন না। কমিশনের ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে নথিভুক্ত করতে (West Bengal) হবে নাম। কমিশনের আগের বেঁধে দেওয়া নিয়মেই তোলা যাবে নতুন করে নাম (SIR)।

    ভোটার লিস্ট

    প্রশ্ন হল, ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট কোথায় মিলবে? সিইও দফতরের ওয়েবসাইটে ওই লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সময়কার বিধানসভা এলাকা অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার সেখান থেকেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র মিলিয়ে নাম রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে পারবেন ভোটাররা। ভোটাররা প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সাহায্য নিতে পারবেন।

    প্রশিক্ষণের কাজ শুরু 

    মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণের কাজ, চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ৪ নভেম্বর থেকে পরবর্তী এক মাস ধরে চলবে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া-নেওয়ার কাজ। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। কোনও সমস্যা হলে অভিযোগ জানানো যাবে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই পর্বেই শুরু হয়ে যাবে বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ। এই কাজ শুরু হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে, চলবে নতুন বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (SIR)।

    ম্যাপিংয়ের কাজ

    বর্তমানে বাংলায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। ২০০২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫৮ লাখ। অর্থাৎ ভোটার (West Bengal) বেড়েছে তিন কোটির কিছু বেশি। এর ওপর ভিত্তি করেই এসআইআর করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২০০২ সালের সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই তালিকায়ই যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা ম্যাপিংয়ের আওতায় আসছেন। এই অর্থ হল, এই ভোটারদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যে ভারতীয়, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত কমিশন। তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই (SIR)।

    শেষবার এসআইআর

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে, বাম জমানায়। সেবারের সংশোধিত তালিকার (SIR) সঙ্গে রাজ্যের ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই এসআইআর করেই সব ভোটারের নাম নতুনভাবে নথিভুক্ত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতেই পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য তথা দেশের ভোটার তালিকায় কোনও ভুয়ো ভোটার বা ভুতুড়ে ভোটার বা একই নামের ভোটার দু’জায়গায় রয়েছেন কিনা কিংবা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন কিনা – এসবই সংশোধন করার এক বিশেষ প্রক্রিয়াই হল এসআইআর।

    এসআইআরে অংশ না নিলে?

    প্রশ্ন হল, এসআইআরে অংশ না নিলে কী সমস্যা হতে পারে? জানা গিয়েছে, এসআইআর হলে ২০২৬ সালে যে নয়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন, তাতে নাম থাকবে না। স্বাভাবিকভাবেই তিনি অংশ নিতে পারবেন না ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তাতে নাম রাখতে গেলে অংশ নিতেই হবে এসআইআর প্রক্রিয়ায় (SIR)।

    বাদ পড়তে পারে ১ কোটি নাম

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে বাদ পড়তে পারে প্রায় এক কোটি নাম। যদিও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য কমিশনের কাছে নেই। তবে কমিশনের আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, নয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে কমবেশ এক কোটি নাম। তাঁদের যুক্তি, ২০০২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বছরের হিসেব ধরলে মৃত এবং অন্যত্র চলে গিয়েছেন, এমন ভোটারের সংখ্যা অন্তত ৭৫ লাখ। এর সঙ্গে গত ২৩ বছরে অবৈধ ভোটারের সংখ্যাটা যোগ করলে দেখা যাবে বাদের খাতায় (West Bengal) নামের গণ্ডী ছাড়িয়েছে কোটির ঘর। যদিও এটা নিছকই অনুমান মাত্র। কমিশনের দেওয়া তথ্য নয়।

    কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও নিয়োগ নিয়ে কিছু অসুবিধা থাকলেও, বাকি সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সিইও মনোজ আগরওয়াল (SIR)।

  • SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে এসআইআর (SIR)। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ তথা তৃণমূলের আপত্তি নিয়ে এদিন কমিশনের (Election Commission) সাংবাদিক বৈঠকেই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এখনই কোনও চাপানউতোর বা বিতর্কে ঢুকতে চাননি। শুধু আইনের একটি ধারার কথা মনে করিয়ে দেন।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য (SIR)

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে প্রশ্ন নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই – ভারতের সংবিধানের ৩২৪ (৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নির্বাচন কমিশনারের কাছে সরবরাহ করতে বাধ্য। এই কর্মীরা নির্বাচন পরিচালনা, ভোটার তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকেন। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের। আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই দায়বদ্ধতার কথা জানে, এবং তা পালন করবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এসআইআর প্রক্রিয়া বাংলায় শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে আপত্তি জানাচ্ছে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল। জোড়াফুলের সাংসদদের একাংশ এবং তৃণমূলের কিছু নেতাও এসআইআর নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত। বিজেপির প্রভাবে কোনওভাবে প্রভাবিত হয়ে যদি কোনও বৈধ ভোটারকে বাদ দিতে চান, তখন সাংবিধানিকভাবে তার প্রতিবাদ হবে।”

    কুণালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে (SIR) বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল এখন যে কথা বলছে, তাতে একটা কথাই বলতে পারি, এসআইআর নিয়েও পাল্টি খেল তৃণমূল। গতকাল পর্যন্ত তৃণমূলের অবস্থান ছিল, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর করতে দেব না। আর আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের ঘোষণার পর তৃণমূল বলছে, এসআইআর নিয়ে বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। তার মানে আইন মেনে এসআইআরে অংশ নিচ্ছে। বিজেপি কোনওদিন এসআইআর নিয়ে প্ররোচনা দেয়নি (Election Commission)। বিজেপি বলেছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, অবৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে (SIR)।”

LinkedIn
Share