Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত গঙ্গাসাগরের সাধু-সন্ন্যাসীরা

    South 24 Parganas: রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত গঙ্গাসাগরের সাধু-সন্ন্যাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি-এই চার যুগের মধ্যে দ্বাপর যুগের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান কুরুক্ষেত্র। একই ভাবে কলি যুগের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগর। এই গঙ্গাসাগরেই গঙ্গা এবং বঙ্গোপসাগরের মিলন সঙ্গমস্থল পুণ্য তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিনের পরই মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ন্যাসীরা এসে ভিড় জমাবেন। লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সমাগম হবে এই তীর্থধামে। এবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের নিমন্ত্রণপত্র পেয়ে সাধু সন্ন্যাসীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    কী বলেন গঙ্গাসাগরের সন্ন্যাসীরা (South 24 Parganas)?

    রাম মন্দিরের নিমন্ত্রণ পেয়ে গঙ্গাসাগরের (South 24 Parganas) সন্ন্যাসী কৃষ্ণানন্দ গিরি বলেন, “রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে, এটা আমাদের কাছে খুশির খবর। হিন্দু সমাজের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই মন্দির দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফসল। অনেক সাধু, সন্ন্যাসী আগেও মন্দিরের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। একটা সময় ‘কর সেবকরা’ মন্দির নির্মাণের জন্য ইট নিয়ে গিয়েছিলেন। শিলাপুজো করে অনেক আগেই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা করা হয়েছিল। সময় বদলে যাবে, মানুষ বদলে গেলেও অযোধ্যা শ্রীরামের অযোধ্যা হিসাবেই থাকবে। ঈশ্বরের বিগ্রহ নির্মাণের খবরে আমরা অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন, এটা খুব আনন্দের কথা। তবে সামনেই মেলা, ফলে মেলার ব্যস্ততা রয়েছে। আমাদের নিমন্ত্রণপত্র এবং প্রসাদী চাল দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।”

    আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রাম মন্দিরের

    ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু-সন্ন্যাসীদের হাতে এসে পৌঁছাল মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র। আমন্ত্রণপত্র পেয়ে খুশি গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু-সন্ন্যাসীরা। গঙ্গাসাগরকে নিয়ে যেমন রয়েছে হিন্দুদের একাধিক পৌরাণিক কাহিনী, ঠিক তেমনি অন্যতম পীঠস্থান অযোধ্যার শ্রীরামকে ঘিরে রয়েছে ঐতিহাসিক নানান কাহিনী। হিন্দু ধর্ম চেতনায় একে অপরের সাথে যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। সমানেই গঙ্গাসাগর (South 24 Parganas) মেলা। কিন্তু তাঁরা সেই অযোধ্যায় গিয়ে পৌঁছাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে অনেকটাই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে এমন আমন্ত্রণপত্র তাঁদের  কাছে অনেকটাই গর্বের বলে জানাচ্ছেন সাধু-সন্ন্যাসীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: এই বোধহয় উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তায় টোটো উল্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত্যু শিশুর

    Howrah: এই বোধহয় উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তায় টোটো উল্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত্যু শিশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে ভাঙা রাস্তা, অন্যদিকে টোটোর দৌরাত্ম্য। এই দুইয়ের জেরে মাঝেমধ্যেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটছে হাওড়া শহরে। প্রায় প্রতিদিনই জখম হচ্ছেন মানুষ। এবার স্কুল থেকে ফেরার পথে টোটো উল্টে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। ওই টোটোতে চেপেই বাড়ি ফিরছিল বছর তিনেকের রূপক মালিক। টোটোটি চালাচ্ছিলেন তার দাদু গণেশ। হাওড়া পুরসভার (Howrah) ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাঁসখালি পোলের কাছে হরেকৃষ্ণ নগরে টোটোটি যখন ভাঙা রাস্তার উপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় সেটি লাফাতে থাকে এবং উল্টে যায়। টোটো থেকে পড়ে জখম হয় ওই শিশুটি। তার মাথায় চোট লাগে। শিশুর দাদুর পায়ের হাড় ভেঙে যায়। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করা হলেও শেষ পর্যন্ত শিশুটির মৃত্যু হয়। 

    শোকাচ্ছন্ন পরিবার (Howrah)

    এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রূপক স্থানীয় একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়াশোনা করত। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল থেকে টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে আসছিলেন দাদু গণেশ। গনেশবাবু জানান, রাস্তা খারাপ থাকায় টোটো উল্টে যায়। গুরুতর জখম হন দু’জনেই। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা শিশু-সহ তার দাদুকে হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয়। গণেশবাবু ওই হাসপাতালে (Howrah) চিকিৎসাধীন। শিশুর মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন পরিবার। তারা রাস্তার বেহাল দশাকে দুষছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির মাথায় হ্যামারেজ হয়েছিল। তার জেরেই মৃত্যু।

    টোটোর দৌরাত্ম্য কমেনি (Howrah)

    এদিকে হাওড়া শহরজুড়ে যত্রতত্র টোটোর দৌরাত্ম্য কমাতে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনুমোদনহীন রাস্তায় এবং জাতীয় সড়কে বেপরোয়া টোটোর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে কয়েক শত টোটো আটক করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। তারপরেও কমানো যায়নি টোটোর দৌরাত্ম্য। অন্যদিকে তিন বছরের এই শিশুর মৃত্যুর জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ভাঙা রাস্তাকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, হাঁসখালি পোল সংলগ্ন  হরেকৃষ্ণ নগরের এই সিমেন্টের রাস্তা কয়েক বছর আগেই ভেঙে চৌচির হয়ে যায়। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। বাসিন্দারা হাওড়া (Howrah) পুরসভাকে বারবার জানালেও রাস্তা মেরামত করা হয়নি। মাঝেমধ্যেই এই রাস্তায় টোটো উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। এদিনও টোটো উল্টে গিয়েই ওই শিশুর মৃত্যু হয়।

    কী অভিযোগ বাসিন্দাদের? (Howrah)

    স্থানীয় বাসিন্দা সুজাতা সাধুখাঁ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার এই বেহাল অবস্থা। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই বড় বড় গর্তে জল জমে থাকায় দুর্ঘটনা আরও বাড়ে। পাইপলাইন তৈরি বা অন্যান্য কাজে মাঝেমধ্যে রাস্তা খোঁড়া হয়। কিন্তু তারপর সেই রাস্তার মেরামত করা হয় না। ওই অবস্থাতেই পড়ে থাকে। ফলে সেই ভাঙা রাস্তা দিয়ে প্রাণ হাতে তাঁদের প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সুজাতা অধিকারী বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে একজন শিশু চলে গেল। এটা খুবই খারাপ লাগছে। টোটো উল্টে যাওয়ার পরেই শিশুটির মাথায় চোট লেগে। মাথা ফেটে রক্ত বেরতে থাকে। সেই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। আর এক বাসিন্দা গোপালচন্দ্র বসু বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তাটি (Howrah) ভাঙাচোরা, মেরামতির কাজও শুরু হয়েছে একদিকে। অন্যদিকে যে অংশটি বেশি ভাঙা, সেখান দিয়েই এদিন টোটো যেতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

    সাফাই পুর-প্রশাসকের

    হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অনেক সময় জরুরি কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়। এক্ষেত্রে কী হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তিনি বলেন, শিশুটির মৃত্যু খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তবে ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার পক্ষ থেকে বেশ কিছু রাস্তা ইতিমধ্যেই মেরামত করা হয়েছে। এই রাস্তাটি কী অবস্থায় ছিল, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং পুরসভার পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: লোকসভার আগে বিজেপির প্রচার শুরু, জেলায় ঘুরবে “মোদি গ্যারান্টি ভ্যান”

    Malda: লোকসভার আগে বিজেপির প্রচার শুরু, জেলায় ঘুরবে “মোদি গ্যারান্টি ভ্যান”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভার ভোট। ময়দানে বিজেপি নেমে পড়েছে। ভোটারদের মন জয় করতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধার কথা প্রচার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। এবার মালদায় (Malda) লোকসভা ভোটের আগে তাই সাধারণের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের প্রচার তুলে ধরতে উদ্যোগী বিজেপি। প্রতিটি লোকসভায় ঘুরবে ট্যাবলো। যার নাম দেওয়া হয়েছে “মোদি গ্যারান্টি ভ্যান”। আজ শুক্রবার মালদহ উত্তরে এই ট্যাবলোর সূচনা করেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব।

    ট্যাবলোয় পাওয়া যাবে আবেদনপত্র (Malda)

    আগামী এক মাসেরও বেশি সময় মালদার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল এবং শহরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করা হবে। একই সঙ্গে প্রচার চালানো হবে এই গ্যারান্টি ভ্যান থেকে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদনপত্র পাওয়া যাবে এই প্রচার ভ্যানেই। এর ফলে সাধারণ বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।

    কী বললেন খগেন মুর্মু?

    মালদা উত্তর লোকসভার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “এই গাড়ি হল মোদি গ্যারান্টি ভ্যান। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখে যা বলেন, বাস্তবে তাই করে দেখান। গত নয় বছরে কী কী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সাধারণ মানুষের কাছে কীভাবে এই সুযোগ পৌঁছাবে, সেই কথা এই গাড়িতে প্রচার করা হবে। দেশের পিছিয়ে থাকা দলিত সাধারণ মানুষ কীভাবে উন্নয়নের পথে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সেই কথাও এলাকায় এলাকায় ঘুরে প্রচার করা হবে। স্বনির্ভর ভারত, আত্মনির্ভর ভারত গড়তে গেলে এই মোদির গ্যারান্টি একান্ত প্রয়োজন। যদি কেউ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তাহলে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। আজ মালদায় দুটি গাড়ি এসেছে। আগামীতে আরও গাড়ি আসবে। সারা দেশ জুড়ে ২০০০ এর বেশি গাড়ি মোদির গ্যারান্টি নিয়ে প্রচার করছে। নয় বছরের সরকারের কাজে প্রকল্প এখনও যাঁরা জানেন না, তাঁদের কাছে পৌঁছানোই এই প্রচারের একমাত্র লক্ষ্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Toy Train: এক মাসে পাঁচ বার! দার্জিলিঙে ফের লাইনচ্যুত টয় ট্রেন, আতঙ্কে পর্যটকরা

    Toy Train: এক মাসে পাঁচ বার! দার্জিলিঙে ফের লাইনচ্যুত টয় ট্রেন, আতঙ্কে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল হেরিটেজ টয় ট্রেন (Toy Train)। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনের পর ফের বৃহস্পতিবার। এদিন দার্জিলিং থেকে ঘুমে যাওয়ার পথে টয় ট্রেনের জয় রাইডের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। কেউ হতাহত না হলেও দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা। এক মাসের মধ্যে পাঁচবার টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় বিপাকে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল ( ডিএইচার)।

    ঠিক কী হয়েছিল? (Toy Train)

    বৃহস্পতিবার দুপুরে দার্জিলিং থেকে ৫৯ জন যাত্রী নিয়ে টয় ট্রেনের একটি জয় রাইড ঘুমের উদ্দেশে যাত্রা করে। বেলা দুটো নাগাদ ঘুম স্টেশনের কাছে মেরি ভিলার কাকঝোরায় হঠাৎই ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। ঝাঁকুনিতে আতঙ্কে পর্যটকরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ট্রেনটিকে লাইনে তুলে ফের চালানো হয়েছে বলে জানান ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। যাত্রীদের সকলেই সেই ট্রেনে (Toy Train) আবার ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিরক্তি প্রকাশ করে বেশ কিছু পর্যটক সড়ক পথে দার্জিলিং ফিরে যান।

    পরপর দুর্ঘটনায় পর্যটকদের বিরক্তি ও ভীতি (Toy Train)

    ভরা পর্যটন মরশুমে পর পর টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় দেশ-বিদেশের পর্যটরা হতাশ। ঘুরতে এসে এই ধরনের ঘটনায় টয় ট্রেন নিয়ে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, ভীতিও বাড়ছে। কেননা এক মাসের মধ্যে পাঁচবার এই ধরনের ঘটনা ঘটল। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে একটি জয় রাইড দার্জিলিং স্টেশন থেকে রওনা হওয়ার ১০ মিনিট বাদে লাইনচ্যুত হয়। তার আগে ১৫ ডিসেম্বর দার্জিলিংয়ে পর্যটক ঠাসা টয় ট্রেনের একটি জয় রাইডের ইঞ্জিন লাইন থেকে বেরিয়ে যায়। তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে যাত্রী ঠাসা টয় ট্রেন রংটংয়ের কাছে ইঞ্জিন বিভ্রাটে থমকে পড়ে। সেই ট্রেন আর চালানো যায়নি সেদিন। গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে কার্শিয়াংয়ের কাছে লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেনের (Toy Train) একটি লাইট ইঞ্জিন। তবে এতে কোনও যাত্রী ছিল না।

    ইউনেস্কোর সতর্কবার্তায় বিড়ম্বনা (Toy Train)

    আর এর মধ্যেই রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ডিএইচআরকে সতর্ক করেছে ইউনেস্কো। যা ডিএইচআর কর্তাদের বিড়ম্বনায় ফেলেছে। পরপর দুর্ঘটনার মাঝে ইউনেস্কোর সতর্কবার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইউনেস্ক হেরিটেজ টয় ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ সহ দার্জিলিং এবং ঘুম স্টেশন সংস্কারের কাজ নিয়ে ডিএইচআরকে সতর্ক করেছে। যেভাবে কাজ চলছে তাতে ইউনেস্কো সন্তুষ্ট নয়।

    কী বলছেন রেলকর্তারা?

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ছোট ট্রেন (Toy Train), চাকাও ছোট। মাঝে মধ্যে এধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। তবে প্রতিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে। ইউনেস্কোর পরামর্শ মতোই আমরা কাজ করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিরোধিতার মাশুল! ভোজালি দিয়ে বিজেপি কর্মীকে খুন করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা

    Nadia: বিরোধিতার মাশুল! ভোজালি দিয়ে বিজেপি কর্মীকে খুন করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীকে ভোজালি দিয়ে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার পুড়াগাছা এলাকায়। মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম নিমাই বাগ, বয়স আনুমানিক ৫৯ বছর। জানা গিয়েছে, ভীমপুর থানার আসাননগর পুরাগাছা এলাকার বাসিন্দা নিমাই বাগ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও বিজেপি করার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হত। যেহেতু ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিমাই বাগের সুসম্পর্ক ছিল, সেই কারণে তৃণমূলের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গতকাল রাতে তিনজন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ রাস্তায় তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তাঁঁর পরিবারের মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ভীমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপরে নিমাই বাগের মৃতদে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। আজ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে ওই এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।

    অভিযুক্তদের গ্রেফতার চান মেয়ে (Nadia)

    এ বিষয়ে মৃত নিমাই বাগের মেয়ে কাজল বাগ (Nadia) বলেন, আমার বাবাকে ভোজলি দিয়ে খুন করেছে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী পরেশ সাঁতরা। বিজেপি করার কারণে এর আগেও তারা আমার বাবাকে হুমকি দিয়েছিল। আমি চাই অবিলম্বে অভিযুক্ত গ্রেফতার হোক এবং আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন।

    আন্দোলনের হুমকি বিজেপির (Nadia)

    অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুরাগাছা পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান (Nadia) অশোক বিশ্বাস। ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামিকালের মধ্যে যদি অভিযুক্ত গ্রেফতার না হয়, তাহলে আমরা বড়সড় আন্দোলনের নামব। পাশাপাশি তিনি বলেন, শুধুমাত্র পোড়াগাছার ঘটনা নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল বুঝতে পেরেছে তাদের আর কোনও জায়গা নেই। সেই কারণেই বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। মানুষ পুলিশের কাছে গিয়েও রেহাই পাচ্ছে না। তার কারণ পুলিশ তৃণমূলের দলদাস। আমরা বহুবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এবার প্রয়োজনে রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North Dinajpur: “অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!” মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    North Dinajpur: “অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!” মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: :”হি ইজ এ ননসেন্স”, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত কুণাল ঘোষকে ইমিডিয়েট স্যাক করে দেওয়া। তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ ইস্যুতে কুণাল ঘোষের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে এই মন্তব্য করলেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (North Dinajpur)

    বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ইসলামপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ খোলেন দাপুটে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রবীণদের ছাড়া বাংলা কেন, কোনও রাজ্য বা ভারতবর্ষ চলবে না। প্রবীণদের যে জ্ঞান-বুদ্ধি আছে, তাঁরা তা দেবেন। প্রবীণদের বাদ দিয়ে দেশ চলে নাকি? কোনও রাজ্য চলে? ভারত চলবে? এইজন্য এই লোকটা যে নিজের স্বার্থের জন্য কথা বলছেন, আমার মনে হয় মমতার উচিত এই লোকটাকে সরিয়ে দেওয়া। কারণ এদের বক্তব্যে প্রবীণ সম্মানীয় নেতারা কষ্ট পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, “নবীনদের হাতে দেওয়া মানে ‘বাঁদরের হাতে নারকেল দেওয়া।’ চালাতে পারবে নাকি তারা? দেশের জন্য অনেক ত্যাগ দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। অন্য দলে অথবা এই দলেও কোনও যোগ্য ব্যক্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন করিম চৌধুরী?

    এমনকী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে, এ বাচ্চা আছে, এ বালক আছে। একে আপনি সঙ্গে রাখেন। কিন্তু, তাঁকে সব ক্ষমতা দেবেন না। এ বাচ্চা আছে, নাদান আছে। ‘নাদান, বাচ্চা, নাবালক’কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাপতি করে দিয়েছেন। আস্তে আস্তে ট্রেনিং পাবে, তারপর উঠবে। এখন ট্রেনিং পাওয়ার আগেই যদি ও উঠে যেতে চায়, এটা অসম্ভব। অভিষেককে বলব, ধৈর্য ধরো। ধৈর্য রাখো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Kamarhati: তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউট। তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি (Kamarhati) এলাকায়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূলকর্মীর নাম আসিফ ওরফে কাল্লু। তাঁর হাতে ও পা গুলি লেগেছে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের খাসতালুকে দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা জানা গিয়েছে, আসিফ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে তিনি প্রথম সরব হয়েছিলেন। লিফলেট করে সচেতন করেছিলেন। আর দালাল চক্রের সঙ্গে তৃণমূলের এক কর্মী জড়িত বলে তিনি প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে কিছুদিন আগে কামারহাটির (Kamarhati) রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। এবার সেই বিদ্রোহী তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। জানা গিয়েছে, এদিন কামারহাটির ষষ্ঠীতলা এলাকার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূলকর্মী। বাইকে করে ৪ দুষ্কৃতী তাঁকে পিছন থেকে ধাওয়া করে। পর পর চারটি গুলি চালায়। দুটি গুলি গিয়ে লাগে কাল্লুর শরীরে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সাগরদত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কী কারণে গুলি তা এখনও জানা যায়নি। এলাকায় কাল্লু সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসাবে পরিচিত। রাজনৈতিক কোনও কারণেই কাল্লুকে গুলি করা হল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুলি চালনার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে ওই এলাকায়।

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী কী বললেন?

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাই, এই হামলা। এদিন আচমকা পটকা ফাটার মতো আওয়াজ শুনতে পাই। প্রথমে কিছু বুঝতে পারিনি। পরে, রাস্তায় বেরিয়ে দেখি, আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমার স্বামীকে যে বা বা যারা খুন করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর আফসানা খাতুন বলেন, গুড্ডুদের বন্ধু কাল্লু। ওরা তোলাবাজি করে। আমি বাধা দিয়েছিলাম। আমি মানুষের পাশে রয়েছি। কিন্তু, তোলাবাজি করতে দেব না কাউকেই। রিঙ্কুয়ার বন্ধু কাল্লু। ওই তোলাবাজরাই আমাদের দল খেয়ে ফেলছে। আর তোলাবাজরা কোনও দলের হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: দলেরই নেত্রীকে ‘ফুলন দেবী’ বলার মাশুল, তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর

    Hooghly: দলেরই নেত্রীকে ‘ফুলন দেবী’ বলার মাশুল, তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে তৃণমূলের হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে জেলা পরিষদ সদস্য রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব কার্যত সামনে চলে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রুনা খাতুনকে তৃণমূল বিধায়ক ফুলন দেবী বলে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। তারপর বিরোধ কার্যত সামনে চলে আসে।

    বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর (Hooghly)

    দলীয় নেত্রী রুনা খাতুনের উদ্দেশে মনোরঞ্জনবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, বলাগড়ের ফুলন দেবী! যে কুড়ি-পঁচিশজন সার্ফ শুটার সঙ্গে নিয়ে ঘোরে, যে আমাকে হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে মহিপালপুরে জনসভা করে মাটিতে পুঁতে দেবে বলেছেন, হয় সে আমাকে সত্যি সত্যিই পুঁতে দেবে, আর তা না হলে আমি তাকে তার রাজনৈতিক জীবন থেকে রিটায়ার করিয়ে দেব। দেখব, তাঁর কলকাতার ‘বাবু’ তাকে কীভাবে বাঁচায়! প্রয়োজনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যাব। তৃণমূল বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। রাতেই তৃণমূল বিধায়কের জিরাটের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। কাদা লেপে দেওয়া হয়। এমনকী বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মারধরও করা হয়। রুনা খাতুনের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে বিধায়ক অনুগামীদের অভিযোগ।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুন

    হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুন বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যান। টাকাপয়সা লাগলে আমি দেব। আমি একজন শিক্ষিকা। ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে গিয়ে বিধায়ক এত নীচে নেমে যাবেন তা ভাবতে পারিনি। আমাকে কিছু বলতে বাকি রাখেননি। অথচ আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। আমি ও পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত। নিজেই লোক পাঠিয়ে নিজের অফিস ভেঙে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তাই, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হলাম।

    ক্ষমা চাইলেন বিধায়ক

    কুরুচিকর ভাষা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে এবার বিধায়ক ক্ষমা চাইলেন। বিধায়ক মনোরঞ্জনবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট তুলে নেন। এরপর বিধায়ক বলেন, এমনটা লেখা আমার উচিত হয়নি। ভুলে যাওয়া উচিৎ হয়নি আমি একজন লেখক। ওদের মতো নিকৃষ্ট জীব নই। তাই, আমার পাঠক, রাজ্য তথা দেশের সমস্ত পরিচিত ও অপরিচিতদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের গুঁতো খেয়েই ফিরল হুঁশ, বারাকপুর পুলিশ ছুটল অভিযুক্তকে ধরতে

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের গুঁতো খেয়েই ফিরল হুঁশ, বারাকপুর পুলিশ ছুটল অভিযুক্তকে ধরতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির ধমক খেয়ে হুঁশ ফিরল পুলিশের। বুধবার আদালত থেকে পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বলা হয়েছিল, ‘পুলিশ পুরো মেডেল পাওয়ার মতো কাজ করেছে!’ গত ছয়মাস ধরে যে খুনের মামলার কোনও গতি-প্রকৃতি ছিল না, বিচারপতির গুঁতোয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সক্রিয় হল। আজ বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুলিশ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং খুনের ধারা যুক্ত করার কথা বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়েছে।

    কী বললেন বিচারপতি (Calcutta High Court)

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “একজনকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলা হয়েছে, এরপর নীচে নেমে পেটানো হল। এরপরও পুলিশ খুনের ধারা যোগ করার অভিযোগ পেল না! এটাই কি এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা! সেই সঙ্গে বিচারপতি দেবাংশু বসাক, বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার পর্যবেক্ষণ করে বলেন, “এই ঘটনায় সকল অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পুলিশ কিছুই করেনি। মামলায় সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।” উল্লেখ্য এক ব্যক্তিকে ছাদ থেকে ফেলে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। বারাকপুর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত ছয়মাস ধরে মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। খুনের মামলায় পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

    ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও পুলিশ তৎপর

    আদালতে বিচারপতির (Calcutta High Court) ধমকের পর আজ বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট রিপোর্ট দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জানায় যে গতকাল আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। খুনের ওই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং খুনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্যবারাকপুর সিপি গত ছয়মাসে যা করেননি কার্যত আদালতের ধমক খেয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় হয়েছেন। ফলে পুলিশ প্রশাসন যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, তা আরও একবার স্পষ্ট বলে এলাকার মানুষ দাবি করে।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ২৩ জুন, খড়দহ থানার টিটাগড়ের লক্ষ্মীঘাট এলাকায়। বাড়িভাড়াকে ঘিরে বচসার কারণে আহত হন গোবিন্দ যাদব। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরজিকর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ খুনের ধারা যোগ করেনি পুলিশ। এরপর মামলা গড়ায় উচ্চ আদালতে। এই মামলায় পুলিশকে তীব্র ধমক দেওয়ার ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ব্যুমেরাং, মমতার সিল্ক হাব তৈরির স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ল কৃষকদের জমি আন্দোলনে

    Hooghly: ব্যুমেরাং, মমতার সিল্ক হাব তৈরির স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ল কৃষকদের জমি আন্দোলনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে কৃষকদের বাধায় টাটাদের ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি তৎকালীন রাজ্য সরকার। কৃষকদের আন্দোলনের পাশে সেই সময় ছিল তৃণমূল। এখন সরকারে তৃণমূল। এবার সেই হুগলি জেলায় সিল্ক হাব করতে গিয়ে কৃষকদের বাধার মুখে পড়লেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তৃণমূল কাউন্সিলরের সামনেই চলল বিক্ষোভ। এবার ঘটনাস্থল শ্রীরামপুর। সিঙ্গুর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে স্রেফ কৃষকদের বাধায় তৃণমূল সরকার সিল্ক হাব করতে পারল না।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Hooghly)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাস নগরে সিল্ক হাব হবে বলে ২০১৬ সালে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জমিজটে সেই সিল্ক হাব তৈরির কাজ থমকে ছিল এতদিন। কয়েকদিন আগে সেখানে নীচু জমি ভরাট করতে মাটি ফেলা শুরু হয়েছে। প্রায় কুড়ি একর জমির উপর গড়ে উঠবে সিল্ক হাব। বুধবার সকালে প্রস্তাবিত সিল্ক হাবের জায়গা মাপজোক করতে যান এসডিএলআরও দফতরের কর্মীরা। ছিলেন শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলররাও। সেই সময় তাঁরা কৃষকদের বাধার মুখে পড়েন। সরকারি আধিকারিকদের ঘিরে ধরে তাঁদের দাবি জানাতে থাকেন কৃষকদের।

    বিক্ষোভকারী কৃষকরা কী বললেন?

    কৃষকদের বক্তব্য, বহুদিন ধরে এই জমিতে চাষ করে আসছেন। এই জমিতে সিল্ক হাব হলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। এই জমিতে আমরা ৪০-৫০ বছর চাষ করি। সরকারি খাস জমি বলছে, সেটা কী করে হয়? আর খাস জমি যদি হয়, তাহলে সেই জমিতে আবাসের ঘর কী করে হয়? আমরা চাই সিল্ক হাব হোক, আমাদের পুনর্বাসন দিয়ে যা হওয়ার হোক। না হলে আমরা আন্দোলন শুরু করব। কোনওভাবে এখানে সিল্ক হাব হতে দেব না।

    প্রশাসনের আধিকারিকরা কী বললেন?

    যদিও প্রশাসনের দাবি, সরকারি কিছু খাস জমি পড়ে রয়েছে, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সিল্ক হাব করার কথা বলেছিলেন। এর মধ্যে দিয়ে হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুর ও বৈদ্যবাটির সিল্ক প্রিন্টিংকে এক ছাতার তলায় আনা হবে। এর ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। পুরভার কাউন্সিলর সন্তোষ সিং, পিন্টু নাগরা বলেন, ‘সরকারি খাস জমিতে সিল্ক হাব তৈরি হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষক দরদী। কোনও কৃষককে বঞ্চিত করা হবে না। আমরা বলেছি, জমির কাগজ যদি কিছু থাকে তা নিয়ে আসুন, পুরসভায় দেখান। মুখের কথায় হবে না। যদি কাগজ থাকে কাজ বন্ধ থাকবে। আর কাগজ না থাকলে প্রশাসন নিজের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share