Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Barrackpore: ‘জগদ্দলের বিধায়কের মায়ের স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন বাবা’, স্বীকার করলেন অর্জুন

    Barrackpore: ‘জগদ্দলের বিধায়কের মায়ের স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন বাবা’, স্বীকার করলেন অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্বে রাশ টেনেছে দল। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ইতিমধ্যেই অর্জুন সিংকে সোমনাথ ইস্যুতে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সেই নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়েই ফের বিস্ফোরক অর্জুন। আবারও জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধোনা করলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের পরও আরও একবার সোমনাথ-অর্জুনের দ্বৈরথ ফের প্রকাশ্যে চলে এলো।

    অর্জুনকে নিয়ে কী বলেছিলেন সোমনাথ? (Barrackpore)

    তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুন হওয়ার পর থেকেই উত্তাল বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি। এই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অর্জুনের ভাইপো পাপ্পু সিংকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারপর থেকেই সোমনাথ-অর্জুনের দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। দলীয় মিটিং, পথসভায় প্রকাশ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে সোমনাথ এবং অর্জুন সিংকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। দুদিন আগেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, আমার কাছে হলুদ ফাইল রয়েছে। সেখানে অর্জুন সিং এর সমস্ত তথ্য রয়েছে। হলুদ ফাইল খুললেই সাংসদের সমস্ত দুর্নীতি  সামনে চলে আসবে।

    বাবার দৌলতে বিধায়কের মা চাকরি পেয়েছেন: অর্জুন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্জুন বলেন, দলের রাজ্য সভাপতি আমাকে চুপ থাকতে বলেছেন। তাই এই বিষয়ে আমি আর বেশি কোনও কথা বলবো না। এরপরই তিনি বলতে শুরু করেন, আমি কোন হলুদ ফাইল, নীল ফাইলের কথা বলবো না। যেটা সত্যি, জগদ্দল এর মানুষ যেটা জানেন, আমি সেই কথাই বলবো। তিনি বলেন, জগদ্দল এর বিধায়কের মায়ের প্রাইমারি স্কুলে চাকরি আমার বাবা করে দিয়েছিলেন। সেখানে মিঠু সাউ বলে একজনকে নেওয়ার কথা ছিল। তাকে বাদ দিয়ে বিধায়কের মাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল প্রাইমারি স্কুলে। এটা সবাই জানেন।

    তোলাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই আক্রমণ

    সোমনাথ শ্যামের এই বার বার আক্রমণ প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, আমি বিজেপিতে যাওয়ার পর বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে রমরমিয়ে তোলাবাজি শুরু হয়েছিল। আমি তৃণমূলে ফিরে আসতেই তোলাবাজিতে লাগাম টেনেছি। এবার দল যদি আমার উপর আস্থা রাখে এবং আমি যদি ফের সাংসদ নির্বাচিত হই তাহলে তাদের তোলাবাজি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এখন আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। কিন্তু, এলাকার মানুষ জানেন, অর্জুন সিং কেমন মানুষ। এসব নোংরামো করে ভোট ব্যাঙ্কে কোন প্রভাব পড়বে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হাসপাতালে রক্তের আকাল! সক্রিয় দালালচক্র, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    Murshidabad: হাসপাতালে রক্তের আকাল! সক্রিয় দালালচক্র, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রমরমিয়ে চলছে রক্তের দালালচক্র। টাকার বিনিময়ে রোগীর  পরিবারের লোকজনকে রক্ত বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের কর্মীদের জ়ড়িয়ে থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে রক্তদাতা সংগঠনের সদস্যরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। যদিও দুজনই বহিরাগত। তবে, এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বছরে ৩০ হাজার ইউনিট রক্ত লাগে! (Murshidabad)

    মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের তুলনায় রক্তের চাহিদা বেড়েছে। ২০১৪-১৫ সালে বছরে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫-১৬ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হত। গত কয়েক বছরে প্রায় ৩০ হাজার ইউনিটের আশপাশে রক্তে লাগছে। মেডিক্যালে চিকিৎসা পরিষেবা বেড়েছে। রক্তের চাহিদাও বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী রক্তের জোগান অনেকটাই কম। তাই, বরাবরই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে চাহিদার তুলনায় রক্ত সরবরাহ কম থাকে। আর উৎসবের মরসুম হলে রক্তদান শিবির কমে যায়। যার জেরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কেও রক্তের আকাল দেখা দেয়। সেই সুযোগটাই নেয় রক্তের দালালেরা। এ বারে শীত পড়তে উৎসবের মরসুম শুরু হয়েছে। যার জেরে রক্তের সঙ্কট বেড়েছে। আর এই সুযোগে টাকার বিনিময়ে দালালেরা সেখানে রক্ত বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

    মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, চাহিদার তুলনায় রক্তের জোগান কম। এই পরিস্থিতিকে কখনও কখনও দালালেরা কাজে লাগায়। তবে আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাই। বিনা পয়সায় মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করা হয়। রক্তের জন্য কোনও অর্থ দিতে হয় না, এ কথা হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় লেখা রয়েছে। কোনও পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো না থাকলে আমরা রোগীদের বিষয়টা জানিয়ে দিই। সকলেই রক্তদানে এগিয়ে আসুন। সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে যাবেন না। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকলে দাতা এনে রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়ার কোপ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Malda: শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়ার কোপ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তৃণমূলের এক  নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার উত্তর পঞ্চানন্দপুর এলাকায়। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্যের নাম রথীন সরকার এবং তাঁর বাবার নাম শ্যামল সরকার। এই ঘটনায় আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য হামলাকারী তৃণমূল নেতা বাপি সরকার ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    আক্রান্তকারী পুলিশকে কী বললেন? (Malda)

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাড়ি মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার উত্তর পঞ্চানন্দপুর এলাকায়। পুলিশকে অভিযোগকারী আক্রান্ত তৃণমূল নেতা রথীন সরকার বলেন, ‘এলাকায় দলীয় একটি কর্মসূচির জন্য ফ্ল্যাগ ও ফেস্টুন টাঙানোর কাজ চলছিল। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আমিও সেখানে ছিলাম। সেই সময় তৃণমূল নেতা বাপি সরকার তাঁর দলবল নিয়ে এসে গোলমাল শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে হাঁসুয়া দিয়ে আমার ওপর হামলা চালান। মাথায় কোপ মারতে গেলে হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার বাবা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছুটে আসে। ওরা বাবাকেও মারধর করে। তারপর আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় তৃণমূলের কার্যালয় থেকে কর্মীরা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পুরো বিষয়টি নিয়ে হামলাকারী বাপি সরকার ও তাঁর ভাই টনি সরকার-সহ দলবলের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’

    হামলাকারী কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা বাপি সরকার বলেন,’ঘটনাটি মিথ্যা। এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং, রাস্তা ঘিরে ওরা কাজ করছিল। প্রতিবাদ করাতেই পাল্টা তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েতে সদস্যের দলবল আমার ওপর হামলা চালায়। মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’

    জেলা নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের মালদা (Malda) জেলা সহ- সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘অন্যায়ভাবে দলের এক নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কাছ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় এক শিশুকন্যা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিথর দেহ উদ্ধার হয় তার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার একটি গ্রামে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম এরশাদ মালি। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্য হাতে পেয়ে পুলিশ কর্তারা হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    ধর্ষণ করে শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন! (Howrah)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ায় শিশুকন্যাটি বাড়ির সামনে খেলছিল। সেখান থেকেই রহস্যজনকভাবে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে, অন্য একটি বাড়ির পাঁচিলের ভিতরে মেয়েটির বস্তাবন্দি দেহ মেলে। তারপরেই ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সিসি ক্যামেরায় এরশাদকে সাইকেলে করে ওই বস্তা নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। রবিবার রাতে অভিযুক্ত এরশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে কবুল করে, বাড়ির সামনে থেকে মেয়েটিকে ভুলিয়ে কিছুটা দূরে বস্তির একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে প্যান্ডেল বাঁধার কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ব্যাগে ভরে।

    ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কী পেল পুলিশ?

    ধর্ষণে অভিযুক্ত এরশাদের বাড়ি কলকাতার মেটিয়াবুরুজে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বিদ্যুতের মিস্ত্রি হিসাবে একটি ঠিকা সংস্থার হয়ে হাওড়ার ওই গ্রামে কাজ করতে এসেছিল। এর পরেই তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানান, এর আগে ২০২০ সালেও এরশাদের বিরুদ্ধে কলকাতার একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। বরাতজোরে শিশুটি রক্ষা পায়। এরশাদকে সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে সে জামিন পায়। এবারও সেই একই কায়দায় ধর্ষণ করে খুন। সাইকো কিলার কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রেমের প্রস্তাবে না, কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    Nadia: প্রেমের প্রস্তাবে না, কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। এটাই তাঁর অপরাধ। এরপর  ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র নেতা যা করেছেন তা জানলে চমকে উঠবেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপ শহরে।  

    দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে শ্লীলতাহানি! (Nadia)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রী। আর অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার নাম শ্যামসুন্দর দাস। তিনি নবদ্বীপ শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি। কলেজের এক ছাত্রীকে এক যুবকের মাধ্যমে তিনি প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু, সেই কলেজ ছাত্রী তাঁর সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। অভিযোগ, এরপর একদিন রাধাবাজারের দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রীকে ডেকে পাঠান। দলীয় কার্যালয়ে সকলে থাকবে মনে করে তরুণী সেখানে যান। অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানি করা হয় তাঁর। কোনওমতে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরেন তরুণী। পরিবারের লোকজনকে তিনি সমস্ত ঘটনা জানান। এরপর নবদ্বীপ থানায় যান। অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র নেতা হওয়ায় পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। ফলে, এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের বক্তব্য, শাসক দলের নেতা বলে অপরাধ করলে সাত খুন মাফ। এই ধরনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দরকার। নাহলে রাস্তাঘাটে মহিলাদের সুরক্ষা বলে কিছু থাকবে না।

    নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নির্যাতিতার বক্তব্য, ওই ছাত্র নেতা আমাকে মাঝে মধ্যে উত্যক্ত করত। বহুবার আপত্তি জানালেও ও তা মানেনি। অবশেষে আমাকে কার্যালয়ের মধ্যে এরকম করবে তা ভাবতে পারিনি। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, কলেজে যেতে মেয়ে আতঙ্কিত বোধ করছে। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ওই ছাত্র নেতা যা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পুলিশ ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: বারাকপুর, রানাঘাটের পর মালদা! ফের টার্গেট সোনার দোকান, ৫ মিনিটে সর্বস্ব লুট

    Dacoits: বারাকপুর, রানাঘাটের পর মালদা! ফের টার্গেট সোনার দোকান, ৫ মিনিটে সর্বস্ব লুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর, রানাঘাট, খড়্গপুরে ডাকাতির (Dacoits) পর আবারও টার্গেট সেই সোনার দোকান। এবার দুষ্কৃতীরা হানা দিল মালদার চাঁচলে। সোনার দোকানে ঢুকে পাঁচ মিনিট ৩ সেকেন্ডের মধ্যে সব কিছু লুট করে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নানা জায়গায় ডাকাতদলের খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তাদের কোনও সন্ধান মেলেনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dacoits)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদার চাঁচলে সোনার গয়নার দোকানের সামনে দুটি বাইক এসে দাঁড়ায়। প্রত্যেকের মাথায় হয় হেলমেট নয়তো হনুমান টুপি ছিল। প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে দোকানে হুড়মুড়িয়ে ঢোকে। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে, সময় তখন সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪৭ মিনিট। পাঁচ ডাকাত দোকানের ভিতরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ক্যাশ মেমো ছুড়ে ফেলছে। কখনও গয়নার বাক্স, কখনও হাতে থাকা বন্দুকের বাঁট দিয়ে দোকানের কর্মচারীদের মারধর করছে। কেউ সামান্য বাধা দিলেই চলছে মার। তার মধ্যে এক ডাকাতকে দেখা যায় গয়নার শো-কেসে হামাগুড়ি দিয়ে উঠে যেতে। একের পর এক গয়নার বাক্স পেড়ে আনে সে। আর এক জন সেগুলো ঝটপট বাজারের ব্যাগে ঢোকাতে শুরু করে। স্থানীয় লাল্টু মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যবসায়ী বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা গুলিও ছোড়ে। পরে, আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল (Dacoits)। ইতিমধ্যে সিসিটিভি দেখে ডাকাতদলকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তবে তাঁদের মুখ হেলমেট আর হনুমান টুপিতে ঢাকা থাকায় অসুবিধায় পড়েছেন তদন্তকারীরা।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কী বললেন?

    রাজ্য জুড়ে বার বার ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটলেও পুলিশ তাতে লাগাম টানতে পারছে না। আর পুলিশের উদাসীনতার জন্যই বার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সোনার দোকানের কাছেই থানা। তারপরই ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে যেভাবে সোনার দোকানে লুট করে পালাল, তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এমন ডাকাতির ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পুলিশের কড়া নজরদারি থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: বড়দিনের রাতে খাদ্যভবনে গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী, মৃত্যু এসএসকেএমে

    Kolkata Police: বড়দিনের রাতে খাদ্যভবনে গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী, মৃত্যু এসএসকেএমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের রাতে নিউ মার্কেট থানা এলাকার খাদ্যভবনের ভিতরে রিজার্ভ ফোর্স ব্যারাকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক পুলিশ (Kolkata Police) কনস্টেবলের। নিজের সার্ভিস রিভলভারের গুলি তাঁর বুকে লাগে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর সহকর্মীরাই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

    কী ঘটেছিল

    মৃত কনস্টেবলের নাম তপন পাল। ৫৩ বছর বয়সী কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ওই কনস্টেবলের বাড়ি হরিণঘাটায়। তিনি নিজেই আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়েছেন, নাকি এটা দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ব্যারাক থেকে রাত ১১টা নাগাদ ডিউটিতে যাচ্ছিলেন রির্জাভ ফোর্সের অফিসার। সেই সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান সহকর্মীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় কনস্টেবলকে। অতর্কিতে গুলি চলেছে নাকি, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন তা জানা যায়নি। গোটা ঘটনা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা। নিহত কনস্টেবল কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    তদন্তে পুলিশ

    পুলিশ (Kolkata Police) প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে, ছুটি কাটিয়ে ২৪ তারিখ বাড়ি থেকে ফিরেছিলেন তিনি। ডিউটিতে যাওয়ার আগে নিজের সার্ভিস রিভলভার ইস্যু করান। সিক্স চেম্বার রিভলভার। যার মধ্যে থেকে একটা গুলি চলেছে। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল কিনা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যারাক ঘর থাকলেও অধিকাংশ সময় বাড়ি থেকেই যাতায়াত করতেন তিনি। এদিন, ব্যারাক থেকে খাদ্যভবনে ডিউটি যাওয়ার পথে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে তপন। তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। এদিন রাতেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। প্রায় মিনিট দশেক তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: সক্রিয় জালিয়াতি চক্র! মৃত ব্যক্তির সই জাল করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে জমি

    North 24 Parganas: সক্রিয় জালিয়াতি চক্র! মৃত ব্যক্তির সই জাল করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে জমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জে জমি জালিয়াতির চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মৃত ব্যক্তির সই জাল করে জমি হাতানোর ঘটনাও ঘটেছে। তদন্তে নেমে জালিয়াতির এই তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে চক্ষুচড়ক গাছ হয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের।

    ঠিক কী ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে বঙ্কিম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, প্রতিবেশী হরিপদ মিস্ত্রি ও তাঁর স্ত্রী বুলারানির নামে মালেকান ঘুমটিতে বঙ্কিমের ৩৪ শতক জমির দলিল তৈরি করা হয়েছে। সেই জমি তাঁর প্রয়াত বাবা মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে জমির দলিল তৈরি করেছেন হরিপদ। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, গৌর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি হরিপদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চক্রান্ত করে বঙ্কিমের জমির দলিল বুলারানির নামে করার ব্যবস্থা করেন। আর এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে আসে। জানা যায়, ২০০৭ সালে মৃত ব্যক্তির সই ২০২২ সালে নকল করে ৩৪ শতক জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই চক্রের চারজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গৌর মণ্ডল, হরিপদ মিস্ত্রি, বুলারানি মিস্ত্রি, ও রেণুকা মণ্ডল। মৃত মহাদেব মণ্ডল হিসাবে সাজানো হয় হরিপদকে। মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে হরিপদ ২০২২ সালে হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি লিখে দেন বুলারানির নামে। গ্রেফতার করা হয় হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রেণুকা মণ্ডলকেও। তদন্তকারীদের দাবি, কারচুপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন রেণুকা। কারচুপিতে রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের এডিএসআর সঞ্জিতকুমার ঘোষ বলেন, এই ধরনের কারচুপির ঘটনা নির্দিষ্ট ভাবে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কয়েকটি গ্রামের জমি নিয়েই হচ্ছে। এর আগেও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে মামলা চলছে। হিঙ্গলগঞ্জের এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের অফিসের কর্মীদের কোনও যোগ আছে বলে জানা নেই। আমরা যতটা সম্ভব তথ্য যাচাই করি। দলিল লেখকদেরও বার বার সতর্ক করা হয়। আবারও সতর্ক করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ছয় বছরে রকেট গতিতে উত্থান ইঞ্জিনিয়ারের! সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    ED: ছয় বছরে রকেট গতিতে উত্থান ইঞ্জিনিয়ারের! সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথম থেকেই নজরে ছিল কামারহাটি পুরসভা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম মাথা অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরেই এই পুরসভায় শতাধিক কর্মী নিয়োগ হন। তারমধ্যে অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও রয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একাধিকবার ইডি (ED) হানা দিয়েছে কামারহাটি পুরসভায়। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নজরে ছিলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত। সম্প্রতি তাঁর বাগুইআটির বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মেলে। ইডি-র পক্ষ থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির রিপোর্ট পেশ করা হয়। মাত্র ৬ বছর আগে চাকরি পাওয়া এই ইঞ্জিনিয়ারের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের।

    কে এই তমাল দত্ত?

    জানা গিয়েছে, তমাল দত্তের স্ত্রী এক সময়ের রাজারহাট পুরসভার সিপিএমের কাউন্সিলার ছিলেন। তৃণমূলের এক দাপুটে নেতার হাত ধরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বাগুইআটিতে তাঁর বাড়ি রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পেয়েছিলেন তমাল। তারপর থেকেই রকেটের গতিতে তাঁর উত্থান। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি কামারহাটি পুরসভা এলাকার নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন। পুরসভা এলাকায় প্রোমোটারির রাশও তাঁর হাতে ছিল। অভিযোগ, পুরসভায় নিয়োগে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। চাকরি পাওয়ার মাত্র ৬ বছরের মধ্যে বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চক্ষুচড়কগাছ ইডি-র।

    কত সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে? (ED)

    ইতিপূর্বে তমাল দত্তের বাগুইআটির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি (ED)। এমনকী, সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এবার সেই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হল। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে তাঁর বাড়ি থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ ও ১ কোটি ৬৩ লক্ষ মূল্যের হিরে ও সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। এমনকী, সম্পত্তির ১৩০০ পৃষ্ঠার নথিও মিলেছে। জানা গিয়েছে, ইডি-র পক্ষ থেকে এই তথ্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। এত অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কী করে করলেন তা জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: জন্মের পর থেকেই কন্যাসন্তান রোগগ্রস্ত, অবসাদে হাসপাতালেই আত্মঘাতী মা

    Bankura: জন্মের পর থেকেই কন্যাসন্তান রোগগ্রস্ত, অবসাদে হাসপাতালেই আত্মঘাতী মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মের পর থেকেই রোগে আক্রান্ত নিজের সন্তান। এই কারণে মায়ের মন সব সময় উৎকণ্ঠায় থাকে। আরোগ্যের কোনও রকম আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলেন না। আর সেই সময় থেকেই সন্তানের জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মা। অবশেষে উপায় না পেয়ে হাসপাতালের মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর (Bankura)

    হাসপাতাল (Bankura) সূত্রে খবর, মৃতার নাম পায়েল সিংহ। পুরুলিয়ার আদ্রার কাছে বেঁকো গ্রামে বাড়ি। ২০ ডিসেম্বর তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্ম দেওয়ার পর থেকেই শিশুটিকে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট বিভাগে পাঠানো হয়। এরপর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে সদ্যোজাতকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। কিন্তু মৃতার মানসিক স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো ছিল না। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে খবর ছিল।

    তিনতলার ছাদে উদ্ধার দেহ

    সোমাবার সকালে পায়েল নিজের মাকে হাসপাতালের (Bankura) গেটের বাইরে এক আত্মীয়কে আনতে যেতে বলেন। মা হাসপাতলের বাইরে গিয়ে আবার ফিরে এলে পায়েলকে বেডে দেখতে পান না। এরপর এদিক-ওদিকে খোঁজ করেন। অগত্যা না পেয়ে ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়। অবশেষে প্রসূতি বিভাগের তিনতলায় সিঁড়িতে ওঠার শেষ ধাপে রেলিংয়ে দেখা যায় গালায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে পায়েলের নিথর দেহ।

    পুলিশের তদন্ত

    এরপর জানাজানি হতেই বাঁকুড়া (Bankura) সদর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে মানসিক অবসাদের কারণেই তিনি আত্ম্যহত্যা করেছেন। পুলিশ এরপর অস্বাভাবিক একটি মামলা রুজু করে মৃত্যুর তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    এই আত্মহত্যার ঘটনায় হাসপাতালের (Bankura) নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। কিন্তু সিসিটিভি, নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। মৃতার স্বামী বিজয় সর্দার বলেন, “কারও সঙ্গে কোনও ঝগড়া হয়নি। প্রসবের পর থেকেই আমার স্ত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। হাসপাতালের নজরদারি ঠিক থাকলে আজ আমার স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে হত না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share