Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Raiganj: জঙ্গলে গিয়ে পিকনিক করা বন্ধ, বন দফতরের নির্দেশে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী

    Raiganj: জঙ্গলে গিয়ে পিকনিক করা বন্ধ, বন দফতরের নির্দেশে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জঙ্গলে গিয়ে পিকনিক করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করল জেলা বনদফতর। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ (Raiganj) কুলিক পক্ষীনিবাস সংলগ্ন এলাকা, হেমতাবাদের বাহারাইল ফরেস্ট এলাকা, কালিয়াগঞ্জের ধামজা ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকায় পিকনিক করতেন সাধারণ মানুষেরা। এবছর বন বিভাগের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত পোস্টার ও নির্দেশিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার পিকনিকে উৎসাহী সাধারণ মানুষদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। শীত মানেই তো পিকনিক, তাই সাধারণ মানুষের দাবি বন দফতরের পক্ষ থেকে জঙ্গলের পরিবর্তে অন্য কোনও জায়গায় পিকনিকের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। বনবিভাগের এই সিদ্ধান্তে মর্মাহত পরিবেশ ও পশুপ্রেমী গৌতম তান্তিয়া। তিনি বলেন, বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার তিনি দাবি জানিয়েছেন।

    বন বিভাগের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সাধার মানুষ (Raiganj)

    উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ (Raiganj) শহর থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরেই রয়েছে আবদুলঘাটা, ভট্টদিঘি, সোহারই এই তিনটি মৌজার প্রায় ৩০০ একর জায়গাজুড়ে কুলিক পক্ষীনিবাস। প্রতি বছর জুন মাস থেকে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে শামুকখোল, ইগ্রেট, করমরেন্ট, নাইট হেরন সহ বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক পরিযায়ী পাখির দল এই কুলিক পক্ষীনিবাসে এসে ভিড় জমায়। যা দেখতে দূর দূরান্তের বহু পর্যটকের আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাস। অপরদিকে শীত পড়তেই ২৫ শে, ডিসেম্বর থেকে নতুন ইংরেজি বছরের গোটা জানুয়ারি মাস পক্ষীনিবাসের কোর এরিয়া সংলগ্ন ভট্টদিঘি, শিয়ালমণি, আবদুলঘাটা, মনিপাড়া সহ বিভিন্ন স্থানে শুধু স্থানীয়রাই নয়, আশপাশের বিভিন্ন জেলা, এমনকী ভিনরাজ্য থেকেও প্রচুর মানুষ পিকনিক করতে আসেন। শুধু রায়গঞ্জই নয় হেমতাবাদ ও কালিয়াগঞ্জের বাহারাইল ও ধামজা ফরেস্ট এলাকাতেও পিকনিক করার জন্য ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। তবে, এবারে বন সংরক্ষনের লক্ষ্যে পিকনিক বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বন বিভাগ। এই ঘটনা ক্ষুব্ধ জেলাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, এমনিতেই রায়গঞ্জ কিংবা জেলায় তেমন ঘোরার জায়গা নেই। তারমধ্যে এই সিদ্ধান্তের জেরে আমরা সকলেই অসন্তুষ্ট। পিকনিক করতে না দিলে পর্যটকের সংখ্যা কমবে। ক্ষতি হবে রাজস্বের।

    বন বিভাগের আধিকারিক কী বললেন?

    বন বিভাগের বিভাগীয় বন আধিকারিক দাওয়া সাংমু শেরপা বলেন, এবছরে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রতিটি বনাঞ্চলে পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রায়গঞ্জের (Raiganj) কুলিক, আব্দুল ঘাটা, শিয়ালমণি, ধামজা, বাহারাইল সহ একাধিক বনাঞ্চলে পিকনিক নট অ্যালাও এর পোস্টার ঝোলানো হয়েছে। এর নেপথ্যে বন আধিকারিকের ব্যখ্যা, বর্তমানে শুষ্ক আবহাওয়া রয়েছে। এর মধ্যে বনাঞ্চলে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করলে যে কোনও মুহূর্তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এমনিতেই এজেলায় বনভূমির পরিমাণ কম। ৬০০ হেক্টর জমিতে রয়েছে বনাঞ্চল। যে সব জায়গা ফাঁকা হয়েছে সেখানে বনসৃজন করা হয়েছে। তাই বন সংরক্ষণের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। তবে মানুষ চাইলে ঘুরতে আসতেই পারেন। কিন্তু ‘পিকনিক’ বলতে আক্ষরিক অর্থে যা বোঝাই সেই কর্মসূচি নেওয়া যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ সম্বোধন, শো-কজ করা হল তৃণমূল চেয়ারম্যানকে

    Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ সম্বোধন, শো-কজ করা হল তৃণমূল চেয়ারম্যানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ সম্বোধন করেন কাঁথি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবলকুমার মান্না। প্রকাশ্য মঞ্চে তিনি শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) সম্বোধন করে কার্যত চরম বিপাকে পড়েছেন। কারণ, তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sisir Adhikari)

    জানা গিয়েছে, ২১ ডিসেম্বর কাঁথির একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন কাঁথি পুরসভা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবলকুমার মান্না। সেখানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। সুবলবাবু সকলের সামনে শিশিরবাবুর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাবা, মা আমাকে জন্ম দিয়েছেন। এরপর রাজনীতিতে পথ চলা থেকে এই জায়গায় উঠে আসা সম্ভব হয়েছে গুরুদেব শিশির অধিকারীর জন্য। শুক্রবার সেই ভিডিও এবং প্রণাম করার ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর নড়েচড়ে বসে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কাঁথির পুরপ্রধান সুবলকুমার মান্নাকে শো-কজ করেন কাথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা। তারপরেই কাঁথির রাজনীতিতে শুরু হয় তোলপাড়।

    তৃণমূলের চেয়ারম্যান কী বললেন?

    শো-কজ প্রসঙ্গে সুবলবাবু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের একটি স্কুলে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখি শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) বসে রয়েছেন। আমি তো অসম্মান করতে পারি না।  আর  তিনি (তৃণমূলের জেলা সভাপতি) শো-কজ করার কে? আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শো-কজ করেছে, সেটা আমি জানিও না। চিঠি দিয়ে জানাবেন, তারপরে উত্তর দেওয়া হবে। মানুষকে মানুষ ভাবে না। কীভাবে বয়স্কদের সঙ্গে বলতে হয় তা তিনি জানেন না। 

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন, ‘দুজন প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ তথা অভিভাবক শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) কাঁথি পুরপ্রধান সুবল মান্না সৌজন্যতা জানিয়েছেন! এখানে কোনও রাজনীতি খোঁজার দরকার নেই। বয়স্ক রাজনীতিককে প্রণাম করছেন, শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Midnapore: ২৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন মেলেনি! ভর্তি হয়েও বিপাকে পড়ুয়ারা

    Midnapore: ২৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন মেলেনি! ভর্তি হয়েও বিপাকে পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বিএড বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৮টি বিএড কলেজের (Bed Colleges) ছাত্রভর্তির অনুমোদন বাতিল ঘোষণা করেছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষকতার প্রশিক্ষক থেকে হাজার হাজার হবু শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সঙ্কটের মুখে। বন্ধ কলেজগুলি। সকলের নজর এখন আদালতের রায়ের দিকে। আদালত কিi ফের কলেজ অনুমোদনের বিষয় বিবেচনা করবে?

    বর্তমানে কলেজের অনুমোদন বাতিল হওয়ায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও আগে কলেজে অফ লাইনে ছাত্র ভর্তি হয়। কিন্তু পরে বন্ধ হলে কলেজ নতুন ছাত্রদের অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে তা সম্পন্ন করা হয়। অথচ গত মাসে রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। একই ভাবে এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ২৮টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল হয়। এই মুহূর্তে ছাত্রদের পড়াশোনা অত্যন্ত সঙ্কটের মুখে। এক বিএড পড়ুয়া অয়ন্তিকা সর্দার জানিয়েছেন, “ভর্তি হয়ে জানলাম কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হয়ে গেল। আগে জানালে ভর্তি হতাম না।”

    কেন বাতিল অনুমোদন (Bed Colleges)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএড কলেজের (Bed Colleges) ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। শিক্ষকদের বেতনের নথিতে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই সঙ্গে নেই দমকলের বিশেষ ছাড়পত্র। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী একটি বিএড কলেজে ৫০ জন ছাত্রের জন্য ৮ জন শিক্ষক রাখতে হবে। শিক্ষকদের মাসিক বেতন হবে ২১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে। দমকলের ছাড়পত্র পেতে গেলে ১০০০০ লিটারের জলের ট্যাঙ্ক বসাতে হবে। পর্যাপ্ত জল তোলার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জলের পাম্প বসাতে হবে।

    মামলা গিয়েছে হাইকোর্টে

    ইতিমধ্যে এনসিটিই-র নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত শর্ত পালন করে ভর্তির প্রক্রিয়া যাতে শুরু করা যায়, সেই জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বেসরকারি বিএড কলেজগুলি (Bed Colleges)। এক বিএড কলেজের মালিক প্রভাকর জানা বলেন, “দমকলের অনুমোদন না থাকায় বাতিল হয়েছে। কিন্তু সমস্ত শর্ত পূরণ করে আমরা বিশেষ আবেদন করেছি। আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

    কী বলছেন বিএড শিক্ষক?

    বন্ধ বিএড কলজের (Bed Colleges) শিক্ষক দেবাশিস পট্টনায়ক বলেছেন, “ছাত্রদের ভর্তির পর ক্লাস করার সুযোগ না মেলায় আমাদের চাকরি এখন সঙ্কটের মুখে। সমস্ত কলেজ গাইডলাইনের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে রাজি হয়েছে। বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সিদ্ধান্ত আর এক বার বিবেচনা করুকঁ, এই আবেদন রাখছি। পাশপাশি আমরা হাইকোর্টের রায়ের দিকেও নজর রেখেছি।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সমবায় ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপে জড়িত তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: সমবায় ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপে জড়িত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় ব্যাঙ্কের কোটি টাকারও বেশি তছরুপের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির খাড়ি এলাকায়। সমবায় ব্যাঙ্কের নাম ‘ইউনিয়ন লার্জ সাইজ প্রাইমারি এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’। ওই সমবায় ব্যাঙ্কটির কাছেই কাশীনগর ব্যাঙ্কের একটি শাখা রয়েছে। অভিযোগ, শাখার ইনচার্জ মোহনলাল হালদার আর্থিক তছরুপ করেছেন। অভিযুক্ত মোহনলাল আবার কাশীনগর পশ্চিমপাড়ার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। আর শাসক দলের নেতা বলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর,  দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই সমবায় ব্যাঙ্কে হাজার দু’য়েক গ্রাহক আছেন। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে অডিট রিপোর্টের পরেই তৃণমূল নেতা মোহনলালের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সঙ্গে স্থানীয় আরও কিছু তৃণমূল নেতা জড়িত বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে সরব হন আমানতকারী ও শেয়ার হোল্ডাররা। সমবায়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডল বিভাগীয় দফতরে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি ধরা পড়ার পরে মোহনলাল ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। বাকি টাকা ফেরাতে পারেননি। মোহনলাল হালদারের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

    ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    মথুরাপুর-২ বিডিও নাজির হোসেন বলেন, মাস দেড়েক আগে ৩-৪ জন গ্রাহক ওই আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো জেলা থেকে তদন্তের পরে আর্থিক তছরুপ ধরা পড়েছে। এক কোটির বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির তৃণমূলের বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, মোহনলাল এক সময় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। এখন দলের কোনও দায়িত্বে নেই। সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা তছরুপ করা ঠিক হয়নি। সাধারণ মানুষের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। না হলে কঠোর শাস্তি পাওয়া দরকার। প্রশাসন কঠোর হাতে ব্যবস্থা নিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বাইক থেকে নামিয়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারলেন দলেরই কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: বাইক থেকে নামিয়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারলেন দলেরই কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শহর তৃণমূলের সভাপতিকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকায়। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার নাম ফিরোজ শেখ। তিনি জঙ্গিপুর তৃণমূলের শহর কমিটির সভাপতি এবং পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জঙ্গিপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান। হামলা যারাই করুক ঠিক হয়নি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর পুরসভায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলারদের একাংশের মতবিরোধ চলছে। দলের মধ্যেও এই নিয়ে চর্চা রয়েছে। পুরপ্রধানের বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে ফিরোজের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ দুয়ারে সরকার শিবির থেকে এক জনের বাইকে চড়ে ফিরোজ রঘুনাথগঞ্জ থেকে জঙ্গিপুর পুরসভায় যাচ্ছিলেন। জঙ্গিপুর শহরের ‘কিছুক্ষণ’ লজের পাশে একটি প্রাথমিক স্কুলের সামনে তৃণমূলেরই জন ১৫ কর্মী সমর্থক বাঁশ, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে অতর্কিতে ফিরোজ ও তাঁর সঙ্গীর মোটরবাইক আটকে হামল চালায়। ফিরোজ বাইকের পিছনে বসেছিলেন। তাঁকে বাইক থেকে নামিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। চোখের সামনে তৃণমূল নেতা প্রকাশ্যে মারতে দেখে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয় পড়েন। জঙ্গিপুর পুরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক গোষ্ঠীর হাতে এই ভাবে দিনেদুপুরে আক্রান্ত হলেন দলের শহর সভাপতি। এই ঘটনায় শহর জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়, কারণ ফিরোজ এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী ও দাপুটে কাউন্সিলার।

    হামলা নিয়ে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কী বললেন?

    তৃণমূল পরিচালিত জঙ্গিপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ চৌধুরি বলেন, পুরপ্রধানের সঙ্গে চলতে থাকা বিবাদের জেরে তাঁর অনুগামীরা  এই হামলা চালিয়েছে। ফিরোজ তাদের চিনেছে এবং নামধামও বলেছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে অক্সিজেন চলছে তাঁর। পুলিশ, দলের সভাপতি খলিলুর রহমান সহ সকলকেই এই হামলার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কারা ছিল এই হামলায় তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।

    তৃণমূলের চেয়ারম্যান কী বললেন?

    পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম অবশ্য বলেন, কে মেরেছে, কেন মেরেছে কিছুই জানি না। বাড়ি থেকে হাসপাতালে যেতাম ফিরোজকে দেখতে। শুনলাম তাঁকে বহরমপুরে রেফার করা হয়েছে। কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মধ্যে। সবটাই মিথ্যে দোষারোপ করা হচ্ছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বিষ্ণুপুর মেলায় দাপট দেখাল তৃণমূল! উদ্বোধনে আকাশে উড়ল ঘাসফুল লোগো

    Bankura: বিষ্ণুপুর মেলায় দাপট দেখাল তৃণমূল! উদ্বোধনে আকাশে উড়ল ঘাসফুল লোগো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৬তম বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আকাশে উড়ল শাসক দল তৃণমূলের লোগো। আর এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী থাকলেন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়ার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক থেকে অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই  সম্পূর্ণ  সরকারি অর্থ ব্যয়ে এই মেলায় সুকৌশলে শাসক দলের প্রচার করা হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্তারা হাজির ছিলেন। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায় সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হরেকরকম বাজি ওড়ানো হয়। সঙ্গে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ফোমের ফ্লাইং লোগো ওড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই যন্ত্র থেকেই বিষ্ণুপুর মেলার লোগোর পাশাপাশি তৃণমূলের লোগো উড়তে দেখা যায়। তৃণমূলের লোগো মেলার মাঠে ওড়ানো হয়েছে, একথা স্বীকার করেছেন ওই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কর্মী নিজেই। এদিন মেলার উদ্বোধনী ‘ফ্লাইং লোগো’ হিসেবে ‘বিষ্ণুপুর মেলা ও তৃণমূলের লোগো’ আকাশে ওড়ানো হয়েছে বলে তিনি স্পষ্টতই স্বীকার করেন।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের বাঁকুড়া (Bankura) জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায় বলেন, মেলার মধ্যে তৃণমূলের লোগো উড়েছে বলে আমাদের জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। এবিষয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখানো বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ন’দিন ধরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মেলা চলছে। তৃণমূলের লোগো আকাশে ওড়ানো ঠিক নয় স্বীকার করেও বিষয়টি তাঁর জানা নেই দাবি করেই দায় এড়িয়েছেন এই ‘দলবদলু’ বিধায়ক।

    তৃণমূল আর প্রশাসন সমার্থক, কটাক্ষ বিজেপির

    পুরো বিষয়টি শাসক দলের ‘নির্লজ্জতার পরিচয়’, দাবি বিজেপির। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘সরকারি টাকায় মোচ্ছব হচ্ছে। এখন প্রশাসন আর তৃণমূল সমার্থক। এখন বিষ্ণুপুর মেলায় তৃণমূলের লোগো উড়ছে, ক’দিন পর ওই দলটাই হাওয়ায় উড়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: লক্ষ্য চব্বিশের লোকসভা, সাংগঠনিক ঘোষণা বঙ্গ বিজেপির, যুবমোর্চার ইনচার্জ হিরণ

    BJP West Bengal: লক্ষ্য চব্বিশের লোকসভা, সাংগঠনিক ঘোষণা বঙ্গ বিজেপির, যুবমোর্চার ইনচার্জ হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিজেপিতে (BJP West Bengal) বেশ কিছু নতুন সাংগঠনিক ঘোষণা হয় শুক্রবার। তাতে যুব মোর্চার সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিনেতা তথা খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি রয়েছেন ইন্দ্রনীল খান। এর পাশাপাশি ইনচার্জ হিসেবে গোটা যুব সংগঠনকে দেখাশোনা করবেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

    উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে দীপক বর্মণ

    বিজেপির সাংগঠনিক (BJP West Bengal) কাজ চলে পশ্চিমবঙ্গকে কতগুলি জোনে ভাগ করে। সেই সমস্ত জোনের কনভেনারদের নামও ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। জোনের অধীনে থাকে বিভাগ। বিভাগ কনভেনারদের নামও ঘোষণা করা হয় এদিন। উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন বেশ শক্তিশালী। বিগত নির্বাচনগুলিতে তার প্রমাণ মিলেছে। উত্তরবঙ্গ জোন কনভেনারের পদে থেকে গেলেন ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ। প্রসঙ্গত, দীপকবাবু রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও বটে। অন্যদিকে মহিলা মোর্চার কাজ এবার থেকে দেখাশোনা করবেন পারমিতা দত্ত। তাঁকে মহিলা মোর্চার ইনচার্জ করা হয়েছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছেন চার্লস নন্দী। সংখ্যালঘু মোর্চার কাজ দেখাশোনা করতে ইনচার্জ পদে বসানো হয়েছে মাফুজা খাতুনকে। মিডিয়া বিভাগের ইনচার্জ তুষারকান্তি ঘোষ রয়েছেন। সেই সঙ্গে রাজ্য বিজেপির (BJP West Bengal) অন্যতম মুখপাত্র কেয়া ঘোষকে জোন ইনচার্জ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

    দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্বে কারা?

    বিজেপির কলকাতা জোনের কাজ দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে। অন্যদিকে কো-কনভেনার হিসেবে কাজ করবেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই রাজ্য বিজেপির (BJP West Bengal) সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। রাঢ়বঙ্গের জোনের দায়িত্বে থেকে গিয়েছেন দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনিও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে সঞ্জয় সিংকে। হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে রয়ে গেলেন দলের সাংসদ তথা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita: রবিবার লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ ব্রিগেডে, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঞ্চস্থলে শুভেন্দু 

    Gita: রবিবার লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ ব্রিগেডে, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঞ্চস্থলে শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাজির থাকার কথা থাকলেও মঙ্গলবারই জানা যায়, তিনি আসছেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী না এলেও গীতা (Gita) পাঠে রেকর্ড ভিড়ের ব্যাপারে আশাবাদী আয়োজকরা। শুক্রবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শনে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সাংবাদিক বৈঠকও করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে রবিবার, ব্রিগেডে এমন দাবিই করলেন তিনি।

    দক্ষিণবঙ্গে ১০টি ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে

    জানা গিয়েছে, প্রথমে ঠিক ছিল দুটি মঞ্চ হবে। একটি মূল মঞ্চ যেখানে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান চলবে এবং অপর মঞ্চে হাজির থাকবেন শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী ও নরেন্দ্র মোদি। তবে এখন একটি মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। পার্থ-সারথী মঞ্চ নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ। আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক দূরের জেলাগুলি থেকে মানুষজন এখন থেকেই কলকাতাতে আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে সকলে নিজেদের প্রোফাইল পিকচারও বদলে ফেলছেন এবং সেখানে গীতা (Gita) পাঠে কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে গীতা পাঠে অংশগ্রহণকারীরা এখনও পর্যন্ত দশটি ট্রেন ভাড়া করেছেন। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে এ ধরনের কোনও ট্রেন আসছে না।

    কী বলছেন আয়োজকরা?

    এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অর্থাভাবের জন্য আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় আসার কোনও ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। তা সত্ত্বেও কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ আসবেন। আর দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতা মিলিয়ে গীতাপাঠে (Gita) যোগ দেবেন ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।’’ আয়োজকদের তরফ থেকে শচীন্দ্রনাথ সিং বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচিতে গীতাপাঠই মুখ্য। প্রধানমন্ত্রী এলে আমাদের ভালো লাগত। তবে তিনি না এলেও গীতা ভক্তদের আগ্রহ একটুও যে কমেনি সেটাই দেখা যাবে রবিবার ব্রিগেড ময়দানে। কোনও রাজনৈতিক ছোঁয়া ছাড়াই অতীতে কোথাও এত বড় কর্মসূচি হয়নি। রবিবার রাজ্যের আদিবাসী সমাজের বহু মানুষও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher: শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, নয়া নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

    Teacher: শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, নয়া নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকদের স্কুলে ঢোকার সময় এবার বেশ খানিকটা এগিয়ে আসছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে জানুয়ারিতেই। তখন সকাল ১০ টা ৫০ নয়, সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটের মধ্য়েই স্কুলে চলে আসতে হবে শিক্ষকদের (Teacher)। নন-টিচিং স্টাফদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। সমস্ত ধরনের স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নয়া নিয়মবিধি কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। জুনিয়র হাইস্কুল, সেকেন্ডারি স্কুল (সরকার ও সরকার পোষিত)-সহ বোর্ডের আওতাধীন সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

    ১০ টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য ‘লেট’ মার্ক হবে

    নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে স্কুলের সমস্ত স্টাফকে (টিচিং, নন-টিচিং) প্রার্থনায় থাকতে হবে। ১০ টা ৪০ থেকে ১০ টা ৫০ পর্যন্ত প্রার্থনার জন্য সময় বরাদ্দ থাকছে। ১০ টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য ‘লেট’ মার্ক হবে। শুধু তাই নয়, ১১ টা ১৫ মিনিটের পর যদি কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা (Teacher) স্কুলে আসেন, তাহলে তাঁকে সেদিনের জন্য ‘অনুপস্থিত’ হিসাবে গণ্য করা হবে।

    সাড়ে ৪টে অবধি স্কুলে থাকতেই হবে

    নতুন শিক্ষাবর্ষে (Teacher) সাড়ে ৪টে অবধি স্কুলে থাকতেই হবে প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের। ক্লাসের ভিতর মোবাইল ফোনের অযথা ব্যবহার অথবা ব্লু টুথ ডিভাইস ব্যবহার করে গান শোনা কোনওভাবেই চলবে না। ‘টিচিং এইড’ হিসাবে যদি মোবাইল বা স্মার্ট ফোন ক্লাসে ব্যবহার করতে হয়, সে ক্ষেত্রে লিখিত অনুমতি নিতে হবে আগে থেকে। নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শিক্ষকেরা কে কতক্ষণ ক্লাস নিচ্ছেন, কতগুলো ক্লাস নিচ্ছেন, তা নিজেরাই ডায়েরিতে লিখে রাখবেন। প্রধান শিক্ষকের নজরেও থাকবে বিষয়টি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারা সপ্তাহের জন্য শিক্ষকদের রুটিন তৈরি করবেন। ওই রুটিন পাঠানো হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

    Barrackpore: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে জড়িতে সন্দেহে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার করার পর থেকেই সরগরম বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি। শুক্রবার পাপ্পুকে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের আবেদন জানানো হয়। বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ভিকি যাদব খুনে অন্যতম অভিযুক্ত পঙ্কজ সিং, ইফতিকার আলম শুক্রবার আদালতের তোলা হয়েছিল। বিচারক এই দুজনকেও চার দিনের পুলিশ হেপাজতের  নির্দেশ দিয়েছেন। পঙ্কজ এবং পাপ্পুকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।  

    বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন অর্জুন অনুগামীরা

    বৃহস্পতিবার বারাকপুরে (Barrackpore) গোয়েন্দা দফতরে পুরানো একটি মামলায় তদন্তের স্বার্থে হাজিরা দিতে এসে পাপ্পু সিং গ্রেফতার হন। তারপরই পরেই অর্জুন সিংয়ের অনুগামীরা রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই জগদ্দল, ভাটপাড়া এলাকায় তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের  সঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। যদিও পুলিশ প্রশাসনে কড়া নজরদারি থাকায় রাতে বড় কোনও গন্ডগোল হয়নি। তবে শুক্রবার সকালে ভাটপাড়ার অর্জুন সিংয়ের খাস তালুক মজদুর ভবনের সামনে পাপ্পু সিং এর অনুগামীরা সোমনাথ শ্যামের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ভিকি যাদব খুনের অন্যতম অভিযুক্ত পঙ্কজ সিং সোমনাথের ঘনিষ্ঠ। জন্মদিনের পার্টিতে সোমনাথ সিং পঙ্কজকে কেক খাওয়াতে দেখা গিয়েছে। পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হলে এই খুনের ঘটনায় সোমনাথকে গ্রেফতার করতে হবে।

    বারাকপুর (Barrackpore) আদালতে দিনভর কী হল?

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালেই পাপ্পু সিংকে কোর্ট লকআপে নিয়ে আসা হয়। বেলা বাড়তে আদালতের সামনে অর্জুন অনুগামী ও পাপ্পু সিং এর অনুগামীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। পাপ্পুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে রীতিমতো তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূল কর্মীদের ভিড়ে আদালতের সামনের এস এন ব্যানার্জি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পাপ্পু সিংকে মুক্তির দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন। যার জেরে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিশেষ করে রিভার সাইড রোডে প্রচুর স্কুল রয়েছে। স্কুলের ছেলেমেয়েদের অনেকটা ঘুরে যেতে হয়। দুপুরের  দুটো নাগাদ মামলাটি আদালতে ওঠে। বিচারক ছিলেন রাহুল ভট্টাচার্য। পাপ্পু সিংয়ের হয়ে প্রায় শতাধিক আইনজীবী সওয়াল করেন। আইনজীবীদের বক্তব্য, পাপ্পুকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারক রাহুল ভট্টাচার্য তদন্তকারী অফিসারের কাছে বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চান। তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় ১২ ই ডিসেম্বর পাপ্পু সিং যুক্ত থাকার বিষয়টি সামনে আসে। তাই ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত পেন্ডিং রাখার পর সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বিচারক পাপ্পু সিংকে পাঁচ দিনে পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দেন।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম?

    এদিকে সোমনাথ শ্যাম বলেন, আগেও বলেছি এখনও বলছি পাপ্পু তার কাকাকে (অর্জুন সিং) জিজ্ঞেস না করে কোনও কাজ করে না। পুলিশি তদন্তে পাপ্পু জড়িত থাকার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই, এই খুনের পিছনে অর্জুন সিংহের হাত রয়েছে। আমরা তার গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    সাংসদ অর্জুনের কী বক্তব্য?

    অর্জুন সিং বলেন, পাপ্পু গ্রেফতার করে কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে না। তৃণমূলে ক্ষতি করা যাবে না। অর্জুন সিংয়ের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। রোজ পাপ্পু সিং তৈরি করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। আমরা পাপ্পুর জন্য আইনি লড়াই লড়ব। মিথ্যা সব সময় মিথ্যায় প্রমাণিত হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share