Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Barrackpore: তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে অর্জুনের ভাইপো গ্রেফতার, সাংসদ-বিধায়কের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    Barrackpore: তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে অর্জুনের ভাইপো গ্রেফতার, সাংসদ-বিধায়কের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে এবার সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বারাকপুর (Barrackpore) কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরে। সেখানেই পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার করা হয়। পাপ্পু সিংয়ের আইনজীবী ও তাঁর অনুগামীরা বিক্ষোভের ফেটে পড়েন। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে অর্জুন সিং এর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। প্রকাশ্য মঞ্চে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন বারাকপুরবাসী (Barrackpore)। গত নভেম্বর মাসেই তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় বেশ  কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। দুদিন আগেই ভিকি যাদবের মা সহ ভাটপাড়া পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু সদস্য মিছিল করে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে হাজির হন। মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা। এই প্রতিবাদ মিছিলের পিছনেও সোমনাথের হাত রয়েছে বলে তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজনের মত। জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে রাজেন পান্ডে নামে একজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সেই মামলায় অর্জুনের ভাইপো পাপ্পুর নাম জড়ায়। গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা সেই ঘটনার তদন্তে বৃহস্পতিবার তলব করেন পাপ্পুকে। আইনজীবী রাকেশ সিং সহ বেশ কয়েকজন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে পাপ্পু গোয়েন্দা বিভাগে আসেন। পুরানো মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেই তাঁকে ভিকি যাদব খুনে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। এরপর এই গোয়েন্দা প্রধান শ্রীহরি পাণ্ডের সঙ্গে পাপ্পু সিংয়ের আইনজীবির রাকেশ সিংয়ের রীতিমতো বচসা হয়। পাপ্পুর অনুগামীরা  রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে  বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাপ্পু সিং গ্রেফতার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় জগদ্দলে। সেখানে পাপ্পু সিং অনুগামীরা ও রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আর এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে আসে।

    সোমনাথ শ্যাম পাপ্পুকে গ্রেফতার করিয়েছেন, সরব আইনজীবী

    পাপ্পু সিংয়ের আইনজীবী রাকেশ সিং বলেন, পাপ্পুকে অন্য একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অথচ তাঁকে খুনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হল। সোমনাথ শ্যাম পুলিশকে দিয়ে এসব করিয়েছে। পাপ্পু এলাকায় জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা। সেটা কখনও মেনে নিতে পারছেন না সোমনাথ। তাই তাঁকে হেনস্তা করতেই তাঁর নামে এভাবে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। অর্জুন সিং বলেন, ষড়যন্ত্র করে পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    সোমনাথকে নিয়ে কী বললেন অর্জুন?

    বারাকপুরের (Barrackpore) সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, দিন কুড়ি আগে থেকে সোমনাথ শ্যাম বলছে ভিকি যাদবকে খুন করিয়েছে আমার ভাইপো পাপ্পু। এদিকে, এই খুনের ঘটনায় ধৃত পঙ্কজ, যাকে পুলিশ মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে জানিয়েছে তার জন্মদিন সোমনাথ শ্যাম পালন করছে, বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে পঙ্কজ কেক কাটছে। সেই কেক সোমনাথ শ্যামকে খাওয়াচ্ছে। সেই ভিডিও, ছবি দেখে সবাই বুঝতে পেরেছে দুজনের কতটা গভীর সম্পর্ক। এই পঙ্কজ সোমনাথ শ্যামের লোক না হয়ে পাপ্পু সিংয়ের লোক হয়ে গেল? আসলে চক্রান্ত করে পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    খুনের পিছনে অর্জুন যোগ, প্রশ্ন সোমনাথের?

    সোমনাথ শ্যাম বলেন, “ভিকি যাদবকে খুন করার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিল পাপ্পু। তার বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে। এই পাপ্পু প্রকাশ্যেই বলতো, কাকা অর্জুন সিংয়ের কথা ছাড়া কোনও কাজ করিনা। তাহলে কোথাও না কোথাও কি এই খুনের পিছনে অর্জুন সিংও জড়িত আছে? এটাই আমার প্রশ্ন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনেই ডিএ নিয়ে ধর্নার অনুমতি

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনেই ডিএ নিয়ে ধর্নার অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে সরকারের বিরোধিতা করার অর্থই হল প্রশাসনের রোষানলে পড়া। সঙ্গত দাবি নিয়ে পথে নেমে কেউ আন্দোলন করলে তাতেও নেমে আসে শাসকের খড়্গহস্ত। পুলিশের প্রথম কাজই হয়, অনুমতি না দেওয়া। বিজেপি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে এরকম একাধিক ঘটনার সাক্ষী রাজ্যবাসী। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবশ্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে, পিছু হটে শেষমেশ অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে মমতার প্রশাসন। বৃহস্পতিবার একই ঘটনা ঘটল ডিএ আন্দোলনকারীদের ক্ষেত্রেও। তাঁদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভার অনুমতি আটকে দিয়েছিল পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে সেই অনুমতি দিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয়, এবারও বিচারপতির ভর্ৎসনা থেকে রেহাই মিলল না সরকারের।

    কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)

    সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পরিকল্পনা ছিল, তারা নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাদের প্রতিবাদ সভা করবে। সেই মতো পুলিশের কাছে নিয়ম মাফিক আবেদনও করে তারা। কিন্তু প্রথা মেনে পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। যুক্তি হল, রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যালয় হল নবান্ন। সেখানে এই ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, নিরাপত্তাও হতে পারে বিঘ্নিত। রাজ্যের আরও যুক্তি ছিল, এভাবে ধর্না দিয়ে নাকি কোনও কাজ হয় না। এরই উত্তরে বিচারপতি মান্থা পাল্টা প্রশ্ন করেন, রেড রোডেও তো ১৪৪ ধারা থাকে। তাহলে সেখানে প্রশাসন মিছিল বা শোভাযাত্রা করার অনুমতি কীভাবে দিচ্ছে? আর সেখানে অনুমতি দেওয়া হলে নবান্নের কাছে নয় কেন?
    এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধর্না কর্মসূচি করা যাবে, তবে কোনওভাবেই তা যেন ৭২ ঘণ্টার বেশি না হয়। একসঙ্গে ৩০০ জনের বেশি একই সময়ে থাকার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারপতি (Calcutta High Court)। বিচারপতি আরও জানিয়ে দেন, ধর্নাতে কাজ হয় না, এই যুক্তিরও কোনও সারবত্তা নেই। কারণ চাকরিপ্রার্থীরা যখন ধর্না দিচ্ছেন, তখন তা দেখেই সরকার তাঁদের আলোচনার টেবিলে ডেকেছিল।

    কী কর্মসূচি যৌথমঞ্চের?

    আদালতের রায়ে দৃশ্যতই খুশির আবহ আন্দোলনকারীদের মধ্যে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কোর্টের (Calcutta High Court) রায় মেনে তাদের কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছে। সেই মোতাবেক নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধর্নায় তারা বসবেন আগামী ২২ ডিসেম্বর, যা চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arjuna Award 2023: অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন নৈহাটির ঐহিকা, কেন জানেন?

    Arjuna Award 2023: অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন নৈহাটির ঐহিকা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেবল টেনিসে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য বাংলার তারকা ঐহিকা মুখোপাধ্যায় এবার অর্জুন পুরস্কার (Arjuna Award 2023) পাচ্ছেন। চিনের এশিয়ান গেমসে এই তারকা টেবল টেনিসের ডাবলসে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। বিশ্বকাপেও নৈহাটির এই মেয়ের নজরকাড়া সাফল্য ছিল। এরপর এই স্বীকৃতিতে রীতিমতো গর্বিত নৈহাটিবাসী। তবে, তারঁ সঙ্গে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন। তাঁর নাম পুরস্কারের তালিকায় নেই।

    অর্জুন পুরস্কার পাওয়া নিয়ে কী বললেন তারকা কন্যা (Arjuna Award 2023)

    বুধবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়া দফতর থেকে এবারে মোট ২৬ জন ক্রীড়াবিদকে অর্জুন পুরস্কার (Arjuna Award 2023) দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে বাংলার রয়েছেন তিনজন ক্রীড়াবিদ। ক্রিকেটের মহম্মদ শামি এই তালিকায় আছেন। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ কাপ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসাবে সম্মানিত হোন শামি। তারপরেই ভারতীয় বোর্ড শামির নাম অনুমোদন করে। আগে শামির নাম ছিল না। পরবর্তী সময়ে শামির নাম পাঠানো হয়। এশিয়ান গেমসে টেবল টেনিসে ব্রোঞ্জ পাওয়ায় খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান এই কন্যা। তাঁদের কোচ ছিলেন প্রথমে মিহির ঘোষ। তারপরে তিনি বেশি সাফল্য পান সৌম্যদীপ রায়ের কোচিংয়ে। এই পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ২৬ জানুয়ারি। এই সম্মান পাওয়া প্রসঙ্গে তারকা কন্যা  বলেন, সবসময় ভাল করে খেলা করার স্বপ্ন দেখতাম। অর্জুন পুরস্কার আমাদের কাজের বড় স্বীকৃতি। এটা আমাদের কাছে বিরাট প্রাপ্তিও। এতে আমাদের মনোবল আরও বেড়ে গেল। জানা গিয়েছে, বাংলার একুয়েস্ট্রিয়ানে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী আয়ুষ আগরওয়ালকে অর্জুন দেওয়া হচ্ছে।

    গর্বিত নৈহাটিবাসী

    অর্জুন পুরস্কারের (Arjuna Award 2023) নিয়ম হচ্ছে সফল ক্রীড়াবিদের নাম সেই ক্রীড়া সংস্থা থেকে পাঠাতে হয়। তবেই সেটি মনোনীত করে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। নৈহাটির এই কন্যার এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে খুশি এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাংলার সন্মানের সঙ্গে সঙ্গে নৈহাটিবাসীকে গর্বিত করলেন ঐহিকা। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egg Price: ডিমের দাম বাড়ছে হু হু করে, নাজেহাল মধ্যবিত্ত, মমতার টাস্ক ফোর্স কোথায়?

    Egg Price: ডিমের দাম বাড়ছে হু হু করে, নাজেহাল মধ্যবিত্ত, মমতার টাস্ক ফোর্স কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য এবং কম খরচে প্রোটিনের উৎস ছিল ডিম। মোটামুটি সাড়ে ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা ছিল প্রতি পিস ডিমের দাম। কিন্তু শীতের হাওয়া গায়ে লাগতেই যেন উলট পুরাণ। হু হু করে বেড়ে চলেছে ডিমের দাম (Egg Price)। গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন খুচরো বাজারে প্রতি পিস ডিমের দাম পৌঁছেছে সাড়ে ৭ টাকায়। অভিজাত বাজার এবং বাছাই করা ডিমের জন্য ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে পিস প্রতি আট টাকাও। ফলে আম আদমির এও যেন এক নয়া দুর্ভোগ। সামান্য ডিম কিনতে গিয়েও নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে। প্রতি বছর বড়দিনের আগে ডিমের দামে যে উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যায়, এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

    কেন এই মূল্যবৃদ্ধি? (Egg Price)

    এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আমাদের রাজ্য ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। ফলে মোট যা চাহিদা, তা মেটাতে অন্য রাজ্যের ওপর নির্ভর করতেই হয়। মূলত এ রাজ্যে ডিম আসে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা প্রভৃতি রাজ্য থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে তামিলনাড়ু তছনছ হয়ে গিয়েছে। আশানুরূপ ডিমের জোগান ওই রাজ্য থেকে মিলছে না। ফলে চাহিদার সঙ্গে জোগানে কোনও সামঞ্জস্য থাকছে না। কিন্তু এরকম একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই দুয়ারে কড়া নাড়ছে বড়দিন। এই সময় কেকের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। কেক তৈরির অন্যতম উপাদান হল ডিম। কিন্তু বাজারে ডিমের জোগান এমনিতেই কম থাকায় পরিস্থিতি আরও বিগড়ে গিয়েছে। চড়চড় করে বেড়ে চলেছে দাম (Egg Price)। চিকেনের দাম সাধারণ বাজারে কমতে কমতে কেজি প্রতি ১৬০-৭০ টাকায় নেমে এসেছিল। তাও যেমন বাড়ছে, তেমনি ডিমের দামেরও এমন অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতিতে মানুষ নাকানি চোবানি খাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কালোবাজারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠেনি তো? 

    টাস্ক ফোর্স কোথায়? (Egg Price)

    প্রশ্ন হল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকঢোল পিটিয়ে যে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছেন, তারা কোথায়? মুদ্রাস্ফীতির সময় তাদের মাঝে মধ্যে লোক দেখানো বাজার পরিদর্শনে দেখা গেলেও তার প্রভাব সেভাবে বাজারে পড়তে দেখা যায় না। অর্থাৎ, বাজার তার নিজের গতিতেই বেড়ে চলে (Egg Price)। ফলে এই টাস্ক ফোর্স নামক কুমির ছানা নিয়েও জনমানসে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: সংখ্যালঘু এলাকায় বেহাল রাস্তা সারায়নি তৃণমূল, তারপর কী হল জানেন?

    Arambagh: সংখ্যালঘু এলাকায় বেহাল রাস্তা সারায়নি তৃণমূল, তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ বছর পার হয়ে গেলেও হাল ফেরেনি গ্রামের ২ কিমি কাঁচা রাস্তার। এক হাঁটু কাদা পেরিয়েই তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই চিত্র আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটি-১ নং পঞ্চায়েতের সাঁপড়োজোল গ্রামের। এই গ্রামে ঢোকে না কোনও অ্যাম্বুল্যান্স, অসুস্থ রোগীকে নিয়ে যেতে ভরসা সেই খাটিয়া। এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের। এলাকাটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। তৃণমূল পঞ্চায়েতকে বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি। তাই, এবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি, বেহাল রাস্তা সংস্কার করার জন্য তৃণমূলের উপর নির্ভর না করে গ্রামবাসীরা নিজেরাই কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজে হাত লাগান।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটির সাঁপড়োজোল থেকে বেয়ুড় গ্রাম প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা। প্রায় ১৫ বছর ধরে রাস্তাটি বেহাল অবস্থা। তিনটি গ্রামের মানুষের ভরসা এই রাস্তা। যার ফলে যতদিন পেড়িয়েছে, ততই খারাপ হয়েছে রাস্তার হাল। বর্ষা ছাড়াও বৃষ্টি হলেই রাস্তায় এক হাঁটু সমান কাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এই রাস্তায় কোনও গাড়ি চলাচল করা যায় না। বেশিরভাগ সময় কাদা পেরিয়ে, সাইকেল কাঁধে নিয়ে পার হতে হয়। ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যেতে চরম অসুবিধা হয়। গ্রামে ঢোকেনা অ্যাম্বুল্যান্স। অসুস্থ রোগীদের খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।  সম্প্রতি ওই রাস্তায় কৃষি কাজে ট্রাক্টর ঢোকায় ফেটে যায় জলের পাইপ। তার জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় রাস্তা। গর্ত হয়ে যায় রাস্তা। তারপরও রাস্তা সংস্কারে তৃণমূল পঞ্চায়েত এগিয়ে আসেনি। তাই, গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই নিজেদের রাস্তা মেরামতের কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    এবিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিশির সরকার বলেন, আমি আগে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ করেছি। পঞ্চায়েতকে মোড়াম করার জন্য বলেছিলাম, তা করেছে কি না তা আমি জানি না। তবে, এবারে পথশ্রীর জন্য ওই রাস্তার নাম পাঠিয়েছি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এবিষয়ে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ওই এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। ওই কাঁচা রাস্তা একেবারেই বেহাল দশা। এলাকায় বহু সংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। এতদিন শুধু তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দিয়ে এসেছেন। অন্য দলকে ভোট দেয় নি। তৃণমূল দল কেমন তা ওরা এখন বুঝতে পারছেন। একবার বিজেপিকে ভোট দিয়ে রাস্তা সংস্কার হয় কি না দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ‘চোর কাটমানি খোরদের সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই’, কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    Hooghly: ‘চোর কাটমানি খোরদের সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই’, কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বিলিকে কেন্দ্র করে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। পরে, বেশ কিছুদিন তিনি চুপচাপ ছিলেন। দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে তাঁকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। এবার ফের বেসুরো তিনি। নাম না করে দলের নেতা-নেত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (Hooghly)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলির (Hooghly) বলাগড় বিধানসভা এলাকায় টিকিট বিলিবন্টন নিয়েও বিরোধ হয়েছে তৃণমূল নেতা তপন দাস, রুনা খাতুনের গোষ্ঠীর সঙ্গে মনোরঞ্জনের। এখানেই শেষ নয়, বলাগড় কলেজ পরিচলন সমিতি আগে ছিল বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। বর্তমানে তা রয়েছে মনোরঞ্জন ব্যপারীর। ফলত সেই কলেজে অন্য কেউ মাথা হয়ে উঠুক তা মোটেই পছন্দ নয় বিধায়কের তাই দলের একাংশকে তোপ দেগেছেন বলেন রাজনৈতিক মহল মনে করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘এতো ট্রেলর হ্যায়,পিকচার অভি বাকি হ্যায় দোস্ত। একটু অপেক্ষা কর সব কিছু পরিষ্কার হবে। চোর কাটমানি খোরদের সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই। আমি দিদির আশীর্বাদ নিয়ে বলাগড়ে এসেছি। চোর মাটি মাফিয়া জুয়া বোর্ডের মালিক যে যা পারিস করে নে।’

    পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    জিরাট পঞ্চায়েতের প্রধান তপন দাস বলেন,বিধায়ক এর আগেও বলাগড়ের প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধে কিছু না কিছু বলেছেন। বাদ ছিলাম আমি। বিধায়কের আমার বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য থাকলে দলের ভিতর বলতে পারতেন, এভাবে কেন করলেন জানি না। তাঁর সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে ফেসবুকে যা সব লিখেছেন তিনি তাতে বলাগড়বাসীর মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এসব নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নদীর চর দখল করে পাকা বাড়ি! অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক

    South 24 Parganas: নদীর চর দখল করে পাকা বাড়ি! অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের  শিবশক্তি ব্রিজ সংলগ্ন নদীর চরে গড়ে উঠছে পাকা বাড়ি। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষক তৈরি করছেন পাকা বাড়ি। মূলত, তৃণমূলের মদতেই সবুজকে ধ্বংস করে চলছে বেআইনি কারবার। এসবের জন্যই দেখেও দেখছে না প্রশাসন, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)  

    নদীবাঁধ রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বেশি করে ম্যানগ্রোভ লাগানোর কথা বলছেন, সেখানেই এমন ছবি ধরা পড়ল। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের শিবশক্তি ব্রিজ সংলগ্ন অপর পাড়ের নদীর চরের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নদী চরের গাছ কেটে তৈরি করছেন পাকা বাড়ি। এই স্কুলশিক্ষক স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শ্যামসুন্দর ডাকুয়া বলেন, বাড়ি তৈরি করার কাগজপত্র রয়েছে, সেই কারণেই তিনি ঘর তৈরি করছেন। তবে, বাড়ি তৈরির কোনও কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। কোনও অনুমতি ছাড়াই কী করে ঘর তৈরি হচ্ছে বা জলা জমিতে বাড়ি তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে সরকারি নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকার কাগজপত্র থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ বিষয়ে রামগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান প্রভাতকুমার সেনাপতি বলেন, চর দখল করে বাড়ি তৈরি করার কোনও অনুমতি কেউ নেয়নি। কেউ নিজের ইচ্ছে মতো এসব বেআইনি কাজ করতে পারেন। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক কী বললেন?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের বিএলআরও অপূর্ব পান্ডা বলেন, চর দখল করে বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ পেয়েছি। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই শিক্ষকের কাছে কী কাগজ রয়েছে তা জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেই শিক্ষকের এত সাহস!

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির মথুরাপুর সংগঠনিক জেলা কনভেনর অরুণাভ দাস বলেন, এই সমস্ত বিষয়ের সঙ্গে শাসকদল জড়িত। ওই শিক্ষক শাসকদলের ঘনিষ্ঠ না হলে এত বড় সাহস তিনি দেখাতে পারতেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSKM: প্রভাবশালীদের দখলে এসএসকেএম-এর বেড, জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    SSKM: প্রভাবশালীদের দখলে এসএসকেএম-এর বেড, জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতাল। এবার এই অভিযোগেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই মামলার মূল নির্যাস হল, চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়াই প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক এসএসকেএম-এর বেড দখল করে রয়েছেন। এতে মানুষের চিকিৎসা করাতে অসুবিধা হচ্ছে। সাধারণ রোগীরা বেড পাচ্ছেন না।

    আরও পড়ুুন: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    প্রভাবশালীদের দখলে বেড

    ওই মামলাতে আরও আবেদন করা হয়েছে, যে সমস্ত প্রভাবশালী ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। তাদের মেডিকেল রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হোক এবং সেগুলিকে আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হোক। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে বেড দখল করে রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে হার্টের অপারেশনের রোগীকে বেড থেকে নামিয়ে দিয়ে কালুঘাটে কাকুকে মাঝরাতে সেই বেডে রাখা হয়। এই ঘটনা ঘটে ঠিক কালীঘাটের কাকুর গলার কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করানোর আগের রাতে। এর ফলে ইডির পক্ষে আর সম্ভব হয়নি কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা। এখানেই উঠতে থাকে প্রশ্ন।

    রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এসএসকেএম-এ

    অন্যদিকে, একই অভিযোগ রয়েছে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধেও। যে তাঁর হার্টের কোনও সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও, প্রথমে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। এর পাশাপাশি ওই এসএসকেএম হাসপাতালে বেড না পেয়ে রোগীমৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে। হাওড়ার এক বৃদ্ধা প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে পড়েছিলেন হাসপাতাল চত্বরে। এরপর তাঁকে অন্যত্র রেফার করে কর্তৃপক্ষ। পরে ফের তাঁকে এসএসকেএম-এ (SSKM) আনা হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: পার্থর যেমন ছিলেন অর্পিতা, বালুরও তেমন ছিলেন নন্দিনী! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন স্বামীই

    Jyotipriya Mallick: পার্থর যেমন ছিলেন অর্পিতা, বালুরও তেমন ছিলেন নন্দিনী! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন স্বামীই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার সম্পর্কের কথা আজ আর কারও অজানা নয়। অনেকেই আড়ালে বলাবলি করছেন, তৃণমূলের প্রতিটি ‘সফল’ ব্যক্তির পিছনেই নাকি একজন ‘নারীর’ অবদান থাকে। আর তৃণমূল নেতাদের উত্থানের সঙ্গে এমন ‘নারী’দের জড়িয়ে থাকার ঘটনার খবরও তো আকছা্র হচ্ছে। তাহলে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) মাথায় কার স্নেহমাখা হাত? এমন একটা গুঞ্জন গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এবার সেই রহস্যেরও কিনারা হল। হ্যাঁ, জানা গেল, জ্যোতিপ্রিয় তথা বালুরও বান্ধবী ছিলেন, যিনি কিনা তাঁর সঙ্গে দার্জিলিং পর্যন্ত ঘুরে এসেছেন। আবার এই তথ্য যে কারও দেওয়া, এমনটা নয়, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন ওই মহিলারই স্বামীই।

    কী তথ্য সামনে এল? (Jyotipriya Mallick)

    বিধাননগর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ই এখানে মূখ্য চরিত্র। তাঁর স্বামী হলেন জয়ব্রত। এক ভিডিওতে তিনি দাবি করেছেন, ২০১৭ সাল থেকেই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। তাঁর একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে ফেলেই স্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন দার্জিলিং ঘুরতে। এমনকী সেই সম্পর্কের জেরেই তিনি বিধাননগর পুরসভার টিকিট পেয়ে কাউন্সিলর পর্যন্ত হয়ে যান। এখানেই থেমে থাকেননি। ‘বালুদা’র জন্য বাড়ির তৈরি খাবার নিয়ে যাওয়া, মুড়ি মেখে নিয়ে যাওয়া এসব তো চলতই। এভাবেই ধীরে ধীরে বালুর প্রিয়জন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পুরস্কার হিসেবে মেলে ফ্ল্যাটও। এরপরই তাঁর আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়াতে থাকেন। স্বামীকে তাঁর ফ্ল্যাটে আসতেও বারণ করেন। স্বামীর অভিযোগ, গত সেপ্টেম্বরে স্ত্রীর নতুন ফ্ল্যাটে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। ভিডিও বার্তায় তাঁর দাবি, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুরও আবেদন জানিয়েছেন।

    কী বললেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার?

    ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই চারদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে মুখ খুলেছেন কাউন্সিলার নন্দিনী। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, তাঁর স্বামী যা যা বলেছেন সবটাই মিথ্যা। তাছাড়া বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। এভাবে আমাকে উনি অসম্মান করেছেন। এর বিরুদ্ধেও আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। তিনি আরও বলেছেন, তিনি এবং জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) একসঙ্গে জেলায় রাজনীতি করেছেন। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক এইটুকুই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bayron Biswas: আয়কর কর্তাদের জেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাইরন! বাড়ি থেকে উদ্ধার ৭২ লক্ষ

    Bayron Biswas: আয়কর কর্তাদের জেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাইরন! বাড়ি থেকে উদ্ধার ৭২ লক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাড়িতে দিনভর চলে আয়কর দফতরের আধিকারিকদের তল্লাশি। বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে (Bayron Biswas) জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। আর জেরার মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে বাড়িতে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার পর সাগরদিঘির বিধায়ককে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়ার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিধায়ক।

    বাড়ি থেকে উদ্ধার ৭২ লক্ষ টাকা (Bayron Biswas)

    বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ বাইরনের সামশেরগঞ্জের বাড়িতে যান আয়কর আধিকারিকেরা। তখন থেকে বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে। রাতের দিকেও বাইরনের (Bayron Biswas) বাড়িতে আয়কর কর্তারা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যান। রাতের দিকে বিধায়কের বাড়িতে টোটোতে বালিশ, কম্বল নিয়ে আসা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আয়কর কর্তাদের জন্যই আনা হয়েছে এগুলি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, বাইরনের বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত নগদ ৭২ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। বাড়ি ছাড়াও আয়কর আধিকারিকদের কয়েক জন বিধায়কের বিড়ি কারখানা, স্কুল ও হাসপাতালে গিয়ে তল্লাশি চালান। বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন বিধায়কের পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  

    আয়কর হানা নিয়ে মুখ খুললেন বিধায়কের বাবা

    আয়কর হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিধায়ক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু, আয়কর আধিকারিকদের অভিযান নিয়ে মুখ খুললেন বিধায়কের (Bayron Biswas) বাবা বাবর বিশ্বাস। তিনি বলেন, আয়কর আধিকারিকদের কেউ কেউ আমাকে নিজের বাবার মতো মনে করে সম্মান দিয়েছেন। আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে অনেক কথা বলেছেন তাঁরা। এলাকার গরিব মানুষের উন্নতিসাধনে আমাদের যা অবদান, তার প্রশংসাও করেছেন তাঁরা। আমাকে খুব ভালো লোক, খুব দয়ালু লোক বলেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। আমাদের স্কুলে অনেক গরিব ছেলে ফ্রি- তে পড়াশোনা করে। গরিব মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর প্রশংসা করেছেন আয়কর কর্তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share