Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CID: ‘হেনস্থা’ করছে সিআইডি! প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর

    CID: ‘হেনস্থা’ করছে সিআইডি! প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি (CID) তাঁর ওপর কার্যত অত্যাচার চালাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি বিচারপতির স্বামী চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকেও।

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা 

    আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-র বক্তব্য, তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছিল যেখানে সিআইডি (CID) তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লেখার জন্যও চাপ দিতে থাকে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার একের পর এক নির্দেশে খুশি হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সম্প্রতি, বিচারপতি সিনহা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির উৎস কী, তাও জানতে চেয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই  বিচারপতি সিনহার স্বামীকে এভাবে হেনস্থা করছে রাজ্যের সিআইডি (CID)।

    জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিচারপতির স্বামীকে কিছু খেতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ

    সিআইডির বিরুদ্ধে প্রতাপচন্দ্র দে আরও জানিয়েছেন, আদালতের কাজকর্ম শেষ করে দুপুর দুটো নাগা তিনি সিআইডি (CID) অফিসে হাজিরা দিতে যান। তখন থেকে রাত্রি এগারোটা পর্যন্ত সেখানে সিআইডি অফিসাররা তাঁর ওপর কার্যত অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে দাবি বিচারপতির স্বামীর। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে ওষুধ নিতে হয় সেদিন সিআইডি সে বিষয়ে কোনও গুরুত্বও দেয়নি বলে অভিযোগ প্রতাপচন্দ্র দের।

    প্রতাপবাবুর মতে, যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করেছে সিআইডি (CID) অফিসাররা। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলাতে চাপ দেওয়া হয়। প্রতাপবাবুর দাবি, নানা কুকথা বলে মিথ্যে অভিযোগ করার কথা বলা হয়। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হয়। প্রতাপবাবুর অভিযোগ, তাঁকে টানা ন’ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sahitya Akademi Awards: সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেলেন দুই বঙ্গ-সন্তান স্বপ্নময় চক্রবর্তী, টুরিয়াচাঁদ বাস্কে

    Sahitya Akademi Awards: সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেলেন দুই বঙ্গ-সন্তান স্বপ্নময় চক্রবর্তী, টুরিয়াচাঁদ বাস্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (Sahitya Akademi Awards) পেলেন দুই বঙ্গ-সন্তান। একদিকে তাঁর ‘জলের উপর পানি’ উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী। অন্যদিকে, ‘জবা বাহা’ গল্প সঙ্কলনের জন্য এ রাজ্যের সাঁওতালি ভাষার সাহিত্যিক টুরিয়াচাঁদ বাস্কে জিতে নিয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।

    কলোনি জীবনের কাহিনি বলে ‘জলের উপর পানি’

    ‘চতুষ্পাঠী’- উপন্যাসের পরবর্তী অধ্যায় ‘জলের উপর পানি’। প্রকাশের পর থেকেই পাঠকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এই উপন্যাস। পরবর্তীতে তা বই আকারে প্রকাশিত হয়। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাঙালি সাহিত্যিক বলেন, ‘‘প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। এটা যে সত্যি হতে পারে ভাবা ছিল না। খবরটা সাহিত্য অকাদেমি থেকে নয়, এক বন্ধু প্রথম জানায়। তারপর সাহিত্য অকাদেমি ফোনে খবরটি নিশ্চিত করে।’’ সাহিত্যিক আরও বলেন, ‘‘এই বইটি আমি খুব খেটেখুটে লিখেছিলাম। দেশভাগ পরবর্তী পর্ব নিয়ে লেখা এই উপন্যাস। এখানে রয়েছে মূলত কলোনি জীবনের কাহিনি। তার মধ্যে সংস্কৃতির সম্বন্বয়ও রয়েছে। এর জন্য পুরস্কার পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’’ এর আগে, আনন্দ ও বঙ্কিম পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এবার পেলেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (Sahitya Akademi Awards)। 

    ইংরেজির শিক্ষকের সাহিত্য-জয়

    স্বপ্নময় একা নন। এবছর সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার জিতে নিয়েছেন আরও এক বঙ্গ সন্তান। তিনি হলদিয়ার বাবুপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক টুরিয়াচাঁদ বাস্কে। আদতে ঝাড়গ্রামের লালগড়ের পানপুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা টুরিয়াচাঁদ। ‘জবা বাহা’ গল্প সঙ্কলনের জন্য এ রাজ্যের সাঁওতালি ভাষার সাহিত্যিক টুরিয়াচাঁদ জিতে নিয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। তারাসিন বাস্কে ছদ্মনামে বই লেখেন তিনি। 

    পুরস্কার (Sahitya Akademi Awards) জিতে স্বভাবতই খুশি টুরিয়াচাঁদ। বলেন, ‘‘স্কুলে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি সাহিত্য নিয়ে চর্চা করি। সাঁওতালি ভাষায় বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ পেয়েছে। এই ধরনের পুরস্কার আমাকে আগামী দিনগুলিতে আরও বেশি করে লেখার জন্য উদ্যমী করে তুলবে।’’ প্রসঙ্গত,  এবছরই ‘শিক্ষারত্ন’ পেয়েছেন টুরিয়াচাঁদ। এর আগে, তিনি ২০১৫ সালে সাঁওতালি অ্যাকাডেমি প্রদত্ত সারদাপ্রসাদ কিস্কু পুরস্কার, ২০১৯ সালে সাধুরাম চাঁদ স্মৃতি পুরস্কারও পান।

    ঘোষিত ২০২৩ সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার

    বুধবারই, কেন্দ্রের তরফে ঘোষিত হয়েছে এবছরের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপকদের নাম। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এই ঘোষণা করেছে। ২৪টি ভাষায় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। কবিতা, উপন্যাস, ছোট গল্প, প্রবন্ধ এবং সাহিত্য অধ্যয়ন— এই কটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৯টি কবিতার বই, ৬টি উপন্যাস, ৫টি ছোট গল্প, ৩টি প্রবন্ধ এবং ১টি ক্ষেত্রে সাহিত্যকর্মের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

    বিশেষ নির্বাচকমণ্ডলী এই পুরস্কার প্রাপকদের বেছে নিয়েছেন। তাতে সিলমোহর দিয়েছে সাহিত্য অকাদেমি এক্সিকিউটিভ বোর্ড। সেই বোর্ডে রয়েছেন সাহিত্যিক শ্রীমতী বাণী বসু, শ্রীনলিনী বেরা এবং শ্রীশিবাশিস মুখোপাধ্যায়। এখন সাহিত্য একাদেমির সভাপতি শ্রী মাধব কৌশিক। জুরি সদস্যদের সুপারিশে এই অনুমোদন দিয়েছে সাহিত্য অকাদেমির (Sahitya Akademi Awards) কার্যনির্বাহী পর্ষদ। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে তামার একটি মানপত্র, একটি শাল এবং নগদ ১ লক্ষ টাকা। আগামী ১২ মার্চ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সিবিআইকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মনে করাল হাইকোর্ট, নিয়োগ-তদন্ত শেষ কবে?

    Calcutta High Court: সিবিআইকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মনে করাল হাইকোর্ট, নিয়োগ-তদন্ত শেষ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ সিবিআইকে নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক দু’মাস শেষ হতে আর বাকি রয়েছে কয়েকটা দিন মাত্র। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সেই কথা ফের একবার মনে করিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আগামী বছরের ৯ জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা তদন্তকারী সংস্থার।

    ২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে সিবিআইকে 

    বুধবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে ৯ জানুয়ারির মধ্যেই তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে অর্থাৎ আর ২০ দিনের মধ্যে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করতে হবে। নভেম্বরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া এই নির্দেশের সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে যাবতীয় মামলা নিষ্পত্তি করারও সময় বেঁধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এবং সে ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয় যে চূড়ান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জমা দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনেই বুধবার নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে আদালতে পেশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার এই রিপোর্ট পাওয়ার পরে  হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ জানায়, চাকরিহারাদের কেউ চাইলে এই মামলায় যুক্ত হতে পারেন।

    মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানেই চলছে যাবতীয় মামলার শুনানি। চলতি সপ্তাহের সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকেও হাইকোর্ট জানায়, কিছু লুকোতে চাইছে এসএসসি। সোমবার তৃতীয় রিপোর্ট জমা দেয় এসএসসি, তাতে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। পরবর্তীকালে বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশন ফের রিপোর্ট জমা দিল। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ জানুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বালি তোলার সরকারি চালান নকল করে বিক্রি! লক্ষ লক্ষ টাকা আয়, তারপর কী হল জানেন?

    Birbhum: বালি তোলার সরকারি চালান নকল করে বিক্রি! লক্ষ লক্ষ টাকা আয়, তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম (Birbhum) জেলার বৈধ বালিঘাট মালিকদের অনলাইনে চালান কেটে তা ছাপিয়ে রাখতে হয়। বিক্রির সময়ে সেই চালান ট্রাক চালকদের হাতে দিয়ে দিলেই বালি নেওয়ার ছাড়পত্র মেলে। গড়ে প্রতিটি ট্রাক চালককে তিন হাজার টাকার রাজস্ব আদায়ের চালান নিতে হয়। সরকারি সেই চালান নকল ছাপিয়ে তা কম দামে বিক্রি করা হত। আর এই নকল চালানের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। রাতারাতি মালামাল হয়ে যায় নকল চালান তৈরির মালিক। লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ও করেছে বেআইনি এই কারবার ফেঁদে। বছর দেড়েক ধরে এই কারবার চালানোর পর অবশেষে পুলিশ তদন্তে নামে। নকল কারবারির হদিশ পায় পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ময়ূরেশ্বর থানার কলেশ্বরে হানা দিয়ে একটি ছাপাখানা ও তার মালিককে গ্রেফতারও করা হয়।

    কীভাবে চলত এই চক্র? (Birbhum)  

    বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর থানার কলেশ্বরের কুনুটিয়া গ্রামের মোড়ে রয়েছে একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা রয়েছে, বই বাঁধানো হয়। এই বই বাঁধানোর ছাপাখানার আড়ালেই চলত নকল চালানের কারবার। দিনে রাতে লাখ লাখ টাকার লেনদেন চলত। আর নকল চালানের কারণে জেলাজুড়ে রাজস্ব আদায় কমে যাচ্ছিল। তিন হাজার টাকার চালান পাঁচশো টাকায় বিক্রি করত বলে অভিযোগ। রাস্তার পাশের দোকানে হাত গলিয়ে ‘বালি’ বললেই হুবহু আসল চালানের মতো ছাপ দেওয়া কাগজ মিলছিল এতদিন। ট্রাকচালকরা ওই নকল চালান ব্যবহার করছিলেন বলেই খবর। দিব্যি কারবার চালাচ্ছিলেন কুনুটিয়া গ্রামের আলতামাস কবির মল্লিক। অভিযোগ, গোটা পরিবারই এই কাজে যুক্ত। তদন্তে নেমে পুলিশ এই নকল কারবারির হদিশ পায়।

    ধৃতের কাছে থেকে কী কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    মঙ্গলবার গভীর রাতে অতিরিক্ত জেলাশাসক অসীম পাল, ময়ূরেশ্বর থানার ওসি-সহ যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। বেআইনি কারবারে অভিযুক্ত আলতামাসের বাড়ি থেকে দামি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ছাপার যন্ত্র-সহ একধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বীরভূম (Birbhum) জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে  কিনা তারও তদন্ত করবে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের হাতেই পুলিশকর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্রাউন সুগার সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যার মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবল রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কনস্টেবলের নাম শেখ আজিজুল। অন্য জনের নাম শেখ শাহবাজ। দু’জনের বাড়ি মালদহের রতুয়ার বাহারাল-সাহাপুরে। শাহবাজ সম্পর্কে আজিজুলের শ্যালক। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে একশো গ্রামের বেশি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য দেড় লক্ষ টাকার মতো।

    পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ ছিল? (Cooch Behar)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ আজিজুল বছর তিরিশের যুবক। বছর চারেক আগে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান তিনি। এক বছর আগে, কোচবিহার ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্য করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তারপর থেকেই একাধিক অভিযান ব্যর্থ হতে শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের। তার মধ্যে সবগুলিই ‘ব্রাউন সুগার’ সম্পর্কিত ঘটনা। বেশ কয়েকটি ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করা হয়। ওই অভিযানের প্রত্যেকটিতে শামিল ছিলেন আজিজুল। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর আগেই দেখা যায়, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের মোবাইলও বন্ধ। এক পুলিশ অফিসার বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহক সেজে অভিযান করি। কিন্তু দেখা যায়, আগে থেকেই সব জেনে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তখনই আমাদের সন্দেহ দানা বাঁধে, পুলিশকর্মীদের মধ্যে থেকেই পাচার করে দেওয়া হচ্ছে অভিযানের তথ্য। তদন্তে নেমে আজিজুলকে সন্দেহ করা হয়। তাঁর মোবাইলে ফাঁদ পাততেই উঠে আসে একের পরে এক তথ্য। জানা গিয়েছে, আশ্রমঘাটে ফাঁদ পাতে কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। রতুয়ায় বেশ অবস্থাপন্ন আজিজুলের পরিবার। বেশ কিছু জমিজমাও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু আজিজুল ব্রাউন সুগারের কারবারের সঙ্গে জড়িত তা বিশ্বাস করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

    জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাতে আরও নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pirates of Somalia: ভারতীয় নৌসেনার বিরাট সাফল্য, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার এক নাবিক

    Pirates of Somalia: ভারতীয় নৌসেনার বিরাট সাফল্য, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার এক নাবিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালি জলদস্যুদের (Pirates of Somalia) হাতে অপহরণের শিকার হয়েছেন জাহাজের নাবিকরা, রীতিমতো লড়াই করে আহতও হয়েছেন। পরে তাঁদের মধ্যে একজন নাবিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। তাদের এই সাফল্যে শোরগোল পড়েছে দেশে। গত ১৪ ডিসেম্বর এমভি রুয়েন নামক একটি জাহাজ থেকে সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠানো হয় ভারতীয় নৌসেনার কাছে। সেখানে বলা হয়, ছ’জন জলদস্যু অবৈধ ভাবে দখল করেছে জাহাজকে। এরপর ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে ওই নাবিককে উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    কী ঘটেছিল ঘটনা (Pirates of Somalia)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, আরব সাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের (Pirates of Somalia) কবলে আটকে পড়া পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধারে কাজ করে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। এমভি রুয়েন নামে ওই মালটার পণ্যবাহী জাহাজটি অপহরণের শিকার হয়েছিল। তাতে ১৮ জন নাবিক ছিলেন। এর মধ্যে একজনকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। একটি হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে বর্তমানে ওমানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কীভাবে উদ্ধার করা হল?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার অপহরণের পর জলদস্যুরা (Pirates of Somalia) জাহাজটিকে সোমালিয়ার তটের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় খবর পেয়ে এডেন উপসাগরে টহলরত ভারতের নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ এবং একটি বিমান সেখানে পৌঁছে যায়। ভারতের সরকারি একটি সূত্রে বলা হয়, জলদস্যুরা মিলে জাহাজকে সোমালিয়ার সীমানার দিকে নিয়ে যেতেই ভারতীয় নৌবাহিনী আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর শুরু হয় দস্যুদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ। সংঘর্ষে বেকায়দায় পরে দস্যুরা এক আহত নাবিককে মুক্তি দিতে সম্মত হয়।

    উল্লেখ্য, জলদস্যুদের কারণে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্ষেত্রে দস্যুরা জাহাজ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ উঠে আসে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই জলদস্যুদের প্রভাব কম থাকলেও বর্তমানে তারা বেশ সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ভারতের উপকূলগুলিতে সমুদ্র সীমান্তে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    Cooch Behar: পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে শাসকদলের দলদাস সহ নানা অভিযোগ করে বিরোধীরা। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের কোচবিহার (Cooch Behar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শুধু পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুলে তিনি চুপ থেকেছেন তা নয়, তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে কোচবিহার পুরসভার বোর্ড মিটিং করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    কেন পুলিশের বিরুদ্ধে চটলেন তৃণমূল নেতা? (Cooch Behar)

    কোচবিহার (Cooch Behar) রাসমেলার আয়োজন করে পুরসভা। মেলার সূচনা ও সমাপ্তি- দুই পর্বই পুরসভা ঘোষণা করে। সেখানে মেলা শেষ হওয়ার তিন দিন আগে থেকেই মেলার সমাপ্তির কথা জানিয়ে মাইকে প্রচার করে পুলিশ। ২৭ নভেম্বর এ বার মেলা শুরু হয়। কুড়ি দিনের মেলা শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর। ব্যবসায়ীরা মেলার মেয়াদবৃদ্ধির দাবি করলেও, তা মানা হয়নি। অভিযোগ, ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে পুলিশ দোকান ভেঙে নিতে ব্যবসায়ীদের উপরে চাপ তৈরি করে। ঐতিহ্যবাহী রাসমেলার শেষ মুহূর্তে ব্যবসায়ী ও পুরকর্মীদের উপরে অত্যাচার করেছে পুলিশ। তা নিয়ে দু’দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মীরা। তাতে শহর জুড়ে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাসমেলার মাঠ, ভবানীগঞ্জ বাজারে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় শহরে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান পুরকর্মীরা। পরে, পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁদের কাছে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন করেন। চেয়ারম্যানের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশ জানান পুরকর্মীরা। এরপরই তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার চেয়ারম্যান পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এ বারের রাসমেলায় পুলিশের একটি অংশের ভূমিকা মোটেই ভাল ছিল না। নিরীহ ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়েছে। তাঁদের জিনিসপত্র নিয়ে দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাব।

    জেলা পুলিশের এক কর্তা কী বললেন?

    কোচবিহার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, মেলা শেষ হওয়ার পরেও একটি অংশ আটকে কেনাবেচা করা হচ্ছিল। তাতে ভিড় বাড়ছিল। সে জন্যেই সবাইকে দোকান ভেঙে নিতে বলা হয়েছে। পুরকর্মীরা যে অভিযোগ করছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঘিরে এখন পার্কিং জোন, প্লেট ঢেকেছে মুহুরিদের প্লাস্টিকে

    Howrah: স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঘিরে এখন পার্কিং জোন, প্লেট ঢেকেছে মুহুরিদের প্লাস্টিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার যে রেজিস্ট্রি অফিসে বেলুড় মঠের জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ স্বয়ং, সেই জায়গা এখন হয়ে উঠেছে পার্কিং জোন। ভবনের সামনের অংশে একটা প্লেট দেওয়া আছে ঠিকই, কিন্তু তা ঢেকে গিয়েছে মুহুরিদের টাঙানো প্লাস্টিকে। মহাপুরুষরা যেখানে যেখানে যান বা গিয়েছেন, তার প্রতিটি জায়গা হেরিটেজ বলে ঘোষণা করা সম্ভব নয়। কিন্তু যে সব জায়গায় মহাপুরুষদের স্মৃতি আছে, সেখানে একটা ফলক বসিয়ে দিলেই কি যথেষ্ট শ্রদ্ধা দেখানো হয় যায়? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মনেই। তাছাড়া যেভাবে দায়সারা করে একটি মূর্তি বসিয়ে তার নীচে ফলক দেওয়া হয়েছেে, তাতে এই জায়গায় ঐতিহাসিক গুরুত্ব পথচারীরা জানতে পারছেন কিনা, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তাছাড়া নাগরিক সমস্যাও রয়েছে।

    দুর্ঘটনা এখানে লেগেই থাকে

    বিবেকানন্দের মূর্তি ফুটপাতের যেখানে বসানো হয়েছে, তার দুপাশ ঘেরা। ফলে পথচারীরা এই ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা করতে পারেন না। সামনে আবার সার সার গাড়ি দাঁড়িয়ে। বাধ্য হয়েই এখানে ফুটপাতের বদলে রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। রেজিস্ট্রি অফিস, হাওড়া আদালত, হাওড়া পুরসভা ও জেলা পরিষদে আসা লোকজনের ভিড় থাকে প্রতিদিনই। কোর্ট ও রেজিস্ট্রি অফিসেও নিত্যদিনের ভিড় যথেষ্ট। হাটের দিন আবার দশগুণ ভিড় হয়। ফলে ছোট ও মাঝারি দুর্ঘটনা এখানে লেগেই থাকে। উল্টো দিকেই হাওড়া জেলাশাসকের অফিস, কাছেই হাওড়া থানা ও পুলিশ কমিশনারের অফিস। তাও এই জায়গার চরম অব্যবস্থা কেন কারও চোখে পড়ে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আদালতে প্রায়ই যাঁরা নানা কাজে আসেন তাঁরা। হাওড়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এই জায়গায় নিত্য আসতেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কোথায় সেই ফলক রয়েছে, তা বলে না দিলে কেউ খুঁজেও পাবে না। সময়ের সঙ্গে এই জায়গার ব্যস্ততা বেড়েছে। ভিড় বেড়েছে। ভবনের সংস্কার হয়েছে, কাছাকাছির মধ্যে নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্যকে যে অবহেলা করে সেসব করা হয়েছে, তা সাধারণের চোখে এমনিতেই ধরা পড়ে যায়। আর নানা রকম কর্মকাণ্ড হলেও পথচারীদের নিরাপত্তাকে যে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তাও স্পষ্ট।

    পরিকল্পনার অভাব

    এই জায়গায় নতুন করে কিছু করা এই মুহূর্তে সম্ভব না হলেও, বঙ্কিম সেতু ও জি টি রোডের সংযোগস্থলে যেখানে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠেছে, হাওড়া ময়দান মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলাকালীন সেখানে কেন পার্কিং লট বানানো হল হল না, সেই প্রশ্নও উঠছে। এই এলাকায় ছবি গত দশ বছরে পুরো বদলে গিয়েছে। কিন্ত যা হয়েছে তার কিছুই যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে করা হয়নি তা স্পষ্ট। এখনও মেট্রো রেল চালু হয়নি। এখনই সরকারি স্তরে উদ্যোগ শুরু হলে নিউ মার্কেটের মতো এখানেও মাটির নিচে পার্কিং লট তৈরি করে রাস্তা ও ফুটপাত সাধারণের চলাচলের উপযোগী করা যায়।

    পুরসভা অন্ধকারে

    অন্যদিকে হাওড়া আদালতের সামনে হাওড়া পুরসভা অনুমোদিত যে পার্কিং জোন রয়েছে, তার আয়তন কতটা, তার সঠিক তথ্য নেই পুরসভার কাছেই। ফলে পার্কিং ফি নেওয়ার দায়িত্ব যে এজেন্সির কাছে, তারা যথেচ্ছ ভাবে ডবল লাইন করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের অনুমতি দেয়। আর এর ফলেই যানজট এবং মাঝেমধ্যেই পার্কিংকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল লাগে এখানে। কয়েক বছর আগে ডবল লাইনে পার্কিংকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের সঙ্গে গন্ডগোলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ময়দান এলাকা। এমনকী র‍্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হাওড়া আদালতের সামনে পার্কিং ঠিক কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। যদি রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে পার্কিংয়ের অনুমতি না থাকে তাহলে সেখান থেকে পার্কিং তুলে দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ ডিসেম্বর নবান্নের ১৪ তলায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে হাজির হননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়। উল্লেখ্য এই দিনেই শুভেন্দু হঠাৎ নবান্নে পৌঁছে যান। তিনি নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!”। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, চন্দনা বাউরি সহ আরও দুই বিধায়ক।

    কখন পৌঁছালেন নবান্নে (Suvendu Adhikari)?

    এদিন বেলা ১১ টা ৫০ মিনিট নাগাদ পৌঁছে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নবান্নে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে নবান্নে নিরাপত্তা বলয় কম ছিল। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নবান্নে পৌঁছালে দ্রুত নিরাপত্তা বলয় বৃদ্ধি করা হয়। একদিকে আজ যখন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করছিলেন, ঠিক সেই সময় শুভেন্দু, মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে, তাই জানতে চেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    নবান্ন থেকে বের হয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিজেপির সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রের আবাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যুক্তি ও তথ্য দিয়ে আমরা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বলে গেলাম। মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেছি। আইন মেনে আমরা মোট পাঁচ জন এসেছি। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট লুট হয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দিল্লিতে ড্রামা করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শৌচালয়ের টাকা পায়নি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাই আজ এখানে প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম।”

    শুভেন্দুর হাতে পোস্টার

    সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) নিজের হাতে একটি পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন নবান্নের সামনে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা, আবাস যোজনার টাকার কথা লেখা ছিল। মোদির সময়ে যত বেশি পরিমাণে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই হিসাবও এদিন লিখে আনেন শুভেন্দু পোস্টারে। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের করা সকল অভিযোগকে খারিজ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিগত কংগ্রেস সরকারের আমল থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অনেক বেশি আর্থিক বরাদ্দ করেছ বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। পালাটা রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ করেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    Nadia: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে গ্যাসের কেওয়াইসি করানোর অভিযোগ। মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রাহকদের। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Nadia)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    আধার লিংক করাতে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে! (Nadia)

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর (Nadia) দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রীর নামে গ্যাসের ডিলারশিপ রয়েছে। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী গোটা দেশ জুড়ে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক করানোর কাজ। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিভিন্ন গ্যাসের ডিলারের অফিস থেকে এই কেওয়াইসি করার নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। সেই মতো বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকরা গিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাঁদের আধার লিঙ্ক করিয়ে আনছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রী সোমা বিশ্বাস গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে বলা হচ্ছে এখানে কেওয়াইসি করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সোমা বিশ্বাস এবং তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে। মূলত এই অভিযোগ তুলেই একাধিক গ্রাহক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রাহকদের বক্তব্য, কেন ২০০ টাকার বিনিময়ে আমরা কেওয়াইসি করব, যেখানে সরকারি নির্দেশ রয়েছে সম্পন্ন বিনামূল্যে এই কাজ করা যাবে। কৃষ্ণনগরে অন্য গ্যাস অফিসে কোথাও নেওয়া হচ্ছে না।

    মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    যদিও গ্রাহকদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল মন্ত্রীর স্ত্রী সোমা বিশ্বাস। তিনি বলেন, কেওয়াইসির বিনিময়ে কোনও টাকা নেওয়া হচ্ছে না। গ্যাসের যে পাইপ লাইন রয়েছে সেই পাইপ দেওয়ার বিনিময়ে ওই ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু আমার এখানে নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন গ্যাসের ডিলাররা একই নিয়মে কাজ করছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, গোটা দেশজুড়ে একই নিয়ম চলছে। আর আমরা তো দেশের বাইরে নই। যার সমস্যা হবে সে আসবে না।

    গ্যাসেও কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল

    এ বিষয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদার বলেন, কোথাও নিয়ম নেই পাইপ না নিলে কেওয়াইসি করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ জোড়পূর্বক করা হচ্ছে। গ্যাসেও কাটমানি খাওয়ার ধান্দা। তৃণমূলের এটাই পরিচয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share