Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Burdwan: বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যয়কাণ্ড! পূর্ব রেলের কতগুলি জলের ট্যাঙ্ক ভাঙা পড়ছে জানেন?

    Burdwan: বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যয়কাণ্ড! পূর্ব রেলের কতগুলি জলের ট্যাঙ্ক ভাঙা পড়ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে চারজনের মৃত্যু হয়। ৩৪ জন যাত্রী জখম হন। সেই ঘটনার পরই এবার নড়েচড়ে বসল রেল কর্তৃপক্ষ। নতুন করে এই ধরনের বিপর্যয় যাতে না হয়, তার জন্য রেলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    রেলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল?

    পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে একটি করে জলাধার আছে। এর মধ্যে একাধিক জলের ট্যাঙ্ক ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে হাওড়া ডিভিশনের তিনটি, আসানসোল ডিভিশনের আটটি এবং মালদা ডিভিশনের একটি জলের ট্যাঙ্ক। বিপদ এড়াতে এই সব ক’টি ট্যাঙ্ককেই ভেঙে ফেলা হবে। পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি জলাধার আছে। সেগুলির সব ক’টিকেই নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় আছে শিয়ালদা ডিভিশনের সাতটি, আসানসোল ডিভিশনের ২৩টি, হাওড়া ডিভিশনের ১৪টি এবং মালদা ডিভিশনে চারটি ট্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, হেরিটেজ তকমা পাওয়া বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ বিপর্যয় ঘটে। স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থাকা ১৮৯০ সালে তৈরি ট্যাঙ্ক আচমকা ভেঙে পড়ে। ভিড়ে ঠাসা প্ল্যাটফর্মের শেডের উপর আছড়ে পড়ে বিপুল পরিমাণ জল ও ভাঙা ট্যাঙ্কের ধাতব অংশ। ওই দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম ক্রান্তি বাহাদুর (১৪), সোনারাম টুডু (৩৫), মফিজা বেগম (৩৫) এবং সুধীর সূত্রধর। ক্রান্তি এবং সোনারাম দু’জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বর্ধমান শহরের লাকুড্ডির বাসিন্দা ছিলেন মফিজা। এই ঘটনার পরই রেল কর্তৃপক্ষ বহু পুরানো জলাধার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

    পূর্ব রেলের আধিকারিক কী বললেন?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনের বিপর্যয়ের পর বিভিন্ন স্টেশনে আরও কিছু জলাধার চিহ্নিত করা হয়েছে। বিপজ্জনক হিসেবে সেগুলিকেও পরে নষ্ট করে ফেলা হবে। আপাতত নষ্ট করার আগে সব চিহ্নিত জলাধারগুলিতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক জল ভরা হবে। যদি মনে হয় কোনওটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, সেগুলির সংস্কার করা হবে। সে কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলা হবে বলে আশা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: গ্রামের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যেতে তৃণমূল পঞ্চায়েতকে দিতে হচ্ছে টোল ট্যাক্স, ক্ষোভ

    Arambagh: গ্রামের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যেতে তৃণমূল পঞ্চায়েতকে দিতে হচ্ছে টোল ট্যাক্স, ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা পরিষদের রাস্তায় টোল আদায় করছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। আর সেই টোল নেওয়ার প্রতিবাদেই সরব হয়েছেন গাড়িচালক ও মালিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) তিরোল পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)  

    আরামবাগের (Arambagh) তিরোল পঞ্চায়েত এলাকায় শিয়ালি থেকে বাইশ মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬-৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে হুগলি জেলা পরিষদ। কিন্তু, হঠাৎ করেই সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল করার জন্য বসানো হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের টোল ট্যাক্স। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন যানবাহন। অভিযোগ, বালির ট্রাক্টর, ধানের গাড়ি সহ মাল বোঝাই গাড়ি থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা করে টোল ট্যাক্স। কিন্তু, এখানেই গাড়ি মালিক ও চালকদের আপত্তি। তাঁদের বক্তব্য, গাড়ির জন্য সরকারকে ট্যাক্স দেওয়ার পরেও আবার কেন ট্যাক্স দিতে হবে? তাছাড়াও জেলা পরিষদের রাস্তায় কেন পঞ্চায়েত তাদের ইচ্ছা মতো ট্যাক্স নেবে? সেই সব অভিযোগ তুলে তিরোল পঞ্চায়েতের মাদরা এলাকায় বেশ কয়েকবার এই টোল বসানোর পরে পঞ্চায়েতের ওই টোল কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যার জেরে ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন গাড়ির মালিকেরা। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত এই জোরজুলুম বন্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। যদিও পরে খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    তিরোল পঞ্চায়েতের প্রধান বিলকিস বেগম বলেন, ওই রাস্তা জেলা পরিষদের হলেও রক্ষণাবেক্ষণ করে পঞ্চায়েত। তাই ওই রাস্তা মেরামতের জন্য সমস্ত নিয়ম মেনেই টোল নেওয়া হচ্ছে। কোনও বেআইনি কাজ করা হচ্ছে না।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, জেলা পরিষদের রাস্তায় উপর টোল বসানোর কোনও আইন নেই। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা তোলা তোলার একটি কল। এটা কোনও পঞ্চায়েত টোল বসায়নি। এই টোল বসিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান। ব্যক্তিগতভাবে তোলা তোলার জন্য এসব করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita Chanting in Kolkata: ‘গীতাপাঠ’-এর পোস্টারে গেরুয়া বসনে মোদি, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    Gita Chanting in Kolkata: ‘গীতাপাঠ’-এর পোস্টারে গেরুয়া বসনে মোদি, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫দিন পরেই গীতার শ্লোকের ধ্বনিতে (Gita Chanting in Kolkata) মুখরিত হবে কলকাতা। গমগম করবে ব্রিগেড। হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইতিমধ্যে গেরুয়া বসন পরিহিত প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সামনে এসেছে। ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে’র কর্মসূচিতে তাঁর ছবি দিয়েই পোস্টার করেছেন আয়োজকরা। প্রসঙ্গত, আধ্যাত্মিকতা প্রধানমন্ত্রীর জীবনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ওইদিন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী এবং দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতীও উপস্থিত থাকবেন।

    চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    এক লাখেরও বেশি মানুষের উপস্থিতি, ৬০ হাজারেরও বেশি শঙ্খধ্বনিতে গীতাপাঠ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নামও নথিভুক্ত করতে চলেছে। উদ্যোক্তাদের এখন আর ব্যস্ততার শেষ নেই। চলছে অন্তিম মুহূর্তের প্রস্তুতি। এত বড় আয়োজনে যেন কোনও খামতি না (Gita Chanting in Kolkata) থাকে, সেদিকেই নজর রয়েছে আয়োজকদের। ২৪ ডিসেম্বরের ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা হিসেবে নিরন্তর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। রয়েছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ, মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন এরকম একাধিক সংগঠন।

    আয়োজনের খুঁটিনাটি

    আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৩টি মঞ্চ থাকবে। তার মধ্যে মূল মঞ্চ অর্থাৎ যেখানে বিশেষ অতিথিরা বসবেন (Gita Chanting in Kolkata) সেটি হবে ৯৬ ফুট চওড়া এবং ৪০ ফুট লম্বা। মূল মঞ্চের পিছন দিকে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ অফিস। মঞ্চের বাঁ দিকে আরেকটি মঞ্চ থাকবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন সাধু-সন্তদের সঙ্গে। সেই মঞ্চ হবে ৮২ ফুট লম্বা, ১০০ ফুট চওড়া। এছাড়াও আর একটি ছোট মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। সেখানে গান হবে। নজরুলগীতি দিয়েই শুরু হবে অনুষ্ঠান। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য বাস ও লরিতে সওয়ার হয়ে আসবেন অংশগ্রহণকারীরা (Gita Chanting in Kolkata)। রেলের কাছে আয়োজকরা ১৩টি অতিরিক্ত ট্রেন চালাতে আবেদনও জানিয়েছেন। আগের দিন যাঁরা অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হবেন, তাঁদের জন্য বিগ্রেডে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে কলকাতা এবং তৎসংলগ্ন স্থানগুলির বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরেও থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে অংশগ্রহণকারীদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠ মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে আর ছবি তুলতে পারবেন না ভক্তরা, জারি হল নোটিশ

    Tarapith: তারাপীঠ মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে আর ছবি তুলতে পারবেন না ভক্তরা, জারি হল নোটিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধক বামাক্ষ্যাপার অন্যতম সিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ। বীরভূমের তারাপীঠ (Tarapith) স্টেশন কিংবা রামপুরহাট স্টেশন থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় এই তারাপীঠ মন্দিরে। প্রত্যেকদিন এই তারাপীঠে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে ভক্তদের সেই ভিড় পেরিয়ে যায় কয়েক লক্ষ। তারাপীঠ মন্দির থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্মভিটে। সেখানেও দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। এবার তারা মায়ের মন্দিরে ভক্তদের পুজো দিতে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

    মন্দিরের গর্ভগৃহে ছবি তোলা নিষেধ (Tarapith)

    এবার তারাপীঠ (Tarapith) আসতে গেলে ভক্তদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তারাপীঠ মন্দিরে এসে পুজো দেওয়ার পর মায়ের সঙ্গে একটা ছবি তোলার ইচ্ছে সকল ভক্তের থাকে। তবে, ১৮ ডিসেম্বর সোমবার থেকে ভক্তদের সেই ইচ্ছায় নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে। তারাপীঠ তারামাতা সেবাইত সংঘ এবং মন্দির কমিটির তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেখানে জানানো হয় মা তারার গর্ভগৃহে ছবি তোলা এবং মায়ের সঙ্গে ছবি তোলা (সেলফি) সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়াও কোনও সহকারি পূজারী ও দর্শনার্থীদের স্মার্টফোন নিয়ে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করা যাবে না। ছবি তুলতে তুলতে কোনও পূজারী অথবা দর্শনার্থী গর্ভগৃহে যেতে করতে পারবেন না।

    তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি কী বললেন?

    এই বিষয়ে তারাপীঠ (Tarapith) মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, যত দিন যাচ্ছে ততই তারাপীঠ চত্বরে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। সেই কারণেই দর্শনার্থীদের যাতে লাইন দিয়ে পুজো দিতে সময় কম লাগে তারজন্য কিছু নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। মায়ের সঙ্গে ছবি তোলার পাশাপাশি মা তারাকে অঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবার থেকে মা তারাকে দর্শন করার পরেই সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। ভক্তদের সুবিধার্থে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ফল খেয়ে বিপত্তি! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ১১ জন শিশু, কী করে হল জানেন?

    Dakshin Dinajpur: ফল খেয়ে বিপত্তি! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ১১ জন শিশু, কী করে হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলার সময় ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল একই গ্রামের ১১ জন শিশু। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদু গ্রামে। বর্তমানে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শিশুরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হরিরামপুর ব্লকের বলদু গ্রামে খেলা করছিল একদল বাচ্চা। যেখানে তারা খেলা করছিল, সেখানে কয়েকটি গাছ রয়েছে। তারমধ্যে একটি গাছ থেকে এক শিশু ফল পেড়ে খায়। তার ওই ফল খাওয়া দেখে বাকীরাও ওই গাছ থেকে ফল খায়। ফল খাওয়ার পর তারা ফের খেলায় মত্ত হয়ে যায়। ঘণ্টা দুয়েক পড়ে একজন বমি করা শুরু করে। এরপরই বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। ততক্ষণে বাকি শিশুরা বমি, পায়খানা করা শুরু করে। কয়েকজন অজ্ঞানও হয়ে যায়। অসুস্থ শিশুদের প্রথমে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছিল। পরে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত শিশুরা সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, শিশুরা খেলার সময় বিষাক্ত কোনও ফল খেয়ে এই বিপত্তি হয়েছে। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত পরিবারের লোকজন। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, ওই গাছের পাশে তারা প্রতিদিন খেলা করে। কোনওদিন এরকম ঘটনা ঘটেনি। এদিন গাছের ফল খেয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।

    হাসপাতালের সুপার কী বললেন?

    এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর হাসপাতালের সুপার বাবুসোনা সাহা বলেন, ওই ১১ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে তারা আপাতত তারা সুস্থ রয়েছে। তাদেরকে আরও দুদিন হাসপাতালে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বিজেপির কিষাণ মোর্চার সভায় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “ভারতবর্ষ মূলত কৃষকদের অবদানে চলছে। বর্তমান রাজ্যের শাসক গোষ্ঠীর জন্য যেভাবে কৃষকরা বঞ্চিত, লাঞ্চিত হচ্ছেন, তার জন্য আমরা একের পর এক কর্মসূচি নিয়েছি। অবিলম্বে এমএসপি অনুয়ায়ী ধান ক্রয় করতে হবে। কোনও বাটা বাদ দেওয়া যাবে না। কোনও কাটমানি খাওয়া যাবে না।” তিনি আরও সমালোচনা করে বলেন, “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে।”

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  বলেন, “আপনারা জানেন অনুব্রত মণ্ডল চোর মণ্ডল। তিনি চালকল মালিকের সঙ্গে সাম্রাজ্য খাড়া করেছিলেন। বালু, বাকিবুর আর কেষ্ট যখন বাইরে ছিল, তখন রাজের ২৯ লক্ষ চাষি সমবায় সমিতি, রাইস মিল এবং কিষাণ মান্ডির মাধ্যমে ধান ক্রয়ের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু এবার ১১ লক্ষ রেজিস্ট্রেশন হল৷ কেন? বাকি ১৮ লক্ষ কোথায় গেল? কেন্দ্রের পাঠানো ৫ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে এই সরকার। আপনাদের আমি কথা দিতে পারি এক-দেড় বছরের মধ্যে বিজেপি সরকার করবে। আর এই অরূপ মণ্ডলকে (গোঘাট থানার পুলিশ অফিসার) ওই চাষির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পা ধুয়ে জল খাওয়াবো।”

    বাংলার চাষিরা ফসল বীমার টাকা পাননি

    সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ফসল বিমা নিয়ে বলেন, “২০১৯ সালের নির্বাচনে ১৮ টা লোকসভার আসন বিজেপি জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে বের করে নিয়েছেন। পরিবর্তে বাংলার ফসল বিমা যোজনা করেছে। যার কোনও টাকা বাংলার চাষিরা পাননি। আয়ুষ্মান ভারতের বদলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছে৷ ওই ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা কেউ পান না। প্রাধানমন্ত্রী ৩৬০০ টাকা বস্তা সারে ২৪০০ টাকা ভর্তুকি দিয়েছেন। এখানে তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে একসঙ্গে কালোবাজারে সব সার বিক্রি করছে। পোস্টপোল ভায়োলেন্সের আসামীরা এখনও জেলে যায়নি৷ তাদের জেলে দেখতে চাই।”

    বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করছেন মমতা

    বীরভূমের সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিচারব্যবস্থার পক্ষে বলেন, “বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থা এগিয়ে এসেছে ৷ কোন রাজ্যে আছেন আপনারা? হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা এবং ভাইপো। আবার সম্প্রতি বিচারপতি অমৃতা সিনহার আইন মেনে জবাব সওয়াল শুনে সিআইডি দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন মমতা সরকার। কীভাবে বিচারপতিদের আক্রমণ করা হচ্ছে দেখুন। এমনকী তাঁর পরিবারের উপর আক্রমণ করে নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করেছে তৃণমূল সরকার। আমি সুপ্রিম কোর্টের কাছে মঞ্চ থেকে আবেদন করছি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: জোড়া খুনের ঘটনায় উধাও সিসিটিভি ফুটেজ! পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Uttar Dinajpur: জোড়া খুনের ঘটনায় উধাও সিসিটিভি ফুটেজ! পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উধাও হয়ে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ! পুলিশের ভূমিকায় অত্যন্ত বিরক্ত প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রের বুথে লাগানো হয়েছিল সিসিটিভি। নজরদারিতে হয়েছে ভোট গ্রহণ পর্ব। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে (Uttar Dinajpur) ভোটের দিনেই খুন হয়েছিলেন দুই রাজনৈতিক কর্মী। আজ সোমবারে হাইকোর্টে এই জোড়া খুনের মামলায় আদতে সিসিটিভির ফুটেজ দিতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। এর ফলেই পুলিশকে আদলাতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। উল্লেখ্য, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় মনোনয়ন থেকে ভোটদান এবং ফলাফলের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু খুন, হত্যা এবং ভোট লুটের মামলা হাইকোর্টে গেছে বলে জানা গিয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Uttar Dinajpur)?

    আদলাত সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুরের (Uttar Dinajpur) জগির বস্তিতে ভোটের দিন খুন হয়েছিল দুই ভাই। একজন ছিলেন জমির উদ্দিন তৃণমূল কর্মী এবং অপর আরেক জন ছিলেন সামসুর হক কংগ্রেস সমর্থক। ভোটের দিনে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের। এই খুনের ঘটনায় আদালতে পুলিশ জানিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ হারিয়ে গিয়েছে। অথচ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে পুলিশের তদন্ত করার নির্দেশ ছিল। পুলিশ নামে মাত্র তদন্ত করেছে। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার কথা বললেও পুলিশ তা করতে পারেনি। আদলাতের বক্তব্য ঠিক এমনটাই। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আদালত মামলায় গোপন জবানবন্দী নেওয়ার কথা বললেও খুনে যারা অভিযুক্ত তাদেরকেই সাক্ষী করেছে পুলিশ। রাজনীতির একাংশের মানুষের বক্তব্য পুলিশ দুষ্কৃতীদের হয়ে কাজ করছে।

    আদলাত কী বলেছে?

    ইসলামপুরের গোয়ালপুকুরের (Uttar Dinajpur) নির্বাচনের দিনে খুনের ঘটনায় পুলিশকে তীব্র সমালোচনা করে হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, “ভোটের দিনে দুই ভাইয়ের খুন হতে হয়েছিল। আর পুলিশ বলছেন দুই পক্ষের মধ্যে গোলমালে মারা গিয়েছেন! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আর কিছু বলার নেই।” বিচারপতি আরও জিজ্ঞেস করেন, “গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে কিনা?” উত্তরে উকিল বলেন বয়ান নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পালটা বিচারপতি বলেন, “মৃত পরিবারের বক্তব্যকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কাজ করছে পুলিশ। পুলিশ নিজের ইচ্ছেতে গল্প সাজিয়েছেন।” বর্তমানে পুলিশ সুপারকে তদন্তের ভার দিলেও সিসিটিভি ফুটেজ আদৌ উদ্ধার হবে কিনা তা এখনও সংশয়ের বিষয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shantiniketan: পৌষমেলার প্লট বুকিং নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি! কী হয়েছে জানেন?

    Shantiniketan: পৌষমেলার প্লট বুকিং নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি! কী হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) পৌষমেলার প্লট বুকিংয়ের জন্য চারগুণ ফি নেওয়া হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছিলেন। এটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভের মধ্যে এবার যোগ হল প্লট বুকিং নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Shantiniketan)

    পৌষমেলায় শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) পূর্বপল্লির মাঠে প্লট বুকিংয়ে জিএসটি নম্বর ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্রের জিএসটি। এছাড়া, পৌষমেলার স্টলের জন্য প্লট বুকিংয়ের টাকা সরকারের কোন খাতে জমা পড়ছে কোন সদূত্তর নেই। অথচ, এই প্রথম পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা করছে রাজ্য সরকার।  ২০১৯ সালে শেষবার শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। তারপর থেকে আর হয়নি মেলা। তবে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে ২০২১ ও ২২ সালে বিকল্প পৌষমেলা করেছিল রাজ্য সরকার। এবার উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হতেই সকলে মনে করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা করবে। কিন্তু, রাজ্য সরকার মেলা করার জন্য বিশ্বভারতীর কাছে পৌষমেলার মাঠ চেয়ে আবেদন করে। দীর্ঘ টালবাহানার পর মাঠ দেয় বিশ্বভারতী।

    ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ২০১৯ সালের পর পূর্বপল্লির মাঠে হচ্ছে পৌষমেলা। তবে এই মেলার আয়োজক রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যের শুরু হয়ে গিয়েছে মেলার স্টলের জন্য প্লট বুকিং। আর এই প্লট বুকিং নিয়ে ব্যপক দুর্নীতি হচ্ছে। আর জিএসটি নম্বর ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে জিএসটি। শুধু স্টেট জিএসটি নয়, সেন্ট্রাল জিএসটিও নেওয়া হচ্ছে। অথচ কোনও জিএসটি নম্বর নেই, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকী, রাজ্য সরকার মেলা করলেও সরকারের কোন খাতে এই প্লট বুকিংয়ের টাকা জমা পড়ছে তার উল্লেখ নেই। ব্যবসায়ীরা যথারীতি জিএসটি নম্বর ছাড়াই জিএসটি দিয়ে প্লট বুক করছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষমেলায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তারপরেই পূর্বপল্লির পৌষমেলার প্লট বুকিং নিয়ে ব্যবসায়ীরা দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  •  Bardhaman: পাত্রী উধাও, বন্ধ ফোন! ছাদনাতলার বদলে পাত্র সোজা থানায়

     Bardhaman: পাত্রী উধাও, বন্ধ ফোন! ছাদনাতলার বদলে পাত্র সোজা থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাত্রী উধাও, বিয়ে করতে গিয়ে বর বিপাকে। রবিবার শীতের রাতে বিয়ে করতে যাওয়ার কথা ছিল বরের। পাত্রীপক্ষকে ফোন করলে জানা গেল, ফোন বন্ধ! বর বুঝলেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) কাটোয়ার ফেরিঘাটে দাঁড়িয়েছিলেন বর। অবশেষে ছাদনাতলার বদলে পাত্র সোজা থানায় গেলেন। সেই সঙ্গে বর বললেন, “এমন ভাবে প্রতারিত হব, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। কেন এমন ঘটল বুঝতে পারছি না। পুলিশকে জানিয়েছি। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।”

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Bardhaman)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্র অর্থাৎ বর নদিয়ার কালীগঞ্জের বালিয়াদাঙা-ফরিদপুরের বসিন্দা। পাত্রের নাম নয়ন ঘোষ। যে পাত্রীর সঙ্গে বিবাহ হবে সেই পাত্রী জানিয়েছেন বিয়ে হবে কাটোয়ার (Bardhaman) এক আত্মীয়ের বাড়িতে। আর সেই মতোই পাত্র নয়ন ঘোষ পরিবারের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব সহ ১৫ জনকে নিয়ে কাটোয়ার গোয়ালপাড়ার ঘাটে নামেন। তারপর থেকেই কন্যার এবং বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়।

    বরের অভিযোগ কী

    নদিয়ার বাসিন্দা বর নয়ন ঘোষ কাটোয়াতে (Bardhaman) বিয়ে করতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে বলেন, “বিয়ে করতে যাওয়ার পথে যেখানেই পৌঁছেছি সেখানেই কন্যার বাড়ির লোকজনকে ফোন করি। যতবার ফোন করি ঠিক ততবারই বলা হয় লোক পাঠাচ্ছি। এই ভাবে তিন ঘণ্টা কেটে গেলেও কেউ নিতে আসেনি। অবশেষে ধৈর্য হারিয়ে কন্যাকে ফোন করলে দেখা যায় ফোন বন্ধ। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ করি।”

    কীভাবে বিবাহ ঠিক হয়েছিল?

    স্থানীয় (Bardhaman) সূত্রে জানা গিয়েছে রাজস্থানের জয়পুরের সোনার গহনা তৈরির কাজ করতেন নয়ন ঘোষ। তাঁর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের এক সহকর্মী সোমনাথ ঘোষের মাধ্যমে বর্ধমানের দত্ত পাড়ার এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁদের আলাপ এবং তারপরে প্রেমও হয়। মাঝে মাঝে তাঁদের দেখা হতো। তরুণীর কথা মতো রবিবার বিয়ে ঠিক করা হয় তাদেরই এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এরপরই ঘটে বিপত্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ‘অনেক মধু আছে, তাই দাঁড়়াতে চাইছেন’, দলীয় বিধায়ককে কেন বললেন চিরঞ্জিৎ?

    North 24 Parganas: ‘অনেক মধু আছে, তাই দাঁড়়াতে চাইছেন’, দলীয় বিধায়ককে কেন বললেন চিরঞ্জিৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই এক বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের সেলিব্রিটি বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। দলীয় বৈঠকে প্রকাশ্যে তাঁর ক্ষোভের কথা জানালেন বারাসতের বিধায়ক। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(North 24 Parganas)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের সভা কক্ষে ১৪ ডিসেম্বর তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বারাসতের বিধায়ককে নিয়ে বেশ কিছু অনুযোগ করেছেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তিনি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান, বারাসতে নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। সেখানকার নাগরিকরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারছেন না। পরিষেবা দেওয়ার মত জনপ্রতিনিধি বা নেতা সেখানে নেই। এতে নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এতে সার্বিকভাবে তৃণমূলেরই ক্ষতি হচ্ছে। যদিও পরে বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যা বলার কোর কমিটির আলোচনায় বলব।

    নারায়ণ গোস্বামীকে নিয়ে এ কী বললেন চিরঞ্জিৎ?

    রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা গ্রন্থমেলায় এসে নারায়ণ গোস্বামী প্রসঙ্গে চিরঞ্জিৎ বলেন, আমায় মমতা যদি আর না দাঁড় করায় (বিধানসভা ভোটে), তা হলে হয়ত ও (নারায়ণ) ঢুকবে। তাই এক পা এগিয়ে রাখল।  বারাসত কেন্দ্রই পছন্দের নারায়ণের? তিনি তো এমনিতেই বিধায়ক। চিরঞ্জিতের ব্যাখ্যা, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁর কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন নারায়ণ। নারায়ণ হয়তো চাইছেন ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে বারাসত থেকে দাঁড়াতে। তাই হয়ত নেতৃত্বের কাছে এ সব বলছেন। বারাসতে অনেক ব্যবসায়ী আছে। এখানে অনেক মধু আছে। তাই এখান থেকে দাঁড়াতে চায় ও।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    শাসকদলের বিধায়ক বনাম বিধায়কে এই দ্বন্দ্বে কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি গেরুয়া শিবির।  বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দুর্নীতিকাণ্ডে জেলে। এ দিকে বিধায়ক বিধায়ককে আক্রমণ করছেন। এর ‘ফল’ লোকসভা নির্বাচনে পাবে তৃণমূল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share