Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ram Mandir Ayodhya: বাংলার মৃৎশিল্পী জামালউদ্দিনের তৈরি শ্রীরামের মূর্তি বসবে অযোধ্যার রামমন্দিরে

    Ram Mandir Ayodhya: বাংলার মৃৎশিল্পী জামালউদ্দিনের তৈরি শ্রীরামের মূর্তি বসবে অযোধ্যার রামমন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৫০০ বছরের রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সাফল্য রূপে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের গগনস্পর্শী মন্দির (Ram Mandir Ayodhya)। আগামী ২২ জানুয়ারির পুণ্য তিথিতে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রভু রামচন্দ্রের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে। আবার এই মন্দিরে বসতে চলেছে বাংলায় তৈরি হওয়া ১৬ ফুটের শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি। প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তিকে নিজের হাতে তৈরি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের মৃৎশিল্পী মহম্মদ জামালউদ্দিন এবং তাঁর ছেলে শিল্পী বিট্টু। এই কাজে এলাকায় মৃৎশিল্পীদের তীব্র উচ্ছ্বাস।

    মৃৎশিল্পী জামালের বক্তব্য (Ram Mandir Ayodhya)

    দত্তপুকুরের মৃৎশিল্পী মহম্মদ জামালউদ্দিন বলেন, “আমাদের নিজের পরিশ্রমে তৈরি প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি, অযোধ্যার মন্দিরে স্থাপন করা হবে এটা আমাদের কাছে ভীষণ আনন্দের বিষয়। আমি অত্যন্ত সাধারণ মুসলমান। আমার জীবনের অঙ্গ হল মূর্তি নির্মাণ করা। আমরা সব কিছুর উর্ধে উঠে দেশের জন্য কাজ করব। শ্রীরামের দুটি মূর্তি তৈরি করেছি। একটি মূর্তি আট মাস আগে পাড়ি দিয়েছে অযোধ্যায় (Ram Mandir Ayodhya)। আরেকটি মাস দেড়েক আগে পাঠানো হয়েছে। মূর্তি বানিয়ে পারিশ্রমিক হিসাবে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পেয়েছি। মন্দির কমিটি জানিয়েছেন আগামী সপ্তাহে বাসানো হবে মূর্তি দুটি।”

    কীভাবে পেলেন মূর্তি নির্মাণের বরাত?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালের বাড়িতে মূর্তি নির্মাণের কারখানা রয়েছে। জামাল জানিয়েছেন, মূর্তি বানানোর কাজ শিখে হায়দ্রাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে অনেক দিন কাজ করেছেন জামাল। পরে নিজের বাড়িতেই কারখানাকে আরও বড় করে মৃৎশিল্পের পসার বৃদ্ধি করেছেন তিনি। ফাইবার দিয়ে দুর্গা, কালী সহ নানান দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করা হতো কারখানায়। সেই তাঁর সঙ্গে ছেলেও কাজ শেখেন। গত পাঁচ বছর ধরে নানা রাজ্যে তাঁদের তৈরি মূর্তি পাঠিয়েছেন। গত দুই বছর আগে উত্তর প্রদেশের এক বন্ধু তাঁকে শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি (Ram Mandir Ayodhya) বানানোর কথা জানিয়েছিলেন জামালকে। এরপর শ্রীরাম মন্দির ট্রাস্টের কর্মকর্তা আসেন দত্তপুকুরে। মূর্তি দুটি কেমন হবে সেই নকশা দিয়ে যান তাঁরা। ফলে দত্তপুকুরে যশোর রোডের দুই ধারের ছোট ছোট কারখানা চালানোর মৃৎ শিল্পীরা ব্যাপক আশার আলো দেখছেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তুহিন মণ্ডল বলেন, “রাম রাজত্বে মানুষের কর্মই প্রাধান্য পেয়েছিল। রাম মন্দিরের (Ram Mandir Ayodhya) নির্মাণেও একই সাফল্য লক্ষ্য করা গেল।” অপর দিকে তৃণমূলের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী কুর্নিশ জানিয়েছেন শিল্পী জামালকে। তিনি বলেছেন, একজন প্রকৃত শিল্পীর পরিচয় দিয়েছেন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে এসএসসি, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে এসএসসি, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে সারারাজ্যে। তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক বর্তমানে জেলে রয়েছেন। সোমবার এসএসসি-এর বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওএমআর সিটে কারসাজি, নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে এদিন এসএসসিকে কার্যত ভর্ৎসনাও করে কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২০ ডিসেম্বর। ওই দিন এসএসসিকে একাধিক বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    হাইকোর্টে এসএসসির তৃতীয় রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এটা ছিল এসএসসি-এর জমা দেওয়া তৃতীয় রিপোর্ট। এবারেও এসএসসির রিপোর্টে সন্তুষ্ট হল না হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এখানে এসএসসি সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করেন দুই বিচারপতি। আদালতে নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে হলফনামা জমা দিয়েছিল এসএসসি। কিন্তু সেখানেও বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ যে কিছু লুকোতে চাইছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবং নিজেদের অবস্থান এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি এসএসসি। এমনটাই মত দুই বিচারপতির। বিচারপতি (Calcutta High Court) দেবাংশু বসাক এদিন প্রশ্ন করেন, ‘‘এটা শুধুমাত্র নবম এবং দশমের নিয়োগের জন্য হলফনামা। এসএসসির গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের হলফনামা কোথায়? এসএএসসির বাছাই কমিটি থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হল?’’ বিচারপতি বসাক এদিন আরও বলেন, ‘‘বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনারা অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন।’’

    আগেই ধরা পড়ে ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে অনিয়ম 

    প্রসঙ্গত সিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে এবং হাইকোর্টের নির্দেশে নবম-দশমের নিয়োগে ৯৫২ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়। জানা যায় ওই ৯৫২ জনের ওএমআর সিটে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে এবং তা স্বীকারও করে নেয় এসএসসি। বিচারপতি (Calcutta High Court) বসাকের এনিয়ে মন্তব্য, ‘‘এসএসসি বাছাই প্রক্রিয়া হয়েছে। ওএমআরশিট ম্যানিপুলেশন, গ্রুপ জাম্পিং এবং সুপারিশ ছাড়াই নিয়োগ পাওয়া নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান কী, তা আমরা জানতে চাই। হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীর পাশে সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীর পাশে সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত এক বিজেপি কর্মীর পাশে দাঁড়ালো বিজেপি। ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মী পেশায় আখের রস বিক্রেতা ছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গঙ্গারামপুরের নন্দনপুরের ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় কর্মীর হাতে নতুন আখের রস তৈরির মেশিন তুলে দেন। ব্যবসার নতুন সরঞ্জাম পেয়ে আখের রস বিক্রেতা সুকান্ত মজুমদারকে ভগবান রামের সঙ্গে তুলনা করলেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Sukanta Majumdar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে বিজেপি করার অপরাধে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর এলাকার আখের রস বিক্রেতা সুদীপ তরফদার নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ির উপর হামলা চালায়। ওই দলীয় কর্মীর সাইকেল এবং ব্যবসায়িক সামগ্রী আখের রস তৈরির মেশিন লুট করে। স্বাভাবিকভাবেই ওই ব্যবসায়ী আর্থিক সমস্যায় পড়েন। ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীর আর্থিক সমস্যার কথা মাথায় রেখে  বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁর হাতে আখের রস তৈরির নতুন মেশিন তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মী কী বললেন?

    এই বিষয়ে ওই আখের রস বিক্রেতা সুদীপ তরফদার বলেন, আমি এই আখের রস মেশিন সামগ্রী পেয়ে খুশি। আমি আবার নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারব। গত বিধানসভা ভোটের সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমার বাড়িতে এসে হামলা চালায়। আখের রস তৈরির করার মেশিনটি লুট করে। বিষয়টি জানার পর আমাকে ব্যবসা করার জন্য নতুন মেশিন কিনে দিয়েছেন আমাদের সাংসদ। তিনি প্রভু রামের মতো আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে চরম উপকৃত হয়েছি।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বললেন?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বিজেপি কর্মীদের সবসময় পাশে রয়েছি। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় কর্মী তথা আখের ওই রস বিক্রেতার হাতে নতুন মেশিন তুলে দেওয়া হয়। নতুন করে ব্যবসা শুরু করে তিনি আগের মতো ব্যবসা করতে পারবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: এ যেন পাকা ধানে মই! জলমগ্ন বিঘার পর বিঘা চাষের জমি, মাথায় হাত চাষিদের

    Arambagh: এ যেন পাকা ধানে মই! জলমগ্ন বিঘার পর বিঘা চাষের জমি, মাথায় হাত চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অকাল বৃষ্টির পর এবার ক্যানেলে হঠাৎ ছাড়া জল। যার জেরে জলমগ্ন বিঘার পর বিঘা চাষের ধান জমি। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা ফসলের। যার জেরেই ক্ষোভ জমছে চাষিদের মধ্যে। একদিকে হঠাৎ জল ছাড়ায়, অন্যদিকে ক্যানেল সংস্কার না করায় এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ কৃষকদের। যদিও তাদের কোনও গাফিলতি নয়, পাল্টা সেচ দফতরের উপর দায় চাপিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগ (Arambagh) পৌরসভা। ঘটনাটি ঘটেছে এই পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের বাদলকনা এলাকায়।

    চাষিরা কী বললেন? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) বাদলতনা এলাকার মাঠের উপর দিয়েই বয়ে গেছে ক্যানেল ও খাল। একটি খাল রক্ষনাবেক্ষণ করে আরামবাগ পৌরসভা, আর অপরটি সেচ দফতর। কিন্তু, কৃষকদের অভিযোগ, দুটি ক্যানেল দীর্ঘ দিন ধরেই সংস্কার হয়নি। আবর্জনায় মজে গেছে। তার জেরেই জল নিকাশি হয় না ঠিক মতো। আর সেই কারণেই জমিতে ক্যানেলের জল উপচে ঢুকছে। মাঠের অর্ধেক ফসল তোলা হয়নি। জলমগ্ন হয়ে পরেছে ধান জমিতে। জলমগ্ন জমি থেকে ধান ছেঁকে পাড়ে তুলছেন। চাষিদের বক্তব্য, ফসলের এত বড় ক্ষতির দায় কে নেবে। ফসল নষ্ট হয়ে গেলো ঋণ শোধ হবে কী করে? জলপাওয়া ধান বাজারে বিক্রি করতে গেলে বাজার মূল্য অনেক কম হবে। ফসলের এই ক্ষতি পূরণের জন্য সরকার যদি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হব। কৃষকদের প্রশ্ন, পৌরসভা হোক বা সেচ দফতর কেন এতদিন ধরে খাল সংস্কার করেনি? কেনই বা হঠাৎ করে মাঠের ধান ওঠার আগেই জল ছেড়ে দেওয়া হল? এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে?

    ডিভিসি-কে দায়ী করল পুর কর্তৃপক্ষ

    আরামবাগ (Arambagh) পৌরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারী বলেন, জমিতে জল ঢোকার জন্য ডিভিসি দায়ী। কাউকেই না জানিয়ে ডিভিসি জল ছেড়ে দেওয়ায় এই বিপত্তি হয়েছে। পাশাপাশি পৌরসভার রক্ষনাবেক্ষনে যে খাল রয়েছে তাও সংস্কার করার কাজ চলছে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, সব জায়গাতেই তো কাটমানি খাচ্ছে শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা। এখানেও হয়তো কোনও ঘটনা ঘটেছে যার জেরে খাল সংস্কার হয়নি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর অন্নদাতা কৃষকদের জন্য কোনও সমস্যা রাখবো না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: পাকিস্তানে তথ্য পাচারে বাংলা যোগ! ধৃতের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ

    Uttar Dinajpur: পাকিস্তানে তথ্য পাচারে বাংলা যোগ! ধৃতের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে পাচারের অভিযোগে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের এক যুবককে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশের  এটিএস (অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতের নাম মুক্তা মাহাত। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার কাকড়া মোড় এলাকায়। রবিবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টের বিচারকের অনুমতিক্রমে ধৃত যুবককে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে মুম্বই রওনা দিয়েছে এটিএস। মঙ্গলবার ধৃতকে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    জেলা আদালতের এপিপি কী বললেন? (Uttar Dinajpur)

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জ জেলা আদালতের এপিপি পিন্টু ঘোষ বলেন, দেশের তথ্য বাইরে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে মুক্তা মাহাতর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মুম্বই থেকে এই একই অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই কালিয়াগঞ্জের এই যুবকের নাম উঠে আসে। তার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও সামনে আসে। এরপরই মুম্বই পুলিশের এটিএস কালিয়াগঞ্জে থেকে মুক্তা মাহাতকে গ্রেফতার করে। পরে, রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করে ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায়। বিচারক ধৃতকে ১৮ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের থানে সিজেএম আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন।

    ধৃতের কাছে থেকে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলল

    গোয়েন্দাদের একটি সূত্রে খবর, মুক্তা মাহাত মোবাইলে অনলাইন গেম খেলতেন। একবার মুক্তা মাহাত অনলাইন গেম খেলে জেতার পর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা ক্রেডিট হয় বলেও জানা গিয়েছে। তার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও নাকি হদিশ পেয়েছে এটিএস। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোনও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে কয়েক কোটি টাকা লেনদেনের খবরও মিলেছে। দেশের কী কী তথ্য পাচার হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তথ্য পাচারের জন্য কতটা তিনি আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সানা আক্তার ফোনে জানিয়েছেন, আর্থিক প্রতারণার কারনে মুক্তা মাহাতকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি মুম্বই এটিএস তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন! বারুইপুরে তীব্র উত্তেজনা

    South 24 Parganas: গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন! বারুইপুরে তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুবককে কুপিয়ে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুর থানার অন্তর্গত বলবনা এলাকায়। নিহতের নাম সইদুল শেখ (৪০)। পুলিশের অনুমান, এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে এই হত্যা হয়েছে। স্থানীয় মানুষের দাবি, তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর প্রচুর সম্পত্তিও বৃদ্ধি হয়েছিল। পথের কাঁটা সরাতেই কি খুন? তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, বিরোধীরা খুন করেছে। পাল্টা বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই হত্যার কারণ বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    পরিবারের অভিযোগ (South 24 Parganas)

    নিহত সইদুল শেখের স্ত্রী মাজেদা বিবির অভিযোগ, “এলাকায় খেলার মাঠকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের জেরেই সইদুলকে শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর সইদুল শেখের পরিবারের সদস্যরা রাতেই তাঁকে বারুইপুর (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানেই রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর।” সেই সঙ্গে মেয়ে রোহিণী খাতুন বলেন, “মাঠে গাড়ি চালাতে গিয়েছিল বলেই প্রথমে বচসা হয়। এরপর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাবাকে পিছন থেকে মাথায় কোপ দেওয়া হয়। এরপর মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে। রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে এবং প্রতিহিংসার কারণে বাবাকে খুন করা হয়েছে।” মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই সেখানে নেমে আসে শোকের ছায়া। ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এই হত্যার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি মাঠ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। সেই মাঠেই নিজের গাড়ি রেখেছিল সইদুল। আর এই কারণে আইজুল, সাদ্দাম, খোকন, কালো, সাগিররা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। এমনকি তাঁকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও করে ওই দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে মাথায় কোপও দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে পুলিশ আরও জানিয়েছে অনুমান করা হচ্ছে সইদুলের প্রতিপত্তি বাড়ছিল বিগত কয়েক বছর ধরে। সেটাই সহ্য করতে পারছিল না অভিযুক্তরা। ফলে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।

    আবার স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় দক্ষ সংগঠন তৈরি করেছিল সইদুল। তাঁর নেতৃত্বেই গত পঞ্চায়েতে এই এলাকায় বিজেপি, সিপিএম দাঁত ফোটাতে পারেনি। সেই কারণেই পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। এই ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    বিজেপর বক্তব্য

    এলাকার (South 24 Parganas) বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, “এই হত্যা এলাকার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ ছাড়া আর কিছু না। পুলিশ ঠিক করে তদন্ত করলেই সত্য উঠে আসবে। এই জেলায় যত খুন হয়েছে সব তৃণমূল নেতাদের দ্বারাই হয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা গৌতম দাস বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-সিপিএম হারার পর থেকেই সইদুলকে টার্গেট করা হচ্ছিল। মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হইয়েছে। আমরা হত্যার বিচার চাই”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ললিত-সৌরভের পিছনে মমতা-অভিষেকের হাত!’ তোপ দাগলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘ললিত-সৌরভের পিছনে মমতা-অভিষেকের হাত!’ তোপ দাগলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে আক্রমণকারী ললিত ঝা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বললেন, “সংসদ হামলায় অভিযুক্ত ললিত ঝা, সৌরভ চক্রবর্তী সহ আরও অনেকের পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে। সেই সঙ্গে ভাইপো অভিষেকের হাতও থাকতে পারে। তদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে আসল তথ্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারবেন না।”

    অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ সংযুক্ত বালুরঘাট-শিয়ালদা নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ভার্চুয়াল এই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন তিনি। রবিবার বালুরঘাটে কেন্দ্র সরকারের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে জেলাবাসীর জন্য এমনই সুখবর শোনালেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দৌলতপুর রেল স্টেশনের উন্নতির জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

    গীতাপাঠের সঙ্গে উদ্বোধন ট্রেন

    আগামী গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপর দিকে তিনি কলকাতায় এলে ভার্চুয়ালি এই ট্রেনের শুভ উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে বলে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানান। দেশের বিকাশ যাত্রায় এই ট্রেনও একটি বড় মাধ্যম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন (Sukanta Majumdar),“সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বালুরঘাট শিয়ালদহ ট্রেনের ভার্চুয়ালি শুভ উদ্বোধন করবেন। এই ট্রেনের প্রতিটি কোচ অত্যাধুনিক হবে। এলএইচবি কোচ হবে সবগুলি। যা আরও বেশি সুরক্ষিত। ফলে দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হবে বালুরঘাট তথা সমগ্র জেলাবাসীর।”

    বিভিন্ন ইস্যুতে সরব সুকান্ত

    ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ জেলাকে সেরা তকমা পাওয়া নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন (Sukanta Majumdar), “ডায়মন্ড হারবার পুলিশের কাছে সেরার সেরা তো হবেই। ভাইপোর পদ লেহন করার জন্য এক্সপার্ট পুলিশ। তাঁদের জিভ ১ ফিট পর্যন্ত বের করা থাকে। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো বাহবা দেবেনই। বাড়ির মালিক যা বলেন চাকর তাতে তো প্রশংসা দেবেনই; এটাই তো স্বাভাবিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভোট লুট, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে সেরা অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভোট লুট, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে সেরা অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র হল ডায়মন্ড হারবার। এবার এই জেলাকে এই বছর ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ ‘সুরক্ষিত পুলিশ জেলা’ বলে ঘোষণা করছে। অভিষেক নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘোষণাকে বিনিময় করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কার্যত এই বিষয়কে নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তীব্র কটক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভোট লুট, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে সেরা অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার”।

    কী বলেছেন অভিষেক?

    তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এটা খুব খুশির খবর, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলাকে ২০২২ সালের জন্য সেরা সুরক্ষিত জেলা হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এই সাফল্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বিশাল প্রশংসা, যাঁরা এটিকে সম্ভব করেছেন। এই সম্মান আমার জেলার জন্য অত্যন্ত সুখবর।” এই বক্তব্যকেই তীব্র সমালোচনা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর পালটা বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সাম্পাদকের কথায় তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্রকে শিরোনাম করতে চেয়েছেন বলে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পাল্টা লেখেন, “কারও রাজত্বকে শীর্ষ স্থানে দেখানোর প্রচেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পুলিশের এই আচরণে আমি অত্যন্ত বিস্মিত। কার্যত পুরস্কারের নামে এখানে বিষয়কে ছোট করা হয়েছে। এর যাথার্থ নামকরণ করা উচিত ছিল বিরোধিতা দমনের জন্য সেরা জেলা ডায়মন্ড হারবার। অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ, ভোট লুট এবং সেরা বেআইনি কার্যকলাপের জেলা হল এই অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার।”

    পুলিশ প্রশাসন প্রত্যেক বছর ঘোষণা করে থাকে

    রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছর এই ধরনের একটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। ২০২২ সালের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডায়মন্ড হারবারকে নির্বাচন করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়, এই জেলায় অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কম। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিক থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত।

    বিজেপির অবশ্য দাবি, কার্যত ভাইপোকে মডেল করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষের জনজীবন সবথেকে বেশি বিপন্ন হয়েছে এই জেলায়। বোমা বিস্ফোরণ, গোষ্ঠী সংঘর্ষ, হত্যা, ধর্ষণ এবং অনুপ্রবেশের সমস্যা সব থেকে বেশি এই জেলায় হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আগেও বারবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই নিয়ে সরব হয়েছেন। তাই লোকসভার ভোটের আগে পুলিশকে ব্যবহার করে ভাইপো নিজের ছবিটা বদলাতে চাইছেন। ঠিক এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WB Advocate General: মমতা জমানায় ১২ বছরে ৬ এজি, ফের দায়িত্বে ইস্তফা দেওয়া কিশোর দত্ত

    WB Advocate General: মমতা জমানায় ১২ বছরে ৬ এজি, ফের দায়িত্বে ইস্তফা দেওয়া কিশোর দত্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা জমানায় ১২ বছরে ৬ এজি (WB Advocate General), ফের দায়িত্বে ইস্তফা দেওয়া কিশোর দত্ত। শনিবারই এজি হিসেবে কিশোর দত্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ করে রাজ্য। তাঁর নামে সিলমোহর দেয় রাজভবন। জানা গিয়েছে, শনাবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করেছেন কিশোর দত্ত। প্রসঙ্গত, কিশোর দত্ত এর আগেও এজি পদ সামলেছেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি নিজের ইস্তফাপত্র দেন রাজ্যপালকে। বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্যজুড়ে লাগামছাড়া হিংসা ছড়ায় শাসক দলের মদতে। এই ঘটনায় একের পর এক মামলায় ভর্ৎসিত হতে থাকে রাজ্য। ঠিক এই কারণেই সেসময় ইস্তফা দেন কিশোর দত্ত।

    কিশোর দত্তের পরে দায়িত্বে আসা সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও ইস্তফা দেন

    কিশোর দত্তের পরে দায়িত্বে (WB Advocate General) নিয়ে আসা হয় সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে। তিনিও ইস্তফা দেন চলতি বছরের নভেম্বর মাসের প্রথমেই। ইস্তফার পরে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার কথাই বলেন সৌমেন্দ্রনাথবাবু। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বারবার কেন পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন রাজ্যের এজির? তথ্য বলছে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা সরকার ৬ বার বদল করেছে আইজি। দেশের কোনও রাজ্যে এমন নজির রয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরাও। ক্ষমতায় আসার পরেই মমতা সরকার এজি (WB Advocate General) পদে নিয়োগ করে অনিন্দ্য মিত্রকে। তাঁর মেয়াদকাল ২৪ মে ২০১১- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। তারপর এজি পদে নিয়োগ পান যথাক্রমে, বিমল চট্টোপাধ্যায় (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ – ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪), জয়ন্ত মিত্র (১৬ ডিসেম্বর ২০১৪- ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭), কিশোর দত্ত (৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭- ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১), সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ – ১০ নভেম্বর ২০২৩), কিশোর দত্ত (১৬ ডিসেম্বর ২০২৩)।

    বদল হয়েছে রাজ্যের পিপি পদেও

    প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় আসেন হন দেবাশিস রায়। তার পর থেকেই এজি (WB Advocate General) পদে বদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সেই আবহেই সৌমেন্দ্রনাথ ইস্তফা দেন। তাঁর ইস্তফার পরে ফের দায়িত্বে এলেন কিশোর দত্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ন্যাশনাল তাইকোন্ডো প্রতিযোগিতায় বাংলার বিরাট সাফল্য, রুপোর পদক জয় তিন যমজ বোনের

    Asansol: ন্যাশনাল তাইকোন্ডো প্রতিযোগিতায় বাংলার বিরাট সাফল্য, রুপোর পদক জয় তিন যমজ বোনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইকোন্ডো ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে রুপোর পদক ছিনিয়ে নিয়ে এল একসঙ্গে তিন যমজ বোন। তারা হল সুচেতা চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিতা চট্টোপাধ্যায় ও সুপ্রীতা চট্টোপাধ্যায়। আসানসোল (Asansol) কুলটির বাসিন্দা এই তিন বোন। ডিসেরগড় এসডি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তারা। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন থেকে রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে এই পুরস্কার জিতেছে বাংলার তিন কন্যা। এছাড়াও পৃথক ইভেন্টে এরা আলাদা করে একক ও যুগ্মভাবে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী হয়েছে। গত বছরও তিন বোন রাজস্থানের কোটা থেকে রাজ্যের হয়ে ব্রোঞ্জ পদক ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল।

    কোথায় প্রশিক্ষণ (Asansol)?

    কুলটির (Asansol) ডিসেরগড়ের বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক বাবা বামাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (রূপম ) ও তাঁর স্ত্রী সুনেত্রা চট্টোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের তিন কন্যাকে চার বছর আগেই আসানসোলে তাইকোন্ডো প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। প্রশিক্ষক ছিলেন শুভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় এই তিন বোন স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিল হাওড়া থেকে। তারপরে তাদের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে পাঠানো হয়। গত ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেরাদুনে ছিল ষষ্ঠতম ন্যাশনাল কেডেট ইউরোজি এবং পুমাসে ছিল তাইকোন্ডো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২৪ প্রতিযোগিতা। আয়োজক ছিল তাইকোন্ডো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। উল্লেখ্য, এই সংস্থা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় রয়েছে। ওই তিন ছাত্রীর বাবা-মা জানিয়েছেন, আগামী দিনে সুচেতা, রঞ্জিতা ও সুপ্রীতার লক্ষ্য ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে যাওয়া এবং পুরস্কার নিয়ে আসা।

    পরিবারের বক্তব্য

    মেয়েদের সাফল্যে বাবা বামাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (Asansol) বলেন, “এই সাফল্যের প্রধান কারণ হল মেয়েরা খুব অনুশাসনের মধ্যে থাকত। সকালে দুই ঘণ্টা এবং বিকেলে দুই ঘণ্টা করে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিত। নিজেরাই নিজেদের অভ্যাস চালিয়ে যেত। ওদের কোচ শুভ গাঙ্গুলি বিশেষভাবে সাহায্য করেছেন। অত্যন্ত নিয়মের মধ্যে দিয়ে তারা থাকত। এমনকী চকোলেট পর্যন্ত খেত না ওরা। খেলার সাফল্যের দিকে লক্ষ্য নিয়ে অত্যন্ত সচেতন ছিল ওরা। ওদের অতিরিক্ত চাহিদার বিষয় তেমনভাবে চোখে পড়েনি।” একই ভাবে মা সুনেত্রা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই জয় সকলের। আমি চাই আগামী দিনে ওরা দেশের নাম আরও উজ্জ্বল করুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share