Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhishek Banerjee:  অভিষেকের আয়ের উৎস কী? মুখবন্ধ খামে আদালতে জানাল ইডি

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? মুখবন্ধ খামে আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আয়ের উৎস কী? একথা জানতে চেয়ে ইডিকে প্রশ্ন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই জবাব জমা দিল মুখবন্ধ খামে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে ব্যবহার করা হতো, কালো টাকা সাদা করতে, এই অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার এই সংস্থা সংক্রান্ত রিপোর্টও ইডি জমা করল আদালতে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ওই রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত দেখেননি বিচারপতি। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন রিপোর্ট দেখার পরেই এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করবেন।

    মঙ্গলবারের শুনানি 

    মঙ্গলবারই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডিকে প্রশ্ন করেন ২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেকের এবং তাঁর আয়ের উৎস ঠিক কি? সেদিন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পাতার নথি আগেই জমা করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।  ইডির আইনজীবী মঙ্গলবার আদালতে বলেন, ‘‘যে নথি এসেছে, তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’’ ইডির আইনজীবীর কাছে একথা শোনার পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘‘যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। ওই নথি অনুযায়ী যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন হয়েছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন আপনারা? আদালত যা জানতে চাইছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস খুঁজে দেখেছেন? আইন আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছে। এটাই তো আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।’’

    মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ ডিসেম্বর

    প্রসঙ্গত, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য আগেই আদালতে বিশদে জানাতে বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যার মধ্যে ছিল সংস্থার ৬ জন ডিরেক্টরের নাম, সংস্থার আর্থিক লেনদেন, এই সংস্থা কারা ক্লায়েন্ট, তাঁদের নাম, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, পাশাপাশি সিইও হিসেবে অভিষেকের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, সংস্থার যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কে কবে থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তার বিবরণ, সংস্থা কেন ঠিকানা পরিবর্তন করল ইত্যাদি বিষয়ে। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ডিসেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই ফের সক্রিয়, লালা ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা

    Coal Scam Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই ফের সক্রিয়, লালা ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় রাজ্য জুড়ে ফের সিবিআই হানা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যের নানা জায়গায় কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাজি ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে-অফিসে অভিযান শুরু করেছে। এদিন সকাল থেকেই সক্রিয় সিবিআই। তদন্তকারী দলের অফিসাররা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে ভবানীপুর, আসানসোল, মালদা এবং পুরুলিয়ায় তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

    রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী কয়লা পাচার (Coal Scam Case) কাণ্ডে অভিযুক্ত বলে সিবিআই-ইডি জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি। উল্লেখ্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কয়লাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান ফের একবার রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    সিবিআই সূত্রে খবর (Coal Scam Case)

    রাজ্যের জেলা জুড়ে ১২ টি জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের স্নেহাশিস তালুকদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মালদার রতুয়ার শ্যামল সিং নামে আরও এক ব্যক্তির বাড়িতেও তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়েছে। উল্লেখ্য দু’জনই কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam Case) অভিযুক্ত লালার খুব ঘনিষ্ঠ। এই স্নেহাশিস লালার আর্থিক হিসেবের কাজ দেখাতেন। পাশপাশি বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুরের এক আবাসনে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।

    কয়লা পাচার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত লালা

    ২০২০ সালে কয়লা পাচারের (Coal Scam Case) তদন্ত শুরু করে সিবিআই। লালা ওরফে অনুপ মাজি হলেন এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। এই লালা আবার তৃণমূলের খুব ঘনিষ্ঠ। লালার সঙ্গে গুরুপদ মাজি নামক আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। লালা জামিন পেলেও বাকিরা তিহার জেলে বন্দি। উল্লেখ্য এই কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের তৎকালীন যুব সহ সভাপতি বিনয় মিশ্রও প্রধান অভিযুক্ত। তদন্তকারী অফিসারেরা তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: রাজভবনের উত্তর গেট এবার ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’, নামকরণ করলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: রাজভবনের উত্তর গেট এবার ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’, নামকরণ করলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের উত্তর গেটের নামকরণ হচ্ছে ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতন সফরে এসে ফটকের নামের ফলক উন্মোচন ও শুদ্ধিকরণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। কবিগুরুর ‘প্রাণের আরাম’ ছাতিমতলায় সেই ফলকের উন্মোচন করা হয়। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। রাজ্যপাল রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা, ছাতিমতলা, উপাসনা গৃহ ঘুরে দেখেন।

    রাজভবন থেকে শ্বেত পাথরের ফলক আনলেন রাজ্যপাল (C V Ananda Bose)

    বন্দেভারত এক্সপ্রেসে এদিন সকালে শান্তিনিকেতনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। বোলপুর স্টেশন থেকে সোজা তিনি শান্তিনিকেতনে যান। রথীন্দ্র অতিথি গৃহে তিনি বিশ্রাম নেন। দুপুরে রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালায় আসেন তিনি। ঘুরে দেখেন গুরুদেবের ব্যবহৃত সামগ্রী। সেখান থেকে ছাতিমতলায় যান রাজ্যপাল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দেওয়া একটি শ্বেত পাথরের ফলক রাজভবন থেকে নিয়ে আসেন তিনি। সেই ফলকে লেখা ছিল ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’। এই ফলকটি কবির ‘প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি, মনের আনন্দ’ ছাতিমতলায় উন্মোচন ও শুদ্ধিকরণ করেন। এমনিতেই পৌষমেলা নিয়ে এতদিন টালবাহনা চলছিল। অবশেষে প্রশাসনের উদ্যোগে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হওয়ার কথা রয়েছে। এনিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। যদিও এদিন রাজ্যপাল বিশ্বভারতীতে এসে পৌষমেলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন রাজ্যপাল? (C V Ananda Bose)

    বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিককে পাশে নিয়ে রবীন্দ্রভবনের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল (C V Ananda Bose) বলেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশের শুধু নয়, বিশ্বের কাছে গর্বের। তাঁর সৃষ্টি পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। আমি গর্বিত এমন বিখ্যাত মানুষের কর্মভূমিতে আসতে পেরে। এরপর রাজ্যপাল বলেন, এই ফলকটি রাজভবনের উত্তর গেটে বসবে। রাজভবনের উত্তর গেটের নামকরণ করা হবে ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling:  এক সপ্তাহের মধ্যে দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে ফের তুষারপাত, খুশি পর্যটকরা

    Darjeeling: এক সপ্তাহের মধ্যে দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে ফের তুষারপাত, খুশি পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) সান্দাকফুতে ফের তুষারপাত। বুধবার সান্দাকফুতে বরফ পড়ায় পাহাড় সহ লাগোয়া এলাকায় প্রবল ঠান্ডা নেমে এসেছে। বরফে ঢেকেছে সান্দাকফু। সান্দাকফুতে তুষারপাত হতেই উল্লসিত পর্যটকরা। এই মুহূর্তে ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় সান্দাকফুতে তুষারপাত হয়েছিল। তাই, তুষারপাত উপভোগ করতে অনেকেই দার্জিলিং থেকে সান্দাকফুতে চলে গিয়েছেন। তুষারপাতের জেরে দার্জিলিয়ের তাপমাত্রা হু হু করে নামতে শুরু করেছে। শিলাবৃষ্টিও শুরু হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। তাই বড়দিনের আগেই বরফের চাদরে ঢাকতে পারে শৈলশহর।

    আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা (Darjeeling)

    মরশুমের প্রথম বরফ পড়াকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সিকিমের লেক বিপর্যয়ের কারণে পুজোর পর্যটনে ধাক্কা লেগেছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার তুষারপাত হওয়ায় বড়দিনের পর্যটনে ব্যাপক সাড়া জাগাবে বলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সাধারণত এত আগে দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ে বরফ পড়ে না। মাসের শুরুতেই তুষারপাত হয়েছিল। এবার আবার তুষারপাত হল। বরফ দেখতে বহু পর্যটক এর মধ্যেই আসতে শুরু করবেন। বুধবার থেকে আচমকাই পাহাড়ে পারদ নামতে শুরু করেছে। মিরিক থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে সুখিয়া ও সীমানা অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি হয়। বরফ পড়ে সিঙ্গালিলায়। যার ফলে দার্জিলিং পাহাড়েও তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিকিম ও দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উপরের দিকের এলাকাগুলিতে তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে। আরও পারদ নামবে বেশ খানিকটা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। কালিম্পঙে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিও হচ্ছে। বুধবারই দার্জিলিঙের উঁচু জায়গাগুলিতে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকী পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে দার্জিলিং শহরও মরশুমের বছরের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী থাকতে পারে। সিকিমের পেলিং-সহ লাচুংয়ে বুধবার ভোর থেকেই চলছে তুষারপাত। রাত পোহাতেই সিকিমের সীমানা পেরিয়ে দার্জিলিং জেলাতেও তুষারপাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Kumar Choubey: ‘বাংলা দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে’, বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে

    Ashwini Kumar Choubey: ‘বাংলা দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে’, বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় রেশনে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো সম্পূর্ণ রেশন সামগ্রী পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। রেশন সামগ্রী লুট হয়েছে। বুধবার বীরভূমের তারাপীঠে পুজো দিতে এসে কেন্দ্রীয় সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জনবন্টন এবং পরিবেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে (Ashwini Kumar Choubey) এই মন্তব্য করেন। এমনিতেই রেশন দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে রয়েছেন। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও জেলে রয়েছেন। জেলায় জেলায় একাধিক রেশন ডিলার এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যেই অনেক রেশন ডিলারের বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে। এখনও অভিযান চলছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রেশন দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। রেশন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে যথেষ্ট কড়া, তা মন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Ashwini Kumar Choubey)

    বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন। সঙ্গে ছিলেন বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপির বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা। মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেন, বাংলা দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্নীতি আটকাতে অসফল। তাঁর ভাইপোর বিরুদ্ধে বড় বড় অভিযোগ রয়েছে। ও সেই অভিযোগ থেকে বের হতে পারবে না। বাংলার জনতা তাঁদের তুলে ফেলে দেবে। ব্যক্তি স্বার্থে সোনার বাংলাকে পুড়িয়ে দিয়েছে। বাংলায় গুণ্ডারাজ চলছে। বিজেপি সেই গুন্ডারাজ নির্মূল করবে। বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করবে।

    ইন্ডি জোটকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Ashwini Kumar Choubey) বলেন, লোকসভার ভোটের আগে ইন্ডি জোট হয়েছে। এই জোট বাস্তবায়িত হবে না। এই জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেস। সেই কংগ্রেসের কালচার দুর্নীতি করা। ইন্ডি জোট আসলে দুর্নীতিদের জোট হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদের বাড়ি থেকে চারশো কোটিরও বেশি কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই দল কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত তা দেশবাসী দেখতে পাচ্ছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purbo Bardhaman: একই দিনে জোড়া বিপত্তি! জলের ট্যাঙ্ক ভাঙার পর অতিরক্ত ভিড়ে পদপিষ্ট ২

    Purbo Bardhaman: একই দিনে জোড়া বিপত্তি! জলের ট্যাঙ্ক ভাঙার পর অতিরক্ত ভিড়ে পদপিষ্ট ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই দিনে বর্ধমান (Purbo Bardhaman) স্টেশন জোড়া অঘটনের স্বাক্ষী থাকল। একদিকে জলের ট্যাঙ্কে দুর্ঘটনা অপর দিকে অতিরিক্ত ভিড়ের পদপিষ্ট হয়ে জখম হলেন দু’জন। ইতিমধ্যে দুই জনকে দ্রুত বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্টেশন চত্বরে। এক বিপত্তির মধ্যে এ যেন আরও এক বিপত্তি!

    ৪, ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পদপৃষ্ট ২ (Purbo Bardhaman)

    জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার পর অনেক সময় ধরে ট্রেন চালাচলে ব্যঘাত ঘটায় একসঙ্গে অনেক মানুষ স্টেশনে (Purbo Bardhaman) জমা হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে এই ভাবে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না। মানুষ এলোমেলো ভাবে ভিড় জমিয়েছিল প্ল্যাটফর্মে। বেশ কিছু সময় পর ৪ এবং ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আপ এবং ডাউন উভয় লাইনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলে ভিড় বাড়তে থাকে। অতরিক্ত ভিড়ের কারণে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এবং কয়েক জন মানুষ পদপিষ্ট হন। রেলের সূত্রে খবর, ঘটনায় মোট ২ জন এখনও পর্যন্ত গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জলের ট্যাঙ্কার ভেঙে পড়ার কারণে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলার তৈরি হয়েছিল। ঠিক তারপরে পরেই এই বিপত্তি ঘটে।

    আচমকা ভেঙে পড়েছিল জলের ট্যাঙ্ক (Purbo Bardhaman)!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বর্ধমান (Bardhaman) স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে ৫৩ হাজার গ্যালনের জলের ট্যাঙ্ক আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মোট তিন জন। সেই সঙ্গে আহত হন আরও বেশ কিছু মানুষ। মৃতদের নাম হল, মফিজা খাতুন, কান্তি কুমার বাহদুর এবং সোনারাম টুডু। ঘটনার প্রভাবে ১, ২  এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। উদ্ধার বাহিনী এরপর দ্রুত উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatar: অডিটের পরই পঞ্চায়েত অফিসে চুরি, প্রচুর নথি লোপাট

    Bhatar: অডিটের পরই পঞ্চায়েত অফিসে চুরি, প্রচুর নথি লোপাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের দুর্নীতির কারণে কেন্দ্র বরাদ্দ টাকা আটকে দিয়েছে। একই অবস্থা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার। কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যের একাধিক জেলায় পরিদর্শন করে বেড়াচ্ছেন। এরইমধ্যে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে (Bhatar) বলগোনা গ্রাম পঞ্চায়েতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সামনে আসতেই দুর্নীতি ধামা চাপা দিতেই পঞ্চায়েতে চুরি করানো হয়েছে কি না তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    পঞ্চায়েতের হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা (Bhatar)

    ভাতারের (Bhatar) বলগোনা রেলস্টেশনের কাছাকাছি বলগোনা গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়। দোতলা ওই পঞ্চায়েত ভবনের উপরতলায় রয়েছে পাশাপাশি চারটি ঘর। তার মধ্যে একটি প্রধানের এবং আর একটি উপপ্রধানের। বাকি দুটি ঘরে অন্য কর্মীরা কাজ করেন। উপপ্রধানের ঘর এবং বাকি তিনটি ঘরে মোট ১২টি ছোট এবং বড় আলমারি আছে। পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আটটি সিসি ক্যামেরাও আছে। সেগুলির হার্ডডিস্ক ছিল প্রধানের ঘরে। দিন চারেক আগে গ্রাম পঞ্চায়েতে বার্ষিক অডিটের কাজ শেষ হয়েছে। তারপরই পঞ্চায়েতের তালা ভেঙে চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের কর্মী প্রদ্যুৎ সাঁতরা অন্যদিনের মতো প্রধানের কাছ থেকে চাবি এনে যখন অফিস খুলতে যান, তখন দেখেন এক তলায় মূল গেটের তালা ভাঙা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানের ঘরে যে টেবিল ছিল, তার ড্রয়ারও ভাঙা হয়েছে। তার ঘর থেকে বেরনোর সময় সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে পালিয়েছে তারা। এ ছাড়া বাকি তিনটি ভাঙা হয়েছে। তার ঘর থেকে বেরনোর সময় সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে পালিয়েছে তারা। এ ছাড়া বাকি তিনটি ঘরের মোট নয়টি আলমারি খুলে নথিপত্র নয়ছয় করেছে তারা। তিনটি আলমারির চাবি খুঁজে বের করে তারা। বাকি আলমারিগুলোর লক ভেঙে জিনিসপত্র চুরি করা হয়েছে।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    পঞ্চায়েত প্রধান লায়লা বেগম চৌধুরী বলেন, মূল দরজার পাশাপাশি দোতলার চারটি ঘরেরই তালা ভাঙা। সবগুলি আলমারির লণ্ডভণ্ড দশা। ঘরের জিনিসপত্র তছনছ হয়ে রয়েছে। পাশেই পড়ে রয়েছে ভাঙা তালা। অনেক নথি চুরি গিয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চক্রী অনীত থাপা, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চক্রী অনীত থাপা, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মূল চক্রী অনীত থাপা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের একবার শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগ করে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনীত থাপা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    পাহাড় সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের সমস্ত জেলা স্কুল বোর্ড, জেলা রিক্রুটমেন্ট কমিটি গঠনের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে সমস্ত দায়িত্ব জিটিএ-র উপর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পাহাড়ে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির কথা বলে বলেন, ‘এখানে নিয়োগের মূল চক্রী হলেন অনীত থাপা। জিটিএ-র প্রধান ছিলেন অনীত থাপা। টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।’ এছাড়াও শুভেন্দু আরও স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে অনীত থাপা পাঁচশোর বেশি শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ এসএসসির মাধ্যমে হয়নি। জিটিএ সরাসরি নিয়োগ করেছে। মাথা পিছু নিয়োগে ১৫ লক্ষ করে টাকা তিনি নিয়েছেন। সমস্ত তথ্য এবং নথি নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে যাবো।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পাহাড়ে গিয়ে আরও বলেন, “এই শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি এবং ন্যূনতম যোগ্যতা মানা হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকার বাধ্যবাধকতাকেও মানা হয়নি। তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ইউব্লিউএস সংরক্ষণের নিয়মকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। শিক্ষক নিয়োগের সকল নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অনীতকে ১৯২ জন শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছেন। এটাও একটা বড় রকমের কেলেঙ্কারি।” তিনি জনজাতি বোর্ড নিয়ে বলেন, “পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য ১২টি জনজাতি বোর্ড গঠন হলেও সব অকেজো হয়ে রয়েছে। আগামী মকর সঙ্কক্রান্তির পর পাহাড়ে বিরাট আন্দোলন শুরু করবো আমরা।”

    অপরদিকে শুভেন্দুর সব অভিযোগকে অস্বীকার করে অনীত থাপা বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা, নিয়ম মেনে সব শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বিজেপি কোনও ইস্যু না পেয়ে অপপ্রচার করছে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বিজেপি কর্মীদের ঝাঁটা মারার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার

    Paschim Medinipur: বিজেপি কর্মীদের ঝাঁটা মারার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বিজেপি কর্মীদের মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বিজেপি কর্মীদের ঝাঁটা মারার নিদান দিলেন। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে বাংলায় ততই যেন চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। তার সঙ্গে কুকথার বুলি ছুটছে নেতাদের মুখে। তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র? (Paschim Medinipur)  

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোনা বিধানসভার উদ্যোগে চন্দ্রকোনার শ্রীনগর এলাকায় একটি তৃণমূলের প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভা থেকেই কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুড় চড়ান তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি নিদান দেন ঝাঁটা মারার। তিনি বলেন, ‘ভোট চাইতে এলেই ঝাঁটা মেরে তাড়াবেন বিজেপি-কে। এ রাজ্য থেকে ওদের তাড়াতে আমাদের দরকার হবে না। মায়েরাই যথেষ্ট, ঝাঁটা মেরে ওদের তাড়াতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি নেতারা বাড়িতে ভোট চাইতে এলে আগে বলবেন, দিন টাকা, না হলে মারব ঝাঁটা।’ প্রসঙ্গত, একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই অভিযোগ তুলে বারংবার সরব হয়েছে তৃণমূল। আগামী ১৭ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় এই বঞ্চনার অস্ত্রে ধার দিয়েই ২৪-এর লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার করতে চাইছে এ রাজ্যের শাসকদল।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন?

    এভাবে কুকথা বলে সাধারণ মানুষের সমর্থন আদায় করতে পারবে না তৃণমূল। এমনই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। চন্দ্রকোনা বিধানসভার বিজেপি নেতা সুদীপ কুশারি বলেন, তৃণমূল দলটা কেমন তা রাজ্যের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। এভাবে কুকথা বলে মানুষের থেকে ওরা আরও দূরে সরে যাচ্ছে। এবার লোকসভায় মানুষ ওদেরই ঝাঁটা মেরে বের করে দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বেলডাঙা বিস্ফোরণে এনআইএ-র চার্জশিটে এক তৃণমূল নেতা সহ ৭ জনের নাম

    Murshidabad: বেলডাঙা বিস্ফোরণে এনআইএ-র চার্জশিটে এক তৃণমূল নেতা সহ ৭ জনের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা বিস্ফোরণের ঘটনায় মঙ্গলবার চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। চার্জশিটে নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা সহ মোট ৭ জনের। ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ফের একবার অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে।

    অভিযুক্ত কাদের নাম রয়েছে (Murshidabad)?

    ২০২২ সালে বেলডাঙা (Murshidabad) এলাকার রামেশ্বরপুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মোট ৭ জনের নামে চার্জশিট আদলতে জমা করেছে। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের পর থেকেই বিরোধীরা ঘটনায় শাসক দলের নেতাদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে এসেছিল। ঘটনায় শাসক বনাম বিরোধীদের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। অবশেষে চার্জশিট জমা পড়লে অভিযুক্তদের নাম উঠে আসে। অভিযুক্তরা হলেন, ইমদাদুল হক, সুখচাঁদ আলি, মনসুর আলি, মাসাদুল হক, হাবিবুর রহমান, তাহাবুল শেখ, ইসাউদ্দিন শেখ। তাঁদের মধ্যে একজন তৃণমূল নেতা রয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১২০ বি, ২০১, ৩০৪ আইপিসি ৪, ৫,৬ ইস অ্যাক্ট ১৯০৮, ২০১৮ ইউপিএ ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

    বেলডাঙায় (Murshidabad) ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে একটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল রামেশ্বরপুর এলাকা। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। তবে মৃতের সংখ্যা কম হলেও বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল ব্যাপক। এলাকার মানুষ রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এরপর রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একজোট হয়ে আক্রমণ করে এবং একই ভাবে এনএইএ তদন্তের দাবি তোলা হয়। অবশেষে গত অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। এরপর তদন্তে উঠে আসে গ্রেনেডের তথ্য। বিস্ফোরণের নমুনা হিসাবে গ্রেনেডের সমান বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, পুলিশ আগেই ৭৪ টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল বলে জানা গিয়েছিল। এই বিস্ফোরণের পিছনে কোনও সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে বলে ইউপিএ ধারা যোগ করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে এনআইএ। ঘটনায় মুর্শিদাবাদে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share