Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: উত্তরবঙ্গের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছেন মমতা, পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: উত্তরবঙ্গের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছেন মমতা, পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে প্রতি মাসে দু’বার করে উত্তরবঙ্গ সফরে আসব। মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীর কলোনির একটি প্রেক্ষাগৃহে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে বার বার আসব। প্রয়োজনে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করব। শিলিগুড়িতে থাকার ব্যবস্থাও করে নিয়েছি। মূলত বিজেপির শক্ত ঘাঁটি অটুট রাখতে তিনি বার বার উত্তরবঙ্গ আসার কথা বলেছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। একই সঙ্গে মমতার সফরে যে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল যে দাঁত ফোটাতে পারবে না, তারও বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা।

    মমতার জমানায় বঞ্চিত হয়েছে উত্তরবঙ্গ, তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    উত্তরবঙ্গ সফরের শেষ দিনে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে বক্তব্য রাখছিলেন, সেই সময় বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) তৃণমূল সরকারের বঞ্চনার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পরিসংখ্যান দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০২১-২২ সালের বরাদ্দ ঘোষণা হল ৭৫৯ কোটি টাকা, দেওয়া হল ১৭০.২৯ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ সালে বরাদ্দ হল ৮০০ কোটি, দেওয়া হল ৩০৮ কোটি টাকা। দিনে দিনে উত্তরবঙ্গের জন্য বরাদ্দ কমানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গকে মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের দিক থেকে বঞ্চিত করেছেন। নির্বাচন এলে এখানে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন, বেড়াতে যাওয়ার জায়গা মনে করেন। ৩০ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাডমিন্টন কোর্ট দিয়ে বড় বাড়ি তৈরি করেছেন। টাইগার হিল, গজলডোবা, চালসা, রাজাভাতখাওয়া মালদায় গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। ফার্দিনান্দ মার্কোসও সাদ্দাম হোসেনের মতো প্রাসাদ বানিয়েছেন নিজের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ১৩ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন উত্তরবঙ্গকে। কিন্তু কোথায় সেই টাকা?

    চা মালিকরা ভাইপোর অ্যাকাউন্টে টাকা দেবেন!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ১৬ তারিখ চা শ্রমিকদের সমাবেশে আবার আসব। চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশের কথা ওই দিন বলব। শ্রমিকদের ভাঙা ঘর মালিকদের ঠিক করার কথা। মালিকরা মেরামত করবে না। তাঁরা টাকা জমা দিয়ে দেবেন ভাইপোর অ্যাকাউন্টে। ওই ভাঙা ঘরগুলোর পাল্টে দেওয়ার নাম করে ৬০ হাজার চা বাগান শ্রমিকের তিন লক্ষের বেশি ভোট, মিথ্যে কথা বলে নেওয়া হয়েছে। উনি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে গিয়েছেন। ওই দিন তার উত্তর দেব। ওই দিন ভগবান বিরসা মুন্ডাকে কুমারগ্রামে সম্মান জানাব। চা বাগানের শ্রমিকদের সমাবেশ নাগরাকাটায়। আর কুমারগ্রামে আদিবাসী মূলবাসীদের নিয়ে সম্মেলন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Upper Primary: উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং বন্ধ হচ্ছে না, হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    Upper Primary: উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং বন্ধ হচ্ছে না, হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং (Upper Primary) প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্য পদের নিয়োগের কাউন্সেলিং সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কাউন্সেলিং চালিয়ে যেতে আর কোনও বাধা রইল না স্কুল সার্ভিস কমিশনের। শীর্ষ আদালতের এদিনের রায়ে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে জট অনেকটাই কাটল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার শিক্ষক পদ বর্তমানে খালি পড়ে রয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। প্রতিটি নিয়োগ ঘিরেই তৈরি হয়েছে জট। শনিবারই ২০১৬ সালের এসএলএসটি নিয়োগের এক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী মস্তক মুণ্ডন করেন নিয়োগের দাবিতে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই সামনে এল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম নির্দেশ।

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে ২০১৬ সালের নিয়োগের ব্যাপারে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। নানা কারণে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সিলিং বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ কাউন্সিলিং (Upper Primary) শুরুর নির্দেশ দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শর্তও দেয় যে, কাউন্সেলিং চলবে কিন্তু কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনে ১৪ হাজারেরও বেশি পদে কাউন্সেলিং শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ

    কাউন্সেলিং শুরু হতেই তা বন্ধ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এক্ষেত্রে তাঁদের দাবি ছিল প্রথম প্যানেলে তাঁদের নাম থাকলেও নতুন প্যানেলে নাম নেই এবং অস্বচ্ছ প্যানেল তৈরি করে কাউন্সেলিং শুরু করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। কাউন্সেলিং বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে ৩৫ জন চাকরি প্রার্থী (Upper Primary) শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আসাউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। আজকেই শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিল যে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং বন্ধ করা যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: ওড়িশার পর রাজ্যে মদের কারখানায় আয়কর হানা, কেন জানেন?

    Kalyani: ওড়িশার পর রাজ্যে মদের কারখানায় আয়কর হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার কল্যাণীতে (Kalyani) একটি মদের কারখানায় হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের অধিকারিকেরা। আয়কর দফতরের ৬ জনের একটি দল সোমবার রাতে ‘অ্যালায়েড ব্লেন্ডার্স অ্যান্ড ডিস্টিলার্স লিমিটেড’ নামে ওই কারখানায় হানা দেয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন মদের কারখানায় আয়কর হানা? (Kalyani)

    পাশের দুই রাজ্য ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। ওড়িশার মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘বৌধ ডিস্টিলারিজ়’-এর কারখানা চত্বর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর। এখনও চলছে সেই অভিযান। এবার সেই সূত্র ধরে নদিয়ার কল্যাণীতে (Kalyani) এক মদের কারখানায় হানা দিল আয়কর বিভাগ। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ওড়িশার মদ কারখানায় নগদ উদ্ধারের সঙ্গে নদিয়ার আয়কর হানার যোগসূত্র রয়েছে। সোমবার কল্যাণীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই মদের কারখানায় অতর্কিতে হানা দেয় আয়কর দফতরের একটি দল। প্রথমে কারখানার ভিতরে থাকা নথি পরীক্ষা করে দেখেন আধিকারিকেরা। একাধিক অসঙ্গতি মেলায় কর্মী এবং আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পুরো কারখানা ঘিরে রেখেছেন। কারখানার ভিতরের কোনও কর্মীকেই বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ভেতরে প্রবেশেরও অনুমতি দেওয়া হয়নি কাউকে। এই মদ কারখানার সঙ্গে পড়শি রাজ্যের মদ কারখানা থেকে টাকা উদ্ধারের যোগ থাকতে পারে বলেও আয়কর সূত্রে খবর।

    ২০১৫ সালে মদের কারখানা চালু হয়েছিল

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে কল্যাণীর (Kalyani) ওই মদের কারখানাটি তৈরি হয়েছিল। প্রথমে যে মালিক পক্ষ ছিল, তাঁরা দু’বছর পরে কারখানা বিক্রি করে দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে ‘অ্যালায়েড ব্লেন্ডার্স অ্যান্ড ডিস্টিলার্স লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা এই কারখানাটি চালাচ্ছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে তিন ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও মদ কারখানার এক শীর্ষকর্তা বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে টাকা ভর্তি প্রায় ১৯টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর। পড়শি রাজ্যে উদ্ধার হওয়া নগদ অর্থের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীর মদ কারখানায় আয়কর হানার স্পষ্ট যোগ রয়েছে বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘রাজ্যে বিরোধীরা অবহেলিত হলেও বৈষম্যে বিশ্বাসী নয় কেন্দ্র’’, মোদি-মমতা বৈঠক নিয়ে শুভেন্দু

    PM Modi: ‘‘রাজ্যে বিরোধীরা অবহেলিত হলেও বৈষম্যে বিশ্বাসী নয় কেন্দ্র’’, মোদি-মমতা বৈঠক নিয়ে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিষয়ে কথা বলতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কাছে সময় চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সেই সময় দিয়েছেন এবং আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে বৈঠক হতে পারে মোদি-মমতার। ইতিমধ্যে এই বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর। বিরোধী দলনেতার মতে, ‘‘রাজ্যে বিরোধীরা অবহেলিত হলেও বৈষম্যে বিশ্বাসী নয় কেন্দ্র।’’ প্রসঙ্গত, বিরোধীদের প্রতি মমতা সরকারের অবহেলার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। উন্নয়নমূলক যে কোনও কাজকর্মে বিরোধীদের এড়িয়ে যাওয়া তো বটেই, আবার বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের ওপর শাসকদলের হামলার ঘটনাও ঘটতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে। এই আবহে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকের জন্য নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সময় দেওয়া, রাজনৈতিক সৌজন্যতার বড় নজির বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কবে বৈঠক? আলোচনা কী নিয়ে হবে?

    জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে মুখোমুখি হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১৮, ১৯ এবং ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিরোধী ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি কলকাতায় এসে রাজ্যকে বিভিন্ন প্রকল্পে যে বিপুল পরিমাণে টাকা দেওয়া হয়েছে, তার হিসাব দিয়ে বুঝিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তা সত্ত্বেও মূলত রাজ্যের পাওনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে দলের সাংসদদের নিয়ে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে টাকা নয়ছয়ের। তারপরেও চলতি বছরের অগাস্ট মাসে অভিষেক ও তাঁর দলবল দিল্লিতে একই দাবিতে একপ্রস্থ নাটক করেন। ঠিক চার মাস পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই দাবিতে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে।

    কী বলছেন বিরোধী দলনেতা?

    মোদি-মমতার এই বৈঠক নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ করতেই পারেন, কথা বলতে সময় চাইতেই পারেন। মুখ্যমন্ত্রী যতবারই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সময় দিয়েছেন। এব্যাপারে বঙ্গ বিজেপির না বা হ্যাঁ বলার কোনও জায়গা বা মানসিকতা নেই।’’ এনিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সৌজন্যতার পার্থক্যও টানেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর মতে, ‘‘এরাজ্যে বিরোধীদলের সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে যে ব্যবহার মুখ্যমন্ত্রী করেন সেটা নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) করেন না। কারণ দিল্লিতে সেটা চলে না। এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন না। তাঁদের চিঠির উত্তরও দেন না।’’ বিরোধী দলনেতার মতে, ‘‘রাজ্যে বিরোধীরা অবহেলিত, কেন্দ্রে বিরোধীদের গুরুত্ব যথেষ্টই রয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantiniketan: পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরছে পৌষমেলা! সবুজ সংকেত বিশ্বভারতীর

    Shantiniketan: পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরছে পৌষমেলা! সবুজ সংকেত বিশ্বভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা আয়োজিত হতে চলেছে বিশ্বভারতীর পূর্বপল্লির মাঠেই। তিন বছর বাদে আবারও পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরছে পৌষ মেলা। দিন দুয়েক আগেই জেলা প্রশাসনের তরফে মাঠ চেয়ে বিশ্বভারতীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে পূর্বপল্লির মাঠ পৌষমেলার জন্য জেলা প্রশাসনকে দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। তাই মনে করা হচ্ছে সব কিছু ঠিক থাকলে তিন বছর বাদে ফের পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরতে চলেছে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। তবে এতদিন অবধি এই মেলা পরিচালনা করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আর তার আহ্বায়ক ছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তবে, এই বছর পূর্বপল্লির মাঠে মেলা আয়োজিত হলে এবারও জেলা প্রশাসন পরিচালনা করবে।

    বিশ্বভারতীর কাছে মাঠ চেয়ে আবেদন প্রশাসনের (Shantiniketan)

    ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের কারণে মেলা হয়নি। তার পরবর্তী দুই বছর বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মেলা করেননি, এমন অভিযোগ উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তারই বিকল্প হিসেবে বোলপুরের ডাকবাংলা ময়দানে মেলা করেছে জেলা প্রশাসন। এই বছর বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৮ নভেম্বর উপাচার্য রূপে তাঁর মেয়াদ শেষ করেন। তারপরেই শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) পূর্বপল্লির মাঠে মেলা হবে এমনটাই ভেবেছিলেন অনেকে। তবে, প্রথমে বিশ্বভারতীর তরফে সময় ও পরিকাঠামোর অভাবে পূর্বপল্লির মাঠে মেলা করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপর জেলা প্রশাসনের তরফে বৈঠক করে বিশ্বভারতীর কাছে মাঠ চেয়ে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনেই সাড়া দিয়েছে বিশ্বভারতী।

    মেলা নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অশোক মাহাত বলেন, ‘পৌষমেলা হোক আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু, মেলাকে ঘিরে সমস্ত তিক্ততার অবসান চেয়েছিলাম। পাশাপাশি, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে কতকগুলি বিষয় বিবেচনার জন্য বলেছি।’ জানা গিয়েছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: “খেলার মাঠ খেলা ছাড়া অন্য কাজে নয়, ঘোষণা করুন মুখ্যমন্ত্রী”, চ্যালেঞ্জ বিজেপি বিধায়কের

    Siliguri: “খেলার মাঠ খেলা ছাড়া অন্য কাজে নয়, ঘোষণা করুন মুখ্যমন্ত্রী”, চ্যালেঞ্জ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) প্রশাসনিক বৈঠকের দিন চ্যালেঞ্জের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। খেলা বন্ধ করে খেলার মাঠকে এভাবে ব্যবহার করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সোমবার রাতে গ্রেফতার হন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। মধ্যরাত নাগাদ শিলিগুড়ি থানা থেকে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পেয়েই খেলার মাঠকে খেলার জন্য ব্যবহার করার ঘোষণার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপি বিধায়ক।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক করার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব হন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সোমবার সন্ধ্যায় ধর্নায় বসেন বিধায়ক। পুলিশ তাঁকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত  শিলিগুড়ি (Siliguri) থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতাকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত মধ্যরাত নাগাদ শঙ্কর ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি সন্ত্রাসবাদী নই, আমি খেলোয়াড়। যেভাবে শয়ে শয়ে পুলিশ, জলকামান, কমব্যাট ফোর্স ইত্যাদি নামিয়ে এই ধর্না আটকানোর চেষ্টা হয়েছে তা দেখে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এটা জানাতে চাই যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফুটবল, ক্রিকেট লিগ খেলে আমি বড় হয়েছি। আমি সন্ত্রাসবাদী নই। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আবেদন রেখেছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি কর্মসূচি না করে, আপনি আপনার কর্মসূচি অন্য জায়গায় করুন। খেলার মাঠকে বাঁচতে দিন।

     মুখ্যমন্ত্রীকে কী চ্যালেঞ্জ জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) স্টেডিয়াম নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শঙ্কর ঘোষ বলেন, “মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠ থেকে সরকারি ঘোষণা করুন যে খেলার মাঠ খেলা ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহৃত হবে না। তা না হলে আপনার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর উত্তরবঙ্গের সমস্ত মাঠ সুরক্ষার দাবি নিয়ে খেলোয়াড়, ক্রীড়াপ্রেমী এবং নাগরিকদেরকে নিয়ে রাস্তায় আরও বড়সড় প্রতিবাদে নামবো।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: যাদবপুরের ছায়া রায়গঞ্জে! সিনিয়রদের বেধড়ক মারে অচৈতন্য মেডিক্যাল পড়ুয়া

    Raiganj: যাদবপুরের ছায়া রায়গঞ্জে! সিনিয়রদের বেধড়ক মারে অচৈতন্য মেডিক্যাল পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের যাদবপুরের ছায়া রায়গঞ্জে (Raiganj)। এবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশকে শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। ঘটনার রীতিমতো আতঙ্কিত নিগৃহীত পড়ুয়ারা। তাদের ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj)

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাগিং কাণ্ড ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং রুখতে নড়েচড়ে বসেছিল সরকার থেকে শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও মাঝে মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সিনিয়রদের দ্বারা জুনিয়রদের নিগ্রহের ঘটনা। এবার এমনই অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ (Raiganj) মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে। এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ সিনিয়রদের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে সরব হন। ৩ ডিসেম্বর হস্টেল ক্যাম্পাসে একটি বার্থ ডে পার্টির সেলিব্রেশন ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। নিগৃহীত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁরা ওই দিন এক সহপাঠীর বার্থ ডে সেলিব্রেট করছিলেন। তখনই সিনিয়র অর্থাৎ তৃতীয় বর্ষের কিছু পড়ুয়া তাঁদের বকাঝকা করে। তখনকার মতো ঝামেলা মিটে গেলেও ওই ইস্যুতেই ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে তাদের ডেকে পাঠান সিনিয়ররা। অভিযোগ, এরপরই জুনিয়রদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। মারধর পর্যন্ত করা হয় বলে অভিযোগ। সিনিয়রদের নির্যাতনের প্রতিবাদে জুনিয়ররা জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানান। দোষীদের শাস্তির দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে জোটবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    নির্যাতিত ছাত্র কী বললেন?

    কোমল মীনা নামের এক জুনিয়র ছাত্র বলেন, সিনিয়ররা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলাম। পরে, জল ঢেলে আমাকে সুস্থ করে আবার নির্যাতন করা হয়। আমাদের আবার মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছে। যার জেরে আতঙ্কিত রাজস্থানের বাসিন্দা এই মেডিক্যাল পড়ুয়া। নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন ছাত্রীরাও। রিয়া সিং নামের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, ওই ঘটনার পর আমরা আতঙ্কে হস্টেলে থাকতে পারছি না। আমাকে উদ্দেশ্য করে নানা কুমন্তব্য করা হচ্ছে।

    অভিযোগ অস্বীকার তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ার

    জুনিয়রদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রিষভ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অভিযোগকারী ছাত্রছাত্রীরা কলেজে নেশা করে। কলেজের পঠন-পাঠনের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে, পাল্টা অভিযোগ এনেছেন তিনি। এ বিষয়ে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ।

    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কী বললেন?

    এ ঘটনায় রায়গঞ্জ (Raiganj) মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডঃ বিদ্যুৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবাইয়ে আটকে থাকা বাংলার শ্রমিকদের নামের তালিকা সোমবারই বিদেশমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রসঙ্গত, দুবাইয়ে বর্তমানে আটকে পড়ে রয়েছেন এ রাজ্যের ১৩ জন শ্রমিক। সেই তালিকা এদিন বিদেশ মন্ত্রকের হাতে তুলে দিয়ে তাঁদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার বিষয়েও কথা বলেন তিনি। এরপরে সংবাদ মাধ্যমকে সুকান্ত মজুমদার জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ১ ডিসেম্বর দুবাইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দেন দক্ষিণ দিনাজপুরের শ্রমিকরা

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এবং অন্যান্য এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন শ্রমিক দুবাইয়ে কাজের খোঁজে যান। অভিযোগ, কাজের প্রলোভন দেখিয়েই তাঁদেরকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা ৬ ডিসেম্বর দুবাইয়ে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কোনওটাই পূরণ করছে না সংস্থা। এবং প্রয়োজনের থেকে কম পারিশ্রমিকও দেওয়া হচ্ছে। বদলে অতিরিক্ত সময় ধরে তাঁদেরকে কাজ করানো হচ্ছে। এরপরেই তাঁরা দেশে ফিরে আসতে চান। কিন্তু এখানেও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তাঁরা জোরপূর্বক আটকে রেখেছেন ওই শ্রমিকদের। কোনও ভাবেই তাঁদের দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে একটি ভিডিওর মাধ্যমে তাঁরা (শ্রমিকরা) একথা জানিয়েছেন।

    সুকান্তর সঙ্গে যোগাযোগ করেন শ্রমিকদের পরিবারবর্গ

    এরপরেই বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতির (Sukanta Majumdar) সঙ্গে গঙ্গারামপুর সমেত বাকি এলাকার শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন দেখা করেন এবং তাঁর কাছে সাহায্য চান। তাঁদের অভিযোগ শোনার পরে প্রয়োজন মতো সাহায্যের আশ্বাসও দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি তখনই জানান, এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলা হবে। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করে তাঁর দফতরে গিয়ে আমি সমস্ত বিষয়টি তাঁকে জানাই। উনি আশ্বস্ত করেছেন, সেই দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে খুব শীঘ্রই ওনাদের ভারতে তথা পশ্চিমবঙ্গে ফেরানো হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শীতের প্রথম স্পেলেই ১০ ডিগ্রি দক্ষিণে! শীঘ্রই তুষারপাত দার্জিলিং-কালিম্পঙে?

    Weather Update: শীতের প্রথম স্পেলেই ১০ ডিগ্রি দক্ষিণে! শীঘ্রই তুষারপাত দার্জিলিং-কালিম্পঙে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘ সরতেই পারা-পতন! সোমবার থেকেই ঠান্ডা (Winter Kolkata) পড়তে শুরু করেছে শহরে। মঙ্গলবার সকালে ছিল শীতল হাওয়ার দাপট। কলকাতা-সহ (Winter Kolkata) দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করে দিয়েছে ঠান্ডা। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) যা পূর্বাভাস, তাতে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

    শীতের কলকাতা

    ইতিমধ্যেই  কলকাতার তাপমাত্রা (Weather Update) নেমে গিয়েছে ১৫ ডিগ্রিতে। রাতে তাপমাত্রা আরও নামত পারে। তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলতে পারে। প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে তার। হাওয়া অফিস বলছে, উত্তুরে হাওয়ার পথে এই মুহূর্তে কোনও বাধা নেই। ফলে শীতও খেলা দেখাতে শুরু করেছে অনায়াসেই। স্বাভাবিকের থেকে কমেছে কলকাতার (Winter Kolkata) তাপমাত্রা। দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম থাকায় কলকাতায় শীতের আমেজই বহাল থাকবে। আজ, মঙ্গলবার ভোরের তাপমাত্রা ছিল ১৫.৭ ডিগ্রি। গতকাল, সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৭ ডিগ্রি। যা এই সময়ের স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ দিনে ৯৫ শতাংশ। রাতে মাত্র ৩৯ শতাংশ।

    পশ্চিমে কনকনে ঠান্ডা

    ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। রয়েছে কনকনে হাওয়া। ফলে সোয়েটার, মাফলার, চাদরের আদরে লেপটে থাকার দিন শুরু। সোমবারই পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ১১.৬, ঝাড়গ্রামে ১১। বীরভূমের শ্রীনিকেতনেও তাপমাত্রা ছিল ১১.৪। অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়, আসানসোলে তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রির ঘরে। এই সপ্তাহ জুড়েই চলবে শীতের স্পেল। পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। 

    আরও পড়ুন: দুবাইয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সুকান্তর

    উত্তরের আবহাওয়া

    আগামী দু-তিন দিনে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় তুষারপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে উত্তরের পার্বত্য এলাকায়। উত্তরের সমতলের ৫ জেলায় আজ, ১২ ডিসেম্বরে বা আগামী কাল, ১৩ ডিসেম্বর হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শীতল এই বৃষ্টির হাত ধরে ‘কোল্ড-ডে’ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুরে। দার্জিলিঙের উঁচু এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ট্রাম বন্ধ করার আর্জিতে ক্ষোভ প্রকাশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Calcutta High Court: ট্রাম বন্ধ করার আর্জিতে ক্ষোভ প্রকাশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার মধ্যে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাম পরিষেবা শুরু হয় কলকাতাতেই। এবার সেই ট্রামকেই বন্ধ করে দেওয়ার আর্জিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court)। এর পাশাপাশি হাইকোর্ট এদিন আরও জানিয়েছে যে ট্রাম বন্ধ নিয়ে কলকাতা পুলিশ একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

    ট্রাম বন্ধ করতে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, শহরে ট্রাম চলাচল বন্ধ করার আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় আগেই। সোমবারই এই মামলার শুনানি ছিল এবং সেখানে কলকাতা পুলিশ ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করতে শুরু করে। তার কারণ হিসেবে তারা যানজটকে তুলে ধরে এবং ট্রামের যে ধীরগতি সেটাকেও কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। যদিও কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য সরকারের এই জবাবে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘ট্রাম কর্তৃপক্ষ শুধু ট্রাম বিক্রি করতে বসে রয়েছেন? কর্মচারীদের বেতন দেওয়া বা কী ভাবে পুনরায় যাত্রী পরিষেবা দেওয়া যায়, সে বিষয়ে কোনও চিন্তাভাবনাই নেই তাঁদের?’’

    আধুনিক মানের গড়ে তুলতে ট্রামকে

    কলকাতা হাইকোর্ট এদিন আরও জানায় যে ট্রাম চালানোর বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দরকার পড়লে পিপিপি মডেলের মতো কিছু ভাবতে বলেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ট্রামের আধুনিকীকরণের জন্য তৈরি হবে একটি কমিটিও। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, ‘‘ট্রাম রাজ্যের ঐতিহ্য। তাকে রক্ষা করতে হবে। অহেতুক তর্কবিতর্ক না করে গঠনমূলক আলোচনা প্রয়োজন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কীভাবে ট্রামকে আধুনিক করা যায়, সে কথা ভাবতে হবে। অত্যাধুনিক ট্রাম করতে হবে যাতে প্রবীণ বা পুরনো যাত্রীরা নয়, যুবক-যুবতীরা ট্রামে চড়ার আকর্ষণ বোধ করেন।’’ এছাড়াও কমিটি দেখবে, ট্রাম পরিষেবা পুনরায় কীভাবে ভালোমতো চালু করা যায়। কলকাতা পুলিশের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে তারাই। রাজ্য আগামী দিনে আদালতকে ফলপ্রসূ কিছু জানাবে, এমনটাই আশা কলকাতা হাইকোর্টের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share